শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১২

সংসদের ভাষা : অশালীনতার মাপকাঠিতে কে কোথায়



সিরাজুর রহমান

প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সংসদে ফিরে গেছে, এটা ভালো কথা। সংসদে বসে তারা জাতির ও দেশের ভালোমন্দ বিবেচনা করবেন, সমস্যাগুলোর সমাধান করবেন আর জাতিকে মহত্ত্বর, উজ্জ্বলতর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন- এসব উদ্দেশ্যেই ভোটদাতারা তাদের নির্বাচিত করেছিলেন। অন্তত নীতির দিক থেকে সেটা সত্যি কথা। দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশে নীতি আর বাস্তবতার মধ্যে ব্যবধান বঙ্গোপসাগরের মতোই দুস্তর। বাস্তবতা প্রায়ই নীতিকে খুঁজে পায় না।
সাপ্তাহিক ইকোনমিস্ট তাদের নিখুঁত আর সুগভীর তদন্তের জন্য বিশ্বব্যাপী সম্মানিত। ইকোনমিস্ট বলে দিয়েছে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় হয়েছিল এবং শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন ‘ভারতের বস্তা বস্তা টাকা আর পরামর্শের জোরে’। সে নির্বাচন যে ন্যায্য আর নিরপেক্ষ হবে না সেটা আগে থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনা নিজ মুখে স্বীকার করেছিলেন যে, ফখরুদ্দীন-মইন ইউ আহমেদের বর্ণচোরা সামরিক স্বৈরতন্ত্র ছিল তাদের ‘আন্দোলনের ফসল’। বিচিত্র নয় যে, সে সরকার শেখ হাসিনাকে গদিতে বসানোর জন্যই তৈরি হয়েছিল। তার ওপরেও বিএনপিকে ধ্বংস করার নানা চেষ্টা করেছে সে সরকার আর তাদের তৈরী নির্বাচন কমিশন। কমিশন বিএনপিকে বাদ দিয়েই নির্বাচন করতে চেয়েছিল। নির্বাচনে বিএনপিকে হারানোর বহু কসরত হয়েছে, দু’টি সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীও সে ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়েছিল।
ফলাফল যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। তা সত্ত্বেও বিএনপি গণতন্ত্রের ভবিষ্যতের কথা ভেবে মাস্টারপ্ল্যানের পরাজয় মেনে নিয়েছিল এবং সংসদে যোগও দিয়েছিল। কিন' সেটাও বিদেশী সাহায্যে স'াপিত সরকারের সহ্য হয়নি। পরাজিত বিএনপির নাক মাটিতে ঘষে দেয়ার সব রকমের চেষ্টা করেছে ‘বিজয়ী’ দল। সংসদকক্ষে আসন বরাদ্দ, বিরোধী দলের কথা বলার অধিকার ইত্যাদি নিয়ে বহু নোংরামি হয়েছে। এমনকি সেসব ব্যাপারে স্পিকারও সব সময় নায্যতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারেননি।
সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ছিল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এবং ‘উজ্জ্বল নক্ষত্র’ তার কয়েকজন সহকারীর ভূমিকা। দিনের পর দিন তারা কদর্য ও অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে সংসদের পবিত্রতা নষ্ট করেছেন, সংসদকক্ষের প্রতিটি আনাচ-কানাচকে পূঁতিগন্ধপূর্ণ করে তুলেছেন। শেখ হাসিনা প্রায় ছয় বছর দিল্লিতে ছিলেন। তারা খুব সম্ভবত নিজেদের স্বার্থের অনুকূল করে তাকে সহায়ক করে তুলেছেন। তিনি দেশে ফিরে এসেছেন এই বদ্ধমূল ধারণা নিয়ে যে, তার পিতা হত্যার পরের অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিসি'তিতে যারা রাষ্ট্রতরণীর হাল দৃঢ় হাতে ধারণ করে শিশুরাষ্ট্রকে অতলে তলিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করেছেন, তারা সবাই তার পিতা ও পরিবারের হত্যাকারী এবং তাদের ক্ষমতা গ্রহণ চৌর্যবৃত্তিরই শামিল। লক্ষণীয় এই, শেখ হাসিনার এই চিন্তাধারা এসেছে তার এ বিশ্বাস থেকে যে, তার পিতা স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, সুতরাং বাংলাদেশ তার বংশানুক্রমে পাওয়া পৈতৃক সম্পত্তি।
শেখ মুজিব জীবিতাবস'ায় কখনো দাবি করেননি যে, তিনি স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন। সত্যি বটে, স্বাধীনতা কথাটা তিনি ৭ই মার্চের ভাষণে উচ্চারণ করেছিলেন। সে উচ্চারণ তার আগে মওলানা ভাসানী এবং অন্যরাও করেছেন। কিন' আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ইত্যাদির জন্য যে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার প্রয়োজন সে ঘোষণা দিয়েছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান, শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। শহীদ জিয়াকে সে কৃতিত্বটুকু দিতেও বর্তমান সরকার রাজি নয়, এমনই তাদের আক্রোশ।
জিয়াউর রহমান সংশয়পূর্ণ দেশ আর সেনাবাহিনীর আত্মঘাতী বিভ্রান্তির মধ্যে ক্ষমতায় এসে শক্ত হাতে রাশ টেনে ধরেছিলেন। তিনি বাকশালী স্বৈরতন্ত্রকে উল্টে দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন, বাক ও সংবাদের স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করেছিলেন, সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও দেশ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। তার অবদান এত বেশি ছিল বলেই বোধ হয় তার বিরুদ্ধে হাসিনার ঈর্ষা ও ক্রোধ অন্তহীন। স্মরণীয় যে, ভারত থেকে হাসিনার দেশে ফেরার ১৩ দিনের মাথায় রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হয়েছিলেন। সে ষড়যন্ত্রে কে বা কারা জড়িত থাকতে পারে সে সম্বন্ধে তখন অনেক জল্পনা-কল্পনা হয়েছিল। জিয়ার হত্যার পরও আওয়ামী লীগ নেত্রীর আক্রোশ প্রশমিত হয়নি। জিয়ার পত্নী ও পুত্রদের হয়রানি করার কোনো চেষ্টা তিনি বাদ দিচ্ছেন না।
খালেদার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর গালিগালাজ
নতুন সংসদে নতুন প্রধানমন্ত্রী গোড়া থেকেই বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার নির্বাসিত পুত্রদের বিরুদ্ধে কদর্য গালিগালাজ শুরু করেন। আরো কয়েকজন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য তাতে ধুয়া ধরেন। সংসদের পরিবেশ এমন পূঁতিগন্ধপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় যে, বিরোধী দল একাধিকবার সংসদ বর্জন করতে বাধ্য হয়। অবশ্যি সরকারি দলের তাতে কোনো অসুবিধা হয়নি। তারা প্রায় বিনা আলোচনায় যদৃচ্ছ ‘আইন‘ পাস করেছে, সংবিধানকে তুলোধুনো করে ছেড়ে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বলেছিলেন যে, ‘বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে‘ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনব্যবস'া অন্তত আরো দু’টি সাধারণ নির্বাচনে চালু রাখা উচিত। কিন' বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থ নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো মাথাব্যথা নেই। তারা সংবিধান আর গণতান্ত্রিক রীতিপদ্ধতির ওপর স্টিমরোলার চালিয়ে ফ্যাসিবাদী পদ্ধতিতে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চায়। তারা প্রায় তাৎক্ষণিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি উপড়ে ফেলেছে, এই হাস্যকর যুক্তিতে যে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সে পদ্ধতি আর বজায় রাখা সম্ভব নয়।
বিরোধী দল সংসদ বর্জন করে চলছিল বলে সংসদে প্রতিবাদ জানানোর সুযোগ তাদের ছিল না। সে জন্যই গত রোববার (১৮ মার্চ) তাদের সংসদে প্রত্যাবর্তন সমুচিত হয়েছে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ও গণতন্ত্রকামী অন্য দলগুলো সংসদের বাইরে আন্দোলন করে তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি ফিরিয়ে আনার পক্ষে দুর্জয় জনমত গড়ে তুলেছে। এখন সংসদে ফিরে গিয়ে সাংবিধানিক পদ্ধতিতে সে দাবি উচ্চারণ করার উপযুক্ত সময়।
বিএনপির প্রত্যাবর্তনের প্রথম দুই দিন এ দলের দু’জন মহিলা সংসদ সদস্যের কিছু অশালীন উক্তি নিয়ে সংসদে তুমুল হট্টগোল সৃষ্টি হয়েছে। স্পিকার-সংশ্লিষ্ট অংশগুলো অসংসদীয় বলে কার্যবিবরণী থেকে ‘এক্সপাঞ্জ’ (মুছে ফেলা) করেছেন। সেটাই সঙ্গত ব্যবস'া। এর পূর্ববর্তী সময়ে সরকারি দলের, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর কদর্য উক্তিগুলো সম্বন্ধে যদি তিনি সমানে দৃঢ়তা দেখাতে পারতেন তাহলে পরিসি'তির হয়তো এত অবনতি হতো না।
সাধারণ মানুষের এটা মনে করা স্বাভাবিক হবে যে, আলোচ্য দু’জন মহিলা সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের মন্ত্রীসহ আরো কিছু সংসদ সদস্যের উক্তির সামনে ‘আয়না’ তুলে ধরে সঠিক কাজই করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর বহু উক্তিতে বিরোধী দলের নেত্রী অবশ্যই অপমান বোধ করেছেন, কিন' সাধারণ মানুষের অনুভূতিও খুবই আহত হয়েছে। সাধারণ বুদ্ধিতে বলে পাল্টা অভিযোগ তাদের মুখের ওপর ছুড়ে দিলে প্রধানমন্ত্রী ও তার সহকর্মীরা ভবিষ্যতে এ ধরনের কটু কথা বলা থেকে বিরত থাকবেন। ‘ঢিলটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়’- এ শিক্ষা তাদের হবে।
প্রধানমন্ত্রী অতি সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন, খালেদা জিয়া ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোলে বসে’ ক্ষমতা পেতে চান। ফখরুদ্দীন-মইন ইউ আহমেদ স্বৈরশাসনের সাথে আওয়ামী লীগ নেত্রীর হার্দিক সম্পর্কের আলোকে তিনি সে সরকারের কোলে বসে ক্ষমতা পেয়েছিলেন বলে যে মন্তব্য করা হয়েছে তা থেকে যদি প্রধানমন্ত্রীর মনে এ উপলব্ধি আসে যে, এ জাতীয় মন্তব্য অপমানকর ও পীড়াদায়ক, তাহলে সেটা কল্যাণকর হবে। 
খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান ২০০১ সালের নির্বাচনে যে সাংগঠনিক প্রতিভা দেখিয়েছিলেন তা থেকে আওয়ামী লীগের ভীত হওয়া স্বাভাবিক। তার ওপর শহীদ জিয়াউর রহমানের পরিবারের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত গাত্রদাহের ব্যাপার তো আছেই। শেখ হাসিনা একজন অর্ধশিক্ষিত ও অমার্জিত উকিলকে দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে (তার নিজের বিরুদ্ধে ১৫টি গুরুতর দুর্নীতির মামলাসহ) সাত হাজারেরও বেশি ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করিয়ে নিয়েছেন, রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন খুনির দণ্ড মওকুফ করিয়ে নিয়েছেন। অপর দিকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে জিয়া পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা সাজানো হচ্ছে, সুপ্রাচীন বহু মামলায় তারেক রহমানকে ‘পরিপূরক তালিকায়’ আসামি করা হচ্ছে। 

দুর্নীতি ও দুর্নীতির সম্ভাবনা
তারেকের রাজনীতিতে ফিরে আসার সম্ভাবনায় আওয়ামী লীগ যে আতঙ্কিত এ কথা সবাই জানে। সুতরাং অনেকেই মনে করেন যে, শেখ হাসিনার পুত্র সম্বন্ধে কিছু বয়ান সংসদে উত্থাপনের প্রয়োজন ছিল। সজীব ওয়াজেদ জয় একটি মার্কিন কোম্পানির কাছ থেকে পাঁচ মিলিয়ন ডলার ঘুষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ছাপার জের ধরে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে আদালত ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন, কিন' তার পরও বাড়তি তিন মাস তাকে কয়েদ করে রাখা হয়েছিল। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে যদি মামলা হতে পারে তাহলে সজীবের বিরুদ্ধে অভিযোগের কেন তদন্তও হবে না?
মাত্র কিছু দিন আগে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ড. লিয়াম ফক্সকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। তার অপরাধ : তার এক বন্ধু তার উপদেষ্টা বলে দাবি করে ভিজিটিং কার্ড বিলি করেছেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সরকারি সফরের সময় সেখানে হাজির ছিলেন। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ হয়নি, কিন' সে সুযোগে উপরিউক্ত ব্যক্তি হয়তো প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে আর্থিক লাভবান হতে পারতেন এমন একটা ইঙ্গিত অবশ্যই ছিল। সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে প্রমাণ আছে যে, তিনি বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা দাবি করে ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়েছেন এবং ওয়াশিংটনের প্রভাবশালী মহলে সে কার্ড বিলি করেছেন। তা ছাড়া টেলি-সংবাদে অনেকেই নিশ্চয় দেখেছেন যে, জয় প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন বিদেশসফরে তার সঙ্গী হয়েছিলেন।
আমার পরম সৌভাগ্য, বহু দেশ থেকে সহৃদয় পাঠকেরা আমাকে টেলিফোন করেন, ইমেইলে মন্তব্য খবর ও গুজব ইত্যাদি পাঠান। বিভিন্ন সময়ে তাদের কেউ কেউ আমাকে জানিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রে জয়ের অন্তত দু’টি প্রাসাদোপম অট্টালিকা আছে এবং তার বিলাসবহুল জীবনযাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় আয়ের জ্ঞাত কোনো উৎস তার নেই। তা ছাড়া অসংলগ্নতার জন্য তার নাম পুলিশের নথিভুক্ত বলেও কেউ কেউ আমাকে জানিয়েছেন। অনুরূপভাবে কেউ কেউ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কন্যা-জামাতা কানাডায় অভিজাত জীবনযাপন করছেন, কিন' তারা কোনো চাকরি কিংবা ব্যবসায় করছেন বলে কেউ জানে না। এমন অভিযোগও আছে, যে দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়নে বিরত থাকছে তার সাথে কানাডা প্রবাসী প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়দের কারো আচরণ জড়িত থাকতে পারে। বহু লোকের যখন এ ধরনের ধারণা আছে তখন বিষয়গুলো নিয়ে উপযুক্ত তদন্ত করে প্রধানমন্ত্রী পুত্র-কন্যাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেন।
সংসদে বিএনপিদলীয় উপরিউক্ত মহিলা সংসদ সদস্যদ্বয়ের সংশ্লিষ্ট উক্তিগুলো অবশ্যই অশোভন ও অসংসদীয় ছিল। কিন' সংসদ জাতি ও দেশবাসীর জন্য। তারা যদি মনে করেন যে, এই দু’জন সংসদ সদস্যের উক্তি প্রধানমন্ত্রী ও তার সহকর্মীদের দৃষ্টি উন্মোচনে সহায়ক হবে তাহলে সে উক্তিগুলোরও প্রয়োজন ছিল বলতে হবে। 
লেখক : বিবিসি খ্যাত প্রবীণ সাংবাদিক 
লন্ডন, ২০.০৩.১২ 
serajurrahman@btinternet.com

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন