এম এ নো মা ন
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া পড়ালেখা করেছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে। এই সুবাদে তিনি তরুণ সাংবাদিকদের কাছে বড় ভাইয়ের মতোই সম্মান পেয়ে থাকেন। সাংবাদিকরা তাকে দিলীপ দা বলে ডাকেন। সজ্জন ও সদা হাস্যোজ্জ্বল ব্যক্তি হিসেবে তিনি তা বেশ এনজয়ও করেন।
মাহমুদ শামসুল হক, শামসুল হক, আবদুল মান্নান খানসহ তারা চারজন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে চৌচালা ঘরের মতোই একত্রে থাকতেন। এদের মধ্যে মাহমুদ শামসুল হক ও শামসুল হক—এই দু’জনের সঙ্গে ‘বড় ভাই-ছোট ভাই’ সম্পর্ক আমার। তাদের মুখেই শুনেছি, প্রিয় দিলীপ দার ছাত্রজীবনের নানা রোমাঞ্চকর কাহিনী। শান্তশিষ্ট প্রকৃতির সুদর্শন দিলীপ দা নাকি ডিপার্টমেন্টের অন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছেও বেশ পছন্দের ছিলেন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অনেক মেয়েই তাকে প্রেম অফার করেছেন। লাজুক প্রকৃতির এ মানুষটি কোনোদিন মেয়েদের চোখের দিকেও তাকাতে সাহস করেননি। অবশ্য এর নাকি অন্য কারণও ছিল। পকেট থেকে দু-এক টাকা খরচ হতে পারে—এই ভয়েই তিনি বহু মেয়ের প্রেমের অফারে সাড়া দিতে সাহস পাননি।
২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দিলীপ দাকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে আমার। শুধু আমি নই, সচিবালয় কভার করা সাংবাদিকদের মধ্যে এমন একজনও নেই, যিনি দিলীপ দাকে বিএনপি সরকারের ওই পাঁচ বছর এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ে মান্নান ভূঁইয়ার দফতরের সামনে দেখেননি। কেন জানি মান্নান ভূঁইয়াও দিলীপ দাকে স্নেহ করতেন। একবার তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চীন সফরের বিশাল টিমে তাকে জায়গা করে দেয়া হয়। পরে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে মান্নান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ও একটি সরকারি ট্যুরে বিদেশে যাওয়ার জন্য এতটাই তদবির করেছিল যে শেষ পর্যন্ত আমি আর না বলতে পারিনি। ম্যাডামের সফরে তাকে ঢোকাতে আমাকেও অনেক তদবির করতে হয়েছে। সেই সর্বহারা ও বামপন্থী নেতা দিলীপ দা এখন বাড়ি, গাড়ি ও অর্থবিত্তে দেশের ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম বলে তার সম্পদ বিবরণীসহ পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় তিনি এই সম্পদের মালিক হওয়ায় অনেকে তাজ্জব বনে গেছেন।
সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় দিলীপ দা তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত বিরোধী দলের দাবিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক নামের ওই দানবকে দেশের ১৬ কোটি মানুষ আর দেখতে চায় না। আগামী নির্বাচন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই হবে।’ দিলীপ দার এই হুংকারে বিস্ময় প্রকাশ করে একজন সাংবাদিক বলেন, হায়রে দিলীপ দা! তিনিও এখন ১৬ কোটি মানুষকে সঙ্গে নিয়েই কথা বলেন। যদিও তিনি ছাড়া তার দলে অন্য কোনো নেতাকর্মী নেই। তার দলের সভাপতি কে, এটা দেশের ১৬ কোটি মানুষ তো দূরের কথা, তিনি নিজেও জানেন না। শুনেছি, ছাত্রজীবনের মতো রাজনৈতিক জীবনেও দিলীপ দা কাউকে বিশ্বাস করতে পারেন না। বাম দলগুলোর দর্শন অনুযায়ী দু’জন থাকলেই দলে ভাঙন ধরে। এ আশঙ্কায় তিনি তার দলে অন্য কোনো নেতাকর্মী রাখার বিধানে বিশ্বাসী নন।
তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে দিলীপ দার ভীতি সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়ে আমার এক সাংবাদিক বন্ধু বললেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এর আগে দিলীপ দা তিনবার নির্বাচন করেছেন। প্রথম নির্বাচনে ছয় শতাধিক ভোট পেলেও দ্বিতীয় নির্বাচনে চারশ’ এবং সর্বশেষ ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনশ’র কাছাকাছি ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনে তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে আসতে দেখে তিনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন, আগামী নির্বাচনে দাঁড়ালে হয়তো তার ভোটের সংখ্যা শূন্যের কোঠায় চলে আসতে পারে। এ কারণেই দিলীপ দা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিবর্তে ক্ষমতাসীন দলের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে জোর মত
মাহমুদ শামসুল হক, শামসুল হক, আবদুল মান্নান খানসহ তারা চারজন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে চৌচালা ঘরের মতোই একত্রে থাকতেন। এদের মধ্যে মাহমুদ শামসুল হক ও শামসুল হক—এই দু’জনের সঙ্গে ‘বড় ভাই-ছোট ভাই’ সম্পর্ক আমার। তাদের মুখেই শুনেছি, প্রিয় দিলীপ দার ছাত্রজীবনের নানা রোমাঞ্চকর কাহিনী। শান্তশিষ্ট প্রকৃতির সুদর্শন দিলীপ দা নাকি ডিপার্টমেন্টের অন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছেও বেশ পছন্দের ছিলেন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অনেক মেয়েই তাকে প্রেম অফার করেছেন। লাজুক প্রকৃতির এ মানুষটি কোনোদিন মেয়েদের চোখের দিকেও তাকাতে সাহস করেননি। অবশ্য এর নাকি অন্য কারণও ছিল। পকেট থেকে দু-এক টাকা খরচ হতে পারে—এই ভয়েই তিনি বহু মেয়ের প্রেমের অফারে সাড়া দিতে সাহস পাননি।
২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দিলীপ দাকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে আমার। শুধু আমি নই, সচিবালয় কভার করা সাংবাদিকদের মধ্যে এমন একজনও নেই, যিনি দিলীপ দাকে বিএনপি সরকারের ওই পাঁচ বছর এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ে মান্নান ভূঁইয়ার দফতরের সামনে দেখেননি। কেন জানি মান্নান ভূঁইয়াও দিলীপ দাকে স্নেহ করতেন। একবার তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চীন সফরের বিশাল টিমে তাকে জায়গা করে দেয়া হয়। পরে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে মান্নান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ও একটি সরকারি ট্যুরে বিদেশে যাওয়ার জন্য এতটাই তদবির করেছিল যে শেষ পর্যন্ত আমি আর না বলতে পারিনি। ম্যাডামের সফরে তাকে ঢোকাতে আমাকেও অনেক তদবির করতে হয়েছে। সেই সর্বহারা ও বামপন্থী নেতা দিলীপ দা এখন বাড়ি, গাড়ি ও অর্থবিত্তে দেশের ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম বলে তার সম্পদ বিবরণীসহ পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় তিনি এই সম্পদের মালিক হওয়ায় অনেকে তাজ্জব বনে গেছেন।
সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় দিলীপ দা তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত বিরোধী দলের দাবিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক নামের ওই দানবকে দেশের ১৬ কোটি মানুষ আর দেখতে চায় না। আগামী নির্বাচন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই হবে।’ দিলীপ দার এই হুংকারে বিস্ময় প্রকাশ করে একজন সাংবাদিক বলেন, হায়রে দিলীপ দা! তিনিও এখন ১৬ কোটি মানুষকে সঙ্গে নিয়েই কথা বলেন। যদিও তিনি ছাড়া তার দলে অন্য কোনো নেতাকর্মী নেই। তার দলের সভাপতি কে, এটা দেশের ১৬ কোটি মানুষ তো দূরের কথা, তিনি নিজেও জানেন না। শুনেছি, ছাত্রজীবনের মতো রাজনৈতিক জীবনেও দিলীপ দা কাউকে বিশ্বাস করতে পারেন না। বাম দলগুলোর দর্শন অনুযায়ী দু’জন থাকলেই দলে ভাঙন ধরে। এ আশঙ্কায় তিনি তার দলে অন্য কোনো নেতাকর্মী রাখার বিধানে বিশ্বাসী নন।
তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে দিলীপ দার ভীতি সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়ে আমার এক সাংবাদিক বন্ধু বললেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এর আগে দিলীপ দা তিনবার নির্বাচন করেছেন। প্রথম নির্বাচনে ছয় শতাধিক ভোট পেলেও দ্বিতীয় নির্বাচনে চারশ’ এবং সর্বশেষ ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনশ’র কাছাকাছি ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনে তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে আসতে দেখে তিনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন, আগামী নির্বাচনে দাঁড়ালে হয়তো তার ভোটের সংখ্যা শূন্যের কোঠায় চলে আসতে পারে। এ কারণেই দিলীপ দা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিবর্তে ক্ষমতাসীন দলের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে জোর মত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন