বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচন যদি যথাসময়ে হয়, তার দূরত্ব এখনও দেড় বছরের মতো। তত্ত¡াবধায়ক সরকার প্রশ্নে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে যে গ্যাঞ্জাম শুর“ হয়েছে, তাতে দেশের পরিস্থিতি কোন্ দিকে গড়াবে, নির্বাচন যথাসময়ে হতে পারবে কিনা, হলে তার ফল কী দাঁড়াবে, তা নিয়ে দেশের মাথাওয়ালা মানুষের মধ্যে তেমন মাথাব্যথা দেখছি না, যত মাথাব্যথা নির্বাচনে এবার কোন্ দল জয়ী হবে তা নিয়ে।
এ মাসের গোড়ায় দিন আটেক ঢাকায় ছিলাম। যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তারা আগামী নির্বাচনের ফল সম্পর্কে একটা না একটা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। আমি তাদের প্রশ্ন করেছি, নির্বাচন যে যথাসময়ে হবে, সে সম্পর্কে আপনারা কি নিশ্চিত? বেগম খালেদা জিয়া তো বলেছেন, তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেয়া না হলে তিনি নির্বাচন হতে দেবেন না। অন্যদিকে আমাদের আমেরিকান প্রভুরা বলছেন, বিরোধী দলের যোগদান ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠান তাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। এ অবস্থায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হতে পারবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই, অথচ আমরা সেই নির্বাচনের ফল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করছি। এটা হচ্ছে কেন?
এই প্রশ্নের জবাব অনেকেই দেননি। এবিএম মূসার মতো আমার প্রবীণ সাংবাদিক বন্ধুও দেননি। দু-একজন বন্ধু বলেছেন, বর্তমান আš—র্জাতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে যথাসময়ে নির্বাচন না হয়ে উপায় নেই। যারা এক-এগারোর পুনরাবির্ভাবের কথা ভাবছেন তারা আহম্মকের ¯^র্গে বাস করছেন। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী এখন অনেক বেশি সতর্ক ও সচেতন। তারা জানেন বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি মিলিটারি ক্যু’র অনুক‚ল নয়। আর কোন কারণে তারা সেই ক্যু ঘটাতে পারলেও দেশের অসম্ভব জটিল জাতীয় ও আš—র্জাতিক কোন সমস্যার তারা মোকাবেলা করতে পারবেন না। এক-এগারোর মতো তারা লেজেগোবরে এক হয়ে যাবেন। তার চেয়ে কোন রাজনৈতিক দলকেই নিধিরাম সর্দারের মতো ¶মতায় রেখে তারা যদি সব রকম সুযোগ-সুবিধা ভোগের, এমনকি নেপথ্যে বসে রাষ্ট্রীয় ¶মতায় প্রভাব বজায় রাখার সুযোগ পান, তাহলে খামোকা আবার দুর্নামের বোঝা বইতে কেন যাবেন? পাকি¯—ানে সামরিক বাহিনীর অবস্থা তারা দেখছেন না?
কারও কারও মুখে এসব কথা শুনে আমার মনে হয়েছে, এক-এগারোর আবার আগের চেহারায় আবির্ভাব সম্ভবত সম্ভব নয়। আবার তত্ত¡াবধায়ক সরকার পদ্ধতি আওয়ামী লীগ সরকার মেনে নিলেই সমস্যার সমাধান হবে, তাও নয়। বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্র যারা জানেন, তারা বোঝেন, তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবি একটা অজুহাত। যে কোন ছলছুতোয় বিএনপি দেশে রাজনৈতিক স্থিতিহীনতা টিকিয়ে রাখতে চায় এবং যে কোন উপায়ে ¶মতায় যেতে চায়। তাদের আসল ল¶্য, তারেক রহমান ও কোকোকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিভিন্ন মামলা-মোকদ্দমা ও দÊ থেকে মুক্ত করা এবং ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ভÊুল করা। সঙ্গে আরও ছোটখাটো এজেন্ডা তো আছেই।
এখন যদি আওয়ামী লীগ তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবি মেনেও নেয়, বিএনপি তখন তত্ত¡াবধায়ক সরকার গঠনের মেকানিজম সম্পর্কে বিতর্ক সৃষ্টি করবে। একেবারে তাদের হাতের মুঠোর তত্ত¡াবধায়ক সরকার (ইয়াজউদ্দীনের তত্ত¡াবধায়ক সরকারের মতো) না হলে কোন তত্ত¡াবধায়ক সরকারই তাদের কাছে নিরপে¶ ও গ্রহণযোগ্য মনে হবে না। তারপর দেশী-বিদেশী চাপে যদি তারা ভবিষ্যতের তত্ত¡াবধায়ক সরকারকে মেনেও নেন, তাদের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপি জয়ী না হলে সেই নির্বাচনের ফল তারা মেনে নেবেন না। বলবেন, এই তত্ত¡াবধায়ক সরকারকেও আওয়ামী লীগ হাইজ্যাক করেছে এবং বিএনপির নিশ্চিত বিজয় ছিনতাই হয়ে গেছে। অতঃপর তারা যদি বিদেশী দাতাসংস্থাগুলোর (বিশেষ করে আমেরিকার) চাপে নির্বাচনের রায় মেনে সংসদেও যান, দু-একদিনের মধ্যেই কোন ছলছুতোয় সংসদ বর্জন স্থায়ীভাবে শুর“ করবেন; কিন্তু সংসদ সদস্যের সব বেতন-ভাতা এবং সুযোগ-সুবিধা অনৈতিকভাবে গ্রহণ করতে থাকবেন। অর্থাৎ সংসদীয় গণতন্ত্রকে দেশে কিছুতেই কার্যকর হতে দেয়া হবে না। দেয়া হবে, যদি বিএনপিকে বৈধ বা অবৈধ যে কোন পথে ¶মতায় যেতে বাধা দেয়া না হয়।
সুতরাং যারা ভাবেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিলেই দেশের সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হবে, আমি তাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করি না। তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেও বিএনপি জয়ী না হলে সেই রায় মানবে তার কোন অতীত উদাহরণ নেই। একমাত্র জয়ী হলেই তারা তাকে গণরায় আখ্যা দিয়ে মেনে নেয়ার গণতান্ত্রিক উদারতা দেখান। বিচারপতি হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে যে তত্ত¡াবধায়ক সরকার গঠিত হয়েছিল, তার নিরপে¶ চরিত্র সম্পর্কে অতিবড় ক্রিটিকও প্রশ্ন তোলার সুযোগ পাননি। কিন্তু সেই তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর বিএনপি কি সেই নির্বাচন ফল প্রথমে মানতে রাজি হয়েছিল? দাতা দেশগুলোর চাপে পরে তারা রাজি হন।
২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলও কি বিএনপি এখনও মেনে নিয়েছে? একমাত্র বিএনপির দ্বারা মনোনীত এবং তাদের নির্দেশে চালিত তত্ত¡াবধায়ক সরকার (ইয়াজউদ্দীনের তত্ত¡াবধায়ক সরকারের মতো) ছাড়া আর কোন তত্ত¡াবধায়ক সরকার বিএনপি মেনে নেবে তা তো মনে হয় না। তাহলে যারা ভাবেন, তত্ত¡াবধায়ক সরকার প্রশ্নে বিএনপির দাবি মেনে নিলেই দেশের সব মুশকিল আছান হয়ে যাবে, তাদের চিš—ায় সারল্য আছে, বা¯—বতা নেই। বিএনপির জামার আ¯ি—নের নিচে আরও কত দাবির বিড়াল লুকিয়ে আছে তারা তা এখনও দেখেননি।
বিএনপি যেমন গোঁ ধরেছে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেয়া ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবেন না, তেমনি আওয়ামী লীগ সরকারেরও গোঁ, তারা তত্ত¡াবধায়ক সরকার পদ্ধতিতে আর ফিরে যাবেন না। এই পদ্ধতির মাজেজা তারা ইয়াজউদ্দীনের তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমলে দেখেছেন। আওয়ামী লীগ তত্ত¡াবধায়ক পদ্ধতি ছাড়া অন্য যে কোন পদ্ধতিতে (যেমন অš—র্বর্তীকালীন সরকার গঠন) নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পর্কে আলোচনায় রাজি। তারা চান, বিএনপি এ ব্যাপারে সংসদে আসুক এবং তাদের প্র¯—াব উত্থাপন কর“ক। বিএনপির ভয়, আওয়ামী লীগ সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে তাদের এই প্র¯—াব অগ্রাহ্য করবে। সুতরাং সংসদের বাইরে দ্বিপ¶ীয় আলোচনা হোক।
এই দ্বিপ¶ীয় বৈঠকও যে সফল হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। কারণ দুই প¶েরই যেখানে মনোভাব, ‘সালিশ মানি, কিন্তু তালগাছটা আমার চাই’, সেখানে সমঝোতা অসম্ভব। সংলাপ হলেই সমঝোতা হবে এমন থিয়োরিতে আমি বিশ্বাসী নই। এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কী হবে? এই দেশব্যাপী সংঘাত, অস্থিরতার রাজনীতিকে চলতে দেয়া কি ঠিক হবে?
এই প্রশ্নের জবাব, দুই প¶ের মধ্যে সংলাপ হলেই সমঝোতা হবে এমন বিশ্বাস আমার নেই বটে, তবুও দেশের প্রধান দুটি দলের মধ্যে সংলাপ প্রয়োজন। তাতে দেশের প্রধান ইস্যুগুলোতে সমঝোতা হবে এমন আশা করি না; কিন্তু রাজনীতিতে সংঘাত এড়ানোর জন্য দুই প¶ের মধ্যে একটা পন্থার কথা আলোচিত হতে পারে। বিরোধী দল যদি দাবি আদায়ের ল¶্যে হরতাল ডাকার নামে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ এবং পাবলিক প্রোপার্টি ধ্বংস করার নীতি ত্যাগ করে এবং সরকারও বিরোধী দলকে শাšি—পূর্ণভাবে আন্দোলন করার সুযোগ দানের ল¶্যে দমননীতি প্রয়োগের পন্থা বর্জন করে, তাহলে দেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতির পরিবেশ ফিরে আসতে পারে।
একবার দেশে যদি গণতান্ত্রিক রাজনীতির পরিবেশ ফিরে আসে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে দেশের সব বড় বড় সমস্যার ব্যাপারে দু’দলের মধ্যে আলোচনায় বসা, এমনকি একটি সমঝোতায় পৌঁছা সম্ভব হলেও হতে পারে। আমাদের পলিটিক্যাল এলিট ক্লাস যদি তাদের বর্তমানের নিরপে¶তার ভান ত্যাগ করে এবং ‘সংলাপ চাই, সংলাপ চাই’ বলে ক্রমাগত চিৎকার পরিহার-পূর্বক আগে দেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতির পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করে, তাহলে বর্তমান অচলাবস্থা থেকে মুক্ত হওয়ার একটা সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
প্রবীণ সাংবাদিক বন্ধু এবিএম মূসা আমাকে একটি চমৎকার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সামরিক সরকারকে আমরা ¯ৈ^রাচারী সরকার বলি। কিন্তু গণতান্ত্রিক সরকারও যদি জনগণের দাবির তোয়াক্কা না করে নিজেদের খেয়ালখুশিমতো চলতে থাকে, তাহলে তাকে আমরা বলি ¯ে^চ্ছাচারী সরকার। এই ¯ৈ^রাচারী সরকার ও ¯ে^চ্ছাচারী সরকারের মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। সামরিক ¯ৈ^রাচারী সরকারের একটা বিকল্প আছে, তা গণতান্ত্রিক সরকার। কিন্তু গণতান্ত্রিক সরকার ¯ে^চ্ছাচারী হলে তার বিকল্প কী?’
বন্ধুবর মূসার এই কথাটি বাংলাদেশের প্রে¶িতে অত্যš— তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশে দুটি প্রধান দল গণতান্ত্রিক পথেই ¶মতায় আসে। তারপর তারা একে অন্যকে অনুসরণ করে ¯ে^চ্ছাচারী মূর্তিতে আবিভর্‚ত হন। কেউ কম, কেউ বেশি। গণতান্ত্রিক সরকার ¯ে^চ্ছাচারী মূর্তি ধারণ করলে তার শাšি—পূর্ণ প্রতীকার-পন্থা নির্বাচন অনুষ্ঠান। জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন ঘটায়। বাংলাদেশে সেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদ্ধতি নিয়েই বিতর্ক চলছে; রাজনীতিকে সংঘাতময় করে তোলা হচ্ছে। এই সংঘাত দেশকে কোথায় নিয়ে যাবে, একটি রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের দিকে কি?
দেশে রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতা আজ কোন্ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে, তা কেবল বিএনপির ভাংচুরের খেলায় নয়, আওয়ামী লীগের মতো গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যমÊিত দলের একশ্রেণীর নেতা, এমনকি সংসদ সদস্যের আচরণেও দেখা যায়। গত শনিবার (১৯ মে) ঢাকার একটি দৈনিক সচিত্র প্রতিবেদনে দেখিয়েছে, গফরগাঁওয়ের আওয়ামী লীগদলীয় এমপি ক্যাপ্টেন (অব.) গিয়াসউদ্দীন গাড়িতে বসে পি¯—ল হাতে জনতার দিকে গুলি ছুড়ছেন। এটা কাÊজ্ঞানহীন ¯ে^চ্ছাচারিতা। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে এই ক্রমপ্রসারিত ¯ে^চ্ছাচার প্রতিরোধের উপায় কী? এর প্রতিরোধ অথবা প্রতিকার সুষ্ঠু নির্বাচন। জনগণ বুলেট দ্বারা নয়, ব্যালট দ্বারা ¯ে^চ্ছাচারী সরকারকে ¶মতা থেকে অপসারণ করে। কিন্তু বাংলাদেশে এই নির্বাচন পদ্ধতি নিয়েও বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচনেও এখন কালো টাকা, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের কালো ছায়া প্রভাব ফেলেছে।
তত্ত¡াবধায়ক সরকার পদ্ধতিতে নির্বাচন হলেই নির্বাচন কালো টাকা ও দুর্নীতির প্রভাবমুক্ত হবে এ কথা আমি বিশ্বাস করি না। আমাদের নোবেল লরিয়েট অথবা ব্রিটেনের নাইট খেতাবধারী প্রাজ্ঞজনরা এ সম্পর্কে যতই প্রাজ্ঞ কথা বলুন না কেন! আওয়ামী লীগ যুক্তি দেখায়, গত সাড়ে তিন বছরে তাদের সরকারের অধীনে সিটি কর্পোরেশন থেকে পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ পর্যš— অনেক নির্বাচন হয়েছে। এসব নির্বাচনের অনেকগুলোতে তারা পরাজয়বরণ করেছেন, তবু কোন কারচুপির অভিযোগ উঠতে দেননি। সুতরাং আগামী সাধারণ নির্বাচনও এই সরকারের অধীনে অবাধ ও নিরপে¶ভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে এবং এটাই গণতান্ত্রিক নির্বাচন পদ্ধতি।
এটা সুযুক্তির কথা, কিন্তু বা¯—বতার কথা নয়। বা¯—বতা হল, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ¯^চ্ছ ও অবাধ নির্বাচন হতে পারে এটা যাতে জনগণ বিশ্বাস না করে সে জন্য বিএনপি প্রচÊভাবে তাদের প্রচারডঙ্কা বাজাচ্ছে। আমাদের এলিট শ্রেণীর একটা অংশও তাতে নিরপে¶তার ভান করে সমানে তাল মেলাচ্ছে। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ের মধ্যেই এখন একটা যুদ্ধংদেহী ভাব। আগে এই যুদ্ধংদেহী ভাবটা দূর করতে হবে। বিরোধী দলকে ভাংচুরের হরতাল এবং সরকারকে দমননীতির হার্ডলাইন থেকে ফিরে আসতে হবে। দেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতির শাšি—পূর্ণ পরিবেশ ফিরে এলে তারপর সংলাপ। সমঝোতার কথা এখনই ভাবার দরকার নেই। সমঝোতা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।
বিএনপি নেতাদের বোঝা উচিত, জনসমর্থনহীন, ভয় দেখানো হরতাল দ্বারা সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব হবে না। সরকারেরও জানা উচিত, পাইকারি গ্রেফতার, জেল-জুলুম দ্বারা বিরোধী দলের আন্দোলন দমন করা যাবে না। সাময়িকভাবে ¯ি—মিত করা যাবে। দু’প¶ই সংলাপে বসুন। সামগ্রিক সমঝোতা বা আংশিক সমঝোতার জন্যও নয়, এই সংলাপ হবে দেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতির শাšি—পূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার পন্থা উদ্ভাবনের জন্য। এই পন্থা উদ্ভাবিত না হলে আগামীতে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং আওয়ামী লীগ অথবা বিএনপি ¶মতায় যাবে সে সম্ভাবনা মোটেই নিশ্চিত নয়।
লন্ডন, ২০ মে রোববার ।। ২০১২
একদিকে হরতাল, অন্যদিকে দমননীতি কোন্ পথে দেশের মুশকিল আছান?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন