ড. শাহদীন মালিক
সারা দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড মানবাধিকার পরিস্থিতির লঙ্ঘন হিসেবে বহুকাল ধরেই বিদ্যমান। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাংবিধানিক ও সর্বজনস্বীকৃত দায়িত্ব হলো, অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত সাপেক্ষে সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ করে বিচারের জন্য আদালতে সোপর্দ করা এবং সংশ্লিষ্ট আদালতের দায়িত্ব নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে বিচার সম্পন্ন করা; অভিযুক্ত হলে সঠিক শাস্তি নিশ্চিত করা। এ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখন বছরের পর বছর একটি বা দুটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, শত শত নাগরিককে ধরে নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করে, তখন সেটা আইনের শাসন, সাংবিধানিক অধিকার ও সর্বজনীন মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন হয়ে দাঁড়ায়।
এ ধরনের শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কারো কোনো বিচার না হওয়া; এসব হত্যাকাণ্ডের পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমনকি প্রধানমন্ত্রীর যুক্তি দাঁড় করিয়ে বক্তব্য দেওয়া এবং তৃতীয়ত যৌথ বাহিনীর দায়মুক্তি আইন, ২০০৩ (২০০৩ সালের ১ নম্বর আইন)-এর মতো আইন করার অর্থ হলো- যৌথ বাহিনী অর্থাৎ সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত সব অপরাধের সরাসরি দায়মুক্তি দেওয়া। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে বাংলাদেশ যে ক্রমেই বন্ধুহীন হয়ে পড়ছে এবং আমাদের দেশের সমালোচকের সংখ্যা যে দিন দিন বাড়ছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
সাম্প্রতিককালে জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অতিসম্প্রতি জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য ও সমালোচনার যদি প্রতিবাদই করি এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিচারব্যবস্থা ও দুর্নীতির ব্যাপারে অবিলম্বে সঠিক সিদ্ধান্ত এবং ব্যবস্থা গ্রহণ না করি, তাহলে অচিরেই দেশ গভীর সংকটে নিমজ্জিত হবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে পর্যাপ্ত অর্থ ও লোকবল দিয়ে শক্তিশালী না করাটাও সরকারের মানবাধিকার বিষয়ে উদাসীনতারই বহিঃপ্রকাশ।
ক্রমাগতভাবে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন, দুর্বল আইন ও বিচার এবং দুর্নীতির ফলে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতি শ্লথ হওয়ার কারণে স্পষ্টত সরকারের ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা বা তাঁদের পরিবারবর্গ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
ক্ষতির সম্মুখীন হবে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ। ১৬ কোটি মানুষ। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে চরম পরিস্থিতির বহিঃপ্রকাশ ঘটে সহিংসতার মধ্য দিয়ে, যা আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছি। কোথাও দুর্ঘটনা ঘটলে দেখা যাচ্ছে- ভাঙচুর, সড়ক অবরোধ ও উচ্ছৃঙ্খলতার সঙ্গে জনগণের একটি বড় অংশ জড়িয়ে পড়ছে। এ সার্বিক পরিস্থিতি অনুধাবন করে সরকার অবিলম্বে সত্যিকার অর্থে সক্রিয় হয়ে উঠবে- এটাই এখন দেশের মানুষ
প্রত্যাশা করছে।
সারা দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড মানবাধিকার পরিস্থিতির লঙ্ঘন হিসেবে বহুকাল ধরেই বিদ্যমান। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাংবিধানিক ও সর্বজনস্বীকৃত দায়িত্ব হলো, অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত সাপেক্ষে সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ করে বিচারের জন্য আদালতে সোপর্দ করা এবং সংশ্লিষ্ট আদালতের দায়িত্ব নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে বিচার সম্পন্ন করা; অভিযুক্ত হলে সঠিক শাস্তি নিশ্চিত করা। এ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখন বছরের পর বছর একটি বা দুটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, শত শত নাগরিককে ধরে নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করে, তখন সেটা আইনের শাসন, সাংবিধানিক অধিকার ও সর্বজনীন মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন হয়ে দাঁড়ায়।
এ ধরনের শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কারো কোনো বিচার না হওয়া; এসব হত্যাকাণ্ডের পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমনকি প্রধানমন্ত্রীর যুক্তি দাঁড় করিয়ে বক্তব্য দেওয়া এবং তৃতীয়ত যৌথ বাহিনীর দায়মুক্তি আইন, ২০০৩ (২০০৩ সালের ১ নম্বর আইন)-এর মতো আইন করার অর্থ হলো- যৌথ বাহিনী অর্থাৎ সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত সব অপরাধের সরাসরি দায়মুক্তি দেওয়া। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে বাংলাদেশ যে ক্রমেই বন্ধুহীন হয়ে পড়ছে এবং আমাদের দেশের সমালোচকের সংখ্যা যে দিন দিন বাড়ছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
সাম্প্রতিককালে জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অতিসম্প্রতি জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য ও সমালোচনার যদি প্রতিবাদই করি এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিচারব্যবস্থা ও দুর্নীতির ব্যাপারে অবিলম্বে সঠিক সিদ্ধান্ত এবং ব্যবস্থা গ্রহণ না করি, তাহলে অচিরেই দেশ গভীর সংকটে নিমজ্জিত হবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে পর্যাপ্ত অর্থ ও লোকবল দিয়ে শক্তিশালী না করাটাও সরকারের মানবাধিকার বিষয়ে উদাসীনতারই বহিঃপ্রকাশ।
ক্রমাগতভাবে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন, দুর্বল আইন ও বিচার এবং দুর্নীতির ফলে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতি শ্লথ হওয়ার কারণে স্পষ্টত সরকারের ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা বা তাঁদের পরিবারবর্গ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
ক্ষতির সম্মুখীন হবে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ। ১৬ কোটি মানুষ। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে চরম পরিস্থিতির বহিঃপ্রকাশ ঘটে সহিংসতার মধ্য দিয়ে, যা আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছি। কোথাও দুর্ঘটনা ঘটলে দেখা যাচ্ছে- ভাঙচুর, সড়ক অবরোধ ও উচ্ছৃঙ্খলতার সঙ্গে জনগণের একটি বড় অংশ জড়িয়ে পড়ছে। এ সার্বিক পরিস্থিতি অনুধাবন করে সরকার অবিলম্বে সত্যিকার অর্থে সক্রিয় হয়ে উঠবে- এটাই এখন দেশের মানুষ
প্রত্যাশা করছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন