॥ মীযানুল করীম ॥
স্ত্রী ছেলেমেয়েকে নিয়ে পরিবারের কর্তা গিয়েছিলেন দুপুরের খাবার খেতে। একটি ‘পানশালা’য় সবাই খাওয়া-দাওয়া করে ফিরলেন। ওই বাবা ঘরে ফেরার পর দেখেন বউয়ের কোলে ছোট মেয়েটি আছে। ছেলেটা ঘরে ঢুকে খেলা শুরু করেছে। কিন্তু এর বড় যে মেয়ে, সে তো নেই! তাকে ফেলে রেখেই বাবা-মা চলে এসেছেন। পানশালায় সবাই একত্রে খেলেও আসার সময় ওর কথা বাবা-মা ভুলে গেলেন বেমালুম। মনে পড়তেই সাথে সাথে ফোন। জানা গেল, মেয়ে ন্যান্সি সেখানে আছে।
এই ভুলোমনা বাবা আর কেউ নন, যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে অতীতে সূর্য অস্ত যেত না, এর বর্তমান সরকারপ্রধান ডেভিড ক্যামেরন। ঘটনাটি কয়েক মাস আগের হলেও প্রকাশ পেল এবার ‘বাবা দিবস’-এর প্রাক্কালে। প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন পানশালায় গেলেও সেদিন অতিরিক্ত পান করেছেন কিংবা অপ্রকৃতিস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে জানা যায় না। তবুও মাত্র তিনটা সন্তানের ব্যাপারে সংখ্যাগত বা ডিজিটাল ভুল করে বসলেন।
আর এই ‘বাবা’ ক্যামেরনের জাতি ভাইয়েরা ১৮৫৭ সালের ঐতিহাসিক সিপাহি বিপ্লব নৃশংসভাবে দমনের সময়ে কী করেছিল? বৃদ্ধ মোগল সম্রাটের পুত্র বা শাহজাদাকে দিল্লিতে সম্রাট হুমায়ুনের কবরে গুলি করে হত্যা করেছিল। সেই হুমায়ুনের বাবা মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবর। পুত্র হুমায়ুন যখন মারাত্মকভাবে অসুস্থ, তখন বাবর নামাজ পড়ে আল্লাহর দরবারে মুনাজাতে বলেছিলেন, ‘আমার নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও আমার ছেলের জীবন দীর্ঘ করে দাও।’ এটা কবুল হয়েছিল। হুমায়ুন সুস্থ হতেই বাবর অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
প্রাচ্যের বাবরও বাবা, প্রতীচ্যের ক্যামেরনও বাবা। দু’জনই দেশের শাসক। বাবা হিসেবে তাদের কে কেমন, আপনারা বিচার করুন।
আজ ‘বাবা দিবস’। প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রোববার দিনটি পালন করা হয় বিশেষত পাশ্চাত্যে। একইভাবে পালিত হয় ‘মা দিবস’ও। আমরা অনুকরণপ্রিয়, বিশেষ করে উন্নত ও সর্বাধুনিক হিসেবে পরিচিত পশ্চিম দুনিয়ার। সে হিসেবে ভালোবাসা দিবস, বন্ধু দিবস, নারী দিবস ইত্যাদির মতো মা ও বাবাকে নিয়েও দিবস পালনের তোড়জোড় দেখা যাচ্ছে কয়েক বছর ধরে।
তবে দিবস পালনের ভালো-মন্দ, দু’দিকই আছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে দিবস কম নয়। দিন দিন এসব দিবসের সংখ্যা বাড়ছে। জাতীয় দিবসগুলো সরকারিভাবে নির্ধারিত এবং আন্তর্জাতিক বা বিশ্বজনীন বিভিন্ন দিবস জাতিসঙ্ঘ নির্ধারণ করে দেয়। সেই সাথে আছে বেসরকারি নানা দিবস, যেগুলো কোনো সংগঠনের উদ্যোগে কিংবা দেশের অঞ্চলবিশেষে পালন করা হয়। অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিবসও প্রশাসনকে দায়সারাভাবে পালন করতে দেখা যায়। হুজুগে পড়ে অথবা ফ্যাশন হিসেবে দিবস উদ্যাপন করার প্রবণতা রয়েছে। মিডিয়ার ভূমিকাতেও এটা লক্ষ করা যায়।
‘বাবা’ মানে পিতা। বাঙালিদের মধ্যে মুসলিম সমাজে ‘আব্বা’ সর্বাধিক প্রচলিত। শহুরে এলাকায় অনেকে ‘বাবা’ বলে থাকেন। অন্য দিকে হিন্দুসহ অমুসলিম সমাজে ‘বাবা’ই প্রচলিত। তবে তারা হয়তো জানেন না, ‘বাবা’ শব্দটি তুর্কি আর ‘বাবু’ ফার্সি। উর্দু ভাষায় ‘বাবা’ বলতে শুধু জনক নয়, পিতামহ-মাতামহ এবং বৃদ্ধ ও ফকির দরবেশও বোঝানো যেতে পারে। কলকাতার সংসদ অভিধানে ‘বাবা’ আছে, যা সংস্কৃত ভাষাজাত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই অভিধানে ‘আব্বা’র অস্তিত্ব নেই, যদিও সব বঙ্গভাষীর মধ্যে মুসলমানেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।
মা-বাবা মানুষের সবচেয়ে আপন ও সর্বাধিক শ্রদ্ধেয়। মানবসভ্যতা ব্যক্তিবিশেষ নয়, সমাজ গড়ে তুলেছে। সমাজের একক বা ইউনিট হলো পরিবার। আর এই পরিবার তো মা ও বাবা ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। মাতাপিতাই সন্তানের অভিভাবক। তারাই তার জীবনে প্রথম ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। সন্তানের যথাযথ লালন-পালন ও তত্ত্বাবধান যেমন মা-বাবার দায়িত্ব, তেমনি তাদের প্রতি সন্তানের রয়েছে গুরুদায়িত্ব। শ্রদ্ধা ও মান্য করা তো বটেই, মা-বাবা বৃদ্ধ ও অক্ষম হলে তাদের সেবাযতœ ও দেখাশোনা করা সন্তান, বিশেষত ছেলেদের বিরাট কর্তব্য। তা আমরা কে কতটা পালন করছি, সে প্রশ্ন মনে জাগলে মা ও বাবা দিবস সার্থক হবে।
আধুনিক যুগের জটিল বাস্তবতায় আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী যৌথ পরিবার প্রথা অনেকটা বিদায় নিয়েছে। তবুও পাশ্চাত্যের মূল্যবোধ পুরো গ্রাস করতে পারেনি। তাই এখনো আমরা মা-বাবাদের বৃদ্ধাশ্রমে কিংবা প্রবীণদের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর কথা ভাবি না। অবশ্য পরিস্থিতির কারণে নিঃসঙ্গ, এমন অনেক মা-বাবার জন্য বৃদ্ধাশ্রম গড়ে উঠেছে। আবার এটাও স্বীকার করতে হয়, কথিত শিক্ষিত, আধুনিক ও সচ্ছল কিছু পরিবারে বাবা ও মায়ের ঠাঁই হচ্ছে না। তাদের ভরসা হাতেগোনা বৃদ্ধাশ্রম। কিছুদিন আগে ভাগ্যহত এক ব্যক্তির শেষ জীবন ও মৃত্যুর মর্মস্পর্শী ঘটনা পত্রিকায় উঠেছে। তিনি অতীতে সাংবাদিক ছিলেন। শুধু মতভেদের কারণে সন্তানসহ পরিজনের কাছে এই ‘বাবা’ আর থাকতে পারেননি। তাদের চরম দুর্ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি গাজীপুরের বেসরকারি একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেন। সন্তানদের অমানবিক আচরণে এতই দুঃখ পান যে, মৃত্যুর পর ওরা তার লাশ দেখতে আসুকÑ এটাও তিনি চাননি। তিনি মারা গেছেন। সন্তানেরা কেউ যায়নি শেষবারের মতো এক নজর দেখতে। এমন বাবা হওয়ার দুর্ভাগ্য যেন কারো না হয়।
পাশ্চাত্যের কথিত সভ্য সমাজে বৃদ্ধ মা-বাবাকে রেখে আসা হয় ওল্ডএজ হোমে। মা-বাবারা বুড়িয়ে গেলে বুঝতে পারেন, ছেলেমেয়েদের সাথে একই সংসারে তারা অপাঙ্ক্তেয় ও পরিত্যাজ্য। তাই অনেকে নিজেরাই বৃদ্ধনিবাসে গিয়ে ওঠেন বাকি জীবন কাটাতে। মা কিংবা বাবা দিবস এলে ছেলেমেয়ে ঘটা করে এই একদিন তাদের জন্য ফুল, খাবার, উপহার প্রভৃতি নিয়ে যায়। এভাবেই প্রতি বছর দিবস উদ্যাপনের ঘনঘটা। এ সুযোগে বিভিন্ন গিফট আইটেম আর ফুল ব্যবসায়ীদের পকেট ভারী হয়।
আমরা বাংলাদেশের মানুষ। এখানে শুধু প্রাচ্যের মূল্যবোধই নয়, ইসলামের সুমহান সংস্কৃতি জনজীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘটা করে প্রচারণা চালিয়ে অমুক-তমুক দিবস পালনের ভড়ং এ সমাজের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। বিশেষ দিবসের অনুষ্ঠান নয়, পরিবার নামক অমূল্য প্রতিষ্ঠানই আমাদের প্রয়োজন। এই প্রাচীন প্রতিষ্ঠান শেখায়, বছরের প্রতিটি দিনেই দায়িত্ব পালন করতে হবে মা-বাবা, ভাইবোন, আত্মীয়স্বজনের প্রতি।
এক ব্যবসায়ীর ছিল বড় মুদি দোকান। তার চার ছেলে। তারা বাপের সাথে পালা করে দোকানে বসত। বাবার বয়স হলো। একসময় অসুস্থ হয়ে পড়লেন। রোগ বাড়তে বাড়তে অবশেষে মৃত্যুশয্যায়। অবস্থা খুব খারাপ। পাশে বসা স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন ছেলেরা কে কোথায়। বাবা যেকোনো মুহূর্তে শেষনিঃশ্বাস ফেলতে পারেন ভেবে সব ছেলে সে রুমেই হাজির। ব্যবসায়ী ওদের ব্যাপারে জানতে চাইলেন। নান্টু কোথায়? স্ত্রী বললেন, এই তো এখানে। মন্টু কই? স্ত্রী জানান, সেও আছে এখানে। পিন্টুটা কোথায়? স্ত্রীর জবাব, সে আপনার কাছেই হাজির। মিন্টুও আছে? স্ত্রী জানালেন, হ্যাঁ, সে-ও আছে। আজ কেউ দোকানে যায়নি।’ শুনেই মৃত্যুপথযাত্রী দোকানি ধমকে উঠলেন, সারাজীবন কী শেখালাম তোদের। সবাই এখানে বসে বসে সময় নষ্ট করলে আজ দোকান দেখবে কে?
মানবিক অনুভূতি ছাড়া এভাবে শুধু দুনিয়াদারি শেখালে কিন্তু সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালন সম্পূর্ণ হবে না।
‘বাবা দিবস’ বাবার অধিকার ও দায়িত্ব, দুটো বিষয়েই সজাগ করুক। মনে রাখা চাই, ‘শাসন করা তারেই সাজে, সোহাগ করে যে।’ বাবার স্নেহ এবং সন্তানের শ্রদ্ধা, দুটো মিলে পরিবার হয়ে ওঠে সুনিবিড়। জর্জ হার্বার্ট বলেছেন, ‘একজন পিতা এক শ’ জন শিক্ষকের চেয়ে উত্তম।’ প্রাচীন গ্রিসের দার্শনিক সোফোকিসের উক্তি : পুত্রের কাছে পিতার গৌরবের চেয়ে কিংবা পিতার কাছে পুত্রের চরিত্রের ভালো দিকের চেয়ে বড় কোনো অলঙ্কার নেই।’ শিলার বলেছিলেন, ‘রক্ত-মাংস নয়, হৃদয়ই আমাদের পরিণত করে পিতা ও পুত্রে।’ বাবা হওয়ার অর্থ ব্যাপক। এর সাথে অনেক দায়দায়িত্ব, মর্যাদা ও অধিকার জড়িত। তাই বলা হয়, ‘জনক হওয়া সহজ, পিতা হওয়া বড় কঠিন।’
কুরআন শরিফ শিখিয়েছে মা ও বাবার জন্য কিভাবে দোয়া করতে হবে। সে দোয়াটি হলো, আল্লাহুম্মা রাব্বিরহামহুমা কামা রাব্বাইয়ানি সাগিরা। অর্থাৎ হে আল্লাহ, আপনি তাদের (মা-বাবা) প্রতি রহমত করুন বা দয়ালু হোন, যেমন তারা দয়াপরবশ হয়ে আমাদের লালন পালন করেছেন শৈশবে।
হাদিসে আমরা দেখতে পাই, রাসূল সা: বলছেনÑ আল্লাহর পর মায়ের মর্যাদা, এরপর বাবার। রাসূল সা: তাঁর বাবাকে দেখেননি। মা আমিনার গর্ভে থাকাকালেই তাঁর বাবা আবদুল্লাহ মৃত্যুবরণ করেন। রাসূল সা: স্বামী হিসেবে যেমন, তেমনি বাবা হিসেবেও ছিলেন আদর্শ। মূলত কন্যা ফাতেমা রা:-এর মাধ্যমেই তাঁর বংশ বিস্তৃত হয়েছে, যারা সৈয়দ নামে পরিচিত। পিতা রাসূল সা:-এর ইন্তেকালে তিনি এতটাই শোকাহত হয়ে পড়েন যে, অল্প কিছুদিন পরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
পবিত্র শবেমেরাজ ২৭ রজব রাতে অর্থাৎ আজই। মেরাজের ঘটনায় রাসূলুল্লাহ সা: আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে মানবজাতির চিরকল্যাণের জন্য এনেছিলেন অমূল্য উপহার। তা হলো, কুরআন শরিফের সূরা বনি ইসরাইলের ২২ থেকে ৩৭ নম্বর আয়াত। এগুলোকে আমরা ইসলামি সমাজের মূলনীতি ধরে নিতে পারি। এতে প্রথমেই আছে, ‘আল্লাহ ছাড়া কারো হুকুম মানা যাবে না।’ এরপরই তাঁর নির্দেশ, ‘পিতা-মাতার হক বা অধিকার আদায় করতে হবে।’ পিতা-মাতার অবাধ্য যারা এবং তাদের প্রতি দায়িত্ব পালন করে না যে সব সন্তান, তাদের দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করবেন না।
হাদিস শরিফে আছে, মানুষের তিনটি কাজ মৃত্যুর পরও সাদকায়ে জারিয়া হিসেবে গণ্য হবে। অর্থাৎ এগুলোর সওয়াব সে মৃতব্যক্তি পেতে থাকবেন। এই তিনটি হলোÑ ক) ‘উত্তম সন্তান, খ) কল্যাণকর জ্ঞান, যা অন্যকে প্রদান করা হয়েছে এবং গ) জনকল্যাণমূলক কাজ।’ এ যুগে মুসলমানদের ক’জন পিতার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন? সন্তানেরা পিতা-মাতার মৃত্যুর পর তাদের আজাব বা শাস্তির কারণ না হয়ে যাতে নাজাত বা মুক্তির কারণ হতে পারে, সে লক্ষ্যেই ছেলেমেয়েকে গড়ে তোলা মা-বাবার দায়িত্ব।
বাবার প্রসঙ্গ বাংলা ভাষায় ও সাহিত্যে বিস্তর। প্রবাদ-প্রবচনে, গল্প-উপন্যাসে, কবিতা-নাটকে, প্রবন্ধ ও স্মৃতিকথায় বহু লেখক বহুবার বাবার কথা বলেছেন। অনুভূতি জানিয়েছেন সবিস্তারে। আবার অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর মতো কেউ কেউ নিজ মতাদর্শের আলোকে বাবার মূল্যায়ন করেছেন। তারা বাবা ও মায়ের মাঝে স্বভাব ও প্রকৃতির পার্থক্য লক্ষ করেছেন।
বাপ কা বেটা সিপাই কা ঘোড়া/নাম নেহি তো থোড়া থোড়া। কথাটা উর্দু হলেও বাংলাদেশে একসময়ে ছিল বহুল প্রচলিত। ‘বাপের বেটা’ বলে আমরা প্রশংসা করি। অন্য দিকে ‘নিজে বাঁচলে বাপের নাম’ বলে বাবাকে করি অবমূল্যায়ন। ‘বাবার হোটেলে খাওয়া’র অর্থ সবাই বোঝেন। অনেক আগে ঢাকার একটি ‘অভিজাত’ এলাকায় সুরম্য বাড়ির নাম দেখেছিলাম Daddy’s Exchequer যার অর্থ ‘বাবার হোটেল’। ইংরেজিতে Like father like son বলে একটা কথা আছে। রবীন্দ্রনাথের চমৎকার একটা গান আছে, ‘তুমি কি গো পিতা আমাদের।’ শিশুরা বাবার সামনে সমবেত কণ্ঠে এ গান গাইত আনন্দে নেচে নেচে। ‘বাপের নাম পর্যন্ত ভুলিয়ে দেবো’Ñ এমন হুমকিদাতার অভাব নেই। তবে এ যুগের সহমর্মিতাহীন যান
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন