বিচারপতির স্কাইপি সংলাপ
অলিউল্লাহ নোমান
|
|
|
মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক
(নাসিম) নিয়মিত বিচারের নানাদিক নিয়ে বিদেশে অবস্থানরত একাধিক ব্যক্তির
সঙ্গে স্কাইপি কথোপকথন করেন। গত আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে বিভিন্ন
দিনে মোট ১৭ ঘণ্টার কথোপকথনের রেকর্ড আমাদের কাছে একটি সূত্র থেকে এসেছে।
বিদেশের একটি সূত্র থেকে পাওয়া কথোপকথনে রয়েছে বিস্তারিত তথ্য।
মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের যাবতীয় বিষয় নিয়ে পরামর্শ করেন তাদের
সঙ্গে। কোন কেসটা কীভাবে আগাবে, কোনটার রায় কখন দিলে ভালো হবে, কতজন সাক্ষী
নিলে সুবিধা—সবকিছু নিয়ে সংলাপ হয়। এছাড়া যাদের সঙ্গে কথোপকথন হয় তাদের
একজন রায় ও আদেশের স্ট্রাকচার লিখে পাঠান বলে এই স্কাইপি আলোচনায় উঠে আসে।
তাদের এই কথোপকথন থেকে জানা যায়, সরকার ডিসেম্বর মাসের মধ্যে রায়ের জন্য
চাপ দিচ্ছে ট্রাইব্যুনালকে। বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম স্কাইপি কথোপকথনে
জানান, সরকার রায়ের জন্য পাগল হয়ে গেছে। সরকার শুধু একটা রায় চায়।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর রুল জারি করে এক আদেশে তিনি উল্লেখ করেছেন, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন ও অন্যদের সঙ্গে আধুনিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্কাইপি আলোচনা করেন। তাদের কাছ থেকে এই আইনের বিষয়ে পরামর্শ নেন।
আমাদের কাছে আসা রেকর্ড থেকেও জানা গেছে ড. আহমদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে প্রায় নিয়মিত এবং রায়হান রশিদ নামে অপর আরেকজনের সঙ্গে কথোপকথন হয়। ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন হলেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ল’ইয়ার এবং ‘সেন্টার ফর বাংলাদেশ জেনোসাইড স্টাডিজ ইন বেলজিয়াম’-এর পরিচালক। তিনি ব্রাসেলস ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষকতাও করেন। গত ২৯ নভেম্বর হেগে ‘নো পিস উইদাউট জাস্টিজ’ নামক একটি সংগঠনের উদ্যোগে যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক সেমিনারে তিনি যোগ। এ সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সাইফুল ইসলাম তারেক যোগ দেন। এছাড়া যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত রায়হান রশিদ নামে একজন যোগ দেন। বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম প্রায় নিয়মিতই সন্ধ্যার পর স্কাইপি আলোচনা করেন তাদের সঙ্গে। ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন এবং রায়হান রশিদের সঙ্গে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তাদের স্কাইপি আলোচনা থেকেও এটা স্পষ্ট। বিচারপতি নিজমুল হক নাসিম স্কাইপি আলোচনার বিষয়টি স্বীকার করে দ্য ইকোনমিস্টের বিরুদ্ধে রুল জারির পর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। বিচারপতি কোর্টের বাইরে মামলা নিয়ে কারও সঙ্গে বিশেষ আলোচনা করতে পারেন কিনা—এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আইনজীবী মহলে।
ইকনোমিস্টকে জারি করা রুলের আদেশে বিচারপতি নিজামুল হক বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনটি নতুন ধারণা। এজন্য তিনি বিশেষজ্ঞ হিসেবে ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন ও অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে পরামর্শ নেন। আমাদের কাছে আসা স্কাইপি আলোচনার তথ্যে বিচারপতির মুখে শোনা যায় বিভিন্ন কথা। তিনি ১৪ অক্টোবরের কথোপকথনে আহমদ জিয়াউদ্দিনকে বলেন, গভর্নমেন্ট রায়ের জন্য পাগল হইয়া গেছে। সাঈদীরটা হলে ডিসেম্বরের মধ্যে রায় দেতে পারবো। গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়া। তারা একটা রায় চায়।’ ১৫ অক্টোবরের কথোপকথনের এক পর্যায়ে তিনি ড. আহমদ জিয়াউদ্দিনকে বলেন, ‘আমাদের তো স্টেট মিনিস্টার যাচ্ছে হজে। আজকে আসছিল আমার লগে দেখা করতে সন্ধ্যায়। ওনি বললেন যে রায়টা তাড়াতাড়ি দেবেন।’ ২৭ আগস্টের কথোপকথনে দেখা যায় ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি একেএম জহির পদত্যাগের বিষয়ে ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন জানতে চান। এবং নতুন যাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে তার সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। এর জবাবে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম জানান, ‘আমাদের চয়েসও না, আমার জানা মতে ল’ মিনিস্টারের চয়েসও না। কিন্তু তার নাম আইস্যা চিফ জাস্টিসের রিকমান্ডেশনও হইয়া গেছে। সে হলো জজকোর্টের ল’ইয়ার ছিল। জজকোর্টের লেভেল থেকে মনে হয় হইছে। কামরুল-টামরুল করছে আর কি। যাই হোক, মনে হচ্ছে আমার। জজকোর্টের ল’ইয়ার ছিল। আপনার অ্যা.. স্মাগলিং কোর্টের পিপি আছিলে, তার নাম হইল সোনা জাহাঙ্গীর।’ ৬ সেপ্টেম্বরের কথোপকথনে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেন, ‘সিনহা বাবু কইছে-ডিসম্বরের মধ্যে তিনডা দিয়া লন, তারপর আমরা আপনারে এহানে নিয়া আসি।’ এছাড়াও বহু রাজনৈতিক বিষয় রয়েছে কথোপকথনে। গত আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বিভিন্ন দিনের কথোপকথন পর্যালোচনা করে ২৭ আগস্ট, ৬ সেপ্টেম্বর, ৮ সেপ্টেম্বর, ১৪ অক্টোবর ও ১৫ অক্টোবরের স্কাইপি কথোপকথনের বিস্তারিত হুবহু পাঠকের সামনে তুল ধরা হলো।
গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়া তারা একটা রায় চায়
পরিচালক। তিনি ব্রাসেলস ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষকতাও করেন। গত ২৯ নভেম্বর হেগে ‘নো পিস উইদাউট জাস্টিস’ নামক একটি সংগঠনের উদ্যোগে যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক সেমিনারে তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন। এ সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সাইফুল ইসলাম তারেক এবং যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত রায়হান রশিদ নামে একজন যোগ দেন। বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম প্রায় নিয়মিতই সন্ধ্যার পর স্কাইপি আলোচনা করেন তাদের সঙ্গে। ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন এবং রায়হান রশিদের সঙ্গে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তাদের স্কাইপি আলোচনা থেকেও এটা স্পষ্ট। বিচারপতি নিজমুল হক নাসিম স্কাইপি আলোচনার বিষয়টি স্বীকার করে দ্য ইকোনমিস্টের বিরুদ্ধে রুল জারির পর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। বিচারপতি কোর্টের বাইরে মামলা নিয়ে কারও সঙ্গে বিশেষ আলোচনা করতে পারেন কি না—এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আইনজীবী মহলে।
ইকোনমিস্টকে জারি করা রুলের আদেশে বিচারপতি নিজামুল হক বলেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনটি নতুন ধারণা। এজন্য তিনি বিশেষজ্ঞ হিসাবে ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন ও অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনা করে পরামর্শ নেন। আমাদের কাছে আসা স্কাইপি আলোচনার তথ্যে বিচারপতির মুখে শোনা যায় বিভিন্ন কথা। তিনি ১৪ অক্টোবরের কথোপকথনে আহমদ জিয়াউদ্দিনকে বলেন-গভর্নমেন্ট রায়ের জন্য পাগল হইয়া গেছে। সাঈদীরটা হলে ডিসেম্বররের মধ্যে রায় দেতে পারবো। গভর্নমেন্ট গেয়ে পাগল হইয়া। তারা একটা রায় চায়।’ ১৫ অক্টোবরের কথোপকথনের এক পর্যায়ে তিনি ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন বলেন-‘আমাদের তো স্টেট মিনিস্টার যাচ্ছে হজে। আজকে আসছিল আমার লগে দেখা করতে সন্ধ্যায়। ওনি বললেন যে রায়টা তাড়াতাড়ি দেবেন।’ ২৭ আগস্টের কথোপকথনে দেখা যায় ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি এ কে এম জহির পদত্যাগের বিষয়ে ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন জানতে চান। এবং নতুন যাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে তাঁর সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। এর জবাবে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম জানান, ‘আমাদের চয়েসও না, আমার জানা মতে ল’ মিনিস্টারের চয়েসও না। কিন্তু তাঁর নাম আইস্যা চীফ জাস্টিসের রিকমান্ডেশনও হইয়া গেছে। সে হলো জজ কোর্টের ল’ইয়ার ছিল। জজ কোর্টের লেবেল থেকে মনে হয় হইছে। কামরুল-টামরুল করছে আর কি। যাই হোক, মনে হচ্ছে আমার। জজ কোর্টের ল’ইয়ার ছিল। আপনার অ্যা.. স্মাগলিং কোর্টের পিপি আছিলে, তাঁর নাম হইল সোনা জাহাঙ্গির।‘ ৬ সেপ্টেম্বরের কথোপকথনে বিচারাতি নিজামুল হক নাসিম বলেল-‘সিনহা বাবু কইছে-ডিসম্বরের মধ্যে ৩ডা দিয়া লন, তার পর আমরা আপনারে এহানে নিয়া আসি।’ এছাড়াও বহু রাজনৈতিক বিষয় রয়েছে কথোপকথনে। গত আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বিভিন্ন দিনের কথোপকথন পর্যালোচনা করে ২৭ আগস্ট, ৬ সেপ্টেম্বর, ৮ সেপ্টম্বর, ১৪ অক্টোবর ও ১৫ অক্টোবরের স্কাইপি কথোপকথনের বিস্তারিত হুবহু পাঠকের সামনে তুল ধরা হলো।
কথোপথনের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১২
নিজামুল হক নাসিম : হ্যালো...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কেমন আছেন, কেমন?
নিজামুল হক নাসিম : আছি ভালোই, আপনে কেমন আছেন?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আছি ভালোই, আজকে আমরা তো একটু গণতন্ত্র চর্চা করে এলাম আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : কী চর্চা...?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : গণতন্ত্রের চর্চা আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : ও গণতন্ত্র!
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আজকে আমাদের এই লোকাল, স্থানীয় সরকার ও প্রাদেশিক সরকারের ইয়ে ছিল আরকি।
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ভোট ছিল।
নিজামুল হক নাসিম : ভোট ছিল, ভোট?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, ভোট।
নিজামুল হক নাসিম : বা... বা... বা খুব ভালো।
আহমদ জিয়াউদ্দিন: কিন্তু এগুলো তো হচ্ছে, পানসা ভোট আসলে।
নিজামুল হক নাসিম : এ্যা...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এগুলো পানসা-টানসা টাইপের ভোট আরকি।
নিজামুল হক নাসিম : তা তো বটে, ভোট হয় বাংলাদেশে। ওইসব ভোটে কোনো আরাম আছে—কেনো আরাম নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মানুষ যাচ্ছে ভোটিং সেন্টারে যার যার। একটা, দুইটা, তিনটা কইরা মানুষ যাইতেছে, চাইরটা কইরা যাইতেছে, আস্তে কইরা গাড়ি থেকে নাইমা চইলা গে। আবার আস্তে... কোনো মানুষ নাই, কেউ রিসিভ করতেছে না, কেউ জিন্দাবাদ নাই... কোনো কিছু নাই।
নিজামুল হক নাসিম : ভালো...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইবারে আরেকটু নতুন জিনিস করেছে আরকি। এর আগের বারে ইলেকট্রোনিক ভোটিংই ছিল, কিন্তু এইবার টাচ্ ইলেকট্রোনিক ভোটিংয়ের আরেকটা, সেফটি মেজার এইবার ইনট্রিডিউস করছে আরকি। তাতে হচ্ছে যে, এটা আরও সিকিউরড হইছে যে, আপনার ভোটটা ওরা আইডেনটিফাই করতে পারবে।
নিজামুল হক নাসিম : ও জাগায় তো ভোট দেয়া কম্পালসারি, না?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ কম্পালসারি দেইখাইতো যাইতে হয়, না হইলে তো মানুষ বোধহয় যাইতও না। এইবার একটু বেশি মনে হচ্ছে আমার কাছে, স্থানীয় নির্বাচনে একটু ইন্টারেস্ট থাকে মানুষের। কারণ এটা এই, এই লোকাল গভর্নমেন্টের তো, এখানে রাস্তাঘাটের প্ল্যানিং-ট্যানিং থেকে শুরু করে সার্ভিস-টার্ভিস সবই তো লোকাল গভর্নমেন্ট প্রভাইড করে। সেই জন্য একটা ইন্টারেস্ট আছে আর কি। বাট এ্যাঁ, এটা হচ্ছে যে, বাসায় বাসায় চিঠি পাঠাচ্ছে যে, চিঠি দিয়ে যাচ্ছে দুই-চারটা ক্যানডিডেট দেখি, দু-একটা পার্টির ক্যানডিডেট আসছেও আর কি। মানে চিঠি দিতে আসছে আর কি। সব কেনডিডেটই আসে আর কি। নিজে আইসা বাসায় বাসায় চিঠি দিয়া যায় আর কি। কিন্তু এতটুকুই আর কি, এর বেশি কিছু না। দুই-একজন বইলা গেছে, আমরা কিন্তু তোমার প্রতিবেশী।
নিজামুল হক নাসিম : হে, এ্যাঁ...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তা ঠিক আছে। আপনার আজকের দিন কেমন ছিল? আমি তো দেখলাম কয়েকটা নিউজ আজকে।
নিজামুল হক নাসিম : ভালোই, আর খবর-টবর কী?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এ্যাঁ..., খবর তো আমরা কালকে নিজেরা কথা বলছি। সো... একটা চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে এগুলোর। আপনার সাথে কালকে যেটা কথা হইছে। কাল মালুম ভাইর সাথে কথা হয় নাই। কাজেই... আজকে ওই গোলাম আযমেরটা কতদূর আগাইছে?
নিজামুল হক নাসিম : গোলাম আযম ফাস্ট হাফ হইছে। সেকেন্ড হাফে আবার সাঈদী ধরছিলাম। আগাচ্ছে আর কি। সাঈদীর তো ওই ডকুমেন্ট জমা হচ্ছে। ১৩ নম্বর সাক্ষী এখনও চলতেছে, চলবে...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন: উনাদের কারো সঙ্গে কালকে কথা হয় নাই অবশ্য। কালকে বোধহয় ছুটির দিন ছিল দেইখ্যা উনারা ব্যস্ত ছিলেন বোধহয়, এইজন্য স্কাইপি আসতে পারে নাই।
নিজামুল হক নাসিম : আইজকে তো... আচ্ছা দেখা যাক, সাঈদী এবং গোলাম আজম কেইসই তো আগাচ্ছি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন: হ্যাঁ, ওই যে দুই নাম্বারের চক্করটা। এটা বুঝার জন্য আলোচনা কালকে রাত্রে হওয়ার কথা ছিল। আমি ধারণা করছিলাম হয়তোবা আজকে হবে। দেখা যাক, আমি মনে করি এইটা যে, দুই-তিনটা স্ট্র্যাটিজি হতে হবে। একটা হচ্ছে যে, একটা অলরেডি মেসেজ দেওয়া হইছে আর কি...। আইনমন্ত্রীকে দেয়া হইছে। মানে দেওয়ার কথা আজকে মেসেজ পৌঁছানোর কথা আছে।
নিজামুল হক নাসিম : মেসেজ দেলে কি কাজ হইবে..., মেসেজে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তা জানি না। কিন্তু এটা তো দিতে হবে। একদিক থেকে শুরু করতে হবে আরকি। এটা উনাকে মেসেজটা দেওয়া হচ্ছে যে একটা, ইয়েটা-ডিসিশনটা হবে দুই বছরে। মানে এটা একটা কাইন্ড অব পলিসি ডিসিশনের পার্ট হিসাবে হবে। যে, কোন কেইসটা আগে যাচ্ছে? অ্যাটলিস্ট প্রথম কেইসটা। সেকেন্ড হচ্ছে যে, না হলে এটা একদম উপরে যেতে হবে। কারণ এখানে গুড রিজন আছে। যে, সবচেয়ে বেশি যার দায়বদ্ধতা—বেশি, যেটা সবচেয়ে বেশি সিগনিফিকেন্ট পলিটিক্যালি অ্যান্ড আদারওয়াইজ, সেগুলো তো আগে অ্যাড্রেস করতে হবে। বিশেষ করে রেসপনসিবিলিটির দিক থেকে। এটার রিয়েল এরিয়াতেও সিগনিফিকেন্ট এবং পলিটিক্যাল কনটেক্সটেও সিগনিফিকেন্ট। যে বড়গুলারে বাদ দিয়া ছোটগুলারে আগে নিয়া আসার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। এটা প্রথম থাইকা এই সমস্যাটা ছিল। কিন্তু এখন এইটা যে পর্যায়ে আসছে, এটাকে ওভারকাম করা যেতে পারে, যদি মন্ত্রীর একটা সিদ্ধান্ত হয়। এখন পর্যন্ত ১২টা সাক্ষী এই সেন্সে বাকি আছে। আর ওইখানে যে কেইসটা নিয়ে কথা হচ্ছে, একজাক্টলি সেই কেইসটা কী অবস্থায় আছে, সেটা আমি জানি না। কয়টা সাক্ষী ডি ডব্লিউ চলতেছে... ডিডব্লিউই তো চলতেছে ওদের ওইখানে, তাই না?
নিজামুল হক নাসিম : না, ডি ডব্লিউ শুরু হয় নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওই কেইসে ডিডব্লিও শুরু হয় নাই এখনও?
নিজামুল হক নাসিম : না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, তার মানে তারা অনেক বেশি... না কাছাকাছিই তো এগিয়ে আছে বলা যেতে পারে। নাকি না ?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যা.. হ্যা... হ্যা...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওইটার ডি ডব্লিউ শুরু হইতে... ওইটার ব্যপারে আপনার কি কোন ধারণা আছে? ঠিক আছে...। আজকে আমি জিজ্ঞাসা করব।
নিজামুল হক নাসিম : না... না... আমার ধারণা নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওইটার প্রসিকিউটিং ল’ইয়ার কে?
নিজামুল হক নাসিম : তা-ও আমি জানি না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইগুলাই জিজ্ঞাসা করে নিব আজকে, যদি কথা হয়। আর আমাদের আরেকটা লিস্টও করতে হবে। আসলে কে কে হেল্প করতেছে, কে প্রসিকিউটার, মানে লিড প্রসিকিউটার, এই আর কি। কাদের মোল্লার মামলাটা... এটা বোধহয় তারেক।
নিজামুল হক নাসিম : না, তারেক না। তারেক দেখে কামারুজ্জামান। সে মামলা ঢিল দেছে...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, তার মানে, এটা অন্য কেউ দেখে তাহলে। এটা একটা সিনক্রোনাইজ একটা ডিসিশনটা হতে হবে, এই জিনিসটা বুঝাতে হবে যদি...।
নিজামুল হক নাসিম : শোনেন, আমি একটা জিনিস মনে করি। যেডা আমার ব্যক্তিগত মতামত যে, সম্ভব হইলে গোলাম আযম ফাস্ট, সাঈদী সেকেন্ড, কাদের মোল্লা থার্ড। আর যদি তা প্রবলেম হয়, তাইলে সাঈদী ফাস্ট, গোলাম আযম সেকেন্ড, কাদের মোল্লা থার্ডই থাক। কেননা সাঈদীর কেইসটা ডিফারেন্ট। এই সাঈদীর কেইসটার লগে আইনের সম্পর্ক খুব বেশি না। এডা আমাদের দেশি দরবারের মতোই। গোলাম আযম হইল সেটেলমেন্ট অব ল’ হয়ে যাবে এবং...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : রাইট।
নিজামুল হক নাসিম : এই গোলাম আযম হইলো টিম লিডার। সাঈদী সাইড ট্র্যাক। সাঈদীর লগে আপনার লিডার-টিডারশিপের কোনো প্রশ্ন আসতেছে না। গোলম আযমের রায়ের পরে আপনার নিজামী, মুজাহিদ, কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান—সবগুলা রায় হইতে পারে, এর পরে। কিন্তু গোলাম আযম ফাস্টে। ওই গ্রুপের থেকে একমাত্র সাঈদী, সাকা এরা বায়রায় (বাইরে)। সাকারে তো আমি থামাইয়াই দিছি। সাঈদীরে থামাচ্ছি না। কারণ, সাঈদী প্রায় শেষ। এইটা যদি উনাদেরকে বইল্লা... এইডা ওনাদেরকে (ট্রাইব্যুনাল-২) হায়ার লেভেল থেইকা বইল্লা, থামায়া দিতে হবে যে, আপনি কাদের মোল্লারে ঢিল দেন। ঢিল দিয়া বাকিগুলারে সামনে আগান। কেননা, ওই যে অ্যাবসেন্ট যে আছে, ওর নাম জানি কী...? ও বাচ্চু, হ্যারে দিয়া শুরু করেন। আরেকজনরে নিয়া আগান সামনে। এরপর আপনার, পর পর ৩-৪টা রায় দিয়া দেন, অসুবিধা নাই কোন। বাট আফটার গোলাম আযম। নট বিফোর দ্যাট।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইখানে আরেকটা ব্যাপার আছে, এটা আপনি যেটা বললেন, সেটা ঠিক। আবার লিগ্যাল অ্যাঙ্গেল থেকেও এটা ঠিকই যে, সাঈদীরটা লিডারশিপে বা অফ ল’ ইনভলবমেন্ট নাই। কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, বাইরের ওয়ার্ল্ডে অর্থাত্ আউটসাইড দ্য কোর্ট রুম...।
নিজামুল হক নাসিম : তারা চাইবে গোলাম আযমের রায়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, এটা হচ্ছে ইম্পরটেম্লট। সেই অডিয়েন্সটা আছে। আর সেকেন্ড হচ্ছে খুবই ইম্পরটেম্লট... । যদি, সাঈদী যদি প্রথম হইয়া যায়, তাইলে এইটা কিন্তু হিস্টোরিক। মানে ইট উইল নট হিস্টোরিক অ্যানিথিং। মানুষের প্রত্যাশাটা থাকবে হচ্ছে এ্যাঁ এ্যাঁ......।
নিজামুল হক নাসিম : গোলাম আযমের দিকে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সকল দিক বিবেচনা করে বড়টার রায়...।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ... শিওর।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কাজেই সেইটাকে ওইভাবেই টিউন করে নিতে হবে। এখন হয়তোবা পরের দিন জাজমেন্ট দিলেন বা এক সপ্তাহ পরে জাজমেন্ট দিলেন, কোনো অসুবিধা নাই। মানে ডিসিশন এরা পরে দেক, কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু পরে হতে হবে।
নিজামুল হক নাসিম : এডা আমি একমত আপনার লগে। এরা চাপে কেবল... গোলাম আযম শেষ করতে গেলে...। কেননা গোলাম আযম এখনও আইও চলতেছে, তারপর ডিফেন্স উইটনেস হবে। তারপরও এইডা আপনার জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির আগে হবে না। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি লাগবে শেষ করতে। এই পর্যন্ত গভর্নমেন্ট ওয়েট করবে না। গভর্নমেন্ট রায়ের জন্য পাগল হইয়া গেছে। সাঈদীরডা হলে আমি ডিসেম্বরে রায় দেতে পারব। গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়া। তারা একটা রায় চায়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ..., না মানে.., কিন্তু আরেকটা, তাদের সাথে তো কোনো কথা হইতেছে না। সাঈদীরটা আগে রায়ের মধ্যে সিগনিফিকেন্সটা কী? তারা তো শুধু একচোখা হিসাবেই আগাইতেছে, বা তারা পেনিকড হইতেছে। এখানে পেনিক তো হওয়ার কিছু নাই।
নিজামুল হক নাসিম : তারা গেছে পাগল হইয়া মোটমাট, আমি আপনারে বলতেছি। একটা জাজমেন্ট না পাইলে ১৬ই ডিসেম্বর... ১৬ই ডিসেম্বর কইরা ডাহাডাহি করতেছে। এটা কোনো অর্থ হয় না। তারা একটা জাজমেন্ট চাচ্ছে, সোজা হিসাব।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ১৬ই ডিসেম্বরের ভূত তো এর আগেরবারেও ছিল।
নিজামুল হক নাসিম :সে ব্যাপারে সাঈদী আগাইয়া আছে, সাঈদীর রায়ডা হইয়া গেলে গভর্নমেন্ট ঠা-া হইত।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ১৬ই ডিসেম্বরে ভূত কিন্তু, এটা নুতন ভূত না।
নিজামুল হক নাসিম : ডিসেম্বরের আগে না, ডিসেম্বরে হইতে পারে সাঈদীরডা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই ১৬ই ডিসেম্বরের ভূত করতে করতেই তো সমস্ত বিপদে ফেলতেছে আরকি।
নিজামুল হক নাসিম : সব, আর শুরু হইছে তো গোলাম আযম ছয় নাম্বরে। সাঈদী এক, সাকা দুই, নিজামী তিন, কাদের মোল্লা চাইর, কামারুজ্জামান পাঁচ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তদন্ত সংস্থা তো ওইখানেই প্রবলেমটা করেছে।
নিজামুল হক নাসিম : তাইলে এইডা করবেন কী আপনি?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওয়েল, এইটা যদি হয়ে যায়, তাইলে তো আর অসুবিধা নাই।
নিজামুল হক নাসিম: তারা তো বাই হুক-অর বাই ক্রুক, এইটা ঠেকাইবে সবাই এবং আমরাও তো তাল পাচ্ছি না। কারণ সাঈদীর সাক্ষী কমে যাচ্ছে। আমি তাকে ফিরিয়ে দিব কীভাবে... ডিফেন্স উইটনেস! সাঈদী তো প্রায় শেষ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না না ডিফেন্স উইটনেস তো আর ফেরানো যাবে না।
নিজামুল হক নাসিম : সাঈদী তো প্রায় শেষ। ঈদের আগে তাদের সাক্ষী শেষ হয়া যাবে আশা করতেছি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঈদের আগে কি তার সাক্ষী, ডি ডব্লিউ শেষ হয়া যাবে?
নিজামুল হক নাসিম: হ্যাঁ শেষ হয়া যাবে। আর গোলাম আযমের কেইসে তারা দুই সপ্তাহ সময় চাইছে, সাক্ষীর নাম দেওয়ার জন্য। সেইডা আমি রিজেক্ট কইরা বলছি, কালকে পাঁচটা দিবেন, পরশু সাতটা দিবেন, এইডা লাস্ট চান্স। বললাম আমি। কিন্তু, তারা দেল না, তাইলে কী করবেন আপনে। আমি যদি স্টপ কইরা দেই, তাইলেও তো হইচই হবে যে, সাক্ষীর নামই জমা দিতে দেয় নাই। টাইম চাইছে টাইম দিতা...। তখন গভর্নমেন্ট কইবে, তুমি টাইম দেতা, খমাহা (খামোখা) তাদেরকে আরেকটা পয়েন্ট, তাগো পক্ষে যোগ করাইলা...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কিন্তু এরা তো আসলে কাউন্টার-এনকাউন্টার।
নিজামুল হক নাসিম : তাই তো।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এজন্যই তো প্রবলেমটা। যে, আইসিটি যে যতগুলা কাজ করছে...।
নিজামুল হক নাসিম : এ গভর্নমেন্টই তো তহন আমারে কইবে, তুমি টাইম দিতা। তুমি একদিন সময় তাগো দেতা, দিয়া রাখতা হেগো কোর্টে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঠিক আছে। দেখেন আপনি ওইভাবে। দেখা যাক এই... এইটা কতদূর আগানো যায়।
নিজামুল হক নাসিম : আমার প্ল্যান হইল, ল’ সেটেল হইবে গোলাম আযমের কেইসে, এইডা ঠিক। সাঈদীর কেইসে কোনো ল’ সেটল হইবে না। নরমাল একটা জাজমেন্ট দিয়া, নরমাল না সেডা ভালো জাজমেন্ট ইনশাল্লাহ হবে। তবুও যা হয় হবে, সেডা ভিন্ন কথা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ফাস্ট কেইস তো...! ফাস্ট কেইসের একটা সিগনিফিকেন্ট আছে। এবং ফাস্ট কেইসের জাজমেন্টটা একটা ফরম্যাটের মধ্যে আসবে।
নিজামুল হক নাসিম : সে তো বটেই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন :এবং পরবর্তীগুলাও ‘মোর অর লেস’ ওই একই ফরম্যাটের উপরে হবে। ভিন্ন ভিন্ন জিনিস হবে। কিন্তু, ফরম্যাটিংটা ঠিকই থাকবে। আর এইটাকে ছোট কেইস হিসাবে দেখার কোনো স্কোপই নাই, যেহেতু এইটা আইসিটির কেস। আইসিটির প্রত্যেকটা কেইসই সিগনিফিকেন্ট। আর এইটা এইভাবেই দিতে হবে। কারণ এটা ন্যাশনালি এবং ইন্টারন্যাশনালী স্ক্রটিনাইজ হবে।
নিজামুল হক নাসিম : আর আমি এমন টেকনিক শুরু করছি যে, আমি সাকার কেইস রাখি না, টাইম দিয়া দেই। আপনার নিজামী রাখি না। যদি সাঈদীরে বাধা দেতে চায় তাইলে গোলাম আযম চলবে। গোলাম আযমরে বাধা দিলে, সাঈদী চলবে। যার ফলে ওরা...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না... না... ঠিকই আছে। এটাই আপনার ফাস্ট ট্র্যাকে থাকতে হবে। ডান-বাম সব চালাইয়া যেতে হবে।
নিজামুল হক নাসিম :আমি তো সুযোগ দিচ্ছি তাদের। তারা বলে যে, এইডা এডজর্নমেন্ট দেন ওইডা শুরু করেন। এই সুযোগই দিচ্ছি না আমি, এ দুইডার মধ্যে একটা আরম্ভ করতে হইবে। কেইস করতে হইবে তোমার, কোনডা করবা কও। যেডা করবা, যেডার সাক্ষী আছে হেইডাই নিব। বল, কোনডা করবা। হা... হা....হা ....(হাসি)
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হা... হা... হি... হি...(হাসি)
নিজামুল হক নাসিম : আইদার সাঈদী অর গোলাম আযম—এই দুইডার কোনো এডজর্নমেন্ট হবে না, এডাও বলে দিছি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ভেরি গুড।
নিজামুল হক নাসিম : আমি আজকে এডাও বলছি, যেদিন ক্রস আইওর শেষ হবে, সঙ্গে সঙ্গে ডিফেন্স উইটনেস শুরু হয়ে যাবে। এটা বলে দিলাম আপনাদের। বি রেডি ফর দ্যাট। উইদাউট অ্যানি গ্যাপ, উইদাউট অ্যানি এডজর্নমেন্ট, ইমিডিয়েটলি আফটার অ্যান্ড অফকর্স একজামিনেশন অব আইও, দ্য ডিফেন্স উইটনেস উইল বি স্টার্টেড। ওরা খুশি মনে নেয় নাই, কিন্তু শোনতে হইছে ওদেরকে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না... না... এর মধ্যে তো কোনো অন্যায় নাই।
নিজামুল হক নাসিম : সোজা হিসাব।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা তো আগে থাইকা জানিয়ে দেওয়াই উচিত। ইটস্্ নট দ্যাট যে, আপনি হঠাত্ কইরা বললেন যে, এখনই তোমারে সাক্ষী দিতে হইবে আরকি। সো.. দে আর গেটিং এনাফ ওয়ার্নিং বিফোর হ্যান্ড। এইটা ভালো আর কি। এই যে কথাগুলা না, মিডিয়াতে আসতেছে না। এগুলা আবার অন্য কোনো থার্ড কোনো অপশন নাই তো। কারণ গভর্নমেন্ট আইসিটির কোনো একটা, মানে কিছুই তো করল না, ইভেন আইসিটির নিজের একটা মিডিয়া উইংও করল না ট্রাইব্যুনালে এই গভর্নমেন্ট। তারা আসলে একটা প্রো-অ্যাক্টিভলি, এটার পক্ষে ক্যাম্পেইনটা করতে পারে বা জানাতে পারে। যে, দেখ-কীভাবে এ ঘটনাটা কিন্তু এইভাবে ঘটে নাই। আজকে যদি বন্ধ করে, এটার পিছনে অনেকগুলি কারণ আছে। এত কিছু এইভাবে এইভাবে বলা হইছে...।
নিজামুল হক নাসিম : ওই, একমাত্র উঠলে ওডে ডেইলি স্টারে। উঠতে পারে কালকে। এইসব ল্যাঙ্গুয়েজ ডেইলি স্টারে দিয়ে দেয়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা ভেরি ইম্পোর্টেন্ট যে, এই কথাগুলা আসা, যে এটা কোনো আনফেয়ার প্রসেস না। এটা টার্গেটেড প্রসেস না এবং তাদের যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। যদি কোনো অ্যাডভার্স ডিসিশন নেওয়া হচ্ছে এটা বিকজ অব দেম। হ্যাঁ, ঠিক আছে এটা ভালো হইছে।
নিজামুল হক নাসিম : আপনি তো ইনশাআল্লাহ ২২ তারিখ নামতেছেন, না ?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, আমি ২২ তারিখে।
নিজামুল হক নাসিম: আচ্ছা, আজকে ওই আনোয়ার সাহেব আমারে জিজ্ঞাস করছিল, আমি বলছি উনারা চেষ্টা করতেছে। এখনও শিওর না, দেখা যাক আর কি। বুঝছেন কোনটা?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হে... এ্যা?
নিজামুল হক নাসিম : নতুন জজ দুইজন যে...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যা.. হ্যা.. হ্যা..। আজকে যে পারমান্যান্ট করা হইছে, এটা কি বাবুরে (বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস) পারমান্যান্ট করা হইছে?
নিজামুল হক নাসিম : করছে.. করছে হ্যাঁ, হ্যাঁ তো করবেই। আপনার সঙ্গে কি যোগাযোগ করতে পারছেন ওবায়দুল করিম?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কেন, মেসেজ দিয়া রাখছি। এখন তো উইক এন্ড না এইখানে।
নিজামুল হক নাসিম : ও উইক এন্ড! আচ্ছা ঠিক আছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কালকে বিকালের আগে হয়তোবা কোনো ইয়েই পাওয়া যাবে না। তারে যদি ইটা দেয় ও, আমি তারে একবার বলব, বিকালে ওইখানে একটা ঢুঁ মারতে।
নিজামুল হক নাসিম : আমি বলছি যে, আপনি ২২ তারিখ আসতেছেন। এর মধ্যেই একটা মেসেজ পাওয়া যাবে আর কি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি আশা করি সেটা।
নিজামুল হক নাসিম : তারপরে তো টাইম থাকবে না। কেননা, ঈদে বন্ধ হয়ে যাবে। হের পর তো আর টাইম থাকবে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না, তারপরে টাইম থাকতেছে না। ওই সেন্সে টাইম থাকছে না। কিন্তু আপনাদের যাওয়া-আসার ব্যাপারে তো শুধু ডিসাইড করা দুটো জিনিস। একটা হচ্ছে রিটার্নটা যদি অ্যামসটারডামে করা যায়, এটা এই লোকেরে ধইরা করতে হবে...।
নিজামুল হক নাসিম : না... যদি আপনাদেরটা হয় তাইলে তো...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, সেটাই বলছি।
নিজামুল হক নাসিম : যদি ওই ডেইটে আপনাদেরটা হয়, তাহলে সেটা আগে ঠিক করতে হবে তো।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ভিসা হলে তো আর সমস্যা নাই। একটা ভিসাই যথেষ্ট।
নিজামুল হক নাসিম : তা এইটা জানি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কাজেই ঝামেলা অনেক কম। মানে এখন শুধু হইল যে, এইটাকে সেট করাটাই হইল। এদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়াটাই বড় কথা।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ... পেলে হবে। না হইলে তো আমর ধারণা, অনেক পিছাইয়া যাবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না হইলে তো আবার কাভার করতে হইব আর কি। মানে আরেক রাউন্ড দিতে হবে। প্রবাবলি নিউ ইয়ারে করতে হইব সব।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ নিউ ইয়ারে। সেটাই... সেটাই মনে হচ্ছে আমার...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : অ্যা... তো মানে অত ইয়ের ভিতরে... মিড উইন্টারে আসাটা ঠিক হবে না। সবারই জন্য কষ্টকর হয়া যাবে। দেখা যাক এটা।
নিজামুল হক নাসিম : সেইটাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এমনেও তিন-চার দিনের ব্যাপার। চারদিন-পাঁচ দিনের ব্যাপার। এটা খুব বেশি সময় না।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ,
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা হলে একচোটে হয়া যেত।
নিজামুল হক নাসিম : রায়হানের কোনো খবর-টবর আছে...?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, রায়হান তো খুব অ্যাক্টিভ এখন। সে তো, তার যে কাজগুলো সে করে, সে একটার পর একটা লেখা লিখতেছে। কালকে আপনাকে একটা কথা বললাম না, ইনফ্রেইমইও, ইন কেইস জাজমেন্টটা যদি দিতে হয়, সাঈদীর কথাটা।
নিজামুল হক নাসিম : হুম...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সাঈদীর জাজমেন্টের একটা রাফ স্কেচ তৈরি করা হইছে। স্ট্রাকচারটা কী হতে পারে হয়তোবা কাল আমি স্ট্রাকচারটা আপনাকে পাঠাব। জাস্ট টু দেখার জন্য। এটাকে আমরা রিয়েলি, এই স্ট্রাকাচরটা এমনভাবে করছি আমরা, তাতে খুব বেশি কষ্ট হবে না আপনার। আমাদের কিন্তু এমন করতে হবে, যেটা আমাদের দেশের কিছু টুকু থাকে। কিন্তু, এইটার স্ট্যান্ডার্ডটা, মানে অন্যরা যেন এইটা ফিল করে। আমাদের মেইন টার্গেট যদিও ডিসিশনের ক্ষেত্রে, মেইন টার্গেট হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ। কিন্তু, এটার যে ক্রিটিক্যাল অ্যাঙ্গেলে যেটা দেখবে, সেটা কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ ওইভাবে দেখবে না। তো, এই জাজমেন্টটা কীভাবে ওয়ার্ডেড হচ্ছে, কীভাবে স্ট্রাকচার্ড হইছে, কীভাবে ফ্রেইম হইছে...।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ সেটা তো বটেই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই জিসিগুলো কিন্তু আমাদের লোকগুলা বেশি দেখবে না। আমাদের লোকেরা দেখবে, সে আপনার কনক্লিউশনটা কী হইছে এবং বড় বড় ফ্যাক্ট কী হইছে। কিন্তু যারা এই জিনিসটা ক্রিটিক্যালি দেখবে এবং রেফার করবে এবং পরবর্তীকালে এটাকে আন্ডারমাইন্ড করার চেষ্টা করতে পারে এবং সেইটা না করার জন্য এইটাকে ফরম্যাটের দিক থেকে..., এইটাকে ওই স্ট্যান্ডার্ডে নিয়ে আসতে হবে আমাদেরকে।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কাজেই স্ট্রাকচারটা, যদি স্ট্রাকচার রাইট, তাহলে আমরা মনে করি যে, বাকিগুলাও পারা যাবে। যেমন এই যে আমি বলতেছিলাম, আমি ইটালিয়ান যে অরগানাইজেশনের মিট করলাম এবং কথা বললাম, তারা আসলে অ্যাপ্রিশিয়েট করছে আমাদের এই অর্ডারটা। মানে রিক্যুজালের অর্ডারটা। কিন্তু তারপরেও তাদের ফিলিংসটা হচ্ছে যে, এখানে জাজকে মনে হইছে একটু হার্শ আরকি। কিন্তু, এইটা যে একটা ওয়েলড্রাফটেড, ওয়েলরিটেন, ওয়েল একটা কিছু, এইটা তারা অ্যপ্রিশিয়েট করছে। তারা ইক্যুয়ালি অ্যাপ্রিশিয়েট করছে মালুম ভাইয়ের ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের জন্য আমাদের করা প্রেজেনটেশনটা। যে কারণে তারা মালুম ভাইরে আনতে চাচ্ছে। আমি বললাম যে, উনাকে না নিয়ে এসে অন্য কাউকে আনতে হবে। সো..., সেই আলোচনা এখনও চলতেছে। ওরা হইল ওইটা দেখে আগে আর কি...।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওরা দেখে, যে টেক্সটা তৈরি হইছে, সেইটা ঠিক ওয়েদার ইট লুকস রাইট। ওইখানে আমাদের লুকস রাইটও দিতে হবে। আবার যেহেতু ইনকেইস প্রথম কেইসটা যদি সাঈদীরই হয়, বা যে কোনো কেইস হউক না কেন, এ দুটার, ডাজ নট মেটার। আমার মনে হচ্ছে যে, এইটা একটা অপরচুনিটি যে, আপনার কিছু রেফারেন্স দিতে হবে যে, এই প্রসেসটার শুরুটা কীভাবে হইছে।
নিজামুল হক নাসিম : সে তো বটেই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন: এবং কী কী প্রবলেমের ভিতর দিয়া গেছে আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মানে ওই সেন্সে ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল। আউট সাইড যে, প্রবলেমগুলা বা লার্নিং প্রসেসটা কী ছিল। সো, ইট্স কাইন্ড অব ফার্স্ট কেইসেই এইটা থাকবে আর কি। আর বাকিগুলায় আর ওইভাবে থাকবে না।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ... সেইডাই, সেইডাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন :কিন্তু ফার্স্ট কেইসে এইডা দিতে হবে যে, এইটা কোথা থেকে আমরা শুরু করলাম। অ্যান্ড দ্যান আমরা কীভাবে শেইপ করেছি, রুলস অব প্রসিডিউর আমরা কী করলাম, কেন করলাম। মানে এই সামারি হলো এইটা। এটা হচ্ছে যে, আপনার ইতিহাসটা তুলে ধরা এবং আপনাদের কথা বলাটা। কেননা ট্রাইব্যুনাল তো কখনও সুযোগ পায় না কথা বলার। সো... জাজমেন্ট ইজ দ্যা অনলি ওয়ে অর অর্ডার ইজ দ্য অনলি ওয়ে যে, ট্রাইব্যুনাল স্পিকস। সো... এইটাকে একটা সুন্দর স্ট্রাকচারের ভিতরে এনে স্ট্রাকচারটা টানলে জাজমেন্ট লিখাটা হয়ে যাবে। এইটা করতে পারলে... আর এইটা করাটাই আমাদের মেইন উদ্দেশ্য।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, সেইডাই, সেইডাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সো দ্যাট, এইটা আমরা সেল করতে পারব ইজিলি। ওদের যে চিন্তা-ভাবনা, আর ওরা যে জাজমেন্টগুলো পড়ে, দেখা যাবে কি একেবারে ওই জাজমেন্টের সাথে অলমোস্ট খাপে খাপে মিলে যাচ্ছে। এবং ওরাও দেখবে ঠিকই আমরা একই স্ট্রাকচার ফলো করছি। আমরা যে বাংলাদেশের ট্র্যাডিশনাল ওয়েটা ফলো করি, সেই হিসাবে এটা নেওয়া যাবে না। কারণ, এই কেইসটা সেই কেইসগুলা না এবং এই কেইসগুলাকে ইভেন কি ছোট কেইস, সাঈদীর কেইসটা আনুপাতিক হারে লেস লিগ্যালি কমপ্লিকেটেড, কিন্তু সেটা হচ্ছে লিগ্যাল আলোচনাটা কম হবে সেখানে ওই সেন্সে। কিন্তু তারপরও তো ডিগ্রি অব লিগ্যাল আলোচনা থাকতেই হবে। কারণ এখানে কিন্তু, ওই ইস্যুগুলা সেটেল হয়ে যাবে।
কারণ, এটা যদি ক্রাইম এগেইনেস্ট হিউম্যানিটি হয়, যেটাই হয়, সেটাই করতে হবে। কাজেই এইটা আমি বোধহয় আজকে... আমি কালকে রাত্রে স্ট্রাকচারের কাজ করছি একটু, এখনও এটা কমপ্লিট না। আমি এটা যেভাবে আগানোর চেষ্টা করতেছি সেটা হচ্ছে যে, আমি কয়েকটা চার্জ ফ্রেম... লিডিং চার্জ ফ্রেমগুলা দেখব আবার নতুন করে দেখব। যে, তারা কীভাবে এটাকে স্ট্রাকচারটা করছে আর কি। কীভাবে গুছাইছে জিনিসটা এবং কীভাবে শুরুর দিকে কী কী দিচ্ছে তারা। প্রত্যেকটা কেইস ডিফরেন্ট ফ্রম আদার ওয়ান।
আমি দেখছি স্ট্রাকচারের শুরুতে তারা কীভাবে দিচ্ছে, মাঝখানে কী দিচ্ছে, শেষের দিকে কী দিচ্ছে এবং এইগুলা আমাদের সিচুয়েশনটাতে আমরা কীভাবে এটাকে করতে পারি। সেই হিসাব করে প্রবাবলি কালকের ভিতরে একটা জাজমেন্ট স্ট্রাকচার পাঠিয়ে দেব। একটা রাফ স্কেচ পাঠায় দিব ফর আপনার ইনফরমেশন। আপনি দেখেন যে, এইভাবে করলে আপনার পোশায় কি না। তারপরেও এর ভিতরে, বডিতে কী দেওয়া হবে, না হবে, কতটুকু লেখা হবে এবং কত ডিপে যাওয়া হবে, কত এক্সপ্রেসে যাওয়া হবে, কত এনালিটিক্যাল হবে—সেগুলো হচ্ছে পরে আনব....।
নিজামুল হক নাসিম : হুম... (গম্ভীর)
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা হচ্ছে রাফলি স্পিকিং হেডলাইন এবং সাবহেডিংগুলো কী হবে এবং কোন কোন ইস্যুগুলা কাভার করা যেতে পারে। এরপরে তো আরও ডেফিনেটলি, মানে কাজ যখন করবেন তখন দেখা গেল কি, আরও অনেক রকম ইস্যু আসবে, যেটা আপনার মনে পরে যাবে তখন আমাকে আবার জানাবেন। আমি ওইখানে কিছু স্ট্যাটিসটিকস দেওয়ার চিন্তা করতেছি। যেমন কতগুলা অর্ডার হইছে, কতগুলা রিভিউ পিটিশন গেছে, জাস্ট এ রকম। কারণ এইটা তো আপনার শেষ কথা, এরপর তো আর কথা থাকতেছে না ট্রাইব্যুনালের।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কাজেই, আপনাকে আরেকটা জিনিস মনে রাখতে হবে। এই জাজমেন্টের ক্ষেত্রে যে, প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে এইটা কিন্তু আপনার কথা টু অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালস, মানে অ্যাপিলেট অথরিটি। এই জাজমেন্টটা পড়লে অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে যে প্রশ্ন আসতে পারে সেইটারও উত্তর কিন্তু এই ট্রাইব্যুনালে থাকতে হচ্ছে। অর্থাত্ এই যে যেসব ইস্যুগুলো আসছে, সেই ইস্যুগুলো যেগুলো চ্যালেঞ্জ করা হইছে, এ নাম্বার অব মেজর চ্যালেঞ্জেস, সেগুলার উপরে ছোট ছোট আলোচনা করে, এই যে কেন এইগুলাকে ডিল করা হইছে আর কি। ডিটেইল আলোচনা কিন্তু রিলেভেন্ট অর্ডারে আছে। এইটা পড়লেই যেন বোঝা যায় এবং অ্যাপিলেট জাজেসরা যেন এট লিস্ট এই জাজমেন্টটা যদি পড়ে, তাহলে যেন বুঝে যে, আসলে এই ট্রাইব্যুনাল চিন্তা কী করছিল। প্রত্যোকটা অর্ডারের পিছনে ট্রাইব্যুনালের কী চিন্তা ছিল এবং কী র্যাশনাল বা কী যুক্তি ট্রাইব্যুনাল ব্যবহার করেছে এবং সেইটা কতটুকু লজিক্যাল। মানে এইটা এই অর্ডারের ভিতরে, মানে এইটা এই জাজমেন্টে বলে দেব যে, হাউ লজিক্যাল র্যাশনাল রিকয়্যার্স—আমরা কী কী বিবেচনায় এইটা নিয়েছি এবং কেন নিয়েছি। প্রথম যেটা হবে সেটা পলিটিক্যালি সিগনিফিকেন্টও হচ্ছে, কিন্তু লিগ্যালি সিগনিফিকেন্টের দিক থেকে যেটাই হোক না কেন, এইটার ট্রিমেন্ডাস সিগনিফিকেন্ট আছে আসলে ফাস্ট কেইস হিসাবে। বাট, এইটা একটু সময় লাগবে। এখানে আমাদের মেজর কনসার্নটা হচ্ছে, সরকার যে চাপ দিতাছে এইটা আমরা... রিয়েলি আপনারা উনাদের সাথে বিভিন্নভাবে আমাদেরকে যোগাযোগ করতে হবে। এবং বলে দিতে হবে। বিকজ দিস ইজ সাম থিং... এইভাবে হাত-পা টাইট করে দেওয়াটা ঠিক না। কারণ যেটা চিন্তা করা হচ্ছে এবং এইটাই যদি করতে হয়, এইটা কিন্তু আপনিও তো ফিল করতেছেন এবং বলতেছেন যে, জাজমেন্টটা কিন্তু ৫০০ পাতার জিনিস হবে। তাইলে এইটা আপনি সাত দিনের ভিতরে নামায় দিবেন কেমন কইরা?
নিজামুল হক নাসিম : প্রশ্নই ওডে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা কোনো কথা হইলো! এই সমস্ত ডকুমেন্ট কমপেয়ার করে, সমস্ত ডকুমেন্ট দেখে শুনে এইটা তো আর চাট্টিখানি কথা না। এইটা হইলো ট্রাইব্যুনালের ব্যাপার। এটা হচ্ছে ফাস্ট জাজমেন্টের ব্যাপার। এটা জাজমেন্টের ব্যাপার, এইটা তো অ্যাপিলে যাবে। উনাদের কনসিডারেশনের সাথে এইটা আমাদেরকে কোনো অবস্থাতেই উনাদের টাইম ফ্রেমের সাথে এইটা হবে না। মানে এইটার অর্থ এই নয় যে, এইটাকে দেরি করা হবে। এই জন্য কাজটা এখন থেকেই শুরু কইরা দেয়া হচ্ছে। একটা স্ট্রাকচার যদি আমরা কইরা ফেলতে পারি, তাইলে আমি মনে করি যে, বাকিগুলা সবগুলাকেই ওই ওই ...।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, সে তো বটেই। আগানো যাইবে তাইলে অনেকখানি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এদিক-সেদিক, এদিক-সেদিক কইরা ফিটিং করানো যাইবে। আরেকটা কেইসে দেখা গেল যে কি, আরো কিছু দিতে হচ্ছে বা কিছু কমায়ে দিতে হইতাছে, সেগুলা আমরা তখন ইজিলি করতে পারব। এটা আমরা অলমোস্ট চার্জের যেভাবে ইয়ে করছিলাম না.. টেমপ্লেট যে রকম করছিলাম চার্জের ক্ষেত্রে...।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ... হ্যাঁ... হ্যাঁ...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঠিক ওই চার্জের ক্ষেত্রে টেমপ্লেট যেভাবে করছি, জাজমেন্টের ক্ষেত্রেও মোটামুটি একই টেমপ্লেট। ওই একই রকম একটা কিছু আগে তৈরি করছি। ওইটা আমি ইফেক্টিভলি কাজ করছি। আর সরকারের ওই চাপটা আমাদেরকে সহ্য করতেই হবে। কীভাবে করব দ্যাট উই ডোন্ট নো। বাট, এইটা তাদেরকে বোঝাইতে হবে ওইভাবে এইটা চাপচাপি না করা। এইটা ইয়ে না। প্রডাক্ট না যে, জাস্ট আপনে কইলেন আর মেশিন না যে, বাইর হয়া গেল। আর এইগুলা উনাদের বুঝার মতোও অবস্থা নাই। তারপরও বুঝাইতে হবে, তারপরও উনাদের সাথেই তো কথা বলতে হবে। আমরা যতই মানে রায়হান আমাকে এবার জোরে-শোরে বলছে, আপনি আইনমন্ত্রীর সাথে মানে ইয়ে করে আসবেন। লাভ হউক, আর না হউক, কিন্তু আমরা তো আসলে... কাজ করার নাই তো কেউ আর। যতরকম আমার এভিনিউ আছে, অন্যান্য যত এভিনিউ আছে, ইনক্লুডিং এক নাম্বার পর্যন্ত পৌঁছানোর এভিনিউ—এইসব এভিনিউ ব্যবহার করতে হবে এবং বুঝাইতে হবে আসলে যে রিয়েলিটিটা কী। শুধুমাত্র উইক এন্ডে আইসা, কনফারেন্সে গিয়া বা সেমিনারে গিয়া একটা বইলা দিল, ওইটা হবে না।
আর এইটা আপনাদের জন্য রিয়েলি কষ্টের, আপনাদের কোনো হ্যান্ড তো নাই, যে এই কাজগুলা করবে। আপনাদের হ্যান্ড নাই, ঠ্যাং নাই, কিচ্ছু নাই। তো কী কইরা কী হবে। তাদেরকে আপনারা বইলা দিবেন যে, এই জাজমেন্ট যেভাবে হইতেছে, যা হইছে, অন্ততপক্ষে ৫০০-৭০০ পাতার কইরা এক একটা জাজমেন্ট হবে।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ হ্যাঁ অবশ্যই, মিনিমাম ৫০০ পৃষ্ঠার হবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : দেন হাউ ডু ইউ এক্সপেক্ট ইট যে, এটা ওভারনাইট কইরা ফেলা হবে? আপনি যদি আমারে অর্ডারটা দিতেন, আমি অর্ডার পোরশনটা কইরা দিয়া, আমি পরে জাজমেন্টটা লেইখা দিতাম, শান্তিমতো কইরা। ওইটা বোধহয় শাহিনুর সাহেবদের সাথে আলোচনা কইরা এইটা করছে। এই যে আইনের এই পরিবর্তনটা, সময় কমিয়ে দেয়ার পরিবর্তনটা। কারণ উনারা গিয়া বলছে হয়তো যে, আমরা কইরা দিবোনে কোনো অসুবিধা নাই। আমরা একসাথে সবই দিতে পারব, যখন অর্ডার দিব তখন জাজমেন্টটা দিয়া দিব হাতে। কিছু একটা হইছে মানে এইটা তো আপনাদের কাছ থেকে আসে নাই।
নিজামুল হক নাসিম : না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা একমাত্র সাসপেক্ট। আমার সন্দেহ হচ্ছে, এইটা শাহীনুরদের ওইখান থাইকা আসছে। দেখি, রায়হানকে দেখি, পাই কি না এখন। ঠিক আছে তা হলে...
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি আপনাকে কালকে স্ট্রাকচারটা পাঠাব। ওকে ঠিক আছে।
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা, রাখি খোদা হাফেজ।
তাঁর নাম হইল সোনা জাহাঙ্গীর
কথোপকথনের তারিখ : ২৭ আগস্ট ২০১২
নিজামুল হক নাসিম : হ্যালো
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যালো
নিজামুল হক নাসিম : কেমন আছেন?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আছি আছি। আমি তো বুজতেছি না। আপনাদের ওইখানে কী হইতেছে। এই লোক এই যে, নাম আসছে এই লোকটা কে আসলে?
নিজামুল হক নাসিম : জাহাঙ্গীর।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এ কি আপনার মানে... অ্যা... অ্যা... অ্যা...। এটা আমার তো কোনো ধারণাই নেই এই লোক সম্পর্কে।
নিজামুল হক নাসিম : আমাদের চয়েসও না, আমার জানা মতে ল’ মিনিস্টারের চয়েসও না। কিন্তু তার নাম আইসা চিফ জাস্টিসের রিকোমেন্ডেশন হইয়া গেছে। সে হলো জজকোর্টে ল’ইয়ার ছিল। জজকোর্টের লেবেল থেকে মনে হয় হইছে। কামরুল-টামরুল করছে আর কি। যা-ই হোক, মনে হচ্ছে আমার। জজকোর্টে ল’ইয়ার ছিল। আপনার অ্যা... স্মাগলিং কোর্টের পিপি আছিলে। তাঁর নাম হলো সোনা জাহাঙ্গীর।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হেয়... হে য়ে, ও মাই গড! এইটা হইল কী কইরা!
নিজামুল হক নাসিম : হেডা আমি জানি না। আমার সঙ্গে ল’ মিনিস্টারের যে কথা, তাতে আওনের কথা বাবু (বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস বাবু। বর্তমান সরকারের আমলে বিচারপতি হওয়ার দুই দিন আগে পর্যন্ত যিনি খুনের মামলার প্রধান আসামি ছিলেন) বা গোবিন্দ (বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর), ল’ মিনিস্টার তাই বলছেন। কালকে চিফ জাস্টিসের লগে দেখা হইলো। কালকে উনি এমন কিছু বলেন নাই। এসব আলাপ করেন নাই। উনি বলছেন যে, আপনাদের খুব সুনাম আছে এবং বায়রায় কোনো বদনাম নাই, এইটা মেইনটেন করতেছেন। এটা খুব ভালো। কোনো ধরনের বদনাম আপনাদের নাই। আইজকে দেখলাম যে নাম দিছে। এখন যাক, কী আর করার।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা তো... তার মানে একটা করাপ্ট মানুষকে দেওয়া হইছে?
নিজামুল হক নাসিম : অন্ততপক্ষে হি ওয়াজ করাপ্ট—এটা বলা যাইবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আরে এইটা কি এমন একটা জিনিস যে, কালকে ছিলেন করাপ্ট, আজকে ভদ্রলোক হয়া গেলেন?
নিজামুল হক নাসিম : হা... হা... হা... হা...। যা-ই হোক, কী কমু আমি?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা আরেকটা ভেজাল, আরেক ভেজাল লেগে যাবে আমাদের।
নিজামুল হক নাসিম : ভেজাল লাগবে না। কারণ তারে বলা হইছে... বলা হইছে যে, চেয়ারম্যান যা কইবে, তুমি খালি ইয়েস কবা। এমনে সে লেখাপড়া জানে। এইডা আমি বলমু, বুঝলেন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হু?
নিজামুল হক নাসিম : লেখাপড়া জানে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : লেখাপড়া জানে মানে! কোন সেন্স থেকে? পড়ালেখা কী করেছেন উনি?
নিজামুল হক নাসিম : না... এমনে কেইস-টেইস...। ল’ইয়ার, ভালো ছেলে। অ্যা.. কোর্ট পারফরম্যান্সও ভালো ছিল। এগুলা ঠিক আছে কিন্তু।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : জুডিশিয়ারিতে ছিলেন এর আগে?
নিজামুল হক নাসিম : না না, ল’ইয়ার।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ও আচ্ছা তার মানে, এ ইয়ের কোটায় আসছে আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : কামরুল কোটায়। আমার ধারণা, হে কামরুল কোটায় আসছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা কীভাবে সম্ভব হইতেছে? এটা কি প্রধানমন্ত্রী কিছুই জানেন না!
নিজামুল হক নাসিম : প্রধানমন্ত্রী তো আবার হেদের খুব পছন্দ করেন। সাহারা খাতুন... টাতুন এদের বুঝেন না!
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনি কি জানতেন? ও জহির সাহেব ইয়ে করতেছে। উনি কিছু বলছেন টলছেন আপনাকে?
নিজামুল হক নাসিম : না না না, উনি ফাস্ট হাফে আমার লগে কোর্ট করছেন। কোর্ট কইরা নামছেন নিচে। নামার পরে উনি পট কইরা দশ মিনিট পর ফোন কইরা বলল, স্যার, আমি একটু ইমারজেন্সি...। আমি আসতেছি, স্যার। এই কথা কইয়া চইলা গেল। তখন নাকি তারে ল’ মিনিস্টার ডাকাইয়া সেক্রেটারিয়েট নিছে। সে আইসা আমারে বলে, ‘আই এম নো মোর ইয়োর মেম্বার’। আমি কই মানে! কী বলছেন আপনে? উনি বললেন, আপনি কোর্টে উঠেন...। আপনার লগে দেখা করে যাব। তবে আমি কোর্টে উঠবো না, উঠতে পারতেছি না আমি। শ্যাষে আমি কোর্টে উঠলাম। কোর্ট সাইরা চারডার সময় দেখা করল। তখন আমাকে বলল যে, এ রকম ডাকাইল... ডাকাই নিয়া বলল যে, রিজাইন করেন। রিজাইন করলাম... রিজাইন দিয়ে আসলাম। আর আজকে স্বীকার পাইছেন উনি যে, পরশু দিন রাতরে উনারে মন্ত্রী ডাকাইছিলেন বাসায়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আইনমন্ত্রী?
নিজামুল হক নাসিম : এবং বাসায় নিয়া বলতেছে..., আপনারে আমরা ই তে নিব। ল’ কমিশনে নিব। আপনি রিজাইন দেন। আজকে ডাকাই নিয়ে একেবারে রেজিগনেশন রাইকখা দেছে এককেরে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ল’ কমিশন দিলে খারাপ না, এটা একদিক থেকে।
নিজামুল হক নাসিম : এইডা আমার সঙ্গে আলাপ করছে সে। বলছে ওইখানেই দেবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সো এইটা আইনমন্ত্রী বলেছেন।
নিজামুল হক নাসিম : হু আমারে আইন মন্ত্রীই কইছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা ঠিক আছে। হ ওইটা ঠিক আছে। ইট উইল বি গুড। অ্যাট সট অব ওয়ার্ক।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম,
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মানে উইথ হিস এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড এভরিথিং।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : উনি কি আপসেট হইছেন?
নিজামুল হক নাসিম : না-না-না। হইতে পারে মনের মধ্যে। উপরে কিন্তু খুব নরমালেই দেখলাম আমি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, মানে বিডি নিউজ২৪.কম যেভাবে রিপোর্ট করছে, উনার ঢোকাটা নিয়ে...। উনার অ্যা... বিল্ডিং এই কোর্ট রুমের চারিদিকে তাকানো নিয়ে। যাওয়ার আগে একদম বিদায়ের...।
নিজামুল হক নাসিম : না, হে তো আমাদের লগেই নামল।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : একটা জিনিস পাঠাইছি দেইখেন। কংগ্রেস থেকে যে পত্রিকা বাইর হয়, সেই পত্রিকা ‘দ্য হিল’ ছিল নামে, আপনারে শেয়ার করছি।
নিজামুল হক নাসিম : হ .. আচ্ছা..।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, এইটা তো কী হইল তাইলে ফাইনালি গিয়া?
নিজামুল হক নাসিম : দেখি...ই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনার সাথে এমনি তার পরিচয় আছে কি?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ আছে, ভালো পরিচয়ই আছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : রাজনীতির দিক থেকে কোন দিকের মানুষ সে?
নিজামুল হক নাসিম : আওয়ামী-আওয়ামী।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মারছে, বেশি আওয়ামী লীগ হইয়া গেলে...।
নিজামুল হক নাসিম : আমার মনে হয় সেই রিডিং করছে যে, বাবু হলো জেএসডি, আর ওই ঠাকুর হলো সিপিবি। আমরা আওয়ামী লীগ দিব।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মানে এইভাবে ভাগাভাগি কইরা করছে। কিন্তু এইটা... আমাদের আইনমন্ত্রীর তাইলে কিছুই করার থাকে না বোধহয় তাইলে না?
নিজামুল হক নাসিম : ওইডা আমি জানি না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আরে আমি তো ওই পর্যায়ে থাকলে আমি রিজাইন করতাম আর কি। তাইলে এইটা কি উনি সিগনেচার কি করছে? উনার কি... উনাকেই তো করতে হইব সাইন, নাকি না?
নিজামুল হক নাসিম : কোনডায়?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই যে...।
নিজামুল হক নাসিম : রেজিগনেশনে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না... না... না...। মানে হ্যাঁ, মন্ত্রীই তো ইয়ে করবে। মানে মন্ত্রীই তো প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠায়ে দেয়।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, রাইট রাইট।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তাইলে উনারে বইলাইবা লাভ হইতাছে কী তাইলে? হোয়াট ইজ হি দেন? এইটা কোনো কথা হইল? এইখানে আমরা একটা হাই ইন্টিগ্রিটিওয়ালা মানুষের দরকার...! আর এইটা কি পাবলিকলি নোন ছিল? আপনি যেটা বলেন যে, যে মানে সোনা জাহাঙ্গীর নামটা?
নিজামুল হক নাসিম : তা সে পরিচিত। হাইকোর্টে এবং জজ কোর্টে সে সোনা জাহাঙ্গীর নামেই পরিচিত ছিল—লইয়ার হিসাবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সো..., ওইটা বলতে চাইছেন যে, সে যেন কিসের কোর্টের বলেলন যে?
নিজামুল হক নাসিম : স্মাগলিং কোর্টের পিপি, স্মাগলিং...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ও স্মাগলিং আলাদা কোর্ট আছে নাকি? আচ্ছ আচ্ছা...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কত বছর আগের কথা? অনেক দিন আগের কথা, না কিনা ইদানীং এর ব্যাপার?
নিজামুল হক নাসিম : এই এডা মানে ৫-৭ বছর আগের কথা। ওই-ওই, ওই সময়ের আওয়ামী লীগ। এক সাল পর্যন্ত। মানে এর আগের...। এর আগেরবারের আওয়ামী লীগের সময়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা আচ্ছা! উনি দশ সালে দেখতেছি উনি জাজ হইছে।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি অবশ্য দুইটা দিন একটু বেকায়দায় থাকব আর কি। কালকে সকালে একটা টেস্ট আছে। গ্যাসট্রো-এন্টারোলজির, যেটাকে এন্ডোসকপি বলে।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওরা আমার ব্লাডে বারবার পাইতেছে অ্যানিমিয়া। কিন্তু এরা বুঝতে পারতেছে না যে, ব্লাড কেন চলে যাচ্ছে শরীর থেকে। সো, ভিতরে বোঝার চেষ্টা করতেছে যে... যে, ওইখানে কোনো, মানে এনটেস্টাইনে কোনো প্রবলেম আছে কি না। আর ৩১ তারিখে অর্থাত্ শুক্রবারে করবে আমার কোলনোস্কপি।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সো সেইটার জন্যই প্রস্তুতি নেয়া হইতেছে আর কি। এটা বোধহয় একটু ডিসকমফোরটিং। বাট, ওইটা দেখবে যে, সেখানে কোনো সমস্যা আছে কি না। কোলনে কোনো প্রবলেম আছে কি না। এইটা খুব দ্রুত হইয়া গেল। এই লোকের এখনও রেজিগনেশন অ্যাকসেপ্ট না করার পরেও...। এটা মানে এত দ্রুত... এরা একদম ক্যু কইরা ফেলল আসলে। মানে খোঁজ নিলে দেখা যাবে কি... যদি যদি আপনি খোঁজখবর নেন ঠিকমত, তাইলে দেখবেন আইনমন্ত্রী হয়তোবা জানেন কি না, সন্দেহ আর কি। পাঠায় দিছে চিফ জাস্টিসের কাছ থেকে। মিনিস্ট্রির... মিনিস্ট্রিরে দিয়া, চিফ জাস্টিসও এত দ্রুততার সাথে আবার ওকে কইরা দিছে।
নিজামুল হক নাসিম : হু। উনিত আমার কাছেও বলছে যে, আমার কাছে আসতে দেরি হইতে পারে, কিন্তু আসলেই নগদে দিয়া দিব, যারে চাইবে তারে দিব। এডা আমারে কাইল বলছে তো, যাকে চাইবে তাকে দিব। এটা বলছেন উনি আমাকে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এ নিয়েও। আপনারা দুইজন ঠিক থাকলে বিশেষ সুবিধা করতে পারবে না।
নিজামুল হক নাসিম : না... না... না...। ওই জাহাঙ্গীরও আমার লগে ঠিক থাক।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : অ্যা...?
নিজামুল হক নাসিম : করাপ্ট মানুষ তো। বেশি ই... করবে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কারণ এখানে হইতেছে যদি কোনো অবস্থাই কম্প্রোমাইজড হয়া যায়... সেটাই আর কি। সেই রিস্কটা হইল সেটাই।
নিজামুল হক নাসিম : হেতে লাভ নাই। আমরা দুইজন শক্ত আছি। ওর কোনো কিছুতেই লাভ হইবে না। তবে ও লেখাপড়া জানে, এইডা ঠিক। ও যদি ঠিকমত চলে ও ভালো জজ হইবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : জাজ হিসাবে তার কি রকম? তার কোন ইভালুয়েশন আছে আপনাদের কাছে?
নিজামুল হক নাসিম : না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : উনি কোন... কী ধরনের বেঞ্চে বসতেন এত দিন?
নিজামুল হক নাসিম : ক্রিমিনালি... ক্রিমিনালিই করছে এতদিন। মানিকের লগে বইছে। ভিন্ন জায়গায় বইছে-টইছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এখনও উনি কনফার্ম হয় নাই?
নিজামুল হক নাসিম : এ দেখতে হইবে। মনে হয় হইছে কি হয় নাই। বা সামনে হইবে। মনে হয় হইয়া গেছে। এডা ঠিক আমার মনে নাই। মনে হয় হইছে কনফার্ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : দাঁড়ান, দেখি উনি কোন অঞ্চলের মানুষ। এইডা একটু বুঝতে হইব যে... আমরা ল’ কমিশনের মেম্বারদের কি হাইকোর্ট জাজদের ইয়ে দেই। না?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ-হ্যাঁ-হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : উনি কি তাইলে দুই নম্বর নাকি?
নিজামুল হক নাসিম : কি দুই নম্বর?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হাইকোর্ট ডিভিশন সিনিয়রে।
নিজামুল হক নাসিম : দুই নম্বর হয়ে যাবে এখন, আনোয়ার তিন নম্বর হয়ে যাবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না-না উনি দুই নম্বরে না, আনোয়ার সাহেব দুই নম্বর দেখতেছি।
নিজামুল হক নাসিম : আনোয়ার নাইম্মা যাইবে, এহন দুই নম্বর থেকে তিন নম্বরে। মনে হয়। আমি একটু দেইখা আসি হিসাব...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : উনি হইতেছে ২০.১০.২০১১-তে। এটা পাওয়া গেছে তো ওনার সব কিছু আছে এখানে...। (কথার ফাঁকে সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে ঢুকে)।
নিজামুল হক নাসিম : কোথায় আছে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে। মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর হোসেন। উনার নাম তো মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন?
নিজামুল হক নাসিম : জি...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : উনি দেখা যাচ্ছে তো, উনি তো উনার... যদি এই জাহাঙ্গীর হোসেন সেই জাহাঙ্গীর হোসেন হইয়া থাকে। তাইলে জয়েন করেছেন তো ২০.১০.২০১১ তে। বাবার নাম ড. মোহাম্মদ...।
নিজামুল হক নাসিম : না-না-না। উনি ১০ সালে। আরো উপরে জাহাঙ্গীর হোসেন আছে। আরেক জন দেহেন। এ তো বাদল.. পরের জন। এর কিশোরগঞ্জ বাড়ি, প্রেসিডেন্টের আত্মীয় এডা না। এডা হচ্ছে জাহাঙ্গীর হোসেন বাদল।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, জাস্টিস আনোয়ারুল হক। উনি জয়েন করেছে ১২.১২.২০১০-এ। এটা হলো, আই থিঙ্ক আপনাদেরটা।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, ১২.১২। আরও উপরে দেখেন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আরও উপরে হচ্ছে.. জাকির হোসেন... জাসটিস জাহাঙ্গীর হোসেন।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ... এইটা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ৫৯-এ জন্ম। উনি হচ্ছে ১৮.০৪.২০১০-এ জয়েন করেছেন।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তার মানে উনি সিনিয়র?
নিজামুল হক নাসিম : হু, কনফার্ম হইয়া গেছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : উনি এমকম, এলএলবি করছেন। ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে ছিলেন। অ্যাডভোকেট অব এ ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট। হাইকোর্টে এসে জয়েন করেছেন ৯১-এ এসে। ৫৯-এ জন্ম। ও আচ্ছা, তার মানে তো সেকেন্ড জাজ উনি হয়ে যাবেন।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আনায়ারুল হক হচ্ছেন ১২.১২। তার মানে উনার চাইতে ৮ মাস আগে জয়েন করেছেন উনি। এটাই তো আপনাদের সিনিওরিটির ক্রাইটেরিয়া, তাই না?
নিজামুল হক নাসিম : হু, অ্যা... ওয়েবসাইটে দেহেন দেহি। আমারডা বাইর করেন তো দেহি, কী আছে। আমি এহন তরি দেহি নাই সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইট।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : দাঁড়ান, দেখি কোথায় আছে। আপনারটা হচ্ছে শামসুদ্দিন চৌধুরীর পরে আর কি। জাস্টিস হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, তারপরে জাস্টিজ আবদুর রাজ্জাক, মারযিউল হক। ফারাহ মাহবুব আপনারও উপরে?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ... হেয় তো বিএনপির দেয়া অ্যাপয়েন্টমেন্ট না? আমরা তো ওই পরে। আমাদের ৭ বছর গ্যাপ পড়ল না?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি সিরিয়ালগুলো বলে যাচ্ছি। আপনাদের সিরিয়ালগুলো কোথায় আছে। হায় হায়, এটা তো তাহলে ইজ্জতের ব্যাপার! তার মানে হচ্ছে ফারাহ মাহবুব হচ্ছে বিএনপির লাস্ট অ্যাপয়েন্টমেন্ট আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : বিএনপির লাস্ট অ্যাপয়েন্টমেন্ট। তারপরই তো আমরা আসছি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তারপর আছে জাস্টিস মারযিউল হক। তারপর আছেন জাস্টিস আবদুর রাজ্জাক, হাসান ফয়েজ সিদ্দিক, শামসুদ্দিন চৌধুরী।
নিজামুল হক নাসিম : তারপর আমি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনারটা, আপনারটা হচ্ছে ২৫-৩-২০০৯-তে।
নিজামুল হক নাসিম : ২৫-৩-২০০৯-তে আমি কনফার্ম হইছি। অ্যাপয়েন্টমন্টে ডেট তো তারা দেয়নি, না?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, হ্যাঁ দিছে...। অ্যালিভেটেড অ্যাজ অ্যাডিশনাল জাজ অব দ্য হাইকোর্ট ডিভিশন অন ৩-৭-২০০১।
নিজামুল হক নাসিম : ইয়েস।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : অ্যান্ড অ্যাপয়েন্টেড জাজ অব দ্যা সেইম ডিভিশন অন ২৫-৩-২০০৯। তাইলে আপনার সিনিয়রিটি তো ২০০১ থেকে ধরা উচিত।
নিজামুল হক নাসিম : আমরা মনে করি। কিন্তু ধরে নাই তো। কনফার্ম থেকে ধরেছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনি যেদিন থেকে জাজ হইছেন, সেদিন থেইকা।
নিজামুল হক নাসিম : দেখেন চাই আর কী লেখছে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : লেখছে যেটা, সেটা হচ্ছে— ডেট অব বার্থ দিছে ১৫-৩-৫০। বিএসসি অনার্স, এম এস সি-এলএলবি। হি ওয়াজ এনরোলমেন্ট অব দ্য সুপ্রিমকোর্ট-হাইকোর্ট ডিভিশন অ্যান্ড অ্যাপিলেট ডিভিশন। (পুরো বিষয়টি পড়ে শোনান...)। আপনার পরে আছে বজলুর রহমান, এ কে এম আবদুল হাকিম।
নিজামুল হক নাসিম : এরা পরের ব্যাচ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : বোরহান উদ্দিন, তারপর মোয়াজ্জেম ভাই বোধহয়।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম,
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এম মোয়াজ্জেম হোসেন, তারপরে সৌমেন্দ্র সরকার, আবু বক্কর সিদ্দিক, নূরুজ্জামান, মইনুল ইসলাম, ওবায়দুল হাসান। ওবায়দুল হাসান কোথা থেকে পড়ালেখা করছে দেখি।
নিজামুর হক নাসিম : ঢাকা ইউনিভার্সিটি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : বিএ, বিএসএস, এমএসএস, এলএলবি ফ্রম ঢাকা ইউনিভার্সিটি। এলএলবি মনে হয়, কলেজ থেকে পড়ছে। সেইখানে উনি ৮৬। এলিভেটেড জাজ অ্যাজ ২০০৯। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই এলেভেটেড যেটা আছে, সেটাই আছে। কোথায়ও কিন্তু অ্যাপয়েন্টেড নাই। আপনার ক্ষেত্রেই এলিভেটেড অ্যান্ড অ্যাপয়েন্টেড দুইটাই আলাদা লেখা আছে। তারপর নাইমা, রেজাউল হাসান, ফারুক, এম ফারুক, শওকত হোসেন, নাজমুল আহসান, কৃষ্ণা দেব নাথ, বশির উল্লাহ, রব, এটা তাইলে আরেকটা জাহাঙ্গীর হোসেন আছে তাইলে?
নিজামুল হক নাসিম : জাহাঙ্গীর হোসেন, বড় ওইডাই। হে অইল উপরে। নিচে হইল শেষ যে জাহাঙ্গীর হোসেন, হেইডা হল কিশোরগঞ্জ বাড়ি, প্রেসিডেন্টের আত্মীয়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আরও একজন আনোয়ারুল হক আছেন তাহলে?
নিজামুল হক নাসিম : হু, আমাদের ব্যাচের প্রথম দিক দিয়া দেহেন আনোয়ারুল হক। আমাদের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট। হে কনফার্ম হইছে আর কি। এককেরে প্রথম দিক দেয়া, দুই নম্বরে নাম তার।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, এইটা যদি আপনাদের লিস্ট হয়, তাহলে এইখানে আপনাদের এখন হাইকোর্ট ডিভিশনের ভেতরে সিনিয়রমোস্ট জাজ হচ্ছে শেখ রেজোয়ান আলী।
নিজামুল হক নাসিম : আমাদের ব্যাচ।
জিয়াউদ্দিন : মানে ২০০১-এ ঢুকছে তাহলে। মানে তিসরা জুলাই ২০০১। তাকে ২০০৩-এ ইয়ে দেয়া হইছে।
নিজামুল হক নাসিম : হু।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওনার ক্ষেত্রে এই চক্করটা কেন করতাছে? প্রত্যেকটার ক্ষেত্রে—আচ্ছা টিক আছে, ২০০৩-এ দিয়ে দিছে উনি। আপনারা থাকলে আপনারা এখন টপে থাকতেন। এক-দুই-এর কাছাকাছি থাকতেন।
নিজামুল হক নাসিম : হু হু, দুইয়ে থাকতাম।
জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, জাস্টিস মো. আনোয়ারুল হক, এটা হচ্ছেন আরেকজন আছেন। উনিও আপনাদের একই সাথে হইছে না? একদিনে? এবং ৩০-৭এ কনফার্ম হইছেন আর কি। মানে ৩-৭-২০০৩-এ। নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সে-ও দেখা যায় যে একই দিনে।
নিজামুল হক নাসিম : একই দিনে, হ্যাঁ। দেহেন চাই মূসা খালেদটা কী লিখছে। হেও বাদ পড়ছিল একমাস পর, আবার কনফার্ম করছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, কে?
নিজামুল হক নাসিম : মূসা খালেদ। দেখেন, মির্জা হোসেন হায়দার, তারপর মূসা খালেদ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মূসা খালেদ হচ্ছে এলিভেটেড অ্যান্ড অ্যাপয়েন্টেড জাজ অন ২৭-৮-২০০৩।
নিজামুল হক নাসিম : সময়মত কনফার্ম না হইয়া ২৭-৮ এ কনফার্ম হইছে। গ্যাপ পড়ছে কিছু দিন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এর আগে। আগে হইয়া গেছে আবার হায়দার ভাই। হায়দার ভাইয়েরা ঢুকে গেছে সেইখানে। ওনিও তো একই দিনে হইছে। অ্যাপয়েন্ট আপনাদের সবগুলো কি একই দিনে করছিল নাকি।
নিজামুল হক নাসিম : হুঁ, কিন্তু কনফার্ম কেবল দেড় মাস পড়ে হইছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা একটা সিরিয়াসলি অকাম করছে। কোথায় আপনারা একেবারে এক নম্বরে থাকার কথা! হাসমত আলী দেখি কী অবস্থা।
নিজামুল হক নাসিম : এর পরের ব্যাচের।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তারিকুল হাকিম দেখা যায় ২০০২-এ। না ঠিকই আছে। ওইটা এরা ওভাবেই মেনটেইন করে আর কি। আপনার সাথে আর কোন কথাবার্তা হয়নি ওনার আর?
নিজামুল হক নাসিম : জহির সাহেবের?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : বিদায়ী কথাবার্তা কিছু?
নিজামুল হক নাসিম : হু হইছে হইছে। আমরা তো বিদায় দিলাম। লাস্টে গাড়িতে তুইল্যা দিলাম একেবারে যাইয়া। নিচে নাইম্যা তুইল্যা দিলাম গাড়িতে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আজকে তাহলে জানতেন না? ওনাকে জাস্ট বুঝি ডাকছে, তাই না? কীভাবে ঘটনা ঘটছে, কীভাবে?
নিজামুল হক নাসিম : ওনাকে বোধহয় পরশু রাত্রেই কইছে। তারপর আজকে ডাকইয়া নিয়া গেছে। জানত কি না আমি কইতে পারি না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, দেখা যাক এখন— হা...হা... (হাসি)। লাভ হইব না লোকসান হইব। এটা আমরা হিসাব করতে হইব পরে।
নিজামুল হক নাসিম : হু... হু... (হাসি)।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মানে এখন যেটা বোঝার চেষ্টা করতেছি। এখন যেটা হইল ওইটারে ওস্তাদের ওপর উস্তাদিটা করলটা কে আর কি? এখন এই যে যারা আসলে পক্ষের মানুষ না। যারা আসলে জিনিসটাকে... করতাছে সব কিছু জেনুইন জিনিস না। কি, ভুল হইছে নাকি স্ট্র্যাটেজি হিসাবে? এটা তো সুপার ফাস্ট স্পিডে হইছে আরকি। এটা তো সন্দেহজনক স্পিডে হইছে এবং এইডা হইয়া গেল। তারপর একটা হলো যে আবার, এইটা পাবলিকলি জানিয়ে দিল। এটা তো হওয়া উচিত না আসলে। এখন দেখা যায় কি যে, প্রথম আলোতে নাম পড়তেছি আমি। প্রথম আলোকে জাহাঙ্গীর হোসেনের নাম বলছেন আইনমন্ত্রী।
নিজামুল হক নাসিম : কী লেখছে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক হিসাবে হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী শফিক আহমদ বাংলা প্রথম আলো ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। আইনমন্ত্রী বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী এ নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন শেষে সেটি রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন। এখানে কিন্তু প্রতিমন্ত্রীর কোনো ব্যাপার নাই আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম,
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মালুম ভাইয়ের কাছে বুঝতে হইব আসলে কী হইল? এখন তো দেখা যায় পাবলিকলি আইনমন্ত্রী ওইটা আবার অন করতেছে।
নিজামুল হক নাসিম : হু।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কী ব্যাপার? এই লোকের নাম তো কখনও আসে নাই।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : নাকি এইটা আসলে একটা প্যাসি লোক হইয়া গেছে? ঠিক আছে তাহলে। আজকে তো সাকা চৌধুরীর উইটনেস হইছে তাহলে।
নিজামুল হক নাসিম : দুইজন হইছে, দুইজন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : দুইজন হইয়া গেছে! আজকে একদিনেই।
জিনামুল হক নাসিম : জেরা নেয় নাই। জেরা পরশু করবে। আজকে টিটো ভাইয়ের বার্থডে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা ওনারা কি কিছু করতেছে নাকি।
নিজামুল হক নাসিম : বাসায় দাওয়াত আছে যামুয়্যনে এখন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওকে ঠিক আছে যান। এটা খুব ভালো, এটা আমি দেখছি বাংলা নিউজে সকাল বেলাতেই বড় করে একটা রিপোর্ট করছে। ভেরি গুড। ঠিক আছে তাহলে।
নিজামুল হক নাসিম : থ্যাংক ইউ।
স্টেট, বললেন যে রায়টা তাড়াতাড়ি দেন...... বিচারপতি
কথোপকথনের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১২
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁলো...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কেমন আছেন, কেমন?
নিজামুল হক নাসিম : আছি, ভালোই। আপনি কেমন আছেন?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আছি-আছি, আচ্ছা আপনারে স্ট্রাকচারটা পাঠাইতে পারলাম না। আজকে আমি সারাদিনেই বাইরে ছিলাম।
নিজামুল হক নাসিম : দেরি হইল আসতে, কাজে ছিলেন মনে হয়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ..।
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি এখনই ঢুকছি আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : আমাদের তো স্টেট মিনিস্টার যাচ্ছে হজে.., স্টেট ... স্টেট।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ...।
নিজামুল হক নাসিম : আজকে আসছিল আমার লগে দেখা করতে সন্ধ্যায়। উনি বললেন যে, রায়টা তাড়াতাড়ি দেবেন। আমি কইলাম, কেমনে দিমু। রায় তো আর এক পৃষ্ঠার না...। আপনার ডিকটেট পাইলে পরে সময় পাইলে, এক মাস ধইরা রেডি করতাম। কয় কি যে, তাড়াতাড়ি চেষ্টা কইরেন। তা-ই কইল-টইল আর কি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনি বলছেন যে, এইটা কি হবে না? হবে বা কি হচ্ছে। মানে এই রায় সংক্রান্ত। এ ব্যাপারে...।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, এইডা বলছি। প্রবলেমটা কী হেইডা বলছি। হ্যাঁ...। গোলাম আযমডার দশ সাক্ষী। হের পর দুই ট্রাইব্যুনালের ম্যাটার-মুটার। কয় যে, আমি আইস্যা আপনাগো দুই ট্রাইব্যুনাল একত্রে স্যারের লগে এক রুমে বসাইয়া আলাপ করাব। গোলাম আযম আপনারা আগে দিবেন, তার পরে তারা দেবে-ওয়েট। আমি হাসলাম। বললাম, ঠিক আছে, ইউ ক্যান ট্রাই। আমি বললাম, দেখেন জাজরা কিন্তু অন্যের কথা শুনে না। এইটা জাজদের একটা ক্যারেক্টার এইডা। শুইনা হাসে, যাই হউক।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ও আচ্ছা, ফিরবেন কবে উনি?
নিজামুল হক নাসিম : তা তো জানি না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ইউজিয়ালি তা বোধ হয়, এক-দুই সপ্তাহ পরে ফেরে...।
নিজামুল হক নাসিম : ঈদ তো ধরেন আগামী মাসের ফাস্ট উইক।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, ইউজিয়ালি হজের এই টোটাল প্রসেসটা কত দিনের? দুই সপ্তাহের নাকি না, আরো বেশি সময়ের?
নিজামুল হক নাসিম : হজ তো.. এমনে তো মানে আপনার দুই সপ্তাহের মতো লাগে। কিন্তু এহানে অনেকের তো থাকতে হয় একমাস-চল্লিশ দিন। ওই যে মদিনার বেশি নামাজ পড়ে। আবার মক্কায় বেশিই সময় থাকে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না মানে... ওইখানে কি এইটার কোনো কম্পালসারি এলিমেন্ট আছে? কি না, নাকি না...।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, কম্পালসরি এলিমেন্ট তো পাঁচ-সাত দিনের ব্যাপার।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, তারপরে বাকি যেগুলো, সেগুলো হচ্ছে অতিরিক্ত। যে যা করতে চায় আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হু-হু, কারন মদিনা তো হজের পার্ট না, মদিনা। কিন্তু মদিনা তো সবাই যাইবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, মদিনা হজের পার্ট না?
নিজামুল হক নাসিম : না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা! কিন্তু সবাই তো মদিনায় যাইতে চায়, মদিনা যাওয়া তো অলমোস্ট...।
নিজামুল হক নাসিম : স্বাভাবিক, স্বাভাবিক।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মদিনা যাওয়া তাইলে কম্পালসারি না!
নিজামুল হক নাসিম : কম্পালসারির মতো হইয়া গেছে, কাস্টমস আর কি। কিন্তু হজের নিয়মের মধ্যে কোনো কম্পালসারি না। হজের নিয়ম হইল, আরাফাতের ময়দানে থাকা, মুজদালিফায় যাওয়া, আর ইট মারা— ব্যস, আর কোরবানি দেওয়া, শেষ। তিন-চারদিন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঠিক আছে। অ্যাটলিস্ট মেসেজ তো তাইলে একটা গেছে। আজকে আমাদের তরফ থাইকাও আইনমন্ত্রীর কাছে, আজকে সকালে গেছে মেসেজটা বইলা আমি আশা করতেছি। এখনও কোনো কনফারমেশন পাইনি। বাট দ্যাট ইজ মাই এক্সপেক্টেশন
নিজামুল হক নাসিম : কী মেসেজ গেছে, কী মেসেজ?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওই একই। আপনি লাস্টের মেসেজ যেটা বলছেন আর কি। আমি আসব, এইটা জানানো হইছে। আর হচ্ছে যে, এই আর কি যে, আমাদের প্রেফারেন্সটা হচ্ছে বা আমরা চিন্তা করতেছি, আমাদের সাজেশনটা হচ্ছে যে, এইটা যেন, এই সিদ্ধান্তটা কোন কেসটা আগে যাবে। এইটা যেন একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের ভিত্তিতে করা হয়। এবং যেটা সবচেয়ে বেশি ইম্পোর্টেন্ট কেস, যার দায় দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি, যে লোক সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেই কেসটাকেই আগে ইয়ে করতে হবে। করা উচিত আমরা মনে করি। তারপর তো আমরা রেডি আছি...।
নিজামুল হক নাসিম : উনি একটা কথা বলছেন। একটা কথা অ্যাগ্রি করছে। যে, গোলাম আযম... দ্যাট ইজ সাঈদী, আর সাকা, এয়া তো ভিন্ন কেস। আর গোলাম আযমডা করলে তারপরে নিজামী, মুজাহিদ, কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান— এ সবেই করা যাইতে পরে। এইডা ফলো কইরা। প্রিন্সিপাল ঠিক কইরা দিয়া। এটা উনি এগ্রি করছেন। তার চেয়ে গোলাম আযম যদি একটু লেইটেও হয়, কিন্তু সাঈদী আর সাকা আগে হইলেও খুব বেশি অসুবিধা হবে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, বাট সেইটা হইলেও তো আসলে তারপর হচ্ছে যে, ট্রাইব্যুনাল-ওয়ানকেই আসলে জাজমেন্টটা দিতে হবে— প্রথম জাজমেন্টটা।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ এইটা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা এদিক হউক, আর এই প্রিন্সিপলে আসলেও তো আমরা যদি ধরে নেই, এটা হলেও তো, আপনাদেরকেই দিতে হবে প্রথমে। অর্থাত্ ট্রাইব্যুনাল-টু কোনো অবস্থাতেই জাজমেন্ট দিতে পারবে না আগে। যদি এই প্রিন্সিপাল আমরা ফলো করি। আজকে কি আপনি ওথ টেইকিংয়ে গেছিলেন নাকি?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, যাবো না কেন?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, মানে নিউজে দেখলাম আর কি যে, সব জাজেসরা ছিল, তার মানে আপনিও নিশ্চয়ই গেছিলেন।
নিজামুল হক নাসিম : হুঁ, এইটা হলো আমাদের ট্র্যাডিশন। আর আজকের দুই জন তো আমারই লোক। রুহুল কুদ্দুস বাবু (যিনি খুনের মামলায় প্রধান আসামি ছিলেন বিচারপতি হওয়ার দুই দিন আগে পর্যন্ত) আর ফরিদ আহমেদ। ফরিদ আহমেদ আমিনুল হক সাহেবের জুনিয়র না...?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওই যে, ও আচ্ছা বুঝছি, ওই ফরিদ আহমদ... মানে কালো যে ছেলেটা।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, হ্যাঁ, কালো ছেলেটা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ বুঝছি, উনি কি ইয়ের সাথে বসেন? অ্যা... সামছুদ্দিন সাহেবের সাথে বসেন?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, এখন উনি বসেন, এই মুহূর্তে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, আজকে আপনাদের কোনো খবর দেখতেছি না, পত্রিকাতে।
নিজামুল হক নাসিম : আমাগো যা, আজকে তো সারাদিন চলছেই। সাঈদীর ছেলে কাগজ জমা দেছে তাদের। তাদের ডকুমেন্ট জমা দেছে, এভিডেন্স। সারাদিন সেডাই চলছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা কি তার চিপ হইতেছে... নাকি ক্রস হইতেছে?
নিজামুল হক নাসিম : চিপ-চিপ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : (একটু কাশি) এইটা আবার আরেকটা ব্যাড কনসার্ন।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন :হাইকোর্টের ছুটি... সুপ্রিমকোর্টের ছুটি তো দেখলাম, ১৯ তারিখ থাইকা ছুটি শুরু হচ্ছে।
নিজামুল হক নাসিম : হু..ম। ওই তো ১৯ তারিখ শুরু।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, নেক্সট টার্মে দেখলাম, আনোয়ার ভাইয়ের ইয়ে আছে, মানে কনফারমেশন আছে। ডিসেম্বরে।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, ডিসেম্বরে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ভেরি গুড। একটা ইন্টারেস্টিং নিউজ পাঠাইলাম। একটা নিউজ— আরশাফুজামান খান তো সৌদি আরবে চলে গেছে মনে হচ্ছে।
নিজামুল হক নাসিম : কী... বাঁচার জন্য?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সে ওয়ান অব দ্য, মানে... তার একটা ব্যবস্থা আছে। তার তো অনেক রকম ব্যবস্থা আছে, আরশাফুজ্জামান খানের। তার একটা ব্যবসা হলো যে, সে এই.. হাজী নিয়ে যায় সৌদিতে। প্রতি বছরে হজের সময়। সে অরগানাইজ করে লোক নিয়ে যায়।
নিজামুল হক নাসিম : ভালোই ধান্দামি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমেরিকান আর কি। মানে আমেরিকান বাংলাদেশী, প্রবাবলি বাংলাদেশী... আমি গেস করতেছি। অন্যরাও হবে আর কি, সে...। তার মানে সে যতটুকু জানতে পারছি, সে হচ্ছে এই মুহূর্তে মোস্ট লাইকলি ইয়েতে আছে। এবং তার সম্পর্কে এমেরিকান গভর্নমেন্টের অলরেডি কিছু ইন্টারেস্ট ছিল আর কি। যে, এর আগে যে বিভিন্ন রকম অ্যাকটিভিজমের কারণে। অ্যা... কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণ, মানে এমেরিকাতে তো আসলে যারা একটু, যারা এই ধরনের লোকদের তাদের দিকে তো সরকার এমনিও নজর রাখে। তার উপরে নজরদারি আছে, তার উপরে ইন্টারেস্টও আছে, বহু বছর ধরে তো তার সম্পর্কে লেখালেখি হইছে।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সুতরাং, এরা আছে। ওইখানে আছেন আরেকজন ভদ্রলোক, জামান হাসান। তো একটা আর্টিক্যাল লেখার করণে সে আবার ল’ইয়ারের নোটিশও পাঠাইছিল। এটা অনেক আগের কথা। কয়েক বছর আগে কথা। লিগ্যাল নোটিশ পাঠাইছিল। তখন আমি বলছি, ঠিক আছে। আমরা ঠিক করছি যে, লিগ্যাল নোটিশটা পাঠাক, সে ঠিক আছে। সে ইয়ে করুক। আমরা উত্তর দিছি ওইটাতে যে, ঠিক আছে তুমি মামলা কর আর কি। তখন তার বিরুদ্ধে যে, যদি আমাদের ইরিজনেবল ইয়ে থাকে আর কি, ইনফরমেশন থাকে। তাহলে এইটাকে এটা কনটেম্পট বা ডিফামেশন হওয়ার সম্ভবনা নাই আর কি। এবং কেউ তাকে একিউজ করেন নাই। সব সময় এটাকে— তাকে বলা হইছে যে, সে এটার দায়ী বলে মনে করা হয়। সো ওইটা যখন তাকে চ্যালেঞ্জ করা হইছিল, তখন সে আর এইটা পারসু করে নাই আর কি। সো... এখন সে, এখন এমেরিকানরা আসলে রিয়েলি ওই সব, ওই সমস্ত কনটেম্লট ইয়ে করা হইছে আর কি। মানে রিএস্টাবলিশ করা হইছে খুব দ্রুত ভিত্তিতে।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তারেকরে (প্রসিকিউশনের একজন সদস্য) জানানো হইছে কিছুটুক। কারণ তাকে ওই কনটাক্ট দেওয়া হইছে আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সো, এখন অ্যাটলিস্ট আরশাফুজামান খান নিয়া আমাদের, মানে আমার চিন্তা হচ্ছে তিনটা পর্যায় আর কি। একটা হচ্ছে যে, বাংলাদেশে যেটা হওয়ার যে, যেটা হওয়ার সেটা যেন খুবই হাইকোয়ালিটি একটা (কাশি) ফরমাল চার্জ হয়। এবং চার্জটাকে সুন্দর করা যেটা কাজে লাগাতে পারে। সলিড একটা কিছু। বাট আমি জানি না এখন ইনভেস্টিগেশন কী করেছে বা কী করে নাই বা কী অবস্থায় আছে আর কি? সেকেন্ড হচ্ছে অ্যামেরিকা থেকে সম্ভাবনা আছে তাকে ফিরত নিয়া আসা। কারণ সে এমেরিকার নাগরিক। ইভেন এমেরিকান জুরিসডিকশনে কোন ডেথ প্যানালটি নিয়ে, কোনো প্রবলেম নাই আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সো... যেমন এই যে, মহিউদ্দিনকে, বঙ্গবন্ধুর কিলার মহিউদ্দিনকে যেরকম ইয়ে দিল এমেরিকানরা। ওদের ওই ধরনের প্রবলেমটা নেই। আর নাইন-ইলেভেনের পরই ইসলামিস্টদের উপরে আমেরিকানদের নজরদারি এবং তাদের ব্যাপারে তাদের কোনো খুব একটা বেশি কোনো, টান-টান নাই আর কি। সো... যেটা হতে পারে, সেটা হলো যে, সে সৌদি আরবে... নাও আসতে পারে। যেহেতু ব্যপারটা প্রকাশ হয়ে গেছে। এটা আমরা ধারণা করতেছি। না থাকলেও সে যেহেতু অ্যামেরিকান, সে যেখানেই থাকুক অ্যামেরিকান ‘ল’ এবং এমেরিকান ‘জুরিসডিকশন’ তার উপরে অ্যাপস্নাই করা যাবে আর কি। সেকেন্ড অপশঅনটা হচ্ছে বাংলাদেশে খুবই ভালো ভাবে করা। সেকেন্ড অপশনটা হচ্ছে যে, অ্যামেরকান গভর্নমেন্টকে এবং এমেরিকান পার্টিকুলারলি জাস্টিজ ডিপার্টমেন্টকে, এমেরিকাতে তো মানে আলাদা আলাদা ডিপার্টমেন্ট আর কি। জাস্টিজ ডিপার্টমেন্টগুলোকে যারা এই ধরনের ইনভেস্টিগেশন-স্পেশাল অফিস অব স্পেশাল ইনভেস্টিগেটর-ইনভেস্টিগেশন ও এফআই বলে। তাদের আলাদা অফিস আছে। যাদের কাজই হচ্ছে, ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার ক্রিমিনালদেরকে খুঁইজা বের করা, তদন্ত করা, ডিল করা, আসলে ইফেক্টিভলি। সেই অফিসের লোকেরা, এটা অলরেডি তারা জড়িত এটা সঙ্গে। তারা কিন্তু একটা চিঠি দিছিল, ওম... ওম... আমাদের এই সরকারের সময়েই আর কি। এবং ছোট হোম মিনিস্টার যে টুকু মিয়ার অফিসে গেছিল সেই চিঠি। এবং সেই চিঠি তারা মিডিয়াতে দিয়ে দিয়েছে। ফলে দে ওয়্যার ভেরি ভেরি আন হ্যাপি সরকারের সাথে।
তারা চাচ্ছিল যে, তাদের যেটা পস্ন্যান ছিল, আরশাফুজামান খানের বিরুদ্ধে যেসব সাক্ষী, যে পাঁচ-সাতজন সাক্ষী বোধহয় তখন পর্যন্ত বেঁচে ছিল বা পাওয়া যাচ্ছিল। তাদের প্রস্তাব ছিল ওই চিঠিতে যে, ওই সাক্ষীদেরকে সাম হাউ কোনো অবস্থাতে যদি ইন্ডিয়াতে, ইভেন কলকাতাতে নিয়ে এসেও যদি তারা ইন্টারভিউ নিতে পারে আর কি।
এবং তারা যদি স্যাটিসফাইড থাকে, তাহলে তখন তারা আরশাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে প্রসিড করতে পারে। কিন্তু এই ধরনের চিঠিটা লিক হয় যায় আর কি, মিডিয়াতে। ফলে, তাদের এই ধরনের চিন্তা-ভাবনাগুলা সব, মানে বন্ধ হয়া গেছে। এখন আবার নতুন কইরা শুরু করা হইছে। হোপিং যে, একটা ভালো ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট হইছে। অথবা একটা চার্জ হবে আর কি। চার্জ হয়া গেলে তা জুডিশিয়াল ডকুমেন্ট হয়া গেল।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, তা তো বটেই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সো... ওই জন্য চার্জটাকে কোয়ালিটি করতে হবে। আর হলো যে...
নিজামুল হক নাসিম : চার্জ কোয়ালিটি করাতে হলে আমি তো আমার... শুনতে হয়তো খারাপ শুনাইবে। যে, দুই নাম্বর ট্রাইব্যুনালে গেলে চার্জ কোয়ালিটি হবে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এখন এইটাকে কি পিছাইছে? আমি আজকে পর্যন্ত কোনো খবর রাখি নাই আর কি। মানে এটা এখনও পর্যন্ত ডিসাইড করে নাই তারা। তার মানে এখানে এইডা নিয়ে টানাটানি চলতেছে মনে হচ্ছে আমার। তার এইটা, এইটা তারেক ছাড়া অন্য কোনো প্রসিকিউটর পারবে না। দুই নম্বরে, এইডা আমি এখন বলতে পারতেছি না। এইটা চার্জ কোয়ালিটি করতে হবে। ফরমাল চার্জটা কোয়ালিটি করতে হবে। কারণ আমরা মইনুদ্দিনকে কিন্তু ইউকে থাইকা আনাতে পারব না। আনলেস অ্যান্ড আনটিল সরকার রিটেন গ্যারান্টি দেয় ব্রিটিশ গভার্নমেন্টকে যে, প্রসিকিউশন তার ডেথ পেনালটি সিক করবে না। এবং তাকে ডেথ পেনালটি ইম্পোজ করা হবে না। অর্থাত্ প্রসিকিউশনও চাইবে না। দেয়ার ফর ইম্পোজ করার প্রশ্ন নাই আর কি। মানে এই ধরনের রিটেন গ্যারান্টি দিতে হবে।
নিজামুল হক নাসিম : আর যদি জাজমেন্ট, মানে লাইফ। জাজমেন্টে লাইফ ইনপ্রিজনমেন্ট দেয়? ৫০ বছর, ৬০ বছর, ১০০ বছর?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : লাইফ ইনপ্রিজনমেন্টে অসুবিধা নাই। কিন্তু ওরা অ্যাজ এ পলিসি অ্যাজ এ পাবলিক পলিসি। ব্রিটিশ পাবলিক পলিসি হচ্ছে, ওরা যে দেশে ডেথ পেনালটি ‘ল’তে আছে, ইম্পোজ করা হয়, প্র্যাকটিস করা হয়, এবং আছে যে অভিযোগের চার্জ করা হচ্ছে বা যেসব অপরাধের কথা বলা আছে, সে অপরাধে ডেথ পেনালটি হতে পারে। এই ধরনের সম্ভাবনা থাকলেও তারা তাকে দিবে না।
নিজামুল হক নাসিম : না আমি বলছি যে তার অ্যাবসেনশিয়া ট্রায়াল হয়ে যাক। জাজমেন্ট হয়ে যাক। তখন দেহা গেল যে, ১০০ বছর জেল হইছে। তহন কি হইবে? দেবে না?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তখন কোনো অসুবিধাই নাই।
নিজামুল হক নাসিম : তহন (তখন) দেবে না?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তখন তারা, তখন তারা তাকে পাঠাইতে... তারা বলবে যে প্রসেসটা ফেয়ার হইছে কি না, আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হেয়া তো ভিন্ন কথা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ফেয়ার ট্রায়ালটা হইছে কি না?
নিজামুল হক নাসিম : হইলে ছাড়বে না?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ফেয়ার ট্রায়াল হইলে... ফেয়ার ট্রায়ালটা হইলে ছাড়বে। অ্যাবসেনশিয়া হইলেই তারা ধরে নেয়, মানে ফেয়ার ট্রায়াল হয় না আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : ওহ!
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা ইন্টারন্যাশনাল প্রাক্টিসটা হচ্ছে যে, যখন আপনি ইন-অ্যাবসেন্সে বিচার হলে, এটা ফেয়ার ট্রায়াল হচ্ছে না। কারণ আপনি তাকে, মানে সে নিজেকে তখন ডিফেন্ড করতে পারতেছে না। এইখানে সমস্যা আছে। কাজেই মইনুদ্দিন নিয়ে আমি কিন্তু খুব একটা আশাবাদী না। মানে..., মইনুদ্দিনকে কিছু করতে হইলে এই এভিডেন্স দিয়া যদি ব্রিটিশ গভার্নমেন্ট রিফিউজ করে পাঠাইতে, তাহলে তখন একটা ক্যাম্পেইন করা যাইতে পারে ইউকেতে। এবং তাদেরকে চাপ দেওয়া যাইতে পারে যে, তোমরা তার বিচার করবা তা হলে। এবং এইডা তারা করতে পারে। ইউকে আইনের জুরিসডিকশন আছে ইউনিভার্সেল জুুরিকডিকশন আছে। তার নাগরিককে সে যদি অপরাধ কইরা থাকে জীবনের কোনো এক সময়, তাহলে এটা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম। তাহলে তারা বিচার করতে পারে। কিন্তু সেইটা আমি জানি না যে, আমাদের গভার্নমেন্ট বা আমাদের ওখানে কেউই নাই আর কি। সো, ওইটা কতটুকু ইফেক্টিভ হবে, সেটা না। আর মইনুদ্দিন অনেক পাওয়ারফুল। সে ওইখানে রয়েছে। এবং তার নেটওয়ার্ক অনেক, মাচ স্ট্রংগার দেন আরশাফুজ্জামান খান। আরশাফুজ্জামান খান একটু বেকায়দায় আছে আর কি, আমেরিকাতে। কাজেই আরশাফুজ্জামান খানের যেডা, আসলে রিয়েলি মানে কঠিন ক্রিমিনাল। সে আসলে রিয়েল ক্রিমিনাল একেবারে।
নিজামুল হক নাসিম : মইনুদ্দিন তো ভীষণ ক্রকেড, মইনুদ্দিনকে আমি চিনি। মইনুদ্দিনকে আমি ছাত্রজীবন থেইকাই চিনি। সে তো ভীষণ এবং ক্রকেড টাইপের লোক। বাজে লোক একবারে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তো, এখন এইটার সম্ভবনাটা কম। কিন্তু আরশাফুজ্জামান খানকে, এমেরিকাতে যেহেতু লিগ্যাল সিচুয়েশন ভালো। মানে পলিটিক্যাল সিচুয়েশন ভালো। তো... ফলে ডুয়েবল টাইপের। এই জিনিসটার ব্যাপারে আমাদেরকে ইয়ে করতে হবে। শক্তভাবে ধরতে হবে আর কি। এবং এইটা এমনিই করা যাবে। মানে এইটা তাদের ওখানেও ইয়ে করা যাবে। তারা যদি, ওখানে যদি কোনো অবস্থাতে যদি না পাঠানো হয়ও আর কি— তারাও প্রসিকিউট করতে পারবে। এবং ফাইনালি যেটা করতে হবে, মানে তিন নম্বর যে কাজটা আছে হাতে, সেইটা হলো যে, ওইটা অটোমেটিক হয়ে যাবে। জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট যদি নিয়ে নেয়, তার আমেরিকান সিটিজেনশিপটা রিজেক্ট করা হয় আর কি। যদি এমেরিকান সিটিজেন কেউ হয়। সে যদি কোনো আন্তর্জাতিক অপরাধের সাথে জড়িত হয়, বা জড়িত ছিল, এই ধরনের কোনো তথ্য যদি এই... এই সরকারের হাতে আসে, তা হলে সরকার তাকে ওই সিটিজেনশিপটা অ্যা.. করতে পারে। রিভোক করে দিতে পারে। সো আমরা চাইব, সেইটাও করতে আর কি। সো তিন নম্বর কাজ হইল সেইটা। ওইখানে এটা করা যাবে। এতদিন পর্যন্ত করা গেছিল যদি সরকার। আমরা তো আগে প্রথম শেখ হাসিনার সরকারের সময় তো চাইছি। সেই জিনিসটাই তো আমারা করছি। সেই জিনিসটাই তো আমরা চাইছিলাম। শেখ হাসিনা তো তখন বইলা দিল যে পরের সরকারের সময় আমলে আমরা বিচার করব। এখন করব না। এখন তুমি বাদ দেও। সো, এইটা তো হইল না আর কি। কারণ আমরা ওই তখন এই যে, এই যে, আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে প্রফেসার গিয়াসউদ্দিনের বোন যখন অভিযোগ করল আর কি থানাতে, রমনা থানাতে তো সেই কেসটার ইয়ে চাচ্ছিলাম আর কি। এভিডেন্স চাচ্ছিলাম আর কি। কিন্তু এইডা তো দিল না আর কি। এবং এইডা তো তখন কিছুই হয় নাই আর কি। ঘুমিয়ে পরে আছিল তখন থেকে। সো, এখন হচ্ছে অ্যা... অ্যা... এই কেসটাতে আমাদের সাকসেসের সম্ভাবনা অনেক বেশি আছে। এবং এইটা হবে। তাকে হয় এইখানে হাজির করা যাবে। ইভেনচুয়েলি ওর, যদি কোনো অবস্থাতে হাজির করা না-ও যায়, তার অ্যাবসেনসে অ্যাকশন নেওয়া যাবে। বাট অ্যাজ মইনুদ্দিনের ক্ষেত্রে আইএম নট ভেরি সিওর। সেই জন্য দুইটাকে উরা যেইটা ইনভেস্টিগেশন থেকে বলা হয়েছে, যে, এই দুইডাকে একসাথে করা। একটা সিংগেল কেস করতে দুইজনের বিরুদ্ধে। এটা জয়েন্ট করবে।
নিজামুল হক নাসিম : এডা মনে হয় হবে না। এডা তারা ঠিক করবে, মনে হয় হবে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা আমি, এইটা আমার, এইটা আমি মনে করি যে, ঠিক হবে না আর কি। আর অ্যা...। আর এমনেই যদি বিশেষ কইর্যা ভাগাভাগি কইরা দিতে হয় ট্রাইব্যুনালকে। তাহলে তো আরো ঠিক হবে না। আপনারা কেন যে, দুইজনকে একসাথে একটা সিংগেল ইয়েতে চিঠি লিখেছে। আলাদা ভাবে না কি। এটা আমাকে জানানো হইছে। যে, চিফ প্রসিকিউটারকে তারা জানাইছে যে, এডা একটা, একটা কেস করবে। সো এইটা, এইটা হওয়া উচিত না আর কি। সো, তারপরও যদি দেখি না আসলে অ্যা..র ভেতরে কী আছে। এইটা তো কাজেই ওইটা নিয়ে একটু কাজ হচ্ছে। এবং এইটা আগে থাইকা আমরা কিছু কনটাক্টগুলা কইরা রাখা হইতেছে। সো, দ্যাট যেন সে এইটা ওই লোকের একটু বিপদ আছে। যেহেতু গভার্নমেন্ট এবং লিগ্যাল সিচুয়েশনটা একটু ডিফারেন্ট। আর ইউকেতে প্রসিকিউটিব অথোরিটি কিন্তু ইন্ডিপেডেন্ট একেবারে। আমেরিকাতে প্রসিকিউটিভ অথরিটি এত ইন্ডিপেন্ডেন্ট না। আর ওরা খুব অ্যাগ্রেসিভ এমেরিকানরা। সেইটা ডিপার্টমেন্ট না। অবশ্য কিন্তু জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট না। সো এটার এইটা-এইটা হলো মানে আজেকের, কালকে থেকে আজকের, মানে আজকে রাতের নতুন খবর এটা। ইট ইজ গোইং টু হ্যাপেন। এখন আমরা জানি না। সে আজকে দেখি যে, বোঝা যাবে যে, উনারা আজকে এটা ঠিক করার কথা। যে, কাকে দিতেছে। এইটা নিয়ে অনেক ইয়ে হইতেছে। মানে প্রসিকিউটারদের ভিতরেও তো একটু ইন্টারেস্ট আছে।
নিজামুল হক নাসিম : ও...আলতাফ চাইছে, এডা চাইছে। কি জানি আরেকটার নাম, হের পার্টনার? রহমান হাওলাদার চাইছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সিমন চাইছে। তারা তখন ইংল্যান্ডে যাওয়ার কইব আর কি, এইডার জন্য। আমি আমেরিকা যাই আর ইংল্যান্ড যাই আর কি। আর এইটাতে অনেক টাকা-পয়সার ব্যাপার আছে। এইটা ওরা সবাই জানে। আর এটার দু নম্বর দিক তো, মানে আমাদের ইয়ের বাইরেই চলে যাবে।
নিজামুল হক নাসিম : আ...র খবর-টবর কী?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না এটাই আজকের মেইন খবর ছিল।
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তো ঠিক আছে তা হলে, রেস্ট নেন। ওকে।
নিজামুল হক নাসিম : ঠিক আছে। আল্লাহ ভরসা।
আমি তো কোনো এডজর্নমেন্ট দেই না : বিচারপতি
আমাদেরও ইয়ে ছিল যে, গোলামকেই প্রায়োরিটি দিতে হবে, সাইদির কেসটা খুব লাইট ওয়েট কেস
আসলে, ওই লোকের (বিচারক শাহিনুর) টার্গেটই হলো যে, সে সবার চেয়ে বেশি বুঝে : আহমদ জিয়াউদ্দিন
কথোপকথনের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর-২০১২
নিজামুল হক নাসিম : জি! কেমন আছেন?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আছি, আপনি কেমন আছেন?
নিজামুল হক নাসিম : জি, আছি। কালকে একটা বিয়েয় (বিয়েতে) গিয়েছিলাম, তাই থাকতে পারিনি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা।
নিজামুল হক নাসিম : আপনার শরীর কেমন?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আছে, আমার শরীর আছে।
নিজামুল হক নাসিম : আপনার শরীর কেমন?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আছে। আমার শরীর আছে। এখন আমি এ রিপোর্টগুলো পাইনি আর কি। ল্যাবের রিপোর্টগুলা আসে নাই। এগুলো বায়োপসি করেছে তো, এগুলো এলে তারপর, আপনার, বোঝা যাবে যে কী হয়েছে। বাট, আমি ধরে নিতেছি যে, বেশি সমস্যা হওয়া উচিত না আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : আমারও ডাক্তার দেখাতে হইবে। আমারও পা দুইটা ফুলছে। দুই পা-ই, কালকে যাব আর কি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কি পায়ের গোড়ালি, না কি অন্য কোথাও?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ উপরে উপরে গোড়ালি না উপরে একটু ফুলা দেখতাছি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কি হাঁটুর নিচে না...?
নিজামুল হক নাসিম : হাঁটুর নিচে, নিচে; পায়ের পাতার উপরের পার্টটা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওরে আল্লাহ!
নিজামুল হক নাসিম : কি খুব খারাপ জিনিস?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না না না... এমনি, এমনি, খারাপ জিনিস না। এটা হতে পারে যে, কোথাও ব্যথা-ট্যাথা তো লাগে নাই, তাই না?
নিজামুল হক নাসিম : না, ব্যথা লাগে নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : জুতা-টুতা পরে তো কোনো ইয়ে হয়নি আর কি?
নিজামুল হক নাসিম : না, না, না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তা হলে এমন কিছু না। ডাক্তার দেখানো যায়।
নিজামুল হক নাসিম : হুঁ, কাল বিকালেই যাব, ডাক্তার দেখাব, আর কি। তারপর দেখা যাক, (সুখের মতো করে) ও আল্লাহ...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনাদের বিল্ডিংয়ে মনে হয় মিলাদ-টিলাদ ছিল, ইয়ে ছিল আর কি... ইয়ে আমাকে বলল যে...
নিজামুল হক নাসিম : ওই বিল্ডিংয়ে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ?
নিজামুল হক নাসিম : ওই কালকে শাহিনের আবক্ষার... মারা গেছে তো, মিলাদ পড়ছি আর কি। আমাদের শাহিন, ওবাইদুল হাসান শাহিন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, সেটাই শুনলাম আর কি যে, (নাকে টান দিয়ে) ঠাণ্ডা লাগছে। তো বলেন দেখি, আর আমি তো মাঝখানে কথা হলো, আমার এদের সাথে... অনেকগুলো, বেশ কিছু; বিভিন্ন ব্যাপারে কথা হয়েছে। আপনার সাথে কারও কথা হয়েছে কি না, কে জানে।
নিজামুল হক নাসিম : না, আমার সঙ্গে হয় নাই কারও কোনো কথা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কারণ আমরা সেদিন, ওই একটু যে কথা বললাম। পরে আমি জানতে চাইলাম আসলে কী অবস্থা, আর কি। সেকন্ড ট্রাইব্যুনালের এই পার্টিকুলার। এখন এটা তো দেখাচ্ছে যে, কাদের মোল্লা এবং কামারুজ্জামান— ওরা যেভাবে চার্জটা ফ্রেম করেছে এবং তারা যেভাবে একটা ইয়ে করেছে, তাতে তারা খুবই দ্রুত কেসটা এগিয়ে মানে শেষের দিকে নিয়ে যাচ্ছে মনে হচ্ছে আর কি।
এন- হ্যাঁ, করুক।... অসুবিধা কি? অ্যা..
আহমদ জিয়াউদ্দিন : অসুবিধা কিছুই না। আবার একটু অসুবিধা আছেও বলে মনে হচ্ছে আমার কাছে। কারণ তারা যদি প্রথম জাজমেন্ট দেওয়ার চেষ্টা করে আর কি। সেটা নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই ওরিড থাকব আর কি। যে, কারণ সেটা হচ্ছে, অ্যাটলিস্ট ওন সেটার হয়ে যাবে আর কি। যেটা হয়ে যাওয়া উচিত হবে না। আরও অন্যান্যভাবেও ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করবে আর কি— যেটা হওয়া উচিত না। আরও অন্যান্যভাবেও ক্রেডিট নেয়ার চেষ্টা করবে আর কি। এটাও উচিত হবে না। অঃ সড়ত্ব রসঢ়ড়ত্ঃধহঃষু আসলে যে আর কি। তারা যে প্রিন্সিপালগুলো সেট করবে আর কি, লিগ্যাল প্রিন্সিপালগুলা... সেটা নিয়ে আসলে তো উই ডন্ট নো। সেটা নিয়ে কিন্তু আমি আসলে... আমার এবং রায়হানের কথাও হয়েছে আমার সাথে কালকে। হুঁ, পরশু দিন, সরি, হুঁ। তাই একটু ইয়েতে আছি আর কি। এবং হিসাব-টিসাব করে দেখা গেল যে, আসলে কতদিন আছে, কোনটা কবে হইতে পারে, না পারে আর কি। এবং ওরা ছিল ওইখানে কালকে। ওই পরশু দিনের আলোচনাতে আমি ওদের সাথে, দুই-একজনের সাথে কথা বললাম। যারা ওই কেসে... ওইখানে প্রসিকিউশনে আছে। যেটা আর কি সাইফুল-টাইফুলরা;
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কী অবস্থা অ্যাকচুয়ালি তাদের? কথা-টথা তো হয় না? এবং তারাও বোধহয়, এটা নিয়ে একটু চিন্তায় আছে আর কি। কেইসগুলোকেও ছোট করে ফেলেছে। প্লাস হচ্ছে যে, এটাও রইছে, মানে এটা একটা ডিস্টিঙ্কট পসিবিলিটি- ডিস্টিঙ্কট না, তারা একটা মোর অর লেস কাইন্ড অব রোডম্যাপের মতো করছে। যে, আমরা যত তাড়াতাড়ি পারি এটা শেষ করব আর কি এবং এখানে তারা মানে আফটার লক্ষ্য তো আপনে ব্যক্তিগতভাবে আর কি। বাকিরা তো লক্ষ্য না আর কি। তখন দেখা যাবে কি যে, বলবে যে, আমরা বহু পরে শুরু করে বহু আগে শেষ করে দিলাম ইত্যাদি ইত্যাদি। আমরা কত কী জানি।
আর তার চাইতে বড় ড্যামেজিং যেটা হবে, সেটা হলো সেই দিক থেকে। তারা দেখছে, আর আমি দেখতেছি, আমরা দেখতেছি সেটাকে ড্যামেজে হিসাবে আর কি। এটা খুবই ইমপর্ট্যান্ট। এটা জাস্ট আপনাকে জানিয়ে রাখা যে, এই অ্যাসেসমেন্টটা হচ্ছে এবং এই জিনিসটা এইভাবে এগুচ্ছে আর কি। যে, তারা ৩টা কেস নিয়ে দ্রুত এগুচ্ছে কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান এবং আলীম। আর হচ্ছে এই দিক থেকে গোলামের ব্যাপারে। উনারা তো যেভাবে, সাক্ষী বোধহয় আরও কমিয়ে দিতেছে। মানে সুলতানা আপার পরে বোধহয় তারা আর কোনো সাক্ষী দিবে না।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ,
আহমদ জিয়াউদ্দিন : যদি না দেয়, তা হলে ওদের যদিও ওখানে বেশ কয়েকটা সিজার লিস্ট উউটনেস আছে। আমাকে জানানো হচ্ছে যে, সেটাকেও তারা ছোট করে দিতেছে। ফলে সিজার লিস্ট উইটনেসের আগে যেভাবে করা হইছে বা শুধু এই স্বাক্ষরগুলো এবং তারিখ, দিন-তারিখ ব্যাসিক জিনিসগুলো কনফার্ম করা ছাড়া এর চাইতে বেশি কিছু করানো হবে না। কাজেই এটা খুব দ্রুত আগাবে আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সেখানে প্রভাইডেড ওই জেরাটাকে যদি রেস্ট্রিক্ট করা যায় আর কি। সো, এটা আমাদের মনে হচ্ছে যেটা, সেটা হলো যে, যদি মানে, কোনো অবস্থাতেই গোলামটাকে যদি...। যেটা এর আগেও কথা হইছিল আমাদের, যদি গোলামটাকে (গোলাম আযম) যদি স্পিডআপ করা যায় আর কি। এবং এটাকে যদি প্রথম কেস হিসেবে শেষ করা যায়। তাহলে সবদিক থেকে পলিটিক্যালি ও সিগনিফিকেন্ট, লিগ্যালি ও ভেরি সিগনিফিকেন্ট। কারণ তার মতো সিগনিফিকেন্ট কেস নাই আসলে। কারণ লিগ্যাল কন্সট্রাকশনের উপরেই হোল কেসটা হবে, এবং মানে ওদারওয়াইজ ন্যাশনালি ও... সবদিক থেকেই খুবই ইমপর্টেন্ট আর কি। এটা নিয়ে কথা হইছে। তো উনারা আমাদেরকে কথার আলোচনার সময় আমরা জানব। মানে অনেকগুলা ছিল আর কি। মানে ফার্স্টটাইম মনে হয় সেদিন— সেদনিই এতগুলা প্রসিকিউটর এই পক্ষের প্রসিকিউটর ছিল এক সাথে এই স্কাইফের মিটিংয়ে, সেদিন। মালুম ভাইও ছিলেন, তারপর সিপন ভাইও ছিলেন, তারেক ছিলেন। যে, উনারা মনে করে যে ওনারা যদি অ্যাবাউট ২৫ দিনের মতো লাগবে তাদের এইটা শেষ করতে। তারা বোধহয় একটা ওয়ার্কআউটও করছে, এ রকম একটা। মানে ২৫ ওয়ার্কিং ডেজের ভিতরে এইটা শেষ করতে পারবে আর কি এবং দেখা যাচ্ছে কি যে, এই বছরটা শেষ হতে ৭৫ ওয়ার্কিং ডেজ বাকি আছে— কালকের দিনটাসহ। এই ব্যাপারটা— আমরাও যেটা, আমরাও এগ্রি করি যেটা হচ্ছে যে, সব লিগ্যাল দিক থেকে বিশেষ করে দুটো জিনিস আর কি। একটা হচ্ছে যে, ডেফিনেটলি ট্রাইব্যুনাল ওয়ানের হল জাজমেন্ট হতে হবে প্রথম। মানে এখানে কম্পিটিশনের কোনো ব্যাপার নাই। কিন্তু তারপরও একটা থাকতেছে। কারণ এখানে একটা ইনওরডিনেট একটা নেগেটিভ ক্যাম্পেইনের সুযোগ থেকে যাবে আর কি। এবং এটা করবেই এরা। এবং সেটার জন্য যেটা কিছু করা লাগে, এটাকে ফেসিলিটেট করে দিতে হবে আর কি। এবং আরও ইম্পোর্ট্যান্ট হচ্ছে যে, লিগ্যাল দিক থেকে প্রিন্সিপালগুলোকে সেট করার দিক থেকে এক নাম্বার ট্রাইব্যুনালে সেট যদি করা হয়। মানে সেটা হলো... তাহলে এটা সিগনিফিকেন্ট হবে। এবং এইটাই হওয়া উচিত আর কি— আসলে সবদিক থেকে বিবেচনা করে।
কারণ উনারা যে কী করবে, কী দেখিয়ে দেবে আইনে আর কি। সেই আইনে আবার তখন, কারণ আমরা তো বিচ্ছিন্নভাবে চিন্তা করলেও এবং একজনের সাথে আরেক জনের সম্পর্ক...। আর উনারা তো পাবলিকলি নাকি বলছেই যে, ওই ট্রাইব্যুনালে যে, এক নম্বর ট্রাইব্যুনালের কোনো-কোনোকিছুই আমাদের উপরে বাইন্ডিং না। এটাকি আপনি জানেন?
নিজামুল হক নাসিম : জানি, আরও বলা হয়েছে— তাদের বলা হইছে, গু খড়ত্ফ, ুড়ঁ ধত্ব ধ ংরমহধঃড়ত্ু ঃড় ঃযধঃ. তখন চুপ হইয়া গেছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হি: হি: হি: হি:, হ্যাঁ। তো এই যে এটিচুডটা আর কি এবং এটার আমি একটু ইয়ে আর কি। আর এটাতে আমরা একটু ওরিড আর কি। সবদিক থেকে ওরিড আর কি। এটা যেহেতু পসিবিলিটি আছে বলে মনে হচ্ছে। এবং যেহেতু প্রসিকিউটররা কো-অপারেট করবে বইল্যা বলতেছেন নিজেরাই যে, গোলামের ব্যাপারে। সেটা যদি হয় এবং তাহলে এটাকে একটু কীভাবে আগে, এরকমই তো আমাদেরও ইয়ে ছিল যে, গোলামকেই প্রায়োরিটি দিতে হবে। তো এটা যদি করানো যায় আর কি বা করা যায়, তাহলে কিন্তু সবদিক থেকে ভালো হবে। কারণ এখানে উনারা যদি আর সাক্ষী না দেয়, ইভেন তারা জেনারেল সফিউল্লাহকেও বাদ দিয়ে দিতেছে। ইজ দ্যাট ইজ দ্য কেস— কারণ, এখন উনারা একটা জিনিস বুঝছে। যা তাদেরকে আমরা সবসময় বলছিলাম যে, আপনারা এই বড়-সড় লোকদের নিয়ে আপনার লাভটা কী হচ্ছে। এবং একজন প্রসিকিউটর খুব খোলামেলা বলল আর কি। যে, না আমরা তাদেরকে কন্ট্রোল করতে পারি, না আমরা তাদের কাছ থেকে, না তারা আমাদের কথা শুনে, না তারা আমার কোন অভিযোগটা প্রমাণ করতেছে? এইটা তো বোঝা যাইতেছে না। এদেরকে আমরা নিয়ে আসছি। ইনক্লুডিং ইয়েকে নিয়ে কথা হইল। ইয়ের সাথে আর কি শাহরিয়ার কবিরকে নিয়েও কথা হইছে আর কি। এই একই কনটেক্সটে। যে আমার কোন চার্জটা প্রমাণ করা হচ্ছে? তখন তারা বলতেছে যে, মানে তারা এখন বুঝতে পেরেছে যে, এই ধরনের লোক নিয়ে আইসা আমার স্পেসিফিক চার্জ প্রমাণিত হচ্ছে না। কাজেই আমার দরকার হলো চার্জগুলো— যেগুলো করা হইছে সেই চার্জগুলো প্রমাণ করা। কাজেই এই বড় বড় উইটনেস নিয়া আমরা প্রচুর সময় নষ্ট করতেছি। এবং এটা তারা যেটা বলে, তারা নিজেদের কথাটা বলে বেশি। নিজেদের যেটা ইচ্ছা আছে, সেটা বেশি বলে। আদার দেন যে, যেটা প্রমাণ করা দরকার, সেগুলো এবং ফলে কস্টটা বেশি হইয়া যাইতেছে। এবং এই প্রবলেমগুলা হইয়া যাচ্ছে। এবং ওইটা এখন বুঝতেছে যে খুবই লিমিটেড ওয়েতে সাক্ষী দিতে হবে। এবং খুবই দ্রুত এটাকে এগুতে হবে। কারণ এটা বোধহয় উপর থেকে বিভিন্ন রকম আলোচনা করার পরই আর কি। তারা বোধহয় একটা বড় আলোচনা করছে নিজেদের ভিতরে। কইরা তারপর আমাদের সাথে আলোচনা করছে। যেটা আমরা অ্যাপ্রিসিয়েট করছি যে, ঠিক আছে। এবং আমরা ইয়েতে ছিলাম আর কি। স্পেসিফিক্যালি বলেন যে, আপনাদের টাইমিংটা কী? বলতেছেন যে, পারবেন। কিন্তু কত দিনের ভিতরে, কীভাবে আপনারা কোনটার ভিতরে কী করতে পারবেন? তাদের ক্যাটাগরিক্যাল ইয়ে হইতেছে যে, ২৫টা ওয়াকির্ং ডে দেন আমাদেরকে। আমরা এটা শেষ করতে পারব। সো দ্যাটস্্ ওয়ান থিং আর কি। এবং এড়ষধস অুধস পড়ঁষফ ংঃরষষ নব ধপপড়ত্ফরহম ঃড় ঃযবস ঃযব ভরত্ংঃ ঔঁফমবসবহঃ এবং যেটা আসলে হওয়া উচিত। এবং বিভিন্ন দিক থেকে সিগনিফিকেন্ট আর কি। সো ওই সেন্সে একটা রোডম্যাপের কথা মানে নিজেরাই চিন্তা। যারা হচ্ছে, আপনাদের বেশ কিছু ইয়েও দিতেছে আর কি। ওনারা যেভাবে বিভিন্ন রকম, যেমন মালুম ভাইয়ের বাসায় ইনডেক্স তৈরি করে দিতেছে আর কি। কাজেই ইজিয়ার হবে আপনাকে কোন ডকুমেন্টে কী আছে না আছে— এই টাইপের কাজও কইর্যা রাখতেছেন তারা আর কি। সো, এইটা। আর মূলত এইটা হইল সারমর্ম কথা আর কি আসলে। প্রচুর কথা হইছে, কিন্তু এইটা হচ্ছে মেইন কথা আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : আমার সঙ্গে কাল চিফ প্রসিকিউটরদের সঙ্গে একটু কথা হয়েছিল।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা।
নিজামুল হক নাসিম : আমি তারে বলছি যে দেখেন, আমি একটা কথা আমি আপনাকে বলি, সেটা হলো নাম্বার-ওয়ানের কেসে আমরা ফোন অ্যাডজরমেন্ট দেব না। আপনারা সাক্ষী আনতে পারলে সেটা কন্টিনিউ করব। এবং অন্য কোনো কেস দিয়ে আমরা এই কেসের প্রসিডিং বন্ধও করব না। এটি আগে থাকবে সব সময়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটাই চাচ্ছেন উনারা।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, যেহেতু সাঈদী প্রায় শেষ হয়েই আসছে— সাঈদীই আগে শেষ হবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সাঈদী... বোধহয় এখনও ২০টা উইটনেস বাকি আছে আপনার। বা ১৮টা উইটনেস বাকি আছে।
নিজামুল হক নাসিম : যা-ই হোক...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কারণ তারা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, বা যত পিটিশন তারা দিতেছে আর কি, তাতে আমার মনে হয় যে, এখানে যেহেতু ওনারা মাত্র আর একটা, মানে জেনারেল শফিউল্লাহকেও বাদ দিয়া দিতেছে। শুধু সুলতানা কামাল থাকছে। আর কোনো সাক্ষী তারা দিবে না। এবং তখন ক্লোজ কইরা দিতেছে। আর ওই সেলু মিয়ার একটা সাক্ষী দিবে। যেটা খুব সিগনিফিকেন্ট না আসলে।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, মানে সেটার যেহেতু অভিযোগ করা আছে, সেইটার একটা সাক্ষী দিবে আর কি। ওইটা তো মানে— আর আমরা জানি যে, গোলাম আযমের মামলা তো ওইটা। ওনারা আমাদেরকে রিকোয়েস্ট যেটা করেছে সেটা হচ্ছে— আমরা যেন ফাইনাল আরগুমেন্টগুলা এবং ও সিটিংগুলা চিন্তা করি। আমরা বলেছি যে, আপনারা আমাদেরকে সাক্ষী যতগুলা হয়েছে সেগুলার স্টেটমেন্টগুলো আমাদেরকে শেয়ার করেন। তাহলে আমরা বুঝতে পারব যে, যে কার আর্গুমেন্ট বা কার স্টেটমেন্ট থেকে কী নেয়া যাবে। কাজেই ওইটা মোটামুটি উনারা আমাদেরকে ক্লোজিংয়ের কথাই বলেছেন আর কি আসলে।
যে, লিগ্যাল দিকগুলো— এইগুলা আপনারা দ্যান। এগুলাও আমাদেরকে বলতেছেন এটা তো আপনারা করবেনই। তো এটা আপনারা তৈরি শুরু করে দেন আর কি। এটা নিয়েই আরেকটু ডিটেইলস কথা হবে হয়তোবা। ওনারা সিমস টু বি সুলতানা কামালের পরে। অর্থাত্ আর একটা নতুন সাক্ষীর পরে আর কোনো সাক্ষী দিবে না। এটা হচ্ছে তাদের পজিশন আপাতত।
কারণ বলতেছে, জেনারেল সাহেবের সাক্ষী দিয়ে জেনারেল সাহেবের শুধু বীরত্বগাথার কথাবার্তা ছাড়া আমার প্রমাণ হচ্ছে না। এখন এরা বুইঝ্যা গেছে যে, সব অ্যাটলিস্ট ওই গ্রুপটা যে, আমরা ধরে নিতেছি যে ওই গ্রুপেরও কিছু অংশ আর কি। মানে হাইপ্রোফাইল উইটনেস নিয়ে এসে তাদের কেসের কোনো ইয়ে হইতেছে না। মানে কেসের কোনো লাভ হইতেছে না। আর যেসব জেনারেল স্টেটমেন্ট যেগুলো দেয়, এগুলার জন্য তো আর আসলে ইয়ে লাগে না। মানে ঐতিহাসিক যে তথ্য গুলা আছে সেগুলো তো কারও মাধ্যমে বক্তব্য না দিলেও চলে। সেটা তো ট্রাইব্যুনাল নোটিশে নিতেই পারে। অথবা যদি তারা চ্যালেঞ্জ করে কেবলমাত্র তাহলেই নোটিশ নেয়ার প্রশ্ন আসে আর কি। সেটাকেই আবার নতুন করে আরেক জনের মুখের মাধ্যমে, মানে কাউকে দিয়ে বলানোটাও তো ঠিকমত হইতেছে না। মানে সেখানেও সমস্যা তৈরি হচ্ছে। মানে অথরিটি, অথেনটিসিটি নিয়ে কথা থাকছে। সো, কাজেই, এটা নিয়ে তারা চিন্তাই করছে সিরিয়াসলি, এবং এটা নিয়ে তারা সিদ্ধান্ত নিছে যে, না ওইটা বাদ দেয়া হবে। এটা দ্রুততার সাথে সুলতানা কামালের পরে আর সাক্ষী হচ্ছে না। কাজেই তারা তখন সিজারে চলে যাবে। সিজারে তারা তারা বোধহয় একটা সাক্ষীকে দিয়ে ১৮টা ডকুমেন্টস আছে, এগুলাকে করবে। সিঙ্গেল সোর্স থেকে। মানে প্রত্যেকটা জায়গা থেকে, মানে বাংলা একাডেমী, ন্যাশনাল লাইব্রেরি, মিনিস্টারি একটা একটা করে সিজারলিস্ট উইটনেস নিয়ে এসে ওইখানে যা যা ডকুমেন্টসগুলা হইছে, যার কাছ থেইক্যা নিছে, সে শুধু তারটা অ্যাটাচ্ড ছাড়া বিয়োন্ড দ্যাট আর কোনো কিছু করবে না। ইভেন উনারা এটাও চিন্তা করছে যে, ওনার একদিনের ভিতরে পারলে বুঝি... আর এগুলা সবই টেকনিক্যাল ম্যাটারের সাক্ষী আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, তা তো বটেই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ যে, নাম ঠিকানা এই আর কি— আমি এত তারিখে গেছি, এই স্বাক্ষর, এটার আমি এটা ছিলাম। ব্যস, মানে কনটেন্টের ভিতরে আর যাবেই না।
নিজামুল হক নাসিম : কনটেন্টের ভিতরে যাবার তো আর দরকারও নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ.. কি হইছে না হইছেম যাস্ট শুধু এই এনেক্স মানে— এই ডকুমেন্টসটা, এই লিস্টটা, এইটা আমার স্বাক্ষর, আমি এইটা রাখছি, এটা করছি, এই হলো আমার অবস্থান, আমি এদ্দিন ধরে চাকরি করতেছি। ওই সময় যেদিন ওনারা গেছেন সেদিন আমি কাজ করতেছিলাম— এই টাইপের আর কি— মানে খুবই রুটিন কথাবার্তা। এইটা বলে ওনারা চাইতেছেন যে, একদিনে পারলে বহুতগুলা যদি সময় ইয়া করে মানি সময়ের উপরে। মাঝখানে যদি সময়ের উপর কোনো ডিসটার্ব না হয় তাহলে দ্রুত শেষ হয়ে যাবে সিজারলিস্ট উইটনেসটা।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আর হলো আইও-টাও (তদন্ত কর্মকর্তা)। আইও-টাও প্রথম আইও থেকে যে জিনিসটা লেসন নিতেছে আর কি। যে, প্রথম আইও তো করছে যে সে তো নিজে ওস্তাদি কইর্যা, নিজের সমস্ত কাহিনী আবার সে সামারি করছে। এগুলোকে আবার ডিফেন্সের সাথে শেয়ার করছে। এবং অফিসিয়ালি সাবমিটেড হইছে। তো আর কি প্রশ্ন করার সুযোগ পাইছে। এই ধরনের এখানে কোনো কিছু আর হবে না। ফলে এটাকেও কত ইফিসিয়েন্টলি ইয়ে করা যায়, ক্রসটা করা হয় সেটা। এবং এখানে যদি, ট্রাইব্যুনাল যদি একটু স্ট্রিক্ট থাকে আর কি। ইন টার্মস্ অব ক্রসে যেহেতু তারা খুব বেশি কথা বলবে না। কারণ কথা বললেই দেখা যায় ক্রসের একটা প্রশ্ন আসে আর কি। কথা না বললেই তো আর ক্রস আসে না আসলে। সো সেটা তারা মোটমাট মানে আঁটঘাট বেঁধেই গোলামেরটার নামতে চাচ্ছে। প্রস্তুতিও নিতেছে এবং ওই রকম বিবেচনা থেকেই আর কি। যে এইটাকেই তারাও আসলে চাইতেছে যে প্রথম কেসে আনতে। হ্যাঁ... এটা বিভিন্নভাবে সিগনিফিকেন্টের থাইক্যাও প্রথম কেস। লিগ্যাল সিগনিফিকেন্ট থাইক্যাও প্রথম কেইস, পলিটিক্যাল সিগনিফিকেন্সের দিক থাইক্যাও এটা প্রথম কেস, মানে হিস্টোরিক্যাল সিগনিফিক্যান্সের দিক থাইক্যাও এটা প্রথম কেস, প্রোফাইলের দিন থাইক্যাও এটা প্রথম কেইস হওয়া উচিত। এবং এটা ফার্স্ট ট্রাইব্যুনালে রয়েছে আর কি। কাজেই সব দিক থাইক্যা আসলে এইটার গুরুত্বটা অনেক বেশি। কারণ অ্যাটবেস্ট ওনারা খুবই খোলামেলাই স্বীকার করতেছেন যে, মানে সাঈদীর কেস তো খুবই লাইট-ওয়েট একটা কেস আসলে। এটা এমনিই খুব টাইট কেস না। খুব শক্তিশালী একটা ব্যাপার-স্যাপার না। এবং সিগনিফিকেন্টেরও ব্যাপার না আর কি। লিগ্যাল অ্যান্ড পলিটিক্যাল সিগনিফিকেন্স না। তবে প্রসেসটা সিগনিফিক্যান্ট। এইটা নিয়েই ওনাদের কথা। এইটা নিয়েই ওনারা শুধু আমাদের কাছে রিকোয়েস্ট করেছে যে, আমরা যেন ওই পর্যায়ে যে, সাহায্য করার ব্যাপারে যেন রেডি হইয়া যাই আর কি। যা যা লিগ্যাল কিছু লাগে, সেই জিনিসগুলো যেন চিন্তা করতে থাকি। এবং এখন যেহেতু ফুলসুইংয়ে ট্রাইব্যুনাল আছে, মানে ট্রাইব্যুনালের ফুল ক্যাপাসিটি রয়েছে। সো এটা হলো চেষ্টা করতেছেন। সেকেন্ড ট্রাইব্যুনাল নিয়ে তাদের এখন রিয়েল চিন্তা আছে। রিয়েল বিপদে আছে তারা আর কী। এখন হাসান সাহেবকে, ওই ওবায়দুল হাসান সাহেবকে উনি যদি একটু ইয়ে করেন আর কি। কারণ আরেকটা যেটা ইম্পোর্ট্যান্ট নিউজ আছে, দেখা যাচ্ছে যে মিনিস্ট্রি থেকে— ল’ মিনিস্ট্রি থেকে। সেটা আপনি জানেন কি না জানি না। হয়তোবা জানেন। ল’ মিনিস্ট্রি থেকে ওই যে বিভিন্ন রকম কোয়ারি যেগুলা আসে; যেমন অ্যাম্বাসি থেকে বা বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বা অন্যান্য জায়গা থেকে— এগুলো সবই আসলে ওইখানে। এটা হলো দুই নাম্বার ট্রাইব্যুনালে দেয়া হচ্ছে। এসব চিঠিপত্রগুলা কমিউনিকেশনগুলা। এবং উত্তর দেয়ার দায়িত্ব তাকে দেয়া হচ্ছে। এটা তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই কবির সাহেব ও শাহিনুর সাহেব বড় এটাতে ইনটারেস্টেড আর কি। সো মিনিস্ট্রি অব ল’ থেকে সমস্ত কমিউনিকেশন যেগুলো বাইরে থেকে আসছে বা যা কিছু যোগাযোগ হচ্ছে, ট্রাইব্যুনাল সংক্রান্ত, সেগুলো ওইখানে যাচ্ছে (২নং ট্রাইব্যুনালে)।
নিজামুল হক নাসিম : এটা মনে হয় ঠিক না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওয়েল, সেটাই আসছে মেসেজটা ওই ২নম্বর ট্রাইব্যুনাল থেকে। কাজেই মেসেজটা আসতেছে ২নং ট্রাইব্যুনাল থেকেই। বাট অ্যানিওয়ে এটা মাস্টলেস সিগনিফিকেন্ট। কিন্তু যেটা হচ্ছে যে, তারা চাচ্ছে যে এবং সেখানে যেহেতু ওবায়দুল হাসান সাহেব কিছুটুকু অ্যাকটিভ হচ্ছেন বইল্যা আমাদেরকে প্রসিকিউটররা জানাইলেন। যে, উনি একটু অ্যাকটিভ হইছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত যখন লেখালেখির ব্যাপার-স্যাপারগুলা আসে, তখন শাহিনুর সাহেবের ওই ট্রাইব্যুনালে উনার ইনফ্লুয়েন্সটা অনেক বেশি আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, এটা তো বটেই। চেয়ারম্যানই তাকে ইনসিস্ট করে। সবকিছু তো সে-ই করে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এবং উনি যে কী ধরনের লোক, এটা আমরা টের পাইছি আর কি। এবং ওনার টার্গেটটা কি, সেটাও আমরা টের পাইছি আর কি। এবং উনি নিজেকে কীভাবে প্রেজেন্ট করে, সেটাও আমরা জানি। এবং উনি তো জাস্টিস সিনহাকে কিন্তু অ্যাপ্রোচ করছে জহির সাহেবের ব্যাপারে, করছিল।
নিজামুল হক নাসিম : কী অ্যাপ্রোচ করছিল?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : জহির সাহেবকে যেন না সরানো হয়, সেই লবিটা (শাহিনুর সাহেব করছিল)।
নিজামুল হক নাসিম : শাহিনুর নিজেই সিটে নাই, ইয়ের কাছে, সিনহার কাছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা উনার চলে যাওয়াটা (জহির সাবের) উনাদের জন্য ইয়ে হইছে আর কি। মানে আন-নার্ভিং একটা ব্যাপার হইছে আর কি। তো এটাও একটা সত্য কথা। বাট আপনি এটাকে কীভাবে নিবে আমি জানি না, ওনাকে যেভাবে আমরা চিনি বা ওনাদেরকে যেভাবে চিনি, আমি মনে করি উনারা দুই জন আপনাকে পছন্দ করে না— না কবির সাহেব, না শাহিনুর সাহেব।
নিজামুল হক নাসিম : হা হা... (হাসি দিয়ে বিষয়টাকে হালকা করলেন)।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমরাই চাই, আর না চাই, সেটাই অবস্থা। ওবায়দুল হাসান সাহেবকে আমি চিনি না। কাজেই ওনি কোনো সিনের ভেতরে নাই। এজন্য আমি ধরেই নিয়েছি যে, উনি কোনো সমস্যা না। এই দুই জনই কিন্তু আসলে পক্ষের মানুষ না। এবং তাদের মনে, মানে টার্গেট ওইভাবেই করা আছে আর কি। এবং তারা আইনমন্ত্রীকে তো ওইটা বলেই আসছে আর কি। যে ইভেন গোলাম আযমের কেসটাও আমাদের দিয়ে দেন- আমরা অনেক বেটার করব। সো, তাদের অবশ্যই একটা রোডম্যাপ অনুযায়ী চলতেছে যদিও। তারা এটাকে, মানে কেসগুলোকে অনেক ছোট বানিয়েছে। এবং একজন প্রসিকিউটর তো বলল যে, আসলে কেসগুলোকে চার্জ ফ্রেমের সময় এমনভাবে চার্জটা করছে আর কি। ওইখানেই তো মানে থার্টি পার্সেন্ট ছিঁড়ে ফেলে দিছে একটা কেস। খুবই, বাদ দিয়ে দিছে সব কিছু।
এটা ঘটছে এবং এইটা ঘটতেছে। সো, আমরা কিন্তু আসলে আমাদের প্রথম যেটা আলোচনাতে ছিল যে গোলামটাই প্রথমে আসবে। এটা আপনি আপনার দিক থেকে আরেকবার স্মরণ করি যে, দেন যে, এটা শুরু হইলেই নন-স্টপ হবে। এবং আমাকে যে ধরনের আশ্বাস দেয়া হচ্ছে যে, এটা রিয়েলি ননস্টপ হবে। এখন কিন্তু অন্যান্যরা সাক্ষীতে যেমন সাকার সাক্ষী নিয়ে ট্রাবল হচ্ছে। আজকেও সাকার সাক্ষী নিয়ে একটা রিপোর্ট আছে। এখানে মার্ডার-টার্ডারও হইছে একটা। আপনার চোখে পড়ছে কি না, জানি না।
নিজামুল হক নাসিম : পড়ে নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হু, ওখানে কিন্তু অ্যারেস্ট করছে একজনকে। ওখানে মার্ডার রিলেটেড অ্যারেস্ট। যে এটা সাকার সাক্ষী রিলেটেড ব্যাপার-স্যাপার। সেইখানে একটু অসুবিধা হচ্ছে। সাক্ষীদের খুঁজে... ওনাদের একটু ট্রাবল হচ্ছে আর কি। গোলামের ক্ষেত্রে কিন্তু, সাক্ষীই নাই আসলে। তো এইটা শেষ হয়ে যাবে। এইটা একটু দেখেন। একটু চিন্তা করেন। আর আপনি যদি আরো স্ট্রিক্টলি ওনাদের টাইটের ভিতরে রাখতে চান, যে ওইটা শুরু হবে— নন স্টপ চলতে থাকবে। হয়তো একদিন অন্যটা, যেটা সাঈদীরটা রাখলেন। বাকি দিনগুলা এটা ছাড়া যাবে না আর কি। এবং ওনারা যেভাবে চাইতেছে যে, ২৫টা আমাদেরকে ওয়ার্কিং ডে দেন। ওদের একটা রোডম্যাপ করছি। আমি চাইছিলাম আর কি, ২৫ দিনের ভেতরে এটা হয়ে যাবে। টুয়েন্টি ফাইভ ওয়ার্কিং ডেইজের ভেতরে। শুধু তাদের উইটনেসটা আপনাকে ইয়ে করতে হবে, ডিফেন্স উইটনেসটা। সেটা তো এখানে যদি তারা ৪-৫টা সাক্ষী দেয়। মানি সব মিলে-টিলে, ইভেন সিজারলিস্ট মিলে-টিলে, আইও মিলে-টিলে, মানে ১০-১২টা সাক্ষী হয় যদি আর কি। বা ১৫টা সাক্ষী হয় মেক্সিমাম। তাতে বোধ হয় ৭টা লিজারলিস্ট উইটনেস রিলেটেড আছে। এটা পারলে তারা এক দিনেই করে ফেলার অবস্থা আর কি। বা ২ দিনে করবে এটাকে। যত দ্রুত পারে করে নিবে। অনেক গুলোকে সাক্ষী একসাথে দিয়ে তারা সব ক্রস করাইল— এ রকম বা যেভাবেই পারে। যেটা আপনারা এফিশিয়েন্ট ওয়েতে মনে করেন আর কি। তাহলে কিন্তু এটা অনেক এগিয়ে যেতে পারে। আর এমনিও ওই লোকের (গোলাম আযমের) বয়স-টয়স হইয়া যাইতেছে। কাজই এমনেও সবদিক বিবেচনা করলে এটাকেই একটু হাইস্পিডে দেয়া উচিত। মানে এটাকে ফাস্ট ট্র্যাকে দিয়ে দেয়া উচিত। এবং দে আর প্রিপিয়ার অ্যাকোর্ডিংলি। সো, এটা তারা আলোচনা করেছেন, নিজেদের রোডম্যাপ অনুযায়ী তৈরি করেছেন। নিজেদের প্রস্তুতি তারা করেছে। তারপর তারা নিজেদের ভিতরে আলোচনা করে আমাদের সাথে আলোচনা করল। ছিল সবাই আমাদেরও। মানে রায়হান আর আমি ছিলাম। অনেক প্রশ্নের উত্তর দিছে তারা। আমাদের মনে হইছে যে, তারা অনেক সিরিয়াস এটার ব্যাপারে। এখানে বোধহয় অন্য কোনো পলিটিক্যাল ইশারাও আছে আর কি। এই সবকিছু মিলে-টিলে এবং আমরাও মনে করি। যেটা বললাম যে, ওই যে লিগ্যাল, পলিটিক্যাল ইম্পোর্টেন্সের দিক থেকে, ট্রাইব্যুনাল ওয়ানের ইম্পোর্টেন্সের দিন থেকে এটা অলমোস্ট আমাদের দাবি বা প্রত্যাশা হবে আর কি। কোনো অবস্থাতেই সেকেন্ড ট্রাইব্যুনালকে প্রথম জাজমেন্ট দিতে দেয়া যাবে না আমাদের কিন্তু। আপনি হয়তোবা অন্যভাবে নিবেন। কিন্তু আমরাও এটাকে অন্যভাবে দেখব আর কি। কারণ ওরা আসলে আপনাকে, বাকিরা দুইজন তারা তো আর টার্গেট না... টার্গেট হইলেন আপনি ঘুরে ফিরে। একটা নেগেটিভ ক্যাম্পেইনের একটা ইয়ে পাবে, যেটা আমাদের কোনো অবস্থাতেই সুযোগ দেয়া ঠিক হবে না। এটা ওইখানে দরকার হয় আমাদেরকে কিছু ইঞ্জিনিয়ারিং করতে হইলে ওই দিক থেইক্যা করতে হবে। এবং সবাই তারা রাজিও হবে। এটা তারা দেখতেছে। সবাই মনে করে যে এই কেসটা খুবই সিগনিফিক্যান্ট হবে। মানে এটা প্রথম হওয়া উচিত। আর এখন তো এরা বুঝতে পারতেছে, কিছুটুক বুঝতে পারতেছে আমাদের প্রসিকিউটররা। যেটা একদিক থেকে আমাদের ভালো লাগছে যেটা, এখন বুঝতে পারছে যে ল’ টা কী হচ্ছে। এবং কোন কেসে ল’য়ের উপর ভিত্তি কইরা হবে, আর কোন কেসে ফ্যাক্টসের উপরে ভিত্তি কইরা হবে। তো গোলাম আযমের ক্ষেত্রে তারা বুঝতে পারতেছে। এখানে যদি ল’য়ের প্রিন্সিপালগুলো যদি সেট কইরা দেয়া যায়। এবং এই প্রিন্সিপাল কেবলমাত্র এক নম্বর ট্রাইব্যুনাল সেট করে দিতে পারবে। যদি দেয়া হয়, তাহলে তখন ওই লিগ্যাল প্রিন্সিপালের দিক থেকে, ইভেন সেকেন্ড ট্রাইব্যুনালে যদি তারা যেভাবে মানে, যেভাবে তারা পাবলিকলি ঘোষণা দিয়া দিছে, তারপরও তারা কিন্তু এটার বাইরে যাইতে পারবে না। এবং সেটার ইমপেক্টটা অনেক বেশি হবে। এবং প্রসিকিউশন তখন দেখা যাবে কি যে, বারবার এটাকে রেফার করতে থাকবে— তাদের লিগ্যাল সাবমিশনগুলাতে, তাদের লিগ্যাল কনস্ট্রাকশনে। সবকিছুতে তারা একই রকম চিন্তা না করলেও এর বাইরে যাওয়ার তাদের কোন উপায় থাকবে না। এটা যদি একটা কম্প্রিহেনসিভ জাজমেন্ট, যেহেতু এখন একটা নতুন তারা চেঞ্জ করবে বইলা মনে হচ্ছে। জাজমেন্ট তো আপনাকে আগেই ডেলিভারি করার, মানে আগেই সমস্থ কিছু টাইপ-টাইপ কইরা সিল সাইন সব রেডি রাখতে হইবে। মানে কমপ্লিট জাজমেন্ট কইরা রাখতে হইবে। কাজেই এখন আপনার প্রস্তুতিটা কিন্তু বেশ কিছুটুকু আগে থেইক্যা শুরু করতে হইবে। সেইটাও ওনাদের একটা কনসিডারেশনে আছে। সেজন্য ওনাদেরও রিকোয়েস্ট হচ্ছে আমাদের যে, এসব ব্যাপারগুলো যেন আমরা একটু খেয়াল করি আর কি। সো, দ্যাট আইনটা যেহেতু চেঞ্জ হবেই আর কি। ওনাদেরও কিন্তু ধারণা নেই, আইনটা কীভাবে কে চেঞ্জ করাইল আর কি। বাট, সেটাতে কিছু যায়, আসে না। এত টাইট দেয়া উচিত হয়নি আর কি। জাজদের একটু ফ্রিডম দেয়া উচিত ছিল। অর্ডার দেয়ার পরে জাজমেন্ট দুই-চার দিন পরে দিলেও চলত। কিন্তু এখন যেভাবে টাইট দেয়া দিছে আর কি।
কাজেই আপনাকে আগে থেকেই সব কিছু করে ফেলতে হবে আর কি। সো এটা প্রথম কেসটা যদি গোলাম আযমকে করা হয়, তাহলে বেশি কিছু ইয়ের ওয়ার্ক, বেশ কিছু কাজপত্র, টেক্সট, অলমোস্ট ইতিমধ্যেই তৈরি করা শুরু কইর্যা দিতে হবে। এবং সেটাকে রিয়েলি একটা সিগনিফিকেন্ট কেসে তৈরি করে দিতে হবে। যেখানে আসলে হোল প্রসেসের টোনটা সেট করে দেবে। এবং তারা যদি রিয়েলি সবকিছু চিন্তা বিবেচনা করত, তাহলে প্রথমে এই কেসটাই আনা উচিত ছিল তাদের। যদিও এইটা ইনভেস্টিগেটরদের শয়তানির জন্য, তারপর শেষের দিকে এটা আসছে। কাজেই ওইগুলা বইল্যা লাভ নাই। এইটা আপনার লিগ্যাল টোন এবং সব টোনই সেট করতে হবে এবং এটা ডুয়েবল। কাজেই এখন যদি ৭৫টা ওয়ার্কিং ডে থাকে এই সময়ের ভিতরে, তো এইডা ওনাদের কথা হচ্ছে— ২৫টা ওয়ার্কিং ডে’র ভিতরে ওনারা পারবেন। এবং ওনারা চিন্তা কইর্যাই মানে ভাগ-যোগ কইর্যাই, মানে হিসাব-টিসাব কইরা করছেন আর কি। আর আপনারা বাকিটুকু যেভাবে ইয়ে করেন আর কি। মাঝখানে ওই ওদের স্ট্র্যাটেজিটা হচ্ছে— এন্ড অব দ্য ডে, ডিফেন্স কিন্তু থাকবে না আপনার। মানে যে কোনো কিছু একটা ছুতা করে তারা হাঁটা দিতে পারে। এটা তারা দিবেই।
নিজামুল হক নাসিম : তাদের মাথা আছে, এলিভেনথ আওয়ারে তারা যাইব? পারবে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : যাবেই, যাবেই, হ্যাঁ.. এটা তারা করবে। আর আরেকটা হচ্ছে তাদের যে স্ট্র্যাটেজি। তারা ওই পিটিশনের পর পিটিশন দেয়া, ওইটারে ড্রপ মানে আটকাইয়া রাখার চেষ্টাটা। এটা তো তাদের পুরানো স্ট্র্যাটেজি। আর হচ্ছে যে, আরেকটা স্ট্র্যাটেজি তারা রিসেন্ট নিতেছে, সেটা হচ্ছে মিজানুল ইসলামকে দিয়া। এই ট্রাইব্যুনালে বলে, ওনি ওই ট্রাইব্যুনালে আছেন। আবার ওই ট্রাইব্যুনালে বলে, ওনি এই ট্রাইব্যুনালে আছেন।
নিজামুল হক নাসিম : সেটা হবে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কিংবা ওনি অসুস্থ আছেন, এ রকম বইল্যা আসলে মানে হি ইজ দ্য লইয়ার যে, হি ইজ গেটিং মেক্সিমাম অ্যাডজর্নমেন্ট ইন বোথ ট্রাইব্যুনাল।
নিজামুল হক নাসিম : আমি তো কোনো অ্যাডজর্নমেন্ট দেই নাই। এটা প্রসিকিউশন কি মনে করে, আমি জানি না। আমি কিন্তু, কোনো অ্যাডজর্নমেন্ট দেই নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কিন্তু, ওই ট্রাইব্যুনালে কিন্তু সে ওই কথা বলে যে, তিনি ওই ১নং ট্রাইব্যুনালে আছে। কাজেই সময় দেয়। তো এটাও তাদের একটা ছোট স্ট্র্যাটেজি। যখন যেটা কাজে লাগে। অর্থাত্ যে স্ট্র্যাটেজি কাজে লাগে, সেটাই প্রয়োগ করে। তো এটা নিয়ে মোর অর লেস বিভিন্নরকম আলোচনা হয়েছে। বেশ খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। এবং মনে হয় না যে, এটা নিয়ে আমাদের বড়-সড় আদর্শিক কোনো তফাত থাকবে। এবং এটাই। তখনই আমাকে জানাইল যে, ইয়ে ছিল, মিলাদ-টিলাদ ছিল। আপনি ছিলেন, চিফ জাস্টিস ছিল। এটার নিউজটা দেখছি, কিন্তু আমরা জানতাম না। আর ওনাকে আমরা সাজেস্ট করছি যে, মানে ওবায়দুল হাসান সাহেবকে। উনি যদি কিছু টেকআপ শুরু করেন আর কি। তাহলে শাহিনুর সাহেবকে মিনিমাইজ ওখানে যদি করে-করেন, তাহলে সুবিধা হয় আর কি। তাহলে ওই রকম মোটিভেটেড ইয়ে হয় না আর কি। এই লোক তো, আপনি যেটা বললেন। আমি যেটা বললাম না, আপনি যেটা বললেন। একদম পুরা উনাদের যে অ্যাসেসমেন্ট, সেই অ্যাসেসমেন্টের সাথে পুরো মিলে যায় একেবারে। যে উগান্ডার জাজেসদের সাথে আপনাদের যে মিটিং হয়েছিল। সেখান আসার পর শাহিনুর সাহেবের যে প্রচেষ্টাটা যে, এটা ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল এবং কম্পারেটিভ অ্যানালাইসিস কইরা বুঝায়ে দেওয়া যে, আমাদের এটা আছে, ওটা আছে, সেটা আছে। যেটার কোনো প্রয়োজনই নাই। ইভেন এই প্রসিকিউটররা বলেছেন যে, এই লোকের (শাহিনুর) টার্গেটই হলো যে, সে যে আসলে সবার চাইতে বেশি বুঝে। মানে আপনাদের ৬ জনের চাইতে অনেক বেশি বুঝে, এই জিনিসটা তার একটা...। মানে এইটা সে ছাড়তেছে না আর কি। তো এখানে একমাত্র ওবায়দুল হাসান সাহেব যদি একটু পিকআপ করেন আর কি। এবং লেখার দায়িত্বটা যদি উনি নিতে পারেন। ওখানে যেহেতু দুইজন একেবারে এক আর কি। দুইজন অলমোস্ট এক। মানে শাহিনুর সাহেব এবং কবির সাহেব। কবির সাহেব তো নিজে কিছু লেখালেখি করেন না। আপনার মতো না তো। উনি তো খুবই কম লেখালেখি করেন মনে হয়।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ... হ্যাঁ...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এক লাইন-দেড় লাইনের চেয়ে উনার অর্ডার বড় হয় না। বাকি সবটুকুই শাহিনুর সাহেবকে দিয়ে করায়। সো, ওইখানে ওবায়দুল হাসান সাহেব কতটুকু ইয়ে হতে পারবেন সেইটা। না হলে আমরা তো খোলামেলাই বলে দিয়েছি যে, যদি দেখি যে, আমরা বেকায়দা হয়ে যাইতেছি আর কি। এবং এটা এ প্রসেসটাকে ক্ষতি করবে। কারণ তাদের কোনো সিদ্ধান্ত যদি প্রসেসটাকে কোয়েশ্চেনেবল করে। বিকজ অ্যাপিলেট ডিভিশনের জাজরা যেন কনফিউজ না হয়। এবং একটা মেসেজ যেতে হবে দুই ট্রাইব্যুনাল থেকে। যে কারণে আমরা বেঞ্চের ব্যাপারে এত ইয়ে করছি। লিগ্যাল ডিসিপ্লিনের একটা ব্যাপার আছে এখানে। ইন্ডিপেনডেন্ট সবাই ঠিকই আছে। কিন্তু ডিফারেন্টভাবে আরগুমেন্ট কইরা আপনি স্ট্যান্ড কনক্লুশন ঠিক করেন— সই আছে। কিন্তু আপনি ডাইভার্ট দিতে পারবেন না। যেটার বেনিফিট ডিফেন্স নিবে। এইটা আমাদের বন্ধ করা হইল টার্গেট। ডিফেন্সকে ওই বেনিফিট নিতে দেয়া যাবে না। যে অ্যাপিলেট ডিভিশনে গিয়ে গিয়ে দুই ট্রাইব্যুনালের দুই কেস নিয়া দাঁড় করাইয়া দিয়া বলবে যে, দুই রকম দেখেন এটা। আপনাদের চয়েজ। দুই রকম ব্যাপার আছে। ওইখানে তারা আসলে কী করবে, সেটা আমরা জানি না। কিন্তু এ ধরনের কোনো চয়েজ তাদের হাতে দেয়া যাবে না। কাজেই লিগ্যাল কোয়েশ্চেন যেগুলো হচ্ছে এবং ইন্টারন্যাশনালি এস্টাবলিশড। বাংলাদেশের জুরিসপুডেন্সে ওই বিষয় ডেভেলপ করতেছে। ওই একই ডেভেলপ করতে হবে দুই ট্রাইব্যুনাল থাইক্যা। আমাকে যেটা বলা হচ্ছে যে, আই এম নট ভেরি শিওর। শাহিনুর সাহেবের আগের ওই অবস্থান মানে একটু ভয়ে আছেন উনি। যে, মানে ভয়ের ভেতরে থাকলে হবে না। যদি দেখা যায় যে ওনারা রিয়েলি রঙ জাজমেন্ট দিতেছে আমাদের ভিউতে। এবং কমপ্লিটলি উল্টাপাল্টা করে দিতেছে। এবং এটাকে বেশি ইন্টারন্যাশনালাইজড কইর্যা ফেলতেছে। ডেফিনিটলি যেখানে অলরেডি এটা ইস্টাবিলিশড ইয়ে আছে যে, যেখানে প্রয়োজন আছে, প্রয়োজন পড়বে, তাহলেই কেবল মাত্র ফরেন জুরিসপ্রুডেন্স দেয়া হবে। যেভাবে হইছে থাক।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : রিকুইজালের ক্ষেত্রে আমরা নিজেরাই ফরেন জুরিসপ্রুডেন্স অ্যাড্রেস করছি। অ্যাকসেপ্ট করছি। এটা করছি বিকজ, যেহেতু করতে হইছে আর কি। যেহেতু আমার লোকাল জুরিসপ্রুডেন্স ছিল না। ডমেস্টিক জুরিসপ্রুডেন্স ছিল না।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, ছিল না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটার বাইরে বাকি যেখানে আমাদের প্রয়োজন নেই, অপ্রয়োজনীয়ভাবে যদি এটাকে ইন্টারন্যাশনাইজড করার চেষ্টা করা হয়, ইভেন সংজ্ঞাগুলোকে যদি রিয়েলি বেশি পরিবর্তন করে ফেলা হয়, তাহলে কিন্তু প্রবলেম হয়ে যাবে। মানে এই প্রসেসটাকে এইভাবে আইনের ছত্রছায়ায়, প্রসেসটাকে যদি আপনি ডিজরাপ্ট করার চেষ্টা করেন। অন্যভাবে না। আইনের ছায়ার ভেতরেই প্রসেসটাকে ডিজরাপ্ট করলেন। ইভেন অ্যাপিলেট ডিভিশনে গিয়ে যদি দেখা যায় যে, আপনি দুইটা জাজমেন্টকে দুই রকমভাবে দুই সংজ্ঞায় দেখা গেল আর কি। তখন উনাদের পক্ষে ওই হার্ড অপিনিয়ন পর্যন্ত, অদ্দূর পর্যন্ত তো আমরা কিছুই করতে পারব না। কাজেই আমরা চাই যেটা, সেটা হলো যে, ই...টা যেন না হয়। এবং উনাদের আমরা বলছি যে, আমাদের কথা হচ্ছে, এটা আপনার কথা কি না জানি না। বাট এটা আমাদের কথা হচ্ছে যে, ট্রাইব্যুনাল দুইটা করা হইছে-হইছে...। কিন্তু ইয়ে আসতে হবে একই রকমের। এবং যে কারণে ট্রাইব্যুনাল-১এর দায় দায়িত্বটা খুবই দরকার। কারণ গাইডেন্সটাকে, টোনটাকে সেট করা। এইটাই হাইল রাস্তাটা। এরপরে আপনি এদিক সেদিক থাকেন— নড়াচড়া করেন, কোনো অসুবিধা হবে না। সে হিসেবেও কিন্তু ট্রাইব্যুনাল ওয়ানের একটা কেসের কনক্লুশন ইজ ভ্যারি ইম্পোর্টেন্ট। আর যেহেতু সাঈদীর কেসে আমাদের লিগ্যাল প্রিন্সিপাল খুব বেশি সেট হবে না, এটা আমরা বুঝতে পারতেছি। এবং ফ্যাক্টগুলো সেভাবে না। এবং তারে যে অবস্থানগত কারণেও সেটা না। লিগ্যাল অবস্থানের কারণেও সেটা না। পলিটিক্যালি ইভেন আদারওয়াইজ (সাঈদীর) এটা সিগনিফিকেন্ট রোল না এটা। মানে ওই পরিমাণ প্রিন্সিপালগুলা আমরা সেট করতে পারব না। এবং তার ক্রিমিন্যালিটির দিক থেকেও না। যেটা আপনার গোলাম আযমকে দিয়ে আনা যাবে। কাজেই এটা দিয়েই যদি আমরা সেট করে দিয়ে যেতে পারি, তাহলে আমরা অনেকগুলো কাজ একসাথে করতে পারলাম আর কি। ২ নাম্বারে আমরা টাইপ করলাম। যতই তারা বলুক তারা তখন প্রসিকিউশন শুধু ১ নম্বরের অর্ডার চিঠি নিয়ে বারবার দেখাবে আর কি যে, আমাদের আরগুমেন্ট হবে এটাই জাজমেন্টের উপর ভিত্তি কইর্যা। বাকি যে কেসগুলো চলতে থাকবে। সেখান থেকে শুরু করে বা তার আগের থেকেও। তারা দেখতেছে কী জিনিস তৈরি হচ্ছে আর কি। ওই একই রকম লাইন অব থিংকিং এ আলোচনা কইরা ওনাদেরকে দেয়া হবে। যেটা ওনারা প্লেস করতে থাকবে গোলাম আযমের কেসে। তো এইটা হলো অনেকগুলো জিনিস। কিন্তু, এক ঢিলে বহু বহু পাখি মারার একটা স্ট্র্যাটেজি চিন্তা করা হচ্ছে আর কি। এটাকে-১ নম্বরটার গুরুত্বটা রাখা। ফাস্ট কেসটা ১ নম্বর থেকে নিয়ে আসা। ফার্স্ট কেস এমন একটা নিয়ে আসা, যেটাতে এই হোল জিনিসটার স্ট্যান্ডার্ডটা সেট হয়ে যায়। এটা খুবই ইম্পোর্টেন্ট। মোট কথা বাংলাদেশের ইতিহাসে এটা কখনও হয়নি। এবং একবার সেট হয়ে গেলে তখন মিডিয়াও পিক করবে, সবাই পিক করবে। তখন উনারা এটা যতটুকুই চেষ্টা করুক না কেন, উনারা এর বাইরে যেতে পারবে না। এবং তখন পলিটিক্যালিও চেষ্টা করা হবে এটাকে এই লাইনে রাখা। এবং ঐ মেসেজটাও পৌঁছে দেওয়া। তো এখানে বেশি স্বাধীনত বা বেশি ইনটেলিকচুয়েলগিরি এখানে দেখানোর দরকার নাই। ট্রাইব্যুনাল-১ যেখানে এভাবে গাইডলাইনটা দিচ্ছে, এভাবেই এটা হতে হবে। প্রবলেমটা হলো এখানে কবির সাহেব না। উনি প্রবলেম। কিন্তু লেখার দিক থেকে সেটা কোনো প্রবলেম হবে না। প্রবলেম হবে শাহিনুর সাহেবের। হ্যাঁ... উনির, ওনার যেভাবে করতেছে, আমরা চাইছি ওনারটা দিচ্ছে, সেভাবে বাকিটা হতে হবে। এবং এখানে কবির সাহেব প্রবলেম হলেও লেখার দিকে কবির সাহেব প্রবলেম হবে না, প্রবলেম হবে শাহিনুর সাহেব। উনি এখন যেভাবে করতেছে সে আমরা চাই যে, উনার সমস্ত অর্ডারগুলার কপি যেভাবেই হোক না কেন, আমাদেরকে দেয়া হোক। কারণ ওরা আসলে ওবার ওয়ার্ক দেখিয়ে আসলে সময় পায় না আর কি। আর বেশ কিছু জিনিস ওনারা পাচ্ছে না, ওনাদের হাতে। মানে সাঈদী সাহেবের কোনো কিছুই ওনারা পাচ্ছে না। ওনাদের ইভেন রেকর্ডেও কোনো কপি থাকে না। এটা কোয়াইট আনফরচুনেট আর কি। যে, পিটিশন যেগুলো করা হয় অথবা যে, অর্ডার-টর্ডার যেগুলো হচ্ছে তারা কিন্তু নিজ থেকেই কিন্তু শেয়ার করতেছে না। মানে আর্কাইভেও রাখতেছে না। মানে প্রসিকিউশনের আর্কাইভে থাকতেছে না। সাঈদীর ব্যাপার-স্যাপারগুলা আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মোটামুটি ওই কেসের পরে। এটা হলো তার একটা ব্যাপার। সেটা কিছু যায় আসে না। এটা হলো মোটামুটি ব্যাপারটা। এবং প্রস্তুতির দিক থেকে তারা সেগুলোই চিন্তা করতেছে। তারা আমাদের রিকোয়েস্ট ও তাদের সঙ্গে কনসিডারেশন করছে যে, আমরাও যেন এটাকে এটুকু ইয়ে করি। আমাদের তাদেরকেও টাইটে রাখতে হবে যতটুকু রাখা যায়। প্রসিকিউশন এই ক্ষেত্রে ভেরি সিরিয়াস। আপনার সাথে বোধহয়, ডিরেক্টলি অর ইনডিরেক্টলি, তাদের সাথে কোনো যোগাযোগ হলেও হতে পারে। ওই যে আপনি বলছেন, যেন কাজেই ওই সিমিলার মেসেজ।
নিজামুল হক নাসিম : আপনি ওদেরকে বলে দেন যে, তারা যেন ইমেডিয়েটলি তারা যেন, দরখাস্ত করে। যে, ডিফেন্সের উইটনেসদের নাম এবং পার্টিকুলারস তারা যেন চায় কোর্টের কাছে যে, এটা দেয়া হোক। তখন আমি নম্বর ডিলিট কইর্যা দেবয়েনে। ডিলিট করে বলবয়েনে, এটা দিয়ে দেয়ার জন্য। বা এ অর্ডার করে দিতে পারব যে, এত দিনের মধ্যে দিয়ে দেয়া হোক। তার আগে তো আমাদের সাক্ষী শেষ হবে। তারপর ওই অর্ডার হবে; তার আগে তো না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না, এটা ঠিক আছে।
নিজামুল হক নাসিম : এরা আগেই বলতেছে, আমি সবগুলো মানা তো কষ্টকর।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঠিক আছে। নো প্রবলেম (অস্পষ্ট) আজই আসছে। কালও আসছিল। বলছি আমাদের সাথে কথা হয়নি। উনি বাইরে ছিলেন। ওখানে কী ডিফেন্সের স্টেটমেন্টের কথাও থাকবে?
নিজামুল হক নাসিম : এটা চাবে তারা, ডিফেন্স স্টেটমেন্ট দিবে না। দেয়ার টু লিমিট...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, এটাই যদি করে দেয়া যায়, তারা তো ১০ হাজার দিচ্ছে না। কয় হাজার দিচ্ছে শয়তানরা। হ্যাঁ...
নিজামুল হক নাসিম : (অস্পষ্ট)
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটার উপর একটা ইয়ে হয়ে যাবে। ঠিক আছে। এটা আজকেই কমিউনিকেশন করে নিব। একটু পরেই। এবং... দ্রুতই চলে যাবে। ঠিক আছে?
নিজামুল হক নাসিম : যা দেখা যাক আল্লাহ ভরসা, ঠিক আছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা।
নিজামুল হক নাসিম : রাখি আজকে।
সিনহা বাবু কইছে ডিসেম্বরের মধ্যে তিনডা দিয়া লন
তারপরে আমরা আপনারে এহানে নিয়া আসি : বিচারপতি
কথোপকথনের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১২
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যালো...
নিজামুল হক নাসিম : হ্যালো- স্লামুআলাইকুম, কেমন আছেন?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওয়ালাইকুম সালাম। আছি-আছি, আপনে আছেন?
নিজামুল হক নাসিম : ইনশাল্লাহ ভালোই আছি। আজ কোনো খবর-টবর আছে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আজকে তো খবর... আপনাদের খবর তো দেখেছেনই বোধহয়, না কি দেখেন নাই এখনও?
নিজামুল হক নাসিম : না দেখি নাই এখনও।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, সাঈদীর যে ডকুমেন্ট দিবে বলছে, এটা কিসের ডকুমেন্ট দিবে? যেটা অ্যালাও করছেন।
নিজামুল হক নাসিম : আরে... কিছু ম্যাটেরিয়াল তারা আগে দেয় নাই, এখন দিচ্ছে। সেটা প্রেয়ার করছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওকে, এগুলা নিয়াই আর কি, ছোটখাটো নিউজগুলাই তো আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা-আচ্ছা, তাইলে তো ঠিকই আছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মানে অনেকগুলো বোধহয় পিটিশন পড়ে আছে আর কি, ডিসপোজআপ করার জন্য।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আর আপনি কেমন আছেন? আমি এখন দেখতেছি যে, একাত্তর সালে, না ৭২-৭৩ সাল পর্যন্ত আমেরিকান অ্যামবাসির যে বিভিন্ন রকম মেসেজ গেছে, আইসিটি’র উপর, আইসিটি-এর বিভিন্ন এরিয়া-এর উপর। বাংলাদেশের মেম্বারশিপ অ্যাপ্লিকেশনস, ওয়ার ক্রাইমস, মানে আইনটা নিয়ে, পাকিস্তানের রিঅ্যাকশন, এই সংক্রান্ত ইউএস মেসেজ পাঠায় তারা। সেগুলোকে আর কি ডিক্লাসিফাই করছে আর কি। সেগুলো এখন পাবলিকলি অ্যাভেইলেবল করা হইছে। সেই মেসেজগুলা। আপনাকে পাঠাব পরে। দেখি একটা সিঙ্গেল ডকুমেন্টের ভিতরে। মোটামুটি জানা কথা, তারপরও বোঝা যাচ্ছে যে, যেমন একটা ইনটারেস্টিং মেসেজ দেখা যাচ্ছে, প্রস্তাবটা ওদের। এই যে ১৯৫ জনকে ফিরিয়ে যাওয়ার-ফিরিয়ে নেয়ার প্রস্তাবটা, এটা বাংলাদেশ দিয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী যে, যে আমাদেরকে স্বীকৃতি দাও। স্বীকৃতির বিনিময়ে ওই ১৯৫ জন ফেরত আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : মানে ওই স্বীকৃতির বিনিময়ে আমরা পাকিস্তানের বিচার করব না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, পাকিস্তানের বিচার করব না, সেই মেসেজগুলা, আপনাকে পাঠাইব দেখি একসাথে কইরা।
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা, পাকিস্তানিরা কোন সময় বলছে যে, আমরা বিচার করব?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, বলছে বলছে।
নিজামুল হক নাসিম : সেইটার কি ম্যাটেরিয়ালস আছে? সেইটা আমার দরকার জাজমেন্টে আনার জন্য।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তারা যেটা বলছে যে, সেটা হলো তারা স্বীকার করছে এবং এই যে, আপনাকে পাঠাব আর কি দেখবেন। এটা ঠিক ডিরেক্টলি তারা ইয়ে করে নাই। এটা করছে, এটা ঠিক দুই জায়গাতে করছে। একটা হচ্ছে যে, তারা ৯৬-এ যে কেসটা করছিল আর কি, সেখানে তারা অ্যাডমিট করছে যে, এইটা হলো আমাদের বিচার করার কথা।
নিজামুল হক নাসিম : কেন আমরা করব বলছে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : খরবটা আবার আমার ডাবল চেক করতে হবে।
নিজামুল হক নাসিম : একটু দেখেন তো, কারণ আমি তো... এইটা যদি হয়ে থাকে, তাইলে এইটা আমি জাজমেন্টে নিয়া আসব।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, ওইটা আপনি এমনেতেও আনতে পারেন। কারণ তারা নিজেরাই বলছে তারাই বিচার করবে আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : সেইটা কোথায় আছে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তাদের বিচার করার কথা। এইখানেও যেরকম আছে। যেরকম আগাশাহীর একটা স্টেটমেন্ট দেখতাছি, ওই আজিজ, সরি... এম এ আজিজ, ওদের পাকিস্তানের যে...।
নিজামুল হক নাসিম : আজিজ আহমদ?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, আজিজ আহমদ আর কি। সে পিকিংয়ে ওদের অ্যামবাসেডর ছিল আর কি। সে বলছে, এই যে এই আলোচনার প্রেক্ষিতে সে বলছে যে, আমরা অস্বীকার করি না যে, কিছু লোকের বিচার করা দরকার ওইখানে। কিন্তু সেটা বাংলাদেশে না। কিন্তু, এইটা স্পেসিফিকালি বলে নাই যে, এইটা আমরা বিচার করব আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : এইরকম যা ল্যাংগুয়েজ আছে আমারে একটু দিয়েন তো।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কাজেই তারা বাই ইমপ্লিকেশন তারা অ্যাডমিট করে নিতেছে যে, বিচারটা আসলে আমরা করব না। মানে বিচারটা আমরা করব বেসিক্যালি... কারণ তখন যে পলিটিক্যাল পরিস্থিতি না, তখন তারা বিচার করবে ভুট্টো এ ধরনের কোনো... বিচারটাকেই তারা পুরো অস্বীকার করার কারণে, এবং কিছুই হয়নি ৭১-এ। এই যে তাদের যে চিন্তাটা আর কি। সেটার কারণে তারা বিচার করবেই সেটা বলতে পারতেছে না, কিন্তু তারা যেটা বলতেছে যে বাংলাদেশ করতে পারে না, বিচার করতে হলে আমরা করব। আচ্ছা আপনাকে আমি পাঠাচ্ছি, দাঁড়ান দেখি...
নিজামুল হক নাসিম : এখন দিতে হবে না। আপনি পরে পাঠান। কিন্তু এই সম্পর্কে আমি একটু বলতে চাই— একটা প্যারাগ্রাফ অ্যাটলিস্ট, যদি তারা এমন কোনো দিয়ে থাকে যে, এইটা বাংলাদেশের ব্যাপার না, আমাদের ব্যাপার বা অন্য কারও ব্যাপার। সেটা ভিন্ন কথা, কিন্তু বিচারটা যে হওয়া উচিত, এই ধরনের কিছু ল্যাংগুয়েজ থাকলেও আমাদের কাজে লাগে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, এইটা আছে, হু...ম.. এইটা আছে।
নিজামুল হক নাসিম : এইটা যেমন বললেন, এইমাত্র যে, আজিজ আহমদ বলছে যে, অ্যাম্বাসেডার অব দ্য চায়না, ঠিক না? এই ল্যাংগুয়েজটা পেলেও, যেমন এই ল্যাংগুয়েজটা সে বলছে, এইরকম আর একজন যদি বলে থাকে। এইগুলা মিল্লা যদি ইয়ে করা যায় যে they took the responsibility that the trial should be held but not by Bangladesh.
আহমদ জিয়াউদ্দিন: They are suppose to be tried.
নিজামুল হক নাসিম : তাতেও আমার চলবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তারা ইভেন বলছে to the extent যে, এটার জন্য যদি জুরিসডিকশন থেকে থাকে, তবে সেটা হবে আমাদের জুরিসডিকশন।
নিজামুল হক নাসিম : সেটা হলে তো আরও ফাইন ... সেটা হলে তো আরও ফাইন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : বাংলাদেশের না, এইটা আপনাকে এখনই পাঠায়ে দিতে পারব। এটা আমাদের রেডি স্টকেই আছে। এখন আমি একটু...
নিজামুল হক নাসিম : আমার এখনই দরকার নাই, আপনি ঠাণ্ডা মাথায় দিয়েন অসুবিধা নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ভুইল্লা যেতে পারি।
নিজামুল হক নাসিম : আরে ভুলবেন কেমনে? ডেইলিই তো কথা হইবে ইনশাআল্লাহ। যদি বাইচ্চা থাকি, হা...হা... হা... (হাসি)।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হা... হা... হা... (হাসি)। এই যে দেখতেছি, এই যে মামলা করছিল, পাকিস্তান-ভারতের বিরুদ্ধে মামলা করছিল আর কি। যখন বাংলাদেশ রিকোয়েস্ট করেছে। করে নাই মানে তার আগে আর কী ভাব করতেছে যে ১৯৫ জনকে বাংলাদেশের ফিরিয়ে দেয়ার জন্য, তো সেখানে পাকিস্তান মামলা একটা করেছে। সেটা অনেক বড় একটা কেস। এখানে বহুত কিছু আছে, যাস্ট আপনি যদি পড়েন, আপনার অনেক মজা লাগবে আর কি আসলে। you should read it। একেবারে যা আছে, আইন-কানুন যা আছে, এই যে আমরা যে বিচার করতেছি সবকিছু, এটার ভেতরে রেফারেন্স আছে। আইনের রেফারেন্সগুলা দেয়া আছে। ফাইনালি এটা পাকিস্তান ডিসাইড করল যে, যখন তেয়াত্তরে চুক্তিটা হয়ে গেল ফেরত দিয়ে দেয়ার। তখন পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসকে জানাইছে যে, আমরা এটা আর প্রসিড করব না। ফলে এটা আর ইয়ে হয় নাই আর কি। পাকিস্তানের যেটা স্ট্যান্ডার্ড পজিশন ছিল, সেটা হচ্ছে যে ভারতের আক্রমণ আর পাকিস্তানের সেলফ ডিফেন্স।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, সেটা তো আছেই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : অ্যাপ্লিকেশনটা পড়লে দেখবেন যে, এটা হচ্ছে জেনোসাইড কনভেনশনের অধীনে মামলাটা করছে আর কি। কারণ বোথ পাকিস্তান তো জেনোসাইড কনভেনশনের ইয়ে ছিল। আপনি কি কিছু মানে ড্রাফট করা শুরু করছেন?
নিজামুল হক নাসিম : করব।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা। মানে এটা কী, সাঈদীরটাই তো মনে হয় শেষ হয়ে যাচ্ছে, আপনি যেভাবে এগুচ্ছেন।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, সাঈদীরটা দিয়েই শুরু করব ইনশাআল্লাহ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই যে ওরা যেটা... প্রেয়ারে যেটা আছে ওদের। আপনি দেখবেন যে, অপারেটিভ পোরশনে ওরা যেটা অ্যাপ্লিকেশন তারা করেছে বিফোর ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস, সেখানে প্রথম অ্যাডজুডিকেটড অ্যান্ড ডিক্লার করতে বলছে Whether the government of India appears or not, and after such time limit as the court may fix in also of agreement between the parties.
One, that Pakistan has exclusive right to exercise jurisdiction over 195 Pakistani nationals or other number now in Indian custody and accused of committing genocide in Pakistani territory by virtue of application of convention on the prevention and punishment of crime of genocide of 9th December 1948 and that no other government or authority is competent to exercise such jurisdiction. পাকিস্তান বলতেছে, জেনোসাইড কনভেনশনের অধীনে যেটার তারা নিজেরা পার্টি, পাকিস্তানের অধিকার হচ্ছে তার নাগরিককে বিচার করার For crimes committed in the territory of Pakistan. এইটা হচ্ছে International tribunal ICC-এর কাছে একদম ক্লিয়ার কমিটমেন্ট। আমরা বলতেছি, এইটা বাংলাদেশের টেরিটরি। পাকিস্তান দাবি করতেছে যে, যখন ক্রাইমটা হয়, তখন সেই টেরিটরিটা তা পাকিস্তানের টেরিটরি ছিল। আমরা যদি যুক্তির স্বার্থে ধরেও নেই আর কি, যে ওইটা আরগুমেন্টের স্বার্থে ধরে নেই যে—পাকিস্তানের টেরিটরি ছিল, তাহলে পাকিস্তান আসলে আইসিসিকে বলতেছে যে, আমার নাগরিকরা যারা জেনোসাইড করছে ঐ টেরিটরিতে, এই মুহূর্তে যারা ভারতীয় কাস্টডিতে আছে, আমাদের হলো Exclusive right to exercise jurisdiction over them. তাদের বিচার করার দায়িত্ব আমাদের পুরা এখতিয়ার আছে। এখানে কিন্তু তারা বলতেছে না যে, তারা করবে। প্রমিজ করতেছে না তারা। কিন্তু তারা জুরিসডিকশনটা ক্লেইম করতেছে বিফোর অ্যান ইন্টারন্যাশনাল... এইটা আইসিসিতে এবং তারা ক্লেইম করা মানেই হচ্ছে They are supposed too, they will be doing it...that is the understanding, that is the meaning of 1st paragraph. 2nd paragraph-এ তারা বলছে যে, যেহেতু আমাদের আইনটাকে তারা চ্যালেঞ্জ করছে। ৭৩-এর আইনের অলরেডি তারা জানে যে, ট্রায়াল অব কনট্রিবিউটিং টু ওয়ার ক্রাইমস হবে, তারা এইটা বলতেছে। এই যে পরিস্থিতি হইছে একাত্তরে এবং প্রিজনারস অব ওয়ারকে, তাদের জেনোসাইড দিয়ে কাভার করা যাবে। But the concept of crimes against humanity or war crimes is not applicable. আচ্ছা... তিন নম্বর তারা বলতেছে যে, there can be no ground what so ever in the international law justifying the transfer of the custody of 195 or any other number of prisoners of war to Bangladesh for trial in the faith of Pakistan’s exclusive right to exercise jurisdiction over its nationals accused committing offences in Pakistan territory and that India would act legally in transferring such persons to Bangladesh for trial. অর্থাত্ কোনো অবস্থাতেই পাকিস্তানের নাগরিকদের উপর অন্য কোনো দেশের কেউ জুরিসডিকশন এক্সসারসাইজ করতে পারবে না এবং সেই প্রেক্ষিতে ভারতে যারা আটক রয়েছে, তাদের ইয়ে না করে সেটা অবৈধ হবে আর কি। এই দেখেন এখানে কত মারাত্মকরকম ভাবে By implication কত কথা তারা বলে গেছে, that a competent tribunal Ôwithin the meaning of article 6 of Genocide Convention means a tribunal of impartial judges applying international laws and permitting the accused to be defended by the counsel of their choice. the tribunal can not base itself on ex-part facto laws nor violate the provision of the declaration of human rights. In view of these and other requirements of a competent tribunal of even if India could legally transfer Pakistani prisoners of war to Bangladesh for trial which is not admitted it would be divested to that freedom since in the atmosphere of hatred that prevails in Bangladesh such a competent tribunal can not be created in practice nor can be it expected to perform according to expected international standards. Standards of justice.’ সোজা কথা বাংলাদেশে এই যে পরিস্থিতি, সেই পরিস্থিতিতে একটা ইন্ডিপেডেন্ট ট্রাইব্যুনাল কাজ করার মতো ইভেন যদি হয়ও তারা ওই পর্যায়ে যাবে না।
নিজামুল হক নাসিম : সম্ভব না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তার মানে হচ্ছে যে, তারা চাচ্ছে যে, ভারত যেন কোনো অবস্থাতেই তাদের হ্যান্ডওভার না করে।
নিজামুল হক নাসিম : ইয়েস, না করে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এবং এটার ফাস্ট যেটা তারা বলছে যে, জুরিসডিকশন যখন আপনি দাবি করেন, একটা অপরাধের পরে এবং অ্যাডমিটিং দ্য অপরাধ আসলে... আপনি তো বলতেছেন যে, জেনোসাইড কনভেনশনের অধীনেই আমি—আমার এই অ্যাপ্লিকেশনটা করতেছি। এই জেনোসাইড কনভেনশন অধিকার দিতেছে সেই রাষ্ট্রকে। যেই রাষ্ট্রের নাগরিকেরা জেনোসাইডে জড়িত অথবা যার টেরিটোরিতে জেনোসাইড হইছে। সো... আপনি দাবি করতেছেন যে, আপনার টেরিটোরিতে হইছে এবং আপনি দাবি করতেছেন, আপনারা নাগরিকেরা জড়িত আছে। কিন্তু এই ৪০-৪২ বছরে আপনি এখনও কিছু করেন নাই আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : না ঠিক আছে এইটা পাইলেই হবে। এই পয়েন্টে আরও যদি কোনো ম্যাটেরিয়ালস পান, পরে তাইলেও হবে। আমারে দেবেন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই একমাত্র কেস আছে, যেটা আমাদের পুরাটাই পক্ষে যায় আর কি। পাকিস্তান আসলে অ্যাডমিট করছে এটা ১৯৭৩-এর কেস, 11th of May of 1973. এটা মোটামুটি একটা ওয়েল নোন কেস একটা। আছে—, এইটা আমাদের আরকাইভেও আছে সব জায়গাতেই আছে...। আর বলেন, কেমন আছেন...
নিজামুল হক নাসিম : আছি ভালোই ইনশাআল্লাহ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনার কাছে খবর-টবর আছে নাকি কিছু আর।
নিজামুল হক নাসিম : এখন তো দুই ট্রাইব্যুনালই ধুমাইয়া আগাইতেছে কেসে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, দেখা যায় কম্পিটিশন হইতেছে মনে হইতাছে।
নিজামুল হক নাসিম : আমার কাছে কম্পিটিশন মনে না হলেও আগাচ্ছে। এটা গুড সাইন। দুই ট্রাইব্যুনালই আগাচ্ছে। আমার ওই শাহিনুররে নিয়া একটু ভয় যে, সে কেননা বেশি রকম তার ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডের দিকে খুব বেশি রকম ঝোঁক।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা শেষের দিকে প্রবলেম হয়ে যাবে। কারণ একই ব্যপার তো, একই ঘটনা... সিমিলার ইনসিডেন্স, সিমিলার চার্জেস কিন্তু দেখা যাচ্ছে কি যে...।
নিজামুল হক নাসিম : যেমন সেদিন উগান্ডান টিম আসার আগের দিনে, আমরা একটু বসছিলাম তো যে, কী আলাপ-টালাপ করব। সেখানে শাহিনুর বলতেছে যে, আমাদের একটা জিনিস দেখানো দরকার যে, আমাদের আইনে আর আইসিটির কিংবা আসিটিওয়াই এদের তফাতটা কোথায়। আমরা একটা কম্পারেটিভ স্টাডি তাদেরকে দিয়ে দেব। আমি বললাম, হোয়াই শুড, কেন? আমরা আমাদের আইন নিয়েই কাজ করব। আমরা বলব যে, আমরা আমাদের আইন নিয়া চলতেছি, আমাদের domestic Law, আমাদের tribunal domestic however the foreign tribunal judgment we can consider as persuasive value not more than that. এইটা আমাকে রেজিস্ট্রার, ডেপুটি রেজিস্ট্রার থেকে শুরু কইরা আপনাদের ওই শওকত, সবাই সাপোর্ট করল আমাকে। আমার জাজরাও করল। কিন্তু ওই দু’জন জাজ চুপ। শাহিনুর পরে কইল, আচ্ছা ঠিক আছে। তাই যদি হয়... ইফ ইউ থিংক সো, তাই যদি হয়, তাইলে ঠিক আছে। আমি বললাম, আচ্ছা আপনি কি মনে করেন না, It is a domestic tribunal বলে, তা মনে করি। তাইলে আমাদের ডোমেস্টিক ট্রাইব্যুনালের লগে আমেরিকান ল’য়ের কি তফাত, ব্রিটিশ ল’য়ের কী তফাত আইসিটিওয়াই’র কী তফাত, তা আমাগো দেখাবার দরকারটা কী? আমরা বলব যে, আমাদের আইনেই চলছে, চলবে। ফরেন জাজমেন্টগুলা আমরা কনসিডার করতে পারি। যদি আমরা মনে করি এটার পারসিউসিভ ভ্যালু এইখানে আছে এবং এটা আমাদের ফ্যাক্টস অ্যান্ড সারকামসটেন্সেসের সাথে মিল্লা যাইতাছে We can use those things that’s all. এর পরে আর কথা কয় নাই। আমার মাথায় ওটাই ছিল আর প্রসিকিউটররাও আমাকে বলছিল যে, প্রত্যেকটা অর্ডারে সে ফরেন ট্রাইব্যুনালের ম্যাটেরিয়াল নিয়া আসে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ... যেখানে ইভেন দরকার নাই, যেখানে আপনার এটার কোনো রিলিভেন্ট নাই আর কি। এই জিনিসটা ওনাকে স্টপ করাইতে হবে অথবা একপর্যায়ে উনারেও ওইখান থেকে বিদায় কইরা দিতে হবে। Because it is so important matter যে এইটা যদি উনি বন্ধ না করে আর কি, তাহলে মানে ঐব যধং ঃড় মড় ধং বিষষ, নবপধঁংব এইটা খুবি ক্ষতিকর। আমাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হয়ে যাবে। কারণ অ্যাপিলেট ডিভিশনে গিয়ে যে স্ট্রং আরগুমেন্ট যেটা হবে আর কি যে, তারা জিনিসটাকে সেট করতাছে—এমনিতেই উনি চার্জ যে করতাছেন, সেখানে জেনোসাইডের ধারে-কাছে দিয়াও যাইতেছে না। উনি কিন্তু সব চার্জ নিয়া ঢুকায়ে দিচ্ছে ক্রাইমস এগেইনেস্ট হিউমিনিটির ভিতরে। this also is a matter of serious concern. এখানে উনি অলমোস্ট ইতিহাসটাকেই চেঞ্জ করে ফেলতাছেন আর কি। আপনি চার্জটা করেন, তারপর যদি আপনি ম্যাটেরিয়াল ইলিমেন্ট না পান, তাইলে বাদ দেন। কিন্তু আপনি অ্যাটঅল চার্জ করবেন না, এই অ্যাটিচুডটা যেখানে এটা পিটিশনে আছে, সেখানে এটা কিন্তু মারাত্মক রকম রিস্কি ব্যাপার হয়ে যাবে। তারপর হচ্ছে যে, প্রতিটা ক্ষেত্রে ইন্টারনেশনাল ল’য়ের যে রেফারেন্সটা দিচ্ছে—যেখানে কোনোই প্রয়োজন নাই। আমাদের এখানে, উগান্ডার জাজরা আপনাদের কী বলে গেছে, জানি না। বিষয়টা হচ্ছে যে...
নিজামুল হক নাসিম : না, উগান্ডা আমাদের পুরা সাপোর্ট করছে, পুরা। তারা চয়েজই করছে এই কারণে যে, আমরা আমাদের আইনে চলতেছি। এরা একেবারে ফুল সাপোর্ট টু আস যে, এইটাই ঠিক আছে। ওনারাও সেই ভিউ-ই হোল্ড করে। আইসিসি বলতেছে যে, আগে ডমেস্টিক ট্রায়াল করো। ফেইল করলে আইসিসিতে আসবা। এটা হইল তাদের ল্যাংগুয়েজ। আমরা কেন আইসিসির পিছনে দৌড়াব?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : একজাক্টলি। এটা কিন্তু ভেরি রাইট। আরেকটা যেটা আমার, যেটা প্রবলেম হয়, এটা হচ্ছে ছোট মানসিক বা ইনফিরিওরিটি যে মানসিকতা সেখান থেকে আসতেছে। আমাদেরকে কেন তুলনা করতে হবে? আমরা ইনটারন্যাশনাল কোন ট্রাইব্যুনালের সাথে মিল আছে। আমাদের ডমেস্টিক ট্রাইব্যুনাল, আমাদেও তো কারও সাথে তুলনার দরকার নাই। আমাদের তুলনা হবে কেবল আমাদের সাথে। মানে তুলনা করার চেষ্টাটা বাদ দিতে হবে আমাদের।
নিজামুল হক নাসিম : আরেকটা ল্যাংগুয়েজ হইছে কোর্ট অব দক্ষিণ আফ্রিকার। কে যেন বলছিল যে, You should feel proud when you created the law, this law was unknown to the other world. In 1973, there was no law of international crimes in other countries. You should feel proud of that—এইটা এরাও তা বলছে। যে আপনারা কেন যার তার দিকে তাকাবেন? কেন? আমার সাথে আন্ডারস্ট্যান্ডিং খুব ভালো হইছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা উনার মাথায়... ওই যে একটা ইয়ে আছে না...।
নিজামুল হক নাসিম : মাস্টারি... মাস্টারি ভাব আর কি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আসলে কি একটা মানসিকতা আছে যে না... আমরা যদি বিদেশিদের সাথে তুলনা করি, তাইলে আমাদের ইজ্জত বুঝি বাড়ল আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হুহ্, ওই ভাব আছে, মানসিক ভাব আর কি। তার ভাব তো আমি বুঝি। সে মনে করে তার লগে এই ব্যাপারে আলাপ করলে তার চেয়ে বেশি আর কেউ কথা কইতে পারবে না। মজার ব্যাপার হইল—এই দুইদিনে তাকে বোবা হইয়া থাকতে হইছে He didn’t get any chance to talk.
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হা... হা... হা... (হাসি)। ওবায়দুল হাসান উনি যদি একটু ইনডিপেডেন্টলি ইয়া করে আর কি। উনার মানসিকতা তো বোঝা যায়নি। আমি তো তাকে চিনি না ওইভাবে...।
নিজামুল হক নাসিম : আমিও বুঝতে পারতেছি না, আমি তারে বলছিও। সে বলে একটু দেইখ্যা লই বুইজ্জা লই। আমিও বলছি, বোঝো ভালো কইররা, ভালো করে বুইজ্জা লও, না বুইজ্জা কোনো কমেন্ট কইরো না। কোনো ইয়েতে আবার ঢুইক্কা যাইওনা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কবির সাহেব না হয় বুঝলাম, উনি পলিটিক্যালি চিন্তা-ভাবনা কইরা সব কথা বলবে। কিন্তু ওবায়দুল হাসান সাহেবের তো উচিত, মোটামুটি উনি হাইকোর্টের জাজ হিসেবে ঠিকঠাক বলে ফেলা আর কি...। আর কবির সাহেবরে অনেক সম্মান-টম্মান করে দেখে... ওবায়দুল হাসান উনি কি... পারমান্যান্ট জাজ তো?
নিজামুল হক নাসিম : হু...পারমান্যান্ট, পারমান্যান্ট।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এখানে আসলেই একটু কথা-টথা বলা যাবে। এইটাই হলো হোপ আমাদের। আমার এমনি ভালো লাগত উনাকে, ওইখানে ওই শর্ট... ভেরি শর্ট এক্সচেঞ্জে। বেটার হইতো যদি ইয়া আমাদের একটু বলত আর কি, শাহীনুর সাহেব যদি ইন্ট্রোডিউসটা ঠিকমতো করা তো আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : আরে এইবার আসলে আমিই ইন্ট্রোডিউস করে দেব, আরে... দায় তো আমারই বেশি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হুম... আর আমাকে নিজেকে ইন্ট্রোডিউস করে তো আসলে বলা যায় না।
নিজামুল হক নাসিম : আরে না, এবার আসলে আমিই দেব ইন্ট্রোডিউস কইরা। আমি সারাজীবন ওয়েট করব নাকি রায়ের জন্য? হাহ্...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না মানে I was disaoppinted ওই সেন্সে আর কি। গেছিলাম যখন উনিই কিন্তু পরিচয় করিয়ে দিতে তো পারেন। আমি কিন্তু ওনার খোঁজেই গেছি ওইখানে... আমি আপনাকে ওইগুলা সবগুলা পাঠিয়ে দিতাছি একটা একটা করে। আপনি... এটা সব ই-মেইলে থাকবে। আপনি এটা ইয়ে করতে পারেন সবগুলা।
নিজামুল হক নাসিম : আমি সব প্রিন্ট কইরা বাইর কইরা নেবো।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ও আচ্ছা আপনি সব প্রিন্ট করে রাখতে চান?
নিজামুল হক নাসিম : হুম... আমি তো অত এক্সপার্ট না। ই-মেইলে ১০টা-১২টার পর পুরানটা আর থাকে না। আমি আর খুঁইজ্যা বাইর করতে পারি না। ওই লাইন শেষ হইয়া যায়। ঢুইক্যা যায় কোথায় যায়, আল্লায় জানে। নতুন আসে, আর পুরানডা এক স্টেজ নিচে নামে। এইভাবে পরে কোথায় যায় আমি...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আরেকবার বলেন... আরেকবার বলেন। মেইল যেইটা আসতেছে, সেইটা আপনি খুঁইজ্যা পাইতাছেন না— এইটা বলতেছেন আপনি?
নিজামুল হক নাসিম : না, এডা পাই। এডা পাই ধরেন... অন করলে পরে উপরে নাম থাহে নতুনডার, তার নিচে থাহে আগেরটা... তার নিচে থাহে আগেরটা, ঠিক না?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঠিক আছে, ঠিক আছে হ্যাঁ...
নিজামুল হক নাসিম : এরপরে পেজ ভইর্রা গিয়া যখন নিচে থাকে না— ধরেন ২০টা থাহে, ২০টার পরেরডা আর খুঁইজ্যা পাই না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, এইখানে দুইটা জিনিস আছে। একটা হইল এই সংখ্যা আপনি বাড়াইতে পারবেন যে, ওই ১৫-২০টা থেকে ১০০টা করা যাবে। আর সেকেন্ড হলো যেইটা, সেইটা হলো যে, খুব সহজ.. এখনও আপনি যদি একটু ট্রাই করতে পারেন যে, আপনি তো মসধরষ ইউজ করতেছেন, তাই না?
নিজামুল হক নাসিম : হু মসধরষ, হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : gmail-এ কোনো mail জীবনেও কখনও হারায় না। আপনি উপরে দেখবেন যে, এইখানে... সধরষ টা খোলা আছে? না খোলা নাই।
নিজামুল হক নাসিম : না, এখন বন্ধ। বলেন, আপনি বলেন...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনি যখন সধরষ টা খুলবেন, সধরষ টা খোলার জাস্ট উপরের দিকে তাকাইবেন আর কি। mail টা mail-এ লেখার উপরে দেখবেন একটা বড় উইনডো আছে লেখার মতো, সেখানে একটা লুকিং গ্লাস দেওয়া আছে।
নিজামুল হক নাসিম : আয়না?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আয়নার মতো লুকিং গ্লাস। ওইখানে আপনি যদি যেটা খুঁজতে চান... আপনি যদি জাস্ট শুধু আমার নাম দেন আহমদ আহমদ জিয়াউদ্দিন... আপনি ওইখানে ওই লুকিং গ্লাসে চাপ দিবেন। দেখবেন, আমি যতগুলা মেইল পাঠাইছি, সব চইলা আসবে। ঠিক আছে, সব কিন্তু ওইখানে আছে।
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা, ঠিক আছে, দেখি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওইটা খুঁজবেন নাম দিয়া। এরপরে আপনি যদি সাবজেক্ট দিয়া খুঁজেন আর কি। ধরেন, আপনি মনে করলেন যে ধিত্ পত্রসবং. ধিত্ পত্রসবং দিয়া আপনি লেইখা দিবেন শুধু। লেইখা আবার সার্চ করলেন। দেখবেন, ওইখানে শুধু ধিত্ পত্রসবং, আমি যতগুলা সধরষ-এ লিখছি, বডিতে লিখছি অথবা অ্যাটাচমেন্ট আছে war crimes রিলেটেড। সেইটা সব চলে আসবে। মানে.. আপনি যে শব্দটা লিখতে চান না কেন, ওই শব্দটা যদি কখনও আপনার-আমার কমিউনিকেশনের মধ্যে থাকে, সেটা কিন্তু বেরিয়ে আসবে। কাজেই এটা কোথাও হারাচ্ছে না—এক নম্বর কথা। আর সেকেন্ড হচ্ছে যে, এইটাই হচ্ছে যে gmail-এর one of the major feature. ওদের যে আরকাইভ আছে, ঐ আরকাইভে কখনও কোনো কিছু হারায় না। তারপরেও আমরা আমাদের নিজেদের ইউজের জন্য সহজ ব্যবহারের জন্য আমরা আরকাইভ করে রাখি আর কি।
শাহরিয়ার ভাই তো দেখি হেভি চেইতা গেছে। হা...হা...হা...।
নিজামুল হক নাসিম : হা... হা... হা...। ইডিয়েট ফিডিয়েট কইছে স্টুপিড।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ৫ দিন... ৬ দিন পরে তারে আরও ২ দিন দিতেছে এবং তাদেরকে অনুরোধ করতেছে সোমবারের মধ্যে শেষ করার জন্য।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ...। উনি বলছেন যে, বিদেশ যাবেন, এটা করবে। আজকে তো শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কেন যে শেষ করে দিল না, বোঝলাম না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, আপনাকে এইটা পাঠাইয়া দিলাম। আইসিসিওয়াইয়ের কেসটা। হোল ডকুমেন্ট। এটা কত যে পাতা হবে, সেটা জানি না
নিজামুল হক নাসিম : আপনি দেন এরপর আমি দেখমুয়েনে, অসুবিধা নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না, খুব বেশি না। এটা রিলেটেড আরও কাগজ আছে। সব আপনাকে, কাগজই পাঠাইব আপনাকে। এটা পড়তে ভালো লাগবে। ইন্টারেস্টিং টু রিড—ইতিহাসের অংশটা, প্লাস কীভাবে ঘটনাটা ইনভলব করছে। এরপর বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল ল’য়ের এক্সপ্লানেশনগুলো আছে। ইন্টারন্যাশনাল ল’য়ের রেফারেন্সগুলা আছে। বঙ্গবন্ধুর অনেকগুলা স্টেটমেন্ট আছে যে, বিচার যে করা হবে সেগুলা তারা ইয়ে করছে। এরপরে পাকিস্তান করছে কি যে—প্রভিশনাল মেজারের জন্য একটা রিকোয়েস্ট করছে। এইটাও পাঠাইতেছি। প্রভিশনাল মেজারটা হচ্ছে যে, আমাদের স্টে অর্ডার আর কি। আমাদের দেশীয় ভাষায় স্টে অর্ডার। আমি দরখাস্ত করলাম—এখন তুমি কর কী যে, স্টে কইরা দাও, যেন তারা পাঠায়া না দিতে পারে। যেন না পাঠায়। মানে ইন্টেরিম মেজার অব প্রটেকশন চায় এবং একটা ক্লেইম করলাম যে, আমাদের লোকদের বিচার করতে পারবে না। কেবল মাত্র আমরা তা করতে পারি। সো প্লিজ ই.. করো, এই প্রভিশনাল মেজারটা দাও যেন যে, বিচার যাতে না হইতে পারে।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যান্ডওভার যেন না হয়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ.. হ্যান্ডওভার যেন না হয়। এরপরে যেটা হইছে, এটা হলো যে, বুঝা যাবে কী করে ধাপে ধাপে এগোয় প্রসেসটা। এরপর কিন্তু একটা ওরাল আরগুমেন্ট হইছে আর কি। মানে পাকিস্তান আরগু করছে ইয়ের সামনে। মানে আইসিসির সামনে। ওইটা হচ্ছে মিনিটস অব দ্য পাবলিক সিটিং... পাবলিক হেয়ারিং যেটা হয়েছে। ... ওরাল আরগুমেন্টে আপনি দেখবেন, কী কী হইছে আর কি। ... একটা জাজের অপিনিয়ন পাঠাচ্ছি, যেটা ফ্রেঞ্চে আছে, কিন্তু দেখবেন নিচে ইংরেজি ট্রান্সলেশন করা আছে। ... এই জিনিসটাও আমাদের আইসিটির ইতিহাসের অংশ হিসেবে থাকা উচিত। মানে এইডার উপরই আপনি ইচ্ছ করলে মানে কনসিডারিং ইটস সিগনিফিকেন্স—ওদের ভাষায় কমনলি এটা হচ্ছে চঙড কেস আর কি এটা। ফাইনাল অর্ডারটা হচ্ছে লিস্ট থাইকা রিমোভ করা আর কি। পাকিস্তান রিকোয়েস্ট করছে যে, আমরা চাই যে তোমরা এইটা ডিলিস্ট করো আর কি। কারণ ততক্ষণে এগ্রিমেন্ট হয়ে গেছে আমাদের। ৭৩ সালের ডিসেম্বরের অর্ডার এইটা। তখন বঙ্গবন্ধুর হচ্ছে, পাকিস্তানের রিকগনাইশন ছাড়া আসলে আমরা যেহেতু মুসলিম ওয়ার্ল্ডের রিকগনিশন পাচ্ছিলাম না, এইটা ওনার কাছে সামহাউ ওনার কাছে খুবই ইম্পোর্ট্যান্ট ছিল।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মানে খুবই ইম্পোর্টেন্ট একটা ইস্যু ছিল। যা-ই হোক, পাকিস্তানের রিকগনিশন দরকার আমাদের। তাহলেই আমাদের পূর্ণাঙ্গ বাংলাদেশ হবো আর কি। ওই চিন্তাটা খুব বেশি ডিপলি থাকার কারণে এবং যেহেতু উনি এখানে অনুপস্থিত ছিলেন, এখানে ৭১ সালে ছিলেন না ফিজিক্যালি। পরবর্তীকালে শুধু শুনছেন এখানে কী হয়েছে। এখানেই একটু সমস্যা হইয়া গেছে। সে কারণে ওনি ঠিক বুঝতে পারেন নাই এটা সিগনিফিকেন্সটা, মানে এটা কত হাউ ডিপ ইমোশনাল এই ব্যাপারটা ছিল আর কি। এসব ইতিহাস এই ডকুমেন্টসগুলা পড়লে বুঝা যায় আমাদের প্রায়োরিটিগুলা কী ছিল তখন। কেউ যদি রিয়েলি ক্রিটিক্যালি দেখে আর কি। আমরা কি এটা রাইট বা সঠিক প্রায়োরিটি সেট করছিলাম কি না, তখন আমরা। পাকিস্তানের রিকগনিশন আমাদের কত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেটা কি অ্যাটহোল কস্ট? এরপর মুসলিম ওয়ার্ল্ডের রিকগনাইশনটা। এতে কিন্তু খুব একটা বেশি লাভ হয়নি। কারণ হচ্ছে যে, মেইন যে নাটের গুরু আর কি সৌদি আরব। ৭৫ সালের আগ পর্যন্ত মানে বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতে দেয় নাই। তাই উনার যে স্ট্র্যাটেজিটা কতটুকু কারেক্ট ছিল, এইটা এই যে সামথিং যেটা ডেফিনেটলি ইয়ে করা যায় আর কি। তা ভালো করে বোঝার বা গবেষণা করার ব্যাপার। ...আমি আপনাকে ডকুমেন্টগুলা পাঠানোর সাথে একটা সিঙ্গেল টেক্সট দিতেছি— কীভাবে আপনি যদি সবগুলোকে একটা সিঙ্গেল ডকুমেন্টে আনতে চান আর কি, ইয়ে করার পরে।
নিজামুল হক নাসিম : সবগুলো?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, একটা বা দুইটা, কোনো সিক্যুয়েন্সে সাজাইলে, ইট উইল মেক সেন্স।
নিজামুল হক নাসিম : আমার এখানে একটা আইসা গেছে ট্রায়াল অব পাকিস্তানি প্রিজনারস অব ওয়ার।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, একটাই মাত্র পাঠাইছি। ওটা হলো মেইনটা, ওটা হইল পিটিশনটা পাঠাইছি আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : তার পরের গুলো পরে যোগ হইবে আর কি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না, এখানে অনেকগুলো আছে তো। এগুলার সিকুয়েন্সটা এখন যেভাবে পাঠাচ্ছি সেটা আসলে সিক্যুয়েন্স না। এটা সিকুয়েন্স আমি লিখে দেব, যেটাতে ওইভাবে আপনি সাজাইবেন। তাহলে ওইটা হইল যে, আপনার যে বুঝতে সুবিধা হবে না। মানে ঘটনাটা ওইভাবে ঘটছে আর কি। আমি পাঠানোর সময় অন্য রকম হইয়া যাইতেছে। সেটাকে ওইভাবে সাজাইবেন আর কি। এখানে ইন্ডিয়ান জাজের একটা অপিনিয়ন আছে যে দেশ মামলা করে, সেই দেশ একজন জাজ নোমিনেট করতে পারে...। আপনাকে এখন আমি... দেখি কত হইল টোটাল ভলিউমটা। আমি একটা টেক্সট পাঠিয়েছি, যেটাতে সিকুয়েন্স লেখা আছে। যদি আপনি বাইন্ডিং করেন, অর পুট ইট টুগেদার তবে একটা কমপ্লিট স্টোরি হয়ে যাবে। ইউ উইল গেট এভরিথিং। ২-১ মিনিট পরে... দেখেন গেছে কি না, ৯টা অ্যাটাচমেন্ট পাঠাইছি। আমার চিন্তা ভাবনাতে এই যে, এই হোল অ্যাটিচুডটা দু’টি দিক থেকে খুব সিগনিফিকেন্ট। একটা হচ্ছে যে, ক্রাইম হয়েছে তার বিচার হওয়া দরকার। পাকিস্তান অ্যাজ এ স্টেট হিসেবে এগ্রি করেছে। এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে জেনোসাইড...
নিজামুল হক নাসিম : আইসিসি কেস ডকুমেন্টস... ডকুমেন্টস।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : প্রথম যেটা গেছে, সেটা হচ্ছে মেইন অ্যাপ্লিকেশন। এর পর হলো রাইটার প্রসিডিং যেটা আছে, রিকোয়েস্ট ফর ইনটারিম প্রটেকশন যেই ফাইলটা আছে, সেটা ঢুকাবেন।
নিজামুল হক নাসিম : ওরাল আরগুমেন্ট?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওরাল আরগুমেন্ট হেডলাইনে আছে। অর্ডার হলো, ৫টা অর্ডার আছে সেখানে...
নিজামুল হক নাসিম : তারপর হলো করেসপন্ডেন্স। এতে হবে কি হোল স্টোরিটা বুঝা যাবে। আর স্টোরিটা ওরা এভাবেই সাজাইছে—মানে অল ডকুমেন্ট তারা কম্পাইল করছে ঠিক এইভাবে...
নিজামুল হক নাসিম : ঠিক আছে, ফাইন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা অনেক বড় হবে। দরকার হয় পরে আমরা আরও অনেক কথা বলব। Its very important very significant. আপনাকে হয়তোবা সবকিছুর রেফারেন্স দিতে হবে না। কিন্তু একটু একটু করে রেফার করলেও চলবে।
নিজামুল হক নাসিম : পড়লেই আইডিয়া হয়ে যাবে...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ হ্যাঁ, পড়লে কমপ্লিট যে আইডিয়াটা হবে, সেটা হচ্ছে যে—হাউ রাইট উই আর এবং এই জিনিসটা এখান থেকে এস্টাবলিশ করা যাবে আর কি। যে পাকিস্তান ওয়াজ ভেরি রাইট অ্যাডমিটিং যে, তাদের আসলে জুরিসডিকশন আছে। এটা কিন্তু আমাদের স্বীকার করতে কোনোই অসুবিধা নাই যে, তাদেরই দায়িত্ব ছিল বিচার করা। তারা তাদের মতো বিচার করলে এখনও করতে পারে। পাকিস্তান কিন্তু স্টিল টুডে তার লোকদের বিচার করতে পারে। পাকিস্তানের আইনেও কোনো লিমিটেশন নাই। ইন্টারন্যাশনাল আইনে তো নাই আর কি। কাজেই তারা তাদের বিচার করতে পারে। কিন্তু আমাদের বিচারের প্রসেসটা নিয়ে যে প্রশ্নটা আর কি, হয়তোবা যদি কোনো পাসিং রিমার্কস করতে চান তাহলে বলা যাবে যে, পাকিস্তান নিজেরাই অ্যাডমিট করে রাখছে আর আমাদের তো কথাই নাই। কারণ আমাদের ভিকটিম আছে, আমাদের মাটিতে ক্রাইম হইছে। তাই আমাদের প্রচেষ্টা খুবই ন্যাচারাল। ডমেস্টিক আইনেও অবলিগেশন আছে, ইন্টারন্যাশনাল আইনেও অবলিগেশন আছে। মেইন অবলিগেইশন হচ্ছে কনস্টিটিউশনেও আছে টু প্রসিকিউট। লিগ্যাল আইনেও অবলিগেশন আছে টু ইনভেস্টিগেট অ্যান্ড প্রসিকিউট। এটা যেহেতু আপনার প্রথম কেস, কাজেই এটাকে প্রত্যেকটা কেসেই আমি জানি না আপনারা কী চিন্তা করছেন, জানি না। তবে নরমালি নিয়ম হচ্ছে, প্রত্যেকটা কেসে একই আরগুমেন্ট দিতে হবে...।
নিজামুল হক নাসিম : যা-ই হোক, এই পার্টটা আগে প্রথম জাজমেন্টে দিয়া লই। তারপর বুঝা যাবে পরের জাজমেন্টে এইটা থাকবে কি থাকবে না; আর আমি পরে থাকব কি থাকব না। অনেক কিছু আছে... প্রথমটায় আমি দিব—এই হলো কথা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : It is very important. আপনি আবার কই যাবেন? আপনারে কি উপরের দিকে ...
নিজামুল হক নাসিম : আরে লউ যে বলে, ওরা বলতাছে একটা জাজমেন্ট দাও আগে, তাইলে তোমারে নিয়া আসি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : একটা না, আগে বড় সাহেবের জাজমেন্টটা দিয়া আসি।
নিজামুল হক নাসিম : হা... হা... হা...। এইটা তার ল্যাংগুয়েজ আর কি, তার ল্যাংগুয়েজ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : বড় মিয়া আবার ওইটার জন্য ওয়েট করতে কিসের জন্য?
নিজামুল হক নাসিম : এদের ভিউ হইল অ্যাপিলেইট ডিভিশনের জাজদের ট্রাইব্যুনালে রাখবে না। আর গভার্নমেন্ট অ্যাডামেন্ট এদের রাখবেই। হের পর কী হইবে আল্লাহই জানে। হা... হা... হা... । আমি তো বলছি স্যার, আপনারা শিলপাটায় ঘষাঘষি করেন আর মাঝখানে আমার অবস্থা কাহিল। হা... হা... হা...। আমার আর প্রোমোশন হইবে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি ওইটাই কইতাছি—আপনি পাটাপুতার মাঝখানে পইড়া যাইয়েন না আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, সেইটাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : উনিও তো থাকতেছে আসলে। তো কাজেই উপায় নাই আর কি। ওইটা ঠিক আমি জানি না। ওনাদের ভিউটা কী? অনেক মানুষই তো... এ রকম হইছে না? আর সবসময়ই তো হচ্ছে এ রকম। আপনি হাইকোর্ট ডিভিশনে একটা জিনিস ডিল করছেন। এরপর আপনি অ্যাপিলেট ডিভিশনে আছেন, সেখানে আর কাজ করতেছেন না।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ শুনবেন না রাইট। এছাড়া আর কিছুই না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তাই না, এাঁ তো হরহামেশা হইছে এবং এাঁ তো স্ট্যান্ডার্ড প্রাকটিস। যদি কেউ আগে... করে অ্যাপিলেট কেস এটা করবে না। উনার এই যুক্তিটা খুব শক্ত ...
নিজামুল হক নাসিম : উনি কয় একটা দেন। সিনহা বাবু কইছে, ডিসেম্বর এর মধ্যে তিনটা দেন। এইটা গোলাম আযম সাহেবের, আর সাকা। এই তিনডা দিয়া ফালাইতে পারলেই হইছে। তারপরে নিয়ে আসি আপনারে আমরা এইখানে। এরপরে ওহানে আপনারে আর লাগবে না। এই হইছে কথা আর কি। আমি কইছি, যা করেন করেন, প্রমোশনডা দিয়া লন আগে। হা... হা... হা...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হি... হি... হি...।
নিজামুল হক নাসিম : তো ঠিক আছে জিয়া ভাই, আজকের মতো রাখি অ্যাঁ...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঠিক আছে, ওকে। থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ। আমি আপনাকে বাকিগুলা পাঠিয়ে দেব ওই যে, যেগুলা বললাম আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : ওকে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওকে।
সিকুয়েন্স আমি লিখে দেব, যেটাতে ওইভাবে আপনি সাজাইবেন
শাহরিয়ার ভাই তো দেখি হেভি চেইতা গেছে। হা...হা...হা...।
নিজামুল হক নাসিম : হা... হা... হা...। ইডিয়েট ফিডিয়েট কইছে স্টুপিড।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ৫ দিন... ৬ দিন পরে তারে আরও ২ দিন দিতেছে এবং তাদেরকে অনুরোধ করতেছে সোমবারের মধ্যে শেষ করার জন্য।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ...। উনি বলছেন যে, বিদেশ যাবেন, এটা করবে। আজকে তো শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কেন যে শেষ করে দিল না, বোঝলাম না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, আপনাকে এইটা পাঠাইয়া দিলাম। আইসিসিওয়াইয়ের কেসটা। হোল ডকুমেন্ট। এটা কত যে পাতা হবে, সেটা জানি না
নিজামুল হক নাসিম : আপনি দেন এরপর আমি দেখমুয়েনে, অসুবিধা নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না, খুব বেশি না। এটা রিলেটেড আরও কাগজ আছে। সব আপনাকে, কাগজই পাঠাইব আপনাকে। এটা পড়তে ভালো লাগবে। ইন্টারেস্টিং টু রিড—ইতিহাসের অংশটা, প্লাস কীভাবে ঘটনাটা ইনভলব করছে। এরপর বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল ল’য়ের এক্সপ্লানেশনগুলো আছে। ইন্টারন্যাশনাল ল’য়ের রেফারেন্সগুলা আছে। বঙ্গবন্ধুর অনেকগুলা স্টেটমেন্ট আছে যে, বিচার যে করা হবে সেগুলা তারা ইয়ে করছে। এরপরে পাকিস্তান করছে কি যে—প্রভিশনাল মেজারের জন্য একটা রিকোয়েস্ট করছে। এইটাও পাঠাইতেছি। প্রভিশনাল মেজারটা হচ্ছে যে, আমাদের স্টে অর্ডার আর কি। আমাদের দেশীয় ভাষায় স্টে অর্ডার। আমি দরখাস্ত করলাম—এখন তুমি কর কী যে, স্টে কইরা দাও, যেন তারা পাঠায়া না দিতে পারে। যেন না পাঠায়। মানে ইন্টেরিম মেজার অব প্রটেকশন চায় এবং একটা ক্লেইম করলাম যে, আমাদের লোকদের বিচার করতে পারবে না। কেবল মাত্র আমরা তা করতে পারি। সো প্লিজ ই.. করো, এই প্রভিশনাল মেজারটা দাও যেন যে, বিচার যাতে না হইতে পারে।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যান্ডওভার যেন না হয়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ.. হ্যান্ডওভার যেন না হয়। এরপরে যেটা হইছে, এটা হলো যে, বুঝা যাবে কী করে ধাপে ধাপে এগোয় প্রসেসটা। এরপর কিন্তু একটা ওরাল আরগুমেন্ট হইছে আর কি। মানে পাকিস্তান আরগু করছে ইয়ের সামনে। মানে আইসিসির সামনে। ওইটা হচ্ছে মিনিটস অব দ্য পাবলিক সিটিং... পাবলিক হেয়ারিং যেটা হয়েছে। ... ওরাল আরগুমেন্টে আপনি দেখবেন, কী কী হইছে আর কি। ... একটা জাজের অপিনিয়ন পাঠাচ্ছি, যেটা ফ্রেঞ্চে আছে, কিন্তু দেখবেন নিচে ইংরেজি ট্রান্সলেশন করা আছে। ... এই জিনিসটাও আমাদের আইসিটির ইতিহাসের অংশ হিসেবে থাকা উচিত। মানে এইডার উপরই আপনি ইচ্ছ করলে মানে কনসিডারিং ইটস সিগনিফিকেন্স—ওদের ভাষায় কমনলি এটা হচ্ছে চঙড কেস আর কি এটা। ফাইনাল অর্ডারটা হচ্ছে লিস্ট থাইকা রিমোভ করা আর কি। পাকিস্তান রিকোয়েস্ট করছে যে, আমরা চাই যে তোমরা এইটা ডিলিস্ট করো আর কি। কারণ ততক্ষণে এগ্রিমেন্ট হয়ে গেছে আমাদের। ৭৩ সালের ডিসেম্বরের অর্ডার এইটা। তখন বঙ্গবন্ধুর হচ্ছে, পাকিস্তানের রিকগনাইশন ছাড়া আসলে আমরা যেহেতু মুসলিম ওয়ার্ল্ডের রিকগনিশন পাচ্ছিলাম না, এইটা ওনার কাছে সামহাউ ওনার কাছে খুবই ইম্পোর্ট্যান্ট ছিল।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মানে খুবই ইম্পোর্টেন্ট একটা ইস্যু ছিল। যা-ই হোক, পাকিস্তানের রিকগনিশন দরকার আমাদের। তাহলেই আমাদের পূর্ণাঙ্গ বাংলাদেশ হবো আর কি। ওই চিন্তাটা খুব বেশি ডিপলি থাকার কারণে এবং যেহেতু উনি এখানে অনুপস্থিত ছিলেন, এখানে ৭১ সালে ছিলেন না ফিজিক্যালি। পরবর্তীকালে শুধু শুনছেন এখানে কী হয়েছে। এখানেই একটু সমস্যা হইয়া গেছে। সে কারণে ওনি ঠিক বুঝতে পারেন নাই এটা সিগনিফিকেন্সটা, মানে এটা কত হাউ ডিপ ইমোশনাল এই ব্যাপারটা ছিল আর কি। এসব ইতিহাস এই ডকুমেন্টসগুলা পড়লে বুঝা যায় আমাদের প্রায়োরিটিগুলা কী ছিল তখন। কেউ যদি রিয়েলি ক্রিটিক্যালি দেখে আর কি। আমরা কি এটা রাইট বা সঠিক প্রায়োরিটি সেট করছিলাম কি না, তখন আমরা। পাকিস্তানের রিকগনিশন আমাদের কত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেটা কি অ্যাটহোল কস্ট? এরপর মুসলিম ওয়ার্ল্ডের রিকগনাইশনটা। এতে কিন্তু খুব একটা বেশি লাভ হয়নি। কারণ হচ্ছে যে, মেইন যে নাটের গুরু আর কি সৌদি আরব। ৭৫ সালের আগ পর্যন্ত মানে বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতে দেয় নাই। তাই উনার যে স্ট্র্যাটেজিটা কতটুকু কারেক্ট ছিল, এইটা এই যে সামথিং যেটা ডেফিনেটলি ইয়ে করা যায় আর কি। তা ভালো করে বোঝার বা গবেষণা করার ব্যাপার। ...আমি আপনাকে ডকুমেন্টগুলা পাঠানোর সাথে একটা সিঙ্গেল টেক্সট দিতেছি— কীভাবে আপনি যদি সবগুলোকে একটা সিঙ্গেল ডকুমেন্টে আনতে চান আর কি, ইয়ে করার পরে।
নিজামুল হক নাসিম : সবগুলো?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, একটা বা দুইটা, কোনো সিক্যুয়েন্সে সাজাইলে, ইট উইল মেক সেন্স।
নিজামুল হক নাসিম : আমার এখানে একটা আইসা গেছে ট্রায়াল অব পাকিস্তানি প্রিজনারস অব ওয়ার।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, একটাই মাত্র পাঠাইছি। ওটা হলো মেইনটা, ওটা হইল পিটিশনটা পাঠাইছি আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : তার পরের গুলো পরে যোগ হইবে আর কি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না, এখানে অনেকগুলো আছে তো। এগুলার সিকুয়েন্সটা এখন যেভাবে পাঠাচ্ছি সেটা আসলে সিক্যুয়েন্স না। এটা সিকুয়েন্স আমি লিখে দেব, যেটাতে ওইভাবে আপনি সাজাইবেন। তাহলে ওইটা হইল যে, আপনার যে বুঝতে সুবিধা হবে না। মানে ঘটনাটা ওইভাবে ঘটছে আর কি। আমি পাঠানোর সময় অন্য রকম হইয়া যাইতেছে। সেটাকে ওইভাবে সাজাইবেন আর কি। এখানে ইন্ডিয়ান জাজের একটা অপিনিয়ন আছে যে দেশ মামলা করে, সেই দেশ একজন জাজ নোমিনেট করতে পারে...। আপনাকে এখন আমি... দেখি কত হইল টোটাল ভলিউমটা। আমি একটা টেক্সট পাঠিয়েছি, যেটাতে সিকুয়েন্স লেখা আছে। যদি আপনি বাইন্ডিং করেন, অর পুট ইট টুগেদার তবে একটা কমপ্লিট স্টোরি হয়ে যাবে। ইউ উইল গেট এভরিথিং। ২-১ মিনিট পরে... দেখেন গেছে কি না, ৯টা অ্যাটাচমেন্ট পাঠাইছি। আমার চিন্তা ভাবনাতে এই যে, এই হোল অ্যাটিচুডটা দু’টি দিক থেকে খুব সিগনিফিকেন্ট। একটা হচ্ছে যে, ক্রাইম হয়েছে তার বিচার হওয়া দরকার। পাকিস্তান অ্যাজ এ স্টেট হিসেবে এগ্রি করেছে। এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে জেনোসাইড...
নিজামুল হক নাসিম : আইসিসি কেস ডকুমেন্টস... ডকুমেন্টস।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : প্রথম যেটা গেছে, সেটা হচ্ছে মেইন অ্যাপ্লিকেশন। এর পর হলো রাইটার প্রসিডিং যেটা আছে, রিকোয়েস্ট ফর ইনটারিম প্রটেকশন যেই ফাইলটা আছে, সেটা ঢুকাবেন।
নিজামুল হক নাসিম : ওরাল আরগুমেন্ট?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওরাল আরগুমেন্ট হেডলাইনে আছে। অর্ডার হলো, ৫টা অর্ডার আছে সেখানে...
নিজামুল হক নাসিম : তারপর হলো করেসপন্ডেন্স। এতে হবে কি হোল স্টোরিটা বুঝা যাবে। আর স্টোরিটা ওরা এভাবেই সাজাইছে—মানে অল ডকুমেন্ট তারা কম্পাইল করছে ঠিক এইভাবে...
নিজামুল হক নাসিম : ঠিক আছে, ফাইন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা অনেক বড় হবে। দরকার হয় পরে আমরা আরও অনেক কথা বলব। Its very important very significant. আপনাকে হয়তোবা সবকিছুর রেফারেন্স দিতে হবে না। কিন্তু একটু একটু করে রেফার করলেও চলবে।
নিজামুল হক নাসিম : পড়লেই আইডিয়া হয়ে যাবে...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ হ্যাঁ, পড়লে কমপ্লিট যে আইডিয়াটা হবে, সেটা হচ্ছে যে—হাউ রাইট উই আর এবং এই জিনিসটা এখান থেকে এস্টাবলিশ করা যাবে আর কি। যে পাকিস্তান ওয়াজ ভেরি রাইট অ্যাডমিটিং যে, তাদের আসলে জুরিসডিকশন আছে। এটা কিন্তু আমাদের স্বীকার করতে কোনোই অসুবিধা নাই যে, তাদেরই দায়িত্ব ছিল বিচার করা। তারা তাদের মতো বিচার করলে এখনও করতে পারে। পাকিস্তান কিন্তু স্টিল টুডে তার লোকদের বিচার করতে পারে। পাকিস্তানের আইনেও কোনো লিমিটেশন নাই। ইন্টারন্যাশনাল আইনে তো নাই আর কি। কাজেই তারা তাদের বিচার করতে পারে। কিন্তু আমাদের বিচারের প্রসেসটা নিয়ে যে প্রশ্নটা আর কি, হয়তোবা যদি কোনো পাসিং রিমার্কস করতে চান তাহলে বলা যাবে যে, পাকিস্তান নিজেরাই অ্যাডমিট করে রাখছে আর আমাদের তো কথাই নাই। কারণ আমাদের ভিকটিম আছে, আমাদের মাটিতে ক্রাইম হইছে। তাই আমাদের প্রচেষ্টা খুবই ন্যাচারাল। ডমেস্টিক আইনেও অবলিগেশন আছে, ইন্টারন্যাশনাল আইনেও অবলিগেশন আছে। মেইন অবলিগেইশন হচ্ছে কনস্টিটিউশনেও আছে টু প্রসিকিউট। লিগ্যাল আইনেও অবলিগেশন আছে টু ইনভেস্টিগেট অ্যান্ড প্রসিকিউট। এটা যেহেতু আপনার প্রথম কেস, কাজেই এটাকে প্রত্যেকটা কেসেই আমি জানি না আপনারা কী চিন্তা করছেন, জানি না। তবে নরমালি নিয়ম হচ্ছে, প্রত্যেকটা কেসে একই আরগুমেন্ট দিতে হবে...।
নিজামুল হক নাসিম : যা-ই হোক, এই পার্টটা আগে প্রথম জাজমেন্টে দিয়া লই। তারপর বুঝা যাবে পরের জাজমেন্টে এইটা থাকবে কি থাকবে না; আর আমি পরে থাকব কি থাকব না। অনেক কিছু আছে... প্রথমটায় আমি দিব—এই হলো কথা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : It is very important. আপনি আবার কই যাবেন? আপনারে কি উপরের দিকে ...
নিজামুল হক নাসিম : আরে লউ যে বলে, ওরা বলতাছে একটা জাজমেন্ট দাও আগে, তাইলে তোমারে নিয়া আসি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : একটা না, আগে বড় সাহেবের জাজমেন্টটা দিয়া আসি।
নিজামুল হক নাসিম : হা... হা... হা...। এইটা তার ল্যাংগুয়েজ আর কি, তার ল্যাংগুয়েজ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : বড় মিয়া আবার ওইটার জন্য ওয়েট করতে কিসের জন্য?
নিজামুল হক নাসিম : এদের ভিউ হইল অ্যাপিলেইট ডিভিশনের জাজদের ট্রাইব্যুনালে রাখবে না। আর গভার্নমেন্ট অ্যাডামেন্ট এদের রাখবেই। হের পর কী হইবে আল্লাহই জানে। হা... হা... হা... । আমি তো বলছি স্যার, আপনারা শিলপাটায় ঘষাঘষি করেন আর মাঝখানে আমার অবস্থা কাহিল। হা... হা... হা...। আমার আর প্রোমোশন হইবে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি ওইটাই কইতাছি—আপনি পাটাপুতার মাঝখানে পইড়া যাইয়েন না আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, সেইটাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : উনিও তো থাকতেছে আসলে। তো কাজেই উপায় নাই আর কি। ওইটা ঠিক আমি জানি না। ওনাদের ভিউটা কী? অনেক মানুষই তো... এ রকম হইছে না? আর সবসময়ই তো হচ্ছে এ রকম। আপনি হাইকোর্ট ডিভিশনে একটা জিনিস ডিল করছেন। এরপর আপনি অ্যাপিলেট ডিভিশনে আছেন, সেখানে আর কাজ করতেছেন না।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ শুনবেন না রাইট। এছাড়া আর কিছুই না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তাই না, এাঁ তো হরহামেশা হইছে এবং এাঁ তো স্ট্যান্ডার্ড প্রাকটিস। যদি কেউ আগে... করে অ্যাপিলেট কেস এটা করবে না। উনার এই যুক্তিটা খুব শক্ত ...
নিজামুল হক নাসিম : উনি কয় একটা দেন। সিনহা বাবু কইছে, ডিসেম্বর এর মধ্যে তিনটা দেন। এইটা গোলাম আযম সাহেবের, আর সাকা। এই তিনডা দিয়া ফালাইতে পারলেই হইছে। তারপরে নিয়ে আসি আপনারে আমরা এইখানে। এরপরে ওহানে আপনারে আর লাগবে না। এই হইছে কথা আর কি। আমি কইছি, যা করেন করেন, প্রমোশনডা দিয়া লন আগে। হা... হা... হা...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হি... হি... হি...।
নিজামুল হক নাসিম : তো ঠিক আছে জিয়া ভাই, আজকের মতো রাখি অ্যাঁ...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঠিক আছে, ওকে। থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ। আমি আপনাকে বাকিগুলা পাঠিয়ে দেব ওই যে, যেগুলা বললাম আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : ওকে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওকে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর রুল জারি করে এক আদেশে তিনি উল্লেখ করেছেন, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন ও অন্যদের সঙ্গে আধুনিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্কাইপি আলোচনা করেন। তাদের কাছ থেকে এই আইনের বিষয়ে পরামর্শ নেন।
আমাদের কাছে আসা রেকর্ড থেকেও জানা গেছে ড. আহমদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে প্রায় নিয়মিত এবং রায়হান রশিদ নামে অপর আরেকজনের সঙ্গে কথোপকথন হয়। ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন হলেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ল’ইয়ার এবং ‘সেন্টার ফর বাংলাদেশ জেনোসাইড স্টাডিজ ইন বেলজিয়াম’-এর পরিচালক। তিনি ব্রাসেলস ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষকতাও করেন। গত ২৯ নভেম্বর হেগে ‘নো পিস উইদাউট জাস্টিজ’ নামক একটি সংগঠনের উদ্যোগে যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক সেমিনারে তিনি যোগ। এ সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সাইফুল ইসলাম তারেক যোগ দেন। এছাড়া যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত রায়হান রশিদ নামে একজন যোগ দেন। বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম প্রায় নিয়মিতই সন্ধ্যার পর স্কাইপি আলোচনা করেন তাদের সঙ্গে। ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন এবং রায়হান রশিদের সঙ্গে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তাদের স্কাইপি আলোচনা থেকেও এটা স্পষ্ট। বিচারপতি নিজমুল হক নাসিম স্কাইপি আলোচনার বিষয়টি স্বীকার করে দ্য ইকোনমিস্টের বিরুদ্ধে রুল জারির পর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। বিচারপতি কোর্টের বাইরে মামলা নিয়ে কারও সঙ্গে বিশেষ আলোচনা করতে পারেন কিনা—এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আইনজীবী মহলে।
ইকনোমিস্টকে জারি করা রুলের আদেশে বিচারপতি নিজামুল হক বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনটি নতুন ধারণা। এজন্য তিনি বিশেষজ্ঞ হিসেবে ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন ও অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে পরামর্শ নেন। আমাদের কাছে আসা স্কাইপি আলোচনার তথ্যে বিচারপতির মুখে শোনা যায় বিভিন্ন কথা। তিনি ১৪ অক্টোবরের কথোপকথনে আহমদ জিয়াউদ্দিনকে বলেন, গভর্নমেন্ট রায়ের জন্য পাগল হইয়া গেছে। সাঈদীরটা হলে ডিসেম্বরের মধ্যে রায় দেতে পারবো। গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়া। তারা একটা রায় চায়।’ ১৫ অক্টোবরের কথোপকথনের এক পর্যায়ে তিনি ড. আহমদ জিয়াউদ্দিনকে বলেন, ‘আমাদের তো স্টেট মিনিস্টার যাচ্ছে হজে। আজকে আসছিল আমার লগে দেখা করতে সন্ধ্যায়। ওনি বললেন যে রায়টা তাড়াতাড়ি দেবেন।’ ২৭ আগস্টের কথোপকথনে দেখা যায় ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি একেএম জহির পদত্যাগের বিষয়ে ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন জানতে চান। এবং নতুন যাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে তার সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। এর জবাবে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম জানান, ‘আমাদের চয়েসও না, আমার জানা মতে ল’ মিনিস্টারের চয়েসও না। কিন্তু তার নাম আইস্যা চিফ জাস্টিসের রিকমান্ডেশনও হইয়া গেছে। সে হলো জজকোর্টের ল’ইয়ার ছিল। জজকোর্টের লেভেল থেকে মনে হয় হইছে। কামরুল-টামরুল করছে আর কি। যাই হোক, মনে হচ্ছে আমার। জজকোর্টের ল’ইয়ার ছিল। আপনার অ্যা.. স্মাগলিং কোর্টের পিপি আছিলে, তার নাম হইল সোনা জাহাঙ্গীর।’ ৬ সেপ্টেম্বরের কথোপকথনে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেন, ‘সিনহা বাবু কইছে-ডিসম্বরের মধ্যে তিনডা দিয়া লন, তারপর আমরা আপনারে এহানে নিয়া আসি।’ এছাড়াও বহু রাজনৈতিক বিষয় রয়েছে কথোপকথনে। গত আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বিভিন্ন দিনের কথোপকথন পর্যালোচনা করে ২৭ আগস্ট, ৬ সেপ্টেম্বর, ৮ সেপ্টেম্বর, ১৪ অক্টোবর ও ১৫ অক্টোবরের স্কাইপি কথোপকথনের বিস্তারিত হুবহু পাঠকের সামনে তুল ধরা হলো।
গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়া তারা একটা রায় চায়
পরিচালক। তিনি ব্রাসেলস ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষকতাও করেন। গত ২৯ নভেম্বর হেগে ‘নো পিস উইদাউট জাস্টিস’ নামক একটি সংগঠনের উদ্যোগে যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক সেমিনারে তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন। এ সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সাইফুল ইসলাম তারেক এবং যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত রায়হান রশিদ নামে একজন যোগ দেন। বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম প্রায় নিয়মিতই সন্ধ্যার পর স্কাইপি আলোচনা করেন তাদের সঙ্গে। ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন এবং রায়হান রশিদের সঙ্গে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তাদের স্কাইপি আলোচনা থেকেও এটা স্পষ্ট। বিচারপতি নিজমুল হক নাসিম স্কাইপি আলোচনার বিষয়টি স্বীকার করে দ্য ইকোনমিস্টের বিরুদ্ধে রুল জারির পর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। বিচারপতি কোর্টের বাইরে মামলা নিয়ে কারও সঙ্গে বিশেষ আলোচনা করতে পারেন কি না—এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আইনজীবী মহলে।
ইকোনমিস্টকে জারি করা রুলের আদেশে বিচারপতি নিজামুল হক বলেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনটি নতুন ধারণা। এজন্য তিনি বিশেষজ্ঞ হিসাবে ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন ও অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনা করে পরামর্শ নেন। আমাদের কাছে আসা স্কাইপি আলোচনার তথ্যে বিচারপতির মুখে শোনা যায় বিভিন্ন কথা। তিনি ১৪ অক্টোবরের কথোপকথনে আহমদ জিয়াউদ্দিনকে বলেন-গভর্নমেন্ট রায়ের জন্য পাগল হইয়া গেছে। সাঈদীরটা হলে ডিসেম্বররের মধ্যে রায় দেতে পারবো। গভর্নমেন্ট গেয়ে পাগল হইয়া। তারা একটা রায় চায়।’ ১৫ অক্টোবরের কথোপকথনের এক পর্যায়ে তিনি ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন বলেন-‘আমাদের তো স্টেট মিনিস্টার যাচ্ছে হজে। আজকে আসছিল আমার লগে দেখা করতে সন্ধ্যায়। ওনি বললেন যে রায়টা তাড়াতাড়ি দেবেন।’ ২৭ আগস্টের কথোপকথনে দেখা যায় ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি এ কে এম জহির পদত্যাগের বিষয়ে ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন জানতে চান। এবং নতুন যাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে তাঁর সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। এর জবাবে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম জানান, ‘আমাদের চয়েসও না, আমার জানা মতে ল’ মিনিস্টারের চয়েসও না। কিন্তু তাঁর নাম আইস্যা চীফ জাস্টিসের রিকমান্ডেশনও হইয়া গেছে। সে হলো জজ কোর্টের ল’ইয়ার ছিল। জজ কোর্টের লেবেল থেকে মনে হয় হইছে। কামরুল-টামরুল করছে আর কি। যাই হোক, মনে হচ্ছে আমার। জজ কোর্টের ল’ইয়ার ছিল। আপনার অ্যা.. স্মাগলিং কোর্টের পিপি আছিলে, তাঁর নাম হইল সোনা জাহাঙ্গির।‘ ৬ সেপ্টেম্বরের কথোপকথনে বিচারাতি নিজামুল হক নাসিম বলেল-‘সিনহা বাবু কইছে-ডিসম্বরের মধ্যে ৩ডা দিয়া লন, তার পর আমরা আপনারে এহানে নিয়া আসি।’ এছাড়াও বহু রাজনৈতিক বিষয় রয়েছে কথোপকথনে। গত আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বিভিন্ন দিনের কথোপকথন পর্যালোচনা করে ২৭ আগস্ট, ৬ সেপ্টেম্বর, ৮ সেপ্টম্বর, ১৪ অক্টোবর ও ১৫ অক্টোবরের স্কাইপি কথোপকথনের বিস্তারিত হুবহু পাঠকের সামনে তুল ধরা হলো।
কথোপথনের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১২
নিজামুল হক নাসিম : হ্যালো...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কেমন আছেন, কেমন?
নিজামুল হক নাসিম : আছি ভালোই, আপনে কেমন আছেন?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আছি ভালোই, আজকে আমরা তো একটু গণতন্ত্র চর্চা করে এলাম আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : কী চর্চা...?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : গণতন্ত্রের চর্চা আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : ও গণতন্ত্র!
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আজকে আমাদের এই লোকাল, স্থানীয় সরকার ও প্রাদেশিক সরকারের ইয়ে ছিল আরকি।
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ভোট ছিল।
নিজামুল হক নাসিম : ভোট ছিল, ভোট?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, ভোট।
নিজামুল হক নাসিম : বা... বা... বা খুব ভালো।
আহমদ জিয়াউদ্দিন: কিন্তু এগুলো তো হচ্ছে, পানসা ভোট আসলে।
নিজামুল হক নাসিম : এ্যা...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এগুলো পানসা-টানসা টাইপের ভোট আরকি।
নিজামুল হক নাসিম : তা তো বটে, ভোট হয় বাংলাদেশে। ওইসব ভোটে কোনো আরাম আছে—কেনো আরাম নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মানুষ যাচ্ছে ভোটিং সেন্টারে যার যার। একটা, দুইটা, তিনটা কইরা মানুষ যাইতেছে, চাইরটা কইরা যাইতেছে, আস্তে কইরা গাড়ি থেকে নাইমা চইলা গে। আবার আস্তে... কোনো মানুষ নাই, কেউ রিসিভ করতেছে না, কেউ জিন্দাবাদ নাই... কোনো কিছু নাই।
নিজামুল হক নাসিম : ভালো...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইবারে আরেকটু নতুন জিনিস করেছে আরকি। এর আগের বারে ইলেকট্রোনিক ভোটিংই ছিল, কিন্তু এইবার টাচ্ ইলেকট্রোনিক ভোটিংয়ের আরেকটা, সেফটি মেজার এইবার ইনট্রিডিউস করছে আরকি। তাতে হচ্ছে যে, এটা আরও সিকিউরড হইছে যে, আপনার ভোটটা ওরা আইডেনটিফাই করতে পারবে।
নিজামুল হক নাসিম : ও জাগায় তো ভোট দেয়া কম্পালসারি, না?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ কম্পালসারি দেইখাইতো যাইতে হয়, না হইলে তো মানুষ বোধহয় যাইতও না। এইবার একটু বেশি মনে হচ্ছে আমার কাছে, স্থানীয় নির্বাচনে একটু ইন্টারেস্ট থাকে মানুষের। কারণ এটা এই, এই লোকাল গভর্নমেন্টের তো, এখানে রাস্তাঘাটের প্ল্যানিং-ট্যানিং থেকে শুরু করে সার্ভিস-টার্ভিস সবই তো লোকাল গভর্নমেন্ট প্রভাইড করে। সেই জন্য একটা ইন্টারেস্ট আছে আর কি। বাট এ্যাঁ, এটা হচ্ছে যে, বাসায় বাসায় চিঠি পাঠাচ্ছে যে, চিঠি দিয়ে যাচ্ছে দুই-চারটা ক্যানডিডেট দেখি, দু-একটা পার্টির ক্যানডিডেট আসছেও আর কি। মানে চিঠি দিতে আসছে আর কি। সব কেনডিডেটই আসে আর কি। নিজে আইসা বাসায় বাসায় চিঠি দিয়া যায় আর কি। কিন্তু এতটুকুই আর কি, এর বেশি কিছু না। দুই-একজন বইলা গেছে, আমরা কিন্তু তোমার প্রতিবেশী।
নিজামুল হক নাসিম : হে, এ্যাঁ...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তা ঠিক আছে। আপনার আজকের দিন কেমন ছিল? আমি তো দেখলাম কয়েকটা নিউজ আজকে।
নিজামুল হক নাসিম : ভালোই, আর খবর-টবর কী?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এ্যাঁ..., খবর তো আমরা কালকে নিজেরা কথা বলছি। সো... একটা চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে এগুলোর। আপনার সাথে কালকে যেটা কথা হইছে। কাল মালুম ভাইর সাথে কথা হয় নাই। কাজেই... আজকে ওই গোলাম আযমেরটা কতদূর আগাইছে?
নিজামুল হক নাসিম : গোলাম আযম ফাস্ট হাফ হইছে। সেকেন্ড হাফে আবার সাঈদী ধরছিলাম। আগাচ্ছে আর কি। সাঈদীর তো ওই ডকুমেন্ট জমা হচ্ছে। ১৩ নম্বর সাক্ষী এখনও চলতেছে, চলবে...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন: উনাদের কারো সঙ্গে কালকে কথা হয় নাই অবশ্য। কালকে বোধহয় ছুটির দিন ছিল দেইখ্যা উনারা ব্যস্ত ছিলেন বোধহয়, এইজন্য স্কাইপি আসতে পারে নাই।
নিজামুল হক নাসিম : আইজকে তো... আচ্ছা দেখা যাক, সাঈদী এবং গোলাম আজম কেইসই তো আগাচ্ছি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন: হ্যাঁ, ওই যে দুই নাম্বারের চক্করটা। এটা বুঝার জন্য আলোচনা কালকে রাত্রে হওয়ার কথা ছিল। আমি ধারণা করছিলাম হয়তোবা আজকে হবে। দেখা যাক, আমি মনে করি এইটা যে, দুই-তিনটা স্ট্র্যাটিজি হতে হবে। একটা হচ্ছে যে, একটা অলরেডি মেসেজ দেওয়া হইছে আর কি...। আইনমন্ত্রীকে দেয়া হইছে। মানে দেওয়ার কথা আজকে মেসেজ পৌঁছানোর কথা আছে।
নিজামুল হক নাসিম : মেসেজ দেলে কি কাজ হইবে..., মেসেজে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তা জানি না। কিন্তু এটা তো দিতে হবে। একদিক থেকে শুরু করতে হবে আরকি। এটা উনাকে মেসেজটা দেওয়া হচ্ছে যে একটা, ইয়েটা-ডিসিশনটা হবে দুই বছরে। মানে এটা একটা কাইন্ড অব পলিসি ডিসিশনের পার্ট হিসাবে হবে। যে, কোন কেইসটা আগে যাচ্ছে? অ্যাটলিস্ট প্রথম কেইসটা। সেকেন্ড হচ্ছে যে, না হলে এটা একদম উপরে যেতে হবে। কারণ এখানে গুড রিজন আছে। যে, সবচেয়ে বেশি যার দায়বদ্ধতা—বেশি, যেটা সবচেয়ে বেশি সিগনিফিকেন্ট পলিটিক্যালি অ্যান্ড আদারওয়াইজ, সেগুলো তো আগে অ্যাড্রেস করতে হবে। বিশেষ করে রেসপনসিবিলিটির দিক থেকে। এটার রিয়েল এরিয়াতেও সিগনিফিকেন্ট এবং পলিটিক্যাল কনটেক্সটেও সিগনিফিকেন্ট। যে বড়গুলারে বাদ দিয়া ছোটগুলারে আগে নিয়া আসার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। এটা প্রথম থাইকা এই সমস্যাটা ছিল। কিন্তু এখন এইটা যে পর্যায়ে আসছে, এটাকে ওভারকাম করা যেতে পারে, যদি মন্ত্রীর একটা সিদ্ধান্ত হয়। এখন পর্যন্ত ১২টা সাক্ষী এই সেন্সে বাকি আছে। আর ওইখানে যে কেইসটা নিয়ে কথা হচ্ছে, একজাক্টলি সেই কেইসটা কী অবস্থায় আছে, সেটা আমি জানি না। কয়টা সাক্ষী ডি ডব্লিউ চলতেছে... ডিডব্লিউই তো চলতেছে ওদের ওইখানে, তাই না?
নিজামুল হক নাসিম : না, ডি ডব্লিউ শুরু হয় নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওই কেইসে ডিডব্লিও শুরু হয় নাই এখনও?
নিজামুল হক নাসিম : না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, তার মানে তারা অনেক বেশি... না কাছাকাছিই তো এগিয়ে আছে বলা যেতে পারে। নাকি না ?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যা.. হ্যা... হ্যা...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওইটার ডি ডব্লিউ শুরু হইতে... ওইটার ব্যপারে আপনার কি কোন ধারণা আছে? ঠিক আছে...। আজকে আমি জিজ্ঞাসা করব।
নিজামুল হক নাসিম : না... না... আমার ধারণা নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওইটার প্রসিকিউটিং ল’ইয়ার কে?
নিজামুল হক নাসিম : তা-ও আমি জানি না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইগুলাই জিজ্ঞাসা করে নিব আজকে, যদি কথা হয়। আর আমাদের আরেকটা লিস্টও করতে হবে। আসলে কে কে হেল্প করতেছে, কে প্রসিকিউটার, মানে লিড প্রসিকিউটার, এই আর কি। কাদের মোল্লার মামলাটা... এটা বোধহয় তারেক।
নিজামুল হক নাসিম : না, তারেক না। তারেক দেখে কামারুজ্জামান। সে মামলা ঢিল দেছে...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, তার মানে, এটা অন্য কেউ দেখে তাহলে। এটা একটা সিনক্রোনাইজ একটা ডিসিশনটা হতে হবে, এই জিনিসটা বুঝাতে হবে যদি...।
নিজামুল হক নাসিম : শোনেন, আমি একটা জিনিস মনে করি। যেডা আমার ব্যক্তিগত মতামত যে, সম্ভব হইলে গোলাম আযম ফাস্ট, সাঈদী সেকেন্ড, কাদের মোল্লা থার্ড। আর যদি তা প্রবলেম হয়, তাইলে সাঈদী ফাস্ট, গোলাম আযম সেকেন্ড, কাদের মোল্লা থার্ডই থাক। কেননা সাঈদীর কেইসটা ডিফারেন্ট। এই সাঈদীর কেইসটার লগে আইনের সম্পর্ক খুব বেশি না। এডা আমাদের দেশি দরবারের মতোই। গোলাম আযম হইল সেটেলমেন্ট অব ল’ হয়ে যাবে এবং...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : রাইট।
নিজামুল হক নাসিম : এই গোলাম আযম হইলো টিম লিডার। সাঈদী সাইড ট্র্যাক। সাঈদীর লগে আপনার লিডার-টিডারশিপের কোনো প্রশ্ন আসতেছে না। গোলম আযমের রায়ের পরে আপনার নিজামী, মুজাহিদ, কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান—সবগুলা রায় হইতে পারে, এর পরে। কিন্তু গোলাম আযম ফাস্টে। ওই গ্রুপের থেকে একমাত্র সাঈদী, সাকা এরা বায়রায় (বাইরে)। সাকারে তো আমি থামাইয়াই দিছি। সাঈদীরে থামাচ্ছি না। কারণ, সাঈদী প্রায় শেষ। এইটা যদি উনাদেরকে বইল্লা... এইডা ওনাদেরকে (ট্রাইব্যুনাল-২) হায়ার লেভেল থেইকা বইল্লা, থামায়া দিতে হবে যে, আপনি কাদের মোল্লারে ঢিল দেন। ঢিল দিয়া বাকিগুলারে সামনে আগান। কেননা, ওই যে অ্যাবসেন্ট যে আছে, ওর নাম জানি কী...? ও বাচ্চু, হ্যারে দিয়া শুরু করেন। আরেকজনরে নিয়া আগান সামনে। এরপর আপনার, পর পর ৩-৪টা রায় দিয়া দেন, অসুবিধা নাই কোন। বাট আফটার গোলাম আযম। নট বিফোর দ্যাট।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইখানে আরেকটা ব্যাপার আছে, এটা আপনি যেটা বললেন, সেটা ঠিক। আবার লিগ্যাল অ্যাঙ্গেল থেকেও এটা ঠিকই যে, সাঈদীরটা লিডারশিপে বা অফ ল’ ইনভলবমেন্ট নাই। কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, বাইরের ওয়ার্ল্ডে অর্থাত্ আউটসাইড দ্য কোর্ট রুম...।
নিজামুল হক নাসিম : তারা চাইবে গোলাম আযমের রায়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, এটা হচ্ছে ইম্পরটেম্লট। সেই অডিয়েন্সটা আছে। আর সেকেন্ড হচ্ছে খুবই ইম্পরটেম্লট... । যদি, সাঈদী যদি প্রথম হইয়া যায়, তাইলে এইটা কিন্তু হিস্টোরিক। মানে ইট উইল নট হিস্টোরিক অ্যানিথিং। মানুষের প্রত্যাশাটা থাকবে হচ্ছে এ্যাঁ এ্যাঁ......।
নিজামুল হক নাসিম : গোলাম আযমের দিকে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সকল দিক বিবেচনা করে বড়টার রায়...।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ... শিওর।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কাজেই সেইটাকে ওইভাবেই টিউন করে নিতে হবে। এখন হয়তোবা পরের দিন জাজমেন্ট দিলেন বা এক সপ্তাহ পরে জাজমেন্ট দিলেন, কোনো অসুবিধা নাই। মানে ডিসিশন এরা পরে দেক, কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু পরে হতে হবে।
নিজামুল হক নাসিম : এডা আমি একমত আপনার লগে। এরা চাপে কেবল... গোলাম আযম শেষ করতে গেলে...। কেননা গোলাম আযম এখনও আইও চলতেছে, তারপর ডিফেন্স উইটনেস হবে। তারপরও এইডা আপনার জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির আগে হবে না। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি লাগবে শেষ করতে। এই পর্যন্ত গভর্নমেন্ট ওয়েট করবে না। গভর্নমেন্ট রায়ের জন্য পাগল হইয়া গেছে। সাঈদীরডা হলে আমি ডিসেম্বরে রায় দেতে পারব। গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়া। তারা একটা রায় চায়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ..., না মানে.., কিন্তু আরেকটা, তাদের সাথে তো কোনো কথা হইতেছে না। সাঈদীরটা আগে রায়ের মধ্যে সিগনিফিকেন্সটা কী? তারা তো শুধু একচোখা হিসাবেই আগাইতেছে, বা তারা পেনিকড হইতেছে। এখানে পেনিক তো হওয়ার কিছু নাই।
নিজামুল হক নাসিম : তারা গেছে পাগল হইয়া মোটমাট, আমি আপনারে বলতেছি। একটা জাজমেন্ট না পাইলে ১৬ই ডিসেম্বর... ১৬ই ডিসেম্বর কইরা ডাহাডাহি করতেছে। এটা কোনো অর্থ হয় না। তারা একটা জাজমেন্ট চাচ্ছে, সোজা হিসাব।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ১৬ই ডিসেম্বরের ভূত তো এর আগেরবারেও ছিল।
নিজামুল হক নাসিম :সে ব্যাপারে সাঈদী আগাইয়া আছে, সাঈদীর রায়ডা হইয়া গেলে গভর্নমেন্ট ঠা-া হইত।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ১৬ই ডিসেম্বরে ভূত কিন্তু, এটা নুতন ভূত না।
নিজামুল হক নাসিম : ডিসেম্বরের আগে না, ডিসেম্বরে হইতে পারে সাঈদীরডা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই ১৬ই ডিসেম্বরের ভূত করতে করতেই তো সমস্ত বিপদে ফেলতেছে আরকি।
নিজামুল হক নাসিম : সব, আর শুরু হইছে তো গোলাম আযম ছয় নাম্বরে। সাঈদী এক, সাকা দুই, নিজামী তিন, কাদের মোল্লা চাইর, কামারুজ্জামান পাঁচ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তদন্ত সংস্থা তো ওইখানেই প্রবলেমটা করেছে।
নিজামুল হক নাসিম : তাইলে এইডা করবেন কী আপনি?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওয়েল, এইটা যদি হয়ে যায়, তাইলে তো আর অসুবিধা নাই।
নিজামুল হক নাসিম: তারা তো বাই হুক-অর বাই ক্রুক, এইটা ঠেকাইবে সবাই এবং আমরাও তো তাল পাচ্ছি না। কারণ সাঈদীর সাক্ষী কমে যাচ্ছে। আমি তাকে ফিরিয়ে দিব কীভাবে... ডিফেন্স উইটনেস! সাঈদী তো প্রায় শেষ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না না ডিফেন্স উইটনেস তো আর ফেরানো যাবে না।
নিজামুল হক নাসিম : সাঈদী তো প্রায় শেষ। ঈদের আগে তাদের সাক্ষী শেষ হয়া যাবে আশা করতেছি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঈদের আগে কি তার সাক্ষী, ডি ডব্লিউ শেষ হয়া যাবে?
নিজামুল হক নাসিম: হ্যাঁ শেষ হয়া যাবে। আর গোলাম আযমের কেইসে তারা দুই সপ্তাহ সময় চাইছে, সাক্ষীর নাম দেওয়ার জন্য। সেইডা আমি রিজেক্ট কইরা বলছি, কালকে পাঁচটা দিবেন, পরশু সাতটা দিবেন, এইডা লাস্ট চান্স। বললাম আমি। কিন্তু, তারা দেল না, তাইলে কী করবেন আপনে। আমি যদি স্টপ কইরা দেই, তাইলেও তো হইচই হবে যে, সাক্ষীর নামই জমা দিতে দেয় নাই। টাইম চাইছে টাইম দিতা...। তখন গভর্নমেন্ট কইবে, তুমি টাইম দেতা, খমাহা (খামোখা) তাদেরকে আরেকটা পয়েন্ট, তাগো পক্ষে যোগ করাইলা...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কিন্তু এরা তো আসলে কাউন্টার-এনকাউন্টার।
নিজামুল হক নাসিম : তাই তো।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এজন্যই তো প্রবলেমটা। যে, আইসিটি যে যতগুলা কাজ করছে...।
নিজামুল হক নাসিম : এ গভর্নমেন্টই তো তহন আমারে কইবে, তুমি টাইম দিতা। তুমি একদিন সময় তাগো দেতা, দিয়া রাখতা হেগো কোর্টে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঠিক আছে। দেখেন আপনি ওইভাবে। দেখা যাক এই... এইটা কতদূর আগানো যায়।
নিজামুল হক নাসিম : আমার প্ল্যান হইল, ল’ সেটেল হইবে গোলাম আযমের কেইসে, এইডা ঠিক। সাঈদীর কেইসে কোনো ল’ সেটল হইবে না। নরমাল একটা জাজমেন্ট দিয়া, নরমাল না সেডা ভালো জাজমেন্ট ইনশাল্লাহ হবে। তবুও যা হয় হবে, সেডা ভিন্ন কথা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ফাস্ট কেইস তো...! ফাস্ট কেইসের একটা সিগনিফিকেন্ট আছে। এবং ফাস্ট কেইসের জাজমেন্টটা একটা ফরম্যাটের মধ্যে আসবে।
নিজামুল হক নাসিম : সে তো বটেই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন :এবং পরবর্তীগুলাও ‘মোর অর লেস’ ওই একই ফরম্যাটের উপরে হবে। ভিন্ন ভিন্ন জিনিস হবে। কিন্তু, ফরম্যাটিংটা ঠিকই থাকবে। আর এইটাকে ছোট কেইস হিসাবে দেখার কোনো স্কোপই নাই, যেহেতু এইটা আইসিটির কেস। আইসিটির প্রত্যেকটা কেইসই সিগনিফিকেন্ট। আর এইটা এইভাবেই দিতে হবে। কারণ এটা ন্যাশনালি এবং ইন্টারন্যাশনালী স্ক্রটিনাইজ হবে।
নিজামুল হক নাসিম : আর আমি এমন টেকনিক শুরু করছি যে, আমি সাকার কেইস রাখি না, টাইম দিয়া দেই। আপনার নিজামী রাখি না। যদি সাঈদীরে বাধা দেতে চায় তাইলে গোলাম আযম চলবে। গোলাম আযমরে বাধা দিলে, সাঈদী চলবে। যার ফলে ওরা...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না... না... ঠিকই আছে। এটাই আপনার ফাস্ট ট্র্যাকে থাকতে হবে। ডান-বাম সব চালাইয়া যেতে হবে।
নিজামুল হক নাসিম :আমি তো সুযোগ দিচ্ছি তাদের। তারা বলে যে, এইডা এডজর্নমেন্ট দেন ওইডা শুরু করেন। এই সুযোগই দিচ্ছি না আমি, এ দুইডার মধ্যে একটা আরম্ভ করতে হইবে। কেইস করতে হইবে তোমার, কোনডা করবা কও। যেডা করবা, যেডার সাক্ষী আছে হেইডাই নিব। বল, কোনডা করবা। হা... হা....হা ....(হাসি)
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হা... হা... হি... হি...(হাসি)
নিজামুল হক নাসিম : আইদার সাঈদী অর গোলাম আযম—এই দুইডার কোনো এডজর্নমেন্ট হবে না, এডাও বলে দিছি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ভেরি গুড।
নিজামুল হক নাসিম : আমি আজকে এডাও বলছি, যেদিন ক্রস আইওর শেষ হবে, সঙ্গে সঙ্গে ডিফেন্স উইটনেস শুরু হয়ে যাবে। এটা বলে দিলাম আপনাদের। বি রেডি ফর দ্যাট। উইদাউট অ্যানি গ্যাপ, উইদাউট অ্যানি এডজর্নমেন্ট, ইমিডিয়েটলি আফটার অ্যান্ড অফকর্স একজামিনেশন অব আইও, দ্য ডিফেন্স উইটনেস উইল বি স্টার্টেড। ওরা খুশি মনে নেয় নাই, কিন্তু শোনতে হইছে ওদেরকে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না... না... এর মধ্যে তো কোনো অন্যায় নাই।
নিজামুল হক নাসিম : সোজা হিসাব।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা তো আগে থাইকা জানিয়ে দেওয়াই উচিত। ইটস্্ নট দ্যাট যে, আপনি হঠাত্ কইরা বললেন যে, এখনই তোমারে সাক্ষী দিতে হইবে আরকি। সো.. দে আর গেটিং এনাফ ওয়ার্নিং বিফোর হ্যান্ড। এইটা ভালো আর কি। এই যে কথাগুলা না, মিডিয়াতে আসতেছে না। এগুলা আবার অন্য কোনো থার্ড কোনো অপশন নাই তো। কারণ গভর্নমেন্ট আইসিটির কোনো একটা, মানে কিছুই তো করল না, ইভেন আইসিটির নিজের একটা মিডিয়া উইংও করল না ট্রাইব্যুনালে এই গভর্নমেন্ট। তারা আসলে একটা প্রো-অ্যাক্টিভলি, এটার পক্ষে ক্যাম্পেইনটা করতে পারে বা জানাতে পারে। যে, দেখ-কীভাবে এ ঘটনাটা কিন্তু এইভাবে ঘটে নাই। আজকে যদি বন্ধ করে, এটার পিছনে অনেকগুলি কারণ আছে। এত কিছু এইভাবে এইভাবে বলা হইছে...।
নিজামুল হক নাসিম : ওই, একমাত্র উঠলে ওডে ডেইলি স্টারে। উঠতে পারে কালকে। এইসব ল্যাঙ্গুয়েজ ডেইলি স্টারে দিয়ে দেয়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা ভেরি ইম্পোর্টেন্ট যে, এই কথাগুলা আসা, যে এটা কোনো আনফেয়ার প্রসেস না। এটা টার্গেটেড প্রসেস না এবং তাদের যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। যদি কোনো অ্যাডভার্স ডিসিশন নেওয়া হচ্ছে এটা বিকজ অব দেম। হ্যাঁ, ঠিক আছে এটা ভালো হইছে।
নিজামুল হক নাসিম : আপনি তো ইনশাআল্লাহ ২২ তারিখ নামতেছেন, না ?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, আমি ২২ তারিখে।
নিজামুল হক নাসিম: আচ্ছা, আজকে ওই আনোয়ার সাহেব আমারে জিজ্ঞাস করছিল, আমি বলছি উনারা চেষ্টা করতেছে। এখনও শিওর না, দেখা যাক আর কি। বুঝছেন কোনটা?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হে... এ্যা?
নিজামুল হক নাসিম : নতুন জজ দুইজন যে...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যা.. হ্যা.. হ্যা..। আজকে যে পারমান্যান্ট করা হইছে, এটা কি বাবুরে (বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস) পারমান্যান্ট করা হইছে?
নিজামুল হক নাসিম : করছে.. করছে হ্যাঁ, হ্যাঁ তো করবেই। আপনার সঙ্গে কি যোগাযোগ করতে পারছেন ওবায়দুল করিম?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কেন, মেসেজ দিয়া রাখছি। এখন তো উইক এন্ড না এইখানে।
নিজামুল হক নাসিম : ও উইক এন্ড! আচ্ছা ঠিক আছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কালকে বিকালের আগে হয়তোবা কোনো ইয়েই পাওয়া যাবে না। তারে যদি ইটা দেয় ও, আমি তারে একবার বলব, বিকালে ওইখানে একটা ঢুঁ মারতে।
নিজামুল হক নাসিম : আমি বলছি যে, আপনি ২২ তারিখ আসতেছেন। এর মধ্যেই একটা মেসেজ পাওয়া যাবে আর কি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি আশা করি সেটা।
নিজামুল হক নাসিম : তারপরে তো টাইম থাকবে না। কেননা, ঈদে বন্ধ হয়ে যাবে। হের পর তো আর টাইম থাকবে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না, তারপরে টাইম থাকতেছে না। ওই সেন্সে টাইম থাকছে না। কিন্তু আপনাদের যাওয়া-আসার ব্যাপারে তো শুধু ডিসাইড করা দুটো জিনিস। একটা হচ্ছে রিটার্নটা যদি অ্যামসটারডামে করা যায়, এটা এই লোকেরে ধইরা করতে হবে...।
নিজামুল হক নাসিম : না... যদি আপনাদেরটা হয় তাইলে তো...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, সেটাই বলছি।
নিজামুল হক নাসিম : যদি ওই ডেইটে আপনাদেরটা হয়, তাহলে সেটা আগে ঠিক করতে হবে তো।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ভিসা হলে তো আর সমস্যা নাই। একটা ভিসাই যথেষ্ট।
নিজামুল হক নাসিম : তা এইটা জানি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কাজেই ঝামেলা অনেক কম। মানে এখন শুধু হইল যে, এইটাকে সেট করাটাই হইল। এদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়াটাই বড় কথা।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ... পেলে হবে। না হইলে তো আমর ধারণা, অনেক পিছাইয়া যাবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না হইলে তো আবার কাভার করতে হইব আর কি। মানে আরেক রাউন্ড দিতে হবে। প্রবাবলি নিউ ইয়ারে করতে হইব সব।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ নিউ ইয়ারে। সেটাই... সেটাই মনে হচ্ছে আমার...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : অ্যা... তো মানে অত ইয়ের ভিতরে... মিড উইন্টারে আসাটা ঠিক হবে না। সবারই জন্য কষ্টকর হয়া যাবে। দেখা যাক এটা।
নিজামুল হক নাসিম : সেইটাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এমনেও তিন-চার দিনের ব্যাপার। চারদিন-পাঁচ দিনের ব্যাপার। এটা খুব বেশি সময় না।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ,
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা হলে একচোটে হয়া যেত।
নিজামুল হক নাসিম : রায়হানের কোনো খবর-টবর আছে...?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, রায়হান তো খুব অ্যাক্টিভ এখন। সে তো, তার যে কাজগুলো সে করে, সে একটার পর একটা লেখা লিখতেছে। কালকে আপনাকে একটা কথা বললাম না, ইনফ্রেইমইও, ইন কেইস জাজমেন্টটা যদি দিতে হয়, সাঈদীর কথাটা।
নিজামুল হক নাসিম : হুম...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সাঈদীর জাজমেন্টের একটা রাফ স্কেচ তৈরি করা হইছে। স্ট্রাকচারটা কী হতে পারে হয়তোবা কাল আমি স্ট্রাকচারটা আপনাকে পাঠাব। জাস্ট টু দেখার জন্য। এটাকে আমরা রিয়েলি, এই স্ট্রাকাচরটা এমনভাবে করছি আমরা, তাতে খুব বেশি কষ্ট হবে না আপনার। আমাদের কিন্তু এমন করতে হবে, যেটা আমাদের দেশের কিছু টুকু থাকে। কিন্তু, এইটার স্ট্যান্ডার্ডটা, মানে অন্যরা যেন এইটা ফিল করে। আমাদের মেইন টার্গেট যদিও ডিসিশনের ক্ষেত্রে, মেইন টার্গেট হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ। কিন্তু, এটার যে ক্রিটিক্যাল অ্যাঙ্গেলে যেটা দেখবে, সেটা কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ ওইভাবে দেখবে না। তো, এই জাজমেন্টটা কীভাবে ওয়ার্ডেড হচ্ছে, কীভাবে স্ট্রাকচার্ড হইছে, কীভাবে ফ্রেইম হইছে...।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ সেটা তো বটেই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই জিসিগুলো কিন্তু আমাদের লোকগুলা বেশি দেখবে না। আমাদের লোকেরা দেখবে, সে আপনার কনক্লিউশনটা কী হইছে এবং বড় বড় ফ্যাক্ট কী হইছে। কিন্তু যারা এই জিনিসটা ক্রিটিক্যালি দেখবে এবং রেফার করবে এবং পরবর্তীকালে এটাকে আন্ডারমাইন্ড করার চেষ্টা করতে পারে এবং সেইটা না করার জন্য এইটাকে ফরম্যাটের দিক থেকে..., এইটাকে ওই স্ট্যান্ডার্ডে নিয়ে আসতে হবে আমাদেরকে।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কাজেই স্ট্রাকচারটা, যদি স্ট্রাকচার রাইট, তাহলে আমরা মনে করি যে, বাকিগুলাও পারা যাবে। যেমন এই যে আমি বলতেছিলাম, আমি ইটালিয়ান যে অরগানাইজেশনের মিট করলাম এবং কথা বললাম, তারা আসলে অ্যাপ্রিশিয়েট করছে আমাদের এই অর্ডারটা। মানে রিক্যুজালের অর্ডারটা। কিন্তু তারপরেও তাদের ফিলিংসটা হচ্ছে যে, এখানে জাজকে মনে হইছে একটু হার্শ আরকি। কিন্তু, এইটা যে একটা ওয়েলড্রাফটেড, ওয়েলরিটেন, ওয়েল একটা কিছু, এইটা তারা অ্যপ্রিশিয়েট করছে। তারা ইক্যুয়ালি অ্যাপ্রিশিয়েট করছে মালুম ভাইয়ের ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের জন্য আমাদের করা প্রেজেনটেশনটা। যে কারণে তারা মালুম ভাইরে আনতে চাচ্ছে। আমি বললাম যে, উনাকে না নিয়ে এসে অন্য কাউকে আনতে হবে। সো..., সেই আলোচনা এখনও চলতেছে। ওরা হইল ওইটা দেখে আগে আর কি...।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওরা দেখে, যে টেক্সটা তৈরি হইছে, সেইটা ঠিক ওয়েদার ইট লুকস রাইট। ওইখানে আমাদের লুকস রাইটও দিতে হবে। আবার যেহেতু ইনকেইস প্রথম কেইসটা যদি সাঈদীরই হয়, বা যে কোনো কেইস হউক না কেন, এ দুটার, ডাজ নট মেটার। আমার মনে হচ্ছে যে, এইটা একটা অপরচুনিটি যে, আপনার কিছু রেফারেন্স দিতে হবে যে, এই প্রসেসটার শুরুটা কীভাবে হইছে।
নিজামুল হক নাসিম : সে তো বটেই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন: এবং কী কী প্রবলেমের ভিতর দিয়া গেছে আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মানে ওই সেন্সে ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল। আউট সাইড যে, প্রবলেমগুলা বা লার্নিং প্রসেসটা কী ছিল। সো, ইট্স কাইন্ড অব ফার্স্ট কেইসেই এইটা থাকবে আর কি। আর বাকিগুলায় আর ওইভাবে থাকবে না।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ... সেইডাই, সেইডাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন :কিন্তু ফার্স্ট কেইসে এইডা দিতে হবে যে, এইটা কোথা থেকে আমরা শুরু করলাম। অ্যান্ড দ্যান আমরা কীভাবে শেইপ করেছি, রুলস অব প্রসিডিউর আমরা কী করলাম, কেন করলাম। মানে এই সামারি হলো এইটা। এটা হচ্ছে যে, আপনার ইতিহাসটা তুলে ধরা এবং আপনাদের কথা বলাটা। কেননা ট্রাইব্যুনাল তো কখনও সুযোগ পায় না কথা বলার। সো... জাজমেন্ট ইজ দ্যা অনলি ওয়ে অর অর্ডার ইজ দ্য অনলি ওয়ে যে, ট্রাইব্যুনাল স্পিকস। সো... এইটাকে একটা সুন্দর স্ট্রাকচারের ভিতরে এনে স্ট্রাকচারটা টানলে জাজমেন্ট লিখাটা হয়ে যাবে। এইটা করতে পারলে... আর এইটা করাটাই আমাদের মেইন উদ্দেশ্য।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, সেইডাই, সেইডাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সো দ্যাট, এইটা আমরা সেল করতে পারব ইজিলি। ওদের যে চিন্তা-ভাবনা, আর ওরা যে জাজমেন্টগুলো পড়ে, দেখা যাবে কি একেবারে ওই জাজমেন্টের সাথে অলমোস্ট খাপে খাপে মিলে যাচ্ছে। এবং ওরাও দেখবে ঠিকই আমরা একই স্ট্রাকচার ফলো করছি। আমরা যে বাংলাদেশের ট্র্যাডিশনাল ওয়েটা ফলো করি, সেই হিসাবে এটা নেওয়া যাবে না। কারণ, এই কেইসটা সেই কেইসগুলা না এবং এই কেইসগুলাকে ইভেন কি ছোট কেইস, সাঈদীর কেইসটা আনুপাতিক হারে লেস লিগ্যালি কমপ্লিকেটেড, কিন্তু সেটা হচ্ছে লিগ্যাল আলোচনাটা কম হবে সেখানে ওই সেন্সে। কিন্তু তারপরও তো ডিগ্রি অব লিগ্যাল আলোচনা থাকতেই হবে। কারণ এখানে কিন্তু, ওই ইস্যুগুলা সেটেল হয়ে যাবে।
কারণ, এটা যদি ক্রাইম এগেইনেস্ট হিউম্যানিটি হয়, যেটাই হয়, সেটাই করতে হবে। কাজেই এইটা আমি বোধহয় আজকে... আমি কালকে রাত্রে স্ট্রাকচারের কাজ করছি একটু, এখনও এটা কমপ্লিট না। আমি এটা যেভাবে আগানোর চেষ্টা করতেছি সেটা হচ্ছে যে, আমি কয়েকটা চার্জ ফ্রেম... লিডিং চার্জ ফ্রেমগুলা দেখব আবার নতুন করে দেখব। যে, তারা কীভাবে এটাকে স্ট্রাকচারটা করছে আর কি। কীভাবে গুছাইছে জিনিসটা এবং কীভাবে শুরুর দিকে কী কী দিচ্ছে তারা। প্রত্যেকটা কেইস ডিফরেন্ট ফ্রম আদার ওয়ান।
আমি দেখছি স্ট্রাকচারের শুরুতে তারা কীভাবে দিচ্ছে, মাঝখানে কী দিচ্ছে, শেষের দিকে কী দিচ্ছে এবং এইগুলা আমাদের সিচুয়েশনটাতে আমরা কীভাবে এটাকে করতে পারি। সেই হিসাব করে প্রবাবলি কালকের ভিতরে একটা জাজমেন্ট স্ট্রাকচার পাঠিয়ে দেব। একটা রাফ স্কেচ পাঠায় দিব ফর আপনার ইনফরমেশন। আপনি দেখেন যে, এইভাবে করলে আপনার পোশায় কি না। তারপরেও এর ভিতরে, বডিতে কী দেওয়া হবে, না হবে, কতটুকু লেখা হবে এবং কত ডিপে যাওয়া হবে, কত এক্সপ্রেসে যাওয়া হবে, কত এনালিটিক্যাল হবে—সেগুলো হচ্ছে পরে আনব....।
নিজামুল হক নাসিম : হুম... (গম্ভীর)
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা হচ্ছে রাফলি স্পিকিং হেডলাইন এবং সাবহেডিংগুলো কী হবে এবং কোন কোন ইস্যুগুলা কাভার করা যেতে পারে। এরপরে তো আরও ডেফিনেটলি, মানে কাজ যখন করবেন তখন দেখা গেল কি, আরও অনেক রকম ইস্যু আসবে, যেটা আপনার মনে পরে যাবে তখন আমাকে আবার জানাবেন। আমি ওইখানে কিছু স্ট্যাটিসটিকস দেওয়ার চিন্তা করতেছি। যেমন কতগুলা অর্ডার হইছে, কতগুলা রিভিউ পিটিশন গেছে, জাস্ট এ রকম। কারণ এইটা তো আপনার শেষ কথা, এরপর তো আর কথা থাকতেছে না ট্রাইব্যুনালের।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কাজেই, আপনাকে আরেকটা জিনিস মনে রাখতে হবে। এই জাজমেন্টের ক্ষেত্রে যে, প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে এইটা কিন্তু আপনার কথা টু অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালস, মানে অ্যাপিলেট অথরিটি। এই জাজমেন্টটা পড়লে অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে যে প্রশ্ন আসতে পারে সেইটারও উত্তর কিন্তু এই ট্রাইব্যুনালে থাকতে হচ্ছে। অর্থাত্ এই যে যেসব ইস্যুগুলো আসছে, সেই ইস্যুগুলো যেগুলো চ্যালেঞ্জ করা হইছে, এ নাম্বার অব মেজর চ্যালেঞ্জেস, সেগুলার উপরে ছোট ছোট আলোচনা করে, এই যে কেন এইগুলাকে ডিল করা হইছে আর কি। ডিটেইল আলোচনা কিন্তু রিলেভেন্ট অর্ডারে আছে। এইটা পড়লেই যেন বোঝা যায় এবং অ্যাপিলেট জাজেসরা যেন এট লিস্ট এই জাজমেন্টটা যদি পড়ে, তাহলে যেন বুঝে যে, আসলে এই ট্রাইব্যুনাল চিন্তা কী করছিল। প্রত্যোকটা অর্ডারের পিছনে ট্রাইব্যুনালের কী চিন্তা ছিল এবং কী র্যাশনাল বা কী যুক্তি ট্রাইব্যুনাল ব্যবহার করেছে এবং সেইটা কতটুকু লজিক্যাল। মানে এইটা এই অর্ডারের ভিতরে, মানে এইটা এই জাজমেন্টে বলে দেব যে, হাউ লজিক্যাল র্যাশনাল রিকয়্যার্স—আমরা কী কী বিবেচনায় এইটা নিয়েছি এবং কেন নিয়েছি। প্রথম যেটা হবে সেটা পলিটিক্যালি সিগনিফিকেন্টও হচ্ছে, কিন্তু লিগ্যালি সিগনিফিকেন্টের দিক থেকে যেটাই হোক না কেন, এইটার ট্রিমেন্ডাস সিগনিফিকেন্ট আছে আসলে ফাস্ট কেইস হিসাবে। বাট, এইটা একটু সময় লাগবে। এখানে আমাদের মেজর কনসার্নটা হচ্ছে, সরকার যে চাপ দিতাছে এইটা আমরা... রিয়েলি আপনারা উনাদের সাথে বিভিন্নভাবে আমাদেরকে যোগাযোগ করতে হবে। এবং বলে দিতে হবে। বিকজ দিস ইজ সাম থিং... এইভাবে হাত-পা টাইট করে দেওয়াটা ঠিক না। কারণ যেটা চিন্তা করা হচ্ছে এবং এইটাই যদি করতে হয়, এইটা কিন্তু আপনিও তো ফিল করতেছেন এবং বলতেছেন যে, জাজমেন্টটা কিন্তু ৫০০ পাতার জিনিস হবে। তাইলে এইটা আপনি সাত দিনের ভিতরে নামায় দিবেন কেমন কইরা?
নিজামুল হক নাসিম : প্রশ্নই ওডে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা কোনো কথা হইলো! এই সমস্ত ডকুমেন্ট কমপেয়ার করে, সমস্ত ডকুমেন্ট দেখে শুনে এইটা তো আর চাট্টিখানি কথা না। এইটা হইলো ট্রাইব্যুনালের ব্যাপার। এটা হচ্ছে ফাস্ট জাজমেন্টের ব্যাপার। এটা জাজমেন্টের ব্যাপার, এইটা তো অ্যাপিলে যাবে। উনাদের কনসিডারেশনের সাথে এইটা আমাদেরকে কোনো অবস্থাতেই উনাদের টাইম ফ্রেমের সাথে এইটা হবে না। মানে এইটার অর্থ এই নয় যে, এইটাকে দেরি করা হবে। এই জন্য কাজটা এখন থেকেই শুরু কইরা দেয়া হচ্ছে। একটা স্ট্রাকচার যদি আমরা কইরা ফেলতে পারি, তাইলে আমি মনে করি যে, বাকিগুলা সবগুলাকেই ওই ওই ...।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, সে তো বটেই। আগানো যাইবে তাইলে অনেকখানি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এদিক-সেদিক, এদিক-সেদিক কইরা ফিটিং করানো যাইবে। আরেকটা কেইসে দেখা গেল যে কি, আরো কিছু দিতে হচ্ছে বা কিছু কমায়ে দিতে হইতাছে, সেগুলা আমরা তখন ইজিলি করতে পারব। এটা আমরা অলমোস্ট চার্জের যেভাবে ইয়ে করছিলাম না.. টেমপ্লেট যে রকম করছিলাম চার্জের ক্ষেত্রে...।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ... হ্যাঁ... হ্যাঁ...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঠিক ওই চার্জের ক্ষেত্রে টেমপ্লেট যেভাবে করছি, জাজমেন্টের ক্ষেত্রেও মোটামুটি একই টেমপ্লেট। ওই একই রকম একটা কিছু আগে তৈরি করছি। ওইটা আমি ইফেক্টিভলি কাজ করছি। আর সরকারের ওই চাপটা আমাদেরকে সহ্য করতেই হবে। কীভাবে করব দ্যাট উই ডোন্ট নো। বাট, এইটা তাদেরকে বোঝাইতে হবে ওইভাবে এইটা চাপচাপি না করা। এইটা ইয়ে না। প্রডাক্ট না যে, জাস্ট আপনে কইলেন আর মেশিন না যে, বাইর হয়া গেল। আর এইগুলা উনাদের বুঝার মতোও অবস্থা নাই। তারপরও বুঝাইতে হবে, তারপরও উনাদের সাথেই তো কথা বলতে হবে। আমরা যতই মানে রায়হান আমাকে এবার জোরে-শোরে বলছে, আপনি আইনমন্ত্রীর সাথে মানে ইয়ে করে আসবেন। লাভ হউক, আর না হউক, কিন্তু আমরা তো আসলে... কাজ করার নাই তো কেউ আর। যতরকম আমার এভিনিউ আছে, অন্যান্য যত এভিনিউ আছে, ইনক্লুডিং এক নাম্বার পর্যন্ত পৌঁছানোর এভিনিউ—এইসব এভিনিউ ব্যবহার করতে হবে এবং বুঝাইতে হবে আসলে যে রিয়েলিটিটা কী। শুধুমাত্র উইক এন্ডে আইসা, কনফারেন্সে গিয়া বা সেমিনারে গিয়া একটা বইলা দিল, ওইটা হবে না।
আর এইটা আপনাদের জন্য রিয়েলি কষ্টের, আপনাদের কোনো হ্যান্ড তো নাই, যে এই কাজগুলা করবে। আপনাদের হ্যান্ড নাই, ঠ্যাং নাই, কিচ্ছু নাই। তো কী কইরা কী হবে। তাদেরকে আপনারা বইলা দিবেন যে, এই জাজমেন্ট যেভাবে হইতেছে, যা হইছে, অন্ততপক্ষে ৫০০-৭০০ পাতার কইরা এক একটা জাজমেন্ট হবে।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ হ্যাঁ অবশ্যই, মিনিমাম ৫০০ পৃষ্ঠার হবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : দেন হাউ ডু ইউ এক্সপেক্ট ইট যে, এটা ওভারনাইট কইরা ফেলা হবে? আপনি যদি আমারে অর্ডারটা দিতেন, আমি অর্ডার পোরশনটা কইরা দিয়া, আমি পরে জাজমেন্টটা লেইখা দিতাম, শান্তিমতো কইরা। ওইটা বোধহয় শাহিনুর সাহেবদের সাথে আলোচনা কইরা এইটা করছে। এই যে আইনের এই পরিবর্তনটা, সময় কমিয়ে দেয়ার পরিবর্তনটা। কারণ উনারা গিয়া বলছে হয়তো যে, আমরা কইরা দিবোনে কোনো অসুবিধা নাই। আমরা একসাথে সবই দিতে পারব, যখন অর্ডার দিব তখন জাজমেন্টটা দিয়া দিব হাতে। কিছু একটা হইছে মানে এইটা তো আপনাদের কাছ থেকে আসে নাই।
নিজামুল হক নাসিম : না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা একমাত্র সাসপেক্ট। আমার সন্দেহ হচ্ছে, এইটা শাহীনুরদের ওইখান থাইকা আসছে। দেখি, রায়হানকে দেখি, পাই কি না এখন। ঠিক আছে তা হলে...
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি আপনাকে কালকে স্ট্রাকচারটা পাঠাব। ওকে ঠিক আছে।
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা, রাখি খোদা হাফেজ।
তাঁর নাম হইল সোনা জাহাঙ্গীর
কথোপকথনের তারিখ : ২৭ আগস্ট ২০১২
নিজামুল হক নাসিম : হ্যালো
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যালো
নিজামুল হক নাসিম : কেমন আছেন?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আছি আছি। আমি তো বুজতেছি না। আপনাদের ওইখানে কী হইতেছে। এই লোক এই যে, নাম আসছে এই লোকটা কে আসলে?
নিজামুল হক নাসিম : জাহাঙ্গীর।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এ কি আপনার মানে... অ্যা... অ্যা... অ্যা...। এটা আমার তো কোনো ধারণাই নেই এই লোক সম্পর্কে।
নিজামুল হক নাসিম : আমাদের চয়েসও না, আমার জানা মতে ল’ মিনিস্টারের চয়েসও না। কিন্তু তার নাম আইসা চিফ জাস্টিসের রিকোমেন্ডেশন হইয়া গেছে। সে হলো জজকোর্টে ল’ইয়ার ছিল। জজকোর্টের লেবেল থেকে মনে হয় হইছে। কামরুল-টামরুল করছে আর কি। যা-ই হোক, মনে হচ্ছে আমার। জজকোর্টে ল’ইয়ার ছিল। আপনার অ্যা... স্মাগলিং কোর্টের পিপি আছিলে। তাঁর নাম হলো সোনা জাহাঙ্গীর।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হেয়... হে য়ে, ও মাই গড! এইটা হইল কী কইরা!
নিজামুল হক নাসিম : হেডা আমি জানি না। আমার সঙ্গে ল’ মিনিস্টারের যে কথা, তাতে আওনের কথা বাবু (বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস বাবু। বর্তমান সরকারের আমলে বিচারপতি হওয়ার দুই দিন আগে পর্যন্ত যিনি খুনের মামলার প্রধান আসামি ছিলেন) বা গোবিন্দ (বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর), ল’ মিনিস্টার তাই বলছেন। কালকে চিফ জাস্টিসের লগে দেখা হইলো। কালকে উনি এমন কিছু বলেন নাই। এসব আলাপ করেন নাই। উনি বলছেন যে, আপনাদের খুব সুনাম আছে এবং বায়রায় কোনো বদনাম নাই, এইটা মেইনটেন করতেছেন। এটা খুব ভালো। কোনো ধরনের বদনাম আপনাদের নাই। আইজকে দেখলাম যে নাম দিছে। এখন যাক, কী আর করার।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা তো... তার মানে একটা করাপ্ট মানুষকে দেওয়া হইছে?
নিজামুল হক নাসিম : অন্ততপক্ষে হি ওয়াজ করাপ্ট—এটা বলা যাইবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আরে এইটা কি এমন একটা জিনিস যে, কালকে ছিলেন করাপ্ট, আজকে ভদ্রলোক হয়া গেলেন?
নিজামুল হক নাসিম : হা... হা... হা... হা...। যা-ই হোক, কী কমু আমি?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা আরেকটা ভেজাল, আরেক ভেজাল লেগে যাবে আমাদের।
নিজামুল হক নাসিম : ভেজাল লাগবে না। কারণ তারে বলা হইছে... বলা হইছে যে, চেয়ারম্যান যা কইবে, তুমি খালি ইয়েস কবা। এমনে সে লেখাপড়া জানে। এইডা আমি বলমু, বুঝলেন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হু?
নিজামুল হক নাসিম : লেখাপড়া জানে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : লেখাপড়া জানে মানে! কোন সেন্স থেকে? পড়ালেখা কী করেছেন উনি?
নিজামুল হক নাসিম : না... এমনে কেইস-টেইস...। ল’ইয়ার, ভালো ছেলে। অ্যা.. কোর্ট পারফরম্যান্সও ভালো ছিল। এগুলা ঠিক আছে কিন্তু।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : জুডিশিয়ারিতে ছিলেন এর আগে?
নিজামুল হক নাসিম : না না, ল’ইয়ার।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ও আচ্ছা তার মানে, এ ইয়ের কোটায় আসছে আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : কামরুল কোটায়। আমার ধারণা, হে কামরুল কোটায় আসছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা কীভাবে সম্ভব হইতেছে? এটা কি প্রধানমন্ত্রী কিছুই জানেন না!
নিজামুল হক নাসিম : প্রধানমন্ত্রী তো আবার হেদের খুব পছন্দ করেন। সাহারা খাতুন... টাতুন এদের বুঝেন না!
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনি কি জানতেন? ও জহির সাহেব ইয়ে করতেছে। উনি কিছু বলছেন টলছেন আপনাকে?
নিজামুল হক নাসিম : না না না, উনি ফাস্ট হাফে আমার লগে কোর্ট করছেন। কোর্ট কইরা নামছেন নিচে। নামার পরে উনি পট কইরা দশ মিনিট পর ফোন কইরা বলল, স্যার, আমি একটু ইমারজেন্সি...। আমি আসতেছি, স্যার। এই কথা কইয়া চইলা গেল। তখন নাকি তারে ল’ মিনিস্টার ডাকাইয়া সেক্রেটারিয়েট নিছে। সে আইসা আমারে বলে, ‘আই এম নো মোর ইয়োর মেম্বার’। আমি কই মানে! কী বলছেন আপনে? উনি বললেন, আপনি কোর্টে উঠেন...। আপনার লগে দেখা করে যাব। তবে আমি কোর্টে উঠবো না, উঠতে পারতেছি না আমি। শ্যাষে আমি কোর্টে উঠলাম। কোর্ট সাইরা চারডার সময় দেখা করল। তখন আমাকে বলল যে, এ রকম ডাকাইল... ডাকাই নিয়া বলল যে, রিজাইন করেন। রিজাইন করলাম... রিজাইন দিয়ে আসলাম। আর আজকে স্বীকার পাইছেন উনি যে, পরশু দিন রাতরে উনারে মন্ত্রী ডাকাইছিলেন বাসায়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আইনমন্ত্রী?
নিজামুল হক নাসিম : এবং বাসায় নিয়া বলতেছে..., আপনারে আমরা ই তে নিব। ল’ কমিশনে নিব। আপনি রিজাইন দেন। আজকে ডাকাই নিয়ে একেবারে রেজিগনেশন রাইকখা দেছে এককেরে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ল’ কমিশন দিলে খারাপ না, এটা একদিক থেকে।
নিজামুল হক নাসিম : এইডা আমার সঙ্গে আলাপ করছে সে। বলছে ওইখানেই দেবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সো এইটা আইনমন্ত্রী বলেছেন।
নিজামুল হক নাসিম : হু আমারে আইন মন্ত্রীই কইছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা ঠিক আছে। হ ওইটা ঠিক আছে। ইট উইল বি গুড। অ্যাট সট অব ওয়ার্ক।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম,
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মানে উইথ হিস এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড এভরিথিং।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : উনি কি আপসেট হইছেন?
নিজামুল হক নাসিম : না-না-না। হইতে পারে মনের মধ্যে। উপরে কিন্তু খুব নরমালেই দেখলাম আমি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, মানে বিডি নিউজ২৪.কম যেভাবে রিপোর্ট করছে, উনার ঢোকাটা নিয়ে...। উনার অ্যা... বিল্ডিং এই কোর্ট রুমের চারিদিকে তাকানো নিয়ে। যাওয়ার আগে একদম বিদায়ের...।
নিজামুল হক নাসিম : না, হে তো আমাদের লগেই নামল।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : একটা জিনিস পাঠাইছি দেইখেন। কংগ্রেস থেকে যে পত্রিকা বাইর হয়, সেই পত্রিকা ‘দ্য হিল’ ছিল নামে, আপনারে শেয়ার করছি।
নিজামুল হক নাসিম : হ .. আচ্ছা..।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, এইটা তো কী হইল তাইলে ফাইনালি গিয়া?
নিজামুল হক নাসিম : দেখি...ই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনার সাথে এমনি তার পরিচয় আছে কি?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ আছে, ভালো পরিচয়ই আছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : রাজনীতির দিক থেকে কোন দিকের মানুষ সে?
নিজামুল হক নাসিম : আওয়ামী-আওয়ামী।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মারছে, বেশি আওয়ামী লীগ হইয়া গেলে...।
নিজামুল হক নাসিম : আমার মনে হয় সেই রিডিং করছে যে, বাবু হলো জেএসডি, আর ওই ঠাকুর হলো সিপিবি। আমরা আওয়ামী লীগ দিব।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মানে এইভাবে ভাগাভাগি কইরা করছে। কিন্তু এইটা... আমাদের আইনমন্ত্রীর তাইলে কিছুই করার থাকে না বোধহয় তাইলে না?
নিজামুল হক নাসিম : ওইডা আমি জানি না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আরে আমি তো ওই পর্যায়ে থাকলে আমি রিজাইন করতাম আর কি। তাইলে এইটা কি উনি সিগনেচার কি করছে? উনার কি... উনাকেই তো করতে হইব সাইন, নাকি না?
নিজামুল হক নাসিম : কোনডায়?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই যে...।
নিজামুল হক নাসিম : রেজিগনেশনে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না... না... না...। মানে হ্যাঁ, মন্ত্রীই তো ইয়ে করবে। মানে মন্ত্রীই তো প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠায়ে দেয়।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, রাইট রাইট।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তাইলে উনারে বইলাইবা লাভ হইতাছে কী তাইলে? হোয়াট ইজ হি দেন? এইটা কোনো কথা হইল? এইখানে আমরা একটা হাই ইন্টিগ্রিটিওয়ালা মানুষের দরকার...! আর এইটা কি পাবলিকলি নোন ছিল? আপনি যেটা বলেন যে, যে মানে সোনা জাহাঙ্গীর নামটা?
নিজামুল হক নাসিম : তা সে পরিচিত। হাইকোর্টে এবং জজ কোর্টে সে সোনা জাহাঙ্গীর নামেই পরিচিত ছিল—লইয়ার হিসাবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সো..., ওইটা বলতে চাইছেন যে, সে যেন কিসের কোর্টের বলেলন যে?
নিজামুল হক নাসিম : স্মাগলিং কোর্টের পিপি, স্মাগলিং...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ও স্মাগলিং আলাদা কোর্ট আছে নাকি? আচ্ছ আচ্ছা...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কত বছর আগের কথা? অনেক দিন আগের কথা, না কিনা ইদানীং এর ব্যাপার?
নিজামুল হক নাসিম : এই এডা মানে ৫-৭ বছর আগের কথা। ওই-ওই, ওই সময়ের আওয়ামী লীগ। এক সাল পর্যন্ত। মানে এর আগের...। এর আগেরবারের আওয়ামী লীগের সময়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা আচ্ছা! উনি দশ সালে দেখতেছি উনি জাজ হইছে।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি অবশ্য দুইটা দিন একটু বেকায়দায় থাকব আর কি। কালকে সকালে একটা টেস্ট আছে। গ্যাসট্রো-এন্টারোলজির, যেটাকে এন্ডোসকপি বলে।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওরা আমার ব্লাডে বারবার পাইতেছে অ্যানিমিয়া। কিন্তু এরা বুঝতে পারতেছে না যে, ব্লাড কেন চলে যাচ্ছে শরীর থেকে। সো, ভিতরে বোঝার চেষ্টা করতেছে যে... যে, ওইখানে কোনো, মানে এনটেস্টাইনে কোনো প্রবলেম আছে কি না। আর ৩১ তারিখে অর্থাত্ শুক্রবারে করবে আমার কোলনোস্কপি।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সো সেইটার জন্যই প্রস্তুতি নেয়া হইতেছে আর কি। এটা বোধহয় একটু ডিসকমফোরটিং। বাট, ওইটা দেখবে যে, সেখানে কোনো সমস্যা আছে কি না। কোলনে কোনো প্রবলেম আছে কি না। এইটা খুব দ্রুত হইয়া গেল। এই লোকের এখনও রেজিগনেশন অ্যাকসেপ্ট না করার পরেও...। এটা মানে এত দ্রুত... এরা একদম ক্যু কইরা ফেলল আসলে। মানে খোঁজ নিলে দেখা যাবে কি... যদি যদি আপনি খোঁজখবর নেন ঠিকমত, তাইলে দেখবেন আইনমন্ত্রী হয়তোবা জানেন কি না, সন্দেহ আর কি। পাঠায় দিছে চিফ জাস্টিসের কাছ থেকে। মিনিস্ট্রির... মিনিস্ট্রিরে দিয়া, চিফ জাস্টিসও এত দ্রুততার সাথে আবার ওকে কইরা দিছে।
নিজামুল হক নাসিম : হু। উনিত আমার কাছেও বলছে যে, আমার কাছে আসতে দেরি হইতে পারে, কিন্তু আসলেই নগদে দিয়া দিব, যারে চাইবে তারে দিব। এডা আমারে কাইল বলছে তো, যাকে চাইবে তাকে দিব। এটা বলছেন উনি আমাকে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এ নিয়েও। আপনারা দুইজন ঠিক থাকলে বিশেষ সুবিধা করতে পারবে না।
নিজামুল হক নাসিম : না... না... না...। ওই জাহাঙ্গীরও আমার লগে ঠিক থাক।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : অ্যা...?
নিজামুল হক নাসিম : করাপ্ট মানুষ তো। বেশি ই... করবে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কারণ এখানে হইতেছে যদি কোনো অবস্থাই কম্প্রোমাইজড হয়া যায়... সেটাই আর কি। সেই রিস্কটা হইল সেটাই।
নিজামুল হক নাসিম : হেতে লাভ নাই। আমরা দুইজন শক্ত আছি। ওর কোনো কিছুতেই লাভ হইবে না। তবে ও লেখাপড়া জানে, এইডা ঠিক। ও যদি ঠিকমত চলে ও ভালো জজ হইবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : জাজ হিসাবে তার কি রকম? তার কোন ইভালুয়েশন আছে আপনাদের কাছে?
নিজামুল হক নাসিম : না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : উনি কোন... কী ধরনের বেঞ্চে বসতেন এত দিন?
নিজামুল হক নাসিম : ক্রিমিনালি... ক্রিমিনালিই করছে এতদিন। মানিকের লগে বইছে। ভিন্ন জায়গায় বইছে-টইছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এখনও উনি কনফার্ম হয় নাই?
নিজামুল হক নাসিম : এ দেখতে হইবে। মনে হয় হইছে কি হয় নাই। বা সামনে হইবে। মনে হয় হইয়া গেছে। এডা ঠিক আমার মনে নাই। মনে হয় হইছে কনফার্ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : দাঁড়ান, দেখি উনি কোন অঞ্চলের মানুষ। এইডা একটু বুঝতে হইব যে... আমরা ল’ কমিশনের মেম্বারদের কি হাইকোর্ট জাজদের ইয়ে দেই। না?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ-হ্যাঁ-হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : উনি কি তাইলে দুই নম্বর নাকি?
নিজামুল হক নাসিম : কি দুই নম্বর?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হাইকোর্ট ডিভিশন সিনিয়রে।
নিজামুল হক নাসিম : দুই নম্বর হয়ে যাবে এখন, আনোয়ার তিন নম্বর হয়ে যাবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না-না উনি দুই নম্বরে না, আনোয়ার সাহেব দুই নম্বর দেখতেছি।
নিজামুল হক নাসিম : আনোয়ার নাইম্মা যাইবে, এহন দুই নম্বর থেকে তিন নম্বরে। মনে হয়। আমি একটু দেইখা আসি হিসাব...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : উনি হইতেছে ২০.১০.২০১১-তে। এটা পাওয়া গেছে তো ওনার সব কিছু আছে এখানে...। (কথার ফাঁকে সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে ঢুকে)।
নিজামুল হক নাসিম : কোথায় আছে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে। মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর হোসেন। উনার নাম তো মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন?
নিজামুল হক নাসিম : জি...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : উনি দেখা যাচ্ছে তো, উনি তো উনার... যদি এই জাহাঙ্গীর হোসেন সেই জাহাঙ্গীর হোসেন হইয়া থাকে। তাইলে জয়েন করেছেন তো ২০.১০.২০১১ তে। বাবার নাম ড. মোহাম্মদ...।
নিজামুল হক নাসিম : না-না-না। উনি ১০ সালে। আরো উপরে জাহাঙ্গীর হোসেন আছে। আরেক জন দেহেন। এ তো বাদল.. পরের জন। এর কিশোরগঞ্জ বাড়ি, প্রেসিডেন্টের আত্মীয় এডা না। এডা হচ্ছে জাহাঙ্গীর হোসেন বাদল।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, জাস্টিস আনোয়ারুল হক। উনি জয়েন করেছে ১২.১২.২০১০-এ। এটা হলো, আই থিঙ্ক আপনাদেরটা।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, ১২.১২। আরও উপরে দেখেন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আরও উপরে হচ্ছে.. জাকির হোসেন... জাসটিস জাহাঙ্গীর হোসেন।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ... এইটা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ৫৯-এ জন্ম। উনি হচ্ছে ১৮.০৪.২০১০-এ জয়েন করেছেন।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তার মানে উনি সিনিয়র?
নিজামুল হক নাসিম : হু, কনফার্ম হইয়া গেছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : উনি এমকম, এলএলবি করছেন। ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে ছিলেন। অ্যাডভোকেট অব এ ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট। হাইকোর্টে এসে জয়েন করেছেন ৯১-এ এসে। ৫৯-এ জন্ম। ও আচ্ছা, তার মানে তো সেকেন্ড জাজ উনি হয়ে যাবেন।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আনায়ারুল হক হচ্ছেন ১২.১২। তার মানে উনার চাইতে ৮ মাস আগে জয়েন করেছেন উনি। এটাই তো আপনাদের সিনিওরিটির ক্রাইটেরিয়া, তাই না?
নিজামুল হক নাসিম : হু, অ্যা... ওয়েবসাইটে দেহেন দেহি। আমারডা বাইর করেন তো দেহি, কী আছে। আমি এহন তরি দেহি নাই সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইট।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : দাঁড়ান, দেখি কোথায় আছে। আপনারটা হচ্ছে শামসুদ্দিন চৌধুরীর পরে আর কি। জাস্টিস হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, তারপরে জাস্টিজ আবদুর রাজ্জাক, মারযিউল হক। ফারাহ মাহবুব আপনারও উপরে?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ... হেয় তো বিএনপির দেয়া অ্যাপয়েন্টমেন্ট না? আমরা তো ওই পরে। আমাদের ৭ বছর গ্যাপ পড়ল না?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি সিরিয়ালগুলো বলে যাচ্ছি। আপনাদের সিরিয়ালগুলো কোথায় আছে। হায় হায়, এটা তো তাহলে ইজ্জতের ব্যাপার! তার মানে হচ্ছে ফারাহ মাহবুব হচ্ছে বিএনপির লাস্ট অ্যাপয়েন্টমেন্ট আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : বিএনপির লাস্ট অ্যাপয়েন্টমেন্ট। তারপরই তো আমরা আসছি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তারপর আছে জাস্টিস মারযিউল হক। তারপর আছেন জাস্টিস আবদুর রাজ্জাক, হাসান ফয়েজ সিদ্দিক, শামসুদ্দিন চৌধুরী।
নিজামুল হক নাসিম : তারপর আমি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনারটা, আপনারটা হচ্ছে ২৫-৩-২০০৯-তে।
নিজামুল হক নাসিম : ২৫-৩-২০০৯-তে আমি কনফার্ম হইছি। অ্যাপয়েন্টমন্টে ডেট তো তারা দেয়নি, না?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, হ্যাঁ দিছে...। অ্যালিভেটেড অ্যাজ অ্যাডিশনাল জাজ অব দ্য হাইকোর্ট ডিভিশন অন ৩-৭-২০০১।
নিজামুল হক নাসিম : ইয়েস।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : অ্যান্ড অ্যাপয়েন্টেড জাজ অব দ্যা সেইম ডিভিশন অন ২৫-৩-২০০৯। তাইলে আপনার সিনিয়রিটি তো ২০০১ থেকে ধরা উচিত।
নিজামুল হক নাসিম : আমরা মনে করি। কিন্তু ধরে নাই তো। কনফার্ম থেকে ধরেছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনি যেদিন থেকে জাজ হইছেন, সেদিন থেইকা।
নিজামুল হক নাসিম : দেখেন চাই আর কী লেখছে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : লেখছে যেটা, সেটা হচ্ছে— ডেট অব বার্থ দিছে ১৫-৩-৫০। বিএসসি অনার্স, এম এস সি-এলএলবি। হি ওয়াজ এনরোলমেন্ট অব দ্য সুপ্রিমকোর্ট-হাইকোর্ট ডিভিশন অ্যান্ড অ্যাপিলেট ডিভিশন। (পুরো বিষয়টি পড়ে শোনান...)। আপনার পরে আছে বজলুর রহমান, এ কে এম আবদুল হাকিম।
নিজামুল হক নাসিম : এরা পরের ব্যাচ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : বোরহান উদ্দিন, তারপর মোয়াজ্জেম ভাই বোধহয়।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম,
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এম মোয়াজ্জেম হোসেন, তারপরে সৌমেন্দ্র সরকার, আবু বক্কর সিদ্দিক, নূরুজ্জামান, মইনুল ইসলাম, ওবায়দুল হাসান। ওবায়দুল হাসান কোথা থেকে পড়ালেখা করছে দেখি।
নিজামুর হক নাসিম : ঢাকা ইউনিভার্সিটি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : বিএ, বিএসএস, এমএসএস, এলএলবি ফ্রম ঢাকা ইউনিভার্সিটি। এলএলবি মনে হয়, কলেজ থেকে পড়ছে। সেইখানে উনি ৮৬। এলিভেটেড জাজ অ্যাজ ২০০৯। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই এলেভেটেড যেটা আছে, সেটাই আছে। কোথায়ও কিন্তু অ্যাপয়েন্টেড নাই। আপনার ক্ষেত্রেই এলিভেটেড অ্যান্ড অ্যাপয়েন্টেড দুইটাই আলাদা লেখা আছে। তারপর নাইমা, রেজাউল হাসান, ফারুক, এম ফারুক, শওকত হোসেন, নাজমুল আহসান, কৃষ্ণা দেব নাথ, বশির উল্লাহ, রব, এটা তাইলে আরেকটা জাহাঙ্গীর হোসেন আছে তাইলে?
নিজামুল হক নাসিম : জাহাঙ্গীর হোসেন, বড় ওইডাই। হে অইল উপরে। নিচে হইল শেষ যে জাহাঙ্গীর হোসেন, হেইডা হল কিশোরগঞ্জ বাড়ি, প্রেসিডেন্টের আত্মীয়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আরও একজন আনোয়ারুল হক আছেন তাহলে?
নিজামুল হক নাসিম : হু, আমাদের ব্যাচের প্রথম দিক দিয়া দেহেন আনোয়ারুল হক। আমাদের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট। হে কনফার্ম হইছে আর কি। এককেরে প্রথম দিক দেয়া, দুই নম্বরে নাম তার।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, এইটা যদি আপনাদের লিস্ট হয়, তাহলে এইখানে আপনাদের এখন হাইকোর্ট ডিভিশনের ভেতরে সিনিয়রমোস্ট জাজ হচ্ছে শেখ রেজোয়ান আলী।
নিজামুল হক নাসিম : আমাদের ব্যাচ।
জিয়াউদ্দিন : মানে ২০০১-এ ঢুকছে তাহলে। মানে তিসরা জুলাই ২০০১। তাকে ২০০৩-এ ইয়ে দেয়া হইছে।
নিজামুল হক নাসিম : হু।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওনার ক্ষেত্রে এই চক্করটা কেন করতাছে? প্রত্যেকটার ক্ষেত্রে—আচ্ছা টিক আছে, ২০০৩-এ দিয়ে দিছে উনি। আপনারা থাকলে আপনারা এখন টপে থাকতেন। এক-দুই-এর কাছাকাছি থাকতেন।
নিজামুল হক নাসিম : হু হু, দুইয়ে থাকতাম।
জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, জাস্টিস মো. আনোয়ারুল হক, এটা হচ্ছেন আরেকজন আছেন। উনিও আপনাদের একই সাথে হইছে না? একদিনে? এবং ৩০-৭এ কনফার্ম হইছেন আর কি। মানে ৩-৭-২০০৩-এ। নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সে-ও দেখা যায় যে একই দিনে।
নিজামুল হক নাসিম : একই দিনে, হ্যাঁ। দেহেন চাই মূসা খালেদটা কী লিখছে। হেও বাদ পড়ছিল একমাস পর, আবার কনফার্ম করছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, কে?
নিজামুল হক নাসিম : মূসা খালেদ। দেখেন, মির্জা হোসেন হায়দার, তারপর মূসা খালেদ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মূসা খালেদ হচ্ছে এলিভেটেড অ্যান্ড অ্যাপয়েন্টেড জাজ অন ২৭-৮-২০০৩।
নিজামুল হক নাসিম : সময়মত কনফার্ম না হইয়া ২৭-৮ এ কনফার্ম হইছে। গ্যাপ পড়ছে কিছু দিন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এর আগে। আগে হইয়া গেছে আবার হায়দার ভাই। হায়দার ভাইয়েরা ঢুকে গেছে সেইখানে। ওনিও তো একই দিনে হইছে। অ্যাপয়েন্ট আপনাদের সবগুলো কি একই দিনে করছিল নাকি।
নিজামুল হক নাসিম : হুঁ, কিন্তু কনফার্ম কেবল দেড় মাস পড়ে হইছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা একটা সিরিয়াসলি অকাম করছে। কোথায় আপনারা একেবারে এক নম্বরে থাকার কথা! হাসমত আলী দেখি কী অবস্থা।
নিজামুল হক নাসিম : এর পরের ব্যাচের।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তারিকুল হাকিম দেখা যায় ২০০২-এ। না ঠিকই আছে। ওইটা এরা ওভাবেই মেনটেইন করে আর কি। আপনার সাথে আর কোন কথাবার্তা হয়নি ওনার আর?
নিজামুল হক নাসিম : জহির সাহেবের?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : বিদায়ী কথাবার্তা কিছু?
নিজামুল হক নাসিম : হু হইছে হইছে। আমরা তো বিদায় দিলাম। লাস্টে গাড়িতে তুইল্যা দিলাম একেবারে যাইয়া। নিচে নাইম্যা তুইল্যা দিলাম গাড়িতে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আজকে তাহলে জানতেন না? ওনাকে জাস্ট বুঝি ডাকছে, তাই না? কীভাবে ঘটনা ঘটছে, কীভাবে?
নিজামুল হক নাসিম : ওনাকে বোধহয় পরশু রাত্রেই কইছে। তারপর আজকে ডাকইয়া নিয়া গেছে। জানত কি না আমি কইতে পারি না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, দেখা যাক এখন— হা...হা... (হাসি)। লাভ হইব না লোকসান হইব। এটা আমরা হিসাব করতে হইব পরে।
নিজামুল হক নাসিম : হু... হু... (হাসি)।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মানে এখন যেটা বোঝার চেষ্টা করতেছি। এখন যেটা হইল ওইটারে ওস্তাদের ওপর উস্তাদিটা করলটা কে আর কি? এখন এই যে যারা আসলে পক্ষের মানুষ না। যারা আসলে জিনিসটাকে... করতাছে সব কিছু জেনুইন জিনিস না। কি, ভুল হইছে নাকি স্ট্র্যাটেজি হিসাবে? এটা তো সুপার ফাস্ট স্পিডে হইছে আরকি। এটা তো সন্দেহজনক স্পিডে হইছে এবং এইডা হইয়া গেল। তারপর একটা হলো যে আবার, এইটা পাবলিকলি জানিয়ে দিল। এটা তো হওয়া উচিত না আসলে। এখন দেখা যায় কি যে, প্রথম আলোতে নাম পড়তেছি আমি। প্রথম আলোকে জাহাঙ্গীর হোসেনের নাম বলছেন আইনমন্ত্রী।
নিজামুল হক নাসিম : কী লেখছে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক হিসাবে হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী শফিক আহমদ বাংলা প্রথম আলো ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। আইনমন্ত্রী বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী এ নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন শেষে সেটি রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন। এখানে কিন্তু প্রতিমন্ত্রীর কোনো ব্যাপার নাই আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম,
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মালুম ভাইয়ের কাছে বুঝতে হইব আসলে কী হইল? এখন তো দেখা যায় পাবলিকলি আইনমন্ত্রী ওইটা আবার অন করতেছে।
নিজামুল হক নাসিম : হু।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কী ব্যাপার? এই লোকের নাম তো কখনও আসে নাই।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : নাকি এইটা আসলে একটা প্যাসি লোক হইয়া গেছে? ঠিক আছে তাহলে। আজকে তো সাকা চৌধুরীর উইটনেস হইছে তাহলে।
নিজামুল হক নাসিম : দুইজন হইছে, দুইজন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : দুইজন হইয়া গেছে! আজকে একদিনেই।
জিনামুল হক নাসিম : জেরা নেয় নাই। জেরা পরশু করবে। আজকে টিটো ভাইয়ের বার্থডে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা ওনারা কি কিছু করতেছে নাকি।
নিজামুল হক নাসিম : বাসায় দাওয়াত আছে যামুয়্যনে এখন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওকে ঠিক আছে যান। এটা খুব ভালো, এটা আমি দেখছি বাংলা নিউজে সকাল বেলাতেই বড় করে একটা রিপোর্ট করছে। ভেরি গুড। ঠিক আছে তাহলে।
নিজামুল হক নাসিম : থ্যাংক ইউ।
স্টেট, বললেন যে রায়টা তাড়াতাড়ি দেন...... বিচারপতি
কথোপকথনের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১২
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁলো...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কেমন আছেন, কেমন?
নিজামুল হক নাসিম : আছি, ভালোই। আপনি কেমন আছেন?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আছি-আছি, আচ্ছা আপনারে স্ট্রাকচারটা পাঠাইতে পারলাম না। আজকে আমি সারাদিনেই বাইরে ছিলাম।
নিজামুল হক নাসিম : দেরি হইল আসতে, কাজে ছিলেন মনে হয়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ..।
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি এখনই ঢুকছি আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : আমাদের তো স্টেট মিনিস্টার যাচ্ছে হজে.., স্টেট ... স্টেট।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ...।
নিজামুল হক নাসিম : আজকে আসছিল আমার লগে দেখা করতে সন্ধ্যায়। উনি বললেন যে, রায়টা তাড়াতাড়ি দেবেন। আমি কইলাম, কেমনে দিমু। রায় তো আর এক পৃষ্ঠার না...। আপনার ডিকটেট পাইলে পরে সময় পাইলে, এক মাস ধইরা রেডি করতাম। কয় কি যে, তাড়াতাড়ি চেষ্টা কইরেন। তা-ই কইল-টইল আর কি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনি বলছেন যে, এইটা কি হবে না? হবে বা কি হচ্ছে। মানে এই রায় সংক্রান্ত। এ ব্যাপারে...।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, এইডা বলছি। প্রবলেমটা কী হেইডা বলছি। হ্যাঁ...। গোলাম আযমডার দশ সাক্ষী। হের পর দুই ট্রাইব্যুনালের ম্যাটার-মুটার। কয় যে, আমি আইস্যা আপনাগো দুই ট্রাইব্যুনাল একত্রে স্যারের লগে এক রুমে বসাইয়া আলাপ করাব। গোলাম আযম আপনারা আগে দিবেন, তার পরে তারা দেবে-ওয়েট। আমি হাসলাম। বললাম, ঠিক আছে, ইউ ক্যান ট্রাই। আমি বললাম, দেখেন জাজরা কিন্তু অন্যের কথা শুনে না। এইটা জাজদের একটা ক্যারেক্টার এইডা। শুইনা হাসে, যাই হউক।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ও আচ্ছা, ফিরবেন কবে উনি?
নিজামুল হক নাসিম : তা তো জানি না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ইউজিয়ালি তা বোধ হয়, এক-দুই সপ্তাহ পরে ফেরে...।
নিজামুল হক নাসিম : ঈদ তো ধরেন আগামী মাসের ফাস্ট উইক।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, ইউজিয়ালি হজের এই টোটাল প্রসেসটা কত দিনের? দুই সপ্তাহের নাকি না, আরো বেশি সময়ের?
নিজামুল হক নাসিম : হজ তো.. এমনে তো মানে আপনার দুই সপ্তাহের মতো লাগে। কিন্তু এহানে অনেকের তো থাকতে হয় একমাস-চল্লিশ দিন। ওই যে মদিনার বেশি নামাজ পড়ে। আবার মক্কায় বেশিই সময় থাকে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না মানে... ওইখানে কি এইটার কোনো কম্পালসারি এলিমেন্ট আছে? কি না, নাকি না...।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, কম্পালসরি এলিমেন্ট তো পাঁচ-সাত দিনের ব্যাপার।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, তারপরে বাকি যেগুলো, সেগুলো হচ্ছে অতিরিক্ত। যে যা করতে চায় আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হু-হু, কারন মদিনা তো হজের পার্ট না, মদিনা। কিন্তু মদিনা তো সবাই যাইবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, মদিনা হজের পার্ট না?
নিজামুল হক নাসিম : না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা! কিন্তু সবাই তো মদিনায় যাইতে চায়, মদিনা যাওয়া তো অলমোস্ট...।
নিজামুল হক নাসিম : স্বাভাবিক, স্বাভাবিক।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মদিনা যাওয়া তাইলে কম্পালসারি না!
নিজামুল হক নাসিম : কম্পালসারির মতো হইয়া গেছে, কাস্টমস আর কি। কিন্তু হজের নিয়মের মধ্যে কোনো কম্পালসারি না। হজের নিয়ম হইল, আরাফাতের ময়দানে থাকা, মুজদালিফায় যাওয়া, আর ইট মারা— ব্যস, আর কোরবানি দেওয়া, শেষ। তিন-চারদিন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঠিক আছে। অ্যাটলিস্ট মেসেজ তো তাইলে একটা গেছে। আজকে আমাদের তরফ থাইকাও আইনমন্ত্রীর কাছে, আজকে সকালে গেছে মেসেজটা বইলা আমি আশা করতেছি। এখনও কোনো কনফারমেশন পাইনি। বাট দ্যাট ইজ মাই এক্সপেক্টেশন
নিজামুল হক নাসিম : কী মেসেজ গেছে, কী মেসেজ?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওই একই। আপনি লাস্টের মেসেজ যেটা বলছেন আর কি। আমি আসব, এইটা জানানো হইছে। আর হচ্ছে যে, এই আর কি যে, আমাদের প্রেফারেন্সটা হচ্ছে বা আমরা চিন্তা করতেছি, আমাদের সাজেশনটা হচ্ছে যে, এইটা যেন, এই সিদ্ধান্তটা কোন কেসটা আগে যাবে। এইটা যেন একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের ভিত্তিতে করা হয়। এবং যেটা সবচেয়ে বেশি ইম্পোর্টেন্ট কেস, যার দায় দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি, যে লোক সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেই কেসটাকেই আগে ইয়ে করতে হবে। করা উচিত আমরা মনে করি। তারপর তো আমরা রেডি আছি...।
নিজামুল হক নাসিম : উনি একটা কথা বলছেন। একটা কথা অ্যাগ্রি করছে। যে, গোলাম আযম... দ্যাট ইজ সাঈদী, আর সাকা, এয়া তো ভিন্ন কেস। আর গোলাম আযমডা করলে তারপরে নিজামী, মুজাহিদ, কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান— এ সবেই করা যাইতে পরে। এইডা ফলো কইরা। প্রিন্সিপাল ঠিক কইরা দিয়া। এটা উনি এগ্রি করছেন। তার চেয়ে গোলাম আযম যদি একটু লেইটেও হয়, কিন্তু সাঈদী আর সাকা আগে হইলেও খুব বেশি অসুবিধা হবে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, বাট সেইটা হইলেও তো আসলে তারপর হচ্ছে যে, ট্রাইব্যুনাল-ওয়ানকেই আসলে জাজমেন্টটা দিতে হবে— প্রথম জাজমেন্টটা।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ এইটা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা এদিক হউক, আর এই প্রিন্সিপলে আসলেও তো আমরা যদি ধরে নেই, এটা হলেও তো, আপনাদেরকেই দিতে হবে প্রথমে। অর্থাত্ ট্রাইব্যুনাল-টু কোনো অবস্থাতেই জাজমেন্ট দিতে পারবে না আগে। যদি এই প্রিন্সিপাল আমরা ফলো করি। আজকে কি আপনি ওথ টেইকিংয়ে গেছিলেন নাকি?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, যাবো না কেন?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, মানে নিউজে দেখলাম আর কি যে, সব জাজেসরা ছিল, তার মানে আপনিও নিশ্চয়ই গেছিলেন।
নিজামুল হক নাসিম : হুঁ, এইটা হলো আমাদের ট্র্যাডিশন। আর আজকের দুই জন তো আমারই লোক। রুহুল কুদ্দুস বাবু (যিনি খুনের মামলায় প্রধান আসামি ছিলেন বিচারপতি হওয়ার দুই দিন আগে পর্যন্ত) আর ফরিদ আহমেদ। ফরিদ আহমেদ আমিনুল হক সাহেবের জুনিয়র না...?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওই যে, ও আচ্ছা বুঝছি, ওই ফরিদ আহমদ... মানে কালো যে ছেলেটা।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, হ্যাঁ, কালো ছেলেটা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ বুঝছি, উনি কি ইয়ের সাথে বসেন? অ্যা... সামছুদ্দিন সাহেবের সাথে বসেন?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, এখন উনি বসেন, এই মুহূর্তে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, আজকে আপনাদের কোনো খবর দেখতেছি না, পত্রিকাতে।
নিজামুল হক নাসিম : আমাগো যা, আজকে তো সারাদিন চলছেই। সাঈদীর ছেলে কাগজ জমা দেছে তাদের। তাদের ডকুমেন্ট জমা দেছে, এভিডেন্স। সারাদিন সেডাই চলছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা কি তার চিপ হইতেছে... নাকি ক্রস হইতেছে?
নিজামুল হক নাসিম : চিপ-চিপ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : (একটু কাশি) এইটা আবার আরেকটা ব্যাড কনসার্ন।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন :হাইকোর্টের ছুটি... সুপ্রিমকোর্টের ছুটি তো দেখলাম, ১৯ তারিখ থাইকা ছুটি শুরু হচ্ছে।
নিজামুল হক নাসিম : হু..ম। ওই তো ১৯ তারিখ শুরু।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, নেক্সট টার্মে দেখলাম, আনোয়ার ভাইয়ের ইয়ে আছে, মানে কনফারমেশন আছে। ডিসেম্বরে।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, ডিসেম্বরে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ভেরি গুড। একটা ইন্টারেস্টিং নিউজ পাঠাইলাম। একটা নিউজ— আরশাফুজামান খান তো সৌদি আরবে চলে গেছে মনে হচ্ছে।
নিজামুল হক নাসিম : কী... বাঁচার জন্য?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সে ওয়ান অব দ্য, মানে... তার একটা ব্যবস্থা আছে। তার তো অনেক রকম ব্যবস্থা আছে, আরশাফুজ্জামান খানের। তার একটা ব্যবসা হলো যে, সে এই.. হাজী নিয়ে যায় সৌদিতে। প্রতি বছরে হজের সময়। সে অরগানাইজ করে লোক নিয়ে যায়।
নিজামুল হক নাসিম : ভালোই ধান্দামি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমেরিকান আর কি। মানে আমেরিকান বাংলাদেশী, প্রবাবলি বাংলাদেশী... আমি গেস করতেছি। অন্যরাও হবে আর কি, সে...। তার মানে সে যতটুকু জানতে পারছি, সে হচ্ছে এই মুহূর্তে মোস্ট লাইকলি ইয়েতে আছে। এবং তার সম্পর্কে এমেরিকান গভর্নমেন্টের অলরেডি কিছু ইন্টারেস্ট ছিল আর কি। যে, এর আগে যে বিভিন্ন রকম অ্যাকটিভিজমের কারণে। অ্যা... কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণ, মানে এমেরিকাতে তো আসলে যারা একটু, যারা এই ধরনের লোকদের তাদের দিকে তো সরকার এমনিও নজর রাখে। তার উপরে নজরদারি আছে, তার উপরে ইন্টারেস্টও আছে, বহু বছর ধরে তো তার সম্পর্কে লেখালেখি হইছে।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সুতরাং, এরা আছে। ওইখানে আছেন আরেকজন ভদ্রলোক, জামান হাসান। তো একটা আর্টিক্যাল লেখার করণে সে আবার ল’ইয়ারের নোটিশও পাঠাইছিল। এটা অনেক আগের কথা। কয়েক বছর আগে কথা। লিগ্যাল নোটিশ পাঠাইছিল। তখন আমি বলছি, ঠিক আছে। আমরা ঠিক করছি যে, লিগ্যাল নোটিশটা পাঠাক, সে ঠিক আছে। সে ইয়ে করুক। আমরা উত্তর দিছি ওইটাতে যে, ঠিক আছে তুমি মামলা কর আর কি। তখন তার বিরুদ্ধে যে, যদি আমাদের ইরিজনেবল ইয়ে থাকে আর কি, ইনফরমেশন থাকে। তাহলে এইটাকে এটা কনটেম্পট বা ডিফামেশন হওয়ার সম্ভবনা নাই আর কি। এবং কেউ তাকে একিউজ করেন নাই। সব সময় এটাকে— তাকে বলা হইছে যে, সে এটার দায়ী বলে মনে করা হয়। সো ওইটা যখন তাকে চ্যালেঞ্জ করা হইছিল, তখন সে আর এইটা পারসু করে নাই আর কি। সো... এখন সে, এখন এমেরিকানরা আসলে রিয়েলি ওই সব, ওই সমস্ত কনটেম্লট ইয়ে করা হইছে আর কি। মানে রিএস্টাবলিশ করা হইছে খুব দ্রুত ভিত্তিতে।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তারেকরে (প্রসিকিউশনের একজন সদস্য) জানানো হইছে কিছুটুক। কারণ তাকে ওই কনটাক্ট দেওয়া হইছে আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সো, এখন অ্যাটলিস্ট আরশাফুজামান খান নিয়া আমাদের, মানে আমার চিন্তা হচ্ছে তিনটা পর্যায় আর কি। একটা হচ্ছে যে, বাংলাদেশে যেটা হওয়ার যে, যেটা হওয়ার সেটা যেন খুবই হাইকোয়ালিটি একটা (কাশি) ফরমাল চার্জ হয়। এবং চার্জটাকে সুন্দর করা যেটা কাজে লাগাতে পারে। সলিড একটা কিছু। বাট আমি জানি না এখন ইনভেস্টিগেশন কী করেছে বা কী করে নাই বা কী অবস্থায় আছে আর কি? সেকেন্ড হচ্ছে অ্যামেরিকা থেকে সম্ভাবনা আছে তাকে ফিরত নিয়া আসা। কারণ সে এমেরিকার নাগরিক। ইভেন এমেরিকান জুরিসডিকশনে কোন ডেথ প্যানালটি নিয়ে, কোনো প্রবলেম নাই আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সো... যেমন এই যে, মহিউদ্দিনকে, বঙ্গবন্ধুর কিলার মহিউদ্দিনকে যেরকম ইয়ে দিল এমেরিকানরা। ওদের ওই ধরনের প্রবলেমটা নেই। আর নাইন-ইলেভেনের পরই ইসলামিস্টদের উপরে আমেরিকানদের নজরদারি এবং তাদের ব্যাপারে তাদের কোনো খুব একটা বেশি কোনো, টান-টান নাই আর কি। সো... যেটা হতে পারে, সেটা হলো যে, সে সৌদি আরবে... নাও আসতে পারে। যেহেতু ব্যপারটা প্রকাশ হয়ে গেছে। এটা আমরা ধারণা করতেছি। না থাকলেও সে যেহেতু অ্যামেরিকান, সে যেখানেই থাকুক অ্যামেরিকান ‘ল’ এবং এমেরিকান ‘জুরিসডিকশন’ তার উপরে অ্যাপস্নাই করা যাবে আর কি। সেকেন্ড অপশঅনটা হচ্ছে বাংলাদেশে খুবই ভালো ভাবে করা। সেকেন্ড অপশনটা হচ্ছে যে, অ্যামেরকান গভর্নমেন্টকে এবং এমেরিকান পার্টিকুলারলি জাস্টিজ ডিপার্টমেন্টকে, এমেরিকাতে তো মানে আলাদা আলাদা ডিপার্টমেন্ট আর কি। জাস্টিজ ডিপার্টমেন্টগুলোকে যারা এই ধরনের ইনভেস্টিগেশন-স্পেশাল অফিস অব স্পেশাল ইনভেস্টিগেটর-ইনভেস্টিগেশন ও এফআই বলে। তাদের আলাদা অফিস আছে। যাদের কাজই হচ্ছে, ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার ক্রিমিনালদেরকে খুঁইজা বের করা, তদন্ত করা, ডিল করা, আসলে ইফেক্টিভলি। সেই অফিসের লোকেরা, এটা অলরেডি তারা জড়িত এটা সঙ্গে। তারা কিন্তু একটা চিঠি দিছিল, ওম... ওম... আমাদের এই সরকারের সময়েই আর কি। এবং ছোট হোম মিনিস্টার যে টুকু মিয়ার অফিসে গেছিল সেই চিঠি। এবং সেই চিঠি তারা মিডিয়াতে দিয়ে দিয়েছে। ফলে দে ওয়্যার ভেরি ভেরি আন হ্যাপি সরকারের সাথে।
তারা চাচ্ছিল যে, তাদের যেটা পস্ন্যান ছিল, আরশাফুজামান খানের বিরুদ্ধে যেসব সাক্ষী, যে পাঁচ-সাতজন সাক্ষী বোধহয় তখন পর্যন্ত বেঁচে ছিল বা পাওয়া যাচ্ছিল। তাদের প্রস্তাব ছিল ওই চিঠিতে যে, ওই সাক্ষীদেরকে সাম হাউ কোনো অবস্থাতে যদি ইন্ডিয়াতে, ইভেন কলকাতাতে নিয়ে এসেও যদি তারা ইন্টারভিউ নিতে পারে আর কি।
এবং তারা যদি স্যাটিসফাইড থাকে, তাহলে তখন তারা আরশাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে প্রসিড করতে পারে। কিন্তু এই ধরনের চিঠিটা লিক হয় যায় আর কি, মিডিয়াতে। ফলে, তাদের এই ধরনের চিন্তা-ভাবনাগুলা সব, মানে বন্ধ হয়া গেছে। এখন আবার নতুন কইরা শুরু করা হইছে। হোপিং যে, একটা ভালো ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট হইছে। অথবা একটা চার্জ হবে আর কি। চার্জ হয়া গেলে তা জুডিশিয়াল ডকুমেন্ট হয়া গেল।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, তা তো বটেই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সো... ওই জন্য চার্জটাকে কোয়ালিটি করতে হবে। আর হলো যে...
নিজামুল হক নাসিম : চার্জ কোয়ালিটি করাতে হলে আমি তো আমার... শুনতে হয়তো খারাপ শুনাইবে। যে, দুই নাম্বর ট্রাইব্যুনালে গেলে চার্জ কোয়ালিটি হবে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এখন এইটাকে কি পিছাইছে? আমি আজকে পর্যন্ত কোনো খবর রাখি নাই আর কি। মানে এটা এখনও পর্যন্ত ডিসাইড করে নাই তারা। তার মানে এখানে এইডা নিয়ে টানাটানি চলতেছে মনে হচ্ছে আমার। তার এইটা, এইটা তারেক ছাড়া অন্য কোনো প্রসিকিউটর পারবে না। দুই নম্বরে, এইডা আমি এখন বলতে পারতেছি না। এইটা চার্জ কোয়ালিটি করতে হবে। ফরমাল চার্জটা কোয়ালিটি করতে হবে। কারণ আমরা মইনুদ্দিনকে কিন্তু ইউকে থাইকা আনাতে পারব না। আনলেস অ্যান্ড আনটিল সরকার রিটেন গ্যারান্টি দেয় ব্রিটিশ গভার্নমেন্টকে যে, প্রসিকিউশন তার ডেথ পেনালটি সিক করবে না। এবং তাকে ডেথ পেনালটি ইম্পোজ করা হবে না। অর্থাত্ প্রসিকিউশনও চাইবে না। দেয়ার ফর ইম্পোজ করার প্রশ্ন নাই আর কি। মানে এই ধরনের রিটেন গ্যারান্টি দিতে হবে।
নিজামুল হক নাসিম : আর যদি জাজমেন্ট, মানে লাইফ। জাজমেন্টে লাইফ ইনপ্রিজনমেন্ট দেয়? ৫০ বছর, ৬০ বছর, ১০০ বছর?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : লাইফ ইনপ্রিজনমেন্টে অসুবিধা নাই। কিন্তু ওরা অ্যাজ এ পলিসি অ্যাজ এ পাবলিক পলিসি। ব্রিটিশ পাবলিক পলিসি হচ্ছে, ওরা যে দেশে ডেথ পেনালটি ‘ল’তে আছে, ইম্পোজ করা হয়, প্র্যাকটিস করা হয়, এবং আছে যে অভিযোগের চার্জ করা হচ্ছে বা যেসব অপরাধের কথা বলা আছে, সে অপরাধে ডেথ পেনালটি হতে পারে। এই ধরনের সম্ভাবনা থাকলেও তারা তাকে দিবে না।
নিজামুল হক নাসিম : না আমি বলছি যে তার অ্যাবসেনশিয়া ট্রায়াল হয়ে যাক। জাজমেন্ট হয়ে যাক। তখন দেহা গেল যে, ১০০ বছর জেল হইছে। তহন কি হইবে? দেবে না?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তখন কোনো অসুবিধাই নাই।
নিজামুল হক নাসিম : তহন (তখন) দেবে না?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তখন তারা, তখন তারা তাকে পাঠাইতে... তারা বলবে যে প্রসেসটা ফেয়ার হইছে কি না, আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হেয়া তো ভিন্ন কথা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ফেয়ার ট্রায়ালটা হইছে কি না?
নিজামুল হক নাসিম : হইলে ছাড়বে না?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ফেয়ার ট্রায়াল হইলে... ফেয়ার ট্রায়ালটা হইলে ছাড়বে। অ্যাবসেনশিয়া হইলেই তারা ধরে নেয়, মানে ফেয়ার ট্রায়াল হয় না আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : ওহ!
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা ইন্টারন্যাশনাল প্রাক্টিসটা হচ্ছে যে, যখন আপনি ইন-অ্যাবসেন্সে বিচার হলে, এটা ফেয়ার ট্রায়াল হচ্ছে না। কারণ আপনি তাকে, মানে সে নিজেকে তখন ডিফেন্ড করতে পারতেছে না। এইখানে সমস্যা আছে। কাজেই মইনুদ্দিন নিয়ে আমি কিন্তু খুব একটা আশাবাদী না। মানে..., মইনুদ্দিনকে কিছু করতে হইলে এই এভিডেন্স দিয়া যদি ব্রিটিশ গভার্নমেন্ট রিফিউজ করে পাঠাইতে, তাহলে তখন একটা ক্যাম্পেইন করা যাইতে পারে ইউকেতে। এবং তাদেরকে চাপ দেওয়া যাইতে পারে যে, তোমরা তার বিচার করবা তা হলে। এবং এইডা তারা করতে পারে। ইউকে আইনের জুরিসডিকশন আছে ইউনিভার্সেল জুুরিকডিকশন আছে। তার নাগরিককে সে যদি অপরাধ কইরা থাকে জীবনের কোনো এক সময়, তাহলে এটা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম। তাহলে তারা বিচার করতে পারে। কিন্তু সেইটা আমি জানি না যে, আমাদের গভার্নমেন্ট বা আমাদের ওখানে কেউই নাই আর কি। সো, ওইটা কতটুকু ইফেক্টিভ হবে, সেটা না। আর মইনুদ্দিন অনেক পাওয়ারফুল। সে ওইখানে রয়েছে। এবং তার নেটওয়ার্ক অনেক, মাচ স্ট্রংগার দেন আরশাফুজ্জামান খান। আরশাফুজ্জামান খান একটু বেকায়দায় আছে আর কি, আমেরিকাতে। কাজেই আরশাফুজ্জামান খানের যেডা, আসলে রিয়েলি মানে কঠিন ক্রিমিনাল। সে আসলে রিয়েল ক্রিমিনাল একেবারে।
নিজামুল হক নাসিম : মইনুদ্দিন তো ভীষণ ক্রকেড, মইনুদ্দিনকে আমি চিনি। মইনুদ্দিনকে আমি ছাত্রজীবন থেইকাই চিনি। সে তো ভীষণ এবং ক্রকেড টাইপের লোক। বাজে লোক একবারে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তো, এখন এইটার সম্ভবনাটা কম। কিন্তু আরশাফুজ্জামান খানকে, এমেরিকাতে যেহেতু লিগ্যাল সিচুয়েশন ভালো। মানে পলিটিক্যাল সিচুয়েশন ভালো। তো... ফলে ডুয়েবল টাইপের। এই জিনিসটার ব্যাপারে আমাদেরকে ইয়ে করতে হবে। শক্তভাবে ধরতে হবে আর কি। এবং এইটা এমনিই করা যাবে। মানে এইটা তাদের ওখানেও ইয়ে করা যাবে। তারা যদি, ওখানে যদি কোনো অবস্থাতে যদি না পাঠানো হয়ও আর কি— তারাও প্রসিকিউট করতে পারবে। এবং ফাইনালি যেটা করতে হবে, মানে তিন নম্বর যে কাজটা আছে হাতে, সেইটা হলো যে, ওইটা অটোমেটিক হয়ে যাবে। জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট যদি নিয়ে নেয়, তার আমেরিকান সিটিজেনশিপটা রিজেক্ট করা হয় আর কি। যদি এমেরিকান সিটিজেন কেউ হয়। সে যদি কোনো আন্তর্জাতিক অপরাধের সাথে জড়িত হয়, বা জড়িত ছিল, এই ধরনের কোনো তথ্য যদি এই... এই সরকারের হাতে আসে, তা হলে সরকার তাকে ওই সিটিজেনশিপটা অ্যা.. করতে পারে। রিভোক করে দিতে পারে। সো আমরা চাইব, সেইটাও করতে আর কি। সো তিন নম্বর কাজ হইল সেইটা। ওইখানে এটা করা যাবে। এতদিন পর্যন্ত করা গেছিল যদি সরকার। আমরা তো আগে প্রথম শেখ হাসিনার সরকারের সময় তো চাইছি। সেই জিনিসটাই তো আমারা করছি। সেই জিনিসটাই তো আমরা চাইছিলাম। শেখ হাসিনা তো তখন বইলা দিল যে পরের সরকারের সময় আমলে আমরা বিচার করব। এখন করব না। এখন তুমি বাদ দেও। সো, এইটা তো হইল না আর কি। কারণ আমরা ওই তখন এই যে, এই যে, আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে প্রফেসার গিয়াসউদ্দিনের বোন যখন অভিযোগ করল আর কি থানাতে, রমনা থানাতে তো সেই কেসটার ইয়ে চাচ্ছিলাম আর কি। এভিডেন্স চাচ্ছিলাম আর কি। কিন্তু এইডা তো দিল না আর কি। এবং এইডা তো তখন কিছুই হয় নাই আর কি। ঘুমিয়ে পরে আছিল তখন থেকে। সো, এখন হচ্ছে অ্যা... অ্যা... এই কেসটাতে আমাদের সাকসেসের সম্ভাবনা অনেক বেশি আছে। এবং এইটা হবে। তাকে হয় এইখানে হাজির করা যাবে। ইভেনচুয়েলি ওর, যদি কোনো অবস্থাতে হাজির করা না-ও যায়, তার অ্যাবসেনসে অ্যাকশন নেওয়া যাবে। বাট অ্যাজ মইনুদ্দিনের ক্ষেত্রে আইএম নট ভেরি সিওর। সেই জন্য দুইটাকে উরা যেইটা ইনভেস্টিগেশন থেকে বলা হয়েছে, যে, এই দুইডাকে একসাথে করা। একটা সিংগেল কেস করতে দুইজনের বিরুদ্ধে। এটা জয়েন্ট করবে।
নিজামুল হক নাসিম : এডা মনে হয় হবে না। এডা তারা ঠিক করবে, মনে হয় হবে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা আমি, এইটা আমার, এইটা আমি মনে করি যে, ঠিক হবে না আর কি। আর অ্যা...। আর এমনেই যদি বিশেষ কইর্যা ভাগাভাগি কইরা দিতে হয় ট্রাইব্যুনালকে। তাহলে তো আরো ঠিক হবে না। আপনারা কেন যে, দুইজনকে একসাথে একটা সিংগেল ইয়েতে চিঠি লিখেছে। আলাদা ভাবে না কি। এটা আমাকে জানানো হইছে। যে, চিফ প্রসিকিউটারকে তারা জানাইছে যে, এডা একটা, একটা কেস করবে। সো এইটা, এইটা হওয়া উচিত না আর কি। সো, তারপরও যদি দেখি না আসলে অ্যা..র ভেতরে কী আছে। এইটা তো কাজেই ওইটা নিয়ে একটু কাজ হচ্ছে। এবং এইটা আগে থাইকা আমরা কিছু কনটাক্টগুলা কইরা রাখা হইতেছে। সো, দ্যাট যেন সে এইটা ওই লোকের একটু বিপদ আছে। যেহেতু গভার্নমেন্ট এবং লিগ্যাল সিচুয়েশনটা একটু ডিফারেন্ট। আর ইউকেতে প্রসিকিউটিব অথোরিটি কিন্তু ইন্ডিপেডেন্ট একেবারে। আমেরিকাতে প্রসিকিউটিভ অথরিটি এত ইন্ডিপেন্ডেন্ট না। আর ওরা খুব অ্যাগ্রেসিভ এমেরিকানরা। সেইটা ডিপার্টমেন্ট না। অবশ্য কিন্তু জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট না। সো এটার এইটা-এইটা হলো মানে আজেকের, কালকে থেকে আজকের, মানে আজকে রাতের নতুন খবর এটা। ইট ইজ গোইং টু হ্যাপেন। এখন আমরা জানি না। সে আজকে দেখি যে, বোঝা যাবে যে, উনারা আজকে এটা ঠিক করার কথা। যে, কাকে দিতেছে। এইটা নিয়ে অনেক ইয়ে হইতেছে। মানে প্রসিকিউটারদের ভিতরেও তো একটু ইন্টারেস্ট আছে।
নিজামুল হক নাসিম : ও...আলতাফ চাইছে, এডা চাইছে। কি জানি আরেকটার নাম, হের পার্টনার? রহমান হাওলাদার চাইছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সিমন চাইছে। তারা তখন ইংল্যান্ডে যাওয়ার কইব আর কি, এইডার জন্য। আমি আমেরিকা যাই আর ইংল্যান্ড যাই আর কি। আর এইটাতে অনেক টাকা-পয়সার ব্যাপার আছে। এইটা ওরা সবাই জানে। আর এটার দু নম্বর দিক তো, মানে আমাদের ইয়ের বাইরেই চলে যাবে।
নিজামুল হক নাসিম : আ...র খবর-টবর কী?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না এটাই আজকের মেইন খবর ছিল।
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তো ঠিক আছে তা হলে, রেস্ট নেন। ওকে।
নিজামুল হক নাসিম : ঠিক আছে। আল্লাহ ভরসা।
আমি তো কোনো এডজর্নমেন্ট দেই না : বিচারপতি
আমাদেরও ইয়ে ছিল যে, গোলামকেই প্রায়োরিটি দিতে হবে, সাইদির কেসটা খুব লাইট ওয়েট কেস
আসলে, ওই লোকের (বিচারক শাহিনুর) টার্গেটই হলো যে, সে সবার চেয়ে বেশি বুঝে : আহমদ জিয়াউদ্দিন
কথোপকথনের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর-২০১২
নিজামুল হক নাসিম : জি! কেমন আছেন?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আছি, আপনি কেমন আছেন?
নিজামুল হক নাসিম : জি, আছি। কালকে একটা বিয়েয় (বিয়েতে) গিয়েছিলাম, তাই থাকতে পারিনি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা।
নিজামুল হক নাসিম : আপনার শরীর কেমন?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আছে, আমার শরীর আছে।
নিজামুল হক নাসিম : আপনার শরীর কেমন?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আছে। আমার শরীর আছে। এখন আমি এ রিপোর্টগুলো পাইনি আর কি। ল্যাবের রিপোর্টগুলা আসে নাই। এগুলো বায়োপসি করেছে তো, এগুলো এলে তারপর, আপনার, বোঝা যাবে যে কী হয়েছে। বাট, আমি ধরে নিতেছি যে, বেশি সমস্যা হওয়া উচিত না আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : আমারও ডাক্তার দেখাতে হইবে। আমারও পা দুইটা ফুলছে। দুই পা-ই, কালকে যাব আর কি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কি পায়ের গোড়ালি, না কি অন্য কোথাও?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ উপরে উপরে গোড়ালি না উপরে একটু ফুলা দেখতাছি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কি হাঁটুর নিচে না...?
নিজামুল হক নাসিম : হাঁটুর নিচে, নিচে; পায়ের পাতার উপরের পার্টটা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওরে আল্লাহ!
নিজামুল হক নাসিম : কি খুব খারাপ জিনিস?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না না না... এমনি, এমনি, খারাপ জিনিস না। এটা হতে পারে যে, কোথাও ব্যথা-ট্যাথা তো লাগে নাই, তাই না?
নিজামুল হক নাসিম : না, ব্যথা লাগে নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : জুতা-টুতা পরে তো কোনো ইয়ে হয়নি আর কি?
নিজামুল হক নাসিম : না, না, না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তা হলে এমন কিছু না। ডাক্তার দেখানো যায়।
নিজামুল হক নাসিম : হুঁ, কাল বিকালেই যাব, ডাক্তার দেখাব, আর কি। তারপর দেখা যাক, (সুখের মতো করে) ও আল্লাহ...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনাদের বিল্ডিংয়ে মনে হয় মিলাদ-টিলাদ ছিল, ইয়ে ছিল আর কি... ইয়ে আমাকে বলল যে...
নিজামুল হক নাসিম : ওই বিল্ডিংয়ে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ?
নিজামুল হক নাসিম : ওই কালকে শাহিনের আবক্ষার... মারা গেছে তো, মিলাদ পড়ছি আর কি। আমাদের শাহিন, ওবাইদুল হাসান শাহিন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, সেটাই শুনলাম আর কি যে, (নাকে টান দিয়ে) ঠাণ্ডা লাগছে। তো বলেন দেখি, আর আমি তো মাঝখানে কথা হলো, আমার এদের সাথে... অনেকগুলো, বেশ কিছু; বিভিন্ন ব্যাপারে কথা হয়েছে। আপনার সাথে কারও কথা হয়েছে কি না, কে জানে।
নিজামুল হক নাসিম : না, আমার সঙ্গে হয় নাই কারও কোনো কথা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কারণ আমরা সেদিন, ওই একটু যে কথা বললাম। পরে আমি জানতে চাইলাম আসলে কী অবস্থা, আর কি। সেকন্ড ট্রাইব্যুনালের এই পার্টিকুলার। এখন এটা তো দেখাচ্ছে যে, কাদের মোল্লা এবং কামারুজ্জামান— ওরা যেভাবে চার্জটা ফ্রেম করেছে এবং তারা যেভাবে একটা ইয়ে করেছে, তাতে তারা খুবই দ্রুত কেসটা এগিয়ে মানে শেষের দিকে নিয়ে যাচ্ছে মনে হচ্ছে আর কি।
এন- হ্যাঁ, করুক।... অসুবিধা কি? অ্যা..
আহমদ জিয়াউদ্দিন : অসুবিধা কিছুই না। আবার একটু অসুবিধা আছেও বলে মনে হচ্ছে আমার কাছে। কারণ তারা যদি প্রথম জাজমেন্ট দেওয়ার চেষ্টা করে আর কি। সেটা নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই ওরিড থাকব আর কি। যে, কারণ সেটা হচ্ছে, অ্যাটলিস্ট ওন সেটার হয়ে যাবে আর কি। যেটা হয়ে যাওয়া উচিত হবে না। আরও অন্যান্যভাবেও ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করবে আর কি— যেটা হওয়া উচিত না। আরও অন্যান্যভাবেও ক্রেডিট নেয়ার চেষ্টা করবে আর কি। এটাও উচিত হবে না। অঃ সড়ত্ব রসঢ়ড়ত্ঃধহঃষু আসলে যে আর কি। তারা যে প্রিন্সিপালগুলো সেট করবে আর কি, লিগ্যাল প্রিন্সিপালগুলা... সেটা নিয়ে আসলে তো উই ডন্ট নো। সেটা নিয়ে কিন্তু আমি আসলে... আমার এবং রায়হানের কথাও হয়েছে আমার সাথে কালকে। হুঁ, পরশু দিন, সরি, হুঁ। তাই একটু ইয়েতে আছি আর কি। এবং হিসাব-টিসাব করে দেখা গেল যে, আসলে কতদিন আছে, কোনটা কবে হইতে পারে, না পারে আর কি। এবং ওরা ছিল ওইখানে কালকে। ওই পরশু দিনের আলোচনাতে আমি ওদের সাথে, দুই-একজনের সাথে কথা বললাম। যারা ওই কেসে... ওইখানে প্রসিকিউশনে আছে। যেটা আর কি সাইফুল-টাইফুলরা;
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কী অবস্থা অ্যাকচুয়ালি তাদের? কথা-টথা তো হয় না? এবং তারাও বোধহয়, এটা নিয়ে একটু চিন্তায় আছে আর কি। কেইসগুলোকেও ছোট করে ফেলেছে। প্লাস হচ্ছে যে, এটাও রইছে, মানে এটা একটা ডিস্টিঙ্কট পসিবিলিটি- ডিস্টিঙ্কট না, তারা একটা মোর অর লেস কাইন্ড অব রোডম্যাপের মতো করছে। যে, আমরা যত তাড়াতাড়ি পারি এটা শেষ করব আর কি এবং এখানে তারা মানে আফটার লক্ষ্য তো আপনে ব্যক্তিগতভাবে আর কি। বাকিরা তো লক্ষ্য না আর কি। তখন দেখা যাবে কি যে, বলবে যে, আমরা বহু পরে শুরু করে বহু আগে শেষ করে দিলাম ইত্যাদি ইত্যাদি। আমরা কত কী জানি।
আর তার চাইতে বড় ড্যামেজিং যেটা হবে, সেটা হলো সেই দিক থেকে। তারা দেখছে, আর আমি দেখতেছি, আমরা দেখতেছি সেটাকে ড্যামেজে হিসাবে আর কি। এটা খুবই ইমপর্ট্যান্ট। এটা জাস্ট আপনাকে জানিয়ে রাখা যে, এই অ্যাসেসমেন্টটা হচ্ছে এবং এই জিনিসটা এইভাবে এগুচ্ছে আর কি। যে, তারা ৩টা কেস নিয়ে দ্রুত এগুচ্ছে কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান এবং আলীম। আর হচ্ছে এই দিক থেকে গোলামের ব্যাপারে। উনারা তো যেভাবে, সাক্ষী বোধহয় আরও কমিয়ে দিতেছে। মানে সুলতানা আপার পরে বোধহয় তারা আর কোনো সাক্ষী দিবে না।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ,
আহমদ জিয়াউদ্দিন : যদি না দেয়, তা হলে ওদের যদিও ওখানে বেশ কয়েকটা সিজার লিস্ট উউটনেস আছে। আমাকে জানানো হচ্ছে যে, সেটাকেও তারা ছোট করে দিতেছে। ফলে সিজার লিস্ট উইটনেসের আগে যেভাবে করা হইছে বা শুধু এই স্বাক্ষরগুলো এবং তারিখ, দিন-তারিখ ব্যাসিক জিনিসগুলো কনফার্ম করা ছাড়া এর চাইতে বেশি কিছু করানো হবে না। কাজেই এটা খুব দ্রুত আগাবে আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সেখানে প্রভাইডেড ওই জেরাটাকে যদি রেস্ট্রিক্ট করা যায় আর কি। সো, এটা আমাদের মনে হচ্ছে যেটা, সেটা হলো যে, যদি মানে, কোনো অবস্থাতেই গোলামটাকে যদি...। যেটা এর আগেও কথা হইছিল আমাদের, যদি গোলামটাকে (গোলাম আযম) যদি স্পিডআপ করা যায় আর কি। এবং এটাকে যদি প্রথম কেস হিসেবে শেষ করা যায়। তাহলে সবদিক থেকে পলিটিক্যালি ও সিগনিফিকেন্ট, লিগ্যালি ও ভেরি সিগনিফিকেন্ট। কারণ তার মতো সিগনিফিকেন্ট কেস নাই আসলে। কারণ লিগ্যাল কন্সট্রাকশনের উপরেই হোল কেসটা হবে, এবং মানে ওদারওয়াইজ ন্যাশনালি ও... সবদিক থেকেই খুবই ইমপর্টেন্ট আর কি। এটা নিয়ে কথা হইছে। তো উনারা আমাদেরকে কথার আলোচনার সময় আমরা জানব। মানে অনেকগুলা ছিল আর কি। মানে ফার্স্টটাইম মনে হয় সেদিন— সেদনিই এতগুলা প্রসিকিউটর এই পক্ষের প্রসিকিউটর ছিল এক সাথে এই স্কাইফের মিটিংয়ে, সেদিন। মালুম ভাইও ছিলেন, তারপর সিপন ভাইও ছিলেন, তারেক ছিলেন। যে, উনারা মনে করে যে ওনারা যদি অ্যাবাউট ২৫ দিনের মতো লাগবে তাদের এইটা শেষ করতে। তারা বোধহয় একটা ওয়ার্কআউটও করছে, এ রকম একটা। মানে ২৫ ওয়ার্কিং ডেজের ভিতরে এইটা শেষ করতে পারবে আর কি এবং দেখা যাচ্ছে কি যে, এই বছরটা শেষ হতে ৭৫ ওয়ার্কিং ডেজ বাকি আছে— কালকের দিনটাসহ। এই ব্যাপারটা— আমরাও যেটা, আমরাও এগ্রি করি যেটা হচ্ছে যে, সব লিগ্যাল দিক থেকে বিশেষ করে দুটো জিনিস আর কি। একটা হচ্ছে যে, ডেফিনেটলি ট্রাইব্যুনাল ওয়ানের হল জাজমেন্ট হতে হবে প্রথম। মানে এখানে কম্পিটিশনের কোনো ব্যাপার নাই। কিন্তু তারপরও একটা থাকতেছে। কারণ এখানে একটা ইনওরডিনেট একটা নেগেটিভ ক্যাম্পেইনের সুযোগ থেকে যাবে আর কি। এবং এটা করবেই এরা। এবং সেটার জন্য যেটা কিছু করা লাগে, এটাকে ফেসিলিটেট করে দিতে হবে আর কি। এবং আরও ইম্পোর্ট্যান্ট হচ্ছে যে, লিগ্যাল দিক থেকে প্রিন্সিপালগুলোকে সেট করার দিক থেকে এক নাম্বার ট্রাইব্যুনালে সেট যদি করা হয়। মানে সেটা হলো... তাহলে এটা সিগনিফিকেন্ট হবে। এবং এইটাই হওয়া উচিত আর কি— আসলে সবদিক থেকে বিবেচনা করে।
কারণ উনারা যে কী করবে, কী দেখিয়ে দেবে আইনে আর কি। সেই আইনে আবার তখন, কারণ আমরা তো বিচ্ছিন্নভাবে চিন্তা করলেও এবং একজনের সাথে আরেক জনের সম্পর্ক...। আর উনারা তো পাবলিকলি নাকি বলছেই যে, ওই ট্রাইব্যুনালে যে, এক নম্বর ট্রাইব্যুনালের কোনো-কোনোকিছুই আমাদের উপরে বাইন্ডিং না। এটাকি আপনি জানেন?
নিজামুল হক নাসিম : জানি, আরও বলা হয়েছে— তাদের বলা হইছে, গু খড়ত্ফ, ুড়ঁ ধত্ব ধ ংরমহধঃড়ত্ু ঃড় ঃযধঃ. তখন চুপ হইয়া গেছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হি: হি: হি: হি:, হ্যাঁ। তো এই যে এটিচুডটা আর কি এবং এটার আমি একটু ইয়ে আর কি। আর এটাতে আমরা একটু ওরিড আর কি। সবদিক থেকে ওরিড আর কি। এটা যেহেতু পসিবিলিটি আছে বলে মনে হচ্ছে। এবং যেহেতু প্রসিকিউটররা কো-অপারেট করবে বইল্যা বলতেছেন নিজেরাই যে, গোলামের ব্যাপারে। সেটা যদি হয় এবং তাহলে এটাকে একটু কীভাবে আগে, এরকমই তো আমাদেরও ইয়ে ছিল যে, গোলামকেই প্রায়োরিটি দিতে হবে। তো এটা যদি করানো যায় আর কি বা করা যায়, তাহলে কিন্তু সবদিক থেকে ভালো হবে। কারণ এখানে উনারা যদি আর সাক্ষী না দেয়, ইভেন তারা জেনারেল সফিউল্লাহকেও বাদ দিয়ে দিতেছে। ইজ দ্যাট ইজ দ্য কেস— কারণ, এখন উনারা একটা জিনিস বুঝছে। যা তাদেরকে আমরা সবসময় বলছিলাম যে, আপনারা এই বড়-সড় লোকদের নিয়ে আপনার লাভটা কী হচ্ছে। এবং একজন প্রসিকিউটর খুব খোলামেলা বলল আর কি। যে, না আমরা তাদেরকে কন্ট্রোল করতে পারি, না আমরা তাদের কাছ থেকে, না তারা আমাদের কথা শুনে, না তারা আমার কোন অভিযোগটা প্রমাণ করতেছে? এইটা তো বোঝা যাইতেছে না। এদেরকে আমরা নিয়ে আসছি। ইনক্লুডিং ইয়েকে নিয়ে কথা হইল। ইয়ের সাথে আর কি শাহরিয়ার কবিরকে নিয়েও কথা হইছে আর কি। এই একই কনটেক্সটে। যে আমার কোন চার্জটা প্রমাণ করা হচ্ছে? তখন তারা বলতেছে যে, মানে তারা এখন বুঝতে পেরেছে যে, এই ধরনের লোক নিয়ে আইসা আমার স্পেসিফিক চার্জ প্রমাণিত হচ্ছে না। কাজেই আমার দরকার হলো চার্জগুলো— যেগুলো করা হইছে সেই চার্জগুলো প্রমাণ করা। কাজেই এই বড় বড় উইটনেস নিয়া আমরা প্রচুর সময় নষ্ট করতেছি। এবং এটা তারা যেটা বলে, তারা নিজেদের কথাটা বলে বেশি। নিজেদের যেটা ইচ্ছা আছে, সেটা বেশি বলে। আদার দেন যে, যেটা প্রমাণ করা দরকার, সেগুলো এবং ফলে কস্টটা বেশি হইয়া যাইতেছে। এবং এই প্রবলেমগুলা হইয়া যাচ্ছে। এবং ওইটা এখন বুঝতেছে যে খুবই লিমিটেড ওয়েতে সাক্ষী দিতে হবে। এবং খুবই দ্রুত এটাকে এগুতে হবে। কারণ এটা বোধহয় উপর থেকে বিভিন্ন রকম আলোচনা করার পরই আর কি। তারা বোধহয় একটা বড় আলোচনা করছে নিজেদের ভিতরে। কইরা তারপর আমাদের সাথে আলোচনা করছে। যেটা আমরা অ্যাপ্রিসিয়েট করছি যে, ঠিক আছে। এবং আমরা ইয়েতে ছিলাম আর কি। স্পেসিফিক্যালি বলেন যে, আপনাদের টাইমিংটা কী? বলতেছেন যে, পারবেন। কিন্তু কত দিনের ভিতরে, কীভাবে আপনারা কোনটার ভিতরে কী করতে পারবেন? তাদের ক্যাটাগরিক্যাল ইয়ে হইতেছে যে, ২৫টা ওয়াকির্ং ডে দেন আমাদেরকে। আমরা এটা শেষ করতে পারব। সো দ্যাটস্্ ওয়ান থিং আর কি। এবং এড়ষধস অুধস পড়ঁষফ ংঃরষষ নব ধপপড়ত্ফরহম ঃড় ঃযবস ঃযব ভরত্ংঃ ঔঁফমবসবহঃ এবং যেটা আসলে হওয়া উচিত। এবং বিভিন্ন দিক থেকে সিগনিফিকেন্ট আর কি। সো ওই সেন্সে একটা রোডম্যাপের কথা মানে নিজেরাই চিন্তা। যারা হচ্ছে, আপনাদের বেশ কিছু ইয়েও দিতেছে আর কি। ওনারা যেভাবে বিভিন্ন রকম, যেমন মালুম ভাইয়ের বাসায় ইনডেক্স তৈরি করে দিতেছে আর কি। কাজেই ইজিয়ার হবে আপনাকে কোন ডকুমেন্টে কী আছে না আছে— এই টাইপের কাজও কইর্যা রাখতেছেন তারা আর কি। সো, এইটা। আর মূলত এইটা হইল সারমর্ম কথা আর কি আসলে। প্রচুর কথা হইছে, কিন্তু এইটা হচ্ছে মেইন কথা আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : আমার সঙ্গে কাল চিফ প্রসিকিউটরদের সঙ্গে একটু কথা হয়েছিল।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা।
নিজামুল হক নাসিম : আমি তারে বলছি যে দেখেন, আমি একটা কথা আমি আপনাকে বলি, সেটা হলো নাম্বার-ওয়ানের কেসে আমরা ফোন অ্যাডজরমেন্ট দেব না। আপনারা সাক্ষী আনতে পারলে সেটা কন্টিনিউ করব। এবং অন্য কোনো কেস দিয়ে আমরা এই কেসের প্রসিডিং বন্ধও করব না। এটি আগে থাকবে সব সময়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটাই চাচ্ছেন উনারা।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, যেহেতু সাঈদী প্রায় শেষ হয়েই আসছে— সাঈদীই আগে শেষ হবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সাঈদী... বোধহয় এখনও ২০টা উইটনেস বাকি আছে আপনার। বা ১৮টা উইটনেস বাকি আছে।
নিজামুল হক নাসিম : যা-ই হোক...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কারণ তারা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, বা যত পিটিশন তারা দিতেছে আর কি, তাতে আমার মনে হয় যে, এখানে যেহেতু ওনারা মাত্র আর একটা, মানে জেনারেল শফিউল্লাহকেও বাদ দিয়া দিতেছে। শুধু সুলতানা কামাল থাকছে। আর কোনো সাক্ষী তারা দিবে না। এবং তখন ক্লোজ কইরা দিতেছে। আর ওই সেলু মিয়ার একটা সাক্ষী দিবে। যেটা খুব সিগনিফিকেন্ট না আসলে।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, মানে সেটার যেহেতু অভিযোগ করা আছে, সেইটার একটা সাক্ষী দিবে আর কি। ওইটা তো মানে— আর আমরা জানি যে, গোলাম আযমের মামলা তো ওইটা। ওনারা আমাদেরকে রিকোয়েস্ট যেটা করেছে সেটা হচ্ছে— আমরা যেন ফাইনাল আরগুমেন্টগুলা এবং ও সিটিংগুলা চিন্তা করি। আমরা বলেছি যে, আপনারা আমাদেরকে সাক্ষী যতগুলা হয়েছে সেগুলার স্টেটমেন্টগুলো আমাদেরকে শেয়ার করেন। তাহলে আমরা বুঝতে পারব যে, যে কার আর্গুমেন্ট বা কার স্টেটমেন্ট থেকে কী নেয়া যাবে। কাজেই ওইটা মোটামুটি উনারা আমাদেরকে ক্লোজিংয়ের কথাই বলেছেন আর কি আসলে।
যে, লিগ্যাল দিকগুলো— এইগুলা আপনারা দ্যান। এগুলাও আমাদেরকে বলতেছেন এটা তো আপনারা করবেনই। তো এটা আপনারা তৈরি শুরু করে দেন আর কি। এটা নিয়েই আরেকটু ডিটেইলস কথা হবে হয়তোবা। ওনারা সিমস টু বি সুলতানা কামালের পরে। অর্থাত্ আর একটা নতুন সাক্ষীর পরে আর কোনো সাক্ষী দিবে না। এটা হচ্ছে তাদের পজিশন আপাতত।
কারণ বলতেছে, জেনারেল সাহেবের সাক্ষী দিয়ে জেনারেল সাহেবের শুধু বীরত্বগাথার কথাবার্তা ছাড়া আমার প্রমাণ হচ্ছে না। এখন এরা বুইঝ্যা গেছে যে, সব অ্যাটলিস্ট ওই গ্রুপটা যে, আমরা ধরে নিতেছি যে ওই গ্রুপেরও কিছু অংশ আর কি। মানে হাইপ্রোফাইল উইটনেস নিয়ে এসে তাদের কেসের কোনো ইয়ে হইতেছে না। মানে কেসের কোনো লাভ হইতেছে না। আর যেসব জেনারেল স্টেটমেন্ট যেগুলো দেয়, এগুলার জন্য তো আর আসলে ইয়ে লাগে না। মানে ঐতিহাসিক যে তথ্য গুলা আছে সেগুলো তো কারও মাধ্যমে বক্তব্য না দিলেও চলে। সেটা তো ট্রাইব্যুনাল নোটিশে নিতেই পারে। অথবা যদি তারা চ্যালেঞ্জ করে কেবলমাত্র তাহলেই নোটিশ নেয়ার প্রশ্ন আসে আর কি। সেটাকেই আবার নতুন করে আরেক জনের মুখের মাধ্যমে, মানে কাউকে দিয়ে বলানোটাও তো ঠিকমত হইতেছে না। মানে সেখানেও সমস্যা তৈরি হচ্ছে। মানে অথরিটি, অথেনটিসিটি নিয়ে কথা থাকছে। সো, কাজেই, এটা নিয়ে তারা চিন্তাই করছে সিরিয়াসলি, এবং এটা নিয়ে তারা সিদ্ধান্ত নিছে যে, না ওইটা বাদ দেয়া হবে। এটা দ্রুততার সাথে সুলতানা কামালের পরে আর সাক্ষী হচ্ছে না। কাজেই তারা তখন সিজারে চলে যাবে। সিজারে তারা তারা বোধহয় একটা সাক্ষীকে দিয়ে ১৮টা ডকুমেন্টস আছে, এগুলাকে করবে। সিঙ্গেল সোর্স থেকে। মানে প্রত্যেকটা জায়গা থেকে, মানে বাংলা একাডেমী, ন্যাশনাল লাইব্রেরি, মিনিস্টারি একটা একটা করে সিজারলিস্ট উইটনেস নিয়ে এসে ওইখানে যা যা ডকুমেন্টসগুলা হইছে, যার কাছ থেইক্যা নিছে, সে শুধু তারটা অ্যাটাচ্ড ছাড়া বিয়োন্ড দ্যাট আর কোনো কিছু করবে না। ইভেন উনারা এটাও চিন্তা করছে যে, ওনার একদিনের ভিতরে পারলে বুঝি... আর এগুলা সবই টেকনিক্যাল ম্যাটারের সাক্ষী আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, তা তো বটেই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ যে, নাম ঠিকানা এই আর কি— আমি এত তারিখে গেছি, এই স্বাক্ষর, এটার আমি এটা ছিলাম। ব্যস, মানে কনটেন্টের ভিতরে আর যাবেই না।
নিজামুল হক নাসিম : কনটেন্টের ভিতরে যাবার তো আর দরকারও নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ.. কি হইছে না হইছেম যাস্ট শুধু এই এনেক্স মানে— এই ডকুমেন্টসটা, এই লিস্টটা, এইটা আমার স্বাক্ষর, আমি এইটা রাখছি, এটা করছি, এই হলো আমার অবস্থান, আমি এদ্দিন ধরে চাকরি করতেছি। ওই সময় যেদিন ওনারা গেছেন সেদিন আমি কাজ করতেছিলাম— এই টাইপের আর কি— মানে খুবই রুটিন কথাবার্তা। এইটা বলে ওনারা চাইতেছেন যে, একদিনে পারলে বহুতগুলা যদি সময় ইয়া করে মানি সময়ের উপরে। মাঝখানে যদি সময়ের উপর কোনো ডিসটার্ব না হয় তাহলে দ্রুত শেষ হয়ে যাবে সিজারলিস্ট উইটনেসটা।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আর হলো আইও-টাও (তদন্ত কর্মকর্তা)। আইও-টাও প্রথম আইও থেকে যে জিনিসটা লেসন নিতেছে আর কি। যে, প্রথম আইও তো করছে যে সে তো নিজে ওস্তাদি কইর্যা, নিজের সমস্ত কাহিনী আবার সে সামারি করছে। এগুলোকে আবার ডিফেন্সের সাথে শেয়ার করছে। এবং অফিসিয়ালি সাবমিটেড হইছে। তো আর কি প্রশ্ন করার সুযোগ পাইছে। এই ধরনের এখানে কোনো কিছু আর হবে না। ফলে এটাকেও কত ইফিসিয়েন্টলি ইয়ে করা যায়, ক্রসটা করা হয় সেটা। এবং এখানে যদি, ট্রাইব্যুনাল যদি একটু স্ট্রিক্ট থাকে আর কি। ইন টার্মস্ অব ক্রসে যেহেতু তারা খুব বেশি কথা বলবে না। কারণ কথা বললেই দেখা যায় ক্রসের একটা প্রশ্ন আসে আর কি। কথা না বললেই তো আর ক্রস আসে না আসলে। সো সেটা তারা মোটমাট মানে আঁটঘাট বেঁধেই গোলামেরটার নামতে চাচ্ছে। প্রস্তুতিও নিতেছে এবং ওই রকম বিবেচনা থেকেই আর কি। যে এইটাকেই তারাও আসলে চাইতেছে যে প্রথম কেসে আনতে। হ্যাঁ... এটা বিভিন্নভাবে সিগনিফিকেন্টের থাইক্যাও প্রথম কেস। লিগ্যাল সিগনিফিকেন্ট থাইক্যাও প্রথম কেইস, পলিটিক্যাল সিগনিফিকেন্সের দিক থাইক্যাও এটা প্রথম কেস, মানে হিস্টোরিক্যাল সিগনিফিক্যান্সের দিক থাইক্যাও এটা প্রথম কেস, প্রোফাইলের দিন থাইক্যাও এটা প্রথম কেইস হওয়া উচিত। এবং এটা ফার্স্ট ট্রাইব্যুনালে রয়েছে আর কি। কাজেই সব দিক থাইক্যা আসলে এইটার গুরুত্বটা অনেক বেশি। কারণ অ্যাটবেস্ট ওনারা খুবই খোলামেলাই স্বীকার করতেছেন যে, মানে সাঈদীর কেস তো খুবই লাইট-ওয়েট একটা কেস আসলে। এটা এমনিই খুব টাইট কেস না। খুব শক্তিশালী একটা ব্যাপার-স্যাপার না। এবং সিগনিফিকেন্টেরও ব্যাপার না আর কি। লিগ্যাল অ্যান্ড পলিটিক্যাল সিগনিফিকেন্স না। তবে প্রসেসটা সিগনিফিক্যান্ট। এইটা নিয়েই ওনাদের কথা। এইটা নিয়েই ওনারা শুধু আমাদের কাছে রিকোয়েস্ট করেছে যে, আমরা যেন ওই পর্যায়ে যে, সাহায্য করার ব্যাপারে যেন রেডি হইয়া যাই আর কি। যা যা লিগ্যাল কিছু লাগে, সেই জিনিসগুলো যেন চিন্তা করতে থাকি। এবং এখন যেহেতু ফুলসুইংয়ে ট্রাইব্যুনাল আছে, মানে ট্রাইব্যুনালের ফুল ক্যাপাসিটি রয়েছে। সো এটা হলো চেষ্টা করতেছেন। সেকেন্ড ট্রাইব্যুনাল নিয়ে তাদের এখন রিয়েল চিন্তা আছে। রিয়েল বিপদে আছে তারা আর কী। এখন হাসান সাহেবকে, ওই ওবায়দুল হাসান সাহেবকে উনি যদি একটু ইয়ে করেন আর কি। কারণ আরেকটা যেটা ইম্পোর্ট্যান্ট নিউজ আছে, দেখা যাচ্ছে যে মিনিস্ট্রি থেকে— ল’ মিনিস্ট্রি থেকে। সেটা আপনি জানেন কি না জানি না। হয়তোবা জানেন। ল’ মিনিস্ট্রি থেকে ওই যে বিভিন্ন রকম কোয়ারি যেগুলা আসে; যেমন অ্যাম্বাসি থেকে বা বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বা অন্যান্য জায়গা থেকে— এগুলো সবই আসলে ওইখানে। এটা হলো দুই নাম্বার ট্রাইব্যুনালে দেয়া হচ্ছে। এসব চিঠিপত্রগুলা কমিউনিকেশনগুলা। এবং উত্তর দেয়ার দায়িত্ব তাকে দেয়া হচ্ছে। এটা তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই কবির সাহেব ও শাহিনুর সাহেব বড় এটাতে ইনটারেস্টেড আর কি। সো মিনিস্ট্রি অব ল’ থেকে সমস্ত কমিউনিকেশন যেগুলো বাইরে থেকে আসছে বা যা কিছু যোগাযোগ হচ্ছে, ট্রাইব্যুনাল সংক্রান্ত, সেগুলো ওইখানে যাচ্ছে (২নং ট্রাইব্যুনালে)।
নিজামুল হক নাসিম : এটা মনে হয় ঠিক না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওয়েল, সেটাই আসছে মেসেজটা ওই ২নম্বর ট্রাইব্যুনাল থেকে। কাজেই মেসেজটা আসতেছে ২নং ট্রাইব্যুনাল থেকেই। বাট অ্যানিওয়ে এটা মাস্টলেস সিগনিফিকেন্ট। কিন্তু যেটা হচ্ছে যে, তারা চাচ্ছে যে এবং সেখানে যেহেতু ওবায়দুল হাসান সাহেব কিছুটুকু অ্যাকটিভ হচ্ছেন বইল্যা আমাদেরকে প্রসিকিউটররা জানাইলেন। যে, উনি একটু অ্যাকটিভ হইছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত যখন লেখালেখির ব্যাপার-স্যাপারগুলা আসে, তখন শাহিনুর সাহেবের ওই ট্রাইব্যুনালে উনার ইনফ্লুয়েন্সটা অনেক বেশি আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, এটা তো বটেই। চেয়ারম্যানই তাকে ইনসিস্ট করে। সবকিছু তো সে-ই করে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এবং উনি যে কী ধরনের লোক, এটা আমরা টের পাইছি আর কি। এবং ওনার টার্গেটটা কি, সেটাও আমরা টের পাইছি আর কি। এবং উনি নিজেকে কীভাবে প্রেজেন্ট করে, সেটাও আমরা জানি। এবং উনি তো জাস্টিস সিনহাকে কিন্তু অ্যাপ্রোচ করছে জহির সাহেবের ব্যাপারে, করছিল।
নিজামুল হক নাসিম : কী অ্যাপ্রোচ করছিল?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : জহির সাহেবকে যেন না সরানো হয়, সেই লবিটা (শাহিনুর সাহেব করছিল)।
নিজামুল হক নাসিম : শাহিনুর নিজেই সিটে নাই, ইয়ের কাছে, সিনহার কাছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা উনার চলে যাওয়াটা (জহির সাবের) উনাদের জন্য ইয়ে হইছে আর কি। মানে আন-নার্ভিং একটা ব্যাপার হইছে আর কি। তো এটাও একটা সত্য কথা। বাট আপনি এটাকে কীভাবে নিবে আমি জানি না, ওনাকে যেভাবে আমরা চিনি বা ওনাদেরকে যেভাবে চিনি, আমি মনে করি উনারা দুই জন আপনাকে পছন্দ করে না— না কবির সাহেব, না শাহিনুর সাহেব।
নিজামুল হক নাসিম : হা হা... (হাসি দিয়ে বিষয়টাকে হালকা করলেন)।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমরাই চাই, আর না চাই, সেটাই অবস্থা। ওবায়দুল হাসান সাহেবকে আমি চিনি না। কাজেই ওনি কোনো সিনের ভেতরে নাই। এজন্য আমি ধরেই নিয়েছি যে, উনি কোনো সমস্যা না। এই দুই জনই কিন্তু আসলে পক্ষের মানুষ না। এবং তাদের মনে, মানে টার্গেট ওইভাবেই করা আছে আর কি। এবং তারা আইনমন্ত্রীকে তো ওইটা বলেই আসছে আর কি। যে ইভেন গোলাম আযমের কেসটাও আমাদের দিয়ে দেন- আমরা অনেক বেটার করব। সো, তাদের অবশ্যই একটা রোডম্যাপ অনুযায়ী চলতেছে যদিও। তারা এটাকে, মানে কেসগুলোকে অনেক ছোট বানিয়েছে। এবং একজন প্রসিকিউটর তো বলল যে, আসলে কেসগুলোকে চার্জ ফ্রেমের সময় এমনভাবে চার্জটা করছে আর কি। ওইখানেই তো মানে থার্টি পার্সেন্ট ছিঁড়ে ফেলে দিছে একটা কেস। খুবই, বাদ দিয়ে দিছে সব কিছু।
এটা ঘটছে এবং এইটা ঘটতেছে। সো, আমরা কিন্তু আসলে আমাদের প্রথম যেটা আলোচনাতে ছিল যে গোলামটাই প্রথমে আসবে। এটা আপনি আপনার দিক থেকে আরেকবার স্মরণ করি যে, দেন যে, এটা শুরু হইলেই নন-স্টপ হবে। এবং আমাকে যে ধরনের আশ্বাস দেয়া হচ্ছে যে, এটা রিয়েলি ননস্টপ হবে। এখন কিন্তু অন্যান্যরা সাক্ষীতে যেমন সাকার সাক্ষী নিয়ে ট্রাবল হচ্ছে। আজকেও সাকার সাক্ষী নিয়ে একটা রিপোর্ট আছে। এখানে মার্ডার-টার্ডারও হইছে একটা। আপনার চোখে পড়ছে কি না, জানি না।
নিজামুল হক নাসিম : পড়ে নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হু, ওখানে কিন্তু অ্যারেস্ট করছে একজনকে। ওখানে মার্ডার রিলেটেড অ্যারেস্ট। যে এটা সাকার সাক্ষী রিলেটেড ব্যাপার-স্যাপার। সেইখানে একটু অসুবিধা হচ্ছে। সাক্ষীদের খুঁজে... ওনাদের একটু ট্রাবল হচ্ছে আর কি। গোলামের ক্ষেত্রে কিন্তু, সাক্ষীই নাই আসলে। তো এইটা শেষ হয়ে যাবে। এইটা একটু দেখেন। একটু চিন্তা করেন। আর আপনি যদি আরো স্ট্রিক্টলি ওনাদের টাইটের ভিতরে রাখতে চান, যে ওইটা শুরু হবে— নন স্টপ চলতে থাকবে। হয়তো একদিন অন্যটা, যেটা সাঈদীরটা রাখলেন। বাকি দিনগুলা এটা ছাড়া যাবে না আর কি। এবং ওনারা যেভাবে চাইতেছে যে, ২৫টা আমাদেরকে ওয়ার্কিং ডে দেন। ওদের একটা রোডম্যাপ করছি। আমি চাইছিলাম আর কি, ২৫ দিনের ভেতরে এটা হয়ে যাবে। টুয়েন্টি ফাইভ ওয়ার্কিং ডেইজের ভেতরে। শুধু তাদের উইটনেসটা আপনাকে ইয়ে করতে হবে, ডিফেন্স উইটনেসটা। সেটা তো এখানে যদি তারা ৪-৫টা সাক্ষী দেয়। মানি সব মিলে-টিলে, ইভেন সিজারলিস্ট মিলে-টিলে, আইও মিলে-টিলে, মানে ১০-১২টা সাক্ষী হয় যদি আর কি। বা ১৫টা সাক্ষী হয় মেক্সিমাম। তাতে বোধ হয় ৭টা লিজারলিস্ট উইটনেস রিলেটেড আছে। এটা পারলে তারা এক দিনেই করে ফেলার অবস্থা আর কি। বা ২ দিনে করবে এটাকে। যত দ্রুত পারে করে নিবে। অনেক গুলোকে সাক্ষী একসাথে দিয়ে তারা সব ক্রস করাইল— এ রকম বা যেভাবেই পারে। যেটা আপনারা এফিশিয়েন্ট ওয়েতে মনে করেন আর কি। তাহলে কিন্তু এটা অনেক এগিয়ে যেতে পারে। আর এমনিও ওই লোকের (গোলাম আযমের) বয়স-টয়স হইয়া যাইতেছে। কাজই এমনেও সবদিক বিবেচনা করলে এটাকেই একটু হাইস্পিডে দেয়া উচিত। মানে এটাকে ফাস্ট ট্র্যাকে দিয়ে দেয়া উচিত। এবং দে আর প্রিপিয়ার অ্যাকোর্ডিংলি। সো, এটা তারা আলোচনা করেছেন, নিজেদের রোডম্যাপ অনুযায়ী তৈরি করেছেন। নিজেদের প্রস্তুতি তারা করেছে। তারপর তারা নিজেদের ভিতরে আলোচনা করে আমাদের সাথে আলোচনা করল। ছিল সবাই আমাদেরও। মানে রায়হান আর আমি ছিলাম। অনেক প্রশ্নের উত্তর দিছে তারা। আমাদের মনে হইছে যে, তারা অনেক সিরিয়াস এটার ব্যাপারে। এখানে বোধহয় অন্য কোনো পলিটিক্যাল ইশারাও আছে আর কি। এই সবকিছু মিলে-টিলে এবং আমরাও মনে করি। যেটা বললাম যে, ওই যে লিগ্যাল, পলিটিক্যাল ইম্পোর্টেন্সের দিক থেকে, ট্রাইব্যুনাল ওয়ানের ইম্পোর্টেন্সের দিন থেকে এটা অলমোস্ট আমাদের দাবি বা প্রত্যাশা হবে আর কি। কোনো অবস্থাতেই সেকেন্ড ট্রাইব্যুনালকে প্রথম জাজমেন্ট দিতে দেয়া যাবে না আমাদের কিন্তু। আপনি হয়তোবা অন্যভাবে নিবেন। কিন্তু আমরাও এটাকে অন্যভাবে দেখব আর কি। কারণ ওরা আসলে আপনাকে, বাকিরা দুইজন তারা তো আর টার্গেট না... টার্গেট হইলেন আপনি ঘুরে ফিরে। একটা নেগেটিভ ক্যাম্পেইনের একটা ইয়ে পাবে, যেটা আমাদের কোনো অবস্থাতেই সুযোগ দেয়া ঠিক হবে না। এটা ওইখানে দরকার হয় আমাদেরকে কিছু ইঞ্জিনিয়ারিং করতে হইলে ওই দিক থেইক্যা করতে হবে। এবং সবাই তারা রাজিও হবে। এটা তারা দেখতেছে। সবাই মনে করে যে এই কেসটা খুবই সিগনিফিক্যান্ট হবে। মানে এটা প্রথম হওয়া উচিত। আর এখন তো এরা বুঝতে পারতেছে, কিছুটুক বুঝতে পারতেছে আমাদের প্রসিকিউটররা। যেটা একদিক থেকে আমাদের ভালো লাগছে যেটা, এখন বুঝতে পারছে যে ল’ টা কী হচ্ছে। এবং কোন কেসে ল’য়ের উপর ভিত্তি কইরা হবে, আর কোন কেসে ফ্যাক্টসের উপরে ভিত্তি কইরা হবে। তো গোলাম আযমের ক্ষেত্রে তারা বুঝতে পারতেছে। এখানে যদি ল’য়ের প্রিন্সিপালগুলো যদি সেট কইরা দেয়া যায়। এবং এই প্রিন্সিপাল কেবলমাত্র এক নম্বর ট্রাইব্যুনাল সেট করে দিতে পারবে। যদি দেয়া হয়, তাহলে তখন ওই লিগ্যাল প্রিন্সিপালের দিক থেকে, ইভেন সেকেন্ড ট্রাইব্যুনালে যদি তারা যেভাবে মানে, যেভাবে তারা পাবলিকলি ঘোষণা দিয়া দিছে, তারপরও তারা কিন্তু এটার বাইরে যাইতে পারবে না। এবং সেটার ইমপেক্টটা অনেক বেশি হবে। এবং প্রসিকিউশন তখন দেখা যাবে কি যে, বারবার এটাকে রেফার করতে থাকবে— তাদের লিগ্যাল সাবমিশনগুলাতে, তাদের লিগ্যাল কনস্ট্রাকশনে। সবকিছুতে তারা একই রকম চিন্তা না করলেও এর বাইরে যাওয়ার তাদের কোন উপায় থাকবে না। এটা যদি একটা কম্প্রিহেনসিভ জাজমেন্ট, যেহেতু এখন একটা নতুন তারা চেঞ্জ করবে বইলা মনে হচ্ছে। জাজমেন্ট তো আপনাকে আগেই ডেলিভারি করার, মানে আগেই সমস্থ কিছু টাইপ-টাইপ কইরা সিল সাইন সব রেডি রাখতে হইবে। মানে কমপ্লিট জাজমেন্ট কইরা রাখতে হইবে। কাজেই এখন আপনার প্রস্তুতিটা কিন্তু বেশ কিছুটুকু আগে থেইক্যা শুরু করতে হইবে। সেইটাও ওনাদের একটা কনসিডারেশনে আছে। সেজন্য ওনাদেরও রিকোয়েস্ট হচ্ছে আমাদের যে, এসব ব্যাপারগুলো যেন আমরা একটু খেয়াল করি আর কি। সো, দ্যাট আইনটা যেহেতু চেঞ্জ হবেই আর কি। ওনাদেরও কিন্তু ধারণা নেই, আইনটা কীভাবে কে চেঞ্জ করাইল আর কি। বাট, সেটাতে কিছু যায়, আসে না। এত টাইট দেয়া উচিত হয়নি আর কি। জাজদের একটু ফ্রিডম দেয়া উচিত ছিল। অর্ডার দেয়ার পরে জাজমেন্ট দুই-চার দিন পরে দিলেও চলত। কিন্তু এখন যেভাবে টাইট দেয়া দিছে আর কি।
কাজেই আপনাকে আগে থেকেই সব কিছু করে ফেলতে হবে আর কি। সো এটা প্রথম কেসটা যদি গোলাম আযমকে করা হয়, তাহলে বেশি কিছু ইয়ের ওয়ার্ক, বেশ কিছু কাজপত্র, টেক্সট, অলমোস্ট ইতিমধ্যেই তৈরি করা শুরু কইর্যা দিতে হবে। এবং সেটাকে রিয়েলি একটা সিগনিফিকেন্ট কেসে তৈরি করে দিতে হবে। যেখানে আসলে হোল প্রসেসের টোনটা সেট করে দেবে। এবং তারা যদি রিয়েলি সবকিছু চিন্তা বিবেচনা করত, তাহলে প্রথমে এই কেসটাই আনা উচিত ছিল তাদের। যদিও এইটা ইনভেস্টিগেটরদের শয়তানির জন্য, তারপর শেষের দিকে এটা আসছে। কাজেই ওইগুলা বইল্যা লাভ নাই। এইটা আপনার লিগ্যাল টোন এবং সব টোনই সেট করতে হবে এবং এটা ডুয়েবল। কাজেই এখন যদি ৭৫টা ওয়ার্কিং ডে থাকে এই সময়ের ভিতরে, তো এইডা ওনাদের কথা হচ্ছে— ২৫টা ওয়ার্কিং ডে’র ভিতরে ওনারা পারবেন। এবং ওনারা চিন্তা কইর্যাই মানে ভাগ-যোগ কইর্যাই, মানে হিসাব-টিসাব কইরা করছেন আর কি। আর আপনারা বাকিটুকু যেভাবে ইয়ে করেন আর কি। মাঝখানে ওই ওদের স্ট্র্যাটেজিটা হচ্ছে— এন্ড অব দ্য ডে, ডিফেন্স কিন্তু থাকবে না আপনার। মানে যে কোনো কিছু একটা ছুতা করে তারা হাঁটা দিতে পারে। এটা তারা দিবেই।
নিজামুল হক নাসিম : তাদের মাথা আছে, এলিভেনথ আওয়ারে তারা যাইব? পারবে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : যাবেই, যাবেই, হ্যাঁ.. এটা তারা করবে। আর আরেকটা হচ্ছে তাদের যে স্ট্র্যাটেজি। তারা ওই পিটিশনের পর পিটিশন দেয়া, ওইটারে ড্রপ মানে আটকাইয়া রাখার চেষ্টাটা। এটা তো তাদের পুরানো স্ট্র্যাটেজি। আর হচ্ছে যে, আরেকটা স্ট্র্যাটেজি তারা রিসেন্ট নিতেছে, সেটা হচ্ছে মিজানুল ইসলামকে দিয়া। এই ট্রাইব্যুনালে বলে, ওনি ওই ট্রাইব্যুনালে আছেন। আবার ওই ট্রাইব্যুনালে বলে, ওনি এই ট্রাইব্যুনালে আছেন।
নিজামুল হক নাসিম : সেটা হবে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কিংবা ওনি অসুস্থ আছেন, এ রকম বইল্যা আসলে মানে হি ইজ দ্য লইয়ার যে, হি ইজ গেটিং মেক্সিমাম অ্যাডজর্নমেন্ট ইন বোথ ট্রাইব্যুনাল।
নিজামুল হক নাসিম : আমি তো কোনো অ্যাডজর্নমেন্ট দেই নাই। এটা প্রসিকিউশন কি মনে করে, আমি জানি না। আমি কিন্তু, কোনো অ্যাডজর্নমেন্ট দেই নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কিন্তু, ওই ট্রাইব্যুনালে কিন্তু সে ওই কথা বলে যে, তিনি ওই ১নং ট্রাইব্যুনালে আছে। কাজেই সময় দেয়। তো এটাও তাদের একটা ছোট স্ট্র্যাটেজি। যখন যেটা কাজে লাগে। অর্থাত্ যে স্ট্র্যাটেজি কাজে লাগে, সেটাই প্রয়োগ করে। তো এটা নিয়ে মোর অর লেস বিভিন্নরকম আলোচনা হয়েছে। বেশ খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। এবং মনে হয় না যে, এটা নিয়ে আমাদের বড়-সড় আদর্শিক কোনো তফাত থাকবে। এবং এটাই। তখনই আমাকে জানাইল যে, ইয়ে ছিল, মিলাদ-টিলাদ ছিল। আপনি ছিলেন, চিফ জাস্টিস ছিল। এটার নিউজটা দেখছি, কিন্তু আমরা জানতাম না। আর ওনাকে আমরা সাজেস্ট করছি যে, মানে ওবায়দুল হাসান সাহেবকে। উনি যদি কিছু টেকআপ শুরু করেন আর কি। তাহলে শাহিনুর সাহেবকে মিনিমাইজ ওখানে যদি করে-করেন, তাহলে সুবিধা হয় আর কি। তাহলে ওই রকম মোটিভেটেড ইয়ে হয় না আর কি। এই লোক তো, আপনি যেটা বললেন। আমি যেটা বললাম না, আপনি যেটা বললেন। একদম পুরা উনাদের যে অ্যাসেসমেন্ট, সেই অ্যাসেসমেন্টের সাথে পুরো মিলে যায় একেবারে। যে উগান্ডার জাজেসদের সাথে আপনাদের যে মিটিং হয়েছিল। সেখান আসার পর শাহিনুর সাহেবের যে প্রচেষ্টাটা যে, এটা ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল এবং কম্পারেটিভ অ্যানালাইসিস কইরা বুঝায়ে দেওয়া যে, আমাদের এটা আছে, ওটা আছে, সেটা আছে। যেটার কোনো প্রয়োজনই নাই। ইভেন এই প্রসিকিউটররা বলেছেন যে, এই লোকের (শাহিনুর) টার্গেটই হলো যে, সে যে আসলে সবার চাইতে বেশি বুঝে। মানে আপনাদের ৬ জনের চাইতে অনেক বেশি বুঝে, এই জিনিসটা তার একটা...। মানে এইটা সে ছাড়তেছে না আর কি। তো এখানে একমাত্র ওবায়দুল হাসান সাহেব যদি একটু পিকআপ করেন আর কি। এবং লেখার দায়িত্বটা যদি উনি নিতে পারেন। ওখানে যেহেতু দুইজন একেবারে এক আর কি। দুইজন অলমোস্ট এক। মানে শাহিনুর সাহেব এবং কবির সাহেব। কবির সাহেব তো নিজে কিছু লেখালেখি করেন না। আপনার মতো না তো। উনি তো খুবই কম লেখালেখি করেন মনে হয়।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ... হ্যাঁ...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এক লাইন-দেড় লাইনের চেয়ে উনার অর্ডার বড় হয় না। বাকি সবটুকুই শাহিনুর সাহেবকে দিয়ে করায়। সো, ওইখানে ওবায়দুল হাসান সাহেব কতটুকু ইয়ে হতে পারবেন সেইটা। না হলে আমরা তো খোলামেলাই বলে দিয়েছি যে, যদি দেখি যে, আমরা বেকায়দা হয়ে যাইতেছি আর কি। এবং এটা এ প্রসেসটাকে ক্ষতি করবে। কারণ তাদের কোনো সিদ্ধান্ত যদি প্রসেসটাকে কোয়েশ্চেনেবল করে। বিকজ অ্যাপিলেট ডিভিশনের জাজরা যেন কনফিউজ না হয়। এবং একটা মেসেজ যেতে হবে দুই ট্রাইব্যুনাল থেকে। যে কারণে আমরা বেঞ্চের ব্যাপারে এত ইয়ে করছি। লিগ্যাল ডিসিপ্লিনের একটা ব্যাপার আছে এখানে। ইন্ডিপেনডেন্ট সবাই ঠিকই আছে। কিন্তু ডিফারেন্টভাবে আরগুমেন্ট কইরা আপনি স্ট্যান্ড কনক্লুশন ঠিক করেন— সই আছে। কিন্তু আপনি ডাইভার্ট দিতে পারবেন না। যেটার বেনিফিট ডিফেন্স নিবে। এইটা আমাদের বন্ধ করা হইল টার্গেট। ডিফেন্সকে ওই বেনিফিট নিতে দেয়া যাবে না। যে অ্যাপিলেট ডিভিশনে গিয়ে গিয়ে দুই ট্রাইব্যুনালের দুই কেস নিয়া দাঁড় করাইয়া দিয়া বলবে যে, দুই রকম দেখেন এটা। আপনাদের চয়েজ। দুই রকম ব্যাপার আছে। ওইখানে তারা আসলে কী করবে, সেটা আমরা জানি না। কিন্তু এ ধরনের কোনো চয়েজ তাদের হাতে দেয়া যাবে না। কাজেই লিগ্যাল কোয়েশ্চেন যেগুলো হচ্ছে এবং ইন্টারন্যাশনালি এস্টাবলিশড। বাংলাদেশের জুরিসপুডেন্সে ওই বিষয় ডেভেলপ করতেছে। ওই একই ডেভেলপ করতে হবে দুই ট্রাইব্যুনাল থাইক্যা। আমাকে যেটা বলা হচ্ছে যে, আই এম নট ভেরি শিওর। শাহিনুর সাহেবের আগের ওই অবস্থান মানে একটু ভয়ে আছেন উনি। যে, মানে ভয়ের ভেতরে থাকলে হবে না। যদি দেখা যায় যে ওনারা রিয়েলি রঙ জাজমেন্ট দিতেছে আমাদের ভিউতে। এবং কমপ্লিটলি উল্টাপাল্টা করে দিতেছে। এবং এটাকে বেশি ইন্টারন্যাশনালাইজড কইর্যা ফেলতেছে। ডেফিনিটলি যেখানে অলরেডি এটা ইস্টাবিলিশড ইয়ে আছে যে, যেখানে প্রয়োজন আছে, প্রয়োজন পড়বে, তাহলেই কেবল মাত্র ফরেন জুরিসপ্রুডেন্স দেয়া হবে। যেভাবে হইছে থাক।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : রিকুইজালের ক্ষেত্রে আমরা নিজেরাই ফরেন জুরিসপ্রুডেন্স অ্যাড্রেস করছি। অ্যাকসেপ্ট করছি। এটা করছি বিকজ, যেহেতু করতে হইছে আর কি। যেহেতু আমার লোকাল জুরিসপ্রুডেন্স ছিল না। ডমেস্টিক জুরিসপ্রুডেন্স ছিল না।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, ছিল না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটার বাইরে বাকি যেখানে আমাদের প্রয়োজন নেই, অপ্রয়োজনীয়ভাবে যদি এটাকে ইন্টারন্যাশনাইজড করার চেষ্টা করা হয়, ইভেন সংজ্ঞাগুলোকে যদি রিয়েলি বেশি পরিবর্তন করে ফেলা হয়, তাহলে কিন্তু প্রবলেম হয়ে যাবে। মানে এই প্রসেসটাকে এইভাবে আইনের ছত্রছায়ায়, প্রসেসটাকে যদি আপনি ডিজরাপ্ট করার চেষ্টা করেন। অন্যভাবে না। আইনের ছায়ার ভেতরেই প্রসেসটাকে ডিজরাপ্ট করলেন। ইভেন অ্যাপিলেট ডিভিশনে গিয়ে যদি দেখা যায় যে, আপনি দুইটা জাজমেন্টকে দুই রকমভাবে দুই সংজ্ঞায় দেখা গেল আর কি। তখন উনাদের পক্ষে ওই হার্ড অপিনিয়ন পর্যন্ত, অদ্দূর পর্যন্ত তো আমরা কিছুই করতে পারব না। কাজেই আমরা চাই যেটা, সেটা হলো যে, ই...টা যেন না হয়। এবং উনাদের আমরা বলছি যে, আমাদের কথা হচ্ছে, এটা আপনার কথা কি না জানি না। বাট এটা আমাদের কথা হচ্ছে যে, ট্রাইব্যুনাল দুইটা করা হইছে-হইছে...। কিন্তু ইয়ে আসতে হবে একই রকমের। এবং যে কারণে ট্রাইব্যুনাল-১এর দায় দায়িত্বটা খুবই দরকার। কারণ গাইডেন্সটাকে, টোনটাকে সেট করা। এইটাই হাইল রাস্তাটা। এরপরে আপনি এদিক সেদিক থাকেন— নড়াচড়া করেন, কোনো অসুবিধা হবে না। সে হিসেবেও কিন্তু ট্রাইব্যুনাল ওয়ানের একটা কেসের কনক্লুশন ইজ ভ্যারি ইম্পোর্টেন্ট। আর যেহেতু সাঈদীর কেসে আমাদের লিগ্যাল প্রিন্সিপাল খুব বেশি সেট হবে না, এটা আমরা বুঝতে পারতেছি। এবং ফ্যাক্টগুলো সেভাবে না। এবং তারে যে অবস্থানগত কারণেও সেটা না। লিগ্যাল অবস্থানের কারণেও সেটা না। পলিটিক্যালি ইভেন আদারওয়াইজ (সাঈদীর) এটা সিগনিফিকেন্ট রোল না এটা। মানে ওই পরিমাণ প্রিন্সিপালগুলা আমরা সেট করতে পারব না। এবং তার ক্রিমিন্যালিটির দিক থেকেও না। যেটা আপনার গোলাম আযমকে দিয়ে আনা যাবে। কাজেই এটা দিয়েই যদি আমরা সেট করে দিয়ে যেতে পারি, তাহলে আমরা অনেকগুলো কাজ একসাথে করতে পারলাম আর কি। ২ নাম্বারে আমরা টাইপ করলাম। যতই তারা বলুক তারা তখন প্রসিকিউশন শুধু ১ নম্বরের অর্ডার চিঠি নিয়ে বারবার দেখাবে আর কি যে, আমাদের আরগুমেন্ট হবে এটাই জাজমেন্টের উপর ভিত্তি কইর্যা। বাকি যে কেসগুলো চলতে থাকবে। সেখান থেকে শুরু করে বা তার আগের থেকেও। তারা দেখতেছে কী জিনিস তৈরি হচ্ছে আর কি। ওই একই রকম লাইন অব থিংকিং এ আলোচনা কইরা ওনাদেরকে দেয়া হবে। যেটা ওনারা প্লেস করতে থাকবে গোলাম আযমের কেসে। তো এইটা হলো অনেকগুলো জিনিস। কিন্তু, এক ঢিলে বহু বহু পাখি মারার একটা স্ট্র্যাটেজি চিন্তা করা হচ্ছে আর কি। এটাকে-১ নম্বরটার গুরুত্বটা রাখা। ফাস্ট কেসটা ১ নম্বর থেকে নিয়ে আসা। ফার্স্ট কেস এমন একটা নিয়ে আসা, যেটাতে এই হোল জিনিসটার স্ট্যান্ডার্ডটা সেট হয়ে যায়। এটা খুবই ইম্পোর্টেন্ট। মোট কথা বাংলাদেশের ইতিহাসে এটা কখনও হয়নি। এবং একবার সেট হয়ে গেলে তখন মিডিয়াও পিক করবে, সবাই পিক করবে। তখন উনারা এটা যতটুকুই চেষ্টা করুক না কেন, উনারা এর বাইরে যেতে পারবে না। এবং তখন পলিটিক্যালিও চেষ্টা করা হবে এটাকে এই লাইনে রাখা। এবং ঐ মেসেজটাও পৌঁছে দেওয়া। তো এখানে বেশি স্বাধীনত বা বেশি ইনটেলিকচুয়েলগিরি এখানে দেখানোর দরকার নাই। ট্রাইব্যুনাল-১ যেখানে এভাবে গাইডলাইনটা দিচ্ছে, এভাবেই এটা হতে হবে। প্রবলেমটা হলো এখানে কবির সাহেব না। উনি প্রবলেম। কিন্তু লেখার দিক থেকে সেটা কোনো প্রবলেম হবে না। প্রবলেম হবে শাহিনুর সাহেবের। হ্যাঁ... উনির, ওনার যেভাবে করতেছে, আমরা চাইছি ওনারটা দিচ্ছে, সেভাবে বাকিটা হতে হবে। এবং এখানে কবির সাহেব প্রবলেম হলেও লেখার দিকে কবির সাহেব প্রবলেম হবে না, প্রবলেম হবে শাহিনুর সাহেব। উনি এখন যেভাবে করতেছে সে আমরা চাই যে, উনার সমস্ত অর্ডারগুলার কপি যেভাবেই হোক না কেন, আমাদেরকে দেয়া হোক। কারণ ওরা আসলে ওবার ওয়ার্ক দেখিয়ে আসলে সময় পায় না আর কি। আর বেশ কিছু জিনিস ওনারা পাচ্ছে না, ওনাদের হাতে। মানে সাঈদী সাহেবের কোনো কিছুই ওনারা পাচ্ছে না। ওনাদের ইভেন রেকর্ডেও কোনো কপি থাকে না। এটা কোয়াইট আনফরচুনেট আর কি। যে, পিটিশন যেগুলো করা হয় অথবা যে, অর্ডার-টর্ডার যেগুলো হচ্ছে তারা কিন্তু নিজ থেকেই কিন্তু শেয়ার করতেছে না। মানে আর্কাইভেও রাখতেছে না। মানে প্রসিকিউশনের আর্কাইভে থাকতেছে না। সাঈদীর ব্যাপার-স্যাপারগুলা আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মোটামুটি ওই কেসের পরে। এটা হলো তার একটা ব্যাপার। সেটা কিছু যায় আসে না। এটা হলো মোটামুটি ব্যাপারটা। এবং প্রস্তুতির দিক থেকে তারা সেগুলোই চিন্তা করতেছে। তারা আমাদের রিকোয়েস্ট ও তাদের সঙ্গে কনসিডারেশন করছে যে, আমরাও যেন এটাকে এটুকু ইয়ে করি। আমাদের তাদেরকেও টাইটে রাখতে হবে যতটুকু রাখা যায়। প্রসিকিউশন এই ক্ষেত্রে ভেরি সিরিয়াস। আপনার সাথে বোধহয়, ডিরেক্টলি অর ইনডিরেক্টলি, তাদের সাথে কোনো যোগাযোগ হলেও হতে পারে। ওই যে আপনি বলছেন, যেন কাজেই ওই সিমিলার মেসেজ।
নিজামুল হক নাসিম : আপনি ওদেরকে বলে দেন যে, তারা যেন ইমেডিয়েটলি তারা যেন, দরখাস্ত করে। যে, ডিফেন্সের উইটনেসদের নাম এবং পার্টিকুলারস তারা যেন চায় কোর্টের কাছে যে, এটা দেয়া হোক। তখন আমি নম্বর ডিলিট কইর্যা দেবয়েনে। ডিলিট করে বলবয়েনে, এটা দিয়ে দেয়ার জন্য। বা এ অর্ডার করে দিতে পারব যে, এত দিনের মধ্যে দিয়ে দেয়া হোক। তার আগে তো আমাদের সাক্ষী শেষ হবে। তারপর ওই অর্ডার হবে; তার আগে তো না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না, এটা ঠিক আছে।
নিজামুল হক নাসিম : এরা আগেই বলতেছে, আমি সবগুলো মানা তো কষ্টকর।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঠিক আছে। নো প্রবলেম (অস্পষ্ট) আজই আসছে। কালও আসছিল। বলছি আমাদের সাথে কথা হয়নি। উনি বাইরে ছিলেন। ওখানে কী ডিফেন্সের স্টেটমেন্টের কথাও থাকবে?
নিজামুল হক নাসিম : এটা চাবে তারা, ডিফেন্স স্টেটমেন্ট দিবে না। দেয়ার টু লিমিট...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, এটাই যদি করে দেয়া যায়, তারা তো ১০ হাজার দিচ্ছে না। কয় হাজার দিচ্ছে শয়তানরা। হ্যাঁ...
নিজামুল হক নাসিম : (অস্পষ্ট)
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটার উপর একটা ইয়ে হয়ে যাবে। ঠিক আছে। এটা আজকেই কমিউনিকেশন করে নিব। একটু পরেই। এবং... দ্রুতই চলে যাবে। ঠিক আছে?
নিজামুল হক নাসিম : যা দেখা যাক আল্লাহ ভরসা, ঠিক আছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা।
নিজামুল হক নাসিম : রাখি আজকে।
সিনহা বাবু কইছে ডিসেম্বরের মধ্যে তিনডা দিয়া লন
তারপরে আমরা আপনারে এহানে নিয়া আসি : বিচারপতি
কথোপকথনের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১২
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যালো...
নিজামুল হক নাসিম : হ্যালো- স্লামুআলাইকুম, কেমন আছেন?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওয়ালাইকুম সালাম। আছি-আছি, আপনে আছেন?
নিজামুল হক নাসিম : ইনশাল্লাহ ভালোই আছি। আজ কোনো খবর-টবর আছে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আজকে তো খবর... আপনাদের খবর তো দেখেছেনই বোধহয়, না কি দেখেন নাই এখনও?
নিজামুল হক নাসিম : না দেখি নাই এখনও।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, সাঈদীর যে ডকুমেন্ট দিবে বলছে, এটা কিসের ডকুমেন্ট দিবে? যেটা অ্যালাও করছেন।
নিজামুল হক নাসিম : আরে... কিছু ম্যাটেরিয়াল তারা আগে দেয় নাই, এখন দিচ্ছে। সেটা প্রেয়ার করছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওকে, এগুলা নিয়াই আর কি, ছোটখাটো নিউজগুলাই তো আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা-আচ্ছা, তাইলে তো ঠিকই আছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মানে অনেকগুলো বোধহয় পিটিশন পড়ে আছে আর কি, ডিসপোজআপ করার জন্য।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আর আপনি কেমন আছেন? আমি এখন দেখতেছি যে, একাত্তর সালে, না ৭২-৭৩ সাল পর্যন্ত আমেরিকান অ্যামবাসির যে বিভিন্ন রকম মেসেজ গেছে, আইসিটি’র উপর, আইসিটি-এর বিভিন্ন এরিয়া-এর উপর। বাংলাদেশের মেম্বারশিপ অ্যাপ্লিকেশনস, ওয়ার ক্রাইমস, মানে আইনটা নিয়ে, পাকিস্তানের রিঅ্যাকশন, এই সংক্রান্ত ইউএস মেসেজ পাঠায় তারা। সেগুলোকে আর কি ডিক্লাসিফাই করছে আর কি। সেগুলো এখন পাবলিকলি অ্যাভেইলেবল করা হইছে। সেই মেসেজগুলা। আপনাকে পাঠাব পরে। দেখি একটা সিঙ্গেল ডকুমেন্টের ভিতরে। মোটামুটি জানা কথা, তারপরও বোঝা যাচ্ছে যে, যেমন একটা ইনটারেস্টিং মেসেজ দেখা যাচ্ছে, প্রস্তাবটা ওদের। এই যে ১৯৫ জনকে ফিরিয়ে যাওয়ার-ফিরিয়ে নেয়ার প্রস্তাবটা, এটা বাংলাদেশ দিয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী যে, যে আমাদেরকে স্বীকৃতি দাও। স্বীকৃতির বিনিময়ে ওই ১৯৫ জন ফেরত আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : মানে ওই স্বীকৃতির বিনিময়ে আমরা পাকিস্তানের বিচার করব না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, পাকিস্তানের বিচার করব না, সেই মেসেজগুলা, আপনাকে পাঠাইব দেখি একসাথে কইরা।
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা, পাকিস্তানিরা কোন সময় বলছে যে, আমরা বিচার করব?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, বলছে বলছে।
নিজামুল হক নাসিম : সেইটার কি ম্যাটেরিয়ালস আছে? সেইটা আমার দরকার জাজমেন্টে আনার জন্য।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তারা যেটা বলছে যে, সেটা হলো তারা স্বীকার করছে এবং এই যে, আপনাকে পাঠাব আর কি দেখবেন। এটা ঠিক ডিরেক্টলি তারা ইয়ে করে নাই। এটা করছে, এটা ঠিক দুই জায়গাতে করছে। একটা হচ্ছে যে, তারা ৯৬-এ যে কেসটা করছিল আর কি, সেখানে তারা অ্যাডমিট করছে যে, এইটা হলো আমাদের বিচার করার কথা।
নিজামুল হক নাসিম : কেন আমরা করব বলছে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : খরবটা আবার আমার ডাবল চেক করতে হবে।
নিজামুল হক নাসিম : একটু দেখেন তো, কারণ আমি তো... এইটা যদি হয়ে থাকে, তাইলে এইটা আমি জাজমেন্টে নিয়া আসব।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, ওইটা আপনি এমনেতেও আনতে পারেন। কারণ তারা নিজেরাই বলছে তারাই বিচার করবে আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : সেইটা কোথায় আছে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তাদের বিচার করার কথা। এইখানেও যেরকম আছে। যেরকম আগাশাহীর একটা স্টেটমেন্ট দেখতাছি, ওই আজিজ, সরি... এম এ আজিজ, ওদের পাকিস্তানের যে...।
নিজামুল হক নাসিম : আজিজ আহমদ?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, আজিজ আহমদ আর কি। সে পিকিংয়ে ওদের অ্যামবাসেডর ছিল আর কি। সে বলছে, এই যে এই আলোচনার প্রেক্ষিতে সে বলছে যে, আমরা অস্বীকার করি না যে, কিছু লোকের বিচার করা দরকার ওইখানে। কিন্তু সেটা বাংলাদেশে না। কিন্তু, এইটা স্পেসিফিকালি বলে নাই যে, এইটা আমরা বিচার করব আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : এইরকম যা ল্যাংগুয়েজ আছে আমারে একটু দিয়েন তো।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কাজেই তারা বাই ইমপ্লিকেশন তারা অ্যাডমিট করে নিতেছে যে, বিচারটা আসলে আমরা করব না। মানে বিচারটা আমরা করব বেসিক্যালি... কারণ তখন যে পলিটিক্যাল পরিস্থিতি না, তখন তারা বিচার করবে ভুট্টো এ ধরনের কোনো... বিচারটাকেই তারা পুরো অস্বীকার করার কারণে, এবং কিছুই হয়নি ৭১-এ। এই যে তাদের যে চিন্তাটা আর কি। সেটার কারণে তারা বিচার করবেই সেটা বলতে পারতেছে না, কিন্তু তারা যেটা বলতেছে যে বাংলাদেশ করতে পারে না, বিচার করতে হলে আমরা করব। আচ্ছা আপনাকে আমি পাঠাচ্ছি, দাঁড়ান দেখি...
নিজামুল হক নাসিম : এখন দিতে হবে না। আপনি পরে পাঠান। কিন্তু এই সম্পর্কে আমি একটু বলতে চাই— একটা প্যারাগ্রাফ অ্যাটলিস্ট, যদি তারা এমন কোনো দিয়ে থাকে যে, এইটা বাংলাদেশের ব্যাপার না, আমাদের ব্যাপার বা অন্য কারও ব্যাপার। সেটা ভিন্ন কথা, কিন্তু বিচারটা যে হওয়া উচিত, এই ধরনের কিছু ল্যাংগুয়েজ থাকলেও আমাদের কাজে লাগে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, এইটা আছে, হু...ম.. এইটা আছে।
নিজামুল হক নাসিম : এইটা যেমন বললেন, এইমাত্র যে, আজিজ আহমদ বলছে যে, অ্যাম্বাসেডার অব দ্য চায়না, ঠিক না? এই ল্যাংগুয়েজটা পেলেও, যেমন এই ল্যাংগুয়েজটা সে বলছে, এইরকম আর একজন যদি বলে থাকে। এইগুলা মিল্লা যদি ইয়ে করা যায় যে they took the responsibility that the trial should be held but not by Bangladesh.
আহমদ জিয়াউদ্দিন: They are suppose to be tried.
নিজামুল হক নাসিম : তাতেও আমার চলবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তারা ইভেন বলছে to the extent যে, এটার জন্য যদি জুরিসডিকশন থেকে থাকে, তবে সেটা হবে আমাদের জুরিসডিকশন।
নিজামুল হক নাসিম : সেটা হলে তো আরও ফাইন ... সেটা হলে তো আরও ফাইন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : বাংলাদেশের না, এইটা আপনাকে এখনই পাঠায়ে দিতে পারব। এটা আমাদের রেডি স্টকেই আছে। এখন আমি একটু...
নিজামুল হক নাসিম : আমার এখনই দরকার নাই, আপনি ঠাণ্ডা মাথায় দিয়েন অসুবিধা নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ভুইল্লা যেতে পারি।
নিজামুল হক নাসিম : আরে ভুলবেন কেমনে? ডেইলিই তো কথা হইবে ইনশাআল্লাহ। যদি বাইচ্চা থাকি, হা...হা... হা... (হাসি)।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হা... হা... হা... (হাসি)। এই যে দেখতেছি, এই যে মামলা করছিল, পাকিস্তান-ভারতের বিরুদ্ধে মামলা করছিল আর কি। যখন বাংলাদেশ রিকোয়েস্ট করেছে। করে নাই মানে তার আগে আর কী ভাব করতেছে যে ১৯৫ জনকে বাংলাদেশের ফিরিয়ে দেয়ার জন্য, তো সেখানে পাকিস্তান মামলা একটা করেছে। সেটা অনেক বড় একটা কেস। এখানে বহুত কিছু আছে, যাস্ট আপনি যদি পড়েন, আপনার অনেক মজা লাগবে আর কি আসলে। you should read it। একেবারে যা আছে, আইন-কানুন যা আছে, এই যে আমরা যে বিচার করতেছি সবকিছু, এটার ভেতরে রেফারেন্স আছে। আইনের রেফারেন্সগুলা দেয়া আছে। ফাইনালি এটা পাকিস্তান ডিসাইড করল যে, যখন তেয়াত্তরে চুক্তিটা হয়ে গেল ফেরত দিয়ে দেয়ার। তখন পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসকে জানাইছে যে, আমরা এটা আর প্রসিড করব না। ফলে এটা আর ইয়ে হয় নাই আর কি। পাকিস্তানের যেটা স্ট্যান্ডার্ড পজিশন ছিল, সেটা হচ্ছে যে ভারতের আক্রমণ আর পাকিস্তানের সেলফ ডিফেন্স।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, সেটা তো আছেই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : অ্যাপ্লিকেশনটা পড়লে দেখবেন যে, এটা হচ্ছে জেনোসাইড কনভেনশনের অধীনে মামলাটা করছে আর কি। কারণ বোথ পাকিস্তান তো জেনোসাইড কনভেনশনের ইয়ে ছিল। আপনি কি কিছু মানে ড্রাফট করা শুরু করছেন?
নিজামুল হক নাসিম : করব।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা। মানে এটা কী, সাঈদীরটাই তো মনে হয় শেষ হয়ে যাচ্ছে, আপনি যেভাবে এগুচ্ছেন।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, সাঈদীরটা দিয়েই শুরু করব ইনশাআল্লাহ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই যে ওরা যেটা... প্রেয়ারে যেটা আছে ওদের। আপনি দেখবেন যে, অপারেটিভ পোরশনে ওরা যেটা অ্যাপ্লিকেশন তারা করেছে বিফোর ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস, সেখানে প্রথম অ্যাডজুডিকেটড অ্যান্ড ডিক্লার করতে বলছে Whether the government of India appears or not, and after such time limit as the court may fix in also of agreement between the parties.
One, that Pakistan has exclusive right to exercise jurisdiction over 195 Pakistani nationals or other number now in Indian custody and accused of committing genocide in Pakistani territory by virtue of application of convention on the prevention and punishment of crime of genocide of 9th December 1948 and that no other government or authority is competent to exercise such jurisdiction. পাকিস্তান বলতেছে, জেনোসাইড কনভেনশনের অধীনে যেটার তারা নিজেরা পার্টি, পাকিস্তানের অধিকার হচ্ছে তার নাগরিককে বিচার করার For crimes committed in the territory of Pakistan. এইটা হচ্ছে International tribunal ICC-এর কাছে একদম ক্লিয়ার কমিটমেন্ট। আমরা বলতেছি, এইটা বাংলাদেশের টেরিটরি। পাকিস্তান দাবি করতেছে যে, যখন ক্রাইমটা হয়, তখন সেই টেরিটরিটা তা পাকিস্তানের টেরিটরি ছিল। আমরা যদি যুক্তির স্বার্থে ধরেও নেই আর কি, যে ওইটা আরগুমেন্টের স্বার্থে ধরে নেই যে—পাকিস্তানের টেরিটরি ছিল, তাহলে পাকিস্তান আসলে আইসিসিকে বলতেছে যে, আমার নাগরিকরা যারা জেনোসাইড করছে ঐ টেরিটরিতে, এই মুহূর্তে যারা ভারতীয় কাস্টডিতে আছে, আমাদের হলো Exclusive right to exercise jurisdiction over them. তাদের বিচার করার দায়িত্ব আমাদের পুরা এখতিয়ার আছে। এখানে কিন্তু তারা বলতেছে না যে, তারা করবে। প্রমিজ করতেছে না তারা। কিন্তু তারা জুরিসডিকশনটা ক্লেইম করতেছে বিফোর অ্যান ইন্টারন্যাশনাল... এইটা আইসিসিতে এবং তারা ক্লেইম করা মানেই হচ্ছে They are supposed too, they will be doing it...that is the understanding, that is the meaning of 1st paragraph. 2nd paragraph-এ তারা বলছে যে, যেহেতু আমাদের আইনটাকে তারা চ্যালেঞ্জ করছে। ৭৩-এর আইনের অলরেডি তারা জানে যে, ট্রায়াল অব কনট্রিবিউটিং টু ওয়ার ক্রাইমস হবে, তারা এইটা বলতেছে। এই যে পরিস্থিতি হইছে একাত্তরে এবং প্রিজনারস অব ওয়ারকে, তাদের জেনোসাইড দিয়ে কাভার করা যাবে। But the concept of crimes against humanity or war crimes is not applicable. আচ্ছা... তিন নম্বর তারা বলতেছে যে, there can be no ground what so ever in the international law justifying the transfer of the custody of 195 or any other number of prisoners of war to Bangladesh for trial in the faith of Pakistan’s exclusive right to exercise jurisdiction over its nationals accused committing offences in Pakistan territory and that India would act legally in transferring such persons to Bangladesh for trial. অর্থাত্ কোনো অবস্থাতেই পাকিস্তানের নাগরিকদের উপর অন্য কোনো দেশের কেউ জুরিসডিকশন এক্সসারসাইজ করতে পারবে না এবং সেই প্রেক্ষিতে ভারতে যারা আটক রয়েছে, তাদের ইয়ে না করে সেটা অবৈধ হবে আর কি। এই দেখেন এখানে কত মারাত্মকরকম ভাবে By implication কত কথা তারা বলে গেছে, that a competent tribunal Ôwithin the meaning of article 6 of Genocide Convention means a tribunal of impartial judges applying international laws and permitting the accused to be defended by the counsel of their choice. the tribunal can not base itself on ex-part facto laws nor violate the provision of the declaration of human rights. In view of these and other requirements of a competent tribunal of even if India could legally transfer Pakistani prisoners of war to Bangladesh for trial which is not admitted it would be divested to that freedom since in the atmosphere of hatred that prevails in Bangladesh such a competent tribunal can not be created in practice nor can be it expected to perform according to expected international standards. Standards of justice.’ সোজা কথা বাংলাদেশে এই যে পরিস্থিতি, সেই পরিস্থিতিতে একটা ইন্ডিপেডেন্ট ট্রাইব্যুনাল কাজ করার মতো ইভেন যদি হয়ও তারা ওই পর্যায়ে যাবে না।
নিজামুল হক নাসিম : সম্ভব না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তার মানে হচ্ছে যে, তারা চাচ্ছে যে, ভারত যেন কোনো অবস্থাতেই তাদের হ্যান্ডওভার না করে।
নিজামুল হক নাসিম : ইয়েস, না করে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এবং এটার ফাস্ট যেটা তারা বলছে যে, জুরিসডিকশন যখন আপনি দাবি করেন, একটা অপরাধের পরে এবং অ্যাডমিটিং দ্য অপরাধ আসলে... আপনি তো বলতেছেন যে, জেনোসাইড কনভেনশনের অধীনেই আমি—আমার এই অ্যাপ্লিকেশনটা করতেছি। এই জেনোসাইড কনভেনশন অধিকার দিতেছে সেই রাষ্ট্রকে। যেই রাষ্ট্রের নাগরিকেরা জেনোসাইডে জড়িত অথবা যার টেরিটোরিতে জেনোসাইড হইছে। সো... আপনি দাবি করতেছেন যে, আপনার টেরিটোরিতে হইছে এবং আপনি দাবি করতেছেন, আপনারা নাগরিকেরা জড়িত আছে। কিন্তু এই ৪০-৪২ বছরে আপনি এখনও কিছু করেন নাই আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : না ঠিক আছে এইটা পাইলেই হবে। এই পয়েন্টে আরও যদি কোনো ম্যাটেরিয়ালস পান, পরে তাইলেও হবে। আমারে দেবেন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই একমাত্র কেস আছে, যেটা আমাদের পুরাটাই পক্ষে যায় আর কি। পাকিস্তান আসলে অ্যাডমিট করছে এটা ১৯৭৩-এর কেস, 11th of May of 1973. এটা মোটামুটি একটা ওয়েল নোন কেস একটা। আছে—, এইটা আমাদের আরকাইভেও আছে সব জায়গাতেই আছে...। আর বলেন, কেমন আছেন...
নিজামুল হক নাসিম : আছি ভালোই ইনশাআল্লাহ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনার কাছে খবর-টবর আছে নাকি কিছু আর।
নিজামুল হক নাসিম : এখন তো দুই ট্রাইব্যুনালই ধুমাইয়া আগাইতেছে কেসে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, দেখা যায় কম্পিটিশন হইতেছে মনে হইতাছে।
নিজামুল হক নাসিম : আমার কাছে কম্পিটিশন মনে না হলেও আগাচ্ছে। এটা গুড সাইন। দুই ট্রাইব্যুনালই আগাচ্ছে। আমার ওই শাহিনুররে নিয়া একটু ভয় যে, সে কেননা বেশি রকম তার ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডের দিকে খুব বেশি রকম ঝোঁক।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা শেষের দিকে প্রবলেম হয়ে যাবে। কারণ একই ব্যপার তো, একই ঘটনা... সিমিলার ইনসিডেন্স, সিমিলার চার্জেস কিন্তু দেখা যাচ্ছে কি যে...।
নিজামুল হক নাসিম : যেমন সেদিন উগান্ডান টিম আসার আগের দিনে, আমরা একটু বসছিলাম তো যে, কী আলাপ-টালাপ করব। সেখানে শাহিনুর বলতেছে যে, আমাদের একটা জিনিস দেখানো দরকার যে, আমাদের আইনে আর আইসিটির কিংবা আসিটিওয়াই এদের তফাতটা কোথায়। আমরা একটা কম্পারেটিভ স্টাডি তাদেরকে দিয়ে দেব। আমি বললাম, হোয়াই শুড, কেন? আমরা আমাদের আইন নিয়েই কাজ করব। আমরা বলব যে, আমরা আমাদের আইন নিয়া চলতেছি, আমাদের domestic Law, আমাদের tribunal domestic however the foreign tribunal judgment we can consider as persuasive value not more than that. এইটা আমাকে রেজিস্ট্রার, ডেপুটি রেজিস্ট্রার থেকে শুরু কইরা আপনাদের ওই শওকত, সবাই সাপোর্ট করল আমাকে। আমার জাজরাও করল। কিন্তু ওই দু’জন জাজ চুপ। শাহিনুর পরে কইল, আচ্ছা ঠিক আছে। তাই যদি হয়... ইফ ইউ থিংক সো, তাই যদি হয়, তাইলে ঠিক আছে। আমি বললাম, আচ্ছা আপনি কি মনে করেন না, It is a domestic tribunal বলে, তা মনে করি। তাইলে আমাদের ডোমেস্টিক ট্রাইব্যুনালের লগে আমেরিকান ল’য়ের কি তফাত, ব্রিটিশ ল’য়ের কী তফাত আইসিটিওয়াই’র কী তফাত, তা আমাগো দেখাবার দরকারটা কী? আমরা বলব যে, আমাদের আইনেই চলছে, চলবে। ফরেন জাজমেন্টগুলা আমরা কনসিডার করতে পারি। যদি আমরা মনে করি এটার পারসিউসিভ ভ্যালু এইখানে আছে এবং এটা আমাদের ফ্যাক্টস অ্যান্ড সারকামসটেন্সেসের সাথে মিল্লা যাইতাছে We can use those things that’s all. এর পরে আর কথা কয় নাই। আমার মাথায় ওটাই ছিল আর প্রসিকিউটররাও আমাকে বলছিল যে, প্রত্যেকটা অর্ডারে সে ফরেন ট্রাইব্যুনালের ম্যাটেরিয়াল নিয়া আসে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ... যেখানে ইভেন দরকার নাই, যেখানে আপনার এটার কোনো রিলিভেন্ট নাই আর কি। এই জিনিসটা ওনাকে স্টপ করাইতে হবে অথবা একপর্যায়ে উনারেও ওইখান থেকে বিদায় কইরা দিতে হবে। Because it is so important matter যে এইটা যদি উনি বন্ধ না করে আর কি, তাহলে মানে ঐব যধং ঃড় মড় ধং বিষষ, নবপধঁংব এইটা খুবি ক্ষতিকর। আমাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হয়ে যাবে। কারণ অ্যাপিলেট ডিভিশনে গিয়ে যে স্ট্রং আরগুমেন্ট যেটা হবে আর কি যে, তারা জিনিসটাকে সেট করতাছে—এমনিতেই উনি চার্জ যে করতাছেন, সেখানে জেনোসাইডের ধারে-কাছে দিয়াও যাইতেছে না। উনি কিন্তু সব চার্জ নিয়া ঢুকায়ে দিচ্ছে ক্রাইমস এগেইনেস্ট হিউমিনিটির ভিতরে। this also is a matter of serious concern. এখানে উনি অলমোস্ট ইতিহাসটাকেই চেঞ্জ করে ফেলতাছেন আর কি। আপনি চার্জটা করেন, তারপর যদি আপনি ম্যাটেরিয়াল ইলিমেন্ট না পান, তাইলে বাদ দেন। কিন্তু আপনি অ্যাটঅল চার্জ করবেন না, এই অ্যাটিচুডটা যেখানে এটা পিটিশনে আছে, সেখানে এটা কিন্তু মারাত্মক রকম রিস্কি ব্যাপার হয়ে যাবে। তারপর হচ্ছে যে, প্রতিটা ক্ষেত্রে ইন্টারনেশনাল ল’য়ের যে রেফারেন্সটা দিচ্ছে—যেখানে কোনোই প্রয়োজন নাই। আমাদের এখানে, উগান্ডার জাজরা আপনাদের কী বলে গেছে, জানি না। বিষয়টা হচ্ছে যে...
নিজামুল হক নাসিম : না, উগান্ডা আমাদের পুরা সাপোর্ট করছে, পুরা। তারা চয়েজই করছে এই কারণে যে, আমরা আমাদের আইনে চলতেছি। এরা একেবারে ফুল সাপোর্ট টু আস যে, এইটাই ঠিক আছে। ওনারাও সেই ভিউ-ই হোল্ড করে। আইসিসি বলতেছে যে, আগে ডমেস্টিক ট্রায়াল করো। ফেইল করলে আইসিসিতে আসবা। এটা হইল তাদের ল্যাংগুয়েজ। আমরা কেন আইসিসির পিছনে দৌড়াব?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : একজাক্টলি। এটা কিন্তু ভেরি রাইট। আরেকটা যেটা আমার, যেটা প্রবলেম হয়, এটা হচ্ছে ছোট মানসিক বা ইনফিরিওরিটি যে মানসিকতা সেখান থেকে আসতেছে। আমাদেরকে কেন তুলনা করতে হবে? আমরা ইনটারন্যাশনাল কোন ট্রাইব্যুনালের সাথে মিল আছে। আমাদের ডমেস্টিক ট্রাইব্যুনাল, আমাদেও তো কারও সাথে তুলনার দরকার নাই। আমাদের তুলনা হবে কেবল আমাদের সাথে। মানে তুলনা করার চেষ্টাটা বাদ দিতে হবে আমাদের।
নিজামুল হক নাসিম : আরেকটা ল্যাংগুয়েজ হইছে কোর্ট অব দক্ষিণ আফ্রিকার। কে যেন বলছিল যে, You should feel proud when you created the law, this law was unknown to the other world. In 1973, there was no law of international crimes in other countries. You should feel proud of that—এইটা এরাও তা বলছে। যে আপনারা কেন যার তার দিকে তাকাবেন? কেন? আমার সাথে আন্ডারস্ট্যান্ডিং খুব ভালো হইছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা উনার মাথায়... ওই যে একটা ইয়ে আছে না...।
নিজামুল হক নাসিম : মাস্টারি... মাস্টারি ভাব আর কি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আসলে কি একটা মানসিকতা আছে যে না... আমরা যদি বিদেশিদের সাথে তুলনা করি, তাইলে আমাদের ইজ্জত বুঝি বাড়ল আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হুহ্, ওই ভাব আছে, মানসিক ভাব আর কি। তার ভাব তো আমি বুঝি। সে মনে করে তার লগে এই ব্যাপারে আলাপ করলে তার চেয়ে বেশি আর কেউ কথা কইতে পারবে না। মজার ব্যাপার হইল—এই দুইদিনে তাকে বোবা হইয়া থাকতে হইছে He didn’t get any chance to talk.
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হা... হা... হা... (হাসি)। ওবায়দুল হাসান উনি যদি একটু ইনডিপেডেন্টলি ইয়া করে আর কি। উনার মানসিকতা তো বোঝা যায়নি। আমি তো তাকে চিনি না ওইভাবে...।
নিজামুল হক নাসিম : আমিও বুঝতে পারতেছি না, আমি তারে বলছিও। সে বলে একটু দেইখ্যা লই বুইজ্জা লই। আমিও বলছি, বোঝো ভালো কইররা, ভালো করে বুইজ্জা লও, না বুইজ্জা কোনো কমেন্ট কইরো না। কোনো ইয়েতে আবার ঢুইক্কা যাইওনা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কবির সাহেব না হয় বুঝলাম, উনি পলিটিক্যালি চিন্তা-ভাবনা কইরা সব কথা বলবে। কিন্তু ওবায়দুল হাসান সাহেবের তো উচিত, মোটামুটি উনি হাইকোর্টের জাজ হিসেবে ঠিকঠাক বলে ফেলা আর কি...। আর কবির সাহেবরে অনেক সম্মান-টম্মান করে দেখে... ওবায়দুল হাসান উনি কি... পারমান্যান্ট জাজ তো?
নিজামুল হক নাসিম : হু...পারমান্যান্ট, পারমান্যান্ট।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এখানে আসলেই একটু কথা-টথা বলা যাবে। এইটাই হলো হোপ আমাদের। আমার এমনি ভালো লাগত উনাকে, ওইখানে ওই শর্ট... ভেরি শর্ট এক্সচেঞ্জে। বেটার হইতো যদি ইয়া আমাদের একটু বলত আর কি, শাহীনুর সাহেব যদি ইন্ট্রোডিউসটা ঠিকমতো করা তো আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : আরে এইবার আসলে আমিই ইন্ট্রোডিউস করে দেব, আরে... দায় তো আমারই বেশি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হুম... আর আমাকে নিজেকে ইন্ট্রোডিউস করে তো আসলে বলা যায় না।
নিজামুল হক নাসিম : আরে না, এবার আসলে আমিই দেব ইন্ট্রোডিউস কইরা। আমি সারাজীবন ওয়েট করব নাকি রায়ের জন্য? হাহ্...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না মানে I was disaoppinted ওই সেন্সে আর কি। গেছিলাম যখন উনিই কিন্তু পরিচয় করিয়ে দিতে তো পারেন। আমি কিন্তু ওনার খোঁজেই গেছি ওইখানে... আমি আপনাকে ওইগুলা সবগুলা পাঠিয়ে দিতাছি একটা একটা করে। আপনি... এটা সব ই-মেইলে থাকবে। আপনি এটা ইয়ে করতে পারেন সবগুলা।
নিজামুল হক নাসিম : আমি সব প্রিন্ট কইরা বাইর কইরা নেবো।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ও আচ্ছা আপনি সব প্রিন্ট করে রাখতে চান?
নিজামুল হক নাসিম : হুম... আমি তো অত এক্সপার্ট না। ই-মেইলে ১০টা-১২টার পর পুরানটা আর থাকে না। আমি আর খুঁইজ্যা বাইর করতে পারি না। ওই লাইন শেষ হইয়া যায়। ঢুইক্যা যায় কোথায় যায়, আল্লায় জানে। নতুন আসে, আর পুরানডা এক স্টেজ নিচে নামে। এইভাবে পরে কোথায় যায় আমি...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আরেকবার বলেন... আরেকবার বলেন। মেইল যেইটা আসতেছে, সেইটা আপনি খুঁইজ্যা পাইতাছেন না— এইটা বলতেছেন আপনি?
নিজামুল হক নাসিম : না, এডা পাই। এডা পাই ধরেন... অন করলে পরে উপরে নাম থাহে নতুনডার, তার নিচে থাহে আগেরটা... তার নিচে থাহে আগেরটা, ঠিক না?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঠিক আছে, ঠিক আছে হ্যাঁ...
নিজামুল হক নাসিম : এরপরে পেজ ভইর্রা গিয়া যখন নিচে থাকে না— ধরেন ২০টা থাহে, ২০টার পরেরডা আর খুঁইজ্যা পাই না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, এইখানে দুইটা জিনিস আছে। একটা হইল এই সংখ্যা আপনি বাড়াইতে পারবেন যে, ওই ১৫-২০টা থেকে ১০০টা করা যাবে। আর সেকেন্ড হলো যেইটা, সেইটা হলো যে, খুব সহজ.. এখনও আপনি যদি একটু ট্রাই করতে পারেন যে, আপনি তো মসধরষ ইউজ করতেছেন, তাই না?
নিজামুল হক নাসিম : হু মসধরষ, হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : gmail-এ কোনো mail জীবনেও কখনও হারায় না। আপনি উপরে দেখবেন যে, এইখানে... সধরষ টা খোলা আছে? না খোলা নাই।
নিজামুল হক নাসিম : না, এখন বন্ধ। বলেন, আপনি বলেন...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনি যখন সধরষ টা খুলবেন, সধরষ টা খোলার জাস্ট উপরের দিকে তাকাইবেন আর কি। mail টা mail-এ লেখার উপরে দেখবেন একটা বড় উইনডো আছে লেখার মতো, সেখানে একটা লুকিং গ্লাস দেওয়া আছে।
নিজামুল হক নাসিম : আয়না?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আয়নার মতো লুকিং গ্লাস। ওইখানে আপনি যদি যেটা খুঁজতে চান... আপনি যদি জাস্ট শুধু আমার নাম দেন আহমদ আহমদ জিয়াউদ্দিন... আপনি ওইখানে ওই লুকিং গ্লাসে চাপ দিবেন। দেখবেন, আমি যতগুলা মেইল পাঠাইছি, সব চইলা আসবে। ঠিক আছে, সব কিন্তু ওইখানে আছে।
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা, ঠিক আছে, দেখি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওইটা খুঁজবেন নাম দিয়া। এরপরে আপনি যদি সাবজেক্ট দিয়া খুঁজেন আর কি। ধরেন, আপনি মনে করলেন যে ধিত্ পত্রসবং. ধিত্ পত্রসবং দিয়া আপনি লেইখা দিবেন শুধু। লেইখা আবার সার্চ করলেন। দেখবেন, ওইখানে শুধু ধিত্ পত্রসবং, আমি যতগুলা সধরষ-এ লিখছি, বডিতে লিখছি অথবা অ্যাটাচমেন্ট আছে war crimes রিলেটেড। সেইটা সব চলে আসবে। মানে.. আপনি যে শব্দটা লিখতে চান না কেন, ওই শব্দটা যদি কখনও আপনার-আমার কমিউনিকেশনের মধ্যে থাকে, সেটা কিন্তু বেরিয়ে আসবে। কাজেই এটা কোথাও হারাচ্ছে না—এক নম্বর কথা। আর সেকেন্ড হচ্ছে যে, এইটাই হচ্ছে যে gmail-এর one of the major feature. ওদের যে আরকাইভ আছে, ঐ আরকাইভে কখনও কোনো কিছু হারায় না। তারপরেও আমরা আমাদের নিজেদের ইউজের জন্য সহজ ব্যবহারের জন্য আমরা আরকাইভ করে রাখি আর কি।
শাহরিয়ার ভাই তো দেখি হেভি চেইতা গেছে। হা...হা...হা...।
নিজামুল হক নাসিম : হা... হা... হা...। ইডিয়েট ফিডিয়েট কইছে স্টুপিড।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ৫ দিন... ৬ দিন পরে তারে আরও ২ দিন দিতেছে এবং তাদেরকে অনুরোধ করতেছে সোমবারের মধ্যে শেষ করার জন্য।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ...। উনি বলছেন যে, বিদেশ যাবেন, এটা করবে। আজকে তো শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কেন যে শেষ করে দিল না, বোঝলাম না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, আপনাকে এইটা পাঠাইয়া দিলাম। আইসিসিওয়াইয়ের কেসটা। হোল ডকুমেন্ট। এটা কত যে পাতা হবে, সেটা জানি না
নিজামুল হক নাসিম : আপনি দেন এরপর আমি দেখমুয়েনে, অসুবিধা নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না, খুব বেশি না। এটা রিলেটেড আরও কাগজ আছে। সব আপনাকে, কাগজই পাঠাইব আপনাকে। এটা পড়তে ভালো লাগবে। ইন্টারেস্টিং টু রিড—ইতিহাসের অংশটা, প্লাস কীভাবে ঘটনাটা ইনভলব করছে। এরপর বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল ল’য়ের এক্সপ্লানেশনগুলো আছে। ইন্টারন্যাশনাল ল’য়ের রেফারেন্সগুলা আছে। বঙ্গবন্ধুর অনেকগুলা স্টেটমেন্ট আছে যে, বিচার যে করা হবে সেগুলা তারা ইয়ে করছে। এরপরে পাকিস্তান করছে কি যে—প্রভিশনাল মেজারের জন্য একটা রিকোয়েস্ট করছে। এইটাও পাঠাইতেছি। প্রভিশনাল মেজারটা হচ্ছে যে, আমাদের স্টে অর্ডার আর কি। আমাদের দেশীয় ভাষায় স্টে অর্ডার। আমি দরখাস্ত করলাম—এখন তুমি কর কী যে, স্টে কইরা দাও, যেন তারা পাঠায়া না দিতে পারে। যেন না পাঠায়। মানে ইন্টেরিম মেজার অব প্রটেকশন চায় এবং একটা ক্লেইম করলাম যে, আমাদের লোকদের বিচার করতে পারবে না। কেবল মাত্র আমরা তা করতে পারি। সো প্লিজ ই.. করো, এই প্রভিশনাল মেজারটা দাও যেন যে, বিচার যাতে না হইতে পারে।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যান্ডওভার যেন না হয়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ.. হ্যান্ডওভার যেন না হয়। এরপরে যেটা হইছে, এটা হলো যে, বুঝা যাবে কী করে ধাপে ধাপে এগোয় প্রসেসটা। এরপর কিন্তু একটা ওরাল আরগুমেন্ট হইছে আর কি। মানে পাকিস্তান আরগু করছে ইয়ের সামনে। মানে আইসিসির সামনে। ওইটা হচ্ছে মিনিটস অব দ্য পাবলিক সিটিং... পাবলিক হেয়ারিং যেটা হয়েছে। ... ওরাল আরগুমেন্টে আপনি দেখবেন, কী কী হইছে আর কি। ... একটা জাজের অপিনিয়ন পাঠাচ্ছি, যেটা ফ্রেঞ্চে আছে, কিন্তু দেখবেন নিচে ইংরেজি ট্রান্সলেশন করা আছে। ... এই জিনিসটাও আমাদের আইসিটির ইতিহাসের অংশ হিসেবে থাকা উচিত। মানে এইডার উপরই আপনি ইচ্ছ করলে মানে কনসিডারিং ইটস সিগনিফিকেন্স—ওদের ভাষায় কমনলি এটা হচ্ছে চঙড কেস আর কি এটা। ফাইনাল অর্ডারটা হচ্ছে লিস্ট থাইকা রিমোভ করা আর কি। পাকিস্তান রিকোয়েস্ট করছে যে, আমরা চাই যে তোমরা এইটা ডিলিস্ট করো আর কি। কারণ ততক্ষণে এগ্রিমেন্ট হয়ে গেছে আমাদের। ৭৩ সালের ডিসেম্বরের অর্ডার এইটা। তখন বঙ্গবন্ধুর হচ্ছে, পাকিস্তানের রিকগনাইশন ছাড়া আসলে আমরা যেহেতু মুসলিম ওয়ার্ল্ডের রিকগনিশন পাচ্ছিলাম না, এইটা ওনার কাছে সামহাউ ওনার কাছে খুবই ইম্পোর্ট্যান্ট ছিল।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মানে খুবই ইম্পোর্টেন্ট একটা ইস্যু ছিল। যা-ই হোক, পাকিস্তানের রিকগনিশন দরকার আমাদের। তাহলেই আমাদের পূর্ণাঙ্গ বাংলাদেশ হবো আর কি। ওই চিন্তাটা খুব বেশি ডিপলি থাকার কারণে এবং যেহেতু উনি এখানে অনুপস্থিত ছিলেন, এখানে ৭১ সালে ছিলেন না ফিজিক্যালি। পরবর্তীকালে শুধু শুনছেন এখানে কী হয়েছে। এখানেই একটু সমস্যা হইয়া গেছে। সে কারণে ওনি ঠিক বুঝতে পারেন নাই এটা সিগনিফিকেন্সটা, মানে এটা কত হাউ ডিপ ইমোশনাল এই ব্যাপারটা ছিল আর কি। এসব ইতিহাস এই ডকুমেন্টসগুলা পড়লে বুঝা যায় আমাদের প্রায়োরিটিগুলা কী ছিল তখন। কেউ যদি রিয়েলি ক্রিটিক্যালি দেখে আর কি। আমরা কি এটা রাইট বা সঠিক প্রায়োরিটি সেট করছিলাম কি না, তখন আমরা। পাকিস্তানের রিকগনিশন আমাদের কত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেটা কি অ্যাটহোল কস্ট? এরপর মুসলিম ওয়ার্ল্ডের রিকগনাইশনটা। এতে কিন্তু খুব একটা বেশি লাভ হয়নি। কারণ হচ্ছে যে, মেইন যে নাটের গুরু আর কি সৌদি আরব। ৭৫ সালের আগ পর্যন্ত মানে বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতে দেয় নাই। তাই উনার যে স্ট্র্যাটেজিটা কতটুকু কারেক্ট ছিল, এইটা এই যে সামথিং যেটা ডেফিনেটলি ইয়ে করা যায় আর কি। তা ভালো করে বোঝার বা গবেষণা করার ব্যাপার। ...আমি আপনাকে ডকুমেন্টগুলা পাঠানোর সাথে একটা সিঙ্গেল টেক্সট দিতেছি— কীভাবে আপনি যদি সবগুলোকে একটা সিঙ্গেল ডকুমেন্টে আনতে চান আর কি, ইয়ে করার পরে।
নিজামুল হক নাসিম : সবগুলো?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, একটা বা দুইটা, কোনো সিক্যুয়েন্সে সাজাইলে, ইট উইল মেক সেন্স।
নিজামুল হক নাসিম : আমার এখানে একটা আইসা গেছে ট্রায়াল অব পাকিস্তানি প্রিজনারস অব ওয়ার।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, একটাই মাত্র পাঠাইছি। ওটা হলো মেইনটা, ওটা হইল পিটিশনটা পাঠাইছি আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : তার পরের গুলো পরে যোগ হইবে আর কি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না, এখানে অনেকগুলো আছে তো। এগুলার সিকুয়েন্সটা এখন যেভাবে পাঠাচ্ছি সেটা আসলে সিক্যুয়েন্স না। এটা সিকুয়েন্স আমি লিখে দেব, যেটাতে ওইভাবে আপনি সাজাইবেন। তাহলে ওইটা হইল যে, আপনার যে বুঝতে সুবিধা হবে না। মানে ঘটনাটা ওইভাবে ঘটছে আর কি। আমি পাঠানোর সময় অন্য রকম হইয়া যাইতেছে। সেটাকে ওইভাবে সাজাইবেন আর কি। এখানে ইন্ডিয়ান জাজের একটা অপিনিয়ন আছে যে দেশ মামলা করে, সেই দেশ একজন জাজ নোমিনেট করতে পারে...। আপনাকে এখন আমি... দেখি কত হইল টোটাল ভলিউমটা। আমি একটা টেক্সট পাঠিয়েছি, যেটাতে সিকুয়েন্স লেখা আছে। যদি আপনি বাইন্ডিং করেন, অর পুট ইট টুগেদার তবে একটা কমপ্লিট স্টোরি হয়ে যাবে। ইউ উইল গেট এভরিথিং। ২-১ মিনিট পরে... দেখেন গেছে কি না, ৯টা অ্যাটাচমেন্ট পাঠাইছি। আমার চিন্তা ভাবনাতে এই যে, এই হোল অ্যাটিচুডটা দু’টি দিক থেকে খুব সিগনিফিকেন্ট। একটা হচ্ছে যে, ক্রাইম হয়েছে তার বিচার হওয়া দরকার। পাকিস্তান অ্যাজ এ স্টেট হিসেবে এগ্রি করেছে। এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে জেনোসাইড...
নিজামুল হক নাসিম : আইসিসি কেস ডকুমেন্টস... ডকুমেন্টস।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : প্রথম যেটা গেছে, সেটা হচ্ছে মেইন অ্যাপ্লিকেশন। এর পর হলো রাইটার প্রসিডিং যেটা আছে, রিকোয়েস্ট ফর ইনটারিম প্রটেকশন যেই ফাইলটা আছে, সেটা ঢুকাবেন।
নিজামুল হক নাসিম : ওরাল আরগুমেন্ট?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওরাল আরগুমেন্ট হেডলাইনে আছে। অর্ডার হলো, ৫টা অর্ডার আছে সেখানে...
নিজামুল হক নাসিম : তারপর হলো করেসপন্ডেন্স। এতে হবে কি হোল স্টোরিটা বুঝা যাবে। আর স্টোরিটা ওরা এভাবেই সাজাইছে—মানে অল ডকুমেন্ট তারা কম্পাইল করছে ঠিক এইভাবে...
নিজামুল হক নাসিম : ঠিক আছে, ফাইন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা অনেক বড় হবে। দরকার হয় পরে আমরা আরও অনেক কথা বলব। Its very important very significant. আপনাকে হয়তোবা সবকিছুর রেফারেন্স দিতে হবে না। কিন্তু একটু একটু করে রেফার করলেও চলবে।
নিজামুল হক নাসিম : পড়লেই আইডিয়া হয়ে যাবে...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ হ্যাঁ, পড়লে কমপ্লিট যে আইডিয়াটা হবে, সেটা হচ্ছে যে—হাউ রাইট উই আর এবং এই জিনিসটা এখান থেকে এস্টাবলিশ করা যাবে আর কি। যে পাকিস্তান ওয়াজ ভেরি রাইট অ্যাডমিটিং যে, তাদের আসলে জুরিসডিকশন আছে। এটা কিন্তু আমাদের স্বীকার করতে কোনোই অসুবিধা নাই যে, তাদেরই দায়িত্ব ছিল বিচার করা। তারা তাদের মতো বিচার করলে এখনও করতে পারে। পাকিস্তান কিন্তু স্টিল টুডে তার লোকদের বিচার করতে পারে। পাকিস্তানের আইনেও কোনো লিমিটেশন নাই। ইন্টারন্যাশনাল আইনে তো নাই আর কি। কাজেই তারা তাদের বিচার করতে পারে। কিন্তু আমাদের বিচারের প্রসেসটা নিয়ে যে প্রশ্নটা আর কি, হয়তোবা যদি কোনো পাসিং রিমার্কস করতে চান তাহলে বলা যাবে যে, পাকিস্তান নিজেরাই অ্যাডমিট করে রাখছে আর আমাদের তো কথাই নাই। কারণ আমাদের ভিকটিম আছে, আমাদের মাটিতে ক্রাইম হইছে। তাই আমাদের প্রচেষ্টা খুবই ন্যাচারাল। ডমেস্টিক আইনেও অবলিগেশন আছে, ইন্টারন্যাশনাল আইনেও অবলিগেশন আছে। মেইন অবলিগেইশন হচ্ছে কনস্টিটিউশনেও আছে টু প্রসিকিউট। লিগ্যাল আইনেও অবলিগেশন আছে টু ইনভেস্টিগেট অ্যান্ড প্রসিকিউট। এটা যেহেতু আপনার প্রথম কেস, কাজেই এটাকে প্রত্যেকটা কেসেই আমি জানি না আপনারা কী চিন্তা করছেন, জানি না। তবে নরমালি নিয়ম হচ্ছে, প্রত্যেকটা কেসে একই আরগুমেন্ট দিতে হবে...।
নিজামুল হক নাসিম : যা-ই হোক, এই পার্টটা আগে প্রথম জাজমেন্টে দিয়া লই। তারপর বুঝা যাবে পরের জাজমেন্টে এইটা থাকবে কি থাকবে না; আর আমি পরে থাকব কি থাকব না। অনেক কিছু আছে... প্রথমটায় আমি দিব—এই হলো কথা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : It is very important. আপনি আবার কই যাবেন? আপনারে কি উপরের দিকে ...
নিজামুল হক নাসিম : আরে লউ যে বলে, ওরা বলতাছে একটা জাজমেন্ট দাও আগে, তাইলে তোমারে নিয়া আসি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : একটা না, আগে বড় সাহেবের জাজমেন্টটা দিয়া আসি।
নিজামুল হক নাসিম : হা... হা... হা...। এইটা তার ল্যাংগুয়েজ আর কি, তার ল্যাংগুয়েজ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : বড় মিয়া আবার ওইটার জন্য ওয়েট করতে কিসের জন্য?
নিজামুল হক নাসিম : এদের ভিউ হইল অ্যাপিলেইট ডিভিশনের জাজদের ট্রাইব্যুনালে রাখবে না। আর গভার্নমেন্ট অ্যাডামেন্ট এদের রাখবেই। হের পর কী হইবে আল্লাহই জানে। হা... হা... হা... । আমি তো বলছি স্যার, আপনারা শিলপাটায় ঘষাঘষি করেন আর মাঝখানে আমার অবস্থা কাহিল। হা... হা... হা...। আমার আর প্রোমোশন হইবে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি ওইটাই কইতাছি—আপনি পাটাপুতার মাঝখানে পইড়া যাইয়েন না আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, সেইটাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : উনিও তো থাকতেছে আসলে। তো কাজেই উপায় নাই আর কি। ওইটা ঠিক আমি জানি না। ওনাদের ভিউটা কী? অনেক মানুষই তো... এ রকম হইছে না? আর সবসময়ই তো হচ্ছে এ রকম। আপনি হাইকোর্ট ডিভিশনে একটা জিনিস ডিল করছেন। এরপর আপনি অ্যাপিলেট ডিভিশনে আছেন, সেখানে আর কাজ করতেছেন না।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ শুনবেন না রাইট। এছাড়া আর কিছুই না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তাই না, এাঁ তো হরহামেশা হইছে এবং এাঁ তো স্ট্যান্ডার্ড প্রাকটিস। যদি কেউ আগে... করে অ্যাপিলেট কেস এটা করবে না। উনার এই যুক্তিটা খুব শক্ত ...
নিজামুল হক নাসিম : উনি কয় একটা দেন। সিনহা বাবু কইছে, ডিসেম্বর এর মধ্যে তিনটা দেন। এইটা গোলাম আযম সাহেবের, আর সাকা। এই তিনডা দিয়া ফালাইতে পারলেই হইছে। তারপরে নিয়ে আসি আপনারে আমরা এইখানে। এরপরে ওহানে আপনারে আর লাগবে না। এই হইছে কথা আর কি। আমি কইছি, যা করেন করেন, প্রমোশনডা দিয়া লন আগে। হা... হা... হা...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হি... হি... হি...।
নিজামুল হক নাসিম : তো ঠিক আছে জিয়া ভাই, আজকের মতো রাখি অ্যাঁ...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঠিক আছে, ওকে। থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ। আমি আপনাকে বাকিগুলা পাঠিয়ে দেব ওই যে, যেগুলা বললাম আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : ওকে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওকে।
সিকুয়েন্স আমি লিখে দেব, যেটাতে ওইভাবে আপনি সাজাইবেন
শাহরিয়ার ভাই তো দেখি হেভি চেইতা গেছে। হা...হা...হা...।
নিজামুল হক নাসিম : হা... হা... হা...। ইডিয়েট ফিডিয়েট কইছে স্টুপিড।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ৫ দিন... ৬ দিন পরে তারে আরও ২ দিন দিতেছে এবং তাদেরকে অনুরোধ করতেছে সোমবারের মধ্যে শেষ করার জন্য।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ...। উনি বলছেন যে, বিদেশ যাবেন, এটা করবে। আজকে তো শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কেন যে শেষ করে দিল না, বোঝলাম না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, আপনাকে এইটা পাঠাইয়া দিলাম। আইসিসিওয়াইয়ের কেসটা। হোল ডকুমেন্ট। এটা কত যে পাতা হবে, সেটা জানি না
নিজামুল হক নাসিম : আপনি দেন এরপর আমি দেখমুয়েনে, অসুবিধা নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না, খুব বেশি না। এটা রিলেটেড আরও কাগজ আছে। সব আপনাকে, কাগজই পাঠাইব আপনাকে। এটা পড়তে ভালো লাগবে। ইন্টারেস্টিং টু রিড—ইতিহাসের অংশটা, প্লাস কীভাবে ঘটনাটা ইনভলব করছে। এরপর বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল ল’য়ের এক্সপ্লানেশনগুলো আছে। ইন্টারন্যাশনাল ল’য়ের রেফারেন্সগুলা আছে। বঙ্গবন্ধুর অনেকগুলা স্টেটমেন্ট আছে যে, বিচার যে করা হবে সেগুলা তারা ইয়ে করছে। এরপরে পাকিস্তান করছে কি যে—প্রভিশনাল মেজারের জন্য একটা রিকোয়েস্ট করছে। এইটাও পাঠাইতেছি। প্রভিশনাল মেজারটা হচ্ছে যে, আমাদের স্টে অর্ডার আর কি। আমাদের দেশীয় ভাষায় স্টে অর্ডার। আমি দরখাস্ত করলাম—এখন তুমি কর কী যে, স্টে কইরা দাও, যেন তারা পাঠায়া না দিতে পারে। যেন না পাঠায়। মানে ইন্টেরিম মেজার অব প্রটেকশন চায় এবং একটা ক্লেইম করলাম যে, আমাদের লোকদের বিচার করতে পারবে না। কেবল মাত্র আমরা তা করতে পারি। সো প্লিজ ই.. করো, এই প্রভিশনাল মেজারটা দাও যেন যে, বিচার যাতে না হইতে পারে।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যান্ডওভার যেন না হয়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ.. হ্যান্ডওভার যেন না হয়। এরপরে যেটা হইছে, এটা হলো যে, বুঝা যাবে কী করে ধাপে ধাপে এগোয় প্রসেসটা। এরপর কিন্তু একটা ওরাল আরগুমেন্ট হইছে আর কি। মানে পাকিস্তান আরগু করছে ইয়ের সামনে। মানে আইসিসির সামনে। ওইটা হচ্ছে মিনিটস অব দ্য পাবলিক সিটিং... পাবলিক হেয়ারিং যেটা হয়েছে। ... ওরাল আরগুমেন্টে আপনি দেখবেন, কী কী হইছে আর কি। ... একটা জাজের অপিনিয়ন পাঠাচ্ছি, যেটা ফ্রেঞ্চে আছে, কিন্তু দেখবেন নিচে ইংরেজি ট্রান্সলেশন করা আছে। ... এই জিনিসটাও আমাদের আইসিটির ইতিহাসের অংশ হিসেবে থাকা উচিত। মানে এইডার উপরই আপনি ইচ্ছ করলে মানে কনসিডারিং ইটস সিগনিফিকেন্স—ওদের ভাষায় কমনলি এটা হচ্ছে চঙড কেস আর কি এটা। ফাইনাল অর্ডারটা হচ্ছে লিস্ট থাইকা রিমোভ করা আর কি। পাকিস্তান রিকোয়েস্ট করছে যে, আমরা চাই যে তোমরা এইটা ডিলিস্ট করো আর কি। কারণ ততক্ষণে এগ্রিমেন্ট হয়ে গেছে আমাদের। ৭৩ সালের ডিসেম্বরের অর্ডার এইটা। তখন বঙ্গবন্ধুর হচ্ছে, পাকিস্তানের রিকগনাইশন ছাড়া আসলে আমরা যেহেতু মুসলিম ওয়ার্ল্ডের রিকগনিশন পাচ্ছিলাম না, এইটা ওনার কাছে সামহাউ ওনার কাছে খুবই ইম্পোর্ট্যান্ট ছিল।
নিজামুল হক নাসিম : হু...ম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মানে খুবই ইম্পোর্টেন্ট একটা ইস্যু ছিল। যা-ই হোক, পাকিস্তানের রিকগনিশন দরকার আমাদের। তাহলেই আমাদের পূর্ণাঙ্গ বাংলাদেশ হবো আর কি। ওই চিন্তাটা খুব বেশি ডিপলি থাকার কারণে এবং যেহেতু উনি এখানে অনুপস্থিত ছিলেন, এখানে ৭১ সালে ছিলেন না ফিজিক্যালি। পরবর্তীকালে শুধু শুনছেন এখানে কী হয়েছে। এখানেই একটু সমস্যা হইয়া গেছে। সে কারণে ওনি ঠিক বুঝতে পারেন নাই এটা সিগনিফিকেন্সটা, মানে এটা কত হাউ ডিপ ইমোশনাল এই ব্যাপারটা ছিল আর কি। এসব ইতিহাস এই ডকুমেন্টসগুলা পড়লে বুঝা যায় আমাদের প্রায়োরিটিগুলা কী ছিল তখন। কেউ যদি রিয়েলি ক্রিটিক্যালি দেখে আর কি। আমরা কি এটা রাইট বা সঠিক প্রায়োরিটি সেট করছিলাম কি না, তখন আমরা। পাকিস্তানের রিকগনিশন আমাদের কত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেটা কি অ্যাটহোল কস্ট? এরপর মুসলিম ওয়ার্ল্ডের রিকগনাইশনটা। এতে কিন্তু খুব একটা বেশি লাভ হয়নি। কারণ হচ্ছে যে, মেইন যে নাটের গুরু আর কি সৌদি আরব। ৭৫ সালের আগ পর্যন্ত মানে বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতে দেয় নাই। তাই উনার যে স্ট্র্যাটেজিটা কতটুকু কারেক্ট ছিল, এইটা এই যে সামথিং যেটা ডেফিনেটলি ইয়ে করা যায় আর কি। তা ভালো করে বোঝার বা গবেষণা করার ব্যাপার। ...আমি আপনাকে ডকুমেন্টগুলা পাঠানোর সাথে একটা সিঙ্গেল টেক্সট দিতেছি— কীভাবে আপনি যদি সবগুলোকে একটা সিঙ্গেল ডকুমেন্টে আনতে চান আর কি, ইয়ে করার পরে।
নিজামুল হক নাসিম : সবগুলো?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, একটা বা দুইটা, কোনো সিক্যুয়েন্সে সাজাইলে, ইট উইল মেক সেন্স।
নিজামুল হক নাসিম : আমার এখানে একটা আইসা গেছে ট্রায়াল অব পাকিস্তানি প্রিজনারস অব ওয়ার।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, একটাই মাত্র পাঠাইছি। ওটা হলো মেইনটা, ওটা হইল পিটিশনটা পাঠাইছি আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : তার পরের গুলো পরে যোগ হইবে আর কি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না, এখানে অনেকগুলো আছে তো। এগুলার সিকুয়েন্সটা এখন যেভাবে পাঠাচ্ছি সেটা আসলে সিক্যুয়েন্স না। এটা সিকুয়েন্স আমি লিখে দেব, যেটাতে ওইভাবে আপনি সাজাইবেন। তাহলে ওইটা হইল যে, আপনার যে বুঝতে সুবিধা হবে না। মানে ঘটনাটা ওইভাবে ঘটছে আর কি। আমি পাঠানোর সময় অন্য রকম হইয়া যাইতেছে। সেটাকে ওইভাবে সাজাইবেন আর কি। এখানে ইন্ডিয়ান জাজের একটা অপিনিয়ন আছে যে দেশ মামলা করে, সেই দেশ একজন জাজ নোমিনেট করতে পারে...। আপনাকে এখন আমি... দেখি কত হইল টোটাল ভলিউমটা। আমি একটা টেক্সট পাঠিয়েছি, যেটাতে সিকুয়েন্স লেখা আছে। যদি আপনি বাইন্ডিং করেন, অর পুট ইট টুগেদার তবে একটা কমপ্লিট স্টোরি হয়ে যাবে। ইউ উইল গেট এভরিথিং। ২-১ মিনিট পরে... দেখেন গেছে কি না, ৯টা অ্যাটাচমেন্ট পাঠাইছি। আমার চিন্তা ভাবনাতে এই যে, এই হোল অ্যাটিচুডটা দু’টি দিক থেকে খুব সিগনিফিকেন্ট। একটা হচ্ছে যে, ক্রাইম হয়েছে তার বিচার হওয়া দরকার। পাকিস্তান অ্যাজ এ স্টেট হিসেবে এগ্রি করেছে। এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে জেনোসাইড...
নিজামুল হক নাসিম : আইসিসি কেস ডকুমেন্টস... ডকুমেন্টস।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : প্রথম যেটা গেছে, সেটা হচ্ছে মেইন অ্যাপ্লিকেশন। এর পর হলো রাইটার প্রসিডিং যেটা আছে, রিকোয়েস্ট ফর ইনটারিম প্রটেকশন যেই ফাইলটা আছে, সেটা ঢুকাবেন।
নিজামুল হক নাসিম : ওরাল আরগুমেন্ট?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওরাল আরগুমেন্ট হেডলাইনে আছে। অর্ডার হলো, ৫টা অর্ডার আছে সেখানে...
নিজামুল হক নাসিম : তারপর হলো করেসপন্ডেন্স। এতে হবে কি হোল স্টোরিটা বুঝা যাবে। আর স্টোরিটা ওরা এভাবেই সাজাইছে—মানে অল ডকুমেন্ট তারা কম্পাইল করছে ঠিক এইভাবে...
নিজামুল হক নাসিম : ঠিক আছে, ফাইন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা অনেক বড় হবে। দরকার হয় পরে আমরা আরও অনেক কথা বলব। Its very important very significant. আপনাকে হয়তোবা সবকিছুর রেফারেন্স দিতে হবে না। কিন্তু একটু একটু করে রেফার করলেও চলবে।
নিজামুল হক নাসিম : পড়লেই আইডিয়া হয়ে যাবে...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ হ্যাঁ, পড়লে কমপ্লিট যে আইডিয়াটা হবে, সেটা হচ্ছে যে—হাউ রাইট উই আর এবং এই জিনিসটা এখান থেকে এস্টাবলিশ করা যাবে আর কি। যে পাকিস্তান ওয়াজ ভেরি রাইট অ্যাডমিটিং যে, তাদের আসলে জুরিসডিকশন আছে। এটা কিন্তু আমাদের স্বীকার করতে কোনোই অসুবিধা নাই যে, তাদেরই দায়িত্ব ছিল বিচার করা। তারা তাদের মতো বিচার করলে এখনও করতে পারে। পাকিস্তান কিন্তু স্টিল টুডে তার লোকদের বিচার করতে পারে। পাকিস্তানের আইনেও কোনো লিমিটেশন নাই। ইন্টারন্যাশনাল আইনে তো নাই আর কি। কাজেই তারা তাদের বিচার করতে পারে। কিন্তু আমাদের বিচারের প্রসেসটা নিয়ে যে প্রশ্নটা আর কি, হয়তোবা যদি কোনো পাসিং রিমার্কস করতে চান তাহলে বলা যাবে যে, পাকিস্তান নিজেরাই অ্যাডমিট করে রাখছে আর আমাদের তো কথাই নাই। কারণ আমাদের ভিকটিম আছে, আমাদের মাটিতে ক্রাইম হইছে। তাই আমাদের প্রচেষ্টা খুবই ন্যাচারাল। ডমেস্টিক আইনেও অবলিগেশন আছে, ইন্টারন্যাশনাল আইনেও অবলিগেশন আছে। মেইন অবলিগেইশন হচ্ছে কনস্টিটিউশনেও আছে টু প্রসিকিউট। লিগ্যাল আইনেও অবলিগেশন আছে টু ইনভেস্টিগেট অ্যান্ড প্রসিকিউট। এটা যেহেতু আপনার প্রথম কেস, কাজেই এটাকে প্রত্যেকটা কেসেই আমি জানি না আপনারা কী চিন্তা করছেন, জানি না। তবে নরমালি নিয়ম হচ্ছে, প্রত্যেকটা কেসে একই আরগুমেন্ট দিতে হবে...।
নিজামুল হক নাসিম : যা-ই হোক, এই পার্টটা আগে প্রথম জাজমেন্টে দিয়া লই। তারপর বুঝা যাবে পরের জাজমেন্টে এইটা থাকবে কি থাকবে না; আর আমি পরে থাকব কি থাকব না। অনেক কিছু আছে... প্রথমটায় আমি দিব—এই হলো কথা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : It is very important. আপনি আবার কই যাবেন? আপনারে কি উপরের দিকে ...
নিজামুল হক নাসিম : আরে লউ যে বলে, ওরা বলতাছে একটা জাজমেন্ট দাও আগে, তাইলে তোমারে নিয়া আসি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : একটা না, আগে বড় সাহেবের জাজমেন্টটা দিয়া আসি।
নিজামুল হক নাসিম : হা... হা... হা...। এইটা তার ল্যাংগুয়েজ আর কি, তার ল্যাংগুয়েজ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : বড় মিয়া আবার ওইটার জন্য ওয়েট করতে কিসের জন্য?
নিজামুল হক নাসিম : এদের ভিউ হইল অ্যাপিলেইট ডিভিশনের জাজদের ট্রাইব্যুনালে রাখবে না। আর গভার্নমেন্ট অ্যাডামেন্ট এদের রাখবেই। হের পর কী হইবে আল্লাহই জানে। হা... হা... হা... । আমি তো বলছি স্যার, আপনারা শিলপাটায় ঘষাঘষি করেন আর মাঝখানে আমার অবস্থা কাহিল। হা... হা... হা...। আমার আর প্রোমোশন হইবে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি ওইটাই কইতাছি—আপনি পাটাপুতার মাঝখানে পইড়া যাইয়েন না আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, সেইটাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : উনিও তো থাকতেছে আসলে। তো কাজেই উপায় নাই আর কি। ওইটা ঠিক আমি জানি না। ওনাদের ভিউটা কী? অনেক মানুষই তো... এ রকম হইছে না? আর সবসময়ই তো হচ্ছে এ রকম। আপনি হাইকোর্ট ডিভিশনে একটা জিনিস ডিল করছেন। এরপর আপনি অ্যাপিলেট ডিভিশনে আছেন, সেখানে আর কাজ করতেছেন না।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ শুনবেন না রাইট। এছাড়া আর কিছুই না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তাই না, এাঁ তো হরহামেশা হইছে এবং এাঁ তো স্ট্যান্ডার্ড প্রাকটিস। যদি কেউ আগে... করে অ্যাপিলেট কেস এটা করবে না। উনার এই যুক্তিটা খুব শক্ত ...
নিজামুল হক নাসিম : উনি কয় একটা দেন। সিনহা বাবু কইছে, ডিসেম্বর এর মধ্যে তিনটা দেন। এইটা গোলাম আযম সাহেবের, আর সাকা। এই তিনডা দিয়া ফালাইতে পারলেই হইছে। তারপরে নিয়ে আসি আপনারে আমরা এইখানে। এরপরে ওহানে আপনারে আর লাগবে না। এই হইছে কথা আর কি। আমি কইছি, যা করেন করেন, প্রমোশনডা দিয়া লন আগে। হা... হা... হা...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হি... হি... হি...।
নিজামুল হক নাসিম : তো ঠিক আছে জিয়া ভাই, আজকের মতো রাখি অ্যাঁ...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঠিক আছে, ওকে। থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ। আমি আপনাকে বাকিগুলা পাঠিয়ে দেব ওই যে, যেগুলা বললাম আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : ওকে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন