মঙ্গলবার, ২৯ মে, ২০১২

রাজনীতির জটিল অংক, তত্ত্বাবধায়ক বিতর্ক



 ড. মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী  
দে শের রাজনীতি এবং গোটা জাতি এখন তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে গভীরভাবে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে আছে। এক পক্ষ মনে করছে, সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাটি তুলে দেয়ায় সংকট তৈরি বা ঘনীভূত হয়েছে। অন্য পক্ষের বক্তব্য সংবিধানে এটি বহাল রাখার কোনো সুযোগ নেই যেহেতু দেশের সর্বোচ্চ আদালত এটিকে নাকচ করেছে। নাগরিক সমাজের বড় অংশ অবশ্য মনে করে যে, প্রধান দুই দল আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে এই সমস্যার সমাধান করতে পারতো। এখন বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে রাজপথে অবস্থান নিয়েছে। সরকার বলছে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া আর সম্ভব নয়, তবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন কোনো ধারণা থাকলে সংসদে তা আলোচনা হতে পারে। প্রধান বিরোধী দল এবং তাদের সঙ্গে জড়িত ১৮ দলীয় জোট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না, দেশে নির্বাচন হতে দেবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছে। এতো বড় বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়া যেমন নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, তেমনি তাদের বাইরে রেখে দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন করতে যাওয়াও সম্ভব হবে কিনা ভেবে দেখার বিষয়।
সবকিছু মিলিয়ে রাজনীতির আকাশে কালো মেঘের আশংকাই বেশি বেশি করা হচ্ছে। অবশ্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটি সংবিধানে বহাল থাকলেও সমস্যা থাকতো না তা বলা যাবে না। কেননা, বিরোধী দল থেকে বেশ আগেই দাবি তোলা হয়েছিল যে, বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে তারা প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মেনে নেবে না। সংবিধান বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানলে খায়রুল হককে প্রধান উপদেষ্টা মানা যাবে না-এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়া যায় কি? বাংলাদেশে অবশ্য যুক্তির চাইতে কূটযুক্তিই বেশি চলে। তাই এই ইস্যুতেও এতোদিনে রাজনীতির মাঠ কমবেশি গরমই হতো। বিচারপতি খায়রুল হক নিজে থেকে অপারগতা প্রকাশ করলে অন্যান্য বিচারপতি নিয়েও নানা বিতর্ক তৈরি হতো। তবে রাজনৈতিক সংকট ২০০৬ সালের মতো হতো কিনা, নাকি অন্য কোনো রূপে আবির্ভূত হতো তা অনুমান করে কিছু বলা যথাযথ মনে করি না। আপাতত দেশ তত্ত্বাবধায়ক প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত এটিই বড় সংকট।
প্রশ্ন হচ্ছে, এখন বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সংবিধানে পুনঃপ্রবর্তনের যে দাবিতে অনড় অবস্থান নিয়েছে তার অবসান কিভাবে হবে? এ প্রশ্নের সহজ বা গ্রহণযোগ্য উত্তরও কেউ দিতে পারছে না। কেননা, বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আন্দোলন করলেও এর কোনো গ্রহণযোগ্য রূপরেখা বা প্রস্তাব তারা কোথাও উপস্থাপন করেনি। ফলে সংবিধানে এ সংক্রান্ত আগের ধারণায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিরোধী দলই যেখানে অগ্রসর হতে রাজি নয়, নতুন কোনো প্রস্তাবও তাদের নেই, সেখানে আন্দোলন অথবা আলোচনা এর কোনোটিই অগ্রসর হওয়ার কথা নয়। এই সংকট থেকে উত্তরণের কোনো উদ্যোগ বিরোধী দলও দেখাতে পেরেছে বলে মনে হয় না। তবে তারা মনে হয় বিষয়টি নিয়ে জনমনে যেসব দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে, সরকারের দিক থেকে গড়িমসির কোনো অবস্থান রয়েছে কিনা সেটি স্পষ্ট করার কৌশল অবলম্বন করেছে, সরকারের শেষ সময়ে বিষয়টি নিয়ে দেশে কোনো ব্যাপক আন্দোলন দাঁড় করানো যায় কিনা যা সামাল দেয়ার সময় সরকারের হাতে হয়তো থাকবে না। তেমন সরুগলিতে সরকারকে নিতে পারলে সরকারের জন্য তখন উভয় সংকট অনিবার্যভাবেই হবে, তা থেকে লাভবান হবে বিরোধী জোট। ১৮ দলীয় জোট তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু বা অন্য কোনো ইস্যুতে এখনি সমাধানে পৌঁছোতে চাইছে তেমনটি এসব কারণেই মনে হচ্ছে না।
অন্যদিকে নাগরিক সমাজসহ সাধারণ মানুষ খুব সহজ-সরল হিসাব ও বিশ্বাস থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি  দেখে থাকে। কিন্তু পরস্পর বিরোধী রাজনৈতিক স্বার্থ ও দ্বন্দ্বে পরিচালিত দেশের রাজনীতি এসব বিষয়ে খুব সহজ-সরল উত্তর অতীতেও দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেবে বলে মনে করার কোন কারণ নেই।
২০০৬ সালের সেই সব ঘটনা আমাদের মোটেও বিস্মৃত হওয়া উচিত হবে না। বরং ভবিষ্যত্ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে শূন্যতা সৃষ্টি, ক্ষমতার হাতবদল, পালা বদল ইত্যাদির সুযোগে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ও বাস্তবতাকে মাথায় রেখেই বিষয়গুলোকে দেখা উচিত, চিন্তা করা অপরিহার্য। আমরা এখনো অনেক কিছুই আবেগ, অন্ধ বিশ্বাস, সরল-সহজ অংক দিয়ে মেলাতে চেষ্টা করি, বোঝারও চেষ্টা করি। রাষ্ট্র, রাজনীতির বিষয়গুলো কিন্তু এতো আবেগ, অন্ধ বিশ্বাস বা সহজ-সরল রেখায় চলে না, চলতে দেয়া উচিত কিনা ভেবে দেখার সময় হয়েছে। ধরা যাক, বিরোধী দলের দাবি মোতাবেক বাংলাদেশে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে উভয় পক্ষ আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে। তাতেই কি সমস্যার সমাধান হবে? গভীরভাবে বিষয়টি নিয়ে ভাবলে দেখা যাবে কোনো পক্ষই সরকারের রূপরেখার গ্রহণযোগ্য কোনো কাঠামো এবং কর্মপরিধি তুলে ধরতে রাজি হবে না। বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে এ পর্যন্ত তেমন কোনো প্রস্তাব তাদের হাতে আছে সে কথা বলেনি। সরকার পক্ষ  এ নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করে না। তারপর তর্কের খাতিরে ধরে নিলেও বলতে হবে সে রকম কোনো রূপরেখা কেউ নিজ থেকে দেবে না, অপরপক্ষ তা মানবে তেমনটিও আশা করা যায় না।কেননা তিন -চারটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অভিজ্ঞতা যখন সম্মুখে তোলা হয় তখন কোনো হিসাবই সহজে মেলানো যায় না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে ১৯৯৫-৯৬ সালে মানুষের কোনো বাস্তব ধারণা বা অভিজ্ঞতা ছিল না। তখন সর্বোচ্চ  আদালতের বিচারপতিদের ব্যবহার করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চিন্তাটি অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী অভিজ্ঞতা মোটেও জাতির জন্যে মঙ্গল কিছু বয়ে আনেনি। বরং দেশের উচ্চ বিচারালয়ে প্রলয় ঘটে গেছে। সেই প্রলয় ঘটিয়েছে রাজনৈতিক নেতৃত্বই। সে কারণেই সর্বোচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক হিসেবে অভিহিত করার পাশাপাশি দেশের উচ্চতর আদালতকে এতে ব্যবহার না করার অভিমত দিতে বাধ্য হয়েছেন। দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে যখন এ ধরনের নির্দেশ দেয়া হয় তখন তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাটি সমাজের অন্য কোনো পেশার মানুষদের দিয়ে চালিয়ে নেয়ার কথা ভাবাই কষ্টকর। দেশের পেশাজীবী আমলা, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী সমাজ যেভাবে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন, আদর্শবান, নীতিবান ও মেধাবীরা যেভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন, আত্মমর্যাদা নিয়ে ঘরে উঠতে সচেষ্ট আছেন সেখানে নির্দলীয়, অরাজনৈতিক কিছু মানুষকে দিয়ে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের গুরুদায়িত্ব দিতে সরকার গঠন করা অনেকটাই অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনটি বৈধ এবং একটি বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে পেছনে ফেলে আসা অভিজ্ঞতা দেখে বলা যায় যে, কোন আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন ব্যক্তি রাজনৈতিক দলগুলোর অবিশ্বাস, হানাহানি, দ্বন্দ্ব-কলহের কারণে অর্পিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে এখন খুব একটা এগিয়ে আসবেন বলে মনে হয় না। স্বীকার করতেই হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোকে ক্ষমতায় বসিয়ে তাদের হাত-পা যেভাবে বেঁধে রাখা হয়, আবার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে দায় চাপানো হয়, তা বাস্তবে কতোটা করা সম্ভব তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ তৈরি হয়েছে। চরিত্রগতভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বেশ ছোট এবং ভীষণ দুর্বল। সকল দল, শ্রেণী- পেশার মানুষের তীক্ষ নজর ও চাপ থাকে স্বল্পসংখ্যক উপদেষ্টা শাসিত সরকারের ওপর, নির্বাচিত সরকারের ৫ বছরের শাসনামলের অনেক অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে কোন কোন দল তখন হাজির হয়ে দাবি উত্থাপন করে। সরকার হিসাবে কেউ তা করতেই পারে, কিন্তু আইনগত দিক থেকে এই সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে নানা সীমাবদ্ধতা ও বাধ্যবাধকতা থাকে। সবকিছু মিলিয়ে দেশ তখন স্বাভাবিক গতিতে চলতে পদে পদে হোঁচট খায়, উপদেষ্টারাও থাকেন বেশ চাপে। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়েও থাকে নানাভাবে প্রভাব বিস্তার ও ষড়যন্ত্রের উত্পীড়ন।
প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমাদের করণীয় কী? এ প্রশ্নের উত্তরে বলতে হবে, এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল এবং সরকারেরই মূল ভূমিকা পালন করার কথা। নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন ব্যবস্থায় ব্যাপক গলদ নিয়ে কোনো মহামানবকে ক্ষমতায় বসিয়েও দেশে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা সম্ভব নয়। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্যই নির্বাচন কমিশন। সেই কমিশনকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আমরা ভীষণভাবে অবহেলা করেছিলাম। নির্বাচন কমিশনে অযোগ্য, অদক্ষ এবং দলীয় অনুগত সিইসি, ইসি ও কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তারা প্রকাশ্যে এমন সব মন্তব্য করেছেন যা শুনে বোঝাই যেত এসব ‘পাবলিক’ বিশেষ মিশন নিয়ে নির্বাচন কমিশনে বসেছেন, ভুয়া ভোটার তালিকাসহ নানা অপকর্মের মাধ্যমে একটি নীল নকশার নির্বাচন জাতিকে ‘উপহার’ দিতে এসেছেন। একইভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ব্যবহার করেও কোনো কোনো জোট বা দল নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চেয়েছিল। ফলে আসল গলদ ফেলে রেখে আমরা শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়েই শক্তি ক্ষয় করেছি। ১/১১-এর পর বিশেষ পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন ও ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার সাধন করা হলো। নির্বাচন কমিশন, আইন ও ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আনয়নের ফলে ২০০৮ সালের ২৯  ডিসেম্বর একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। সেই থেকে নির্বাচন কমিশন অনেকটাই স্বাধীনভাবে চলছে। এটি একটি বড় অর্জন, নতুন উচ্চতায় দেশের নির্বাচন কমিশন ওঠা এবং কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে এ পর্যন্ত বিতর্ক ওঠেনি। তবে একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য মানে অনুষ্ঠিত করার জন্য আরো হয়তো অনেক কাজ বাকি থাকতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রয়োজন হচ্ছে সেসব বিষয়ে অধিকতর মনোযোগ ও নজর দেয়া, যাতে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ রূপে স্বাধীনভাবে দেশে জাতীয় সংসদ  নির্বাচন থেকে সকল প্রকার নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় যে ধরনের সরকারই থাক, দেশ পরিচালনা করা ছাড়া নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগই যাতে সেই সরকারের না থাকে সেই ব্যবস্থা প্রয়োজনে সাংবিধানিকভাবে নিশ্চিত করা দরকার। তাহলেই কেবল সরকার নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে এমন অভিজ্ঞতা, বিশ্বাস ও ধারণা থেকে সাধারণ ভোটারগণ বের হয়ে আসার সুযোগ পাবে। পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশসমূহে নির্বাচন ব্যবস্থায় সে ধরনের টেকসই অবস্থা তৈরি করা সম্ভব হলে আমাদেরও তা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতি ৫ বছর পর পর আসবেই। এর যদি স্থায়ী কোনো সমাধান না খোঁজা হয় তাহলে সরকার পরিবর্তনের পর পরই আবার তত্ত্বাবধায়ক, নির্দলীয় সরকার ইত্যাদি নামের সরকারের জন্য বার বার মানুষকে আন্দোলন করতে হবে, দেশকে নানা সমস্যায় পড়তে হবে। সে কারণে আর কোনো অস্থায়ী বা এডহক সমাধান নয়, বরং স্থায়ী সমাধানেই অগ্রসর হতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে সে পথেই অগ্রসর হতে হবে। কারচুপির কোনো নির্বাচন করে এখন কোনো দলই ক্ষমতায় যেতে পারবে না, ক্ষমতা স্থায়ী করতেও পারবে না। জনগণ তা প্রতিরোধ করবেই। জনগণকে সে পথে ধাবিত না করাই রাজনৈতিক দলগুলোর কাজ হওয়া উচিত।
n লেখক :অধ্যাপক, ইতিহাসবিদ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন