বৃহস্পতিবার, ৩১ মে, ২০১২

২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেটে বিবেচ্য


॥ হারুন-আর-রশিদ ॥

আসন্ন বাজেটই হবে বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সর্বশেষ সুযোগ। চলমান অর্থনীতির সব জটিল প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলার সবধরনের প্রস্তুতি থাকছে এই বাজেটে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত স্পষ্ট করেই এ কথা কয়েকবার বলেছেন বিভিন্ন সংবাদ সম্মেলনে।
বর্তমান সময়ে মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে রয়েছে। অর্থাৎ ১০ শতাংশের ওপরে। আগামী অর্থবছরে তা কমিয়ে ৯ শতাংশের নিচে রাখা হবে এবং চারটি খাতকে বিশেষ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, কৃষি, মানবসম্পদকে বাজেটে সর্বোচ্চ বিবেচনায় রাখা হবে। অবশ্য এ খাতগুলোতে চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
দেশে বর্তমানে সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় খাদ্যপণ্যের সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে। সেহেতু মূল্যস্ফীতি এক অঙ্কে ধরে রাখা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেবে আগামী বাজেটে। বিনিয়োগের পূর্বশর্ত হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ। শিল্পের জ্বালানি নিশ্চয়তা না থাকায় বড় ধরনের বিনিয়োগের সব প্রচেষ্টা বিগত তিন বছরে ভেস্তে গেছে। শিল্পে বিনিয়োগ না থাকায় শিল্পে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। ফলে সরকারের পূর্বঘোষণা মতে প্রতি ঘরে একজনকে কর্মসংস্থানের সুযোগ Ñ সেটাও বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এসব কারণে প্রতি বছরই শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দেশে জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ অপ্রতুল হওয়ায় বিনিয়োগে মন্থর গতি স্পষ্টতর হয়ে উঠছে। ফলে সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ৮০ শতাংশই অপূরণ থেকে গেছে। বিনিয়োগ কচ্ছপ গতিতে আগালে শিল্প সম্প্রসারণ সম্ভব হবে না ফলে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাবে।
মহাজোট সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে সবচেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি ছিল বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান। সরকার বলছে গেল তিন বছরে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে কিন্তু বাস্তবে তার কোনো প্রমাণ দেখছি না। ভয়াবহ লোডশেডিং বর্তমানে ২০০৯ সালের চেয়েও বেড়েছে। ফলে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে উৎপাদন বিগত দুই বছরের চেয়ে কমেছে। নতুন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি শুধু বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণে। বিদ্যুৎ ও গ্যাস সঙ্কট সমাধান না হলে বাংলাদেশকে শিল্পপণ্যের ক্ষেত্রে আমদানিনির্ভর বাজেটে পরিণত হতে হবে। দেশের চলমান অর্থনীতিতে সরকারের ব্যাংকঋণের ওপর নির্ভরতা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক সহায়তা হ্রাস পাওয়ায় সরকার ব্যাংকঋণ প্রথম ১০ মাসে (২০১১-১২ জুলাই-এপ্রিল) মোট ১৬ হাজার ৬৬৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এই বিবরণী পাওয়া যায়। সরকারের বিগত তিনটি বাজাটের মধ্যে চলতি অর্থবছরেই ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ সর্বোচ্চপর্যায় পৌঁছায়।
ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার প্রেক্ষাপটে ২০১২-১৩ অর্থবছরে তা কমানোর সুপারিশ করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি।
চলতি অর্থবছরে (২০১১-১২) রেমিট্যান্স বাড়েনি। গত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল চার মাসে প্রবাসীদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ তুলনামূলক বিগত অর্থবছরের চার মাসের চেয়ে অনেক কম ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে যে তথ্য দেয়া হয়েছে তাতে দেখা যায়, গত জানুয়ারি মাসে বিদেশী শ্রমবাজার থেকে বৈদেশিক মুদ্রা এসেছে ১২২ কোটি ১৪ লাখ ডলার, কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে তা কমে দাঁড়ায় ১১৩ কোটি ৩০ লাখ ডলারে, মার্চে তা আরো কমে দাঁড়ায় ১১০ কোটি ৯১ লাখ ডলারে। এপ্রিলে এসে দাঁড়িয়েছে ১০৮ কোটি ২২ লাখ ডলারে। চলতি অর্থবছরে প্রতি মাসে গড় হিসাবে দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে। এই অর্থ তুলতে সরকার পাঁচবার জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এতে জনদুর্ভোগ যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে মূল্যস্ফীতির হার। সরকারের ব্যাংকঋণ গ্রহণের সীমা চলতি অর্থবছরে সাড়ে চার মাসেই অতিক্রম করেছে। বর্তমান সরকারের বিগত ১১ মাসে মাত্রাতিরিক্ত ঋণগ্রহণ সামগ্রিক অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করেছে। দুর্বল হয়েছে দেশের সামগ্রিক অর্থব্যবস্থা। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দাম বাড়ালে মূল্যস্ফীতি বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এতে জাতীয় উৎপাদন প্রবৃদ্ধি কমবে। এসব কথা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার। সুতরাং আগামী অর্থবছরে শতকরা ৭ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
বিগত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি (১৩ দশমিক ৯৬) ছিল জানুয়ারি ২০১২ সালে। ২০১২ এপ্রিলে এসে এর মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৭৭। আগামী বাজেটে সরকার কিভাবে এক অঙ্কে মূল্যস্ফীতি ধরে রাখবে সেটাও প্রশ্ন হয়ে থেকে যাচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে সরকারের অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে বাজেটে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য জাতি প্রত্যাশা করে। অর্থাৎ মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার পাশাপাশি ৭ ভাগের ওপর প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে চাইলে জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ, গ্যাস এসবের উৎপাদন বাড়ানোসহ এর মূল্যও সহনীয় পর্যায়ে ধরে রাখার ব্যবস্থা থাকতে হবে বাজেটে। শিল্পে বিনিয়োগ বাড়াতে হলে সরকারকে এই পদক্ষেপ অবশ্যই নিতে হবে।
মহাজোটের উন্নয়ন রূপরেখার মূল লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ, বার্ষিক মাথাপিছু গড় আয় চার হাজার ইউএস ডলার এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ১০ শতাংশ। উন্নয়নের রূপরেখা দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০১০-২১ ১০ মে বৃহস্পতিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে এটি অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু এই রূপরেখার কাজ শুরু হয়েছে ২০১০ সাল থেকে। ২০২১ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের এই রূপকল্পে থাকছে দারিদ্র্য দূরীকরণ, কর্মসংস্থান, আয় বণ্টন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা, ুদ্র ও মাঝারি শিল্প, দুর্নীতি দমন ও জনপ্রশাসন উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা, যোগাযোগ, নগরায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবেলার ব্যবস্থাপনাসহ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার এক মহাপরিকল্পনা। এ জন্যই ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেটটি সেই আঙ্গিকেই সরকারকে ঢেলে সাজাতে হবে। সুতরাং বর্তমান বাজেট সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং বাজেট।
এ দিকে এশীয় দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃলেনদেনের দায় পরিশোধ করতে হয়েছে (৯.৫.১২) ৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৯৫৯ কোটি ডলারে নেমে এসেছে (সূত্র : জাতীয় দৈনিক ১০.৫.১২)। সুতরাং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে হলে রফতানি বাণিজ্যের ওপর জোর দিতে হবে সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি বৈদেশিক শ্রমবাজার সম্প্রসারিত করে রেমিট্যান্স বাড়ানোর কাজটিও করতে হবে আগামী অর্থবছরের মধ্যে। হারিয়ে যাওয়া শ্রমবাজার মধ্যপ্রাচ্যকে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। ২০১১-১২ অর্থবছরে এডিপি নির্ধারণ করেছিল ৪১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু দেখা গেছে বিগত ১০ মাসে মাত্র ৪৫ শতাংশ এডিপির কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। ২০১১ সালের রূপকল্পের ভিশন বাস্তবায়ন কিভাবে সম্ভব হবে যদি বিদেশী অর্থায়নের টাকা শতভাগ বাস্তবায়ন সম্ভব না হয়। বাজেটে এসব বিষয়ে দিকনির্দেশনা থাকতে হবে। এডিবির নির্বাহী কর্মকর্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, আগামী অর্থবছরে অর্থনীতি আরো খারাপ হবে। মূল্যস্ফীতি সিঙ্গেল ডিজিটে নামবে না। চলতি বছরের প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ২ শতাংশ এবং আগামী অর্থবছরেও প্রবৃদ্ধি অর্জন এর বেশি হবে না বলে তারা মত প্রকাশ করেছেন। (সূত্র জাতীয় দৈনিক-১২.৪.১২)।
দেশে শতাধিকের মতো এমএলএম কোম্পানি সরকারের বৈধতা নিয়ে ব্যবসায় করে থাকলেও নীতিনির্ধারণী কোনো আইন নেই। দ্রুত এ ব্যাপারে আইন প্রণয়ন করতে হবে। জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন বাংলাদেশে যেভাবে বন উজাড়, ভারতের অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ এক তরফাভাবে পানি নিয়ন্ত্রণ করা থেকে বাংলাদেশের দুই কোটি লোক কাইমেট রিফিউজিতে পরিণত হবে। এসব আন্তর্জাতিক ব্যাপারে দেশের নির্বাহী প্রধানকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যাতে বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্ষতি না হয় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে। মানবসৃষ্ট এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় বিষয়টিও বাজেটে আলোকপাত করতে হবে যা বিষয়টি সুরাহা করা সম্ভব হয় আন্তঃমহাদেশীয় সুসম্পর্কের মাধ্যমে এবং কাজটি অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত জরুরি বলে বিবেচনা করতে হবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাকে হুমকির মুখে নিক্ষেপ করেছে এমন পাঁচটি কারণ চিহ্নিত করেছেন বাংলাদেশ মেট্রোপলিটান বণিক সমিতি। কারণগুলো হলো ব্যালান্স অব পেমেন্টের ওপর অত্যধিক চাপ, ব্যাংক থেকে সরকারের অত্যধিক ঋণ নেয়া, বিনিয়োগে স্থবিরতা, ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা। এ পাঁচটি যুগপৎ কারণের জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারিত শতাংশের পরিবর্তে ৬ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসবে বলে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) আশঙ্কা করেছে যে চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের পরিবর্তে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ হবে। রফতানি খাতেও পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত অর্থবছরের (২০১০-১১) জুলাই-মার্চ, এই ৯ মাসে বাণিজ্য ছিল ৫৮২ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে (২০১১-১২) জুলাই-মার্চ সেই বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫৮ কোটি ডলারে। অর্থাৎ চলতি বছরের ৯ মাসে বিগত অর্থবছরের ৯ মাসের তুলনায় বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ৭৬ কোটি মার্কিন ডলার। বিদ্যুৎ পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। মেট্রোপলিটন চেম্বারের আলোচ্য তথ্য মোতাবেক বিদ্যুতের বর্তমান চাহিদা হলো ৬২ হাজার মেগাওয়াট। সেখানে উৎপাদন হচ্ছে চার হাজার ৫০০ থেকে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট। প্রতি মাসে ৭০ হাজার গ্রাহক সৃষ্টি হচ্ছে। সেই হিসাবে ঘাটতি হচ্ছে এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট। সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের আটজন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে এসে একটি সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেনÑ বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ভালো নয়। সে কারণে ইউরোপীয় বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে আসছে না। একই কথা বলেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা। ইউরোপ ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতেরা বাংলাদেশের ইমেজ সঙ্কট দূর করা এবং বিদেশে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ বজায় রাখার ওপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এই জন্য তারা শিগগিরই প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা ও সংলাপ শুরু করার তাগিদ দিয়েছেন। এ কথাটি বিদেশী মেহমানরাই নন খোদ আওয়ামী লীগের একজন মন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেনÑ দেশে ওয়ান ইলেভেনের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। রাজনীতি সঙ্ঘাতের পথে অগ্রসর হচ্ছে। এটা কারো জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। এফবিবিসিআই অর্থমন্ত্রীকে সঙ্ঘাতময় পরিস্থিতি এড়াতে উদ্যোগ নিতে বলেছেন। দুর্ভাগ্য জাতির দেশী বিদেশী সৎ পরামর্শ কর্ণপাত না করে রাজনীতিকে ইচ্ছা করেই মারাত্মক সঙ্ঘাতের পথে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এই সঙ্ঘাতের কারণে অতীতের সঙ্ঘাতের মতোই দেশে যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে ভালো বাজেট পেশ করলেও তা দেশের অর্থনীতির জন্য শুভ বার্তা বয়ে আনবে না। ৪২ বছরের মতোই শুধু আমরা পেছাতেই থাকব সামনের দিনগুলোতেও। দেশের অর্থনীতির এই ক্ষতির জন্য বর্তমান প্রজন্ম রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকেই দায়ী করবে এবং এটাই স্বাভাবিকÑ কারণ দেশ পরিচালনা করছেন রাজনীতিকেরাই।
লেখক : গ্রন্থকার, গবেষক ও কলামিস্ট

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন