সোমবার, ৪ জুন, ২০১২

অব্যবস্থাপনা অর্থনীতিকে বিপদে ফেলেছে

মইনুল ইসলাম | তারিখ: ০৫-০৬-২০১২


চলতি অর্থবছর ২০১১-১২-এর সরকারি অর্থব্যবস্থাকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি-সম্পর্কিত ভ্রান্ত প্রাক্কলন, টাকার বৈদেশিক বিনিময় হারের বড়সড় ধস এবং অভ্যন্তরীণ ঋণবাজার (প্রধানত বাণিজ্যিক ব্যাংক) থেকে সরকারি ঋণ গ্রহণের প্রাবল্য। এই তিন সংকটের পেছনেই প্রধান উপাদান হিসেবে চিহ্নিত হবে অর্থনীতি, মুদ্রানীতি এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ নীতির অব্যবস্থাপনা ও ভুল হিসাব-নিকাশ। সবচেয়ে বড় ভুলটি হয়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের ডাবল ভর্তুকির আর্থিক অভিঘাত প্রাক্কলনে। রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের পুরো হিসাবই ছিল ভুল। এক, ডিজেল ও ফার্নেস অয়েলের প্রয়োজনীয় পরিমাণ নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প প্রণয়নকারী বিশেষজ্ঞরা এবং পিডিবি কর্তৃপক্ষ বড় ধরনের ভুল করেছে। দুই, ডিজেল ও ফার্নেস অয়েলের আন্তর্জাতিক মূল্যবৃদ্ধির পূর্বানুমান অপেশাদারি কাঁচা কাজ হয়েছে। অথচ, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের আগে তেলের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য যখন ১৪৬ ডলারে লাফ দিয়েছিল, তখনই পাকিস্তানসহ অনেকগুলো উন্নয়নশীল দেশ কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কর্মসূচি নিয়ে বিপদগ্রস্ত হয়েছিল। অতএব, ৬০ ডলার প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ওই স্তরেই স্থিতিশীল থাকবে—এটা বিশ্বাস করে প্রাক্কলন তৈরি করা ছিল বড় ধরনেরবোকামি। এখন প্রতি লিটারে ৩০ টাকার বেশি ভর্তুকি গুনতে হচ্ছে সরকারকে ডিজেল ও ফার্নেস অয়েলে। এর দায় কে নেবে? তিন, সরকার একবার ভর্তুকি দিচ্ছে ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল সরবরাহে, আবার ভর্তুকি দিতে হচ্ছে এসব কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ কেনায়। এক ইউনিট বিদ্যুৎ ১৪-১৬ টাকায় কিনে পিডিবি বিক্রয় করছে গড়ে পাঁচ টাকারও কম দামে; প্রতি ইউনিটে ভর্তুকি ৯-১১ টাকা। এই ডাবল ভর্তুকির মারে অর্থমন্ত্রীর বাজেট তছনছ হয়ে গেছে। একই সঙ্গে বিপর্যস্ত হলো দেশের বাণিজ্য ভারসাম্য ও টাকার বৈদেশিক বিনিময় হার। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন ঠেকাতে কঠোরভাবে রাশ টেনে ধরতে হয়েছে আমদানি প্রবাহে। আবার বাজেট-ঘাটতির টানাপোড়েন সামলাতে সরকারকে ঋণ গ্রহণের জন্য হামলে পড়তে হয়েছে ব্যাংকগুলোর ওপর, ফলে তারল্য সংকট গ্রাস করেছে ব্যাংকিং খাতকে। ফলে অর্থবাজারে ব্যক্তি খাতের জন্য ঋণের সংকুলান বিপর্যস্ত অবস্থায় চলে গেছে, যাকে সামষ্টিক অর্থনীতির ভাষায় ক্রাউডিং আউট বলা হয়। ব্যাংকের সুদের হারও বেড়ে গেছে গড়ে প্রায় ৪-৫ শতাংশ। ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ অনেকখানি থমকে গেছে ব্যাংকঋণের প্রাপ্যতা এবং সুদের হারের চলমান সংকটে। অথচ, বর্তমান সরকারের প্রথম তিন বছরের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত সরকারের বিদ্যুৎ-সম্পর্কিত ক্ষমার অযোগ্য ব্যর্থতা মোটামুটি কাটিয়ে উঠতে পারলে তা আগামী নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের ট্রাম্পকার্ড হতে পারত। কিন্তু সরকারের ৪১ মাসের সমাপ্তিলগ্নে এসে দেখা যাচ্ছে, তাদের স্বল্পমেয়াদি রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল কৌশল প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে। বর্তমানে দেশের সব শ্রেণীর বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের সম্মিলিত সক্ষমতা প্রায় সাড়ে আট হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছে গেলেও প্রকৃত উৎপাদন ৫০০০-৫২০০ মেগাওয়াটে ঘুরপাক খাচ্ছে। আরও দুঃখজনক হলো, বিদ্যুৎ সমস্যার মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য আবশ্যক কয়লাভিত্তিক ও গ্যাসভিত্তিক প্ল্যান্ট স্থাপন এবং সৌরবিদ্যুৎ কর্মসূচিও যথাযথ গতিতে বাস্তবায়ন করতে পারছে না সরকার, যার ফলে তাদের আগামী দেড় বছর মেয়াদে বিদ্যুতের লোডশেডিং থেকে জনগণের মুক্তি মিলবে না বলেই ধারণা করা যাচ্ছে। এমনকি গ্যাস খাতে পেট্রোবাংলার সিদ্ধান্ত গ্রহণপ্রক্রিয়ার শ্লথগতি গ্যাসের জোগান ঘাটতি পূরণের অপেক্ষাকৃত সহজে অর্জনযোগ্য লক্ষ্যমাত্রাটিও কঠিন করে তুলছে। অতএব, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের ভুল প্রাক্কলন ও ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা অর্থনীতিকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে, যাকে নীতিনির্ধারকদের অবিমৃষ্যকারিতা ও অদক্ষতার যোগফল বলা যেতে পারে।
ভুল ব্যবস্থাপনার আরেকটি প্রধান নজির স্থাপিত হয়েছে দেশের আর্থিক নীতি-ব্যবস্থাপনা এবং আর্থিক খাত পরিচালনায়। টাকার বৈদেশিক বিনিময় হার ডলারের তুলনায় গত দেড় বছরে ১৮-২০ শতাংশ অবনমিত হয়ে গেছে। ২০১১ সালের দ্বিতীয়াংশে ডলারের দর ফরমাল বাজারে ৮৫ টাকা এবং ইনফরমাল বাজারে ৯০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। পরের কয়েক মাসে আমদানিপ্রবাহকে কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত করে টাকার অবনমনের ধারায় রাশ টেনে ধরা গেছে। এখন ফরমাল বাজারে ডলারের দাম ৮২ টাকা এবং কার্ব মার্কেটে ৮৪-৮৫ টাকা। টাকার বৈদেশিক মানের অবনমনের এই গতি-প্রকৃতির দুটো পর্যায় রয়েছে, যা সঠিক আর্থিক নীতি-ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আরও ভালোভাবে সামলানো যেত। প্রথম পর্যায়ে যখন ডলারের দামের সঙ্গে টাকার মানকে ৭০-৭১ টাকায় স্থিতিশীল রাখার প্রয়াস নেওয়া হয়েছিল, তখন আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে ডলারের বিনিময় হারের দ্রুত অবনমন হচ্ছিল। মানে, ইউরো, ইয়েন, চীনা ইউয়ান, ভারতীয় রুপি ও ব্রিটিশ পাউন্ডের তুলনায় ডলারের দরপতন ঘটছিল। সুতরাং, ওপরে উল্লিখিত কারেন্সিগুলোর তুলনায় টাকার বৈদেশিক মানও স্বয়ংক্রিয়ভাবে অবনমনের শিকার হয়ে গিয়েছিল আমাদের নীতি-প্রণেতাদের ভুলের কারণে। উচিত ছিল ডলারের দামকে ৭০-৭১ টাকা থেকে কমিয়ে ধীরে ধীরে ৬০-৬৫ টাকায় নামিয়ে আনা। কিন্তু গার্মেন্টস রপ্তানিকারক এবং রেমিট্যান্স প্রেরণকে উৎসাহ দেওয়ার কথা বলে তা করা হয়নি। ফলে, বাংলাদেশের আমদানির প্রধান সূত্র চীন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মুদ্রার তুলনায় ডলারের দাম ক্রমশ অবনমিত হওয়ায় দেশের আমদানীকৃত পণ্যের দামে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা জোরদার হয়েছে। এর মানে দাঁড়িয়েছে, ২০০৫-২০০৯ পর্যায়ে আমাদের আর্থিক নীতিপ্রণেতারা অর্থনীতিতে ‘মূল্যস্ফীতি আমদানি’ করেছেন। এরপর ২০১১ সালে ইউরো জোনের অর্থনীতিগুলোর সংকটের কারণে যখন ডলারের আন্তর্জাতিক বিনিময় হার উন্নত হতে শুরু করেছে, তখন ডলার-টাকার বিনিময় মান ১৮-২০ শতাংশ অবনমনের দুষ্টচক্রে নিপতিত হয়েছে। এতে দেশের আমদানি পণ্যের দাম আরেক দফা বৃদ্ধির মওকা সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি হিসাবেই ২০১১ সালের শেষে এ দেশের মূল্যস্ফীতির হার ১২-১৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল এবং বর্তমানে তা ১০ শতাংশের নিচে নেমে বলে দাবি করা হচ্ছে। এখানে প্রণিধানযোগ্য বিষয় হলো, দেশের মূল্যস্ফীতির হার যখন লাফিয়ে ১২-১৩ শতাংশে উঠে গিয়েছিল, তখন ভারতের মূল্যস্ফীতির হার ছিল মাত্র ৪ শতাংশ। এখন ভারতের মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৮ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে, চীনের মূল্যস্ফীতির হারও বাড়তে শুরু করেছে। অতএব, আমাদের মূল্যস্ফীতির হার আর বেশি কমানো যাবে না অদূর ভবিষ্যতে।
এ অবস্থায়, আগামী অর্থবছরের বাজেটেও সামষ্টিক অর্থনীতিতে সৃষ্ট ভারসাম্যহীনতা নেতিবাচক অভিঘাত সৃষ্টি করবে নিঃসন্দেহে। তাই, প্রায় দুই দশকের সামষ্টিক অর্থনীতির ভারসাম্য নষ্ট করার যে অভিযোগ বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে উত্থাপিত হচ্ছে, তাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বৈদেশিক বিনিয়োগ ও বৈদেশিক ঋণ অনুদানে ভাটার টান। দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন আটকে দেওয়ায় সরকার বড়সড় ইমেজ-সংকটে পড়েছে। বিশেষত, দুর্নীতির অভিযোগের মূল টার্গেট সৈয়দ আবুল হোসেনকে অভিযোগ থেকে আড়াল করার যে অহেতুক আগ্রহ দেখিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী, সেটা আমাদের তথাকথিত উন্নয়ন অংশীদারদের পছন্দ নয়। জাপানের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঝামেলা মেটাতেই হবে। এডিবির অবস্থানও তথৈবচ। এর সঙ্গে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে যুক্ত হয়েছে সুরঞ্জিত-উপাখ্যান। তদন্ত কমিটির নামে যে প্রহসন মঞ্চস্থ হলো, সেটা পুরোপুরি ‘ফ্লপ নাটক’! 
ওপরের আলোচনা থেকে সরকারের সাম্প্রতিক নীতি-ব্যবস্থাপনার যে লেজেগোবরে অবস্থা দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে, দেশের অর্থনীতি কিন্তু অতখানি খারাপ বলা যাবে না। অর্থনীতির ব্যষ্টিক খাতগুলোর বেশ কয়েকটি প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। কৃষি খাত, শিক্ষা খাত, রপ্তানি খাত, প্রবাসীদের রেমিট্যান্স প্রবাহ, শিল্প খাত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের ডিজিটাল কর্মসূচি, গণপূর্ত খাত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এগুলোর অর্জন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। তাই বাজেটে ওপরের সফল খাতগুলোর সাফল্যকে টেকসই করার দিকেই নজর দিতে বলব। নবায়নযোগ্য সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনকে ক্র্যাশ প্রোগ্রামে নিয়ে এসে সরকারি ভর্তুকির অগ্রাধিকারের আওতায় নিয়ে আসতে অনুরোধ করছি। সোলার সেচপাম্পও এই ভর্তুকির দাবিদার হতে পারে। সোলার প্যানেল উৎপাদনকে উৎসাহিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, মেশিনপার্টসকে করমুক্ত আমদানির আওতায় নিয়ে আসা হোক। শুধু বিচ্ছিন্ন গ্রামাঞ্চল নয়, শহরে-নগরেও সৌরবিদ্যুতের সুবিধা স্থাপনে আগ্রহীদের যথোপযুক্ত প্রণোদনার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। সরকারের শিক্ষাবান্ধব ইমেজকে টেকসই করার জন্য এবারের বাজেটে শিক্ষা খাতে সরকারি ব্যয়কে জিডিপির ৩ শতাংশে উন্নীত করা হোক। খাদ্যশস্য মজুদকে আগামী বছরের শেষে ২০ লাখ টনে উন্নীত করা হোক। পোশাকশ্রমিক, অন্যান্য খাতের শিল্পশ্রমিক এবং বস্তিবাসী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য রেশনিং পদ্ধতি চালু করা হোক, সিলিন্ডার গ্যাস সহজলভ্য করার জন্য প্রান্তিক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর গ্যাস সিলিন্ডার ক্রয়ে দামের ৫০ শতাংশ ভর্তুকিদেওয়া যেতে পারে। এ দেশের জন্য পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ আর্থিকভাবে মোটেও যৌক্তিক নয়। বাস্তব কারণেই দেশের গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠী এই সুযোগ নিতে অপারগ। বড় বড় নগরের উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত এর বড় অংশটা দখল করে নিয়েছে। তাই আগামী বাজেটে বিদ্যমান গ্যাস সংযোগের দাম বড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যতে পাইপলাইনে গ্যাস সংযোগ কর্মসূচি ধাপে ধাপে পরিত্যাগের ঘোষণা দেওয়া হোক।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক যে ২৩ হাজার ২১২ জন কোটিপতির হিসাব দিয়েছে, তাদের সঠিকভাবে প্রদেয় আয়কর নিরূপণ ও আদায়ের জন্য অলাদা একটি শক্তিশালী সেল এবং কার্যকর ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হোক। দেশের ৩২ লাখ টিআইএন নম্বরধারীদের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ আয়কর দিচ্ছেন বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাও অগ্রহণযোগ্য। টিআইএনধারীদের সবাইকে আয়কর পরিশোধে বাধ্য করতে হবে। জ্বালানির ভর্তুকি পুরোপুরি তুলে দেওয়া যাবে না। কিন্তু, ভর্তুকিকে এমনভাবে যৌক্তিকীকরণ করা হোক, যাতে আমদানিকৃত ডিজেল, ফার্নেস অয়েল কিংবা কেরোসিন যেন ভারতে এবং মিয়ানমারে চোরাচালান হয়ে না যায়। এ দেশ থেকে ইউরিয়া সারও চোরাচালানে পাচার হয়ে যাচ্ছে। বাজেটে যথাযথ নীতি ঘোষণা করে সার চোরাচালান বন্ধ করা হোক।
সবশেষে বলব, অর্থমন্ত্রী এ দেশের বাজেট ব্যবস্থার চরিত্র আমূল পরিবর্তনের আশ্বাস ও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন তার মন্ত্রিত্ব গ্রহণের আগেই। বাজেট প্রস্তুত-প্রক্রিয়ার বিকেন্দ্রীকরণ কিংবা জেলা বাজেটের অঙ্গীকারের কথা কি তিনি ভুলে গেছেন? আগামী বাজেটে প্রতি বিভাগের একটি জেলায় জেলা বাজেটের পাইলট কর্মসূচি শুরু করা যায় না? 
ড. মইনুল ইসলাম: অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন