এবিএম মূসা | তারিখ: ১০-০৯-২০০৯
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেদিন সকালেও আগের দিন তেল-গ্যাস রপ্তানির বিরুদ্ধে ছোটখাটো একটি মিছিলের সংবাদপত্রের ছবি ও টেলিভিশনের প্রচারকৃত দৃশ্য দেখেছিলাম। অতি একটি ক্ষুদ্র মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। সেই মিছিলের শ দুয়েক বা পাঁচেক মহিলা ও পুরুষকে পুলিশ বেধড়ক লাঠিপেটা করেছিল। ছবিতে দেখেছি, একজন অথবা একাধিক পুলিশপুঙ্গব অধ্যাপকের দুটি ঠ্যাং ভেঙে দিয়েছে। অধ্যাপককে নয়, সেই ভাঙা ঠ্যাং দুটি দেখাই ছিল আমার উদ্দেশ্য। এই কথাটি নেহাত ঠাট্টা করেই বলেছিলাম আমার এক আওয়ামীপন্থী বন্ধুকে। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, ‘হঠাত্ আনু মুহাম্মদকে দেখতে গিয়েছিলেন কেন?’ তাঁকে বললাম, আসল কারণ ভাঙা ঠ্যাং দেখা ছিল না। একসময় পুলিশের ঠ্যাঙানি খাওয়া একটি দলের সরকার নিজেরা ক্ষমতায় গেলে বিরোধী মনোভাবাপন্নদের ঠ্যাং ভাঙত। দিনবদলের প্রতিশ্রুতি দেওয়া সরকার পুলিশকে কেন বদলাতে পারে না—তাই বুঝতে গিয়েছিলাম।
মাথা ফাটানো, হাত-ঠ্যাং ভাঙা, প্রতিপক্ষ নেতা-কর্মীদের মাটিতে শুইয়ে কোমরে লাথি মারা অথবা মহিলাদের শাড়ির আঁচল টেনে ধরে বেআব্রু করা অতীতে কোনো ক্ষমতাসীন সরকারের অস্বাভাবিক কাজ বলে গণ্য করা হতো না। এসব দৃশ্য পত্রিকা ও টিভিতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। অতঃপর মার খাওয়াদের বক্তব্য, ‘পুলিশের বাড়াবাড়ি, বিনা উসকানিতে মিছিলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া’ এবং এর বিপরীতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি ‘আত্মরক্ষার্থে পুলিশের পাল্টা আক্রমণ’ বেসরকারি চ্যানেল চালু হওয়ার পর টেলিভিশনে চলমান বা ধারণকৃত দৃশ্যও দেখেছি। কিন্তু জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে, তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার অক্ষুণ্ন রাখার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ একটি সরকার ক্ষমতায় আসার পর পত্রিকা বা টেলিভিশনে এমন দৃশ্য দেখব, এমনটি কল্পনাও করিনি। তাই বিষ্যুত্বার টেলিভিশনের খবরটির সঙ্গে অবাক-করা লাঠিপেটার চলমান দৃশ্য দেখে আমার প্রথম ধারণা হয়েছিল, এটি বোধ হয় পূর্বধারণকৃত। তাই ছোট পর্দার কোনায় ‘ফাইল ফুটেজ’ বা ‘পূর্বধারণকৃত’ শব্দ দুটি খুঁজছিলাম। দেখতে না পেয়ে বুঝলাম, ঘটনা দুঃখজনক হলেও ঘটেছে। তবে, পরবর্তী সংবাদে জানলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে দৃষ্টিভঙ্গির এই বদলটি শুধু ব্যতিক্রমী বলে উল্লেখযোগ্য হতে পারে।
যা-ই হোক, লাঠিপেটার দৃশ্যে অতি পুরোনো একটি ভাব নতুনরূপে আবিষ্কার করলাম। রিচার্ড অ্যাটেনবরা গান্ধী ছবিতে বিগত শতাব্দীর প্রথম ভাগের ব্রিটিশ পুলিশের লাঠিপেটার ছবি দেখিয়েছেন। এরশাদ সরকারের আমলের লাঠিপেটা স্বচক্ষে দেখেছি। বিএনপি আমলে মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা নাসিমকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি। মতিয়া চৌধুরীকে পেটানো নিয়ে পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন লিখেছিলাম। প্রথম আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাদেক হোসেন খোকা আর আবদুল্লাহ আল নোমান পুলিশি অ্যাকশনে মাথা ফাটিয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে যখন কাতরাচ্ছেন, তাঁদেরও দেখতে গিয়েছিলাম। আগেই বলেছি, এসব পেটানো-ঠ্যাঙানো-শাড়ি ছেঁড়ার দৃশ্য অতীতে স্বৈরতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক উভয় প্রকারের ক্ষমতাসীন ব্যক্তি বা দলের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশীভূত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আনু মুহাম্মদ ও তাঁর গুটিকয়েক সমর্থকের একটি গুরুত্বহীন অরাজনৈতিক মিছিলে কেন সরকারের পুরোনো পুুলিশি ধরনের হামলার নব আবির্ভাব ঘটল? তা-ও আবার সেই সরকার, যারা ক্ষমতায় আসীন হয়ে এমনটি করবে না—গণতন্ত্রমনা বিশাল জনগোষ্ঠী এই প্রতিশ্রুতি পেয়েই যাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে। সেই সব গণতন্ত্র-আকাঙ্ক্ষীদের, বিশেষ করে বর্তমান সরকারের শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে পুলিশি আচরণে লজ্জা প্রকাশ করার জন্যই আমি আনু মুহাম্মদের ভাঙা ঠ্যাং দেখতে গিয়েছিলাম।
অথচ আমি আনু মুহাম্মদ অথবা গ্যাস-তেল আহরণ নিয়ে বিতর্কে সরকারের ইজারা প্রদান সিদ্ধান্তের সমর্থকদের কাতারে। কোনো বিজ্ঞজনের অথবা খনিজ বিশেষজ্ঞের দেওয়া যুক্তি বা উপাত্ত উত্থাপনের বিদ্যা ও জ্ঞান আমার নেই। তবে সাধারণ জ্ঞানে আমার বোধগম্য নয়, যদি মধ্যপ্রাচ্য আর ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলো থেকে আমরা তেল আমদানি করতে পারি, তবে নিজেরা কেন বাড়তি গ্যাস বা তেল রপ্তানি করতে পারব না। ঢাকার বাজারে চড়া দামে মাছ-সবজি কিনছি, অথচ রপ্তানিও করছি। কেউ তো বলে না, এসব বাইরে পাঠাচ্ছ কেন? স্বল্পদামে বিদেশে ইলিশ পাঠিয়ে নিজেরা কেন প্রিয় মাছটি কিনতে পারি না, সে প্রশ্ন তো কেউ করে না।
যুক্তিটি পণ্ডিতম্মন্যদের কাছে খেলো মনে হতে পারে। তবে এটুকু বলতে পারি, সাধারণ মানুষ বাড়িতে গ্যাস না পাওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ। আমার সামান্য বুদ্ধিতে বুঝতে পারি, নতুন কূপ খনন করে নিজেরা পর্যাপ্ত গ্যাস-বিদ্যুত্ পেলে রপ্তানি করা যাবে কি যাবে না—এ নিয়ে তারা মাথা ঘামাবে না। বরং এখন না পেলেও সেই ক্ষুব্ধ জনতা কোনো একদিন শয়ে নয়, হাজারে হাজারে মাঠে নামতে পারে। তারা ভাবে, রপ্তানির পর যদি বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে ছিটেফোঁটাও পেয়ে ঘরের চুলায় স্বাচ্ছন্দ্যে আগুন জ্বালানো যাবে কি না। বিদ্যুত্ তাপকেন্দ্রে পর্যাপ্ত গ্যাস দিয়ে যদি লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা থেকে উদ্ধার পাওয়া যায়, তবে উদ্বৃত্ত জ্বালানি কোথায় গেল সে খোঁজ কেউ করবে না। মাগুরছড়ার হাজার-কোটি টাকার গ্যাস পুড়ে গেল, একটি সরকারের আমলে গ্যাস তোলার পূর্বমুহূর্তে বন্ধ করে দেওয়া হলো, কিন্তু তেমন প্রতিবাদ হয়নি। ফুলবাড়িতে কয়লা উত্তোলন বা রপ্তানির বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়নি। উত্তোলন-পদ্ধতির বিরুদ্ধে ঘরছাড়া, ভিটেমাটি হারানো স্থানীয় জনগণ ভূমি রক্ষার জন্য আন্দোলন করেছে, কয়লা উত্তোলনের বিরুদ্ধে নয়। বঙ্গোপসাগরের গ্যাস নিয়ে এত সব বিতর্ক বা হইচই করে অধ্যাপক সাহেবগণ জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য দিয়ে জনগণকে মাঠে নামাতে পারবেন না। পুলিশের নিয়ন্ত্রক সরকারের নীতিনির্ধারকেরা কি এটুকু না বুঝতে পারেননি?
এতক্ষণ যে আলোচনা করলাম এর সারমর্ম হচ্ছে, বিদেশিদের কোন শর্তে বা কোন লাভ-লোকসানের হিসাবে সমুদ্রবক্ষের গ্যাস উত্তোলনের বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছে, তা নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। আগেই বলেছি, আমার সেই বিদ্যা-বুদ্ধি নেই। আজকের আলোচনায় শুধু প্রসঙ্গক্রমে সাধারণের এমন ভাবনার প্রতিফলন ঘটিয়েছি। তাই মূল প্রসঙ্গ তথা আমার মুখ্য আলোচ্য বিষয় গ্যাস-তেল উত্তোলন-রপ্তানি নয়। আমি শুধু বুঝতে চাই—পুলিশ কেন, কোন অদৃশ্য হাতের ইশারায় কিংবা কার বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সেদিন লাঠি পেটানোর পুরোনো চেহারা নিয়ে মাঠে নেমেছিল বা নামানো হয়েছিল? তথাকথিত বিন্দুসম আন্দোলনকে সিন্ধুতে রূপান্তরের জন্য একটি ‘টেস্ট কেস’ তথা কোনো আগাম পরিকল্পনার অংশ নয় তো? অথবা কেউ সরকারকে একটু বাজিয়ে দেখতে চেয়েছে ভবিষ্যতে দুই শ যদি দুই হাজার বা দুই লাখ হয়, তখন তারা কী করবে? এ প্রশ্নের উত্তর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে হয় জানে না, বরং প্রশ্নগুলো হাস্যকর বা ফালতু মনে করতে পারে। তাই শুধু দুঃখ প্রকাশ করে চমক দেখিয়েছে। একটি টেলি-আলোচনায় প্রশ্ন করেছি, দুঃখ প্রকাশ মানে কী, মানে দুঃখটি পেল কে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সচিবালয়ের দপ্তরে কামরায় বাইরে বসা পিয়নটি, নাকি মন্ত্রী অথবা পুলিশের নিয়ন্ত্রণ-পরিচালনা-নির্দেশনা দেওয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা? যা-ই হোক, দুঃখ কে কতখানি পেয়েছে তার মাত্রা মাপার প্রয়োজন নেই। বরং ভাবতে হবে, সরকারের পক্ষ থেকে অন্তত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়াল-দরজা-জানালা বা মন্ত্রী, যে কেউ একজন দুঃখ প্রকাশ করেছেন—এটাই বা কম কী? একে অতীতের সরকারগুলোর সাফাই দেওয়ার বিপরীতে ‘দিনবদল’ তা স্বীকার করতেই হবে। আগে তো সরকারি প্রেস নোটে থাকত ‘পুুলিশ বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করেছে’। এবার অন্তত তাদের বক্তব্যে বাধ্যবাধকতার কথাটি ছিল না, এটিও ব্যতিক্রম বৈকি, কিন্তু বিন্দুকে সিন্ধু ভাবনার কারণটি তো ব্যাখ্যা করল না।
আমাকে অবাক করেছেন আমার অতি পরিচিত (অব.) মেজর জেনারেল আবদুস সালাম। সংসদীয় কমিটিতে আনু মুহাম্মদের মিছিলের ওপর হামলা নিয়ে তিনি আলোচনা করেছেন। কিন্তু পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে মৃদু ‘ভর্ত্সনা’ করেই বোধ হয় তাঁর মনে পড়ে গেল, তিনি তো সরকারি দলের সাংসদ। তাই সরকারের পক্ষেও তো কিছু একটুখানি বলা দরকার। তাই তো বললেন, ‘এক হাতে তালি বাজে না।’ তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই। তবে পূর্বোল্লিখিত টেলি-আলাপচারিতায় আমি বলেছি, ‘জেনারেল সাহেব, এক হাত যদি অধ্যাপকের হয়, আরেকটি নিশ্চয়ই পুলিশ তথা সরকারি দায়িত্ববানদের। আনু মুহাম্মদের তালি দেওয়ার হাতটি নয়, দুটি পা ভেঙে দিলেন। কিন্তু তালি দেওয়ার দুই হাতের অন্যটি নিদেনপক্ষে কোনো পা তো ভাঙা হলো না।’
যা-ই হোক, মন্ত্রণালয়-নামীয় জড় পদার্থ দুঃখ প্রকাশ করার পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘তদন্ত হবে, বাড়াবাড়ি হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এভাবে দুঃখ প্রকাশই বা কোন সরকার কবে করেছে। এখন সরকার তদন্তের আশ্বাস দিয়ে সরকারি কর্তৃপক্ষ পরোক্ষে হলেও একটুখানি অপরাধ স্বীকার করেছে। তবে তদন্ত যে কী হবে, সে তো জানাই আছে। তাই তদন্তের প্রতিশ্রুতিকে গুরুত্ব দিইনি। শুধু সরকারকে অনুরোধ করব, লাঠিধারীদের তিরস্কার না করুন, পুরস্কৃত করবেন না। ইতিপূর্বে স্বৈরাচারী শাসনামলের উদাহরণ হচ্ছে, ১. বেগম খালেদা জিয়াকে পূর্বাণী হোটেলে হেনস্থাকারী পুলিশ কর্মকর্তা পরবর্তী সময়ে উচ্চপদে বহাল হয়েছেন, ২. শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের পর টেনে-হিঁচড়ে গাড়িতে তুলেছিলেন, ক্ষমতায় এসে উদারমনা জননেত্রী তাঁদের আচরণ মাফ করে দিয়েছেন। চট্টগ্রামে তাঁর কর্মীদের ওপর গুলি চালিয়েছিল কার হুকুমে সেই খোঁজটি করেননি; বরং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিটি বহাল তবিয়তে উচ্চপদে সমাসীন আছেন। ৩. চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে স্নেহভাজন বর্ষীয়ান চিত্রগ্রাহক হাজি জহিরকে যিনি পিটিয়েছিলেন, তিনি জাতিসংঘের মিশনে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এই সরকারের আমলে এমনটি যেন না হয়।
মূল বক্তব্যে ফিরে যাই। অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন, তাঁর ভবিষ্যতে সরকারের প্রতিপক্ষ হওয়া নিয়ে সরকারের আশঙ্কান্বিত হওয়ার কারণ নেই। তাঁর ঠ্যাং ভাঙল কেন, তা নিয়ে আমার এ জন্যই মনে সংশয় দেখা দিয়েছে। তেল-গ্যাস-কয়লার নিজস্ব প্রয়োজনীয়তা বা রপ্তানি নিয়ে জাতীয় সম্পদ ‘গেল গেল’ বলে দুশ্চিন্তা করছি না। দুর্ভাবনা হলো, বর্তমান সরকারের প্রশাসনব্যবস্থা কি এমন নিম্নস্তরে নেমে গেছে, এমনভাবে চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে যে পুলিশ বিনা কারণে হঠাত্ করে শ দুয়েক লোকের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল এবং তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা সরকারের ওপরের মহলের কেউ জানতেন না? আবার বিপরীত ভাবনা হচ্ছে, সরকারের উঁচু মহলের জ্ঞাতসারে অথবা পরোক্ষ ইঙ্গিতে বা নির্দেশে যদি পুলিশ মাঠে নেমে থাকে, তবে বুঝতে হবে, মাত্র দুই শ লোকের মিছিল সরকারকে ঘাবড়ে দিয়েছিল কেন? সরকারের মনে কী এমন দুর্ভাবনা দেখা দিয়েছে, তেল-গ্যাস না হোক, জনমনে বিভিন্ন কারণে সেসব অশান্তি ও ক্ষোভ দানা বাঁধছে। অদূর ভবিষ্যতে দুই শ যদি দুই লাখ বা দশ লাখ হয়ে যায় তখন কী করা যাবে? তাই কি পুরোনো কায়দায় দুই শ পিটিয়ে ভবিষ্যতের দু-দশ লাখ মোকাবিলার মহড়া বা রিহার্সেল দিলেন? শুধু দুই শ মানুষ দেখে সরকারের অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া আমাকে এবংবিধ কারণে দুর্ভাবনায় ফেলেছে।
এবিএম মূসা: সাংবাদিক। কলাম লেখক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন