ড. ই ক বা ল হো সে ন
আলোচনা যদি হয় গঠনমূলক, তবে তা এক সু¯’ চর্চা। যার উদ্দেশ্য কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রীয় শক্তিকে কোনভাবেই হেয় বা অসম্মান করা নয়, বরং ভুল-ত্র“টি, চ্যুতি-বিচ্যুতি, অনু”চ বা অগভীর চিন্তা ইত্যাদিকে শুধরিয়ে সম্মিলিতভাবে অপেক্ষাকৃত ভালো বা সুবিধাজনক অব¯’ানের দিকে অগ্রসর হওয়া। আমাদের বর্তমান অর্থনীতিতে কৃষি একটি গুর“ত্বপূর্ণ খাত। কৃষি উপকরণ বিশেষ করে আমদানিকৃত ইউরিয়া সার সম্পর্কে জাতীয় সংসদ ও গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন ¯’ানে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে ও হ”েছ। সময়ের প্রয়োজনে ও নিজস্ব এক বিশেষ অভিজ্ঞতার আলোকে তুলে ধরছি ইউরিয়া সার সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় কিছু দিক।
ইউরিয়া সার শিল্পোৎপাদনের লক্ষ্যে আমাদের রয়েছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ছয়টি ও বিদেশী কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্বে একটি (কাফকো)। উপাত্তানুসারে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের মোট বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা আনুমানিক ২৮.৯৫ লাখ মে. টন, যেখানে অংশীদারিত্বের প্রতিষ্ঠান কাফকোর বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা আনুমানিক ৫.৭৫ লাখ মে. টন। ইউরিয়া সার উৎপাদনে প্রধান কাঁচামাল ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহƒত হয় প্রাকৃতিক গ্যাস। দেশে প্রাকৃতিক গ্যাস সংকটের দর“ন সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেয়ায় আমাদের বর্তমান ইউরিয়া উৎপাদনের পরিমাণ উৎপাদন ক্ষমতার চেয়ে অনেক কম। অতএব নিজস্ব উৎপাদনে ঘাটতি থাকায় চাহিদা পূরণে সরকারকে স্বাভাবিকভাবেই হতে হয় আমদানিনির্ভর। প্রাথমিক পর্যায়ে আন্তর্জাতিক বাজারে ইউরিয়া সারের দাম সহনশীল পর্যায়ে থাকায় সার আমদানিতে সরকারের তেমন কোন বড় বাধা ছিল না। কিš‘ বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে ইউরিয়ার দাম আনুমানিক ৫৫০ মার্কিন ডলার প্রতি মে. টন, যা আমাদের মতো দেশের জন্য খুব একটা সহনশীল বলে মনে হয় না। তাই দীর্ঘমেয়াদি চিন্তায় নিজস্ব উৎপাদনের প্রতিই বেশি মনোযোগী হওয়া দরকার। এখানে যেটা করা যেতে পারে তা হল, প্রাকৃতিক গ্যাসনির্ভর আমাদের অন্য খাতগুলোর প্রাকৃতিক গ্যাসনির্ভরতা কমিয়ে সার উৎপাদনে চাহিদামতো গ্যাস সরবরাহ করা। কিš‘ সরকারের এ ধরনের কোন ই”ছা ও উদ্যোগ খুব একটা দৃশ্যমান নয়। উল্লেখ্য, সরকারের সম্পূর্ণ সদি”ছা থাকলেও তা বাস্তবায়ন সময়সাপেক্ষ। কাজেই নিজস্ব চাহিদা সম্পূর্ণভাবে পূরণের লক্ষ্যে সরকারকে ইউরিয়া আমদানিতেই থাকতে হবে সামনের বছরগুলোতে। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) এক কর্মকর্তার দেয়া তথ্যানুসারে গত বছর বাংলাদেশে ইউরিয়া সার আমদানি হয় ৭.৫ লাখ মে. টন। প্রতি মে. টন ন্যূনতম ৫৫০ মার্কিন ডলার ধরলেও আমাদের তাতে ব্যয় হয় ৪১২.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা টাকার হিসাবে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। কাজেই এই ইউরিয়া সার আমদানি ও পরবর্তী সময়ে কৃষকদের মাঝে সময়মতো বিতরণে সামান্যতম অদক্ষতা ও অসতর্কতায় যেমন হতে পারে বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় অর্থের অপব্যবহার, তেমনি ব্যাহত হতে পারে কৃষি খাতের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন। এরই সঙ্গে নিুমানের সার আমদানি ও ব্যবহারে কৃষি জমি হারাতে পারে তার স্বাভাবিক উর্বরতা। অতএব আজকের লেখার মূল বিষয়ব¯‘ উন্নতমানের বা ব্যবহারযোগ্য ইউরিয়া সার আমদানি করে সময়মতো কৃষকদের হাতে পৌঁছে দেয়া নিশ্চিতকরণের সম্ভাব্য এক উপায়।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বিসিআইসিই মূলত ইউরিয়া সার আমদানিতে সরাসরি জড়িত। রাষ্ট্রীয় অর্থের সর্বো”চ সদ্ব্যবহারে বিসিআইসি’র ইউরিয়া সার আমদানি সর্বদাই আমদানি নীতিমালা সম্পূর্ণভাবে মেনেই হয় বা হবে বলে আমরা সবাই আশা করি। কিš‘ বাস্তবে এই বিসিআইসি কর্তৃক ইউরিয়া আমদানিতে সরকারের আমদানি নীতিমালা সম্পূর্ণভাবে সর্বদা মানা হ”েছ কিনা একটা কৌতূহল রয়েই যায়। তবে আমার সীমিত জ্ঞান ও বাস্তব এক অভিজ্ঞতার আলোকে বলব, টেন্ডার আহ্বানের আগে প্রোডাক্ট স্পেসিফিকেশন প্র¯‘তকরণে বিসিআইসি’র আরও একটু বেশি মনোযোগী হওয়ার সুযোগ রয়েছে। স্পেসিফিকেশনে ইউরিয়া সার ও সার ধারণকারী ব্যাগের লাইফ-টাইম সংযোজন করাটাও প্রয়োজনীয় বলে আমার মনে হয়। একইভাবে স্পেসিফিকেশনে সারের গুণাগুণ সম্পর্কিত বিভিন্ন মানদণ্ডের পাশাপাশি গুণাগুণ পরিমাপের পদ্ধতি ও কার্যপ্রণালী অন্ততপক্ষে কোড-স্ট্যান্ডার্ডের মাধ্যমে অবশ্যই পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা দরকার। পদ্ধতি ও কার্যপ্রণালীসমূহ স্পেসিফিকেশনে উল্লেখ না থাকলে সরবরাহকারী কর্তৃক কিছু অংশে আমাদের প্রতারিত হওয়ার একটা আশংকা থেকেই যায়। সার ধারণকারী ব্যাগের রাসায়নিক গুণাবলীর দিকে অধিকতর মনোযোগী হয়ে আরও বিস্তারিত কিছু তথ্য স্পেসিফিকেশনে সংযোজন করা যেতে পারে। বিসিআইসির প্রকৌশলী ও পরিচালকদের উপরোক্ত দিকগুলো জানা আছে বলেই আমার বিশ্বাস। কিš‘ রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যবহারে ‘জানা’র চেয়ে ‘প্রয়োগ’টাই বেশি গুর“ত্বপূর্ণ।
এবার ভাবা যাক আরেকটি দিক। এককভাবে এই বিসিআইসি’র মাধ্যমে সর্বদা সঠিকভাবে সার আমদানি ও ডিলার-কৃষকদের কাছে সময়মতো বিতরণ সম্ভব কিনা। আমি খুব দৃঢ়ভাবে বলব, ‘না’। এখানে শুধু বিসিআইসিই নয়, সাধারণভাবে একক কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সর্বদা সঠিক কাজ আশা করা অবাস্তব। কারণ যোগ্যতার পাশাপাশি আরও দুটি বিষয় এখানে জড়িত থাকতে পারে বলে আমার ব্যক্তিগত ধারণা। ধারণাকৃত বিষয় দুটি হলÑ এক. অদৃশ্য কোন বিশেষ শক্তির প্রভাব দুই. দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমূহের নিজস্ব বিশেষ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কিছু কিছু ব্যাপারে সুচিন্তিতভাবে আপস করার প্রবণতা। বাস্তবতার নিরিখে এই ধারণা একেবারেই অমূলক নয়। যাই হোক, বাস্তবতা মেনেই আমাদের সীমিত সম্পদের সঠিক ব্যবহার করার চেষ্টা-উদ্যোগ থাকতেই হবে। এজন্য একটি সম্ভাব্য উপায় হল, ‘জবাবদিহিতা’। এখানে জবাবদিহিতা বলতে আমি বোঝা”িছ আমদানি প্রক্রিয়ার স্ব”ছতা ও দক্ষতা সম্পর্কে সার এবং কৃষির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুর“ত্বপূর্ণ সবাইকে সময়মতো সঠিকভাবে অবহিত করা। আমার জানা মতে, বিসিআইসি কর্তৃক আমদানিকৃত সারের গুণগত মান পরীক্ষার জন্য রয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক কমিটি। এখানে প্রশ্ন জাগে, এ কমিটির কাছ থেকে আমরা কীভাবে উপকৃত হতে পারি? কমিটির পরীক্ষণে আমদানিকৃত সারের গুণাগুণ অসন্তোষজনক হলে কমিটির সুপারিশে আমরা নিুমানের সার ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে পারি। কিš‘ এই নিুমানের সার আমদানিতে ব্যয়িত রাষ্ট্রীয় অর্থ কি আমরা বাস্তবিক অর্থে সম্পূর্ণভাবে ফেরত পেতে পারি? কৃষি মন্ত্রণালয়ের কমিটির পাশাপাশি সম্ভবত আমাদের সংসদীয় ¯’ায়ী কমিটি বা কমিটিসমূহও আমদানিকৃত সারের বিভিন্ন দিক যাচাই-বাছাই করে থাকে। কিš‘ এই যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণ যদি হয় আমদানি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর, তা হলে আমরা আসলেই কতটুকু উপকৃত হতে পারবÑ প্রশ্ন থেকেই যায়। সুতরাং আমাদের সংবিধান অনুসারে সুযোগ থাকলে পর্যবেক্ষণ/তদন্ত ইত্যাদি কমিটি/ কমিটিসমূহের কার্যপ্রণালী আমদানি প্রক্রিয়া শুর“ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুর“ হওয়া দরকার। ইউরিয়া আমদানি ও বিতরণ প্রক্রিয়ার প্রতিটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধাপকেই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ/তদন্ত করা যেতে পারে। এতে করে আমদানি ও বিতরণ প্রক্রিয়ায় কোন অস্ব”ছতা ও অদক্ষতা প্রমাণিত হলে সঙ্গে সঙ্গেই সবার সম্মিলিত উদ্যোগে তা সংশোধন বা মানোন্নয়ন করার সুযোগ থাকবে। এভাবে বড় ধরনের কোন ক্ষতি বা অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়ানো অনেকটাই সম্ভব হবে। সম্ভব হবে মানসম্মত ইউরিয়া আমদানি করে সময়মতো কৃষকদের মাঝে বিতরণ। পর্যবেক্ষণ/তদন্ত কমিটি বা কমিটিসমূহের কর্মপরিধিতে নিুলিখিত বিষয়গুলো রাখা যেতে পারে।
১. টেন্ডার আহ্বানের আগে সাধারণ ও অর্থনৈতিক দিকগুলোর পাশাপাশি প্রোডাক্ট ও ব্যাগ স্পেসিফিকেশন বিশেষ গুর“ত্বের সঙ্গে সঠিক ও সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা।
২. সার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের সময় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সারের গুণগত মান সঠিকভাবে বজায় রেখে সঠিক সময়ে ও সঠিকভাবে সার সরবরাহের সুনাম এবং অভিজ্ঞতা বিবেচনা করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা।
৩. সার আমদানির চূড়ান্ত নথি-দলিলসমূহে সার ও ব্যাগের স্পেসিফিকেশন সঠিক ও সম্পূর্ণভাবে লেখা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা।
৪. উৎপাদনের সময় সারের গুণগত মান পরীক্ষা করা হয়ে থাকলে ফলাফলসমূহ প্রোডাক্ট স্পেসিফিকেশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা যাচাই করা।
৫. উৎপাদিত সার শিপিংয়ের আগেই বিশ্বস্ত এক-তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সারের ভৌত ও রাসায়নিক গুণাবলী এবং সার ধারণকারী ব্যাগের সব গুণাগুণ বিশদভাবে পরীক্ষা করা হ”েছ কিনা তা খতিয়ে দেখা। গুণাগুণ পরীক্ষার পূর্ণ প্রতিবেদন (পিএসআই রিপোর্ট) অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে আমদানিকারী প্রতিষ্ঠান তথা বিসিআইসি কর্তৃক মূল্যায়ন হ”েছ কিনা তা অবশ্যই নিশ্চিত করা, কেননা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এই ধাপে উত্তীর্ণ হয়ে গেলে আমদানিকারী সরবরাহকারীকে সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধে অনেকটাই বাধ্য থাকার কথা।
৬. গুণাগুণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সার যথাযথভাবে শিপে উত্তোলনপূর্বক সঠিকভাবে রাখা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা।
৭. সার বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর আবারও গুণাগুণ পরীক্ষা (পোস্ট শিপমেন্ট ইন্সপেকশন) সঠিকভাবে হ”েছ কিনা তা দেখা। পোস্ট শিপমেন্ট ইন্সপেকশনে ‘বাইইউরেট’-এর পরিমাণ সহনশীল পর্যায়ে আছে কিনা তা অত্যন্ত গুর“ত্বের সঙ্গে দেখা। এই ‘বাইইউরেট’ সম্পর্কে আরও কিছু বলার বিশেষ প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। আমদানিকারী, গুণগত মান পরীক্ষাকারী, বিভিন্ন প্রতিবেদন মূল্যায়নকারী, সার কৃষকদের মাঝে বিতরণকারী ও অবশেষে সার ব্যবহারকারী কৃষকদের এই ‘বাইইউরেট’ সম্পর্কে গুর“ত্ব, সচেতনতা বা ধারণা দেখে আমি ব্যক্তিগতভাবে এক অর্থে হতাশই বলা চলে। সবার সুবিধার্থে বা উদ্দেশে অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলছি, ইউরিয়া সারে বাইইউরেটের পরিমাণ সহনশীল পর্যায়ের চেয়ে বেশি থাকলে সেই সার কৃষিজমিতে ব্যবহার করা অনুচিত।
৮. ‘সরবরাহকৃত সারে অন্যান্য কোন রকম ক্ষতিকারক উপাদান নাই’Ñ এই মর্মে সরবরাহকারীর অঙ্গীকারনামা বা প্রত্যয়নপত্র সত্যিকার অর্থে আমদানিকারী কর্তৃক সংগৃহীত হয়েছে কিনা তা দেখা।
বাস্তবতা সাপেক্ষে পর্যবেক্ষণ/ তদন্ত কমিটি বা কমিটিসমূহ প্রয়োজনীয় বলেই আমার ধারণা। কিš‘ ওই কমিটি বা কমিটিসমূহের মূল উদ্দেশ্য হতে হবে রাষ্ট্রীয় অর্থের সদ্ব্যবহারপূর্বক কৃষি খাতের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উদ্দেশ্যে ইউরিয়া সার আমদানিতে মূল আমদানিকারী প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করা। এই মূল উদ্দেশ্য হতে কোন প্রকারের বিচ্যুতিতে ব্যাহত হতে পারে কৃষি খাতের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন।
সারের ডিলার এবং কৃষকদেরও আমদানিকৃত ইউরিয়া সার সম্পর্কে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। ব্যবহারের আগেই কৃষকদের ভাবতে হবে তাদের সার আসলেই উ”চমানের অথবা অন্ততপক্ষে ব্যবহার উপযোগী কিনা। বিশেষভাবে ডিলারদের উচিত হবে নিজ দায়িত্বে পোস্ট শিপমেন্ট ইন্সপেকশন রিপোর্টটি সংগ্রহ করে ভালোভাবে দেখে নেয়া। ‘বাইইউরেটে’র পরিমাণের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। আমাদের কৃষকরা নাকি সার দেখলেই তার অব¯’া বলে দিতে পারে। আমি অবশ্যই বলব, তারা সার ব্যবহার ও চাষাবাদে দক্ষ। শুধু দেখে কিছু কিছু ভৌত গুণাবলী বোঝা অবশ্যই সম্ভব, কিš‘ রাসায়নিক গুণাবলী নয়, বিশেষ করে ক্ষতিকারক বাইইউরেটের পরিমাণ তো অবশ্যই নয়। সুতরাং কৃষকদের অবশ্যই সারের রাসায়নিক গুণাবলী সম্পর্কে প্রশ্ন করতে হবে ডিলারকে, যোগাযোগ রাখতে হবে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে।
ড. ইকবাল হোসেন : সহকারী অধ্যাপক, কেমিকৌশল বিভাগ, বুয়েট
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন