॥ ফিরোজ আহমেদ ॥
বাংলাদেশে ভারতীয় সাহারা গ্র“পের রিয়েল স্টেটে বিনিয়োগ নিয়ে বিশেষজ্ঞ, রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদেরা মনে করছেন, যেখানে আমাদের নিজেদের দতা আছে এবং উত্তরোত্তর সেই দতা বৃদ্ধি পাচ্ছে; সেখানে বিদেশী বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার প্রয়োজন নেই। সম্প্রতি সাহারা গ্র“পের কর্ণধার সুব্রত রায়ের বাংলাদেশে সফরকালে সরকারের সাথে রিয়েল স্টেট সংক্রান্ত সাহারা গ্র“পের এমওইউ (মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং) বা সমঝোতা স্মারক স্বারিত হওয়ার পর বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছে। সাহারা গ্র“প কোন এলাকায় এই বিনিয়োগ করবে, বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। ঢাকার আশপাশে বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করে সংবাদ সম্মেলনে সুব্রত রায় জানিয়েছিলেন, রাজধানী ঢাকা এখন জনবহুল শহর, উত্তর-দেিণ এর প্রসার ঘটলেও পূর্ব-পশ্চিমে তেমন বিস্তার ঘটেনি। অনেকে মনে করছেন ঢাকাকে ঘিরে থাকা জেলাগুলোÑ মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ ও নরসিংদীতে এই প্রকল্প নেয়ার পরিকল্পনা করছে সাহারা গ্র“প। ঢাকার আশপাশের সব এলাকা অত্যন্ত উর্বর জমি, যেখানে প্রতি বছর দুই থেকে চারটি ফসল ফলানো সম্ভব। এ কারণে কৃষকদের প্রতিরোধের মুখে আড়িয়ল বিল এলাকায় সরকার বিমানবন্দর করতে পারেনি। জানা গেছে, সাহারা গ্র“প বাংলাদেশে যে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে তার বেশির ভাগ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকেই আসবে। সাহারা গ্র“প সাধারণত গ্রাহক ও ব্যাংক থেকে অর্থের জোগান নিয়ে থাকে। ঢাকায় অবস্থানরত দেড় কোটি মানুষের ৯০ ভাগের নিজস্ব থাকার জায়গা নেই। এর মধ্যে ২০-২৫ ভাগ মানুষ একটি ভালো বাসস্থানের জন্য টাকা বিনিয়োগ করতে সমর্থ ও আগ্রহী। ফলে এই আগ্রহী মানুষদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে সাহারা গ্র“প ব্যবসায় করবে।
বাংলাদেশে ভারতীয় সাহারা গ্র“পের বিনিয়োগ বিষয়ে সুব্রত রায় সাংবাদিকদের বলেছেন, তার এই বিনিয়োগ আবেগপূর্ণ ও বাণিজ্যিক। এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় দেশের রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ীদের মতামত হচ্ছে, বাণিজ্যে আবেগের স্থান নেই; ভারতীয় কোম্পানি তো এসেছে বাণিজ্য করতে। সাহারা গ্র“পের এ দেশে আবেগের বিষয় থাকলে সুব্রত রায় বাংলাদেশে আসার পর বিক্রমপুরে তার মামার বাড়ি যেতেন, কাছে হলেও সেখানে তিনি যাননি। সাহারা গ্র“প এ দেশে যে সাহারা মাতৃভূমি উন্নয়ন করপোরেশন গঠন করেছে, তার একজন কর্তাব্যক্তি হচ্ছেন সরকারি দলের এক প্রভাশালী শীর্ষনেতার পুত্র।
দেশের প্রতিষ্ঠিত একটি শিল্প খাতে এত বড় বিনিয়োগ বিষয়ে সুব্রত রায়ের সংবাদ সম্মেলনের আগে কেউ কিছু না জানাÑ এই বিস্ময়কর বিষয়টি মানুষের মনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তাহলে এটা কি সরকারের অগোচরে বিশেষ করে ক’জনে কোনো উদ্যোগ? অবশ্য সুব্রত রায় সাহারা বলেছেন, তিনি বাংলাদেশের ‘একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদের আমন্ত্রণে এই খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছেন। অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারাকাত বলেন, ‘সাহারা কি নিজেদের টাকা বিনিয়োগ করবে, নাকি বাংলাদেশ থেকে টাকা সংগ্রহ করে বিনিয়োগ করবে?’ তিনি বাংলাদেশের রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়ের পাশাপাশি সরকারের কাছ থেকে জমি নিয়ে ঢাকা শহরের বস্তিবাসীদের বিনামূল্যে ফ্যাট প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে টিআইবি তথা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘যেকোনো চুক্তি হলে সেটি জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে। ...একই প্রক্রিয়ায় দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ দেয়া হবে কি না, অন্যান্য বিদেশী কোম্পানিকে সমসুযোগ দেয়া হবে কি না, ভূমির মালিকানা কার হবে; পুরো বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে বিবেচনায় আনা দরকার।’ বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম মহাসচিব ইকবাল হাবিব বলেন, ‘আমাদের দেশের পরিপ্রেেিত স্যাটেলাইট সিটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।’ দেশের রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ের সাথে যারা যুক্ত, এই বিষয়ে তাদের বক্তব্যে তীব্র ােভ ও উষ্মা প্রকাশ পেয়েছে। বিএলডিএ সভাপতি আহমেদ আকবর সোবহান বিদেশী বিনিয়োগকারী ও দেশী বিনিয়োগকারীদের ব্যবসায়ের েেত্র লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করার আবেদন করেছেন। অপর দিকে রিহ্যাব সভাপতি নসরুল হামিদ বিপু এমপি বলেন, এই ব্যবসায় টিকে থাকার জন্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। এসইএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল আওয়াল এজাতীয় বিনিয়োগে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের সামর্থ্য থাকা উল্লেখ করেছেন।
বিল্ডিং ফর ফিউচারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিদেশী কোম্পানিকে সরকার দেশের জমি আবাসন প্রকল্পের জন্য প্রদানে দুঃখ করে বলেন, এ েেত্র আমাদের দোষ কী? শেলটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. তৌফিক এন সেরাজের বক্তব্য হচ্ছে, আবাসন ব্যবসায় বাংলাদেশের স্বয়ংসম্পূর্ণতা রয়েছে; সে েেত্র বিদেশী কোম্পানিকে সুযোগ দেয়া হবে আত্মঘাতী (সূত্রÑ সাপ্তাহিক, বর্ষ-৫, সংখ্যা-৪)।
একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক ও পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী হিসেবে বিষয়টি বিবেচনার জন্য সরকারের কাছে আমার আর্তি হচ্ছে, রাজধানী ঢাকা এখন কংক্রিট নগরী, সুউচ্চ ভবন ও পরিবেশ দূষণকিষ্ট, অবাসযোগ্য একটি জনপদ। সে েেত্র সাহারা কোম্পানির সহযোগিতায় ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকাকেও আমরা আগামীতে অবাসযোগ্য জনপদ করব কি না। যে বিবেচনায় আড়িয়ল বিলে আমরা বিমানবন্দর করলাম নাÑ সেই বিবেচনায় স্বদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বয়ংসম্পূর্ণতার প্রশ্নে আমরা বিপুল কৃষিজমি বিনষ্ট করে আবাসন প্রকল্প সেটি স্বদেশী বিনিয়োগকারী হোক আর সাহারা গ্র“প হোক, আমরা বাস্তবায়ন করব কি না। আবাসন প্রকল্প কৃষিজমি, জলাধার, নদী-খাল, জীববৈচিত্র্য সব কিছুই ধ্বংস করে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীসহ দেশবাসী এবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসে স্বদেশের পরিবেশ রায় যে ব্রত আমরা নিলাম, ভারতীয় কোম্পানিকে আবাসন প্রকল্পের সুযোগদান সেই ব্রতকে ধ্বংস করবে কি নাÑ এ প্রশ্ন ও বেদনা একজন নাগরিকের। সরকার এটা বিবেচনায় আনবে আশা করি।
লেখক : আইনজীবী, খুলনা
বাংলাদেশে ভারতীয় সাহারা গ্র“পের রিয়েল স্টেটে বিনিয়োগ নিয়ে বিশেষজ্ঞ, রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদেরা মনে করছেন, যেখানে আমাদের নিজেদের দতা আছে এবং উত্তরোত্তর সেই দতা বৃদ্ধি পাচ্ছে; সেখানে বিদেশী বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার প্রয়োজন নেই। সম্প্রতি সাহারা গ্র“পের কর্ণধার সুব্রত রায়ের বাংলাদেশে সফরকালে সরকারের সাথে রিয়েল স্টেট সংক্রান্ত সাহারা গ্র“পের এমওইউ (মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং) বা সমঝোতা স্মারক স্বারিত হওয়ার পর বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছে। সাহারা গ্র“প কোন এলাকায় এই বিনিয়োগ করবে, বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। ঢাকার আশপাশে বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করে সংবাদ সম্মেলনে সুব্রত রায় জানিয়েছিলেন, রাজধানী ঢাকা এখন জনবহুল শহর, উত্তর-দেিণ এর প্রসার ঘটলেও পূর্ব-পশ্চিমে তেমন বিস্তার ঘটেনি। অনেকে মনে করছেন ঢাকাকে ঘিরে থাকা জেলাগুলোÑ মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ ও নরসিংদীতে এই প্রকল্প নেয়ার পরিকল্পনা করছে সাহারা গ্র“প। ঢাকার আশপাশের সব এলাকা অত্যন্ত উর্বর জমি, যেখানে প্রতি বছর দুই থেকে চারটি ফসল ফলানো সম্ভব। এ কারণে কৃষকদের প্রতিরোধের মুখে আড়িয়ল বিল এলাকায় সরকার বিমানবন্দর করতে পারেনি। জানা গেছে, সাহারা গ্র“প বাংলাদেশে যে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে তার বেশির ভাগ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকেই আসবে। সাহারা গ্র“প সাধারণত গ্রাহক ও ব্যাংক থেকে অর্থের জোগান নিয়ে থাকে। ঢাকায় অবস্থানরত দেড় কোটি মানুষের ৯০ ভাগের নিজস্ব থাকার জায়গা নেই। এর মধ্যে ২০-২৫ ভাগ মানুষ একটি ভালো বাসস্থানের জন্য টাকা বিনিয়োগ করতে সমর্থ ও আগ্রহী। ফলে এই আগ্রহী মানুষদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে সাহারা গ্র“প ব্যবসায় করবে।
বাংলাদেশে ভারতীয় সাহারা গ্র“পের বিনিয়োগ বিষয়ে সুব্রত রায় সাংবাদিকদের বলেছেন, তার এই বিনিয়োগ আবেগপূর্ণ ও বাণিজ্যিক। এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় দেশের রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ীদের মতামত হচ্ছে, বাণিজ্যে আবেগের স্থান নেই; ভারতীয় কোম্পানি তো এসেছে বাণিজ্য করতে। সাহারা গ্র“পের এ দেশে আবেগের বিষয় থাকলে সুব্রত রায় বাংলাদেশে আসার পর বিক্রমপুরে তার মামার বাড়ি যেতেন, কাছে হলেও সেখানে তিনি যাননি। সাহারা গ্র“প এ দেশে যে সাহারা মাতৃভূমি উন্নয়ন করপোরেশন গঠন করেছে, তার একজন কর্তাব্যক্তি হচ্ছেন সরকারি দলের এক প্রভাশালী শীর্ষনেতার পুত্র।
দেশের প্রতিষ্ঠিত একটি শিল্প খাতে এত বড় বিনিয়োগ বিষয়ে সুব্রত রায়ের সংবাদ সম্মেলনের আগে কেউ কিছু না জানাÑ এই বিস্ময়কর বিষয়টি মানুষের মনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তাহলে এটা কি সরকারের অগোচরে বিশেষ করে ক’জনে কোনো উদ্যোগ? অবশ্য সুব্রত রায় সাহারা বলেছেন, তিনি বাংলাদেশের ‘একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদের আমন্ত্রণে এই খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছেন। অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারাকাত বলেন, ‘সাহারা কি নিজেদের টাকা বিনিয়োগ করবে, নাকি বাংলাদেশ থেকে টাকা সংগ্রহ করে বিনিয়োগ করবে?’ তিনি বাংলাদেশের রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়ের পাশাপাশি সরকারের কাছ থেকে জমি নিয়ে ঢাকা শহরের বস্তিবাসীদের বিনামূল্যে ফ্যাট প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে টিআইবি তথা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘যেকোনো চুক্তি হলে সেটি জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে। ...একই প্রক্রিয়ায় দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ দেয়া হবে কি না, অন্যান্য বিদেশী কোম্পানিকে সমসুযোগ দেয়া হবে কি না, ভূমির মালিকানা কার হবে; পুরো বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে বিবেচনায় আনা দরকার।’ বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম মহাসচিব ইকবাল হাবিব বলেন, ‘আমাদের দেশের পরিপ্রেেিত স্যাটেলাইট সিটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।’ দেশের রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ের সাথে যারা যুক্ত, এই বিষয়ে তাদের বক্তব্যে তীব্র ােভ ও উষ্মা প্রকাশ পেয়েছে। বিএলডিএ সভাপতি আহমেদ আকবর সোবহান বিদেশী বিনিয়োগকারী ও দেশী বিনিয়োগকারীদের ব্যবসায়ের েেত্র লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করার আবেদন করেছেন। অপর দিকে রিহ্যাব সভাপতি নসরুল হামিদ বিপু এমপি বলেন, এই ব্যবসায় টিকে থাকার জন্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। এসইএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল আওয়াল এজাতীয় বিনিয়োগে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের সামর্থ্য থাকা উল্লেখ করেছেন।
বিল্ডিং ফর ফিউচারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিদেশী কোম্পানিকে সরকার দেশের জমি আবাসন প্রকল্পের জন্য প্রদানে দুঃখ করে বলেন, এ েেত্র আমাদের দোষ কী? শেলটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. তৌফিক এন সেরাজের বক্তব্য হচ্ছে, আবাসন ব্যবসায় বাংলাদেশের স্বয়ংসম্পূর্ণতা রয়েছে; সে েেত্র বিদেশী কোম্পানিকে সুযোগ দেয়া হবে আত্মঘাতী (সূত্রÑ সাপ্তাহিক, বর্ষ-৫, সংখ্যা-৪)।
একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক ও পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী হিসেবে বিষয়টি বিবেচনার জন্য সরকারের কাছে আমার আর্তি হচ্ছে, রাজধানী ঢাকা এখন কংক্রিট নগরী, সুউচ্চ ভবন ও পরিবেশ দূষণকিষ্ট, অবাসযোগ্য একটি জনপদ। সে েেত্র সাহারা কোম্পানির সহযোগিতায় ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকাকেও আমরা আগামীতে অবাসযোগ্য জনপদ করব কি না। যে বিবেচনায় আড়িয়ল বিলে আমরা বিমানবন্দর করলাম নাÑ সেই বিবেচনায় স্বদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বয়ংসম্পূর্ণতার প্রশ্নে আমরা বিপুল কৃষিজমি বিনষ্ট করে আবাসন প্রকল্প সেটি স্বদেশী বিনিয়োগকারী হোক আর সাহারা গ্র“প হোক, আমরা বাস্তবায়ন করব কি না। আবাসন প্রকল্প কৃষিজমি, জলাধার, নদী-খাল, জীববৈচিত্র্য সব কিছুই ধ্বংস করে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীসহ দেশবাসী এবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসে স্বদেশের পরিবেশ রায় যে ব্রত আমরা নিলাম, ভারতীয় কোম্পানিকে আবাসন প্রকল্পের সুযোগদান সেই ব্রতকে ধ্বংস করবে কি নাÑ এ প্রশ্ন ও বেদনা একজন নাগরিকের। সরকার এটা বিবেচনায় আনবে আশা করি।
লেখক : আইনজীবী, খুলনা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন