রবিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১২

মন্ত্রিসভার বৈধতা ও শহীদ সোলেমান পরিবারের প্রার্থনা



মিজানুর রহমান খান | তারিখ: ২১-০৪-২০১২

ভারপ্রাপ্ত রেলমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কালো বিড়ালকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, বিড়াল কালো কি ধলা, সেটা বড় প্রশ্ন নয়। বিড়াল ইঁদুর ধরে কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন। বোঝা যাচ্ছে, বিড়ালবিষয়ক গল্প আর ফুরাবে না। এ দেশের ইঁদুরেরাই বিড়াল ধরছে!
প্রধানমন্ত্রী মিডিয়ার সমালোচনা করছেন। অথচ তিনি নিজেই ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। মন্ত্রীদের পদত্যাগকেও তিনি সম্ভবত ৪৮(৩) অনুচ্ছেদের চশমায় দেখছেন। প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ছাড়া আর সব ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে চলতে হয়। কিন্তু মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ তাঁদের কারও ইচ্ছাধীন নয়।
দলীয় সাংসদদের পদত্যাগপত্র নেত্রীর দেরাজে ফেলে রাখার রাজনীতির সঙ্গে আমরা পরিচিত। কিন্তু সেটা এখানে খাটবে না। মন্ত্রীকে শুধু ‘পদত্যাগপত্র প্রদান’ করতে হয়।
তবে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের দপ্তরবিহীন মন্ত্রিত্ব তাঁর নৈতিক রাজনৈতিক কফিনে আরেকটি পেরেক ঠুকেছে। প্রধানমন্ত্রী কোন দোষে মিডিয়ার সমালোচনা করলেন? তিনি নিশ্চয় বলবেন না যে সুরঞ্জিত পদত্যাগ নয়, পদত্যাগের অভিনয় করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করে। সুরঞ্জিত “স্বেচ্ছায়” পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তিনি তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাননি।’ এ প্রসঙ্গে তিনি সোহেল তাজের পদত্যাগপত্র ফেলে রাখার কথাও উল্লেখ করেন। এই যুক্তি সংবিধান পরিপন্থী।
সংবিধান কেবল একটি ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীকে কোনো মন্ত্রীর নিয়োগের অবসান ঘটাতে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেওয়ার অধিকার দিয়েছে। যদি তিনি সুরঞ্জিতকে পদত্যাগ করতে অনুরোধ করতেন এবং তিনি তা পালনে অসমর্থ হতেন, তাহলে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেওয়ার কথা আসত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, সুরঞ্জিত ‘স্বেচ্ছায়’ পদত্যাগ করেন। সোহেল তাজও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। সে ক্ষেত্রে তাঁদের জন্য সংবিধানের ৫৮(১) অনুচ্ছেদের ‘ক’ উপদফাটি প্রযোজ্য। এখানে বলা আছে, ‘কোনো মন্ত্রীর পদ শূন্য হবে যদি তিনি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করিবার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট পদত্যাগপত্র প্রদান করেন।’ সংবিধানে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা না করার কোনো সুযোগ কারও জন্য রাখেনি। আমাদের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামও তা নিশ্চিত করেন।
সুতরাং সুরঞ্জিত ও সোহেল তাজ যে তারিখে ‘পদত্যাগপত্র প্রদান’ করেছেন, সেই তারিখেই তা কার্যকর হয়েছে। এখন তাঁদের ব্যাংক হিসাবে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বেতন-ভাতা জমা হওয়া একটি গুরুতর আর্থিক অনিয়ম। মহাহিসাব নিরীক্ষকের কাছ থেকে এ বিষয়ে আমরা একটি জনবিবৃতি অবিলম্বে আশা করি।
পদত্যাগী সুরঞ্জিতকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করার ঘটনাটি এটাও প্রমাণ করে যে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। আইনকানুনের যেন কোনো বালাই নেই। পদত্যাগী মন্ত্রীর পক্ষে ক্ষমতাসীনদের ত্যাগের মহিমা কীর্তনের রেশ তখনো মিলিয়ে যায়নি। ৩২ ঘণ্টা না পেরোতেই তাঁকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা এক মস্ত প্রহসন। প্রধানমন্ত্রী চাপে বা ঠেকায় পড়ে, যে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিন না কেন, এত বড় রাজনৈতিক প্রহসন বাংলাদেশের ইতিহাসেও নজিরবিহীন। এতে পদত্যাগী মন্ত্রীর একার নয়, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত নৈতিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এটা রাজনৈতিক অর্থে অবশ্যই, আইনগত অর্থে খতিয়ে দেখার দাবি রাখে। গোটা মন্ত্রিসভার নৈতিকতা কিংবা বৈধতা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। মন্ত্রিসভা এখন ‘কোরাম নন জুডিস’ বা যথাযথভাবে গঠিত নয়। দীর্ঘ নীরবতা ও গোপনীয়তার পর প্রধানমন্ত্রী বললেন, সোহেল তাজ এখনো প্রতিমন্ত্রী। তাই বলি, সুরঞ্জিত ও তাজের মন্ত্রিত্বের বৈধতা আদালতে চ্যালেঞ্জযোগ্য কি না।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র প্রেরণের কথা জাতিকে জানিয়েছিলেন। তাহলে তাঁকে নতুন করে শপথ নিতে হবে। তাঁকে পুনর্নিয়োগ দিতে হবে। আমরা তাঁর ‘ঐতিহাসিক’ পদত্যাগপত্রটি জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানাই।

২.
২৫ মার্চ ১৯৭১। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আরও অনেকের সঙ্গে শহীদ হয়েছেন সোলেমান খান। আপনারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অতিক্রমকালে শহীদদের একটি তালিকা লক্ষ করে থাকবেন। এই তালিকায় সোলেমান খানের নাম আছে। সোলেমান ছিলেন রোকেয়া হলের দ্বাররক্ষী। তাঁর স্ত্রী ফুলমতী ১৯৮১ সালে মারা যান। শহীদ পরিবার হিসেবে তারা কখনো রাষ্ট্রের আনুকূল্য পায়নি। রাষ্ট্রের কখনো এই অভাজন শহীদ পরিবারের খোঁজখবর নেওয়ার দরকার পড়েনি।
সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘মোরগ’ কবিতাটি স্মরণে আসছে। তাঁর কবিতার ‘মোরগ’ খাদ্য সন্ধানে কখনোই খাবার ঘরে ঢুকতে পারেনি। কিন্তু একদিন সেই সুযোগ সত্যিই এসেছে। কিন্তু ‘খাবার খেতে নয়, টেবিলে খাবার হয়ে।’ ওই অচেনা শহীদ সোলেমান খানের ভাতিজাই হলেন রেলগেট কেলেঙ্কারির আলোচিত চালক আলী আজম খান, যিনি যে কারণেই হোক বিজিবি গেটে গাড়ি ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন।
আমাদের একটি রাষ্ট্রীয় সংস্থা ঘটা করে এপিএসের জবানবন্দি নিচ্ছে। খুব স্বচ্ছ তারা, তাই জনগণকে তারা অন্ধকারে রাখতে চায় না। সে কারণে চাকরিচ্যুত এপিএসের বরাতে খবর ছাপা হচ্ছে, দাদা নির্দোষ। কিন্তু তাঁর চালক কোথায়, সেটা কোনো রাষ্ট্রীয় সংস্থা বলছে না। প্রধানমন্ত্রীর উল্লিখিত স্বচ্ছতার মাপকাঠিতে অভাজন আজমদের কোনো জায়গা নেই। ইলিয়াস আলীর জন্য কাল হরতাল হবে, কিন্তু আজমের কথা বলার কেউ নেই।
আমরা অবশ্যই কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করব, আজম যেন তাঁর স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে নিয়ে নিরাপদে থাকেন। আলী রীয়াজের ‘হুইসেল ব্লোয়ার’ তিনি না হতে পারেন, কিন্তু তাঁর কারণেই আমরা কার্পেটের তলাটা দেখলাম। তিনি অবশ্য প্রাণে বাঁচলেও তাঁকে কঠিন মাশুল দিতে হতে পারে। যেটুকু সত্য আমরা জেনেছি, এর চেয়ে বেশি কিছু জানানো দৃশ্যত এই রাষ্ট্রের সাধ্যের বাইরে। তাঁকে রাজসাক্ষী করার পরিবেশ কি বাংলাদেশে আছে?
একটি টিভি চ্যানেলের একজন সংবাদদাতা বৃহস্পতিবার আমাকে বলেন, নববর্ষের দিনে আলী আজম তাঁকে ফোন দেন। তবে মুখোমুখি নয়। গলাটা তাঁর চেনা মনে হয়েছে। ঘটনার দিন তাঁর সঙ্গে দুবার তাঁর ফোনে কথা হয়েছিল পিলখানায়। তিনি একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দিতে তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন। এপিএস চক্রের জন্য পিলখানা সরাইখানা হওয়ার কথা ছিল না। বিজিবির প্রধান বলেছেন, আলী আজমকে অন্যদের সঙ্গে ১০ এপ্রিল সকালেই ছেড়ে দিয়েছেন। সুতরাং মনে হচ্ছে, রাষ্ট্রীয় সংস্থার আর কিছু বলার নেই। রাষ্ট্র এখন পর্যন্ত হয়তো জানেই না আলী আজম শহীদ পরিবারের সদস্য। অন্তত মতলব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে তেমনই মনে হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, আলী আজমের বিষয়ে লোকমুখে খোঁজখবর নিয়েছেন। কিন্তু থানার কোনো প্রাণী তাঁর বাড়ি সফর করেনি।
শহীদ সোলেমানের স্ত্রী ফুলমতীকে বিয়ে করেছিলেন আলী আজমের আরেক চাচা বেলাল হোসেন। তিনি স্থানীয় বিএনপির নেতা এবং ইউপি সদস্য। ১৯ এপ্রিল টেলিফোনে তিনি বলেন, ‘আলী আজম বেঁচে আছে কি মরে গেছে, তা আমরা জানি না। বাংলাদেশের পতাকার সঙ্গে আমাদের রক্ত মেশা। আমরা তো কিছুই পাইনি। আজ আবার নতুন করে হারাবার ভয়ে আছি।’
বেলাল হোসেন অবশ্য নিশ্চিত করেন যে আলী আজমের পরিবার ঐতিহ্যগতভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ৫ নম্বর উপাদী উত্তর ইউনিয়নটি মতলবের দক্ষিণে অবস্থিত। এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিনও স্থানীয় বিএনপির নেতা। তিনি অকপটে বললেন, ‘আলী আজমরা সব সময় আওয়ামী লীগকেই ভোট দিয়ে আসছেন। কিন্তু আমি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলব, এই অঞ্চলের সব মানুষ আলী আজমের পরিবারকে সম্ভ্রান্ত ও সৎ হিসেবে জানে।’ আমাদের চাঁদপুর প্রতিনিধি আলম পলাশ ১৬ এপ্রিল কথা বলেছিলেন আলী আজমের বাবা দুদ মিয়ার (৭২) সঙ্গে। তখন আজমের মা কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। বলেছিলেন, ওর মুখটা একটু দেখতে চাই। দুদ মিয়ার কর্মক্ষেত্র ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি পরিবহন পুলে ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি চালাতেন। দুদ মিয়া তাঁর ছেলের নিরাপত্তার বিষয়ে হয়তো একটু বিশেষ অনুকম্পা লাভের জন্য ফিকে হয়ে যাওয়া একচিলতে স্মৃতি রোমন্থন করছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ছাত্রীজীবনে তাঁর ফুট-ফরমায়েশ খাটার সুযোগ হয়েছিল দুদ মিয়ার।
আলী আজম তাঁর শিশুকন্যা ও স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। একটি শহীদ পরিবারের সদস্য হিসেবে আমরা তাঁর বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাই। যাঁর কারণে বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক ভূমিকম্প ঘটে গেল, তাঁর বিষয়ে রাষ্ট্রের নির্লিপ্ততা অমঙ্গলজনক। এপিএস যেভাবে ধোয়া তুলসীপাতার কাহিনি সাজাচ্ছেন, তা রাষ্ট্রীয় কলকারখানায় প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেলে আলী আজমকেই হয়তো কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। কারণ, আলী আজম গরিব। তদবির করার মানুষ তাঁর জুটবে না। শহীদ পরিবার বলতে আবেগে যাঁদের কণ্ঠ বুজে আসে, তাঁরা কি কেউ শহীদ সোলেমানের ভাতিজার পাশে দাঁড়াবেন?

৩.
রক্ষণশীল দলীয় টমাস ডাগডেলকে উইনস্টন চার্চিল কৃষিমন্ত্রী করেছিলেন। ক্রিচেল ডাউন নামের একটি কৃষিজমি প্রতিরক্ষা বিভাগ অধিগ্রহণ করেছিল। প্রক্রিয়াটি বৈধ ছিল না। আমলাবিদ্বেষী তদন্ত কমিটি মন্ত্রীকে বাঁচিয়ে দিল। শুধু কর্মকর্তাদের দোষী করল। তদুপরি ডাগডেল তাঁর মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেন। অন্যের ব্যর্থতাও যে মন্ত্রীর দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে, সেই দৃষ্টান্ত ডাগডেল। ব্রিটেনের ইতিহাসে তাই নীতিনৈতিকতার কোনো প্রশ্নে মন্ত্রীর পদত্যাগ প্রসঙ্গ এলেই তাঁর নামই বেশি শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হয়। এখানে একটি মজাও আছে। ৩০ বছর পরে প্রকাশিত দলিলে দেখা যায়, তদন্ত কমিটি পক্ষপাতদুষ্ট ছিল। মন্ত্রীর লিখিত অনুমোদনে ওই কৃষিজমি হস্তান্তর হয়েছিল। ডাগডেল আসলে বিবেকের তাড়নায় মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছিলেন, তিনি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সমস্ত ব্যর্থতার দায়দায়িত্ব মাথায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিলেন। রেলগেট কেলেঙ্কারির জন্য গঠিত কোনো তদন্ত কমিটি যদি এপিএস ও আমলাদের দায়ী করেও, তবু তার দায় মন্ত্রীর ওপর বর্তাবে। এমনকি পুরো ঘটনা তাঁর অজান্তে ঘটলেও। এটা আইন নয়, ওয়েস্টমিনস্টার রীতি। তবে আমাদের ‘নখদন্তহীন’ তদন্ত কমিটি এপিএসের বিপুল অর্থের উৎস এবং ‘নিয়োগ-বাণিজ্য রহস্য’ উদ্ঘাটন করতে পারবে বলে তেমন ভরসা পাই না।
ভারতের রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদির পদত্যাগ নিয়ে গত ১৫ মার্চ বিরোধী দল সরকারের কাছে রাজ্যসভায় বিবৃতি চেয়ে ঝড় তুলেছিল। আমরা সংসদে সরকারের কাছ থেকে বিবৃতি চাই। বিএনপি সেই দাবি তুলতে পারে। এটা প্রতিষ্ঠিত সংসদীয় রেওয়াজ। এমনকি পদত্যাগী মন্ত্রীও বিবৃতি দিতে পারেন। সাংসদেরা সে জন্য নোটিশ দিতে পারেন। স্পিকার অবশ্য পদত্যাগী মন্ত্রীকে বিবৃতি দিতে বাধ্য করতে পারেন না। ১৯৭৮ সালে লোকসভায় পদত্যাগী মন্ত্রীর বিবৃতির পর ভারতের প্রধানমন্ত্রীও তাঁর সহকর্মীর পদত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করেছিলেন। ওই বিবৃতি মন্ত্রীর পদত্যাগের ছয় মাস পরে এসেছিল। আমাদের অত দেরি করতে হবে না। সামনেই বাজেট অধিবেশন।
 মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক।
mrkhanbd@gmail.com

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন