মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন
দেশে এখন কে কোথায় কিভাবে খুন হ”েছন বা হবেন, তার হিসাব রাখাই মুশকিল হয়ে পড়েছে! এসব খুনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে আছে বাস, মিনিবাস, ট্রাকচালকরা। কখন কোন পরিবহন শ্রমিক কার গায়ের ওপর কিভাবে গাড়ি চাপিয়ে দেবেন, দেশজুড়ে তারই যেন প্রতিযোগিতা চলছে। গত শুক্রবার সকাল ৭টায় গুলশান থেকে উত্তরা আসতে এয়ারপোর্ট রোডে রিজেন্সি হোটেলের সামনে দেখলাম ১০-১২টি বাস-মিনিবাস তালগোল পাকিয়ে সম্পূর্ণ রাস্তা ব্লক করে রেখেছে। ছুটির দিনে সকালে রাস্তা মোটামুটি ফাঁকা থাকায় একটু স্পিডে চলা আমার গাড়িটিকে হঠাৎ ব্রেক কষে পরি¯ি’তি সামাল দিতে হল। কিš‘ বাস-মিনিবাসগুলো আড়াআড়ি করে রাখায় আমার ছোট্ট গাড়িটি বের করে এগিয়ে চলার একটু জায়গাও খুঁজে পাওয়া গেল না। ১৬ থেকে ১৮ বছরের একেকজন ড্রাইভারের প্রায় প্রত্যেকেই মুখে সিগারেট গুঁজে রাস্তাটাকে একান্তই নিজের করে নিয়েছেন এবং তাদের হেলপাররা ডাকাডাকি, হাঁকাহাঁকির প্রতিযোগিতা করে যাত্রী উঠা”েছন। এভাবে কিছুক্ষণ পর একটি গাড়ি সরে গেলে কোনমতে আমরা বেরিয়ে এলাম। এই হল এয়ারপোর্ট রোডের মতো একটি গুর“ত্বপূর্ণ রাস্তার অব¯’া! এভাবে রাস্তা ব্লক করে দেশজুড়েই এসব প্রাপ্ত-অপ্রাপ্তবয়স্ক হাজার হাজার ড্রাইভার দিনরাত যে রাস্তাঘাটে অনাচার, অত্যাচার এবং দুর্ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য। তাদের একেকজনের শারীরিক ভাষা, মুখের ভাষা এমনই ভয়ংকর যে, তা দেখলে বা শুনলে মানুষ দূরের কথা, ভূত পর্যন্ত পালায়। রাস্তার মাঝখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠানো-নামানো, ভয়ংকর গতিতে গাড়ি চালানো, মোড় ঘোরানো, ওভারটেকিং করা তাদের নিত্যদিনের খেলা। আর এসব ড্রাইভার-হেলপারের গুর“ হলেন আমাদের বর্তমান নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। শাজাহান খান ছাড়াও সরকারি দল, বিরোধী দলে আরও অনেক ব্যক্তি আছেন, যারা ওইসব পরিবহন শ্রমিকের অপকর্মকে পুঁজি করে বড় বড় রাজনৈতিক নেতা হয়ে বসেছেন। ওইসব পরিবহন শ্রমিক খামখেয়ালি করে নৃশংসভাবে রাস্তাঘাটে মানুষ খুন করার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের নেতারা খুনি ড্রাইভারদের পক্ষে সাফাই গাওয়া শুর“ করেন এবং গাড়ির দোষ, রাস্তার দোষ ইত্যাদি দোহাই দিয়ে খুনিদের রক্ষায় সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। এভাবে থানা পুলিশের সঙ্গে তদবির-দালালি করে যিনি যত বেশি খুনি ড্রাইভারকে রক্ষা করতে পারেন, তিনিই তত বড় পরিবহন শ্রমিক নেতা হয়ে যান। কথা হল, পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিš‘ তা নিছকই দুর্ঘটনা হওয়া উচিত এবং তা কালেভদ্রেই হতে পারে। কিš‘ এ দেশে যা হ”েছ, তা দুর্ঘটনা না হয়ে নিত্যনৈমিত্তিক খুনই হ”েছ বলা যায়। পরিবহন শ্রমিকরা সুসংগঠিত সংগঠনের সুযোগ এবং তাদের নেতাদের একতরফা আশীর্বাদ নিয়ে দিনরাত রাস্তাঘাটে অনিয়ম, বিশৃংখলা এবং গায়ের জোর প্রদর্শনের মাধ্যমে দুর্ঘটনার নামে একেকটি খুনের ঘটনা ঘটিয়ে গোঁফের নিচে মুচকি হাসি দি”েছন। কারণ দেশের প্রচলিত আইনে তারা ধরাছোঁয়ার ঊর্ধ্বে থাকায় এবং শ্রমিক নামধারী হাজার হাজার উ”ছৃংখল কিশোর-যুবকের সংগঠনসহ প্রতিটি সরকারেরই উ”চপদে তাদের নেতা থাকায়, তারা কোনরূপ নিয়ম-নীতি, নৈতিকতার তোয়াক্কা না করে অনায়াসে অপকর্ম অব্যাহত রেখেছেন। এসব শ্রমিক সংগঠন এবং তাদের নেতারা আবার চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে আর্থিকভাবে এতটাই শক্তিশালী যে, টাকার জোরেও তারা অনেক কিছু করে ফেলেন। আবার রাজনীতিতেও তাদের ভীষণ কদর! মনে পড়ে, এরশাদ সরকারের আমলে এসব উ”ছৃংখল ড্রাইভার, যারা রাস্তাঘাটে দুর্ঘটনার নামে মানুষ হত্যা করে, তাদের বির“দ্ধে উপযুক্ত শাস্তির বিধানসংবলিত আইন করতে গেলে আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলই সে আইন প্রণয়নের বিরোধিতা করে রাস্তায় নেমেছিল। ফলে আজ পর্যন্ত কোন সরকারের পক্ষেই খুনি ড্রাইভারদের বির“দ্ধে উপযুক্ত আইন করা সম্ভব হয়নি। কারণ বর্তমান সরকারে যেমন শাজাহান খান আছেন, তেমনি সব সরকারের আমলেই অমন দু-চারজন থেকেই থাকেন। আর এসব পরিবহন শ্রমিক নেতা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল এবং পরিচালনার ক্ষেত্রে এতটাই অপরিহার্য যে, কোন সরকারই তাদের বাদ দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব কল্পনা করতে পারে না। নির্বাচনের সময় এমপি পদে মনোনয়ন থেকে শুর“ করে দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে পেশাদার মাস্তানদের প্রাধান্যের কারণেই দেশে আজ কে কোথায় কিভাবে খুন হবেন, তার প্রতিযোগিতা চলছে। এসব অপশক্তি ব্যবহারে সরকারি দল, বিরোধী দল উভয়েই সমভাবে পারদর্শী। এ পারদর্শিতায় যে দল বেশি এগিয়ে থাকে, তাদেরই জয়জয়কার হয় এবং সে জয়ের তিলক মাথায় নিয়েই একেকটি দল সরকার গঠন করে। আর সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত জানেন যে, এসব অপশক্তির অত্যাচারে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ। বর্তমানে দেশের প্রতিটি পরিবারই এই ভেবে শংকিত যে, তাদের কেউ রাস্তায় বের হলেই সড়ক দুর্ঘটনা নামক খুনের শিকার হবেন! কিছুদিন আগে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পাবনা যাওয়ার পথে একটি বাসের সঙ্গে তার গাড়ির সংঘর্ষ হয়। সঙ্গে থাকা পাইলট কারের পুলিশ সে বাস ড্রাইভারকে আটক করলেও তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ায় প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। আবার মাত্র কয়েক দিন আগে নৌপরিবহনমন্ত্রী নিজ জেলায় গিয়ে একইভাবে বাসের সঙ্গে নিজ গাড়ির দুর্ঘটনার শিকার হন এবং তিনি সামান্য আহত হলেও তার সঙ্গী অপরজন গুর“তর আহত হন। এ অব¯’ায় সাধারণ নাগরিক যারা ছোটখাটো গাড়িতে, হেঁটে বা রিকশা ইত্যাদিতে পথ চলেন, তাদের অব¯’া কী, তা সহজেই অনুমেয়। তারা যে দিনরাত দুর্ঘটনার নামে খুনের শিকার হ”েছন, এখন আর তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ যেসব ড্রাইভার মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীর গাড়িতেও আঘাত হানতে কসুর করেন না, তারা যে সাধারণ মানুষকে যমদূতের মতো রাস্তায় পিষ্ট করে হত্যা করবেন, নিত্যদিনের ঘটনায় সে কথাই তারা প্রমাণ করছেন। উপসংহারে তাই নৌপরিবহনমন্ত্রী তথা ড্রাইভার সাহেবদের নেতা মহোদয়কে একটি বিনীত প্রশ্ন করবÑ ‘আপনার সংগঠনের ড্রাইভার সাহেবরা নিত্যদিন দুর্ঘটনার নামে যেসব খুনখারাবি করে চলেছেন, তাতে আপনি অংশীদার হয়ে যা”েছন না তো?’
মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন : মুক্তিযোদ্ধা, কলামিস্ট
দেশে এখন কে কোথায় কিভাবে খুন হ”েছন বা হবেন, তার হিসাব রাখাই মুশকিল হয়ে পড়েছে! এসব খুনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে আছে বাস, মিনিবাস, ট্রাকচালকরা। কখন কোন পরিবহন শ্রমিক কার গায়ের ওপর কিভাবে গাড়ি চাপিয়ে দেবেন, দেশজুড়ে তারই যেন প্রতিযোগিতা চলছে। গত শুক্রবার সকাল ৭টায় গুলশান থেকে উত্তরা আসতে এয়ারপোর্ট রোডে রিজেন্সি হোটেলের সামনে দেখলাম ১০-১২টি বাস-মিনিবাস তালগোল পাকিয়ে সম্পূর্ণ রাস্তা ব্লক করে রেখেছে। ছুটির দিনে সকালে রাস্তা মোটামুটি ফাঁকা থাকায় একটু স্পিডে চলা আমার গাড়িটিকে হঠাৎ ব্রেক কষে পরি¯ি’তি সামাল দিতে হল। কিš‘ বাস-মিনিবাসগুলো আড়াআড়ি করে রাখায় আমার ছোট্ট গাড়িটি বের করে এগিয়ে চলার একটু জায়গাও খুঁজে পাওয়া গেল না। ১৬ থেকে ১৮ বছরের একেকজন ড্রাইভারের প্রায় প্রত্যেকেই মুখে সিগারেট গুঁজে রাস্তাটাকে একান্তই নিজের করে নিয়েছেন এবং তাদের হেলপাররা ডাকাডাকি, হাঁকাহাঁকির প্রতিযোগিতা করে যাত্রী উঠা”েছন। এভাবে কিছুক্ষণ পর একটি গাড়ি সরে গেলে কোনমতে আমরা বেরিয়ে এলাম। এই হল এয়ারপোর্ট রোডের মতো একটি গুর“ত্বপূর্ণ রাস্তার অব¯’া! এভাবে রাস্তা ব্লক করে দেশজুড়েই এসব প্রাপ্ত-অপ্রাপ্তবয়স্ক হাজার হাজার ড্রাইভার দিনরাত যে রাস্তাঘাটে অনাচার, অত্যাচার এবং দুর্ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য। তাদের একেকজনের শারীরিক ভাষা, মুখের ভাষা এমনই ভয়ংকর যে, তা দেখলে বা শুনলে মানুষ দূরের কথা, ভূত পর্যন্ত পালায়। রাস্তার মাঝখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠানো-নামানো, ভয়ংকর গতিতে গাড়ি চালানো, মোড় ঘোরানো, ওভারটেকিং করা তাদের নিত্যদিনের খেলা। আর এসব ড্রাইভার-হেলপারের গুর“ হলেন আমাদের বর্তমান নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। শাজাহান খান ছাড়াও সরকারি দল, বিরোধী দলে আরও অনেক ব্যক্তি আছেন, যারা ওইসব পরিবহন শ্রমিকের অপকর্মকে পুঁজি করে বড় বড় রাজনৈতিক নেতা হয়ে বসেছেন। ওইসব পরিবহন শ্রমিক খামখেয়ালি করে নৃশংসভাবে রাস্তাঘাটে মানুষ খুন করার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের নেতারা খুনি ড্রাইভারদের পক্ষে সাফাই গাওয়া শুর“ করেন এবং গাড়ির দোষ, রাস্তার দোষ ইত্যাদি দোহাই দিয়ে খুনিদের রক্ষায় সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। এভাবে থানা পুলিশের সঙ্গে তদবির-দালালি করে যিনি যত বেশি খুনি ড্রাইভারকে রক্ষা করতে পারেন, তিনিই তত বড় পরিবহন শ্রমিক নেতা হয়ে যান। কথা হল, পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিš‘ তা নিছকই দুর্ঘটনা হওয়া উচিত এবং তা কালেভদ্রেই হতে পারে। কিš‘ এ দেশে যা হ”েছ, তা দুর্ঘটনা না হয়ে নিত্যনৈমিত্তিক খুনই হ”েছ বলা যায়। পরিবহন শ্রমিকরা সুসংগঠিত সংগঠনের সুযোগ এবং তাদের নেতাদের একতরফা আশীর্বাদ নিয়ে দিনরাত রাস্তাঘাটে অনিয়ম, বিশৃংখলা এবং গায়ের জোর প্রদর্শনের মাধ্যমে দুর্ঘটনার নামে একেকটি খুনের ঘটনা ঘটিয়ে গোঁফের নিচে মুচকি হাসি দি”েছন। কারণ দেশের প্রচলিত আইনে তারা ধরাছোঁয়ার ঊর্ধ্বে থাকায় এবং শ্রমিক নামধারী হাজার হাজার উ”ছৃংখল কিশোর-যুবকের সংগঠনসহ প্রতিটি সরকারেরই উ”চপদে তাদের নেতা থাকায়, তারা কোনরূপ নিয়ম-নীতি, নৈতিকতার তোয়াক্কা না করে অনায়াসে অপকর্ম অব্যাহত রেখেছেন। এসব শ্রমিক সংগঠন এবং তাদের নেতারা আবার চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে আর্থিকভাবে এতটাই শক্তিশালী যে, টাকার জোরেও তারা অনেক কিছু করে ফেলেন। আবার রাজনীতিতেও তাদের ভীষণ কদর! মনে পড়ে, এরশাদ সরকারের আমলে এসব উ”ছৃংখল ড্রাইভার, যারা রাস্তাঘাটে দুর্ঘটনার নামে মানুষ হত্যা করে, তাদের বির“দ্ধে উপযুক্ত শাস্তির বিধানসংবলিত আইন করতে গেলে আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলই সে আইন প্রণয়নের বিরোধিতা করে রাস্তায় নেমেছিল। ফলে আজ পর্যন্ত কোন সরকারের পক্ষেই খুনি ড্রাইভারদের বির“দ্ধে উপযুক্ত আইন করা সম্ভব হয়নি। কারণ বর্তমান সরকারে যেমন শাজাহান খান আছেন, তেমনি সব সরকারের আমলেই অমন দু-চারজন থেকেই থাকেন। আর এসব পরিবহন শ্রমিক নেতা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল এবং পরিচালনার ক্ষেত্রে এতটাই অপরিহার্য যে, কোন সরকারই তাদের বাদ দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব কল্পনা করতে পারে না। নির্বাচনের সময় এমপি পদে মনোনয়ন থেকে শুর“ করে দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে পেশাদার মাস্তানদের প্রাধান্যের কারণেই দেশে আজ কে কোথায় কিভাবে খুন হবেন, তার প্রতিযোগিতা চলছে। এসব অপশক্তি ব্যবহারে সরকারি দল, বিরোধী দল উভয়েই সমভাবে পারদর্শী। এ পারদর্শিতায় যে দল বেশি এগিয়ে থাকে, তাদেরই জয়জয়কার হয় এবং সে জয়ের তিলক মাথায় নিয়েই একেকটি দল সরকার গঠন করে। আর সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত জানেন যে, এসব অপশক্তির অত্যাচারে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ। বর্তমানে দেশের প্রতিটি পরিবারই এই ভেবে শংকিত যে, তাদের কেউ রাস্তায় বের হলেই সড়ক দুর্ঘটনা নামক খুনের শিকার হবেন! কিছুদিন আগে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পাবনা যাওয়ার পথে একটি বাসের সঙ্গে তার গাড়ির সংঘর্ষ হয়। সঙ্গে থাকা পাইলট কারের পুলিশ সে বাস ড্রাইভারকে আটক করলেও তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ায় প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। আবার মাত্র কয়েক দিন আগে নৌপরিবহনমন্ত্রী নিজ জেলায় গিয়ে একইভাবে বাসের সঙ্গে নিজ গাড়ির দুর্ঘটনার শিকার হন এবং তিনি সামান্য আহত হলেও তার সঙ্গী অপরজন গুর“তর আহত হন। এ অব¯’ায় সাধারণ নাগরিক যারা ছোটখাটো গাড়িতে, হেঁটে বা রিকশা ইত্যাদিতে পথ চলেন, তাদের অব¯’া কী, তা সহজেই অনুমেয়। তারা যে দিনরাত দুর্ঘটনার নামে খুনের শিকার হ”েছন, এখন আর তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ যেসব ড্রাইভার মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীর গাড়িতেও আঘাত হানতে কসুর করেন না, তারা যে সাধারণ মানুষকে যমদূতের মতো রাস্তায় পিষ্ট করে হত্যা করবেন, নিত্যদিনের ঘটনায় সে কথাই তারা প্রমাণ করছেন। উপসংহারে তাই নৌপরিবহনমন্ত্রী তথা ড্রাইভার সাহেবদের নেতা মহোদয়কে একটি বিনীত প্রশ্ন করবÑ ‘আপনার সংগঠনের ড্রাইভার সাহেবরা নিত্যদিন দুর্ঘটনার নামে যেসব খুনখারাবি করে চলেছেন, তাতে আপনি অংশীদার হয়ে যা”েছন না তো?’
মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন : মুক্তিযোদ্ধা, কলামিস্ট
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন