ইকতেদার আহমেদ
সংবিধানের ভাষায়, আদালত বলতে সুপ্রিমকোর্টসহ যে কোন আদালতকে বোঝায়। সুপ্রিমকোর্ট সাংবিধানিক আদালত এবং সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ নামক দুটি পৃথক বিভাগ রয়েছে। অপর দিকে নিু আদালত ফৌজদারি ও দেওয়ানি এ দুইভাগে বিভক্ত। বিচারকর্ম বিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিরা নিু আদালতের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন পর্যায়ের জজ ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসমূহের দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
আদিম অধিক্ষেত্রের দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতসমূহে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত হওয়ার পর উভয়পক্ষকে শুনানি অন্তে সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়। দেওয়ানি ও ফৌজদারি আপিল ও রিভিশনের ক্ষেত্রে সচরাচর সাক্ষ্য গ্রহণের আবশ্যকতা না থাকায় চূড়ান্ত শুনানি অন্তে সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়। আদালতের এ সিদ্ধান্তই মামলার রায়। মামলার রায় প্রদানের ক্ষেত্রে আদালত কী পদ্ধতি অনুসরণ করবেন তা সবিস্তারে আইন, বিধি এবং আদেশ ও নিয়মাবলিতে উল্লেখ রয়েছে।
দেওয়ানি কার্যবিধিতে দেওয়ানি আদালতসমূহে বিচারকার্য পরিচালনা সংক্রান্ত পদ্ধতিগত বিষয়সমূহ আলোচনা করা হয়েছে। দেওয়ানি কার্যবিধিতে পৃথকভাবে আদালতের কোন সংজ্ঞা না দেয়ায় দেওয়ানি কার্যবিধির যেসব ¯’ানে বিশেষণের ব্যবহার ব্যতিরেকে ‘আদালত’ শব্দটি ব্যবহƒত হয়েছে সেসব ¯’ানে আদালত বলতে সংবিধানে উল্লেখিত সুপ্রিমকোর্টসহ সব আদালতকে বোঝানো হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে কিছু বিশেষায়িত মামলা যেমনÑ কোম্পানি, অ্যাডমিরালটি, রিট ও আদালত অবমাননা ছাড়া দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলাসমূহের আপিল ও রিভিশনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। দেওয়ানি কার্যবিধির ধারা নং ৩৩ রায় এবং ডিক্রি সংক্রান্ত। ধারা নং ৩৩-এ বলা হয়েছে মামলার শুনানি হওয়ার পর আদালত রায় ঘোষণা করবে এবং এরূপ রায়ের ভিত্তিতে ডিক্রি প্রণীত হবে। দেওয়ানি কার্যবিধিকে আরও কার্যক্ষম করার লক্ষ্যে প্রতিটি ধারা সংশ্লেষে বিধি প্রণয়ন করা হয়েছে এবং এরূপ বিধিতে ধারাতে উল্লেখিত বিষয়সমূহ অধিকতরভাবে কার্যকরণের লক্ষ্যে অতিরিক্ত ব্যব¯’াদির ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। দেওয়ানি কার্যবিধির আদেশ নং ২০ রায় এবং ডিক্রি সংক্রান্ত। আলোচ্য নিবন্ধের বিষয়ব¯‘র আলোকে ২০ নং আদেশের ১, ২ ও ৩ নং বিধি প্রাসঙ্গিক। ২০ নং আদেশের ১ নং বিধিতে রায় ঘোষণার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। ওই বিধিতে বলা হয়েছে, মামলার শুনানি সমাপ্ত হওয়ার পর তৎক্ষণাৎ বা অনূর্ধ্ব ৭ দিনের কোন পরবর্তী তারিখে পক্ষগণকে বা তাদের আইনজীবীগণকে যথাযথ নোটিশ প্রদান করে আদালত প্রকাশ্য আদালতে রায় ঘোষণা করবেন।
একই আদেশের ২নং বিধি পূর্ববর্তী বিচারক কর্তৃক লিখিত রায় ঘোষণার ক্ষমতা সংক্রান্ত। এ বিধিতে বলা হয়েছে, কোন বিচারক তার পূর্ববর্তী বিচারক কর্তৃক লিখিত কিš‘ ঘোষিত হয়নি এরূপ রায় ঘোষণা করতে পারেন।
২০ নং আদেশের ৩ নং বিধিতে রায়ে স্বাক্ষর প্রদানের বিষয়টি উল্লেখিত হয়েছে। এ বিধিতে বলা হয়েছে, রায় ঘোষণা করার সময় প্রকাশ্য আদালতে বিচারক তাতে স্বাক্ষর ও তারিখ দেবেন এবং একবার স্বাক্ষরিত হলে তৎপর কেবলমাত্র ১৫২ ধারা অনুসারে বা রিভিউ (জবারব)ি ব্যতীত উহার কোন সংশোধন বা সংযোজন করা চলবে না। ৩ নং বিধিতে উল্লেখিত ১৫২ ধারার ব্যাপ্তি কতটুকু সে বিষয়ে ধারণা পেতে হলে ১৫২ ধারার ওপর আলোকপাত প্রয়োজন। ১৫২ ধারায় রায়, ডিক্রি বা আদেশ সংশোধন বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ওই ধারায় বলা হয়েছে, করণিক বা গাণিতিক ভুল থাকলে অথবা কোন আকস্মিক ফসকান (অপপরফবহঃধষ ংষরঢ়) বা বিচ্যুতির (ঙসরংংরড়হ) কারণে তথায় কোন ভুল থাকলে যে কোন সময় আদালত নিজ উদ্যোগে বা কোন পক্ষের আবেদনক্রমে উহা সংশোধন করতে পারেন।
দেওয়ানি কার্যবিধির আদেশ নং ৪১ মূল ডিক্রি হতে আপিল সংক্রান্ত। আদেশ নং ৪১-এর ৩০ ও ৩১ বিধিদ্বয় আলোচ্য নিবন্ধ সংশ্লেষে প্রাসঙ্গিক। ৩০ নং বিধিতে রায় কখন এবং কোথায় ঘোষণা করা হয় সে বর্ণনা রয়েছে। উক্ত বিধি অনুযায়ী আপিল আদালত পক্ষগণ বা তাদের আইনজীবীদের বক্তব্য শ্রবণের পর এবং আপিলের বা যে আদালতের ডিক্রি হতে আপিল করা হয়েছে, সে আদালতের কার্যক্রমের কোন অংশ রেফারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় বিবেচিত হলে তা রেফার করে, তৎক্ষণাৎ অথবা অন্য কোন ভবিষ্যৎ দিনে পক্ষগণ বা আইনজীবীগণকে নোটিশ প্রদানপূর্বক, প্রকাশ্য আদালতে রায় ঘোষণা করবেন। ৩১ নং বিধিতে রায়ের সারমর্ম, তারিখ এবং স্বাক্ষর বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আপিল আদালতের রায় লিখিত আকারে হতে হবে এবং ক) সিদ্ধান্তের বিষয়সমূহ; খ) বিষয়সমূহের ওপর সিদ্ধান্ত; গ) সিদ্ধান্তের কারণসমূহ এবং ঘ) যে ক্ষেত্রে ডিক্রি বাতিল বা পরিবর্তন করা হয়, সে ক্ষেত্রে আপিলকারী যে প্রতিকারের অধিকারী, তা বিবৃত করতে হবে এবং রায় ঘোষণার সময় বিচারক বা মতৈক্যশীল বিচারকগণ তাতে স্বাক্ষর করবেন ও তারিখ দেবেন।
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ র“ল, ১৯৮৮-তে (সর্বশেষ ২২ এপ্রিল, ২০০৮ পর্যন্ত সংশোধিত) রায়, ডিক্রি ও আদেশ বিষয়ে বলা হয়েছে যে, আদালত মামলার শুনানি সমাপ্ত হওয়ার পর তৎক্ষণাৎ অথবা অন্য কোন ভবিষ্যৎ দিনে পক্ষগণ অথবা তাদের অ্যাডভোকেট অন রেকর্ডকে যথাযথভাবে নোটিশ প্রদানপূর্বক প্রকাশ্য আদালতে রায় ঘোষণা করবেন এবং তদানুসারে ডিক্রি অথবা আদেশ প্র¯‘ত করা হবে।
হাইকোর্ট বিভাগ র“লে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ডের পরিবর্তে আইনজীবীগণ উল্লেখপূর্বক উপরোক্ত বিষয়টি একইভাবে বর্ণিত হয়েছে। আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ র“লে রায় বিষয়ে উল্লেখিত বিধানাবলি দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় ধরনের মামলার রায়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগের রায় বিষয়ে উভয় আদালতের বিধিতে আরও বলা হয়েছে, আদেশ নং ২৬-এ বিবৃত বিধানাবলি সাপেক্ষে, আদালত কর্তৃক প্রকাশ্যে ঘোষিত কোন রায় অথবা আদালতের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে অথবা মতদ্বৈধতায় ঘোষিত রায় পরবর্তীতে করণিক অথবা গাণিতিক ভুল অথবা আকস্মিক ফসকান ও বিচ্যুতি হতে উদ্ভূত ভুল ব্যতীত পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা যাবে না।
দেওয়ানি কার্যবিধির অনুরূপ ফৌজদারি কার্যবিধিতেও আদালতের কোন ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়নি। ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা নং ৩৬৬ রায় প্রদানের পদ্ধতি সংক্রান্ত। উক্ত ধারার ১(ক) আলোচ্য নিবন্ধের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক। ধারা নং ৩৬৬ (১) (ক)-তে বলা হয়েছে, আদিম অধিক্ষেত্রের যে কোন ফৌজদারি আদালতের প্রতিটি বিচারের ক্ষেত্রে রায় ঘোষণা করতে হবে অথবা উক্ত রায়ের সারমর্মের ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবেÑ প্রকাশ্য আদালতে বিচারকার্য সমাপ্ত হওয়ার অব্যবহিত পর অথবা পরবর্তী কোন সময় পক্ষগণ অথবা তাদের আইনজীবীগণকে নোটিশের মাধ্যমে অবহিতকরণপূর্বক।
ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা নং ৩৬৭-তে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি সুস্পষ্টরূপে উল্লেখিত হয়েছে যে, রায় ঘোষণাকালে প্রকাশ্য আদালতে বিচারক উহাতে স্বাক্ষর ও তারিখ দেবেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৬৯ নং ধারাটি অনেকটা দেওয়ানি কার্যবিধির ১৫২ ধারার অনুরূপ। উক্ত ধারায় বলা হয়েছে, এ বিধির (ঈড়ফব) অন্যত্র অথবা অপর কোন আইনে ভিন্নতর কিছু না থাকলে কোন আদালত রায় স্বাক্ষর করার পর করণিক ভুল ব্যতীত উক্ত রায় কোনরূপ সংশোধন বা রিভিউ করবেন না।
ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা নং ৪২৪ নিু আপিল আদালতের রায় সংক্রান্ত। উক্ত ধারায় বলা হয়েছে, আদিম অধিক্ষেত্রের ফৌজদারি আদালতের মামলার রায় বিষয়ে অধ্যায় নং ২৬-এ যেসব নিয়মাবলি বর্ণিত হয়েছে তা হাইকোর্ট বিভাগ ব্যতীত আপিল আদালতের রায়ের ক্ষেত্রে সাধ্যমত প্রযোজ্য হবে।
তাছাড়া দেওয়ানি আদেশ ও নিয়মাবলির ১৪০ নং নিয়মে রায় ঘোষণা বিষয়ে বলা হয়েছে, প্রকাশ্য আদালতে রায় ঘোষণা করতে হবে এবং ঘোষণাকালীন প্রকাশ্য আদালতে স্বাক্ষর ও তারিখ দিতে হবে।
নিু আদালতের বিচারকগণের চাকরি বদলিযোগ্য। নিু আদালতের একজন বিচারক কোন মামলার রায় প্রদান না করে এক জেলায় কার্যভার হস্তান্তরপূর্বক অপর জেলায় যোগদান করলে পূর্ববর্তী জেলার তদ্কর্তৃক নিষ্পন্ন মামলার রায় প্রদান করা না হয়ে থাকলে তার দ্বারা পূর্ববর্তী স্বাক্ষরযুক্ত তারিখ দিয়ে উক্ত মামলার রায় প্রদানের কোন অবকাশ নেই। যদিও পূর্ববর্তী বিচারক কর্তৃক লিখিত রায় পরবর্তী বিচারক কর্তৃক ঘোষিত হওয়ার ক্ষেত্রে কোন বাধা নেই।
নিু আদালতের একজন বিচারক এক জেলা হতে অপর জেলায় স্বপদে অথবা পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে বদলি হলে অথবা ৫৯ বছর পূর্তিতে চাকরির মেয়াদ অবসানে অবসর গ্রহণ করলে তদ্কর্তৃক পূর্বের কর্ম¯’লের নিষ্পন্ন বা অনিষ্পন্ন কোন মামলার রায় বা আদেশ প্রদানের সুযোগ একেবারে অনুপ¯ি’ত। যে মুহূর্তে কর্মকর্তাটি অন্যত্র বদলি হওয়ার কারণে কার্যভার অর্পণ করলেন অথবা অবসর গ্রহণ করলেন সে মুহূর্তে উক্ত কর্ম¯’লের উক্ত পদের জন্য তিনি ঋঁহপঃঁং ঙভভরপরড় হয়ে গেলেন। এর অর্থ পূর্বের পদের বিচারিক রায়ের করণিক অথবা গাণিতিক ভুল ব্যতীত অন্য কোন ধরনের সংশোধন বা পরিবর্তন আইন সমর্থন করে না।
উ”চাদালতের বিচারকগণ শপথের অধীন। একজন ব্যক্তি উ”চাদালতের বিচারক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও যতক্ষণ পর্যন্ত না তিনি শপথ পাঠ করছেন ততক্ষণ পর্যন্ত তার বিচারকার্যে অংশগ্রহণের কোন সুযোগ নেই। অনুরূপভাবে ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ার পর যেদিন তিনি চাকরি হতে অবসরে চলে যাবেন সেদিন বা সেদিনের পূর্বের কোন রায় তদকর্তৃক প্রকাশ্য আদালতে ঘোষিত না হয়ে থাকলে তার পক্ষে প্রকাশ্য আদালতে উক্ত রায়ের ঘোষণা বা উক্ত রায়ে স্বাক্ষর প্রদান আইনসম্মত কিনা তা পূর্বোল্লেখিত আলোচনার আলোকে বিবেচনায় নিলে প্রতীয়মান হয়, এরূপ সুযোগ আইন ও বিধিবিধান দ্বারা সমর্থিত নয়। প্রশ্ন উঠতে পারে, উ”চাদালতের একজন বিচারপতি বা বিচারক কোন মামলার রায়ের সংক্ষিপ্ত আদেশ প্রদান করার পর অবসরে চলে গেলে তার পক্ষে দীর্ঘসময় যেমন এক বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হওয়ার পর মামলার পূর্ণ রায় লিখে তাতে পেছনের তারিখযুক্ত স্বাক্ষর প্রদান আইনানুগ হবে কিনা? এ প্রশ্নের সহজ উত্তর, উ”চাদালতের বিচারপতি বা বিচারক অবসরে যাওয়ার পর মুহূর্তেই স্বীয় শপথ থেকে অবমুক্ত হয়ে যান। শপথ থেকে অবমুক্ত হয়ে গেলে পূর্বের কোন সংক্ষিপ্ত রায়ের পূর্ণাঙ্গরূপে তার সুচিন্তিত মতামতের ওপর তিনি পূর্বের তারিখযুক্ত স্বাক্ষর করলে তা কতটুকু আইনানুগ হবে তা বিবেচনার দাবি রাখে। অনেকে হয়তো বলবেন, ইতোপূর্বে এ ধরনের একাধিক নজির রয়েছে। কিš‘ প্রশ্ন, যদি বিষয়টি অনিয়ম হিসেবে বিবেচিত হয় সেক্ষেত্রে পূর্বের অনিয়ম সমর্থন করে একই ধারাবাহিকতায় অনিয়ম করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত?
দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার রায় বিষয়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি কার্যবিধি, দেওয়ানি আদেশ ও নিয়মাবলি এবং সুপ্রিমকোর্ট আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ র“লে যেসব বিধানাবলি বর্ণিত হয়েছে তাতে সুস্পষ্টভাবে ধারণা পাওয়া যায়, আদিম অধিক্ষেত্রের আদালত ও আপিল আদালতের রায় প্রকাশ্য আদালতে শুনানি সমাপ্ত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক অথবা পরবর্তী কোন দিন পক্ষগণ বা আইনজীবীগণকে নোটিশ প্রদানপূর্বক ঘোষণা করতে হবে এবং তা প্রকাশ্য আদালতে তারিখ ও স্বাক্ষরযুক্ত হবে। এতদসংক্রান্ত বিধিতে পূর্ববর্তী বিচারক রায় ঘোষণা না করে থাকলে পরবর্তী বিচারককে সে রায় ঘোষণার অধিকার দেয়া হয়েছে। কিš‘ আইন বা বিধির কোথাও পূর্ববর্তী বিচারক কর্তৃক নিষ্পন্নকৃত বা ঘোষিত রায়ে পূর্ববর্তী বিচারকের পূর্বের তারিখযুক্ত স্বাক্ষর প্রদানের বিষয়ে কোন কিছু উল্লেখ নেই। আইনে অনুল্লেখিত বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ভেবে দেখা প্রয়োজন, নিু
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন