রবিবার, ২৭ মে, ২০১২

আওয়ামী লীগের শক্তি ও দুর্বলতার উৎস একই


আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
গত মাসে (এপ্রিল) প্রায় কুড়ি দিন সিঙ্গাপুরে অবস্থানের সময় একটি অভাবিত প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলাম। প্রশ্নটি করেছিলেন সিঙ্গাপুরের এক আইনজীবী চন্দ্রমোহন। তিনি শুধু আইনজীবী নন, সিঙ্গাপুরের পার্লামেন্ট সদস্যও। একটি বহুতল বিল্ডিংয়ে তার অফিসে বসে গল্প করছিলাম। সিঙ্গাপুরের রাজনীতি, লীকুয়ান কেমন ব্যক্তি ছিলেন ইত্যাদি নিয়ে আলাপ। হঠাৎ তিনি প্রশ্ন করলেন, আচ্ছা আওয়ামী লীগ তো শুনেছি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং প্রধান গণতান্ত্রিক দল। এখন তো এই দলটিই ক্ষমতায়। এই দলের নেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ক্ষমতায় বসার তিন বছর না যেতেই নাকি দলটির জনপ্রিয়তায় ভাটার টান ধরেছে। আমাকে বলতে পারেন, এত বড় দলের শক্তি এবং দুর্বলতার আসল উৎস কী? কী শক্তির জোরে দলটি ষাট বছরের ওপর টিকে আছে? আবার কী দুর্বলতার জন্য দলটি ক্ষমতায় বসতে না বসতেই এত শিগগিরই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে? আমি বিদেশে বসে এমন একটি প্রশ্ন শোনার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না, এমনকি এমন প্রশ্নের জবাব দেয়ার প্রস্তুতিও আমার ছিল না। কিন্তু ভাবতে বসে সহসাই মাথায় একটা জবাব এলো। আমি তাকে বললাম, বর্তমান আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস শেখ হাসিনা। আবার দলটির দুর্বলতার কারণও তিনিই। আমার কথা শুনে চন্দ্রমোহন বিস্মিত হলেন। বললেন, বলেন কী? শেখ হাসিনা দলের শক্তি এবং দুর্বলতা দু’য়েরই কারণ এটা হতে পারে কি? আমাকে একটু বুঝিয়ে বলুন। সিঙ্গাপুরে বসে সেদিন চন্দ্রমোহন বাবুকে যে কথা বলেছিলাম, আজ সেসব কথাই একটু গুছিয়ে লিখতে বসেছি। আমি এখনও বিশ্বাস করি ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় নেতাদের হত্যাকাÊের পর সামরিক শাসনের যাঁতাকলে যখন দেশের মানুষের শ্বাসর“দ্ধ, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বহীন, কর্মীরা নির্যাতিত এবং জেলে বন্দি ও অবশিষ্ট নেতাদের অনেকেই পলাতক অথবা নিষ্ক্রিয়, তখন সেনাশাসকরা ভেবেছিলেন আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়ে গেছে, আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।
প্রথম দিকে আওয়ামী লীগ দাঁড়াতে পারেনি। নেতৃত্বের দ্ব›দ্ব, সাহসের অভাব, কারও কারও সুযোগ সন্ধানী মনোভাব প্রভৃতি নানা কারণে আওয়ামী লীগ মাথা তুলতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর নামোচ্চারণও তখন নিষিদ্ধ। কিন্তু এই বঙ্গবন্ধুর নামের তাবিজই আওয়ামী লীগের দেহে মৃতসঞ্জীবনীর কাজ করেছে। রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ, একেবারেই সাদাসিধে একজন গৃহবধূ শেখ হাসিনা, শুধু বঙ্গবন্ধুর কন্যা এই পরিচয়টি নিয়ে আশির দশকের গোড়ায় বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এসে সবার অনুরোধে যেদিন আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণ করলেন, সেদিন শুধু আওয়ামী লীগের মরা গাঙেই বান ডাকেনি, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শুষ্ক খালেও তার ঢেউ এসে লাগে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ নতুনভাবে সংগঠিত হয়েছে। পুরনো ও নতুন নেতৃত্বের সংমিশ্রণে আওয়ামী লীগ নতুন কাঠামো গ্রহণ করেছে। মূল কাঠামো বজায় রেখে আগের নীতিমালাও কিছু কিছু পরিবর্তিত হয়েছে। রাজনীতিতে প্রায় অনভিজ্ঞ শেখ হাসিনা সামরিক শাসকদের ক্রমাগত বাধাদানের নীতির মুখে আওয়ামী লীগকে যেভাবে পুনর্গঠিত করেন, সাংগঠনিক শক্তির পরিচয় দেন, তা ছিল বিস্ময়কর।
দলের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও শুধু দলের বাইরে থেকে নয়, ভেতর থেকেও তাকে ভয়ঙ্কর সব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে। দলের ভেতরে তার পিতৃবন্ধু ও সহকর্মীদের অনেকে বৈরাম খাঁ সেজে কৌশলে হাসিনাকে দলের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে নিজেরা নেতা হতে চেয়েছেন। হাসিনার সাহস, প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব ও রাজনৈতিক কৌশলের কাছে তারা একে একে পরাজিত হয়েছেন। এই পরাজিত বৈরাম খাঁদের মধ্যে আš—র্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিরাও আছেন। সম্রাট আকবর তার পিতৃবন্ধু ও অভিভাবক বৈরাম খাঁকে কৌশলে গুপ্তঘাতক দিয়ে হত্যা করিয়েছিলেন। হাসিনা তার ভুয়া অভিভাবক যারা সেজেছিলেন তাদের গুপ্তহত্যার শিকার করেননি; রাজনীতির প্রকাশ্য যুদ্ধের মাঠেই তাদের সব চক্রাš— ব্যর্থ করে দিয়েছেন। তারা সবাই এখন হারাধনের দশটি ছেলের একেক ছেলে।
বিরোধী দলের নেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা অসাধারণ সাহস ও সাফল্যের প্রমাণ দিয়েছেন। ¯ৈ^রাচারবিরোধী আন্দোলনে তার গুলির মুখে দাঁড়ানো ছাড়াও কোন কোন প্রবীণ নেতার মতো মাঠ ছেড়ে পলায়ন না করার নীতি তাকে দলীয় নেত্রী থেকে জননেত্রীতে রূপাš—র করেছে। ’৯১ সালের নির্বাচনে সামান্য ভোটের ব্যবধানে তার দল পরাজিত হলেও তার দৃঢ়তা ও দাবির মুখে জয়ী বিএনপিকে দেশকে সংসদীয় প্রথায় ফিরিয়ে নিতে রাজি হতে হয়। এদিক থেকে বলা যায়, বাংলাদেশে প্রকৃত সংসদীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তক শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগই। অবশ্যই আওয়ামী লীগের এই সাফল্যের পেছনে দেশের ছোটবড় বাম ও গণতান্ত্রিক দলগুলোরও সমর্থন ছিল।
সামরিক ছাউনিতে জš§ নেয়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রধান দল বিএনপির মধ্যে সব সময়ই মুসলিম লীগের মতো একটি ¯ৈ^রাচারী দলে পরিণত হওয়ার প্রবণতা ছিল। গত শতকের কুড়ি ও ত্রিশের দশকে ইউরোপের জার্মানি ও ইতালিতে ফ্যাসিবাদী দলগুলো নির্বাচনে অংশ নিয়ে ক্ষমতায় গিয়ে ¯ৈ^রাচারী চেহারা ধারণ করেছিল। বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে সামান্য আসনের ব্যবধানে সাধারণ নির্বাচনে জিতে  ক্ষমতায় বসার পর বিএনপিও ¯ৈ^রাচারী মূর্তি ধারণ করতে যাচ্ছিল। সংসদের ভেতরে-বাইরে আন্দোলন ও লড়াই দ্বারা হাসিনা এই ¯ৈ^রাচারকে ঠেকিয়েছেন। বিএনপির জালিয়াতির উপনির্বাচন ও নির্বাচন দুই-ই ব্যর্থ করে দিয়েছেন।
বিএনপি একটি নির্বাচিত সরকার হওয়া সত্তে¡ও ১৯৯৬ সালে গণআন্দোলনের মুখে তাকে ¶মতা ত্যাগ করতে হয়েছিল। এই সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়, তার শক্তি ও ঐক্য ছিল অভ‚তপূর্ব। জনতার আন্দোলনে সরকারি কর্মচারীরাও এসে যোগ দিয়েছিল। বিএনপির ¶মতা লাভের পর থেকেই যারা বলতে শুর“ করেছিলেন, আওয়ামী লীগ একটি আনইলেকটেবল পার্টি, আর কোন দিন নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে না, তাদের মুখে ছাই দিয়ে ১৯৯৬ সালেই শেখ হাসিনা নির্বাচনে জয়ী হয়ে দীর্ঘ একুশ বছর পর আবার আওয়ামী লীগকে ¶মতায় ফিরিয়ে আনেন। আওয়ামী লীগের অনেক প্রবীণ নেতাই যখন মৃত, নিষ্ক্রিয় অথবা দলত্যাগী, ড. কামাল হোসেনের মতো নেতাও যখন হাসিনার সঙ্গে নেই, তখন বলতে গেলে প্রায় তার একক নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আবার নির্বাচনে জয়ী হবে এবং ¶মতায় ফিরবেÑ এটা ছিল প্রায় অবিশ্বাস্য ঘটনা। 
নির্বাচন-জয় এবং ¶মতায় বসার পরও সরকার-পরিচালনা শেখ হাসিনার জন্য একটি সহজ ব্যাপার ছিল না। সম্মিলিত প্রতিপ¶ের চাপ ও চক্রাšে—র মোকাবেলায় তাকে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করতে হয় এবং বিভক্ত জাসদের একজন মুজিববিরোধী নেতা আ স ম আবদুর রবকেও মন্ত্রিসভায় গ্রহণ করতে হয়। এরশাদের জাতীয় পার্টির সঙ্গেও মিতালি করতে হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকেই বাংলাদেশে সিভিল-মিলিটারি ব্যুরোক্রেসির একটি শক্তিশালী এ·িস গড়ে ওঠে। এটা ছিল বহুকাল পর্যš— প্রচÊভাবে আওয়ামী লীগবিরোধী। প্রশাসন যখন এই অপশক্তির কবলে এবং প্রায় বিপরীতমুুখী সদস্যদের দ্বারা গঠিত, তখন এক ধরনের কোয়ালিশনের প্রধান পদে বসে হাসিনার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যাওয়া ছিল এক অসম্ভব ব্যাপার। তবু শেখ হাসিনা যতটা সম্ভব এগিয়ে গেছেন। এটা ছিল তার জন্য এক অচিš—নীয় ব্যাপার। ব্রিটেনেও কনজারভেটিভ এবং লিবারেল ডেমোক্র্যাট এই দুটি বিপরীতমুখী আদর্শের দলের কোয়ালিশন সরকারের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে কনজারভেটিভ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন মাত্র দেড় দুই বছরেই হিমশিম খাচ্ছেন এবং তার সরকারের জনসমর্থন প্রায় তলানিতে এসে পৌঁছেছে। সেখানে শেখ হাসিনার মতো একজন নেত্রীর প¶ে তার প্রথম দফার অনভিজ্ঞ প্রধানমন্ত্রিত্বের আমলে জাসদ (রব) এবং জাতীয় পার্টির মতো দলের সঙ্গে ঐক্য বজায় রেখে পুরো মেয়াদে সরকারের অ¯ি—ত্ব টিকিয়ে রাখা এবং সেক্যুলারিজম ও গণতন্ত্রের পথে দেশকে যতটা সম্ভব ফিরিয়ে আনা কম বড় কৃতিত্বের কথা নয়। এই কৃতিত্বকে যারা খাটো করে দেখতে চান, তারা জ্ঞানপাপী।
প্রথম দফায় ¶মতায় বসেই শেখ হাসিনা প্রথম যে দুটি কাজ করেন, তা ছিল অনেকের কাছে শুধু সাহসী নয়, একজন প্রাজ্ঞ রাজনৈতিক নেতার কাজ। তিনি বিএনপির মতো রাষ্ট্রপতির পদে ক্রীড়নক ও রাজাকার না বসিয়ে, এমনকি দলীয় লোককেও মনোনীত না করে বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের মতো তখনকার একজন সর্বজনশ্রদ্ধেয় নিরপে¶ ব্যক্তিত্বকে ওই পদে বসিয়ে দেশের মানুষের অভ‚তপূর্ব সমর্থন লাভ করেছিলেন। শুধু রাষ্ট্রপতি পদে নয়, মন্ত্রিসভার সদস্যপদেও তিনি এবারের মতো অনভিজ্ঞ, জ্বি হুজুর না খুঁজে যোগ্য ও অভিজ্ঞ ব্যক্তি খুঁজেছেন। শাহ মোহাম্মদ কিবরিয়ার মতো সাবেক যোগ্য ব্যুরোক্র্যাটকে অর্থমন্ত্রী পদে নিয়োগ তার প্রমাণ।
¶মতায় বসেই বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় নেতাদের ঘাতকদের গ্রেফতার ও বিচারের ব্যবস্থা শেখ হাসিনার একটি অসম সাহসী কাজ। এ কাজটি করতে গিয়ে তিনি তার নিজের জীবনের নিরাপত্তা ও তার সরকারের অ¯ি—ত্বকে এক বিরাট ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন। এ ¶েত্রেও তিনি প্রতিশোধস্পৃহার পরিচয় দেননি। বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের বিচারের জন্য স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন না করে এবং তড়িঘড়ি তাদের শা¯ি— না দিয়ে তিনি দেশের সাধারণ বিচারব্যবস্থায় প্রকাশ্য বিচারের ব্যবস্থা করেছিলেন।
আজ এ কথা ¯^ীকার করতে আমার দ্বিধা নেই, প্রথম দফায় দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে শেখ হাসিনা যে প্রজ্ঞা, সাহস এবং দলপ্রেমের ঊর্ধ্বে উঠে দেশপ্রেমের পরিচয় দেখাতে পেরেছেন, দ্বিতীয় দফায় ¶মতায় এসে বলতে গেলে বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে তা দেখাতে পারেননি। প্রথম দফার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিতীয় দফার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরাট পার্থক্য। এই পার্থক্য বিচার করলেই দেখা যাবে শেখ হাসিনা ছাড়া যেমন আওয়ামী লীগের ঐক্য ও অ¯ি—ত্ব র¶া পেত না এবং তিনি এখনও দলটির ঐক্য ও শক্তির উৎস, তেমনি বর্তমানে দলটির যে বেহাল অবস্থা এবং আওয়ামী সরকারও যে ক্রমেই তার জনপ্রিয়তা ও শক্তি হারাচ্ছে, তারও মূল কারণ শেখ হাসিনা অর্থাৎ তিনি আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্বলতারও মূল উৎস।
আগেই বলেছি, গৃহবধূ শেখ হাসিনা সাহসের সঙ্গে রাজনীতিতে এগিয়ে এসে আওয়ামী লীগের হাল না ধরলে হয়তো দলটির অ¯ি—ত্ব থাকত না। কিন্তু আজ আবার তার একক নেতৃত্ব ও সিদ্ধাš— দল ও দলীয় সরকারের জন্য শক্তির বদলে দুর্বলতা ও অনৈক্যের ফাটল সৃষ্টি করে চলেছে। অথচ শেখ হাসিনার দুই দফার সরকারের সাফল্য অনেক। প্রথম দফায় ঐতিহাসিক পার্বত্য শাšি— চুক্তি, গঙ্গার পানির হিস্যা আদায়ে সাফল্য, পররাষ্ট্রনীতির ¶েত্রে মার্কিন বৈরিতা দূর করা, চীনের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং দ্বিতীয় দফায় মৌলবাদী সন্ত্রাস দমন ও ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ গ্রহণ, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা র¶ায় সম্ভবপর ভ‚মিকা গ্রহণ, শি¶া ও কৃষি ¶েত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প­াস পয়েন্ট। তার জীবনের ওপর ছোট-বড় যত হামলা হয়েছে (গ্রেনেড হামলাসহ) তার একটিও বেগম খালেদা জিয়াসহ অন্য কোন নেতার ওপর হলে তারা হয়তো রাজনীতি থেকেই সরে দাঁড়াতেন। শেখ হাসিনা সরে দাঁড়াননি। এই সাহসই তার শক্তির উৎস।
কিন্তু তার দুর্বলতার উৎসগুলো কী? যা আজ তার দলের এবং সরকারেরও দুর্বলতা এবং সম্ভাব্য বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে সম্পর্কেও সিঙ্গাপুরের চন্দ্রমোহন বাবুর সঙ্গে আমি আলাপ করেছি। (শেষাংশ আগামী সোমবার)
লন্ডন, ২৭ মে রোববার ।। ২০১২।।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন