সোমবার, ৭ মে, ২০১২

প্রতারণার ফাঁদ, মহারাজা ফরেকার গল্প ও ভাগ্যবান ডেসটিনি


মোঃ নুরুল আমিন

রাজনৈতিক বিদ্বেষ, হানাহানি, হত্যা, গুম, আইনশৃক্মখলার অব্যাহত অবনতি ও বিরোধী দলের উপর সীমাহীন নির্যাতনের পাশাপাশি আমাদের এই ছোট্ট দেশটি লুটপাট সমিতিতে রূপান্তরিত হচ্ছে কি না এই বিষয়টি এখন দেশপ্রেমিক মহলকে ভাবিয়ে তুলছে। ক্ষমতাসীন দল ও তার অঙ্গ-সংগঠনসমূহের কিছু কিছু নেতাকর্মীর প্রত্যক্ষ অংশ গ্রহণ ও পৃষ্ঠপোষকতায় সীমাহীন চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে সীট ও ভর্তি বাণিজ্যের পাশাপাশি এখন অভিনব প্রতারণার নানা তথ্য ও লোমহর্ষক ঘটনা পত্র-পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত ও প্রচারিত হচ্ছে। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারীর মাধ্যমে দেশের ৩৫ লক্ষাধিক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর সর্বনাশ করে প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা লোপাটের জের কাটতে না কাটতেই নতুন নতুন প্রতারণার খবর দেশবাসীকে স্তম্ভিত করে তুলেছে। দেশে যখন ডেসটিনির প্রতারণা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে তখন গত রোববার বহুল আলোচিত ইউনি পেটুইউ নামক একটি সংগঠনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনতাসির ইমন ও জেনারেল ম্যানেজার জামসেদুর রহমান নামক দুই ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা পুলিশের কাছে প্রদত্ত তাদের স্বীকারোক্তিতে বলেছে যে, ১০ মাসে দ্বিগুণ টাকা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে তারা ১২৫০ কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করেছে। তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী এই টাকার মধ্যে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা লোপাট এবং বিদেশে পাচার হয়েছে। জানা গেছে, প্রথম দিকে তারা কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের গ্রাহকদের ৯ মাসে দ্বিগুণ টাকা দিয়েছে। কেউ কেউ চার লাখ টাকা জমা দিয়ে ৮/৯ লাখ টাকাও ফেরৎ পেয়েছে। টাকা দ্বিগুণ করার আশ্চর্য এই পদ্ধতির খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং অল্প দিনের মধ্যে হাজার হাজার লোক জমি-জমা বিক্রি করে দ্বিগুণ পাবার আশায় তাদের কাছে টাকা জমা রাখে। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী অনেক পুলিশ কর্মকর্তাও তাদের ফাঁদে পড়েছে। গ্রাহকদের তারা বলেছিল যে, জমাকৃত টাকা দিয়ে তারা স্বর্ণ কিনে রাখবে এবং বর্ধিত মূল্যে স্বর্ণ বিক্রি করে মুনাফাসহ তাদের টাকা ফেরৎ দেবে। এই কাজটি তারা শুরু করেছিল ২০০৯ সালে এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর। তাদের প্রতারণাটি ধরা পড়ে ২০১০ সালে। এখন ২০১২ সাল চলছে। প্রায় ৬ লাখ গ্রাহক তাদের মূলধন হারিয়ে আহাজারিতে নেমেছে। এই অভিনব লুটপাটের দায় কি সরকারের উপর বর্তায় না?
পাঠকদের নিশ্চয়ই মনে আছে যে, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকারি দলের শীর্ষস্থানীয় কিছু নেতা ও উপদেষ্টার পৃষ্ঠপোষকতায় মাড়োয়ারী শ্রেণীর কিছু ব্যবসায়ী কৃত্রিম উপায়ে শেয়ারবাজারে অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছিল। ফলে লাখ লাখ লোক পথের ভিখারীতে পরিণত হয়েছিল, ঐ সময়ে ইসলামিক ট্রেড এন্ড কমার্স লিঃ নামক একটি সমিতি গঠন করে অধিক মুনাফা এবং শরিয়াভিত্তিক লেনদেনের লোভ দেখিয়ে এক শ্রেণীর প্রতারক অবৈধ ব্যাংকিং ব্যবসা শুরু করেছিল। তারা মানুষের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করে পালিয়েও গিয়েছিল। সংগঠনটি ইসলামের নাম ব্যবহার করলেও ইসলামী শরিয়ার সাথে এর কোনোও সম্পর্ক ছিলো না বলে জানা গেছে। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে এই যে, ইসলামিক ট্রেড এন্ড কমার্স লিঃ নামক এই প্রতিষ্ঠানটির উপদেষ্টা ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এবং সাবেক রেলমন্ত্রী বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। পরিতাপের বিষয় হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা মানুষকে প্রতারিত করে শত শত কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেলেও সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
১৯৯৭ সালে মাগুরা জেলায় একটা অভিনব ঘটনা ঘটেছিল। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থপুষ্ট পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্পের একজন কর্মকর্তা মহারাজা ফরেকা নাম দিয়ে একটি এনজিও গঠন করেছিল বলে পত্র-পত্রিকায় রিপোর্ট বেরিয়েছে। এর আওতায় ঐ কর্মকর্তা ও তার দোসররা বেশ কিছু সমবায় সমিতি গঠন করে এবং পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প থেকে তাদের অনুকূলে ৪০ লক্ষাধিক টাকার ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ করে। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের একটি পরিদর্শন দল তাদের নিয়মিত তদারকের অংশ হিসেবে সমিতি পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান যে সমিতিগুলো ভুয়া এবং যে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে তাও ভুয়া। প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ভুয়া সমিতির ভুয়া সদস্যদের নামে ঋণের বিপরীতে বিয়ারার চেক ইস্যু করে নিজেই তা ভাঙ্গিয়ে মহারাজা ফরেকার একাউন্টে জমা দিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন। মহারাজা ফরেকা নামটিও ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের জীবিত ও মৃত সদস্যদের নামের আদ্যক্ষর নিয়ে এই এনজিওটির নামকরণ করেছিলেন। শেখ মজিবরের ‘ম', হাসিনার ‘হা', রাসেলের ‘রা' জামালের ‘জা', ফজিলাতুন্নেছার ‘ফ' রেহানার ‘রে' কামালের ‘কা'-এই ছিল নামকরণের উৎস। অবশ্য বিষয়টি যখন জানাজানি হয়ে যায় তখন মাইনরিটি সম্প্রদায়ভুক্ত ঐ কর্মকর্তা অর্থকড়ি নিয়ে প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে গেছেন বলে জানা যায়।
একই সময়ে যুবক নামক একটি প্রতিষ্ঠানও গজিয়ে ওঠে। এই প্রতিষ্ঠানটিও অধিক মুনাফা এবং বিভিন্নমুখী সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করে। তারা মানুষকে চাকুরি-বাকুরির সংস্থান এবং বাড়ি-ঘর করে দেয়ারও প্রলোভন দেখায় এবং দেশের কোন কোন অঞ্চলে হাউজিং-এর অবৈধ ব্যবসাও শুরু করে। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই তাদের আসল চেহারা ধরা পড়ে এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় সৃষ্টি হতে থাকে। এ প্রেক্ষিতে বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে যুবকের প্রতারণামূলক কার্যক্রমের ওপর একাধিক তদন্ত অনুষ্ঠিত হয় এবং তার ভিত্তিতে ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি যখন বন্ধ করে দেয়া হয় তখন ২ লাখ ৬৭ হাজার গ্রাহকের নিকট তার দেনা ছিল ২,১৪৭ কোটি টাকা। ২০১২ সালের মাঝামাঝি এসেও এই অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। যুবকের দরিদ্র গ্রাহকরা এখন সম্বল হারিয়ে পথের ভিখারীতে পরিণত হয়েছে। এর সাথে জড়িত রাঘব বোয়ালরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। হতভাগ্য এই গ্রাহকদের প্রাপ্য অর্থ ফেরৎ পাবার কোনো উদ্যোগ সরকারিভাবে এখনো নেয়া হচ্ছে না।
এর মধ্যে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গণমাধ্যমে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং-এর সাথে জড়িত বিভিন্ন সংস্থার প্রতারণা ও অপকর্মের ওপর একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে এবং এই পর্যায়ে ডেসটিনি-২০০০ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের অর্থ লোপাটের বহুমুখী ফাঁদের বিবরণীও এসেছে। রাতারাতি ধনী ও বিত্তশালী বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বিগত সরকারের আমলে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং-এর চটকদার সাফল্যের অঙ্গীকার দিয়ে ২০০০ সালে ডেসটিনির যাত্রা শুরু হয়েছিল। ঐ সময়ে ডেসটিনির কার্যক্রমে কিছুটা ‘ধীরে চলো' নীতি অনুসরণ করা হলেও এর লেনদেনের অনিয়ম এবং প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে যায় এবং ২০০৪ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক তার এক রিপোর্টে ডেসটিনি সম্পর্কে সরকার এবং জনগণকে সতর্ক করে দেয়। ঐ সময় বিভিন্ন জেলায় এই প্রতারণার সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানটির বেশ কিছু কর্মকর্তা গ্রেফতারও হয়েছিলেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের তরফ থেকে সংস্থাটিকে বেআইনি ব্যাংকিং কার্যক্রম ও অবৈধভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ বন্ধ করার জন্যও নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে কেয়ারটেকার সরকার এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রতিষ্ঠানটি নতুন জীবন পায় এবং অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহ প্রক্রিয়া অভূতপূর্ব গতিশীলতা লাভ করে। বলা বাহুল্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গত মার্চ মাসে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিকট প্রেরিত এক তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ২০০৮ সালে সংস্থাটির পরিশোধিত মূলধন ছিল ৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। ২০০৯-১০ সালে হঠাৎ করে এই মূলধনের পরিমাণ প্রায় ৩০০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। আবার ২০১০-১১ অর্থবছরে এই মূলধন প্রায় ১২০০ কোটি টাকায় উপনীত হয়। এটা দেশের অর্থনীতিবিদ এবং বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বিস্ময়ের সৃষ্টি করে। দেশের সামস্টিক অর্থনীতি যেখানে বিপর্যয়ের মুখে, ব্যবসায়িক ও উৎপাদন তৎপরতা ভাটির দিকে ব্যাংক ও অর্থ প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের আমানত ও বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে সেখানে ডেস্টিনির মূলধন সংগ্রহে অমাবস্যা পূর্ণিমার জোয়ার নানা সন্দেহের সৃষ্টি করে। গণমাধ্যমসমূহ এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখতে পায় যে প্রতিষ্ঠানটি শুধু অবৈধ ব্যাংকিং, এমএলএম-এর মাধ্যমে রাতারাতি ধনী বানানোর ফাঁদই নয়, বৃক্ষ রোপণের অনুকূলে গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ ও তার বিনিময়ে তাদের অঢেল মুনাফা প্রদানের মিথ্যা আশ্বাস দিয়েও কোটি কোটি টাকা কামাই করছে। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী ডেস্টিনির ৭০ লক্ষ সদস্য রয়েছে। মানুষকে প্রতারিত করার জন্য সংস্থাটির ওয়েবসাইটে তাদের ৩৭টি সহযোগী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিবরণ প্রদান করা হয়েছে যার মধে পত্র-পত্রিকা, বেসামরিক বিমান পরিবহন, টেলিভিশন, প্রিন্টিং প্রেস, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানা, মেডিকেল কলেজ এবং এগ্রো বিজনেসও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যদিও এর অধিকাংশেরই কোনও বাস্তব অস্তিত্ব নেই। ডেস্টিনির প্রতারণার শিকার বেশ কিছু লোক ইতোমধ্যে হয় আত্মহত্যা করেছে না হয় হতাশায় হার্টফেল করে মারা গেছে। বিভিন্ন জেলায় হাজার হাজার লোক বিক্ষোভও করেছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে এই যে এসব অভিযোগ এবং বাংলদেশ ব্যাংকের তদন্ত রিপোর্ট ও পত্র-পত্রিকা এবং টেলিভিশন চ্যানেলসমূহের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের আলোকে আজ পর্যন্ত সরকার কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। ডেস্টিনির কর্মকর্তারা গ্রেফতার হননি। আমাদের গৃহপালিত বলে কথিত দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎপরতাও এখানে প্রশ্নবিদ্ধ। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বিশেষ করে যারা রেকর্ডপত্র ও আলামত নষ্ট করার ক্ষমতা রাখেন তাদের গ্রেফতার করার একটি আইনী বিধান রয়েছে। কিন্তু ডেস্টিনির বেলায় এর ব্যতিক্রম আচরণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। অভিযুক্ত কর্মকর্তারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে লোকজন ধরে এনে তাদের পক্ষে মিটিং, মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন করাচ্ছেন। আবার কিছু কিছু টিভি চ্যানেলেও তারা অনর্গল সাফাই গাচ্ছেন। অভিযোগের তদন্ত না করে তাদের এই স্বাধীনতা দেয়ার ফলে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। যার জবাব সরকারের দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি। এখানে বর্তমান সরকারের অন্যতম শক্তিশালী খুঁটি বলে পরিচিত এবং ডেস্টিনি ২০০০-এর চেয়ারম্যান লে. জেনারেল হারুন-অর-রশিদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ ব্যাপারে সরকারের আরেকজন উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টিও অনেকে তুলে ধরেছেন। ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে ডেস্টিনির প্রতারণা নিয়ে জাতীয় সংসদেও উত্তপ্ত আলোচনা হয়েছে। জনাব ইনামুল হক এমপির এক নোটিশের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন জাতীয় সংসদে এর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদেরও ডেস্টিনিসহ মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কোম্পানিসমূহের অপতৎপরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এর পরও কেন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না? এর সাথে জেনারেল হারুন, এইচ টি ইমামসহ সরকারের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সম্পৃক্ততার কারণে কি? রেলওয়ের নিয়োগ বাণিজ্যে বস্তা ভর্তি অর্থের ন্যায় ডেস্টিনির ন্যায় প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতারণা বাণিজ্যের অর্থও কি বণ্টন হয়? এই প্রশ্ন দেশবাসীর।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন