এএসএম শাহজাহান
গত মঙ্গলবার পুরান ঢাকার আদালতপাড়ায় এক পুলিশ সদস্য কর্তৃক এক তর“ণীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচারের পর যে কোন ব্যক্তিই এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হবেন, এতে কোন সন্দেহ নেই। যে কেউ কোন অপরাধী কর্তৃক আক্রান্ত হলে প্রথমে চেষ্টা করেন নিকট¯’ পুলিশকে তা জানাতে। কারণ জনগণ আশা করে, পুলিশ তাদের বন্ধু হয়ে তাদের সহযোগিতা করবেন। ওই তর“ণীর বাবাও পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশকে তাদের ভাবমূর্তি অক্ষুণœ রাখার জন্য সর্বাÍক চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। আমি মনে করি, শিগগির বিষয়টির যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষী ব্যক্তির বির“দ্ধে যথাযথ ব্যব¯’া নেয়া উচিত।
কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তি কর্তৃক হয়রানি, প্রতারণাÑ এ ধরনের কোন অপরাধের শিকার হলে পুলিশ সদস্যরা জনগণকে নানাভাবে সহযোগিতা করে থাকেন। কাজেই কোন পুলিশ সদস্য যদি অপরাধীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়, তাহলে এটা চরম মানবাধিকার লংঘন হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত। কারণ পুলিশের দায়িত্ব যে কোন ধরনের অপরাধ রোধে সর্বাÍক ভূমিকা রাখা। কোন পুলিশ সদস্য নিজেই অপরাধীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া অনাকাক্সিক্ষত, দুর্ভাগ্যজনক ও দুঃখজনক।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে পুলিশ সদস্য কর্তৃক সন্দেহভাজন অপরাধী হিসেবে ওই তর“ণীর বাবাকে আটক রাখার চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে। এ অভিযোগেরও যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত। কোন অপরাধের সঙ্গে ওই তর“ণীর বাবার সংশ্লিষ্টতা থাকলেও তাকে (তর“ণীর বাবা) আটক করার ক্ষেত্রে পুলিশ যথাযথ তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা উচিত। কারণ আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার অধিকার কারও নেই। প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে তদন্ত প্রক্রিয়ার যথাযথ নিয়ম অনুযায়ীই তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন পুলিশ সদস্য আইনের অপব্যবহার করলে তার বির“দ্ধে কঠোর ব্যব¯’া নিতে হবে।
সাধারণভাবে দেখা যায়, কোন একজন পুলিশ সদস্যের বির“দ্ধে কোন অভিযোগ উত্থাপিত হলে ঢালাওভাবে পুলিশ বাহিনী নিয়ে কেউ কেউ মন্তব্য করতে উৎসাহী হন। কোন ব্যক্তির আচরণ বিবেচনা করে পুরো পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে মন্তব্য করা সম্পূর্ণ অনুচিত। কোন পুলিশ সদস্যের বির“দ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে এর দায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যকেই নিতে হবে। কোন পুলিশ সদস্য অপরাধী সাব্যস্ত হলে তার বির“দ্ধে বিভাগীয় শাস্তি যথেষ্ট নয়, বরং একই সঙ্গে অপরাধী পুলিশ সদস্যের বির“দ্ধে আইনগত ব্যব¯’াও নিতে হবে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, একজন পুলিশ সদস্য কর্তৃক হয়রানির শিকার তর“ণী সাংবাদিকদের ওই ঘটনা বর্ণনা করার সময় অপর এক পুলিশ সদস্য কর্তৃক বাধার শিকার হন। এটা দুঃখজনক। হয়রানির শিকার হওয়া ব্যক্তি তার অভিযোগ গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে প্রকাশ করবেনÑ এটা আক্রান্ত ব্যক্তির মৌলিক অধিকার। এ অধিকার কোনভাবে কেউ ক্ষুণœ করার চেষ্টা করলে এ বিষয়েও যথাযথ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তির বির“দ্ধে আইনগত ব্যব¯’া নিতে হবে।
তর“ণীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ পুলিশ তাদের নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত করবে, এটাই স্বাভাবিক। একই সঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও এ বিষয়ে তদন্ত করতে পারে। কারণ আমরা মনে করি, পুলিশের জবাবদিহিতা অত্যন্ত গুর“ত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে পুলিশের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য পুলিশকেই যথাযথ তদন্তের স্বার্থে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
সাধারণভাবে কোন ব্যক্তি কর্তৃক একজন তর“ণী হয়রানির শিকার হওয়া আর একজন পুলিশ সদস্য কর্তৃক হয়রানির শিকার হওয়া এক বিষয় নয়। কারণ জনগণ বিশ্বাস করে, সাধারণ যে কোন ব্যক্তির তুলনায় পুলিশের যে কোন সদস্যের দায়িত্ব এক্ষেত্রে তুলনামূলক অনেক বেশি। জনগণের এ আ¯’া অক্ষুণœ রাখার জন্য উল্লিখিত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া আবশ্যক।
পুলিশের কোন সদস্য অন্যায় করে ছাড় পেলে অন্যরা এ ধরনের আচরণে উৎসাহিত হবে। এতে আইনের শাসন ব্যাহত হতে পারে। জনগণকেও অন্যায়কারীর বির“দ্ধে সচেতন হবে। কোন ব্যক্তি কর্তৃক অন্য কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হলে চারপাশের সবাইকে এর বির“দ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। কারণ অন্যায়কারী সমাজের যে ক্ষতি করে, অন্যায়কে প্রশ্রয়দানকারীরা সমাজের আরও বেশি ক্ষতি করে থাকে। কাজেই দুষ্কৃতকারীর বির“দ্ধে সমাজের সবাইকে সো”চার হতে হবে।
এএসএম শাহজাহান : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক
গত মঙ্গলবার পুরান ঢাকার আদালতপাড়ায় এক পুলিশ সদস্য কর্তৃক এক তর“ণীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচারের পর যে কোন ব্যক্তিই এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হবেন, এতে কোন সন্দেহ নেই। যে কেউ কোন অপরাধী কর্তৃক আক্রান্ত হলে প্রথমে চেষ্টা করেন নিকট¯’ পুলিশকে তা জানাতে। কারণ জনগণ আশা করে, পুলিশ তাদের বন্ধু হয়ে তাদের সহযোগিতা করবেন। ওই তর“ণীর বাবাও পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশকে তাদের ভাবমূর্তি অক্ষুণœ রাখার জন্য সর্বাÍক চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। আমি মনে করি, শিগগির বিষয়টির যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষী ব্যক্তির বির“দ্ধে যথাযথ ব্যব¯’া নেয়া উচিত।
কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তি কর্তৃক হয়রানি, প্রতারণাÑ এ ধরনের কোন অপরাধের শিকার হলে পুলিশ সদস্যরা জনগণকে নানাভাবে সহযোগিতা করে থাকেন। কাজেই কোন পুলিশ সদস্য যদি অপরাধীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়, তাহলে এটা চরম মানবাধিকার লংঘন হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত। কারণ পুলিশের দায়িত্ব যে কোন ধরনের অপরাধ রোধে সর্বাÍক ভূমিকা রাখা। কোন পুলিশ সদস্য নিজেই অপরাধীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া অনাকাক্সিক্ষত, দুর্ভাগ্যজনক ও দুঃখজনক।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে পুলিশ সদস্য কর্তৃক সন্দেহভাজন অপরাধী হিসেবে ওই তর“ণীর বাবাকে আটক রাখার চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে। এ অভিযোগেরও যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত। কোন অপরাধের সঙ্গে ওই তর“ণীর বাবার সংশ্লিষ্টতা থাকলেও তাকে (তর“ণীর বাবা) আটক করার ক্ষেত্রে পুলিশ যথাযথ তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা উচিত। কারণ আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার অধিকার কারও নেই। প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে তদন্ত প্রক্রিয়ার যথাযথ নিয়ম অনুযায়ীই তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন পুলিশ সদস্য আইনের অপব্যবহার করলে তার বির“দ্ধে কঠোর ব্যব¯’া নিতে হবে।
সাধারণভাবে দেখা যায়, কোন একজন পুলিশ সদস্যের বির“দ্ধে কোন অভিযোগ উত্থাপিত হলে ঢালাওভাবে পুলিশ বাহিনী নিয়ে কেউ কেউ মন্তব্য করতে উৎসাহী হন। কোন ব্যক্তির আচরণ বিবেচনা করে পুরো পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে মন্তব্য করা সম্পূর্ণ অনুচিত। কোন পুলিশ সদস্যের বির“দ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে এর দায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যকেই নিতে হবে। কোন পুলিশ সদস্য অপরাধী সাব্যস্ত হলে তার বির“দ্ধে বিভাগীয় শাস্তি যথেষ্ট নয়, বরং একই সঙ্গে অপরাধী পুলিশ সদস্যের বির“দ্ধে আইনগত ব্যব¯’াও নিতে হবে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, একজন পুলিশ সদস্য কর্তৃক হয়রানির শিকার তর“ণী সাংবাদিকদের ওই ঘটনা বর্ণনা করার সময় অপর এক পুলিশ সদস্য কর্তৃক বাধার শিকার হন। এটা দুঃখজনক। হয়রানির শিকার হওয়া ব্যক্তি তার অভিযোগ গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে প্রকাশ করবেনÑ এটা আক্রান্ত ব্যক্তির মৌলিক অধিকার। এ অধিকার কোনভাবে কেউ ক্ষুণœ করার চেষ্টা করলে এ বিষয়েও যথাযথ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তির বির“দ্ধে আইনগত ব্যব¯’া নিতে হবে।
তর“ণীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ পুলিশ তাদের নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত করবে, এটাই স্বাভাবিক। একই সঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও এ বিষয়ে তদন্ত করতে পারে। কারণ আমরা মনে করি, পুলিশের জবাবদিহিতা অত্যন্ত গুর“ত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে পুলিশের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য পুলিশকেই যথাযথ তদন্তের স্বার্থে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
সাধারণভাবে কোন ব্যক্তি কর্তৃক একজন তর“ণী হয়রানির শিকার হওয়া আর একজন পুলিশ সদস্য কর্তৃক হয়রানির শিকার হওয়া এক বিষয় নয়। কারণ জনগণ বিশ্বাস করে, সাধারণ যে কোন ব্যক্তির তুলনায় পুলিশের যে কোন সদস্যের দায়িত্ব এক্ষেত্রে তুলনামূলক অনেক বেশি। জনগণের এ আ¯’া অক্ষুণœ রাখার জন্য উল্লিখিত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া আবশ্যক।
পুলিশের কোন সদস্য অন্যায় করে ছাড় পেলে অন্যরা এ ধরনের আচরণে উৎসাহিত হবে। এতে আইনের শাসন ব্যাহত হতে পারে। জনগণকেও অন্যায়কারীর বির“দ্ধে সচেতন হবে। কোন ব্যক্তি কর্তৃক অন্য কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হলে চারপাশের সবাইকে এর বির“দ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। কারণ অন্যায়কারী সমাজের যে ক্ষতি করে, অন্যায়কে প্রশ্রয়দানকারীরা সমাজের আরও বেশি ক্ষতি করে থাকে। কাজেই দুষ্কৃতকারীর বির“দ্ধে সমাজের সবাইকে সো”চার হতে হবে।
এএসএম শাহজাহান : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন