ড. মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করা হয়েছিল। ১৯৭২ সালে রচিত সংবিধানে গণতান্ত্রিক আদর্শকে রাষ্ট্রের ৪ মৌলনীতির প্রথম স্থানে বসানো হয়েছিল। ৪০ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও বাংলাদেশ রাষ্ট্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা নিয়ে নানা আশঙ্কা, হতাশা ও সমস্যার কথা বার বার উচ্চারিত হতে শুনি ও দেখি। কেননা গণতন্ত্রকে রাষ্ট্রের প্রথম মৌল আদর্শ হিসেবে ঘোষণা ও গ্রহণ করা হলেও বার বার বাংলাদেশে গণতন্ত্রের উপর আঘাত এসেছে, সামরিক-আধা-সামরিক বা নির্বাচিত সরকারের নামে যে শাসন ব্যবস্থা এসেছে তাতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কঠিন কাজটি নানাভাবেই হোঁচট খেয়েছে, বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আশার আলো জ্বালিয়ে বার বার জাতীয় জীবনে ফিরে এসেছেও। তারপরও আশঙ্কার মেঘ কাটছে না। কখন যেন আবার কালো মেঘের আড়ালে বাংলাদেশের গণতন্ত্র সাময়িকভাবে হারিয়ে যায়, লুকিয়ে থাকে। বিশেষত, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যখন গণতান্ত্রিক ভাষা, আচরণ, সহিষ্ণুতা ইত্যাদির অভাব দেখা যায়, যখন অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়, যখন সংসদকে বাদ দিয়ে রাস্তায় রাজনৈতিক সমস্যার মীমাংসার মনোবৃত্তি জোরালো হয়ে ওঠে তখন মানুষের মনে দেশের গণতন্ত্রকে হারানোর আশঙ্কা বা দুশ্চিন্তাই বেড়ে যায়। এ মুহূর্তেও কেউ কেউ মনে করছে যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সংঘাত বেড়ে যেতে পারে। তেমন অবস্থায় আবার কোনো ১/১১ এর মতো ঘটনা ঘটে যায় কিনা সেই আশঙ্কা কারো কারো মনে রয়েছে। কোনো আশঙ্কাই অমূলক নয়, আবার কোনো আশঙ্কাই সত্য হবে এমনটি এতো আগে নিশ্চিত করে বলা যাবে না।
প্রশ্ন হচ্ছে ৪১ বছরেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র হারানোর আশঙ্কা আসবে কেন? ভারতে তো তেমন সংকট দেখা যাচ্ছে না। তবে পাকিস্তানে গণতন্ত্রের সম্ভাবনা বাংলাদেশ থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। পাকিস্তানকে আমরা ত্যাগ করেছি এর সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র চরিত্রের কারণে। কিন্তু ৪১ বছরে আমাদের যে জায়গায় যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল তা থেকে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে আছি। পাকিস্তানকে ১৯৭১ সালে বিদায় করলেও পাকিস্তান রাষ্ট্র চরিত্রের ভূতকে আমরা সমূলে বিতাড়িত করতে পারিনি। সে কারণে দেশটা স্বাধীন হওয়ার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় পাকিস্তানের আদলে কিংবা তার চেয়েও নিষ্ঠুর চরিত্রে বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং এর নিবেদিতপ্রাণ নেতৃত্বকে হত্যা করে সাময়িক শাসন উড়ে এসে জুড়ে বসেছিল। এটি থেকে বের হতে বাংলাদেশের ২১ বছর লাগলেও অগণতান্ত্রিক শাসন, চিন্তাধারার প্রভাব থেকে আমরা মুক্ত হতে পারিনি তথাকথিত গণতান্ত্রিক যুগেও। ২ বছর ভিন্ন এক অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশকে কাটাতে হয়েছে। এখন সেই বাংলাদেশেই আবার কেউ কেউ তেমন শাসন আসলে মনে মনে খুশি হবেন, অভিবাদনও জানাবেন, রাজনৈতিক সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতাকে দায়ী করবেন। গণতন্ত্রের পথে চলা আসলেই আমাদের এখনো নিশ্চিত হয়ে যায়নি। এর অনেক কারণ রয়েছে। সেসব কারণ খোঁজার চেষ্টা খুব সিরিয়াসলি হচ্ছে বলে মনে হয় না।
আমাদের গণতন্ত্রের পথে চলার বয়স ৪০ বছর ধরা হলেও গণতন্ত্রকে ধারণ করার প্রমাণ খুব বেশি দেয়া যায় না। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরপরই দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হলেও এটিকে বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নানা কারণেই বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। তখন অবশ্য যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে মোটামুটি সচল করার কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করাই দুরূহ কাজ ছিল। সম্পূর্ণ বৈরি পরিবেশে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিত্সা ও বাসস্থানের সংস্থানের সঙ্গে গণতন্ত্রের মূল চেতনায় দেশকে গড়ে তোলা খুবই কঠিন কাজ ছিল। তারপরও বলতে দ্বিধা নেই বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি পাকিস্তান রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ঝেড়ে ফেলার উদ্যোগ নিতে মোটেও দ্বিধা করেনি। একটি সংবিধান প্রণয়ন, নতুন অর্থনৈতিক পরিকল্পনার দলিল, নতুন শিক্ষানীতির মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি, ১৯৭৩ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা ইত্যাদি উদ্যোগ ছিল গণতন্ত্রের পথে দেশকে এগিয়ে নেয়ার স্বপ্ন থেকে। তবে সময়টি ছিল বিপ্লববাদে বিভ্রান্ত হওয়ারও যুগ যখন সমাজ বাস্তবতাকে না বুঝে রোমান্টিক বিপ্লববাদে উঠতি মধ্যবিত্ত, তরুণ সম্প্রদায় এবং যুদ্ধ ফেরত মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের বড় অংশই আপ্লুত ছিলেন। এরা গণতন্ত্রকে ধারণ দূরে থাক গ্রহণ করার প্রতিই অনীহা প্রকাশ করেছিল। এক ধরনের উল্লম্ফনবাদী চিন্তাধারায় গা ভাসিয়ে দিয়েছিল। দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধে যারা জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন, মানুষকে শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থা উপহার দেয়ার প্রতি যারা বিশেষভাবে নিবেদিতপ্রাণ ছিল তারা। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে এসে তাদের বড় অংশই গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্র নিয়ে দোটানায় পড়ে গেলেন, কোন্টা আগে তা নির্ণয়ে মারাত্মক বিভ্রান্তিতে পড়ে গেলেন। ফলে ১৯৭২-৭৫ সালে গণতন্ত্রকে ধারণ করার ক্ষেত্রে দেশে বড় ধরনের সংকট তৈরি হলো। এক ধরনের শূন্যতা তৈরি হলো। বঙ্গবন্ধুকে সেই সময়ে নতুন পথের সন্ধান করতে হলো। তিনি সমাজতন্ত্রের আশঙ্কার বাস্তবতাকে ত্যাগ করেননি তবে নিজস্ব উদ্ভাবনী পদ্ধতিতে নতুন পথে গেলেন। এর চরিত্র ও কাঠামো কী হতো তা অবশ্য পুরোপুরি জানা যায়নি। তার আগেই ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড, এরই ধারাবাহিকতায় নভেম্বরের জেল হত্যাকাণ্ড, রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে রাষ্ট্র ক্ষমতাকে তথাকথিত সেনা জনতা বিপ্লবী শক্তির নামে অবশেষে সামরিক শাসনের হাতে তুলে দেয়া হলো। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের যে সম্ভাবনাটুকু ১৯৭২ সালের সূচিত হয়েছিল তা ১৯৭৫ সালে এসে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো, এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো মুখ থুবড়ে পড়ে গেল। এ ধরনের তছনছ অবস্থায় যে রাজনৈতিক সংগঠন ও শক্তিকে নতুনভাবে মাঠে জায়গা করে দেয়া হলো তাদের অতীত রাজনৈতিক ঐতিহ্যের সমস্যা সুবিদিত। তাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ছিল, অনেকে নামে বিপ্লববাদী ছিল। বাস্তবে সুবিধাবাদীরূপে আত্মপ্রকাশ ঘটালো। এখান থেকে যে রাজনৈতিক নতুন মেরুকরণের সুযোগ করে দেয়া হলো তাতে রাজনৈতিক বিশ্বাসে উদারবাদী বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির আদর্শ প্রচণ্ডভাবে মার খেল। বাংলাদেশ প্রায় ২১ বছর ঘুরপাক খাচ্ছিল পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং অন্যকোনো রাষ্ট্রানুসারি চিন্তায়। এই দ্বন্দ্বে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শক্তিসমূহ গণতান্ত্রিক আদর্শের ধারণাকে ধারণ করার গুরুত্বকে উপলব্ধি করতে পারেনি। সামরিক, আধা সামরিক শাসন থেকে নির্বাচিত গণতন্ত্রে উত্তরণে রাজপথের সংগ্রামে ব্যস্ত রাজনৈতিক শক্তির দলগুলোকে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলার প্রতি মনোযোগী হতে সুযোগ দেয়নি। ১৯৯০-এ এরশাদ সরকারের পতন ঘটলে নির্বাচনী ব্যবস্থায় দেশ ফিরে আসলেও দল, প্রতিষ্ঠান এবং রাজনীতিকে গণতান্ত্রিক ধারায় গড়ে তোলার উদ্যোগ তেমন গৃহীত হয়নি। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বাহ্যিক বাতাবরণ তৈরি হলেও গণতন্ত্রকে ধারণ করার কঠিন চ্যালেঞ্জ কোনো মহল থেকেই গৃহীত হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার একটি বাস্তবতা তৈরি হলো মাত্র। এর ফলে প্রধান দুই দলকে কেন্দ্র করে ২১ বছর ধরে গড়ে ওঠা সুবিধাবাদের রাজনীতির নতুন মেরুকরণ ঘটতে থাকে। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি আগের তুলনায় শক্তিশালী হলেও দুটো দলই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে যে ধরনের নীতি, আদর্শ ও কৌশল গ্রহণ করা প্রয়োজন ছিল তা হয়নি। ফলে তৃণমূল থেকে দলের মধ্যস্তর, এমনকি উপরের স্তরেও গণতন্ত্রকে ধারণ করার ক্ষেত্রে আশানুরূপ নজির সৃষ্টি হয়নি। আওয়ামী লীগ ছয় দশকের ঐতিহ্যবাহী দল হিসেবে যতোখানি উদারবাদী গণতান্ত্রিক দল হিসেবে গড়ে ওঠার প্রত্যাশা ছিল ততোটা মনোযোগ রাজনৈতিক আদর্শকে ধারণ করার ক্ষেত্রে নেয়নি। ফলে দলের বেশিরভাগ নেতাকর্মীই নামমাত্র দলে আছেন, দল করছেন, দল যখন বিরোধী দলে থাকে তখন জীবনবাজি রেখে আন্দোলন করেন, দল যখন ক্ষমতায় আসে তখন আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সংকুচিত হয়ে পড়ে, নেতা-কর্মীদের বড় অংশই ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অন্যদিকে বিএনপিকে কেন্দ্র করে যে রাজনীতির মেরুকরণ ঘটেছে তা দেশকে সাম্প্রদায়িক ধারায় ঠেলে দিয়েছে। বিএনপিকে কেন্দ্র করে এখন যে ১৮ দলীয় জোট গড়ে উঠেছে তা ডান এবং অতি ডানদের জটিল সংমিশ্রণের ভাবাদর্শ। এই ভাবাদর্শের নমুনা ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে কিছুটা দেখা গেছে। জানি না, বর্তমানে নতুনভাবে মেরুকরণকৃত জোট আদর্শগতভাবে ২০০১-২০০৬ সময়ের অবস্থানে আছে, নাকি নতুন কোনো অবস্থান তৈরির চিন্তা রয়েছে, আপাতত তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। ফলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে দল, জোট, মহাজোটের আবির্ভাব ঘটলেও গণতন্ত্রকে দলীয়, জোট ও মহাজোটের রাজনীতিতে শক্তিশালী করার তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ক্ষমতায় যাওয়া ও থাকার রাজনীতি গণতন্ত্রকে কতোটা শক্তিশালী করবে, নিরাপত্তা বিধান করবে তা নিয়ে সংশয়মুক্ত হওয়া যাচ্ছে না। এর কারণ হচ্ছে, ৪০-৪১ বছরেও আমাদের রাষ্ট্রের সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে আমরা গণতন্ত্রকে ধারণ করার ক্ষেত্রে প্রণোদনা দিতে পারিনি, এগুলো সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। আমাদের নির্বাচন কমিশনকে সবেমাত্র আমরা আপন পরিচয়ে দাঁড়াতে সুযোগ দিতে শুরু করেছি। এর পরও গোটা সমাজের মনোযোগ আকর্ষণে নির্বাচন কমিশনের চাইতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাই কেন যেন মুখ্য হয়ে আছে। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মিডিয়া, প্রশাসন, বিচার বিভাগ, জাতীয় সংসদসহ গুরুত্বপূর্ণ সকল প্রতিষ্ঠানকেই মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে, সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। সর্বত্র স্বাধীন চিন্তার বিকাশ ঘটানো অপরিহার্য।
এগুলো এতো বছরেও গণতান্ত্রিক ধারণাকে ধারণ করার সুযোগ পুরোপুরি পায়নি। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে বর্তমান যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে তাতে আদর্শের প্রতিযোগিতার চাইতে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, যাওয়া ও থাকার প্রবণতাই মুখ্য। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমাদের গণতন্ত্রকে সুরক্ষা করবে না, বরং ১৯৭৫ পরবর্তী, কিংবা ২০০১ থেকে ২০০৮ সময়ের ধারায় ঠেলে দিতে পারে। বিএনপি রক্ষণশীল গণতন্ত্রের ভাবাদর্শে হাঁটতে পারে, তবে তা যদি উগ্র ডান, হঠকারী ডানদের জঙ্গীবাদী ধারায় টেনে নিয়ে যায় তা হলে বাংলাদেশের দুর্বল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিষয়টি আওয়ামী লীগ এবং মহাজোটভুক্ত দলগুলোকে আরো গভীরভাবে বিবেচনায় নিয়ে দেশের গণতন্ত্রকে নিরাপত্তা বিধানে ভূমিকা রাখবে সেটিই এ মুহূর্তের ঐতিহাসিক দায়িত্ব হতে পারে। সেই রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনে এখন কারোরই ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই। সে কারণে জরুরি হয়ে উঠেছে গণতন্ত্রকে গলাবাজি, নির্বাচন নির্বাচন খেলা থেকে মুক্ত করে এর চেতনাকে রাজনৈতিক দল, জোট এবং প্রতিষ্ঠানগতভাবে গভীরে ঢেলে সাজানো। সেই কাজটি ৪০ বছরেও দেশে হয়নি। এখন গণতন্ত্রকে যথাযথভাবে বাংলাদেশের সমাজে ধারণ করা ব্যতীত এটিকে রক্ষা করা বেশ কঠিন হবে। সে কারণে এখনই উদ্যোগ নিলে এর ধারণ করার যে সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে, তাহলেই বাংলাদেশে গণতন্ত্র, আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতি নিশ্চিত হতে পারবে। গণতন্ত্রে সেটিই অধীত পাঠ ও পথ।
n লেখক :ইতিহাসবিদ, অধ্যাপক, রাজনীতির বিশ্লেষক বাংলাদেশে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন