শুক্রবার, ৮ জুন, ২০১২

রিও+২০ সম্মেলন : ধনী দেশের মর্জির কাছে আমাদের নতিস্বীকার যেন না হয়



ফ রি দা আ খ তা র
বিশ্বব্যাপী পরিবেশ আন্দোলন চলছে অনেক দিন থেকেই। তবে ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে জাতিসংঘ আয়োজিত বিশ্ব ধরিত্রী সম্মেলন (ঞযব ঊধত্ঃয ঝঁসসরঃ) পরিবেশ রক্ষার ব্যাপারটি সরকারের দায়িত্ব হিসেবে নিয়ে এসেছে। বিশ্বের অধিকাংশ দেশের সরকার প্রধানরা প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষার জন্য বিশেষ সনদে স্বাক্ষর করলেন (The Convention on Biological Diversity, CBD) ১৯৯৩ সালে। পরিবেশ মন্ত্রণালয় গঠন করে দেশের পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষার জন্য উদ্যোগ নিতে দেখা গেল। বাংলাদেশও স্বাক্ষরকারী দেশ। গড়ে উঠলো পরিবেশ আন্দোলন এবং একই সঙ্গে প্রাণ ও পরিবেশ নিয়ে নানান রাজনীতি এবং অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা আদায়ের প্রতিযোগিতা শুরু হলো। ধনী-গরিব দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়াল। কিন্তু ধনী দেশগুলো টেকসই উন্নয়নের যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার কিছুই পালন করেনি বলা যায়। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেই সময়ের প্রেসিডেন্ট বেশ হুঙ্কার দিয়েই বলেছিলেন, মার্কিন জনগণের জীবনযাপনের কায়দা পরিবর্তন করার কোনো কথাবার্তা তিনি শুনবেন না। তথাকথিত ধরিত্রী সম্মেলনের পর প্রাণ ও পরিবেশের ক্ষয় কমেনি, আরও দ্রুত হয়েছে। অগ্রগতি দূরে থাকুক, এবার রিও+২০ সম্মেলনে গত বিশ বছরে প্রাণ ও পরিবেশ সংক্রান্ত চিন্তা আরও পিছিয়েছে, তারই প্রমাণ মিলবে বলে অনেকে আশংকা করছেন।
বিশ বছর আগে ধরিত্রী সম্মেলনে পরিবেশের সঙ্গে দারিদ্র্য বিমোচনের কথা উঠেছিল, উন্নয়নের সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয়েছিল ‘টেকসই উন্নয়ন’ কথাটি। মধ্যে ২০০০ সালে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো শান্তি এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য আটটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করল ২০১৫ সালের মধ্যে অর্জনের জন্য। এই লক্ষ্যমাত্রার নাম দেয়া হয়েছে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (গউএ) বা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা। এখন ২০১২ সাল, এমডিজি অর্জনের অবস্থা খুব ভালো নয়। বলা যেতে পারে, সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘের উদ্যোগ অব্যাহত থেকেছে; ২০০২ সালে আয়োজন করা হলো দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্ব টেকসই উন্নয়ন সম্মেলন (World Summit on Sustainable Development ev ms‡‡c WSSD)|
আর কিছুদিনের মধ্যেই এই জুন মাসের ২০-২২ তারিখে জাতিসংঘের উদ্যোগে রিও+২০ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হবে। এর পুরো নাম (United Nations Conference on Sustainable Development (UNCSD), একই সঙ্গে ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত রিও সম্মেলনের ২০ বছর এবং ২০০২ সালের টেকসই উন্নয়ন সম্মেলনের ১০ বছর পালন করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা কি আদৌ এগুতে পেরেছি? আমাদের সরকারেরই বা কি প্রস্তুতি আছে?
বিশ্বের সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে। খাদ্য উত্পাদন বৃদ্ধি হলেও ক্ষুধার্ত আর দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। সোস্যাল ওয়াচ প্রতিবেদন ২০১২ অনুযায়ী [www.socialwatch.org] পৃথিবীতে সম্পদ অনেক বেড়েছে, যা ৭০০ কোটি মানুষের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম, কিন্তু খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ৮৫ কোটি (৮৫০ মিলিয়ন) ক্ষুধার্ত আছেন এবং এই সংখ্যা বাড়ছে, কারণ খাদ্যদ্রব্যের দাম দিনে দিনে বাড়ছে। শুধু তাই নয়, ধনী-গরিব ব্যবধান বাড়ছে উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশে। এখানে ধনী মানুষের জীবনযাত্রা এবং ভোগের ধরন উন্নয়নের সীমার বাইরে চলে গেছে। মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ পৃথিবীর ৭০ শতাংশ আয় ভোগ করেন, অন্যদিকে গরিবের ভাগ্যে জোটে মাত্র ২ শতাংশ আয়। পৃথিবীব্যাপী এর ফলে সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বেড়ে চলেছে।
এই যখন পরিস্থিতি তখন রিও+২০ উপলক্ষে জাতিসংঘের প্রস্তুতি হিসেবে এই বছরের (২০১২) একটি ঘোষণার খসড়া তৈরি করা হয়েছে, যার নাম শূন্য খসড়া (Zero Draft)| তবে শিরোনাম ‘আমরা যে ভবিষ্যত্ চাই’ (The Future We Want)| ধনীদের এই ভবিষ্যত্ পরিকল্পনার বড় অংশ জুড়ে রয়েছে সবুজ অর্থনীতির (এত্ববহ ঊপড়হড়সু) কথা। মনে হতে পারে, এটা খুব ভালো, কিন্তু ধনী দেশগুলোর উত্পাদন ব্যবস্থা, মুনাফার লোভে চালিত শোষণমূলক অর্থনীতি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করেছে। বাড়িয়ে দিয়েছে ধনী-গরিবের ব্যবধান। গরিব দেশ নিজের দেশের প্রয়োজনে শিল্পায়নের কথা না ভেবে ধনী দেশের শিল্পের সস্তা শ্রমিক হতে বাধ্য হয়েছে। নিজের দেশের কৃষকের ফসলের দাম সরকারি নীতি ও হস্তক্ষেপে কমিয়ে ন্যায্য দামে না কিনে বহুজাতিক কোম্পানির উত্পাদিত পণ্য আমদানি করে বাজারে অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করেছে। সবুজ অর্থনীতির পরিকল্পনার মধ্যে গরিব ও নারীদের স্বার্থ দেখা হয়নি কোনোভাবেই। ধনীদের জীবনযাত্রা রক্ষার জন্যই মুনাফা ও লোভের অর্থনীতির গায়ে সবুজ রং দিয়ে চোখে ধুলা দেয়ার চেষ্টা চলছে এখন। এমডিজি অর্জন কেন ব্যর্থ হলো তা শনাক্ত না করে নতুন করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (Sustainable Development Goal, SDG) নির্ধারণের কথা বলা হচ্ছে, অথচ সবুজ অর্থনীতির যে আওয়াজ তোলা হয়েছে সেখানে টেকসই উন্নয়নের চিহ্ন মাত্র নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, অন্যায় অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিশেষণ হিসেবে শুধু ‘সবুজ’ দিলেই কি সব সবুজ হয়ে যাবে? সব ঠিক হয়ে যাবে? বিশ্বের সাধারণ মানুষ আর এই ধরনের ভাঁওতাবাজির শিকার হতে চান না। তাই তারা এই শূন্য খসড়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
সম্মেলনের সময় ঘনিয়ে এসেছে কিন্তু আমরা দেখছি ধনী দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের ঘোষণায় কি থাকবে তা নিয়ে এখনও জুনের চার তারিখে এই লেখা যখন লিখছি কোনো ঐকমত্যে আসা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, নিউইয়র্কে মে মাসের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত প্রস্তুতি সভায় এই ঘোষণার ৩২৯টি প্যারাগ্রাফের মধ্যে মাত্র ৭০টিতে একমত হতে পেরেছে। অর্থাত্ মাত্র ২১ শতাংশ অংশ একমত হতে পেরেছে বাকি ৭৯ শতাংশ অংশ তারা ১৩ জুন ব্রাজিলের রিও শহরে গিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে। শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য শতাধিক বিশ্ব নেতৃবৃন্দ জুনের ২০ ও ২২ তারিখে রিও শহরে যাবেন রিও+২০ পালনের জন্য। এর মাত্র এক সপ্তাহ আগে বিশাল অমিলের জায়গাগুলো ঠিক করা অসম্ভব। তাছাড়া এই শীর্ষ সম্মেলন যখন হচ্ছে তখন বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভালো নয়, বেকারত্বের হার অনেক বেশি, ফলে পরিবেশ রক্ষার চেয়েও ধ্বংসাত্মক অবাধ বাজার ব্যবস্থাকে চাঙ্গা রাখার কৌশলই ধনী দেশগুলোর চিন্তায় কাজ করবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, সারা দুনিয়াতেই এখন পরিবেশ দূষণ ও বিপর্যয়, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাণবৈচিত্র্য ধ্বংস, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ইত্যাদি চরম আকার ধারণ করেছে। টেকসই উন্নয়ন নিয়ে কথা বলতে হলে প্রাণ ও পরিবেশের প্রশ্নকে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে তো অবশ্যই একই সঙ্গে বিশ্বের ধনী শ্রেণীর জীবনযাপন প্রণালীকেও পর্যালোচনার অধীন করতে হবে, যা ধনী দেশগুলো করতে রাজি নয়। জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সম্মেলনগুলো (UNFCCC) প্রতিবছর যেভাবে ধনী দেশের কার্বন নির্গমন কমাবার প্রশ্নে চুক্তি করতে ব্যর্থ হচ্ছে, এমনকি প্রকাশ্য বিরোধিতাও করছে তাতে আশা করার কোনো কারণ নেই যে, উন্নয়নশীল দেশের স্বার্থে তারা কোনো মতৈক্যে আসবে। ধনী দেশের নিজ স্বার্থ হাসিলের ভয়ঙ্কর রূপ আমরা বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সভায় দেখেছি। গরিব দেশকেই সব সময় ছাড় দিতে হয়েছে। রিও+২০ সম্মেলনের আলোচনায় আমরা তার কোনো ব্যতিক্রম দেখছি না। বিশেষ করে সবুজ অর্থনীতি ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কোনো ঐকমত্য এখনও হয়নি। দুঃখজনক হচ্ছে কুড়ি বছর আগে রিওতে যে সহযোগিতার অঙ্গীকার ধনী দেশগুলো কাগজে-কলমে করেছিল এবার মনে হয় তার চেয়েও পিছিয়ে আসবে। পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোর বেশি দায়িত্ব নেয়ার কথা, তাদের কারণেই এই পৃথিবীর পরিবেশ বিপর্যয় বেশি ঘটছে। কাজেই দায়িত্ব তাদেরই বেশি। কিন্তু এই বিষয়ে কোনো আলোচনাতেই যুক্তরাষ্ট্র একমত হয় না। এ ক্ষেত্রে তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে আমাদের একটি কাজ হচ্ছে ধনী দেশের একগুঁয়েমিপনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেয়া। আর অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়নের জন্য উন্নয়নশীল দেশকে ধনী দেশের আর্থিক সহযোগিতা দেয়ার কথা রয়েছে। ১৯৯২ সালের রিও সম্মেলনে ধনী দেশ উন্নয়নশীল দেশের জন্য নিজ নিজ দেশের জাতীয় আয়ের ০.৭ শতাংশ সাহায্য হিসেবে দেবে বলে কথা ছিল। এখন কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র বলছে এমন সিদ্ধান্তে কখনই তারা একমত ছিল না। জি-৭৭ দেশগুলো এবং চীন ২০১৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বছরে ৩০ বিলিয়ন ডলার এবং ২০১৮ থেকে বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ‘টেকসই উন্নয়ন ফান্ড’ গড়ে তোলার প্রস্তাব করেছে। কিন্তু গত সপ্তাহের আলোচনায় কোনো নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য দেয়ার অঙ্গীকার করতে ধনী দেশগুলো রাজি হয়নি।
বাংলাদেশ সরকার রিও সম্মেলনে যাওয়ার জন্য কি প্রস্তুতি নিচ্ছে আমরা জানি না। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জনগণকে জানাবার কোনো উদ্যোগ নিতেও দেখা যাচ্ছে না। তবুও ভাগ্য যে, এরই মধ্যে রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে একটি সভা হয়েছে, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাসান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। এই সভাটি হয়েছিল এমডিজি কেন্দ্রিক "Beyond the MDGs : A Framework for Development in the Post-2015 Era" wk‡ivbv‡g [bdnews24.com 31. 2012] বর্তমানে ধনী ও দরিদ্র দেশের মধ্যে পরিবেশ কেন্দ্রিক যে টানাপড়েন চলছে, মনে হচ্ছে আমাদের পরিবেশমন্ত্রী সে খোঁজ রাখছেন না। তিনি গ্রিন ইকোনমির সমালোচনার সঙ্গেও খুব বেশি পরিচিত বলে মনে হচ্ছে না। তার লক্ষ্য হচ্ছে অর্থের উেসর ওপর। তিনি প্রাইভেট সেক্টর থেকে অর্থ যোগানের পক্ষপাতি, যদিও সরকারকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ড্রাইভিং সিটে বসিয়ে দিয়ে দায়িত্ব সারতে চান, কারণ তিনি মনে করেন, পরিবেশ যেন নষ্ট না হয় তা দেখতে হবে। পরিবেশমন্ত্রী বলে হয়তো।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই যে, তামাক চাষ দেশের পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি হওয়া সত্ত্বেও ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি ও অন্যান্য দেশীয় তামাক কোম্পানি সরকারকে বড় অংকের রাজস্ব দিচ্ছে বলে তামাকের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইছে না সরকার। এমনকি তামাকজাত দ্রব্যের ওপর করারোপ ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী ঠেকিয়ে দিচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে। এটা একটা মাত্র উদাহরণ। এমন উদাহরণ অনেক রয়েছে। কাজেই ড্রাইভিং সিটে বসে সরকার অর্থ প্রদানকারী প্রাইভেট সেক্টরকে নিয়ন্ত্রণ করবেন এমন চিন্তা খুবই হাস্যকর। জনগণ জানতে চায় ধনী দেশের মনগড়া ও তাদের স্বার্থে রচিত সবুজ অর্থনীতির প্রস্তাব সরকার কীভাবে গ্রহণ করবে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব থেকে কীভাবে দেশকে মুক্ত রাখবে। পরিবেশমন্ত্রী হিসেবে সে বিষয়ে কোনো আলোকপাত করতে আমরা দেখিনি।
মোট কথা হচ্ছে, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের জানার বিষয় যে, গ্রিন ইকোনমির নামে ধনী দেশগুলোর পক্ষ থেকে আমাদের ওপর যে ধরনের অর্থনীতি চাপিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রিও+২০ সম্মেলনে নেয়া হচ্ছে এবং যার বিরুদ্ধে বিশ্বের পরিবেশ আন্দোলনকারীরা সোচ্চার সেখানে সরকারের সুস্পষ্ট অবস্থান কী। আমরা বিরোধী দলের অবস্থান সম্পর্কেও জানতে চাই। সরকারের পক্ষ থেকে যে অবস্থানপত্র দেয়া হবে তা যেন ব্রাজিলে যাওয়ার আগেই সরকার প্রকাশ করে এই আশা করছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন