মুহাম্মদ নুর“ল হুদা
নিয়ম অনুয়ায়ী পুলিশের কাজ হ”েছ, দেশের আইন-শৃংখলা পরি¯ি’তির স্বাভাবিকতা বজায় রাখা; দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া। দেশের মানুষ প্রত্যাশা করে, নিয়ম মোতাবেক এ কাজগুলো পুলিশ করবে। যখন করে না, তখনই বিপত্তি দেখা দেয়। মানুষ হতাশ হয়। প্রতিবাদী হয়। এ ধরনের ঘটনা দেশে মাঝেমধ্যেই ঘটে থাকে। আগারগাঁওয়ে কর্তব্য পালনকালে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বিবাদ-বিরোধ ও মারধরের ঘটনা, এরপর আদালতে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের একই ধরনের বেপরোয়া আচরণ নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। এর পাশাপাশি পাবনায় কোর্ট হাজতে বিচারাধীন এক আসামির সঙ্গে পুলিশের আচরণও প্রচলিত আইন ও নিয়মের পরিপš’ী। তবে পুলিশ কর্তৃক সংঘটিত এসব ঘটনাকে আমি বি”িছন্ন ঘটনা বলেই অভিহিত করব। পুলিশের দ্বারা এ ধরনের বি”িছন্ন ঘটনা যখন ঘটে তখন মনে করতে হবে, এখানে তত্ত্বাবধায়নের কাজটা সুষ্ঠুভাবে হ”েছ না। একই সঙ্গে প্রশিক্ষণের কোন ঘাটতি রয়েছে কিনাÑ এ বিষয়টিও বিবেচনায় আনা উচিত বলে আমি মনে করি। যে বা যারাই এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ছে, দেখা উচিতÑ তাদের প্রশিক্ষণটা সঠিকভাবে হয়েছে কিনা? যদি না হয়ে থাকে তবে তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যব¯’া করা উচিত। সাধারণভাবে প্রশিক্ষণের সময়সীমা ও দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতাÑ এ দুটি বিষয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে দায়িত্ব পালনের নিমিত্তে পুলিশের একেকটি টিম গঠন করার কথা। এ টিমে যাতে একই ধরনের বয়স, প্রশিক্ষণ বা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গের সমাবেশ না ঘটে, তা নিশ্চিত করা জর“রি। অর্থাৎ চাকরির বয়স, প্রশিক্ষণের ধরন ও অভিজ্ঞতার সমন্বয় ঘটিয়ে টিম গঠনের কাজগুলো করা হলে এ ধরনের পরি¯ি’তি এড়ানো সম্ভব হবে।
একই সঙ্গে পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ার দিকেও আমাদের নজর দেয়া উচিত। পুলিশের মতো সংবেদনশীল একটি পেশায় কাউকে নিয়োগদানের আগে ব্যক্তি হিসেবে তার চরিত্র, নৈতিকতা, শিক্ষা ও মানসিকতা সম্পর্কে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে নেয়া উচিত। এজন্য পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াটি স্ব”ছ হওয়া দরকার। স্বজনপ্রীতি, দলীয় বিবেচনা বা উৎকোচ প্রদানের মাধ্যমে কেউ যদি পুলিশ বিভাগে চাকরি করার সুযোগ পায়, তবে স্বাভাবিকভাবেই তার মন-মানসিকতায় এর একটা প্রভাব পড়বে। আর এর বহিঃপ্রকাশ ঘটবে তার আচার- আচরণ ও কর্মকাণ্ডে। কাজেই ভালো ফল আশা করলে গাছের চারা বাছাইয়ের কাজটাও নিপুণ ও দক্ষতার সঙ্গে করতে হবে। তা না হলে কাক্সিক্ষত ফল যে পাওয়া যাবে নাÑ তা বলাইবাহুল্য। আগারগাঁওয়ে সংবাদকর্মী প্রহারের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত পুলিশ সদস্যদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত। তবে একইসঙ্গে যে ধরনের পরিবেশ, চাপ ও ঝুঁকি নিয়ে আমাদের পুলিশকে কাজ করতে হয়Ñ সেটিও অন্যপক্ষের বিবেচনায় নেয়া উচিত। শুধু পুলিশের বাড়াবাড়ি দেখলেই হবে না; পাশাপাশি আমাদের কথা ও আচরণ সহনশীলতার মাত্রা অতিক্রম করছে কিনাÑ সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কাউকে প্রতিপক্ষ না ভেবে উভয়ে যদি উভয়ের প্রতি সহযোগিতা ও সহমর্মিতা বোধ নিয়ে যার যার দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকে, তবে দৃশ্যপট বদলে
যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
মুহাম্মদ নুর“ল হুদা : পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক
নিয়ম অনুয়ায়ী পুলিশের কাজ হ”েছ, দেশের আইন-শৃংখলা পরি¯ি’তির স্বাভাবিকতা বজায় রাখা; দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া। দেশের মানুষ প্রত্যাশা করে, নিয়ম মোতাবেক এ কাজগুলো পুলিশ করবে। যখন করে না, তখনই বিপত্তি দেখা দেয়। মানুষ হতাশ হয়। প্রতিবাদী হয়। এ ধরনের ঘটনা দেশে মাঝেমধ্যেই ঘটে থাকে। আগারগাঁওয়ে কর্তব্য পালনকালে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বিবাদ-বিরোধ ও মারধরের ঘটনা, এরপর আদালতে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের একই ধরনের বেপরোয়া আচরণ নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। এর পাশাপাশি পাবনায় কোর্ট হাজতে বিচারাধীন এক আসামির সঙ্গে পুলিশের আচরণও প্রচলিত আইন ও নিয়মের পরিপš’ী। তবে পুলিশ কর্তৃক সংঘটিত এসব ঘটনাকে আমি বি”িছন্ন ঘটনা বলেই অভিহিত করব। পুলিশের দ্বারা এ ধরনের বি”িছন্ন ঘটনা যখন ঘটে তখন মনে করতে হবে, এখানে তত্ত্বাবধায়নের কাজটা সুষ্ঠুভাবে হ”েছ না। একই সঙ্গে প্রশিক্ষণের কোন ঘাটতি রয়েছে কিনাÑ এ বিষয়টিও বিবেচনায় আনা উচিত বলে আমি মনে করি। যে বা যারাই এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ছে, দেখা উচিতÑ তাদের প্রশিক্ষণটা সঠিকভাবে হয়েছে কিনা? যদি না হয়ে থাকে তবে তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যব¯’া করা উচিত। সাধারণভাবে প্রশিক্ষণের সময়সীমা ও দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতাÑ এ দুটি বিষয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে দায়িত্ব পালনের নিমিত্তে পুলিশের একেকটি টিম গঠন করার কথা। এ টিমে যাতে একই ধরনের বয়স, প্রশিক্ষণ বা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গের সমাবেশ না ঘটে, তা নিশ্চিত করা জর“রি। অর্থাৎ চাকরির বয়স, প্রশিক্ষণের ধরন ও অভিজ্ঞতার সমন্বয় ঘটিয়ে টিম গঠনের কাজগুলো করা হলে এ ধরনের পরি¯ি’তি এড়ানো সম্ভব হবে।
একই সঙ্গে পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ার দিকেও আমাদের নজর দেয়া উচিত। পুলিশের মতো সংবেদনশীল একটি পেশায় কাউকে নিয়োগদানের আগে ব্যক্তি হিসেবে তার চরিত্র, নৈতিকতা, শিক্ষা ও মানসিকতা সম্পর্কে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে নেয়া উচিত। এজন্য পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াটি স্ব”ছ হওয়া দরকার। স্বজনপ্রীতি, দলীয় বিবেচনা বা উৎকোচ প্রদানের মাধ্যমে কেউ যদি পুলিশ বিভাগে চাকরি করার সুযোগ পায়, তবে স্বাভাবিকভাবেই তার মন-মানসিকতায় এর একটা প্রভাব পড়বে। আর এর বহিঃপ্রকাশ ঘটবে তার আচার- আচরণ ও কর্মকাণ্ডে। কাজেই ভালো ফল আশা করলে গাছের চারা বাছাইয়ের কাজটাও নিপুণ ও দক্ষতার সঙ্গে করতে হবে। তা না হলে কাক্সিক্ষত ফল যে পাওয়া যাবে নাÑ তা বলাইবাহুল্য। আগারগাঁওয়ে সংবাদকর্মী প্রহারের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত পুলিশ সদস্যদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত। তবে একইসঙ্গে যে ধরনের পরিবেশ, চাপ ও ঝুঁকি নিয়ে আমাদের পুলিশকে কাজ করতে হয়Ñ সেটিও অন্যপক্ষের বিবেচনায় নেয়া উচিত। শুধু পুলিশের বাড়াবাড়ি দেখলেই হবে না; পাশাপাশি আমাদের কথা ও আচরণ সহনশীলতার মাত্রা অতিক্রম করছে কিনাÑ সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কাউকে প্রতিপক্ষ না ভেবে উভয়ে যদি উভয়ের প্রতি সহযোগিতা ও সহমর্মিতা বোধ নিয়ে যার যার দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকে, তবে দৃশ্যপট বদলে
যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
মুহাম্মদ নুর“ল হুদা : পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন