মেহেদী হাসান
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (১)-এ আবার বিচার শুরুর আবেদনের ওপর গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তি পেশ করেছেন আসামি পক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।
বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপ সংলাপ এবং ইমেইল ডকুমেন্ট তুলে ধরে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম একই সাথে একজন জজ ও প্রসিকিউটরের (রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী) কাজ করেছেন। আর জজ যেখানে প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেন সেখানে ন্যায় বিচার থাকে না।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিচারপতি নিজামুল হক যা যা করে গেছেন তা যদি ন্যায় বিচারের মধ্যে পড়ে এবং আপনাদের দৃষ্টিতে যদি এসব কাজ ন্যায় বিচারের অংশ হয়ে থাকে তাহলে আমাদের বলার কিছু নেই। আর যদি এসব ন্যায় বিচারের অংশ না হয়ে থাকে তাহলে এ বিচার আবার শুরুর কোনো বিকল্প নেই।
আবার বিচার শুরু নিয়ে আইনি বিতর্ক প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিচারপতি নিজামুল হক একজন জজ হিসেবে যা করেছেন তার বিষয়ে কোনো বিধান আইনে থাকে না। আইন তৈরি করার সময় এটা চিন্তা করা হয় না যে, একজন জজ জালিয়াতি প্রতারণার আশ্রয় নেবেন বা তিনি ন্যায় বিচার করবেন না। তাই এ বিষয়ে কোনো বিধানও রাখা হয় না আইনে।
তিনি বলেন, কাজেই আইনের ৬(৬) ধারা এ ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। আইনের এ ধারা এ বিষয়টি কাভার করে না। তিনি বলেন, এই ট্রাইব্যুনালে এর আগে দুইবার বিচারপতি বদল হয়েছে, তখন তো আমরা আবার বিচার দাবি করিনি।
গতকাল যুক্তি উপস্থাপনের সময় ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বিচারপতি নিজামুল হক ও ব্রাসেলস নিবাসী ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের মধ্যকার স্কাইপ সংলাপ থেকে বিচারসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথোপকথন তুলে ধরেন। বিচার চলাকালে ড. আহমেদ জিয়া উদ্দিন বেলজিয়াম থেকে যেসব ইমেইল পাঠিয়েছেন বিচারপতি নিজামুল হকের কাছে তারও কিছু কিছু উল্লেখ করেন তিনি।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিচারপতি নিজামুল হক সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন; বিচারপতিদের আচরণবিধি, শপথ ও আইনের মূলনীতি লঙ্ঘন করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী নির্বাচন, সাক্ষী কি বলবেন তা নির্ধারণ, আসামি পক্ষের সাক্ষীর সংখ্যা নির্ধারণ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে তিনি আহমদ জিয়াউদ্দিনের সাথে আলোচনা করেছেন। তিনি সম্পূর্ণভাবে ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের দিকনির্দেশনা মোতাবেক বিচারকাজ পরিচালনা করেছেন। এসবের মাধ্যমে তিনি পুরো বিচার প্রক্রিয়াকে কলুষিত করেছেন। সেই সাথে ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনও বিচারকাজে পুরোপুরি হস্তক্ষেপ করেছেন।
তিনি বলেন, ২২/১০/২০১২ তারিখে অধ্যাপক গোলাম আযমের মামলায় সাক্ষীর সংখ্যা নির্ধারণ করে তিনি আদেশ দিলেন। আর সাক্ষীর সংখ্যা কত হবে এসব বিষয় নিয়ে তিনি ৫/১০/২০১২ তারিখ ড. আহেমদ জিয়াউদ্দিনের সাথে আলোচনা করেছেন। সব কিছু তারা দু’জনে কোর্টের বাইরে আলোচনা করে ঠিকঠাক করে কোর্টে এসে তা মঞ্চস্থ করেছেন মাত্র। সাক্ষীর সংখ্যা সীমিত করে দিলে তা নিয়ে হইচই হতে পারে এ বিষয়ে বিচারপতি নিজামুল হক স্কাইপ সংলাপে বলেছেন, আমি এ নিয়ে কেয়ার করি না। আমি সাক্ষীর সংখ্যা নির্ধারণ করে দেবো।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা যে ১১০০ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট জমা দিয়েছি তা পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে তিনি কিভাবে সম্পূর্ণ অন্যের নির্দেশনা অনুযায়ী এ বিচারকাজ পরিচালনা করেছেন।
তিনি বলেন, সরকারি গেজেটে সহায়ক বাহিনী বা অক্সিলিয়ারি ফোর্সের যে সংজ্ঞা তাতে জামায়াতে ইসলামীকে কোনো অক্সিলিয়ারি ফোর্স হিসেবে উল্লেখ করা যায় না। কিন্তু ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের পরামর্শে বিচারপতি নিজামুল হক চার্জ গঠন আদেশে জামায়াতে ইসলামীকে সহায়ক বাহিনী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিন স্কাইপ সংলাপের সময় বিচারপতি নিজামুল হককে বলেছেন গোলাম আযমতে ধরতে হলে জামায়াতে ইসলামীকেও অক্সিলিয়ারি ফোর্স বানাতে হবে। এ থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়, জিয়াউদ্দিনের নির্দেশনা মেনেই বিচারপতি নাসিম ফরমাল চার্জে জামায়াতের নাম অক্সিলিয়ারি ফোর্স হিসেবে ঢুকিয়ে দেন পরে।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জালিয়াতির একটা সীমা থাকা দরকার।
তিনি বলেন স্কাইপ আলোচনার সময় তারা বিচারপতি ও বেলজিয়াম প্রবাসী বলেছেন, সুলতানা আপা খুব ভালো সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি হাই কাস সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাকে কাগজপত্র বুঝিয়ে দেয়ার পর তিনি বুঝে গেছেন কোন জিনিসটার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে সাক্ষ্য দেয়ার সময়। এ নিয়ে তার সাথে অনেকবার আলোচনা হয়েছে। তারা আরো আলোচনা করেছেন, জেনারেল শফিউল্লাহকে সাক্ষী হিসেবে আনার দরকার নেই। কারণ তাকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। ওনার ওপর কন্ট্রোল নেই। এ ধরনের জেনারেল সাহেবদের সমস্যা হলো তাদের ওপর কন্ট্রোল নেই। তা ছাড়া তার মধ্যে একটা কমান্ডিং ভাব আছে। তিনি যুদ্ধ করেছেন। আর্মিরাই যুদ্ধ করেছে আই টাইপের। তিননি যুদ্ধের দিকে চলে যেতে পারেন। মালুম ভাই বলেছেন, তারা যুদ্ধ ইস্যুটাকে এড়িয়ে যেতে চান। মালুম ভাই এ নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। তার (শফিউল্লাহ) মুখ দিয়ে যদি বের হয়ে যায় এখানে একটা সত্যিকার যুদ্ধ হয়েছিল এবং পাকিস্তান আর্মিই ছিল মূল নায়ক; তারা আসলে কিছু ছিল না; তাহলে সেটা সুবিধার হবে না। এটাই হলো উদ্বেগের বিষয়।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এসব কারণে জেনারেল শফিউল্লাহকে সাক্ষী হিসেবে না আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। তারা বলেছেন, মুনতাসির মামুনকে দিয়ে গ্যাপ পূরণের জন্য তাকে প্রয়োজনে আবার ডাকা হবে। কে স্টার সাক্ষী, কে ভালো সাক্ষী, কাকে আনলে ভালো হবে, কাকে দিয়ে কী বলাতে হবে এসব বিষয় নিয়ে বিচারপতি নিজামুল হক ও ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিন দীর্ঘ সময় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, স্কাইপ সংলাপে বিচারপতি নিজামুল হক বলেছেন, রাষ্ট্রপক্ষের একজন আইনজীবীকে তিনি কোর্টে ধমকিয়ে বসিয়ে দিয়েছেন। কারণ তিনি যা বলছিলেন তা রাষ্ট্রপক্ষের বিরুদ্ধে যাচ্ছিল।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের ট্রাইব্যুনালের একটি কাগজ সরবরাহ বিষয়ে বিচারপতি নিজামুল হক ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনকে বলেছেন, ওই মিয়া আমাকে গোপনে বললেই তো হতো। আমি তাকে পাঠিয়ে দিতাম।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, একজন বিচারক কি এ কাজ করতে পারেন? তিনি শুধু যে সচেতনভাবেই এসব করেছেন তা নয়, বরং এসব নিয়ে তিনি আবার সচেতনভাবে আরেকজনের সাথে আলোচনাও করেছেন স্কাইপের মাধ্যমে।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আরো কিছু স্কাইপ সংলাপ তুলে ধরে বলেন, কোন কোর্টে কোন কেস আগে এগিয়ে নিতে হবে, কোনটার রায় আগে দিতে হবে, কোনটার রায় পরে দিতে হবে এসব নিয়ে বিচারপতি নাসিম আলোচনা করেছেন ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সাথে। বিচারপতি নিজামুল হক বলেছেন, সবচেয়ে বেশি দায়বদ্ধতা গোলাম আযমের। সে টিম লিডার। তার কেস আগে নিতে হবে। সাঈদীর ক্ষেত্রে টিম লিডারের প্রশ্ন নেই। বড়গুলারে বাদ দিয়ে ছোটগুলারে আনার যুক্তি নেই। আমি মনে করি সবার আগে গোলাম আযম, তারপর সাঈদী, তারপর মোল্লা। আর তা না হলে সবার আগে সাঈদী। সেটা সবার আগে এগিয়ে আছে।
বিচারপতি নিজামুল হক বলেছেন, তার বাসায় আইন প্রতিমন্ত্রী এসেছিল। তাড়াতাড়ি রায় দিতে বলেছেন তিনি। এ থেকে এটা স্পষ্ট যে, এ বিচারে সরকারের তথা নির্বাহী বিভাগের কতটা প্রভাব ছিল।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল নিয়েও তারা অনেক আলোচনা করেছেন। আলোচনার একপর্যায়ে ড. জিয়াউদ্দিন বলেছেন স্যারের (আইনমন্ত্রী) বাসায় দুই কোর্টের বিচারপতিদের নিয়ে তিনি বৈঠকের ব্যবস্থা করবেন।
তিনি বলেন, গোলাম আযমের মামলায় আসামি পক্ষের সাক্ষীর তালিকা প্রদানসংক্রান্ত বিষয়ে ওই বিচারপতি আসামি পক্ষকে কিছুটা সময় দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি স্বাধীনভাবে তা দেননি। তারও প্রমাণ রয়েছে সংলাপে। তিনি বলেছেন, সময় না দিলে গভর্নমেন্ট আবার কইতÑতখন তুমি টাইম দিতা। এ থেকে বোঝা যায়, সরকার কি বলবে না বা না বলবে সে দিক বিবেচনা করে প্রভাবিত হয়ে তিনি আমাদের সময় দিয়েছেন; স্বাধীনভাবে দেননি তিনি।
আইনে আবার বিচারের সুযোগ আছে কি নেইÑ এ বিষয়ক আলোচনার পর্যায়ে ট্রাইব্যুনালের এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ট্রাইব্যুনাল আইনের ৬ (৬) ধারায় বলা আছে ‘শুধু ট্রাইব্যুনালের কোনো সদস্যের পরিবর্তন হলে বা কোনো সদস্য অনুপস্থিত থাকলে ইতঃপূর্বে সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন এমন কোনো সাক্ষীকে আবার সাক্ষ্য দেয়ার জন্য তলব করতে বা আবার শুনানি গ্রহণে ট্রাইব্যুনাল বাধ্য থাকবে না।’
তিনি বলেন, কোনো সদস্য পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ইংরেজিতে ‘সিয়ারলি’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলায় এর মানে হলো ‘নিছক’।
তিনি বলে, এর আগে এই ট্রাইব্যুনালে মোট তিনবার বিচারপতি বদল হয়েছে।
প্রথমবার ২২/৩/২০১২ সদস্য বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবিরকে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালে বদলি করা হয় এবং বিচারপতি আনোয়ারুল হককে নিয়োগ দেয়া হয় তার স্থলে।
দ্বিতীয়বার ২৮/৮/২০১২ বিচারক জহির আহমেদ চলে যান এবং তার স্থলে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়।
তৃতীয়বার ১১/১২/২০১২ বিচারপতি নিজামুল হক পদত্যাগ করেন।
ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী প্রথম দুই বার যে বিচারপতি বদল হয়েছে সেটা স্বাভাবিক বিষয়। তাই তখন আমরা বিচারপতি বদলের কারণে বা সদস্য পরিবর্তনের কারণে আবার বিচার দাবি করিনি। কিন্তু তৃতীয়বার বিচারপতি নিজামুল হকের চলে যাওয়া কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। একটা অস্বাভাবিক ঘটনার কারণে তিনি চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এ বিষয়টি আইনে উল্লেখ নেই। তাই আমরা আবার বিচার দাবি করেছি।
তিনি বলেন, বিচারপতি নিজামুল হক যা করেছেন একজন জজ হিসেবে, তার বিধান আইনে থাকে না। আইন তৈরি করার সময় এটা চিন্তা করা হয় না যে একজন জজ জালিয়াতি-প্রতারণার আশ্রয় নেবেন বা তিনি ন্যায় বিচার করবেন না। তাই এ বিষয়ে কোনো বিধানও রাখা হয় না আইনে।
কাজইে আইনের ৬(৬) ধারা এখানে কার্যকর হবে না। আইনের এ ধারা এ বিষয়টি কাভার করে না।
ট্রাইব্যুনালকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, আপনারা ন্যায় বিচারের স্বার্থে যেকোনো আদেশ দিতে পারেন এবং সেটি আপনাদের সহজাত ক্ষমতা। এ ক্ষমতা আপনাদের দেয়া হয়েছে। কাজেই আইনে আবার বিচারের বিধান নেই এ দাবি সঠিক নয়। ট্রাইব্যুনাল ন্যায় বিচারের স্বার্থে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে পারে এবং এটাই ন্যায়ের দাবি।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের দাবি শুধু আবার বিচার নয়, আমাদের দাবি আরো বেশি।
গতকাল দিনব্যাপী শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। আগামীকাল এক ঘণ্টার মধ্যে তার শুনানি গ্রহণ শেষ করার জন্য কোর্ট অনুরোধ করেছেন তাকে।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাককে শুনানির সময় সহায়তা করেন ব্যারিস্টার এমরান সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট শিশির মো: মনির প্রমুখ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম, মনজুর আহমেদ আনসারী, মতিউর রহমান আকন্দ প্রমুখ।
রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাইব্যুনাল (১) চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি আনোয়ারুল হক শুনানি গ্রহণ করেন।
শুনানি চলাকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন অধ্যাপক গোলাম আযম : গতকাল শুনানি চলাকালে কাঠগড়ায় হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন অধ্যাপক গোলাম আযম। দুপুর সাড়ে ১২টার সময় তিনি হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়েন। অল্প সময় পরে আবার তার জ্ঞান ফিরে আসে। তাকে হাসপাতালে পাঠানোর জন্য দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স আনা হয়। স্ট্রেচারে শুইয়ে তাকে দোতলা থেকে নামানো হয়।
হাজতখানায় সব শীর্ষ নেতা : গতকাল প্রথম এবং দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালে বিভিন্ন মামলা উপলক্ষে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় জামায়াতের বন্দী সব শীর্ষ নেতা একত্রে অবস্থানের সুযোগ পান। তাদের মধ্যে ছিলেন দলের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযম, বর্তমান আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জোনরেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লা। এ ছাড়া বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীও এ সময় হাজতখানায় ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন