শুক্রবার, ২২ জুন, ২০১২

রোহিঙ্গা মুসলমান : ভাগ্যবিড়ম্বিত জাতি



॥ ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ ॥

বর্তমান বিশ্বের আলোচিত ও ভাগ্যবিড়ম্বিত একটি মুসলিম জনগোষ্ঠীর নাম রোহিঙ্গা। মূলত এরাই আরাকানের প্রথম বসতি স্থাপনকারী মূল ধারার সুন্নি আরব মুসলমান। আরাকান রাজ্যের মুসলিম সংস্কৃতি ও ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারকবাহক হিসেবে রোহিঙ্গাদের ভূমিকাই ছিল প্রধান। এমনকি আরাকানের সমগ্র মুসলিম জনগোষ্ঠীর ৯০ শতাংশেরও বেশি মুসলমান রোহিঙ্গা নামে পরিচিত। কিন্তু মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের নৃতাত্ত্বিক অস্তিত্বকে অস্বীকার করে আরাকান অঞ্চল থেকে মুসলিম সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যকে স্মৃতিপট থেকে মুছে ফেলার সব আয়োজন শেষ করেছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। তা ছাড়া আরাকানের মগ সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের আরাকানি জাতিগোষ্ঠীর অংশ হিসেবে পরিচয় দিতেও নারাজ। ফলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বর্তমানে নিজ দেশে নাগরিকত্বহীন অবস্থায় পরবাসী হয়ে জীবনযাপন করছে। অথচ তাদের কেউ হাজার বছর, কেউ পাঁচ শতাধিক বছর আর কেউ বা কয়েক শ’ বছর ধরে সেখানে বসবাস করছে। 
অতি সম্প্রতি জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের নামে আবারো সেখানে মানবতা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। স্থানীয় মগ জনগোষ্ঠী এবং প্রশাসনের প্রকাশ্য সহায়তায় আরাকানের মংডু এবং আকিয়াব এলাকায় চলছে নির্বিচারে গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ। রোহিঙ্গাদের হাজার হাজার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে বিরানভূমিতে পরিণত করছে গ্রামের পর গ্রাম। রোহিঙ্গা তরুণী নারীদের অপহরণ করা হচ্ছে নির্দ্বিধায়। ইতোমধ্যে প্রায় পাঁচ হাজারের অধিক তরুণী নারীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। খাল, বিল ও জঙ্গলাকীর্ণ এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে মহিলাদের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ধর্ষণ শেষে নির্মমভাবে তাদের হত্যা করা হচ্ছে। মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে সেখানে। মানবিক বিপর্যয়ের এক জ্বলন্ত এলাকায় পরিণত হয়েছে রোহিঙ্গাদের বসতভিটে। এমন নির্মমতায় প্রাণ হারাচ্ছে অসহায় নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ সেখানকার খেটেখাওয়া অশিতি, অর্ধশিতিসহ সমগ্র রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠী। সর্বস্ব হারিয়ে নিজেদের প্রাণটুকু বাঁচানোর তাগিদে তারা পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে। কিন্তু বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দিতে সম কি না কিংবা আশ্রয় দিলেই এ সমস্যার সমাধান হবে কি না এসব বিতর্কের কারণে বাংলাদেশ সরকারও ভীষণভাবে কঠোরতা অবলস্বন করে তাদের আশ্রয়ের কোনো সুযোগ দিচ্ছে না। এমনকি আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃঢ়চেতা ভাষণ তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আরো বেশি আতঙ্কিত করেছে বলে অনেকে মনে করছেন। ফলে আহত ও নির্যাতিত অসহায় মানুষগুলোকে অবর্ণনীয় কষ্টের মাধ্যমে নদী আর সাগরজলেই মৃত্যুমুখে গমন করতে হচ্ছে। বিশ্বায়ন, তথ্যপ্রযুক্তি ও মানবিক উৎকর্ষের এ উন্নত যুগে সবার চোখের সামনে এমন মানবিক বপর্যয় ঘটে যাচ্ছে নির্বিঘœভাবে। কেউ যেন নেই দেখার, সাহায্যের হাত বাড়ানোর কিংবা ন্যূনতম সহানুভূতি প্রকাশ করার। চোখের সামনে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে রাখাইন রাজ্য নামে পরিচিত আরাকান রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী একটি মুসলিম জনগোষ্ঠী। 
রোহিঙ্গা সঙ্কটের প্রোপট
আরাকান এককালে স্বাধীন রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত থাকলেও অধুনা মিয়ানমারের একটি প্রদেশ। অনুরূপভাবে রোহিঙ্গারাও এক সময় স্বাধীন আরাকানের অমাত্যসভা থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকে নিজেদের প্রাধান্য বজায় রাখলেও বর্তমানে তারা আরাকানের সবচেয়ে নিগৃহীত জাতিগোষ্ঠী। ১৭৮৪ সালে বর্মিরাজ বোধপায়ার আরাকান দখলের মধ্য দিয়েই মূলত রোহিঙ্গাদের নিগৃহীত জীবনের সূচনা হয়। অতঃপর ব্রিটিশ শাসনের সমাপ্তিলগ্নে ব্রিটিশ কূটকৌশলের ফলে তাদের জীবনে দ্বিতীয়বারের মতো অনিশ্চয়তা নেমে আসে। স্বাধীনতা-উত্তর বার্মায় ১৯৬২ সালে সামরিক জান্তা নে উইন কর্তৃক মতা দখলের পর থেকে রোহিঙ্গারা ক্রমশ নাগরিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত হতে থাকে। অবশেষে ১৯৮২ সালে প্রণীত নাগরিকত্ব আইনের নামে তাদের বহিরাগত হিসেবে চিহ্নিত করে কল্লা বা বিদেশী আখ্যা দিয়ে দেশ থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে। রোহিঙ্গারা জন্মসূত্রে আরাকানের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও তাদের জীবনে এ দুর্ভোগের পেছনে নিম্নোক্ত কারণ উল্লেখ করা যায়Ñ 
প্রথমত, রোহিঙ্গারা দীর্ঘ হাজার বছরের পথপরিক্রমায় আরাকানের অমাত্যসভাসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে সমাসীন থাকলেও তারা নেতৃত্বের েেত্র স্বতন্ত্র কোনো ধারা সৃষ্টি করতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে বর্মিরাজ বোধপায়া কর্তৃক ১৭৮৪ খ্রিষ্টাব্দে আরাকান দখলের পর আরাকানের সর্বময় মতা বর্মিদের হাতে চলে যায়। এরা পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাসহ আরাকানি নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের হত্যা করে। অবশিষ্টদের অনেকেই প্রাণভয়ে বাংলায় পালিয়ে আসে এবং ১৮২৬ সালে প্রথম ইঙ্গ-বর্মি যুদ্ধের মাধ্যমে আরাকান দখল পর্যন্ত এ দীর্ঘ সময়ে দেশের বাইরে অবস্থান করে। এ সময়ে সিন পিয়ানসহ অনেক আরাকানি নেতা স্বদেশ পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম পরিচালনা করলেও বিভিন্ন কারণে তারা ব্যর্থ হয়। ফলে বাংলায় আশ্রিত রোহিঙ্গাসহ আরাকানে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা নেতৃত্বের দিক থেকে আরো পিছিয়ে পড়ে।
দ্বিতীয়ত, ১৮২৬ সালে আরাকানে ব্রিটিশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হলে তারা রোহিঙ্গাদের বাহ্যিক কিছু সুযোগ-সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে নিজেদের মতার ভিত্তি মজবুত করে। শাসকগোষ্ঠী নিজেদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রয়োজনেই আরাকানের প্রশাসনের বিভিন্ন ত্রে ছাড়াও কৃষি, ব্যবসায় প্রভৃতি কাজের জন্য বাংলায় আশ্রিত রোহিঙ্গাসহ আরাকানিদের স্বদেশে বসবাসের সুযোগ দেয়। এ সময় রোহিঙ্গাদের নেতৃস্থানীয় শিতি শ্রেণীর অনেকেই আরাকানে ফিরে না গিয়ে বাংলার কক্সবাজার ও বান্দরবান অঞ্চলে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীসহ কিছু নেতৃস্থানীয় রোহিঙ্গা স্বদেশে ফিরে গেলেও নেতৃত্বের েেত্র নতুন করে কোনো অবস্থান সৃষ্টি করতে সম হয়নি। পান্তরে ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানেরা ব্রিটিশের কর্তৃত্বকে সহজে মেনে না নেয়ার কারণে বরাবরই তারা মুসলমানদের শক্র মনে করত। ফলে বার্মায় পুরোপুরিভাবে ব্রিটিশ কর্র্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর রোহিঙ্গারা যাতে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে না পারে, সে জন্য তাদের রাষ্ট্রের বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত না করে স্থানীয় মগদের প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এমনকি ব্রিটিশ কর্তৃপ বার্মাকে স্বাধীনতা দেয়ার আগে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বিষয়ে মগদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে। স্বাধীনতা-উত্তর মিয়ানমারের মতাসীন বর্মি ও স্থানীয় মগরা সে ইস্যুকে ক্রমেই শক্তিশালী করে তোলে; যার সর্বশেষ পরিণতি হিসেবে রোহিঙ্গারা কল্লা বা ভিনদেশী চিহ্নিত হয়ে স্বদেশ থেকে বিতাড়িত হয়। ব্রিটিশশাসিত বার্মাকে মুক্ত করার আন্দোলনে রোহিঙ্গারা স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা অং সানকে সমর্থন দিয়ে বার্মাকে ব্রিটিশ শাসনমুক্ত করলেও তারা তাদের অধিকার ফিরে পায়নি। স্বাধীনতা-উত্তর বার্মার শাসকগোষ্ঠী বিভিন্ন অজুহাতে তাদের মিয়ানমার বা আরাকানের নাগরিক হিসেবে গ্রহণ না করে শুধু আরাকানের বাসিন্দা হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকে।
রোহিঙ্গারা আরাকানের স্বাধিকার আন্দোলন শুরু করলে রাজনৈতিক কৌশলে তাদের এ পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। অতঃপর তাদের ওপর চালানো হয় ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যা। এ প্রোপটে ১৯৭৮-৭৯ সালে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর চাপ ও বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কূটনৈতিক তৎপরতায় বিষয়টির বাহ্যিক সমাধান নিশ্চিত হয়। তাই রোহিঙ্গাদের নিঃশেষ করে দেয়ার জন্য কৌশল অবলম্বন করে ১৯৮২ সালে বিতর্কিত বর্ণবাদী নাগরিকত্ব আইন ঘোষণা করেন। এ আইনে নাগরিকদের Citizen, Associate Ges Naturalized শ্রেণীতে ভাগ করে ১৮২৩ সালের পরে আগত বলে Associate কিংবা ১৯৮২ সালে নতুনভাবে দরখাস্ত করে Naturalized Citizen ঘোষণা করার ব্যবস্থা করে। ওই আইনের ৪ নম্বর প্রভিশনে আরো শর্ত দেয়া হয়, কোনো জাতিগোষ্ঠী রাষ্ট্রের নাগরিক কি না তা নির্ধারণ করবে আইন-আদালত নয়; সরকারের নীতিনির্ধারণী সংস্থা Council of State, এ আইনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ভাসমান নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। রোহিঙ্গাদের কাছে কালো আইন হিসেবে বিবেচিত এ আইন তাদের সহায়-সম্পত্তি অর্জন, ব্যবসায়-বাণিজ্য, প্রতিরা সার্ভিসে যোগদান, নির্বাচনে অংশ নেয়া কিংবা সভা-সমিতির অধিকারসহ সার্বিক নাগরিক অধিকার কেড়ে নেয়। বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশের পত্রপত্রিকাসহ প্রচারমাধ্যমগুলো তাদের সেখানকার স্থায়ী নাগরিক হিসেবে সম্বোধন করে।
১৯৭৮ এবং ১৯৯১ সালে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মিয়ানমার সরকার বিভিন্ন অপারেশনের নামে আরাকানে এক অমানবিক নির্যাতন চালায়। এ অপারেশনে তারা হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং দুই পর্বে প্রায় পাঁচ লাধিক রোহিঙ্গাকে তাদের পৈতৃক বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের মাধ্যমে প্রতিবেশী বাংলাদেশে তাড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশ সরকার সীমিত সামর্থ্য নিয়েই অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে ত্রাণকার্যক্রমসহ আশ্রয়ণ ক্যাম্প তৈরি করে আন্তর্জাতিক সাহায্য-সহযোগিতায় বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে। তথাপিও রোগ-শোক, অনাহার-অর্ধাহারে নাফ নদী পেরিয়ে আসা অসংখ্য লোক প্রাণ হারায়; যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী, শিশু ও বৃদ্ধ। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া ও কৌশল অবলম্বন করে দ্বিপীয় ভিত্তিতে এ সমস্যার সমাধান করেন। 
জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে কাজ করলেও রোহিঙ্গাদের েেত্র শুধু শরণার্থীদের অস্থায়ী পুনর্বাসন, ভরণপোষণ তথা শরণার্থী জীবনযাপনে সার্বিক সহযোগিতা করছে কিন্তু নাগরিক অধিকার দেয়ার েেত্র তেমন কোনো ভূমিকা পালন করছে না। তা ছাড়া মিয়ানমারের মিলিটারি শাসকেরা বিশ্ব মতামতের খুব একটা ধার ধারে বলে মনে হয় না। সে দেশের বিরোধী নেত্রী, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অংসান সুচি দীর্ঘদিন যাবৎ বন্দী অবস্থায় জীবনযাপন করেছেন। 
যেহেতু রোহিঙ্গা সমস্যার জন্য তিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশ। তাই রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য বাংলাদেশকেই উদ্যোগ নিতে হবে। আরাকানি মুসলমানদের সাথে বাংলাদেশের সহস্র বছরের বন্ধন ও ঐতিহ্যকে সামনে রেখে ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, পারিবারিক ও ধর্মীয়সহ বহুমাত্রিক বন্ধনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দেশের স্বার্থে; মানবতার জন্য বাংলাদেশের এগিয়ে আসা উচিত। রোহিঙ্গা সমস্যাকে জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে গুরুত্বসহকারে তুলে ধরতে হবে; এ েেত্র বিশ্বের মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে সমস্যা সমাধানের জন্য উৎসাহিত করে ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক মুসলিম সংস্থাগুলো মিলে জাতিসঙ্ঘের কাছে এর গুরুত্ব তুলে ধরে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যদি মানবাধিকারের মমত্ববোধ নিয়ে এগিয়ে এসে রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিক সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করার দৃঢ় পদপে গ্রহণ করে তবেই কিছুটা আশার আলো দেখা যাবে। সেই সাথে বাংলাদেশকেও মিয়ানমার সরকারের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টায় আরো আন্তরিক হওয়া উচিত। 
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
mrakhanda@gmail.com

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন