শনিবার, ২৬ মে, ২০১২

‘সাহারা’র স্বপ্ন ও মামাবাড়ির আবদার



॥ মীযানুল করীম ॥

ভারতের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ ‘সাহারা’র কর্ণধার সুব্রত রায় সাহারা বাংলাদেশ সফর করে গেলেন। ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেটারদের জার্সির গায়ে ‘সাহারা’ লেখা দেখেছেন সবাই। সেই ‘সাহারা’দের আবাসন, মিডিয়াসহ নানা সেক্টরে রয়েছে হাজার হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ। সুব্রত রায়কে ঢাকায় বিমানবন্দরে সুসজ্জিত শিশুরা আকর্ষণীয়ভাবে বরণ করার ছবি উঠেছে পত্রিকায়। এর মাধ্যমে তার সফরকে বিশেষ মাত্রা দেয়ার প্রয়াস স্পষ্ট।
সুব্রত রায় ২৩ মে বাংলাদেশ সরকারের সাথে সমঝোতা স্মারকে সই করেছেন। গণপূর্ত ও গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতি থেকেই বোঝা যায়, সরকার সাহারাদের সাথে চুক্তিকে কত বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। স্মারকে সুব্রত রায় এবং রাজউক চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করেছেন। সাহারা চেয়ারম্যান সুব্রত বাবু এরপর বাংলাদেশের সাথে তার ‘নাড়ির সম্পর্ক’ উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার মায়ের দেশ এটা, তিনি বিক্রমপুরের মেয়ে। দুই সপ্তাহ পরপরই তার কাছে শুনতাম বাংলাদেশের কথা। তাই এখানে এসে বিদেশ মনে হয়নি। মনে হয়েছে, মামারবাড়ি এসেছি। মায়ের কাছে মামাবাড়ির গল্প শুনতে শুনতে বাংলাদেশকে ভালোবেসে ফেলেছি।’ তবে সেই ভালোবাসার টানের চেয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে মুনাফার টানের জোর অনেক বেশি, তা বলার দরকার পড়ে না।
সুব্রত রায় ঢাকায় আরো বলেছেন, “আমরাই ভারতের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান। এ দেশে বিনিযোগ করতে চাই আবাসনে। আপাতত পরিকল্পনা পদ্মাপারে উপশহর গড়ার (এই অঞ্চলেই সুব্রতর মামাবাড়ি)। এই উপশহরের নাম ‘নতুন ঢাকা’। একই নামে বর্তমান ঢাকা শহরের চার পাশে পর্যায়ক্রমে আরো চারটি স্যাটেলাইট সিটি গড়ার প্রস্তাব দিয়েছি। এগুলোতে প্রায় দুই লাখ ফ্যাট আর ১৮ হাজার প্লট তৈরি করে দেবে সাহারা।”
জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে কোম্পানিটি একাই ৮০ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ করতে চায় বাংলাদেশে। তবে সরকার চাচ্ছে, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হোক। তা হলে বিনিয়োগের পরিমাণ এবং প্রকল্পের পরিসর আরো অনেক বাড়ানো যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকারের ইচ্ছা, এ ক্ষেত্রে প্লট ৫০ হাজারের বেশি হোক এবং ফ্যাটের সংখ্যা ছাড়িয়ে যাক তিন লাখ।
সুব্রত রায় সাহারার মা কিন্তু কোনো দাঙ্গা-হাঙ্গামার কারণে বাংলাদেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হননি। বাংলাদেশে ১৯৫০ সালের পরে তেমন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়নি। এখানে দাঙ্গা হয়েছে বর্তমান ভারতীয় ভূখণ্ডে দাঙ্গার প্রতিক্রিয়ায় এবং সেখানকার চেয়ে অনেক কম। সুব্রতর মায়েরা ’৪৭ সালের আগেই ভারতে চলে যান। কেন চলে গেলেন তখন তা জানা যায়নি। সুব্রত জানান, ‘মা বারবার আমাকে বলেছেন, নিজের গ্রামের কথা, পদ্মাপারের কথা।’ কিন্তু সুব্রতর মা কি এরপর এত বছরে কোনো দিন নিজের জন্মভূমিতে (যা তার নাকি অত্যধিক প্রিয়) একবারও এসেছিলেন? না, সুব্রতর কথা থেকে তা জানা যায় না। শুধু ধরে নেয়া যেতে পারে, মা যদি এক আধবারও সাবেক পূর্ব পাকিস্তান কিংবা বর্তমান বাংলাদেশ ঘুরে যেতেন, তা নিশ্চয়ই সুব্রত জানতেন এবং ২৩ মের ওই অনুষ্ঠানে তা গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করতেন।
এবার মা বাদ দিয়ে ছেলের কথায় আসি। শিল্পপতি সুব্রত বলেছেন, ‘মায়ের সুখস্মৃতির কথা শুনতে শুনতে অনেকবার বাংলাদেশে আসার কথা ভেবেছি। তবে আসি আসি করে আসা হয়নি।’ যার কাছে মা আর মায়ের জন্মভূমি এত প্রিয়, তিনি এত বছরেও একবার তার পদধূলি দিয়ে এই কপালপোড়া বাংলাদেশের ভাগ্যজোড়া দিয়ে কৃতার্থ করার সময় পাননি। অথচ তার নিজের ভাষায়Ñ ‘এ দেশের সাথে আমার সম্পর্ক আবেগের। মনে হয় নিজের দেশ।’
যা হোক, ষাটোর্ধ্ব সুব্রত বাবু মাতৃভক্তির কারণে এত দিন না এলেও, এখন বিনিয়োগতৃষ্ণা মেটাতে ছুটে এলেন। বাংলাদেশে আবাসনের মেগাপ্রজেক্ট বাস্তবায়ন নিশ্চয়ই এক মহাকাণ্ড। এ জন্য কেবলি যে অর্থের মহাভাণ্ড থাকবে, তা নয়। সাহারা ইন্ডিয়া এ কাজে বাংলাদেশে নতুন একটা প্রতিষ্ঠান খুলবে। নাম হবেÑ ‘সাহারা মাতৃভূমি উন্নয়ন করপোরেশন।’ শুধু আবেগ নয়, বুদ্ধিও আছে সুব্রতদের। তাই তো ব্রত নিয়েছেন দুই লাখ ফ্যাট দিয়ে ঢাকানগরীকে ঘিরে ফেলার। এ জন্য বাংলাদেশকে ‘মাতৃভূমি’ ঘোষণা করতেও দ্বিধা নেই। তবে একটা ফাঁক আছে। সুব্রতদের ধর্মে বলা হয়, ‘জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরীয়সী।’ এখানে নেই ‘মাতৃভূমি’র কথা। অন্য দিকে সুব্রতর জন্মভূমি বাংলাদেশ নয়, ভারত।
পাকিস্তান আমলে বর্তমান বাংলাদেশসহ তদানীন্তন পাকিস্তানের সেরা শিল্পপতি ছিলেন আদমজী, দাউদ, বাওয়ানী, হাবিব, ইস্পাহানী প্রমুখ। তখন ভারতের শিল্প জগতে কর্ণধার ছিলেন টাটা, বিড়লা, গোয়েঙ্কা, সায়গল প্রমুখ। সময়ের সাথে সাথে আমাদের দেশে পুরনো অনেকে বিদায় নিয়ে নতুন নতুন শিল্পপতির উত্থান ঘটেছে। তেমনি ভারতে নিকট অতীতে উঠে এসেছেন আম্বানি, সাহারা, খৈতান, মাল্য প্রমুখ। মাল্যের অবস্থা অবশ্য এখন কিছুটা মন্দ। যা হোক, সাহারার ক্রমবর্ধমান প্রতিষ্ঠা ও প্রভাব জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তাদের আলোচনার বিষয় করে তুলেছে।
‘সাহারা’ বলতে আমরা সাধারণত বুঝি বিশ্বের বৃহত্তম মরুভূমি, যা আফ্রিকার প্রায় গোটা উত্তর অংশজুড়ে আছে। তবে ‘সাহারা’র ভালো অর্থ হলো, ভরসা, সহায়, সাহায্য বা নির্ভর। এই অর্থেই প্রখ্যাত শিল্পী মোহাম্মদ রফির কালজয়ী হামদ, ‘পরওয়ারদিগারে আলম, তু হি মেরে সাহারা; তেরে সিওয়াহ সারে জাঁহামে কোই নেহি হ্যায় হামারা’ (বিশ্ব জগতের মহাপ্রভু, তুমিই আমার সহায়; এই দুনিয়ায় তুমি ছাড়া আমার কেউ নেই)। আমাদের বাংলাদেশের বহুলালোচিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মা-বাবা তার নাম ‘সাহারা খাতুন’ রেখেছেন এই ভালো অর্থেই। এখন বাস্তবে তিনি জনগণের জানমাল ইজ্জতের নিরাপত্তা বিধানে কতটা সাহারা বা সহায় হতে পেরেছেন, সেটা ভিন্ন কথা। 
ভারতের ধনকুবের সাহারা শিল্পপরিবারের ওপর বর্তমান বাংলাদেশ সরকার সাহারা বা নির্ভর করতে চাচ্ছে। রাজধানীর চার পাশে লাখ লাখ মানুষের আবাসনের জন্য সাহারার বিশাল বিনিয়োগকে সরকার ভাবছে বিরাট সহায়। সেই ‘সাহারা’ কতটা নির্ভরযোগ্য অর্থাৎ নিজেদের নামের অর্থের প্রতি কতখানি সুবিচার করতে পারবে, আমরা জানি না। তবে যেদিন বাংলাদেশে বিনিয়োগের লক্ষ্যে তাদের স্মারক স্বাক্ষর করার খবর উঠেছে পত্রিকায়, একই দিনের অন্য একটি খবর মনে প্রশ্ন জাগায় বৈকি।
ঢাকার পত্রিকার রিপোর্টের শিরোনাম-আইপিএলে কালো টাকার ব্যবহার : সাহারা গ্রুপের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ভারত সরকার, অ্যাম্বি ভ্যালিতে হানা।’ হ্যাঁ, সেই অ্যাম্বি ভ্যালি আবাসন প্রকল্প যার কারণে সাহারা ‘বিশ্বে প্রশংসিত’ বলে প্রচার করা হচ্ছে। সুব্রত রায়ের ঢাকা সফরেও এর উল্লেখ করা হয়েছে তাদের বিরাট কৃতিত্ব ও অবদান হিসেবে। কোনো কোনো পত্রিকায় জানানো হয়েছে, ব্যাপকভাবে আলোচিত ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) কালো টাকা ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে সাহারা গ্রুপের বিরুদ্ধে। শুধু অভিযোগ নয়, এ ব্যাপারে ভারত সরকার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে।
গত বুধবার যখন সাহারার কাণ্ডারি সুব্রত বাবু বাংলাদেশে প্রথম দফাতেই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের জন্য ঢাকায় এসে ব্যস্ত, তখন সাহারা ইন্ডিয়ার পুনে অফিস এবং লোনাভলায় অবস্থিত অ্যাম্বি ভ্যালিতে আয়কর বিভাগের অভিযান চলছিল। চলমান টি-টোয়েন্টি খেলায় সাহারা গ্রুপের টিম, পুনে ওয়ারিয়র্সের পাতানো খেলা এবং কালো টাকা ব্যবহারের অভিযোগ পেয়ে সরকারি কর্মকর্তারা এই অভিযানে নামেন। সাহারার অফিস থেকে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ আয়কর বিভাগ জব্দ করেছিল একই দিন। এর সাথে সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু হয়ে যায়।
আইপিএল ক্রিকেট প্রতিযোগিতা আকর্ষণীয় করার জন্য প্রপাগান্ডার তোড়জোড়, খেলোয়াড়দের মোটা অঙ্কের অর্থ দেয়ার ঘোষণা, যুবতী চিয়ারগার্লদের অশালীন পোশাক ও ভঙ্গি ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়। তবে ম্যাচফিক্সিং এবং নারী কেলেঙ্কারির কারণে আইপিএল ইতোমধ্যেই কলঙ্কিত হয়েছে। খেলোয়াড় বহিষ্কার, এমনকি গ্রেফতারের ঘটনা ঘটে গেছে। একটি টিভি চ্যানেলে দেখানো হয়, কয়েকজন খেলোয়াড় ম্যাচ পাতানো এবং এ নিয়ে টাকা পয়সা লেনদেনের কথা বলছেন। এর ভিত্তিতে বিসিসিআই বরখাস্ত করেছে পাঁচ খেলোয়াড়কে।
ভারতীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অজয় মাকেন পার্লামেন্টে জানান, আইপিএলে কালো টাকা ব্যবহারের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অর্থমন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। এরপরই আয়কর বিভাগের লোকজন অভিযানে অবতীর্ণ হয়। সাহারা গ্রুপ অভিযানের কথা গোপন করতে চাইলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব শুকা বলেছেন, আয়কর বিভাগ তার প্রয়োজনে এটা করছে। সাহারা গ্রুপ কালো টাকার কথা অস্বীকার করেছে।
‘সাহারা পরিবার’ প্রথমেই এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বাংলাদেশের আবাসন শিল্পে। এ জন্য সরকারের সাথে সমঝোতা স্মারক সই হলো। এত বিপুল অর্থ বিনিয়োগ, তা-ও আবাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে, কিন্তু গোড়ায় গলদ দেখা যাচ্ছে। সুব্রত সাহারা অনেক বেদরকারি কথা বললেও তার স্বাক্ষরিত স্মারকের দরকারি বহু কথা প্রকাশ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এ ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য জনগণকে বিস্তারিত জানাতে বলেছে ট্রান্সপারেন্সি বা স্বচ্ছতার স্বার্থে। গণতান্ত্রিক সরকারের বরাবরই জবাবদিহিতা থাকে জনগণের কাছে। এই দায়িত্ববোধ থেকেই স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয় সরকারের কাজেকর্মে। বাংলাদেশে এসবের বালাই নেই অনেক ক্ষেত্রেই। বর্তমান সরকার বহু বিষয়ে রহস্যজনক রাখঢাক করেছে, যেগুলো জাতির জন্য স্পর্শকাতর ইস্যু। বিশেষত ভারতসংশ্লিষ্ট এমন কিছু বিষয়ে জাতীয় সংসদেও কোনো আলোচনা হয়নি। এর ধারাবাহিকতায় যদি সাহারার বিনিয়োগের ব্যাপারে কিছুটা হলেও গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয়, তা হলে জনমনে প্রশ্ন বাড়বে; সরকারের ওপর আস্থা কমবে।
বাংলাদেশে শিল্প উৎপাদন, কর্মসংস্থান, রফতানি বৃদ্ধি, রাজস্ব আয় তথা অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির স্বার্থে দেশী ও বিদেশী, উভয় বিনিয়োগ প্রয়োজন। আমরা বিশেষ কোনো দেশের প্রতি অন্ধ বিদ্বেষম পোষণ অন্যায় মনে করি। তাই ভারত বা আর কোনো নির্দিষ্ট দেশের বিনিয়োগের বিরোধী নই। তবে ‘বন্ধু’ বা ‘পড়শি’ যাই হোক, যত প্রভাবশালী দেশ কিংবা যত বড় কোম্পানি হোক, সবাইকে এ দেশের আইন-কানুন, নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে অবশ্যই। আমাদের সরকার কোনো দেশের কাউকে অন্যায়ভাবে সুযোগ-সুবিধা দেয়ার অধিকার রাখে না। সাহারা গ্রুপসহ ভারত ও অন্যান্য দেশের ব্যাপারে এ নীতিই অবলম্বন করতে হবে। ‘বন্ধু দেশ’ বলে এর ব্যবসায়ীদের প্রাণের সখা ও ত্রাণের কর্তা মনে করার কারণ নেই। ব্যবসায়ীদের কাছে ব্যবসায়ই বড়, মুনাফাই মোক্ষ ও মুখ্য। তা ছাড়া, বিনিয়োগ দেশী বা বিদেশী যাই হোক, বিশেষ কোনো ব্যবসায়ী বা রাজনীতিক, দল বা গোষ্ঠী, দলীয় বা আত্মীয়তার যোগসূত্র ইত্যাদির বদলে দেশ ও জনগণের স্বার্থকে সর্বোর্ধ্বে স্থান দিয়েই সংশ্লিষ্ট সব কিছু বিবেচনা করা সরকারের আইনগত দায়িত্ব।
সুব্রত রায় স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বারবার মামার বাড়ির উল্লেখ করেছেন। এর আগে সাম্প্রতিককালে আমরা বিশেষ করে ট্রানজিটের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বাংলাদেশের কাছে ভারতের ‘মামাবাড়ির আবদার’ বারবার দেখেছি। আর ক্ষমতাসীন সরকার ভারতবান্ধব বলে ওসব অন্যায় আবদার পূরণ হয়ে যায় কি না, তা ভেবে জাতি শঙ্কিত। এ ক্ষেত্রে কিছু অশুভ আলামতও দেখা যায়। তাই সাহারা সুব্রতরা মামাবাড়ির কথা বেশি আওড়ালে ভয় হয়, না জানি আবার কোন্ আবদার ধরে বসেন। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন