রবিবার, ২৪ জুন, ২০১২

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও আওয়ামী লীগ : অতীত বর্তমান



আল হাসান মাহমুদ, বাগবাড়ি, লক্ষ্মীপুর :
 অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তত্ত্বাবধাযক বা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ইস্যুতে সরকার ও বিরোধীদলীয় শিবির দু'মেরুতে অবস্থান করায় দেশে এক মহাসংকট বিরাজ করছে। তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় সরকারের পক্ষে বিরোধীদলীয় জোটের এক ও অভিন্ন অবস্থান, আন্দোলন ও নির্বাচন বর্জনের হুঁশিয়ারিতে মহলবিশেষ ‘ওয়ান-ইলেভেন' কিংবা ‘তৃতীয় শক্তি'র জুজুর আশংকা করছে। দেশের ৯০ ভাগ জনগণ, আওয়ামী লীগ ছাড়া প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিলারী ক্লিনটনসহ সবাই সংঘাতের বদলে সংলাপ এবং নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থার পক্ষে। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ সফরে আসা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারীর সাথে সাক্ষাৎকালে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ব্র্যাকের প্রধান স্যার ফজলে হাসান আবেদ এর আলোচনায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা উঠে এলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে আওয়ামী লীগ। পার্শ্ববর্তী দেশের এক বাঙালি নোবেল বিজয়ী বাবু এবং ঐ দেশের প্রতি অন্ধভক্ত আওয়ামী লীগ ড. ইউনূসদের কথায় ভূতের মত চমকে ওঠে। গায়ের জোরে সংবিধান থেকে বাংলাদেশের বহুল প্রশংসিত এবং ২০ বছরের পরীক্ষিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তুলে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে বাকশালী শাসন কায়েমের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল সরকার। কিন্তু ইলিয়াস আলী গুমসহ সরকারের কঠোর দমননীতিতে দেশে বিরোধীদলের আন্দোলনে এবং বিদেশীদের চাপে পড়ে সরকার এতদিন সংলাপকে পাশ কেটে গেলেও এখন সংলাপের জন্য কিছুটা সুর নরম করেছে। তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় ইস্যুতে আন্দোলনরত বিরোধীদলীয় ১৮ জোটের সাথে সরকার আলোচনার ইঙ্গিত দিলেন। তবে সরকার শর্ত দিল দলীয় সরকারের অধীনস্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে আলোচনা করবেন। মামার বাড়ির আবদারের মত সরকারের এমন শর্তযুক্ত আলোচনার ইঙ্গিত হলো, ‘সালিশ মানি, তবে তালগাছটা আমার' এমন অবস্থা।
আওয়ামী লীগ ১৯৯৪, ১৯৯৫ ও ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করার জন্য তাদের ঘোষিত রাজাকার এবং যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামী এবং স্বৈরাচার এরশাদকে সাথে নিয়ে সারা দেশজুড়ে ৯৬ দিন হরতাল, অবরোধ ও অসহযোগ আন্দোলন করে অর্ধশতাধিক মানুষ হত্যা করে। মধ্যস্থতার জন্য বিদেশ থেকে কমনওয়েলথ মহাসচিব নিনিয়ানকে ধরে এনে ৪২ দিন দেশে রাখে। ২৬ দিনের অসহযোগ আন্দোলন এবং সকাল-সন্ধ্যাসহ ৪৮, ৭২ ও ৯৬ ঘণ্টার লাগাতার হরতালের মত আন্দোলনের নামে তান্ডবলীলা আওয়ামী লীগ ও এদেশের মনুষ কি ভুলে গেছে? শেখ হাসিনা-১৯৯৫ সালের ২৯শে ডিসেম্বর (৩০শে ডিসেম্বর, ১৯৯৫ দৈনিক ইনকিলাব) দলের এক বর্ধিত সভায় বলেছিলেন, ‘‘তত্ত্বাবধায়ক ও বিরোধীদল বিহীন নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না’’ এসব কথা কি এখন তাদের মনে পড়ে না? ১৯৯৬ সালের ১৫, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের দিন হরতাল ও গণকারফিউ কর্মসূচিতে একদিনেই সারাদেশ জুড়ে ১৫ জনের হত্যা ও ৬০০ মানুষের আহত হবার ঘটনা কি করে আজ আওয়ামী লীগ ভুলে যায়? ১৯৯৬ সালের ৩ ও ৪ জানুয়ারি ৪৮ ঘণ্টার হরতাল চলাকালে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘‘খালেদা জিয়া ভেবেছেন রোজার মাসে হরতাল হবে না, কিন্তু তিনি জানেন না রোজার মাসেও যুদ্ধ হয়েছিল’’। অন্যদিকে, ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০০৬ সালে পল্টন ময়দানে শেখ হাসিনা দলীয় লোকদের উস্কানি দিয়েছিলেন লগি, বৈঠা ও লাঠি নিয়ে ঢাকা আসার জন্য। (১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬ ইত্তেফাক) শেখ হাসিনার প্রকাশ্য উস্কানিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সংস্কারের দাবিতে ২৮শে অক্টোবর, ২০০৬ ঢাকায় লগি, বৈঠা ও লাঠির তান্ডবে মানুষ হত্যার জঘন্য হোলিখেলায় মেতে ওঠেনি? তাছাড়া আওয়ামী লীগ ও অশুভ শক্তির অাঁতাতে সামরিক দানব ১/১১ এর জারজ সন্তান মইন-ফখরুদ্দীন গংদের কিম্ভুতকিমাকার অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে আওয়ামী লীগ নিজেদের আন্দোলনের ফসল দাবি করে ক্ষমার কথা বলেনি? আজ ২০ বছর পরে তাদের মধুর ভান্ডার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফুরিয়ে গেল কেন?
জনগণ হচ্ছে একটি রাষ্ট্র ও সংবিধানের মালিক। অথচ বর্তমান সংবিধানের নতুন অনুচ্ছেদগুলো মানুষের মৌলিক অধিকার, রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। পৃথিবীর কোন সভ্য দেশের সংবিধানে জাতির জনক স্বাধীনতার ঘোষক, রাজনৈতিক বক্তব্য এবং পূর্ববর্তী সংসদ কর্তৃক পরবর্তী সংসদের গলাটিপে ধরার কথা এবং এ সংবিধানকে পরিবর্তন বা অমান্য করার কথা বললে বা চেষ্টা করলে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে মৃত্যুদন্ড দেবার আজগুবি কথা না থাকলেও আমাদের সংবিধানে নতুনভাবে তা আমদানি করা হয়েছে। সত্যি বলতে কি, আরো বড় লজ্জার বিষয় রায় লেখার জন্য ৬ মাসের জায়গায় ১ বছর পার করে দিলেন। অথচ আজও রায় প্রকাশ হয়নি। রিভিউ পিটিশন করতে না দেয়ার জন্য অবসর গ্রহণের ১ বছর পরও রায় না লেখার নজির পৃথিবীতে আছে কিনা আমি জানি না। প্রধান বিচারপতি কর্তৃক একটি দেশের সার্বভৌম সংসদকে নির্দেশনা দেয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর সামনে একজন প্রধান বিচারপতিকে আইনমন্ত্রী শাসাতে পারে কিনা? অথচ তাই ঘটেছে আমাদের দেশে। ৫ম সংশোধনী বাতিল করে প্রধান বিচারপতির চোখের সামনে তার রায়ের বাইরে এটা সেটা লিখে নতুন সংবিধান পুনঃমুদ্রণ ও তত্ত্বাবধায়ক বাতিলে হাত-পা বাঁধা ঘুষখোর প্রধান বিচারপতির অতি উৎসাহ, অস্বাভাবিক তাড়াহুড়া ও সীমাহীন লুকোচুরি এবং গণভোট ছাড়া সংবিধান পরিবর্তনে যে শুভঙ্করের ফাঁকি ও দুরভিসন্ধি আছে, তা আজ পরিষ্কার। ১৯৭২ এর ১ম সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. কামাল হাসান সহ-আইনজ্ঞরা সংবিধান পরিবর্তনের এ প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ ভুল ও অবৈধ বলেছেন। পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে নতুন সংবিধান পুনঃমুদ্রণ করতে সংসদকে দেয়া প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা কি জাতীয় সংসদের সার্বভৌমত্বের মূলে কুঠারাঘাত করেনি? সংসদের কাজ আদালত করলে তা কি শুভ লক্ষণ? মনে রাখতে হবে, আদালত হচ্ছে মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। রাজনীতি ও বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে আদালতকে। তাহলেই ন্যায়বিচার সম্ভব।
ক্ষমতাসীন সরকার তত্ত্বাবধায়ক বাতিলে জোরালো যুক্তি দেখায় যে, ইহা অনির্বাচিত বলেই সংবিধান বিরোধী। অথচ কিছুদিন আগে এ সরকারই ২০০৭ সালে মেয়াদোত্তীর্ণ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন থেকে নির্বাচিত মেয়রকে সরিয়ে দিল। এরপর ৪০০ বছরের পুরনো ঢাকাকে মাত্র ৪ মিনিটে দু'টুকরো করে সেখানে বসিয়ে দিল অনির্বাচিত ২ প্রশাসককে। নির্বাচিত মেয়রকে সরিয়ে অনির্বাচিত প্রশাসক বসানো এবং বার বার নির্বাচন আয়োজনে ই.সি কে বাধা দেয়া এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরই নির্বাচন স্থগিত করতে রিট আবেদন এবং নির্বাচন না দিয়ে প্রশাসক বদলানো কি সংবিধান লঙ্ঘন নয়? নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রাক্কালে ই.সি-এর কথামতো সেনাবাহিনী না পাঠানো এবং দেশের ৬১টি জেলা পরিষদে দলীয় ও অনির্বাচিত লোকদের প্রশাসক নিয়োগে দেশের সংবিধান লঙ্ঘন হয়নি? সরকার একদিকে সংবিধান বিরোধী হওয়ায় অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বাদ দিয়েছে। আবার অন্যদিকে ই.সিকে নির্বাচন আয়োজনে অসহযোগিতা করে এবং তথাকথিত সেবার নামে অনির্বাচিত প্রশাসক নিয়োগ দেয়। এ যেন ‘ভূতের মুখে রামের নাম'। সরকার যেখানে হরহামেশায় ই.সি'কে নিয়ে খেলছে এবং সংবিধান লঙ্ঘন করছে, সেখানে তাদের দলীয় সরকারের অধীনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং স্বাধীন ও নিরপেক্ষ (?) নির্বাচন কমিশনের ছত্রছায়ায় নির্বাচনের আহবান আর শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দেয়া কি সমান কথা নয়?
মইন-ফখরুদ্দিন গংদের কিম্ভূতকিমাকার, অবৈধ তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনস্থ সিইসি এবং বিএনপিকে নিয়ে ভাঙা-খেলার নায়ক ও ৭০ সালের মতো স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রবক্তা শামসুল হুদা গত ২৭ নবেম্বর এবং এর আগে ২১ নবেম্বর'-১১ বলেছেন, ‘রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচন করা খুবই টাফ এবং বড় চ্যালেঞ্জ'। এদিকে বিদায়ী নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন ও গত ২৮ মে, ২০১২ সুজন আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় ৫ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না'। এত কিছুর পরও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দু'একটি ভূইফোঁড় সংগঠন এবং এরশাদ, ইনু ও মেননদের বিরোধীদলীয় ১৮ দলীয় জোটের অনুপস্থিতিতে গৃহপালিত বিরোধী দল বানানোর মূলা ঝুলিয়ে নির্বাচন করলে তা হালে পানি পাবে না।
সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ, হাবিবুর রহমান ও লতিফুর রহমানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন নিয়ে একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কারোর অভিযোগ ছিল না। নিজেদের পছন্দনীয় ব্যক্তি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ এবং গোপালগঞ্জের জামাই বিচারপতি লতিফুর রহমান ও গোপালগঞ্জের ছেলে সিইসি এম এ সাঈদের মতো লোকদের দিয়ে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ হেরে যায়। তাই আওয়ামী লীগ তাদের হেরে যাওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর নির্বাচনে স্থূল ও সূক্ষ্ম কারচুপি আবিষ্কার করে। এরপর তাদের ২৮ অক্টোবর মানুষ হত্যা এবং লগি, বৈঠা ও লাঠির তান্ডবে ক্ষমতায় আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব প্রাপ্ত ফখরুদ্দিন ও সেনা প্রধান মঈন গং গঠিত এক অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার। দেশজুড়ে দীর্ঘদিন ধরে জরুরি অবস্থা জারি করে নানা বিতর্ক জন্ম দিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করে ৩ মাসের জায়গায় ২ বছর ক্ষমতায় থাকা এ সরকারের ৭০ সাল মার্কা এক তথাকথিত স্বচ্ছ নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। তারা ক্ষমতায় এসেই নিাজেদের বাকশালী শাসন প্রলম্বিত করার জন্য গায়ের জোরে নিজেরাই সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দেয়। তারা একেকবার একেক কথা বলে। সরকার রায়ের আগেই তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন সংবিধান পর্যন্ত মুদ্রণ করে। মইন-ফখরুদ্দিনের বিরুদ্ধে দলীয় নেত্রীকে বিষপ্রয়োগে হত্যার অভিযোগ আনে ও দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকাকে দোষারোপ করে। অথচ, তাদের বিরুদ্ধে জোরালো কোন কথা বলে না।
ইকোনোমিস্ট পত্রিকা মইন-ফখরুদ্দিনদের নির্বাচনে ভারতের বস্তাভরা টাকার অভিযোগ আনে। আওয়ামী লীগের মহাসচিব আবদুল জলিল ঐ নির্বাচনকে অাঁতাতের নির্বাচন বলেছিল যেখানে বিএনপি পাতানো নির্বাচন বলেছিল। এতে আওয়ামী লীগ বিএনপির বিরুদ্ধে পাকিস্তান থেকে বস্তাভরা টাকার মিথ্যা অভিযোগ এবং আবদুল জলিলকে পাগল বলে। মইন-ফখরুদ্দিনের অবৈধ তত্ত্বাবধায়কের দোষে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা আর মাথা ব্যথা হলে ওষুধ না খেয়ে মাথা কেটে ফেলা কি এক কথা নয়? আওয়ামী লীগ মূলত কাউকে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগের প্রতি বিরক্ত সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ও বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ ২০০২ সালের ৪ জানুয়ারি বলেন, ‘সব কিছু আওয়ামী লীগের মতো হলে আমি দেবতুল্য, নতুবা নরাধম'। মইন-ফখরুদ্দিন চলে যাবার পর আর দেবতা না পাওয়ায় আওয়ামী লীগ হয়তো এ কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে কবর দিয়ে দেয়। আজীবন ক্ষমতায় থাকার লালসায় শেখ মুজিবুর রহমান ৭২-৭৫ সালে মাত্র ৩ বছরে ৪ বার সংশোধনী এনে বাকশাল করেও রক্ষা পায়নি। শেখ হাসিনা ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংবিধানে হাত দিয়ে খাল কেটে কুমির আনবেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন