অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসাইন :
মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটাকে একেবারে অতল গহবরের ধারে নিয়ে এসেছে। এখন সামনে দু'টি পথ হতে পারে। এক. দেশ যদি অতলে তলিয়ে যায় তাহলে মহাজোট সরকার ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার চালাবে। দুই. দেশ যদি টিকে থাকে, তলিয়ে যাবে মহাজোট। দেশকে এখন এই দু'টির মধ্যে একটিকে বেছে নিতে হবে।
মহাজোট সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতাদের মধ্যে কেউ যদি বলে আমি দুর্নীতি করি না তাহলে দেশ জুড়ে অট্টহাসি আরম্ভ হবে। বিশ্বব্যাংক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান সরকার সবাই এখন বেপরোয়া দুর্নীতি সামাল দিতে সরকারকে তাগিদ দিচ্ছে। র্যাব এখন রক্ষীবাহিনী হয়ে গেছে। তারা মহাজোট সরকারের দলীয় ক্যাডার ও ঘাতকদের সাথে হাত মিলিয়ে খুন, গুম, অপহরণের মতো লোমহর্ষক কাজগুলো করছে।
এ সরকার সাংবাদিকদের হত্যা, একুশে টিভি, ইসলামী টিভি'র বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, চ্যানেল ওয়ান বন্ধসহ মিডিয়া জগতে ত্রাসের রাজত্ব সৃস্টি করেছে। আমারদেশ পত্রিকার সম্পাদককে অন্যায় ভাবে নয় মাস জেল খাটানো হয়েছে। জেলে দিয়েছে সোনার বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসনীম আলমকে। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর সবচেয়ে বেশি সাংবাদিকগণ নির্যাতিত হয়েছে। সাগর রুনীসহ ১৪ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছে। ৬৩৯ জন সাংবাদিক আহত হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই সাংবাদিকগণের উপর জুলুম-নির্যাতন চলছে। আমার দেশ, দৈনিক সংগ্রাম, সোনার বাংলার সম্পাদকসহ অনেক প্রতিনিধির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে।
দেশে কৃষিক্ষেত্রে চলছে চরম সংকট। সার, বীজ, কীটনাশক ও সেচ ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকের পক্ষে জমিতে আবাদ ও ফসল ফলানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তারা ভারতীয় নিম্নমানের সার, বীজ ও কীটনাশক বাধ্য হচ্ছে কিনতে এবং প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু তাই নয় দেশে গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। জ্বালানি খাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে। তারা জনস্বার্থ বিসর্জন দিয়ে সরকারকে তুষ্ট করতে ব্যস্ত। সংস্থাটির প্রধান এখন জ্বালানি উপদেষ্টার কাছে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন। ফলে অসহায় হয়ে পড়েছে দেশের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি ভোক্তারা।
দেশের কোন সরকারই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না, বরং ঐতিহাসিক ভুলগুলোর অন্ধ অনুকরণের পথই সবাই বেছে নেয়। হত্যা-নির্যাতন, মিডিয়ার স্বাধীনতা হরণ এবং জেল জুলুমের পথ ধরেছে মহাজোট সরকার। স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অসম্ভব করে তোলার বহু আয়োজন ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করেছে এ সরকার। দেশের মানুষ আবার ভয় করছে আরো একবার গণতন্ত্রকে হত্যা করতে যাচ্ছে এ সরকার। দেশের বিরোধীদল গণতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্য তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য, র্যাব-এর হাতে নিখোঁজ বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক এম. ইলিয়াস আলী, শিবির নেতা ওয়ালিউল্লাহ ও মুকাদ্দাসকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলনে নেমেছে। এর সাথে যোগ হয়েছে ১৮ দলীয় জোটের র্শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি।
আন্দোলন উত্তেজনাপূর্ণ হলে এবং জুলুম নির্যাতন-নিপীড়ন চরম আকার ধারণ করলে দলীয় কর্মীরা মাঝে মাঝে শৃক্মখলা ভঙ্গ করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে দলের কিছু কর্মী আবেগে কিছু অঘটন ঘটাতে পারে এটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সে সব ঘটনায় কখনোই দলের শীর্ষ নেতাদের সম্মতি থাকে না। গণতান্ত্রিক আন্দোলন হয় জনসাধারণের সহানুভূতি ও সমর্থন লাভের জন্য। রাজনীতি করে যারা শীর্ষস্থানে আরোহণ করেন তারা অবশ্যই জানেন, বিশৃক্মখল আচরণ জনসাধারণ পছন্দ করে না। বিরোধী দল বেশ কিছুদিন হরতাল কর্মসূচি দিতে ইতস্ত করেছে। আর সরকার এই দুর্বলতার সুযোগে নির্যাতন-নিপীড়ন বাড়িয়ে দিয়েছে। সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ ১৮ দলের নেতারা হরতাল দিয়ে জনসাধারনকে কষ্ট দিতে চাননা কিন্তু স্বৈরতন্ত্র জুলুমবাজ সরকার তাদের জন্য উপায়ান্তর রাখেনি। জোটের শীর্ষ নেতারা সচিবালয়ে বোমা ফাটিয়েছে প্রায় একই সময় চার মাইল দূরে গাড়ীতে আগুন দিয়েছে। পুলিশের মামলার এজাহার দেখে মনে হয় উন্মাদ না হলে এমন দাবি কেউ করতে পারে না। রাজনীতি একটি সন্মানজনক পেশা। অন্তত তেমনটাই হওয়া উচিত। আমাদের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রী, এমপিরা রাজনীতি করেন। বিরোধী দলের নেতাদের প্রতি অন্তত পেশাগত সৌজন্য দেখান উচিত ছিল। কিন্তু জাতীয় ও শীর্ষ নেতাদের প্রতি যে আচরণ করা হচ্ছে তা অমানবিক। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আজহারুল ইসলাম ও প্রচার সেক্রেটারি তাসনীম আলমকে যেভাবে ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়েছে, তাতে বিশ্ববাসী হতবাক। তা থেকে ধরে নিতে হবে মহাজোট সরকারের প্রধান মন্ত্রী থেকে আরম্ভ করে সরকারের সবাই উন্মাদ হয়ে গেছে। এ সরকারের ভরাডুবি যে অনিবার্য তা তাদের আচরণ দেখেই বুঝা যাচ্ছে। তাদের আচরণ মনে হচ্ছে পিটন খাওয়া সাপের মরণ কামড়ের মতো। কোন দলের সাধারণ কর্মী বা সমর্থকদের দুষ্কর্মের জন্য যদি দলের শীর্ষ নেতাদের নামে মামলা করার ইতিহাস সৃষ্টি করা হয়। তাহলে মহাজোট সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিপূর্বে পাঁচ বছর এবং বর্তমানে প্রায় চার বছর। এ সময়ে তার দলের ক্যাডার, দলীয় কর্মীরা চাঁদাবাজি, টেন্ডরবাজি, সন্ত্রাস, ভর্তি বাণিজ্য, হত্যা, ধর্ষণ ভূমি গ্রাসসহ শত শত দুষ্কর্ম করেছে সে জন্যে মহাজোট সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুকুমের আসামী করে কোন সময় দেশে প্রায় লক্ষাধিক গ্রাম থেকে মামলা রুজু করা স্বাভাবিক হবে। মহাজোট সরকারের মনে রাখতে হবে যে, দিন কারো সমান যায় না। দিন বদল হলে অনুরূপ আচরণ নিজেদের উপর অর্পিত হবে।
মহাজোট সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বহু বার বলেছেন যে, ২১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন। তাঁর মন্ত্রীরাও মাঝে মাঝে এ স্বপ্ন দেখেন; একমাত্র নাস্তিক যারা তারাই এধরনের কথা বলতে পারে, কারণ কে ক্ষমতায় থাকবে আর থাকবে না তা নির্ধারণের মালিক আল্লাহ। মুক্ত নির্বাচন অসম্ভব করে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের কোন কোন দেশের স্বৈরশাসক এবং তাঁর পিতার মতো স্বৈরশাসক হতে চান। তিনি ভুলে যাচ্ছেন যে, এটা বিংশ নয় একবিংশ শতাব্দী আর বাংলাদেশের মানুষ মধ্যপ্রাচ্যবাসী নয়। এদেশের মানুষ মুক্তি যুদ্ধ করেছিল পাকিস্তানী স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্রের লক্ষ্যে। শেখ মজিবুর রহমানের শাসন দেশের মানুষ মেনে নিতে পারেনি। তাঁর কাছের মানুষ তাঁকে হত্যা করেছে; যে হত্যার পিছনে সারা দেশের মানুষের মৌন সম্মতি ছিল। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন বঙ্গবন্ধু হত্যায় দেশের মানুষ চোখের পানি ফেলেনি তাই তিনি প্রতিশোধ নেয়ার জন্য রাজনীতিতে এসেছেন। স্বধীনতার পর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে সংবিধান সংশোধন করার মতো আসন না পাওয়ায় প্রতিশোধ নিতে পারেনি। এবার সেই প্রতিশোধ নেয়ার জন্য মহাজোট করে ক্ষমতায় এসে আইন তৈরি করে মীমাংসিত একটি ইস্যুকে নিয়ে দেশে যা করছে তা দেশের মানুয় মেনে নিবে এটা মনে করার কোন কারণ নেই। সরকার গঠনের পর বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে যুদ্ধাপরাধের ইস্যুতে জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করে জেলে পুরেছে। প্রকৃতপক্ষে পিতার প্রতিশোধ নেয়াই তার মূল উদ্দেশ্য। ভারত ও মার্কিনিদের মনোরঞ্জনের আশায় ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের গ্রেফতার করেছে এমনটি বুঝাতে চাইলেও মার্কিনসহ বিশ্বের আনেক দেশের কাছে হাসিনার প্রতিশোধের বিষয়টি পরিষ্কার। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি'র উচিত ছিল প্রথম থেকেই ছোট দলগুলোকে সাথে নিয়ে স্বৈরতন্ত্রী প্রবণতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। সেটা না করার কারণেই সরকার এখন সবার বিরুদ্ধে হাত বাড়াতে সাহস পেয়েছে। ১৬ মে বিএনপি'র মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতাদের এবং ১৮ দলের ৫ জন এম পিসহ ৩৩ জন নেতাকে জেলে পাঠাতে সাহস পেয়েছে। জোটের বড় দল বিএনপি'র একটি মহল এতদিন সাংবিধানিক আন্দোলনের কথা বলে সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলনের বিরোধিতা করে আসছে। আজ তারা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করেতে পারছে। এই সরকার কে যতই সময় দেয়া যাবে বিরোধী দল ততই ভুল করবে। সরকার কি বিরোধী দলকে গণতান্ত্রিক অধিকার অনুযায়ী সভা-সমাবেশ ও মিছিল করতে দিচ্ছে। বরং তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ, র্যাব দিয়ে বাধা দিচ্ছে। র্যাব ও গুপ্ত বাহিনী দিয়ে খুন, গুম, অপহরণ করছে। পুলিশ দিয়ে দলীয় অফিস ও নেতাদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে যেনতেনভাবে সাজা দিয়ে শীর্ষ নেতাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চাচ্ছে। তারা সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেছে। এখন দলীয় পুলিশ, আমলা ও সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধিনে আরও একটি নির্বাচন করে বাকশালী স্বৈরতন্ত্র কায়েম করে ২১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চায়।
বিরোধী দলের উচিত ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করেছে তাতে হতাশার কিছুই নেই। ইন্দিরা গান্ধী জেলে গিয়ে ইংরেজদের বিতাড়িত করেছিলেন। এদেশেও জনগণ আন্দোলন করে বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করেছে, দেশকে স্বাধীন করেছে। এসব আন্দোলনে হাজার হাজার নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়েছে জেল খেটেছে। প্রধান মন্ত্রীর পিতা আগরতলা গিয়ে পাকিস্তান ভাঙার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। পাক সরকার তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে জেলে দিলে দেশের মানুষ আন্দোলন করে মুক্ত করেছিল। এবারের ১৮ দলীয় জোট নেতাদের কেউ এত বড় অপরাধ করেনি। তারা শুধু জনসাধারণের অধিকার আদায় করতে চেয়েছে। তারা সবাই দেশপ্রেমিক এবং গণতন্ত্রকামী।
দেশের জনসাধারণ মহাজোট সরকারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ মহাজোট সরকার ১০ টাকা কেজি চাল, ঘরে ঘরে চাকুরি, বিনামূল্যে সারসহ হাজারও কথা বলে ক্ষমতায় এসে জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে, জনগণকে চাহিদামত গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি দিতে পারেনি, আইন শৃক্মখলা রক্ষা ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চরমভাবে সরকার ব্যর্থ হয়েছে, পরিবহন ভাড়া, গ্যাস, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ফলে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। সরকার নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান থেকে বাতিল করেছে, ইসলামী মূল্যবোধ ধ্বংস করেছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত, ভারতীয় বিএসএফ-এর হামলা থেকে সীমান্ত এলাকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান এবং গঙ্গা ও তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ বন্ধ করতে এ সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। দেশে আন্দোলনের ক্ষেত্র প্রস্তুত। ১৮ দলীয় জোট এখন আন্দোলনের মাধ্যমে জোটের শীর্ষ নেতাদের মুক্ত করে মহাজোট সরকারের ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্রের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা।
দেশের মানুষও আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত আছে। ১৬ মে শীর্ষ নেতাদের জামিন নামঞ্জুর করে একই সাথে ৩৩ নেতাকে জেলে পাঠালে নাটোর, পাবনা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জসহ অনেক জেলা কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়াই ১৭ মে হরতাল ডেকেছে। পরে সারা দেশের জনস্রোত দেখে ১৮ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে নজরুল ইসলাম খান হরতালের ডাক দেন। দেশব্যাপী স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালিত হয়েছে। অর্থাৎ দেশব্যাপী কর্মীদের মাঝে উদ্দীপনার অভাব নেই। জনসাধারণ অতীতে অনেকবার দেশের জন্যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, ৫২ তে ভাষার জন্যে জীবন দিয়েছে, ৭১ সালে দেশ স্বাধীনতার জন্য তিন লাখ লোক প্রাণ দিয়েছে। এখন দ্রুত প্রয়োজন সঠিক নেতৃত্ব। ধীরে চলো নীতি অবলম্বন করে কোন আন্দোলন সফল হয়নি হবেও না। ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগ অসহযোগ আন্দোলনের নামে লাগাতার হরতাল দিয়ে দেশ অচল করে দিয়েছিল। ফলে ১/১১ সৃষ্টি হয়েছিল। ১৮ দলের নেতাদের কঠিন থেকে কঠিনতর অসহযোগ আন্দোলনের পথ ধরতে হবে। প্রথম কাতারের নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাতে কী? দ্বিতীয় সারির নেতারা তো প্রস্তুত আছে। তারাও গ্রেফতার হলে তৃতীয় সারির নেতারা এগিয়ে আসবে প্রয়োজন শুধু হাই কমান্ডের নির্দেশের। এখন ১৮ দলীয় জোটের সামনে কঠিন পরীক্ষা। জোটের বৃহৎ দল বিএনপি'র নেত্রী দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যে মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছে এই ডাকে ১৮ দলীয় জোটকে জয়ী হতে হবে। আর ব্যর্থ হলে জাতি কখনই তাদের ক্ষমা করবে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন