শুক্রবার, ৮ জুন, ২০১২

গ্রামীণ ব্যাংকের অগ্রযাত্রা অুণœ রাখতে হবে


॥ ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী ॥


তিন দশক যাবৎ গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্য বিমোচনের েেত্র ভূমিকা পালন করে আসছে। গ্রামীণ ব্যাংকে ঋণগ্রহীতার মধ্যে মহিলাদের অংশগ্রহণ আমাদের সমাজের চিত্র পাল্টে দিয়েছে। মহিলারা অধিকসংখ্যায় ঋণ নিয়ে তাদের অবস্থার উন্নতিসাধন করেছে। গ্রামের মহিলাদের মতায়নের েেত্র গ্রামীণ ব্যাংক ভূমিকা পালন করে আসছে। গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্যের এটি একটি প্রধান দিক। গ্রামীণ ব্যাংকের এত বড় সাফল্যের মূল নায়ক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রাণপুরুষ। তারই চিন্তাচেতনার ফসল গ্রামীণ ব্যাংক এবং বাংলাদেশসহ বিশ্বের এক বিরাট দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের উন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। 
ড. ইউনূস প্রায় তিন দশক ধরে দরিদ্র ও হতভাগ্য মানুষের মধ্যে ুদ্রঋণ প্রদানের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে এক নিরলস সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। নানা বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কাজ হলো, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সঙ্ঘবদ্ধ করা, তাদেরকে সচেতন করা এবং তাদের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য নানা ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা এবং তাদের কর্মসংস্থানের জন্য ঋণ দিয়ে সহায়তা করা। এভাবে দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নের এক বিশাল কর্মসূচি তিনি হাতে নেন। গ্রামীণ ব্যাংকের বিশাল কর্মী বাহিনী এই কর্ম সম্পাদনের সাথে যুক্ত হয়। আসতে থাকে কাক্সিক্ষত সাফল্য। আর এই সাফল্য বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বিশ্বের আরো অনেক দেশ এই মডেল অনুসরণ করে তাদের দারিদ্র্য বিমোচনে সাফল্য অর্জন করে। এরই স্বীকৃতিস্বরূপ ড. ইউনূস ও তার প্রতিষ্ঠানকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। তার এই কৃতিত্বের জন্য সমগ্র দেশ ও জাতি গর্বিত, তিনি হয়েছেন বিশ্ববাসীর কাছে সমাদৃত। 
রাষ্ট্রীয় বা ব্যক্তিমালিকানাধীন কোনো ব্যাংকই দরিদ্র মানুষকে ঋণ দেয় না। কারণ চিরকাল মনে করা হয়েছে, দরিদ্র মানুষ ঋণ পাওয়ার যোগ্য নয়, তারা ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না। কিন্তু ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়েছেন। গ্রামীণ ব্যাংক এ সত্য প্রতিষ্ঠা করেছে যে, দরিদ্র মানুষের ঋণ পাওয়ার অধিকার আছে এবং তাদের ঋণ দিলে তারা সময়মতো তা পরিশোধ করতে পারে। এ সত্য প্রতিষ্ঠা করেন তিনি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের জোবরা গ্রামে ১৯৭৬ সালে মাত্র কয়েক শ’ টাকা দিয়ে দরিদ্র মহিলাদের জামানতবিহীন ঋণ দিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক নামে যে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন, আজ তার ঋণগ্রহীতা প্রায় এক কোটি। এই ঋণগ্রহীতাদের ৯৮ শতাংশই আবার দুস্থ ও অসহায় নারী। এ পর্যন্ত প্রায় গ্রামীণ ব্যাংক ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ টাকা ঋণ দিয়েছে। ছোটখাটো কিছু অভিযোগ সত্ত্বেও ুদ্রঋণ এ দেশে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলো এর পদাঙ্ক অনুসরণ করছে। জামানত ছাড়া একজন ব্যক্তিকে ঋণ দিয়ে ঋণদাতা যে ঠকবেন না, এমন অর্থনৈতিক উদ্যোগ দেশে দেশে, বিভিন্ন মহাদেশে, মানুষের মনে কৌতূহল জাগিয়েছে এবং মহা উৎসাহে তা নিয়ে পরীা-নিরীা চলছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মতো শিল্পোন্নত দেশও গ্রামীণ ব্যাংকের আদর্শ অনুসরণে উদ্যোগী হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের ১৩১টি দেশে গ্রামীণ ব্যাংকের ুদ্রঋণ মডেল চালু হয়েছে। বিশ্বের প্রায় সব মহাদেশে দারিদ্র্য বিমোচনের এ মডেল সক্রিয় আছে। গ্রামীণ ব্যাংকের ৯৬ শতাংশ ঋণই দেয়া হয়েছে দারিদ্র্যপীড়িত নারীদের, যারা গোটা পরিবারের চাহিদা অনুযায়ী রোজগারে পুরুষদের চেয়ে বেশি তৎপর। 
দারিদ্র্য আর দৈব-দুর্বিপাকের দেশ হিসেবে যে বাংলাদেশকে চিনত আন্তর্জাতিক বিশ্ব, সেই বাংলাদেশের ড. মুহাম্মদ ইউনূস অর্জন করলেন ‘নোবেল পুরস্কার’। ফলে বিশ্বে বাংলাদেশের নতুন পজিটিভ ইমেজ সৃষ্টি হয়। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন এই নোবেল পুরস্কার লাভ। কিন্তু যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের জন্য এ সম্মান অর্জন করে আনলেন, তাকে আজ অসম্মানের শিকার হতে হচ্ছে। সরকার গত বছর ুদ্রঋণের এ জনককে তারই প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অপসারণ করে। গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অপসারণ একটি হীনস্বার্থ চরিতার্থের বহিঃপ্রকাশ। এটা সরকারের কর্তৃত্ববাদী মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ। সুশাসনের কোনো নজির এখানে নেই। এ অপসারণপ্রক্রিয়াকে অবৈধ বলা যায়। কেননা গ্রামীণ ব্যাংক ‘ব্যাংক কোম্পানি’ আইনে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ফলে গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সরাসরি হস্তপে করতে পারে না। কাজেই বাংলাদেশ ব্যাংক এ আদেশ দিতে পারে না। এ আদেশের ফলে গ্রামীণ ব্যাংকের অনেক তি হবে। গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে বিতর্ক যা-ই থাকুক না কেন, দারিদ্র্য বিমোচনে এর অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। সবচেয়ে বড় ুদ্রঋণের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য এটা খুবই উদ্বেগজনক। 
আজ গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতার সংখ্যা প্রায় এক কোটি এবং বছরে ঋণের পরিমাণ প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। ঋণগ্রহীতার প্রায় সবাই গ্রামের দুস্থ মহিলা। গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ নিয়ে তারা উপার্জনম অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত আছে। দারিদ্র্যকে জয় করার সংগ্রামে অবতীর্ণ আছে। তাই একে খাটো করে দেখার কোনো উপায় নেই। আজকের বাংলাদেশে নারীর মতায়নের েেত্র গ্রামীণ ব্যাংকের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
অতি সম্প্রতি বর্তমান সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের শুরু থেকে এ পর্যন্ত নানা বিষয়ে তদন্ত করে সুপারিশ প্রদানের জন্য চার সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছে। তিন মাসের মধ্যে তদন্ত কমিশনকে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করতে হবে। ড. ইউনূস এ কমিশন গঠনের প্রোপটে গ্রামীণ ব্যাংকের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ড. ইউনূসের মতো আমাদেরও মনে প্রশ্ন জেগেছেÑ এ তদন্ত কমিশন কেন করা হয়েছে? কার স্বার্থে করা হয়েছে? গ্রামীণ ব্যাংকে এমন কী ঘটেছে বা এমন কী পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে যে, সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় এমন একটি তদন্ত কমিশন গঠন করার প্রয়াস পেল? 
সাধারণত বড় ধরনের কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি, অপকর্ম, বিধি লঙ্ঘন, চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র কিংবা সহিংস ঘটনার প্রোপটে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সংগঠনের েেত্র এ ধরনের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়; ঘটনা তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন কর্র্তৃপরে কাছে পেশ করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের কর্মজীবনে আমি নিজেও ছাত্রহত্যা, প্রশ্নফাঁসসহ বহুবিধ ঘটনা তদন্তের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটিতে কাজ করেছি। ওই সব তদন্ত কমিটি গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবিধানকে সমুন্নত রাখা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিশৃঙ্খলা রা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিার সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত দোষীদের শাস্তির বিধান করা। 
গ্রামীণ ব্যাংক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হলেও এর ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। প্রতি বছর বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রামীণ ব্যাংক অডিট ও পরিদর্শন করে। গ্রামীণ ব্যাংকে কোনো বড় ধরনের অনিয়ম হয়েছে কিংবা এমন কোনো চাঞ্চল্যকর নেতিবাচক ঘটনা ঘটেছেÑ সাম্প্রতিক কালে বা দূর অতীতে, এমন কোনো সংবাদ আমাদের চোখে পড়েনি। তাহলে এ তদন্ত কমিশন কেন গঠন করা হলো? হঠাৎ করে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকাণ্ড বা এর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তদন্ত কমিশন গঠনের এহেন উদ্যোগ জনমনে প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে। এহেন উদ্যোগে এ কথা প্রতীয়মান হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে যে, এ তদন্ত কমিশন গঠন অবশ্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। 
আজ বাংলাদেশের বহু সরকারি প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ, সুশাসনের অভাবসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ সম্পর্কে নানা সমালোচনা হচ্ছে। হত্যা, গুমসহ কত অপরাধই না সংঘটিত হচ্ছে। কিন্তু এসবের তেমন কোনো কার্যকর তদন্ত হয়েছে বলে মনে হয় না। সে েেত্র গ্রামীণ ব্যাংকের বিভিন্ন বিষয়ের তদন্তের প্রয়োজন হলো কেন?
দেশের এমন একটি পরীতি, কার্যকর প্রতিষ্ঠানকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে না দিয়ে, তার গতি রোধ করা কোনোক্রমেই সঙ্গত হবে না। নানা সীমাবদ্ধতা ও সমালোচনা সত্ত্বেও ড. ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংকের অবদান অস্বীকার করার মতো বিষয় নয়। স্বভাবতই তিনি আমাদের কাছ থেকে ন্যায্য সম্মান ও মর্যাদা প্রত্যাশা করেন এবং কৃতজ্ঞ জাতি ইতোমধ্যে তাকে যথাযথ সম্মানের আসনেই অধিষ্ঠিত করে। কিন্তু সম্মানহানি করার রাজনৈতিক সংস্কৃতির ধারাবাহিকতায় আজ তিনিও আক্রান্ত হয়েছেন। ড. ইউনূসের প্রতি অসম্মান জাতির জন্য বেদনাদায়ক। কেননা সামগ্রিক বিবেচনায় ড. ইউনূসের অবদানকে কোনোক্রমেই খাটো করে দেখার উপায় নেই। মনে রাখা দরকার, ড. ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর প্রতিষ্ঠাতাকে তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান থেকে অপসারণের ওপর অত্যন্ত তিকর প্রভাব বিস্তার করবে এবং এ ধরনের অপসারণের উদাহরণ জাতির জন্য কখনোই মঙ্গলজনক হতে পারে না। ড. ইউনূসকে ঘিরে যেসব ঘটনা ঘটানো হচ্ছে, তা খুবই দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। 
গ্রামীণ ব্যাংক লাখ লাখ দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সাহায্য করেছে। ুদ্রঋণ কর্মসূচি (Micro credit) আজ শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমাদের দেশসহ বিভিন্ন দেশে এ কর্মসূচি আংশিকভাবে বা সম্পূর্ণভাবে সফল হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংক এ আন্দোলনের পথিকৃৎ হিসেবে প্রচুর প্রশংসা অর্জন করেছে। আর এর প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ইউনূস বিশ্বব্যাপী অর্জন করেছেন বিরল সম্মান। তাই তিনি আমাদের গর্ব।
অতএব বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, দয়া করে গ্রামীণ ব্যাংককে সরকারের অধীন একটি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন। সরকারি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হলে গ্রামীণ ব্যাংক কোন পথে অগ্রসর হবে সেটা অনুমান করতেই ভয় হয়। গ্রামীণ ব্যাংক একটি নিয়মশৃঙ্খলার ব্যাংক। সরকারি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হলে নানারকম সঙ্ঘাত এর ভেতর দ্রুত প্রবেশ করার সম্ভাবনা দেখা দেবে। আমাদের দেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্দশার খবর কে না জানে? সরকারি প্রতিষ্ঠানের অন্তর্নিহিত দুর্বলতা এবং তার সীমাবদ্ধতা যদি গ্রামীণ ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানকে গ্রাস করে, তাহলে তা হবে অত্যন্ত মর্মান্তিক ও দুর্ভাগ্যজনক। গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান আইনকাঠামোর পরিবর্তন করে সরকারের নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো হলে, এর ভবিষ্যৎ যে বিপন্ন হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। 
গ্রামীণ ব্যাংক তিন দশক যাবৎ এর বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের সংগ্রামে লিপ্ত আছে। বিশ্বের বহু দেশ এতে অনুপ্রাণিত হয়ে তাদের দেশেও এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে কাক্সিক্ষত সাফল্য অর্জন করেছে। অতএব কোনো অজুহাতেই গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান কাঠামো পরিবর্তন করে এর কর্মকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা ঠিক হবে না। আমাদের দেশের নিপীড়িত, বঞ্চিত, ভাগ্যহত দরিদ্র মানুষকে চরম দারিদ্র্য, ুধা, ব্যাধি ও নিররতা থেকে পরিত্রাণ দিতে পারে গ্রামীণ ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠান; তাই এর অগ্রযাত্রা অুণœ এবং অব্যাহত রাখতে হবে। 
লেখক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক 
উপাচার্য, সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং বিশিষ্ট 
সমাজবিজ্ঞানী ও নৃবিজ্ঞানী

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন