মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১২

বিচারপতির স্কাইপি সংলাপ

 ‘সাহারাকে সরিয়ে দেয়াটা গুড নিউজ’

অলিউল্লাহ নোমান

     
‘সাহারা খাতুনকে সরাইয়া দেয়াটা একটা গুড নিউজ। যারে দিছে তাদের সঙ্গে অনেকেরই এক্সেস ভালো।’ মন্ত্রিসভার রদবদল প্রসঙ্গে বিচারপতি নিজামুল হককে এ কথা স্কাইপি সংলাপে বললেন ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ও বেলজিয়ামে অবস্থানরত বাংলাদেশী নাগরিক ড. আহমদ জিয়াউদ্দিনের স্কাইপি কথোপকথনে পাওয়া যাচ্ছে এ ধরনের নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেশের প্রচলিত বিধান ও সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের আচরণবিধি অনুযায়ী বিচারাধীন বিষয়ে আদালতের বাইরে কথা বলার সুযোগ নেই। কিন্তু বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম হরহামেশা কথা বলেছেন ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন ও যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী রায়হান রশিদের সঙ্গে। তাদের কথোপকথনের মধ্যে উঠে এসেছে, কীভাবে রায়ের বিভিন্ন বিষয়ে ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন লিখে পাঠাচ্ছেন।
স্কাইপি সংলাপ অনুসন্ধানে দেখা যায়, চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর ড. আহমদ জিয়াউদ্দিনের কাছে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম জানতে চান, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চার্জের কপিটা আছে কি না। তিনি এ-ও বলেন, ‘থাকতেই হবে, থাকতেই হবে। তো, এই জিনিসগুলোর রিপলাইডা আপনি যদি একটু ইয়ে করে দেন আমাকে। তাইলে আমি জাজমেন্টর জন্য একটু রেডি হইতে পারি।’ তার এই কথার জবাবে ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘আচ্ছা আপনি ধরে থাকেন, আপনি একটু হোল্ড করেন, আমি একটু চেক করে নেই। আসলে আপনি কোনটার কথা বলছেন? আমার দুই মিনিট লাগবে। আমি অর্ডারটা নিয়ে নিচ্ছি। আমি এইডা বোধহয় বলেছিলাম ইন্টারন্যশনাল ল’য়ের কনটেক্সট থেকে। তখন বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেন, ‘হ্যাঁ ঠিক আছে। আপনি যান কাগজ আনেন, আমি দিমুয়েনে আপনারে.., আই উইল গিভ ইউ দ্য লাইন ইভেন।’
একই দিনের স্কাইপি কথোপকথনে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম আরও বলেন, ‘জাজমেন্টের কাজ তো শুরু করছি আমি, অন্য কাজ ফেলাইয়া টাইপ শুরু করছি আমি।’ তখন তাকে আহমদ জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘আপনি ওই জায়গাটাকে, আপনি করেন কি যে... এ জায়গাটিতে একটু গ্যাপ রাখেন। কারণ এখনও লিগ্যাল আরগুমেন্ট কিন্তু তারা প্লেস করে নাই।’ অর্থাত্ লিগ্যাল আরগুমেন্ট শুরুর আগেই বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম রায় লেখার কাজ শুরু করে দেন এবং রায়ের কিছু বিষয় লিখে পাঠানোর জন্য ড. আহমদ জিয়াউদ্দিনের কাছে অনুরোধ জানান।
একই দিনের আলোচনায় আরও দেখা যায়—ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন বিচারপাতি নিজামুল হক নাসিমকে বলছেন, না... না... না, এটা করমুই না। এটা করার কোনো কারণও নাই, করবও না। কিন্তু ওইইটা—যেইটা আপনি বলছেন, সেইটা তো জাজমেন্টে আসবে। সেইটার একটা এক্সপ্লানেশন তো দেতে হবে আমাকে...। আমি বলতেছি সেইটাই আমারে লেইখা পাঠান, এই কথাডা বলছি আপনারে।
১৫ সেপ্টেম্বরের স্কাইপি কথোপকথনে দেখা যায় মন্ত্রিসভার রদবদল সম্পর্কে ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমকে উদ্দেশ করে বলছেন, ‘আচ্ছা, আজকে তো মনে হয় একটু পজিটিভ নিউজ মনে হচ্ছে আপনাদের দিক থেকেও, আমাদের মানে, সার্বিক বিবেচনাতে।’
নিজামুল হক নাসিম তখন তাকে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘কী?’ পাল্টা জবাবে ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘এই যে সাহারা খাতুনকে যে সরাইছে। It’s a very good news আসলে। এবং যারে দিছে, তাদের সাথে অনেকেরই এক্সেস ভালো আছে। কাজেই—এবং উনি তো ইনফরমালি অলরেডি ICT’র contact person ছিলেনই। so... এইটা পজিটিভ হবে। অ্যাটলিস্ট প্রসিকিউটরদের—মানে যারা, ওই আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ টাইপের যারা, যারা চিপে ধরেছিল ICT-কে, এটা হোম মিনিস্টার আর ছোট আইনমন্ত্রীর যৌথ প্রচেষ্টা।’ বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম তখন হুম-হুম করে হাসতে থাকেন।
১ সেপ্টেম্বরের স্কাইপি আলোচনায় আবারও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের প্রসঙ্গটি উঠে আসে। কথোপকথনের একপর্যায়ে ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আপনার এই জাহাঙ্গীর সাহেবকে এমনি মানুষ হিসেবে কী রকম মনে হলো?’ জবাবে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেন, ‘আমি তো আগে থেকে চিনি। আছে ভালোই। পলিটিক্যাল লোক তো, কথাবার্তা মিষ্টি আছে এডা ঠিক। লোক কেমন, হেডা আল্লাহ জানে। কইতে পারি না হেডা এহনও কিছু।’ এতে ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘দেখেন, আনোয়ার সাহেব জয়েন করার পর কী কম্বিনেশনটা দাঁড়ায় বা কী ব্যাপারটা দাঁড়ায়।’ তখন বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেন, ‘দেখা যাক, খারাপ হবে না। তারে বইল্যাও দিছে, তুমি যা বলবা রুমে বলবা, কোর্টে চেয়ারম্যান যা বলবে তা ok ।’
১৭ ঘণ্টার স্কাইপি আলোচনার মধ্য থেকে আজ পাঠকের সামনে ১ সেপ্টেম্বর, ১০ সেপ্টেম্বর, ১৫ সেপ্টেম্বর ও ১৩ অক্টোবরের কথোপকথন বিস্তারিত তুলে ধরা হলো—
কথোপকথন ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২
নিজামুল হক নাসিম : হ্যালো
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যালো
নিজামুল হক নাসিম : বলেন দেহি, কেমন আছেন আপনি?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, আমি এখন ভালোই আছি
নিজামুল হক নাসিম : একটা ম্যাসেজ পাইছেন আমার কিছুক্ষণ আগে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, ম্যাসেজটাটা দেখছি, ম্যাসেজটা দেখেই আসছি
নিজামুল হক নাসিম : আপনি এখন বিছানায়?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, আমি এখন শুইয়া আছি।.... ইচ্ছা করলে উঠতে পারি। কিন্তু শুইয়া রইছি আরকি। অ্যাঁ... কি কি হইছে, অনেকগুলা হইছে তো এইজন্য আরকি হা হা (হাসি), এখন পর্যন্ত সব রিপোর্টগুলো আসে নাই। যাই হোক, চলবে আরকি আপাতত
নিজামুল হক নাসিম : দেখা যাক
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনি কেমন আছেন?
নিজামুল হক নাসিম : আমি ঠিক আছি, আপনার শরীর খারাপ নাই তো?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না ঠিক আছে। কালকে পর্যন্ত অসুখটা বেশি গেছে তো। আজ তো সারাদিনটাই মোটামুটি রেস্টের ওপর আছি। তিনদিন, চারদিন ধরে তো অবস্থা খারাপ।
নিজামুল হক নাসিম : হুম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনি কেমন আছেন?
নিজামুল হক নাসিম : আমি আছি, আল্লাহ ভরসা
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তো আপনার কি রকম...
নিজামুল হক নাসিম : নতুন যেটা শুরু করছি, ভালোই.. খারাপ হবে না কো-অপারেটিভ, কো-অপারেটিভ মনে হচ্ছে
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তাই, আচ্ছা ভেরি গুড।
নিজামুল হক নাসিম : বাকি আল্লাহ ভরসা
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তো আনোয়ার সাহেব কি কম্পিলিটলি চলে আসছে আপনাদের এই বিল্ডিংয়ে?
নিজামুল হক নাসিম : হু
আহমদ জিয়াউদ্দিন : উনি বোধহয় শিফট করার জন্যই ছুটি নিয়েছিল?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, এখন ১নং বিল্ডিংয়ে আইসা গেছে
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা দেখি
নিজামুল হক নাসিম : মালুমের কাছ থেকে কোন ম্যাসেজ ট্যাজেজ, খবর-টবর আছে? পাইছেন?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না, এই দুই তিন দিন ধরে হয় উনি আসলেও আমি, আমি না হয়তোবা এই জন্য কিনা যোগাযোগটা হয়েছিল যে, সেটা হচ্ছে যে উনি আমারে বলেছিলেন যে, আপনার সাথে যদি যোগাযোগ হয় তাহলে ঐ যে দুই দিনই না করতে আরকি, কোর্টে না বসতে আরকি।
নিজামুল হক নাসিম : কেন বসব না কেন? কোর্ট হয় না?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : খুবই হয়, যাই হোক মালুমের সাথে এটাই লাস্ট কথা। এই তিন দিন ধরে আর কোন কথা নাই। হয়তোবা উনি আসলে আমি থাকি নাই। এখন কি হইতেছে না হইতেছে কথা না হইলে ঠিক বোঝা যাইতেছে না।
নিজামুল হক নাসিম : একটা ছেলে জয়েন করছে, সেটা কি ICSF-এ ছিল?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : অ, হ্যা হ্যা, এটা রায়হান আমাকে জানাইছে, শওকত
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা, ওকে কি আমি বলব একথা যে তুমি ICSF এ ছিলা আমি খবর পেয়েছি, আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাইখো।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : উম... আপনি এইটা বইলেন যে আমাদের সাথে.... দাঁড়ান চিন্তা কইরা নেই.... ছেলেটার সাথে বাংলাদেশে আমার দেখা হইছে এবং ভালো ছেলে, ... তো জয়েন করেছে এবং পড়ালেখা ইউকে থেকে করে এসেছে। তো বিসিএস পরীক্ষা দিয়া সে ইতে জয়েন করেছে। আমাদেরই ছেলে আর কি। হ্যাঁ, গুড, ভালো ছেলে বলে আমরা মনে করি। আপনি বইলেন আরকি, আপনি বইলেন যে বরং ICSF না বইলা বা ICSFও বলতে পারেন। যেহেতু আমার সাথে কথা হইছে এবং আমার সাথে আমাকে চিনে মানে বাংলাদেশে আরকি, আপনি বইলে যে, মানে ইয়ে আছে আরকি মানে সে যে জয়েন করছে তা আমাকে জানাইছে এরকম একটা।
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এবং আপনি জানছেন আমাদের কাছ থেকে আরকি এবং সে যেন যোগাযোগ রাখে আপনার সাথে এভাবে বইলেন।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ সেইটাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ছেলেটা ভাল ছেলে। তাকেও ... কথা বলা হইছে। বাট ভালো ছেলে আরকি। জুডিশিয়ারিতে ভালো....মানে পড়ালেখা জানা ছেলে। সে নাকি নিজেই আগ্রহ করে আসছে এখানে
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, শুনলাম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সে অ্যাসিসট্যান্ট... এভাবে আসছে, নাকি কি হিসেবে আসছে?
নিজামুল হক নাসিম : Assistant Register
আহমদ জিয়াউদ্দিন : খুব ভালো। তাইলে register office-টা একটু শক্তিশালী হয়। এটা কি আপনারা request করেছেন নাকি Organogram আছে?
নিজামুল হক নাসিম : Organogram ..... আমরা বলেছিলাম যে আমাদের দরকার
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ছেলেটারে আপনে আপনারা কাছাকাছি রাইখেন আরকি। এতে কোন ই আছে?
নিজামুল হক নাসিম : না না ঠিকই আছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা দুইটা ট্রাইব্যুনালতো, তার সাথে কথা হবে আরকি। তারে আমরার ব্রিফ করার কথা। একটু সেটেল হইয়া সে Skype -এর access-টা তার যখনি হবে তখন সে আমাদের সাথে কথা বলবে। সেই infact জানাইছে রায়হানকে। যে তার জয়েন করছে আরকি। তার সাথে আমাদের লম্বা কথা হইছে। বই-টই লিখছে। ছেলেটা খারাপ না কিন্তু। সেই বই টইয়ের মধ্যেও আমাদের ইয়ে আছে, লেখা থেকে রেফারেন্স আছে। তো এই জাহাঙ্গীর সাহেবের সঙ্গে কথাবার্তা কী হইল আর মানে....।
নিজামুল হক নাসিম : আমার সঙ্গে সারাদিনই ছিল..... ঠিকই আছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : জহির সাহেবের কোন যোগাযোগ হইছে কোন কিছু না কি আর কোন খবর ই নাই?
নিজামুল হক নাসিম : যোগাযোগ মানে ওই আমি ফোন করেছিলাম কালকে, আমরা তাকে একটা Farewell দেবো। সে খুব, deny করল যে আমি Farewell নেবো না। আরেকটা কথা বলছে যে, সেটা আপনাকে বলতেছি বায়রা বলবো না, সেটা হইলো ওই বিল্ডিংয়ে আমি আর যাব না। এটা তো উনার আগের Strand যে আমি মেডিকেল Leave চলে গেলাম, সেডার লগে মেলে না, কি করমু কন।
আহমদ জিয়া উদ্দিন : আয় হায়!
নিজামুল হক নাসিম : কারণ, এই ম্যাসেজটা যদি বায়রা যায়, যাবে না আশা করি, কারণ আমি তো বলবো না কাউরেই। তাইলে ভবিষ্যতে যে চাকরির কথা ছিল, আর হইবে না। আমাকে বলেছে ভিন্নকথা, বায়রায় কোন জায়গায় কি বলে না বলে আল্লাহই জানে। আমি তারে বলছি যে আপনি কোন কথাবার্তাই বলবেন না কোন সম্পর্কে। সিম্পলি আপনি বলবেন-আমি মেডিকেল রিজাইন দিয়া আসছি, যেডা ফ্যাক্ট। এছাড়া কিছু বলবেন না কিন্তু আপনে। আমাকে যে Language-টা বলল এই Language-টা যদি সে আর কাউরে বলে তাহলে ক্ষতি হবে। তাইলে তার ঐ চাকরিডা আর হবে না। কি করবো কন? এতো বেশি বোঝে যে বিপদ আমাদের। যা হোক..
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সেদিন তো উনি অনেক Properly ইয়ে করছে, Rightly Behave করছে আর কি
নিজামুল হক নাসিম : না ঠিকই আছে, Rightly Behave করছে, আমরাও Rightly Behave করছি। যাইয়া নিচে নাইমা গাড়িতে ঢুকাইয়া দিয়ে আসছি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এদিকে আপনার Feeling-টা হইতেছে কী এটা কি শুধু আপনাকে ম্যাসেজ দিলো নাকি বাকি সবাইকে মেসেজ দিল?
নিজামুল হক নাসিম : আমি বলতে পারি না সেটা, এইটা আমি বলতে পারি না কারণ কি কমু, তবে আমার দেশ পত্রিকা লিখছে যে উনার এক নিকটতম লোক জানাইছে যে, এখন কিছু বলবে না সে তবে পরবর্তীতে সে বলবে, কেন সে রিজাইন করল। এখন মিথ্যাও হইতে পারে। বানায়াও লিখতে পারে আবার কেউ কইতেও পারে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওইটা ও তো নজরে রাখবে। এটা যদি রিপোর্ট করে থাকে বা বলে থাকে যদি পরে বলবে আরকি।
নিজামুল হক নাসিম : এটাও তার against এ যাবে। হা.. হা.. হা.. (হাসি)
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি সেটাই বলতেছি। সেটাও তার against-এ যাবে। উনি বরঞ্চ কম চাপের ভেতর থাকত, যদি উনি আইন কমিশনে যায় আর কি। এখানে ওনার Status টাও ঠিক রইলো, বেতন-টেতনও ঠিক থাকবে আর হালকা ধরণের কাজ হবে। উনার যে অভিজ্ঞতা আছে এত বছরের সেই অভিজ্ঞতাও ওনি ব্যবহারও করতে পারবে। এটা একদিক দিয়ে কিন্তু খুবই right ইয়ে আরকি, মানে placement উনার জন্য। সারাদিন একেবারে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এজলাসে বইস্যা এটাও লাগতেছে না, এটা অনেক রিলাক্সে ওয়েতে উনি কিন্তু ওখানে কাজ করতে পারবে। কারণ, আইন কমিশনে খুবই রিলাক্স ওয়েতে কাজ হয়। ওম, তো আর কি খবর আছে বলেনতো দেখি? আমিতো ঠিক মতো ফলো করতে পারি না সবকিছু।..
নিজামুল হক নাসিম : খবর তো আপনার কাছে। আমার কাছে কি খবর থাকবে? খবর আরও আপনার কাছ থেকে আমরা পামু
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনার এই জাহাঙ্গীর সাহেবকে এমনি মানুষ হিসেবে কি রকম মনে হলো?
নিজামুল হক নাসিম : আমি তো আগে থেকে চিনি, আছে ভালোই, পলিটিক্যাল লোক তো, কথাবার্তা মিষ্টি আছে এডা ঠিক, লোক কেমন হেডা আল্লাহ জানে, কইতে পারি না হেডা এহনও কিছু
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এখন তাহলে কি.. উনি কি সেকেন্ড জাজ হয়ে যাচ্ছেন উনি?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, ওনি সেকেন্ড জাজ right... (গলায় একটা ন্যাচারাল ঢেকুর ওঠে)।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : দেখেন আনোয়ার সাহেব জয়েন করার পর কি কম্বিনেশনটা দাঁড়ায় বা কি ব্যাপারটা দাঁড়ায়।
নিজামুল হক নাসিম : দেখা যাক, খারাপ হবে না। তারে বইল্যাও দিছে, তুমি যা বলবা রুমে বলবা, কোর্টে চেয়ারম্যান যা বলবে তা ok, ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, এটা অন্ততপক্ষে পাবলিক সাপোর্ট থাকলেই হলো আরকি, মানে পাবলিকলি সাপোর্ট করাটা অনেক ইমপোরটান্ট এটা-আর আনোয়ার সাহেবের সাথে আপনার সম্পর্কটা যে ডেভেলপ হয়েছে এইটাকে ঠিকমত ধরে রাখলেই হবে আরকি।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এট দা ইন্ড অফ দা ডে তে গিয়া। আর আপনিতো এখন একটু ব্যস্ত ছিলেন বোধহয়, এখন আপনি একটু দেখেন যে ফ্রিম্যানের ব্যাপারটা আগাইলো কিনা কিছু টিছু?
নিজামুল হক নাসিম : ফ্রিম্যান, পরবর্তীতে ওর এপয়েনমেন্টের লগে লগে চিঠি লেখছে, ওর পাঠাইছে, ওর ইংল্যান্ড পাঠাইয়া দিসে।....ওদের একজন আসতেছে নাকি ঢাকায় শিগগিরই..
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা ঠিক আছে। তাহলে একটা opportunity পাওয়া যায় যেখানে আপনারা সবাই তিনজনই মিল্লা এবং আহসান সাহেব সহ সবাই একটা সময় কাটাতে পারবেন কিছু একটা মানে একটা ঢাকার কনটেক্সটয়ের বাইরে। (একটা মোবাইল রিং বাজতেছিল) ফোন আসছে আপনার
নিজামুল হক নাসিম : জাস্ট ১ মিনিট। (হ্যাঁ শামিম-ফোন করছিলাম একটা কারণে বলছি আমি চিপটাতে দেখলাম যে ফটোকপিতে চারু আছেই ইনভলব, এমন ইনভলব হইয়া গেছে আমি যা বলতেছি আমরা কারেকশন কইর্যা দেব, তার চেয়ে বরং মামলাটা কইর্যা দেলে ওরাও সেলফ ডিফেন্স থাকবে আর নাইলে গ্যাঞ্জাম টেঞ্জাম করতে পারে তারা। মামলাটা যদি তাড়াতাড়ি করাইয়া দুই চার দিনের মধ্যেই দায়ের কইরা দেয়ন যায়, আর আমি জজ সাহেবরে বইল্যা তাড়াতাড়ি অর্ডার করাইয়া দেম্যুয়নে। সেটা দেখা যাবে পরে। মামলাটা কইর্যা ডিক্লারেশন নিয়া রাখতে পারে। তোর লগে এত কথার দরকার নাই আমার, পরে কথা কমুয়নে। রাতে যাইয়া ড্রাফটা দার করা। .........................কোর্ট ম্যাটারতো তোমার কিছুই করা লাগবে না, সেটা দেখমুয়নে আমি। ) জি
(after finishing talking over mobile phone)
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ বলেন
নিজামুল হক নাসিম : ওটা ওই আমার মনে হয় যে জাহাঙ্গীররে নিয়া প্রবলেম হবে না। আর দ্বিতীয় কথা হইলো, ও তো এখনো বুইজ্জাই ওডে নাই। ওর বুইজ্জা উঠতে সময় লাগবে না?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না তা তো বটেই। না বুঝার সময় যদি রাইটলি বুঝে তাহলে ই হয় আরকি
নিজামুল হক নাসিম : সে আমারে কইছে যে ভাই আপনি আমারে চালাইবেন, সোজা হিসাব। এই ল্যাঙ্গুয়েজ সে পরিষ্কার আমারে বলছে। তবু স্বাভাবিক। আমার মনে হয় অসুবিধা হবে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : দ্যাটস গুড। মানে, এখানে ওয়েল কাজ তো আপনাকে এখানে এমনিই বেশি করতে হইবো আরকি।
নিজামুল হক নাসিম : হুম
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কিন্তু যখন Critical, যখন challenging সময় বা Critical সময় যেন Full support-টা থাকে, publicly as well as privately.
নিজামুল হক নাসিম : right, হ্যাঁ, correct,
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কারণ, different views-টা ওই যে যেভাবে অন্যরকম orientation-এর চাইতে আপনি উনাকে.., আপনাদের তো জুনিয়র কাজেই আপনি ওনাকে বলতে পারেন যে আপনি দেখেন, দেখতে থাকেন আর আপনার কোন কিছু আলোচনা করার দরকার থাকলে আপনি কিন্তু ফ্রিলি আমার সাথে আলোচনা করতে পারেন। মানে এটা হলো ওই বুঝার ক্ষেত্রে আরকি।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, এগুলো তো বলা হয়ে গেছে
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমরাও কিন্তু শিখতেছি। এখন আমরা এতো বছরে একটা পজিশনে আসছি। এখন এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণের ভিতরে আছে এবং এটা আসলে আমরা অন্যান্যরা আগে যা কাজ করে আসছি, তার চাইতে এটা একটু ভিন্ন রকম কাজ। এবং চিন্তাটা ভিন্ন রকম চিন্তা, এর ভিতরে অনেকগুলো চিন্তা আছে সেগুলো একটু ভিন্ন রকম। যেগুলোয় আমরা কখনও আগে Familiar ছিলাম না। ছিলাম না কিন্তু আস্তে আস্তে এক পর্যায়ে আসছি। এবং ঐ যে ইন্টারন্যাশনাল ল’র ব্যাপার চক্করগুলো একটু বুঝাইয়া শিখায়া দিয়েন যে আমাদের স্ট্র্যাটেজিটা কি? আমরা international law-টাকে দেখবো কিন্তু এটা যেহেতু বাংলাদেশের আইন এবং এইটা যেহেতু বাংলাদেশের পার্লামেন্টের ঘটনাটা এখানের, সাক্ষী টাক্ষী সব এখানকার। আমরা আমাদের আইনটাকে আমাদের মতো করে ব্যাখ্যা করবো, আমাদের দেশীয় আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। তবে, definitely মানে international law যখন refer করা হবে বা বলা হবে হয়তবা কোনো এক পর্যায়ে হয়তোবা আমরা ব্যবহারও করতে পারি। কারণ, এই ধারণাগুলো কিন্তু international law এর ধারণা। আমরা international law কে অস্বীকার করতে পারবো না, আবার international law-এর সব ধারণাগুলো সবই আমাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে সেটাও না আবার। কাজেই আমরা international law থেকে ধারণা নেবো কিন্তু তা প্রয়োগ করবো আমরা আমাদের মতো করে। এটাই হচ্ছে এটার চ্যালেঞ্জ। এই ট্রাইব্যুনালে কাজ করার বা এই ট্রাইব্যুনালের মেম্বার হিসেবে কাজ করার এটাই হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ। এটা আশা করি হয়ে যাবে। আর উনি যদি একটু মানে ঠিক মতো ইচ্ছা থাকে আরকি, মানে-ঠিকমত follow করতে পারেন কুইকলি আর আগের কিছু কিছু অর্ডার সেগুলো খুব significant order…..বইলেন সেগুলো যেন পড়ে।
নিজামুল হক নাসিম : হু, ওগুলা পড়াবো তারে, হু দেবো তারে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : যেগুলো একটু বড় অর্ডার, আপনারা যারা আলোচনা করেছেন, বেসিক ল’ সম্পর্কে বা ইভেন যা কিছু সম্পর্কে সেগুলা উনাকে পড়তে হবে। ইভেন যেগুলো ফরমাল চাজর্, যেগুলা আরে ফরমাল চার্জ বলতাছি, মানে চার্জ ফ্রেম করা হইছে, যে অ্যাপ্রোচে চার্জগুলা ফ্রেম করা হইছে এগুলো উনারে কিছু পড়াইতে হবে আর কি। এবং এটা অলমোস্ট যদি কাছাকাছি টিউটরিংয়ের মতো করা যায় এবং উনার প্রশ্নগুলোর উত্তর ঠিকমতো দেয়া যায় তাহলে কিন্তু আমার মনে হয় যে, অই রাইট মাইন্ড সেট থাকে আরকি এবং অন্য কোথাও থেকে যদি উনি আবার যদি ব্রিফড না হন যদি আর আরকি, তাহলে অসুবিধা হবে বলে মনে হয় না। আর একবার যদি এই দিকে আসে তাহলে তো আমরা উই উইল হ্যাভ সাম টাইম টুগেদার যে এগুলা আলোচনা করার জন্য। আর আমি এমনিতে যাবো একটু ইয়েতে, আমি আসতেছি হলো ২১/২২ শে অক্টোবর গিয়ে পৌঁছাব ঢাকাতে। তো বেশি সময় হয়ত আপনাদের ওখানে যাওয়া হবে না, কারণ আমি অন্য কাজে যাচ্ছি, কিন্তু তারপরেও। উনি থাকেন কোথায়?
নিজামুল হক নাসিম : উনি থাকেন রাজাবাজার, পূর্ব রাজাবাজার, ফার্মগেটের ওখানে
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা কোন প্রাইভেট ইয়েতে থাকেন নাকি, না?
নিজামুল হক নাসিম : উনার মনে হয় নিজের বাড়ি নাকি..
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ও নিজের বাড়ি
নিজামুল হক নাসিম : অথবা নিজে ফ্ল্যাট-টেলাট নিতে পারে
আহমদ জিয়াউদ্দিন : রাজাবাজার, এটা কোন জায়গাটা, ফার্মগেট? আপনি চিনেন রাজাবাজার? আমি নাম শুনেছি, এটা কি ইন্দিরা রোডের ওই দিকে?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, ইন্দিরা রোডের দক্ষিণে
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, তাইলে নিজের অ্যাপার্টমেন্টও হইতে পারে হয়তোবা। তাইলে কালকে থেকে আপনার সব এজেন্ডা ফুল, ট্রাইব্যুনালও ফুল, সবই ফুল ফুল
নিজামুল হক নাসিম : হু
আহমদ জিয়াউদ্দিন : দেখি মালুম ভাইর সাথে আমার কথা হয়নি এই কয়েকদিন, তার সাথে কথা বলে দেখি। কি জানি আলোচনার কথা মনে পড়তেছে না।
নিজামুল হক নাসিম : তো ঠিক আছে আপনে রেস্ট নেন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যা ঠিক আছে ok
নিজামুল হক নাসিম : আল্লাহ ভরসা
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ok ok, thank u very much.

আমরা একটা স্কেচ তৈরি করে দেয়ার চিন্তা করছি

কথোপকথন ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২
নিজামুল হক নাসিম : হ্যালো।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ডাক্তার কী বলছে আপনাকে?
নিজামুল হক নাসিম : ডাক্তার তো চেক-টেস্ট দিয়া ভালোই বলছে। আরেকটু প্রবলেম হয়তো মনে হয় রিপোর্টটা পাইয়া বুঝবে। করাইছি তো সব ইকো, ইসিজি, লিভার, সমস্ত ব্লাড টেস্ট যত আছে সব কালকে রিপোর্টটা পাব আর কি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, ডাক্তারের কি ইনিশিয়াল কোনো ধারণা আছে, না রিপোর্ট ছাড়া সে...
নিজামুল হক নাসিম : বলছেন যে ডায়াবেটিস তো এখন আমার নাই। একেবারে বর্ডার পয়েন্ট। এটা একটু বাড়তে পারে, আর ওজনটা কমাইতে হবে। এই হলো ফার্স্ট কথা তার। ওজন কমানো আর ডায়াবেটিস একটু বাড়তে পারে সামান্য। আর ইকোটা করলে বুঝতে পারব যে... ইকোটা করার সময় বলছে, আপনারটা ভালো। তবে উনার কথায় একটু টান আছে, সামান্য প্রব্লেম থাকতে পারে ইকোতে। একটু মনে হইছে আমার টেস্টের সময়...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা।
নিজামুল হক নাসিম : দেখি পাই আমি, তার পর...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কিন্তু ওজন তো বুঝলাম, ডায়াবেটিসও, কিন্তু ব্যথার কারণ কি কিছু বলতে পারছে, ব্যাথাটা কেন হচ্ছে?
নিজামুল হক নাসিম : ব্যথা তো আমার না...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : রাতে বললেন না পা-টা একটু ফোলা ফোলা মনে হচ্ছে...
নিজামুল হক নাসিম : উনি বললেন যে না, এটা হলো প্রস্রাবের ট্যাবলেটের জন্য। অন্য চিন্তা করার কারণ নাই। ট্যাবলেট বদলাইয়ে দেছে আর...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এখন কার কাছে কচ্ছেন উনি কিসের স্পেশালিস্ট?
নিজামুল হক নাসিম : মেডিসিন অ্যান্ড ইউরোলজি। তারপরে সেখান থেইকা টেস্ট পাইয়া দেখে, প্রয়োজনে সে আরেক ডাক্তারের কাছে রেফার করবে বলে আর কি। এরম করে। অসুবিধা নাই ইনশাল্লাহ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওজন তো আসলে... এটা তো একটা ভেজালের জিনিস আর কি। আপনার আবার ওই.. ওই না খাওয়া সিস্টেম চালু করতে হবে আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, সেটাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওজন তো কমছিল আসলে, তাই না?
নিজামুল হক নাসিম : কমছিল এখন আবার ১০৩ ওরে বাবারে, বাবা। আমিই তো ঘাবড়াই গেছি, ১০৩ কেজি!
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনার হাইট অনুযায়ী কত বলছে?
নিজামুল হক নাসিম : ৮০-এর নিচে, বলে যে আপনি চিন্তা করবেন না, কমাবার চেষ্টা করেন। দেখেন যে কদ্দূর যায়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এত কমবে না কখনোই। কারণ একটা বয়স হয়ে গেলে পরে আর ওজন কমে না। সেটা আমি নিজেও দেখতেছি আর কি। যতটুকু কমানো যায় ততই ভালো আর কি। আর ডায়াবেটিস-টায়াবেটিস এগুলো হচ্ছে এইজের একটা কিছু থাকে আর কি...। এরপরে যা চিন্তা করছিলাম আর কি, যে এরপর কি হলো...। একদিনে সব কাজ করে আসছেন এত বিশাল ব্যাপারে এটা...
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, একবারে ৪টায় গেছি আর ১০টার পর ফিরছি। সব সাইর্যা আইছি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : টেস্টগুলা কোথায়, কোন ল্যাবে করালেন এগুলা?
নিজামুল হক নাসিম : ওই তো আমি স্কয়ারেই করি। ডাক্তার বসেও স্কয়ারে, টেস্টগুলা সব স্কয়ারেই করি আমি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, তার মানে একই বিল্ডিংয়ের ভিতরে সব করতে হইছে। কালকে দেখছে আপনারে দেখার পরে কী অর্ডার দিছে—
নিজামুল হক নাসিম : দেখার পর প্রেসক্রিপশন দিছে। রাত্রেই অর্ধেক করছি। আজকে ভোরে গিয়া বাকি অর্ধেক করছি, শেষ। এখন রিপোর্টগুলা পাব—কিছু আজকে, কিছু কালকে। এগুলো নিয়া কালকে নিয়ে, এরপর বিকালে ডাক্তারের সাথে মিট করব। এই হলো প্ল্যান...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, ঠিক আছে।
নিজামুল হক নাসিম : তারপর দেহি কী হয়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হোপফুলি এইটা... হ্যালো, সরি ফোলাটা বলছেন, আজকেই কমে গেছে।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, কমে গেছে। এখন এক্কেবারে সামান্য একটু আছে। খুব ডিপলি তাকাইলে মনে হয় সামান্য একটু আছে আর এমনে তাকাইলে বুঝতে পারবে না মানুষে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তাহলে তো এটাতে কোনো ইয়ে না..., এবারে অন্য খবর বলেন, কী আছে খবর দেখি, আপনের তো কালকে টেস্টের দিন, মনে হয় ভালোই হইছে। পুরা দিন কোর্ট করা লাগে নাই বোধহয়।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আজকে দিনটা কেমন গেল।
নিজামুল হক নাসিম : আজকে তো ভালো গেছে। গোলাম আযমের সাক্ষী হইলো... সুলতানা কামাল। সাঈদীর সাক্ষী হইছে ৩ নম্বর সাক্ষী ডিফেন্স উইটনেস। এরা যে কী ডিফেন্স উইটনেস দিতেছে, আমরা কিছু বুঝতে পারতেছি না। আরও কনফার্ম করে অ্যালিগেশন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ-হ্যাঁ..., আমি পত্রিকায় দেখলাম যেটা, সেটা হইলো যে, তারে ওই জায়গাতে দেখে নাই, যেসব জায়গার কথা বলা আরছে আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : এটাই হলো কথা, আর কি হইলো।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমরা ওদের স্ট্র্যাটেজি নিয়া কিন্তু খুবই চিন্তাতে আছি আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : ওমুক গ্রামে সাঈদী কইয়া কোনো রেপ করে নাই। তুমি জান কেমনে রেপ করছে? অ্যালিগেশন আসছে? হাও ডু ইউ নো ইট?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : শিখায়ে দেয়া হইছে তারে। বলা হইছে যে গিয়া বলবা।
নিজামুল হক নাসিম : যা অ্যালিগেশন আছে খালি বলে যে, এগুলো ঘটে নাই। ঘটলে আমারে কইত, ব্যাস শেষ। এইটা কোনো ডিফেন্স উইটনেস হয়। হা... হা... হা...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না এইটা কিন্তু আরেকটা... ওই যে গোলাম আযমেরটা আমরা দেখতেছি আর কি। এবং আমাদের কাছে, আমি তো নিজেই একটু চমকে আছি আর কি। তারা যে কাগজপত্র ডকুমেন্টস যেটা দিয়েছে, এখন পর্যন্ত তো এভিডেন্সের প্রশ্ন আসে নাই, যেসব ডকুমেন্টস দিয়েছে তারা এবাং কম ডকুমেন্টস দেয় নাই কিন্তু। মানে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে যে, ওই ডকুমেন্টের কয়েকটা কিন্তু আবার প্রসিকিউশনও দিয়েছে আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঠিক আছে। সেটাও তারা আবার দিয়েছে। আচ্ছা ভালো কথা, দিল। আর বাকি যেগুলো দিয়েছে, সেগুলোর যে উদ্দেশ্যটা কি আর কি, সেখান থেকে তাদের স্ট্র্যাটেজিটা কি যে ডিফেন্সের স্ট্র্যাটেজিটা কী? তারা কী জিনিস প্রমাণ করতে চাচ্ছে, সেটা কিন্তু কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। এবং কেন তারা শুধু কাগজপত্র দিয়ে এটাকে ভলিউমস বানাইয়া রাখছে। কিন্তু যেখান থেকে তার কালপাবিলিটির কোনো ইয়ে নাই, কোনে নেগেট করতেছে না। কোনো একটা সিঙ্গেল আর্টিক্যালও নাই ,যেখানে বলা আছে যে, সে এটা করে নাই, ইভেন সে জড়িত ছিল না। তার রেসপনসিবল ছিল না। এই টাইপের কিন্তু কোনো কিছুই নাই। বিভিন্ন রকমের তার লেখা, তাদের পাবলিকেশনস, জামায়াতের পাবলিকেশন্স—এগুলো দিয়ে তারা আমার কাছে যেটা মনে হচ্ছে, অলমোস্ট তারা, মানে আমাদের পুরা ইনভেস্টিগেশন যেভাবে কাগজপত্র সব উইদাউট মাচ চিন্তা ভাবনা না কইর্যা শুধু কম্পাইল কইরা দিয়া দিছে বিশাল কইর্যা, তারাও ঠিক একই ভাবে দিতেছে। এবং এইটা কীভাবে সম্ভব হয়? এটা আমি কিন্তু বুঝতেছি না আর কি। যে তাদের স্ট্র্যাটেজিটা কী আসলে। এখন তারা কি এই সাক্ষী দিয়াই এ জিনিসটা প্রমাণ করাইতে চাইবে? এই হাজার হাজার সাক্ষী দিয়া! নাকি তারা যে কি যে করতে চাইতেছে...। মানে একটা কিন্তু বড় সুযোগ তারা কিন্তু লস করতেছে আর কি। টু দ্য এক্সটেম্লট আসলে ওই... মানে এদের এখন দিতে হইব। প্রবাবলি হইতে পারে তারা শুধু টাইমটা কিল করার জন্য এতগুলো সাক্ষী তারা দিবে। এইটাও সিমিলার স্ট্র্যাটেজি কি না। বাট গোলাম আযমের ক্ষেত্রে তাদের সবচেয়ে ইমপোর্টেন্ট কেস—সেখানেও দেখা যাচ্ছে যে, তারা খুব বেশি চিন্তা করছে বইল্যা মনে হইতেছে না। মানে এটা তো কোনো চিন্তাই করে নাই তারা। সামনে উইটনেসরা আইসা কী বলে কে জানে? সুলতানা আপা কী রকম দিচ্ছেন সাক্ষী? ...এই কালকে শেষ হয়ে যাইবে সাক্ষীটা, মানে সুলতানা আপা?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, সুলতানা আপা কাইল শেষ হয়া যাইবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আজকে কি সারাদিন সাক্ষী হইছে? আজকে ফার্স্টহাফ দিছে উনি?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, শুধু ফার্স্ট হাফ...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা তার মানে ৩ ঘণ্টা হইছে? এত স্বাক্ষী দিছে?
নিজামুল হক নাসিম : ঘণ্টা ২।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এত দরকার তো না, আরও কম হলেই হয়। এগুলা বেশি জিজ্ঞাসা করবে আবার। দেখা যাক ওরা তো যেভাবে প্ল্যান করতেছে। গতকালই কি দেখলাম—নিউজটা কি কারেক্ট কি না যে, দুই জনের নাম দেখলাম, আনোয়ার সাহেব কি ছিলেন না মাঝখানে?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ ছিলেন। হ্যাঁ কী নাম দেখছেন?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কোনো একটা হাফ-এ কি... উনি কি দুই হাফেই ছিলেন?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ। গতকাল বসেই নাই বেশিক্ষণ। ১০ মিনিটেই অ্যাডজরমেন্ট হইয়া গেছে। কেন কী জন্য?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না একটা ইয়েতে দেখলাম আপনাদের ২ জনের নাম বলতাছে আবার একজনের নাম নাই। আমি আবার মনে করলাম যে, উনি আবার কোনো কারণে অনুপস্থিত...
নিজামুল হক নাসিম : সেটা না উনারা দরখাস্ত করছে যে, দুই জাজ চেঞ্জ হইছে। এখন নতুন কইরা ট্রায়াল করা হউক। এটা রিজেক্ট করছি আমি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওইটা তো রাবিশ কথা আর কি। তারপর হচ্ছে জাজেসরা কারা থাকে না, যারা অ্যাপিলেট অথরিটি তারা তো কোথাও থাকে না। তারা তো শুধু কাগজে দেখে এবং তাদের হাতে ফাইনাল সে দেয়া হইছে। সো তাদের স্টেটমেন্টটা— তাদেরটাই ফাইনাল। এখানে যারা প্রতিটা সেশনে উপস্থিত থাকার পরেও যে অপিনিয়নটা দিবে, যে কনক্লুশনটা দিবে, উপরের ওনারা ডিসাইড করবে কাগজ দেখে। সো, এটা একটা প্রসেস। এটা একটা ট্রাইব্যুনাল শুনে নাই দেখে এটা বাদ। একই রকম—সিমিলার ইয়া করছে। এটা বাদ। ইন্টারেস্টিং কিন্তু ইটা আনঅ্যাক্সেপ্টেবল—এটা হয় না। একটা ইনস্টিটিউশনাল মেমরির ব্যাপার আছে আর কি। আর সব রিলিভ্যান্ট অংশটুকু তো ইয়ে করা আছে, মানে সবই তো ডকুমেন্টে আছে। আপনার এই আওয়ারটা হলো ইমপোর্টেন্ট আওয়ার। আপনার প্রেশার তো—হাইপ্রেশার কি ধরা পড়ছিল, নাকি আপনাকে ইয়ে হিসাবে দিছে... ওই সিএনএনের কোনো ওই খবর চেক করতে পারছিলেন আর...
নিজামুল হক নাসিম : না আর পাই নাই। কালকে পর্যন্ত খবর পাই নাই। আজকে আর জিজ্ঞাস করতে পারি নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : খবর থকালে তো হয়তো, সে হয়তোবা জানাবে। এখন তাদের জানানোর কথা? নাকি আপনাদের... এটা কোন কমিউনিকেশনটা কার পক্ষ থেকে আসবে রেসপন্স? এটা কী দেখছি... বিচারপতি নিয়োগ করতে আইন। হেলথওয়াইজ আমি একটু কনসার্ন আছি আর কি। এটা ঠিক আছে। এখনও পর্যন্ত আমার ফাইনাল রিপোর্টটা দেয়নি। আমি আশা করতেছি কিছু হবে না আর কি। আর আমার প্রবাবলি বাতের একটা সমস্যা হচ্ছে বলে আমার ধারণা হচ্ছে। এটা আছে ১৩ তারিখে। মানে ব্যথা হচ্ছে এবং ব্যথাগুলা ইনডিকেট করে বাত। এবং এটা কি ওজন বেশি আছে বা এইজন্য কি না কে জানে? বাট... আরেকটা হচ্ছে যে, মালুম ভাই আমাদের রিকোয়েস্ট করছে কয়েকটা ছেলেমেয়ে দিয়ে দেয়ার জন্য। যেগুলো ওনারা ওই সিজারলিস্টগুলো অ্যাটলিস্ট গোলাম আযমের ক্ষেত্রে এগুলা চেক করা আর কি। কারণ ওনার এতগুলো ডকুমেন্ট পড়ার মতো বা এগুলাকে... উনি আমাকে সাজেস্ট করেছেন যে, লিবারেশন ওয়ার মিউজিয়ামে যারা কাজ করে, তাদের মধ্যে থেকে বাছাই করে নেন। যেহেতু তাদের সাথে আমাদের ওইভাবে সরাসরি যোগাযোগটা নেই ২-১ ছাড়া। এবং আমরা যদি কাউরে আমরা তো এ রকম সজীব-মহসিনার মতো মানুষরেই দিব, যাদের আমরা যাচাই-বাছাই করা আছে এবং আমরা শিওর আসলে।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : উই টেক ইট ভেরি সিরিয়াসলি যে, আমরা এমন কাউকে দিব না যে যার ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত না আর কি। সো ইভেন হটা মানে একদিক থেকে এটা খুব সিনোরিটিভ একটা কাজ হবে আর কি। যে প্রসিকিউশন এবং ডিফেন্সের এ কেসের সমস্ত কাগজপত্র যারা দেখবে বা অ্যাক্সেস থাকতে পারে, সেই চেকিংটা আর কি। ওনারা কি লিস্ট-টিস্ট করবে সেগুলা আর কি। এইটা নিয়া আজকে রাত্রে হয়তোবা একটু কথা বলতে হবে আমাদের ভেতরে। আমরা এটা নিয়ে খুব বেশি ইয়ে না আর কি... কমফোর্টেবল না, কারণ উনাদের ওইখানে যারা আছেন তারা যে কী করতেছে, সেটা নিয়ে আমর কিছু ধারণা আছে, কিন্তু পুরাপুরি ধারণা নাই। তারা কখনোই আমাদের সাথে ঠিক ওইভাবে... মফিদুল ভাইয়েরা যেভাবেই হোক না কেন, উনারা হয়তো মনে করে উনারা বেশি কাজ করতাছেন, গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতাছেন, যেটা আমাদেরকে না জানালেও চলে। আমরাও আসলে জানি না, উনারা আসলে কী কাজ করতাছেন। তাই কোনো ধরনের, মানে বড় ধরনের কোনো ইন্টারেকশন নাই আর কি।
সো... এইটাও আমি খুব বেশি ইয়ে না আর কি। মোটামুটি আনকমফোর্ট্যাবল আর কি। সো... এখনও পর্যন্ত আমরা কাউকে ডেজিগনাইট করি নাই আর কি, যে কাজটা করতে পারে আর কি।
আর হলো, ৩ নম্বর হচ্ছে যে আজকে আমি একটা মেইল পাইছি। আমার কাছে খুব অদ্ভুত লাগছে মেইলটা। শিশির মনির নামে এক লোক আমাকে মেইল দিছে। আপনাকে মেইলটা আমি ফরোয়ার্ড কইরা দিছি এখনই। সে বলতাছে, সে সুপ্রিমকোর্টের ল’ইয়ার।
নিজামুল হক নাসিম : কী?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সে বলতাছে, সে সুপ্রিমকোর্টের ল’ইয়ার।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সে বলতাছে, আই হ্যাভ কাম টু নো অ্যাবাউট ইউ অ্যান্ড ইয়োর অ্যাক্টিভিটিস ফ্রম ডিফরেন্ট সোর্সেস স্পেশালি ফ্রম ইন্টারনেট... এটা খুবই ডিফিকাল্ট—মানে আমার সম্পর্কে ইন্টারনেট থেকে জানা খুবই কঠিন ব্যাপার...। সার্টেনলি অ্যাজ এ বাংলাদেশী আই ফিল প্রাউড অব ইওর কন্ট্রিবিউশন ন্যাশনাল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইস্যুস স্পেশিয়ালি ওয়ার ক্রাইম বিডি। আই লিসেন টু ইয়োর ইন্টারভিউ ব্রডকাস্টিং ইন বিবিসি অন দ্য কনস্টিটিউশন অব দ্য ওয়ার ক্রাইম সেকেন্ড ট্রাইব্যুনাল ইন বিডি। ক্যান ইউ প্লিজ লেট মি নো ইওর পার্সোন্যাল ডিটেইল, ফোন নম্বর, অ্যাডরেস অ্যাজ এ ডিম পারপাস সো দ্যাট আই ক্যান রিচ ইউ অ্যাট ইউ পারসোন্যালি। আই লুক ফরওয়ার্ড ফর ইয়োর রিপ্লাই। রিগার্ডস... শিশির মনির।
নিজামুল হক নাসিম : ও তো জামাতের ল’ইয়ার।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : চিনেন আপনে তারে?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ!
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা..., তারপরে আমি রায়হানরে এইটা পাঠাইছি। যে রায়হান দেখেন এটা এ রকম একটা মেইল। এই লোক কে, এটা একটু খোঁজ নেন। রায়হান আমারে বলছে যে, আমি খোঁজ লাগাইছি। রায়হান তখন সাথে সাথে তার ফেসবুক থেকে সে খোঁজখবর করল আর কি...। রায়হানের মেসেজ হচ্ছে, হি সিমস টু বি লিঙ্কড টু দ্য ছাত্রশিবির ঢাকা সিটি সাউথ অ্যান্ড হি ইজ ফ্রেন্ড উইথ দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, এবং ওয়ান রিয়াজুস সালেহিন ক্যাডার দ্যাট আই পারসোন্যালি নো। অর্থাত্ ওর সাথে যারা লিংক করা আছে, তার মাঝখানে থেকে দেখে রায়হান এইটা চিনছে। তারপরেও ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে যে, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক সেন্টারের একটা সার্টিফিকেট দেয়া আছে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সম্পর্কে। সেটাও আপনারে আমি ফরোয়ার্ড কইরা দিতাছি। তো, আপনি তারে আগে থেইকাই চিনেন বলতাছেন?
নিজামুল হক নাসিম : চিনি, হ্যাঁ...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমার কাছে খুব অদ্ভুত লাগছে যে, সে আমারে মেইলে... আমার ওয়াই মেইল আপনি পাইছেন... সারাদুনিয়ার মানুষ এখন মেইলে যোগযোগ করে, তাই কারও ঠিকানা-ঠুকানা কারোরই জানা দরকার পড়ে না এখন আর। এইটা আমার কাছে খুবই আশ্চর্য লাগছে আর কি। কারণ এইটার তো দরকার পড়ে না আর কি। এইটা আমি আর এখন রিপ্লাই করব না চিন্তা করছি। কার সাথে কাজ করে এরা?
নিজামুল হক নাসিম : ওই তো তাজুলরা আছে না, ওই টিমেই...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ও আচ্ছা আচ্ছা। তাজুলদের টিমে আছে, ঠিক আছে। তাইলে তো রায়হানের যে সার্চ এবং আপনি তো তারে চিনেনই আর কি—
নিজামুল হক নাসিম : হু।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি পাঠাইছি আপনারে তার মেইলটা, এছাড়া আর কোনো খবর নাই। তো যা-ই হোক, আমরা নিজেরা আমি আর রায়হান আলোচনায় বসতেছি। রায়হান সেপ্টেম্বরের পর থেকে একটু বেশি সময় দিবে, সো... আমরা মানে ইনফ্যাক্ট আপনার একটা স্কেচ তৈরি করে দেয়ার কথা চিন্তা করতেছি আমরা নিজেরা। এটা... দেয়া হবে মূলত উদ্দেশ্য হলো—আপনাকে, যে হোল আউটলাইনটা আমরা যেভাবে দেখি—একটু ইয়ে করা দেয়া আর কি আপনাকে। অলমোস্ট স্ট্রাকচারটা তৈরি করা আর কি। এটা নিয়ে একটু গবেষণা করা একটু দেখা।

সনজিবরা (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আনোয়ার হোসেনের ছেলে) তো একটু করে আবার কাজ শুরু করছে—ব্যস্ততার দিকে আবার আসছে বোধহয় আমাদের দিকে। মোহসিনা বোধহয় জয়েন করেছে দিল্লি ইয়াতে মোস্ট লাইকলি, এইটা ভালো। আর সনজিব তো তার টিচিংটা নিয়েই আছে। তারা ঢাকা ইউনিভার্সিটির বাড়িঘর ছেড়ে দিয়ে ইয়েতে চলে গ্যাছে...

নিজামুল হক নাসিম : জাহাঙ্গীরনগরে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ।
নিজামুল হক নাসিম : ঢাকা ইউনিভার্সিটির বাড়িঘর ছাড়াডা কি ঠিক হইছে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি মনে করি না। আই ওয়াজ ভেরি সারপ্রাইজড, আমাকে যখন রায়হান বলল যে, বাড়ি ছেড়ে দিছে, আমি বলছি যে, হায় হায় এটা কি করছে! উনি তো উনার ঢাকা ইউনিভার্সিটির মূল চাকুরিটা তো ছাড়েন নাই?
নিজামুল হক নাসিম : না
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আর উনি যে প্রফেসর তো, এইটা তো সে সেনসেটিভ পজিশন একেবারে। উনি যে অ্যাপ্লিকেশন করছেন, সেইটা ছুটি হিসেবে থাকবে। তো বাড়ি ছেড়ে দেয়ার তো দরকার পড়ে না। অথবা উনি চিন্তা করছেন যে, দুইটা বাড়ি ধরে রাখা ইয়ের দিক থেকে ঠিক না। দুইটা আসলে ডিফরেন্ট শহর। ওইখানে থেকে এখানে এসে কাজ করা... জাহাঙ্গীরনগর থেকে, বাট এনিওয়ে উই আর সারপ্রাইজড যে বাড়িটা ছেড়ে দিয়েছেন—মানে উনি খুব বেশি কারেক্ট থাকতে চাচ্ছেন আর কি। অথবা এ ধরনের কোনো সিস্টেম আছে যে, একটা মাত্র বাড়ি রাখতে পারবেন আপনি তাই না, আপনার কি ধারণা?... তো ঠিক আছে আপনি রেস্ট নেন, রাখি।
নিজামুল হক নাসিম : হুম, আচ্ছা রাখি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, আজকে আপনার অনেক ইয়ে গেছে আর কি। আর অন্য কোনো খবর থাকলে পরে জানাব। ওকে ঠিক আছে...
নিজামুল হক নাসিম : ওকে, ঠিক আছে রাখি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তো কালকে কখন পাবেন আপনি রিপোর্টটা?
নিজামুল হক নাসিম : কালকে বিকেলেই তো দেয়ার কথা। রিপোর্ট নিয়া সন্ধ্যার পর ডাক্তার দেখাইয়া ফিরব।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তাইলে তো অনেক রাত হয়ে যাবে মনে হয়।
নিজামুল হক নাসিম : না হবে না, মনে হয় না। দেখা যাক, বাকি আল্লাহ ভরসা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা আচ্ছা, তাইলে রাখি।
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা।

সাহারাকে সরিয়ে দেয়াটা গুড নিউজ আসলে-----জিয়াউদ্দিন


কথোপকথন ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২

নিজামুল হক নাসিম : হ্যালো...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যালো, হ্যাঁ কেমন আছেন ?
নিজামুল হক নাসিম : আছি ভালোই। আপনি কেমন আছেন কন দেহি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আছি, শরীরটা ঠিক আছে।
নিজামুল হক নাসিম : ভালো খবর বেশ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : টিক আছে, গুড, সমস্যা নাই।
নিজামুল হক নাসিম : আমি এই পাঁচ মিনিট আগে আইসা বসছি। আমি একটু বায়রায় ছিলাম।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা। আজকে তো মনে হয় একটু পজিটিভ নিউজ মনে হচ্ছে আপনাদের দিক থেকেও, আমাদের মানে, সার্বিক বিবেচনাতে।
নিজামুল হক নাসিম : কী?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই যে সাহারা খাতুনকে যে সরাইছে। It’s a very good news আসলে এবং যারে দিছে, তাদের সাথে অনেকেরই এক্সেস ভালো আছে। কাজেই, এবং উনি তো ইনফরমালি অলরেডি ICT’র contact person ছিলেনই। so… এইটা পজিটিভ হবে। অ্যাট লিস্ট প্রসিকিউটরদের, মানে যারা, ওই আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ টাইপের যারা, যারা চিপে ধরেছিল ICT-কে, এটা হোম মিনিস্টার আর ছোট আইনমন্ত্রীর যৌথ প্রচেষ্টা।
নিজামুল হক নাসিম : হুম, হুম... (হাসি)
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সেইটা দেরি হয়ে গেছে যদিও, এটা অনেকটা আগে হইলে ভালো ছিল। বাট, এই লাস্ট মোমেন্টে যতটুকু করা যায় অতটুকু হবে আর কি, it is good. মানে I think it’s very good news. আমি প্রিটি শিওর যে মালুম ভাই এবং অন্যরা অনেক হ্যাপি হবে আজকে।
নিজামুল হক নাসিম : ভালো মতন আরামে ঘুমাইবে, আরামে ঘুমাইবে, হা..হা...হা... (হাসি)
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হা...হা...হা... (হাসি)। হ্যাঁ মানে এক্ষুনি গাড়ি টাইনা নেই, এক্ষুনি এইটা করে, এক্ষুনি ওইটা করে। এই টাইপের এদের যে কিছু কিছু প্রসিকিউটর যারা ছিল, যারা ওই আওয়ামী টাইপের আইনজীবীর কনটেক্সট থেকে... ফলে দু’জনই আওয়ামী আইনজীবীর লোক আর কি—সাহারা খাতুন আর ছোট মন্ত্রী। অন্ততপক্ষে এখন একটাই ছোট মন্ত্রী থাকবে তার যে বড় ক্ষমতা আছে এটা রিয়েল ক্ষমতাটা হাত থেকে ছুটে গেল আর কি। It’s a very good news আর কি! ICT’র জন্য ভালো নিউজ আর কি। দেখা যাক এটাকে কীভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে আরকি, এবং কী হয়। আর ওইদিকে ইনু ভাইকে খুবই important একটা দায়িত্ব দিছে information-এ।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : উনাকে দিয়ে দুইটা কাজ করাইতে হবে। একটা হচ্ছে ওই information-এর উপরে বা ওয়েবের উপরে একটা policy government খুবই ইদানীং একটা তৈরি করতেছিল, যেটা নিয়ে আমরা খুবই worried ছিলাম সেইটা। প্লাস হল information-কে information ministry-টা সবচেয়ে কম ইয়ে করছে আরকি, ICT’র পক্ষে প্রচারণার জন্য, সবচেয়ে কম ব্যবহৃত হইছে এবং government কিছুই কাজ করে নাই। মানে law-এর কাজ, কিন্তু এটার প্রচারণার কাজটা তো আসলে information-এর। কাজেই এইটা এই দুটো কাজ ইনু ভাইরে দিয়া—মানে উনারে ঠিকমত যদি বুঝানো যায় যে, এটা কত important, এবং এটা উনি বুঝবে। উনি যে স্টেটমেন্ট করতেছে সেইগুলা থেকে... আর উনি জানে এইসবগুলা, এই ইস্যুগুলা জানে। বিভিন্ন ব্যাপারে উনার সাথে আমরা ICT-তে আমাদের concern-গুলা শেয়ার করছি, আমিও বিভিন্ন সময় শেয়ার করছি। কাজেই মানে He is aware of it এবং এটাও ভালো হইছে। কাজেই এটাতে আমি মোটামুটি হ্যাপিই আছি আসলে। দুইটাই গুড নিউজ। এবং দুইটাই খুব key ministry দেয়া হইছে। আমি মনে করেছি একবার ডাক-টাক টাইপের কিছু একটা দিয়ে দিবে আর কি। so information দিয়েটা ভালো করছে। আর সবচেয়ে ভালো করছে যে, মহিউদ্দীন খান আলমগীরকে দিছে এই যে হোমটা, very good news। আর এর মাঝখানে তো বোধ হয় মালুম ভাইর সাথে আপনার কথা হইছে, তাই না?
নিজামুল হক নাসিম : আমার?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ।
নিজামুল হক নাসিম : ওই তো ওই বুধবার না বৃহস্পতিবার দিন হইছে কোর্টে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কিন্তু উনার তো ফাঁকে একবার আপনার সাথে কথা বলার কথা আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : না, আমার লগে এই পর্যন্ত কোনো কথা হয় নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ফোনে কথা হয়নি, না?
নিজামুল হক নাসিম : না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা উনি কতগুলা real valid question raise করছে আর কি। উনি যেটা বলল (দাঁড়ান আমার notes-টা আমি বের করি) উনি বলেছে যে, উনার মেইন concern শফিউল্লাহ সম্পর্কে হচ্ছে, আপনি যেটা বলেছেন সেটা উনি agree করে এবং সবকিছু করে আর কি। কিন্তু, শফিউল্লাহ সাহেব কিন্তু আসলে মনে রাখতে পারেন না কথাবার্তা এবং উনার বোধহয় এই টাইপের কিছু একটা সমস্যা আছে। সেকেন্ড হচ্ছে উনি আমাদের একটা major concern আছে যেটা, এটাকে উনি যে কথাটা উনি বলতে পারবেন মূলত সেগুলো...
আচ্ছা। সেকেন্ড পয়েন্ট হচ্ছে যে, যেসব ইস্যুগুলা এখানে আপনি বলছেন যে এগুলো হলো cover হয়নি, সেগুলো কিন্তু আসলে আমরা historical fact হিসেবে নিতে পারব eventually.
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, তা পারব...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : More importantly যেটা হচ্ছে, সেটা হচ্ছে যে উনি দেখা গেল যে, উনাকে উনি control করতে পারবে না। অর্থাত্ সুলতানা আপাকে যেভাবে সমস্ত কিছু তথ্য দেয়ার পরে সুলতানা আপাকে কিছুই বলা লাগে নাই, মানে হইছে... good number of আলোচনা হইছে, কিন্তু উনাকে শুধু এগুলো দিয়ে দেয়ার পরে উনি বুঝে গেছে যে, কোন জিনিস্টা emphasize করতে হবে এবং কী করতে হবে না করতে হবে। কিন্তু এই ধরনের জেনারেল সাহেবের উপরে উনার কোনো ইয়ে নাই। আর জেনারেল সাহেবকে বললে, জেনারেল সাহেব মনে রাখতেছে না। এটা মনে হয় এর মতো problem হইছে কিছু চিফ প্রসিকিউটরের মতো। so তারপর উনাকে হলে উনি control করতে পারবে না। প্লাস হলো যে, উনি দেখা যায় কী যে এখনও উনার ভেতরে ওই কমান্ডারের একটা attitude আছে। যে উনি এর আগে যুদ্ধ করছে, আর্মিরা যুদ্ধ করছে এই টাইপের। এই অংশগুলা যুদ্ধের দিকে উনি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি আছে। যে কারণে মালুম ভাই যেটা মনে করে যে, আমরা তো আসলে war issue-টাকে ওই সেন্সে avoid করতে চাই, কারণ উনার মুখ দিয়া যদি এখানে যদি দেখাই যে, এখানে একটা real যুদ্ধ হইছে, এবং এটা পাকিস্তানি আর্মিরা এইটার main protagonist এবং এরা যারা ছিল তারা কিছু না আসলে, মানে বা এরা হলো..., মানে ওই জিনিসটাকে establish করতে যদি পারে তারা আর কি, উনার মুখ দিয়া, যেটা mainly যেটা হইছে সেটা হলো যুদ্ধ, যেটা আসলে আমরা খুব একটা বেশি comfortable হব না, এটা মালুম জানে এবং ঐটা হলো উনার major concern, ওইটা আমাদেরও concern... but আমরা এখানে যুদ্ধ নিয়ে খুব বেশি interested না। আমরা হচ্ছে যে, যেসব লোকরা তাদের একাত্তরের criminal activity নিয়ে really what we are interested in.
ওইটার wider perspective কী ছিল, তখন বড় একটা যুদ্ধ হচ্ছিল, তার ভেতরে তারা ছোট ছোট player ছিল, কী কী ছিল না ছিল। সেগুলো কিন্তু আসলে মানে বড় যুদ্ধ বড় প্রেক্ষিতটা কিন্তু important না। এবং আমরা এইটাকে ঠিক আপনার জাজমেন্ট লেখার সময় হয়তোবা কোন একপর্যায়ে এই liberation war-এর কথা তো আসবেই, কিন্তু ওই সেন্সে একটা war তো চলতেছিল। কিন্তু war আর crime-এর ভেতরে যে difference মানে যে তফাতটা আছে, যেই জিনিসটা তা হলো আমাদের মেইন concern। কাজেই আমরা war-এর উপরে emphasize দিতে চাচ্ছি না, যেহেতু আমরা আসলে war crime-টাকে খুবই delibarately মানে legally, correct legal ভিউতে এনে আমরা exclude করে রাখছি এবং আমরা কাউরেই এদেরকে war crime-এর কাউকে কোনো charge করা হয়নি আর কি। এবং কয়েকবার validly charge করা হয়নি। তো সেই কারণেই war-এর issue-গুলা উনি হঠাত্ উত্তেজিত হয়ে যেতে পারে আর কি এটা মালুম ভাইর ধারণা। যে উনি ওই জিনিসগুলা একটু জোরেসোরে বলে দিতে চাইতে পারে আর কি। আর সার্বিকভাবে উনাকে যেহেতু উনি বলতেছেন আমি যে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না এইটা, এইটা হচ্ছে উনার main concern। এখন এইটার পরিপ্রেক্ষিতে উনি আমাদেরকে বলছে যে, আপনারা একটু চিন্তা করেন যে, এইটা কি মানে আপনারা যদি বলেন বা যদি really প্রয়োজন হয়, যদি আমরা এটাকে অন্য otherwise কোনো cover করতে না পারি এইসব ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো, তাহলে হয়তো বা উনাকে আনতে যদি হয়, আপনারা বলেন তাহলে আমরা হয়তো বা উনাকে আনব। কিন্তু মানে যদি না হয়, তাহলেই সবচেয়ে ভালো হয় আর কি। কারণ উনাকে উনি বলতেছে যে, আমরা বরং উনাকে যদি আমি না আনি, তাহলে সেক্টর কমান্ডার ফোরামে অন্যান্য যারা আছে তাদেরকে বুঝানো যাবে। including খন্দকার সাহেবকে যে কেন উনাকে আনা হয়নি আর কি। এবং সেটা মালুম বললেন আমি ওইটা ম্যানেজ করতে পারব। কিন্তু এনে ফেললে তখন উনাকে আমি এভাবে ম্যানেজ যদি না করতে পারি, তিনি যদিও উনার সাথে উনি বলতেছে যে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো এবং ইত্যাদি ইত্যাদি, কিন্তু উনি উনার ওই কমান্ডারের ভাবটা থেকে যাবে আর কি এবং থেকে যেতে পারে এবং এটা কী জিনিস যে কী বলবে শেষকালে, তখন দেখা গেল কী যে আমরা মানে কোনো খুব বেশি লাভ হবে না, কিন্তু potential প্রবলেমে পড়ে যেতে পারি। এইটা হচ্ছে উনার মেইন concern, কিন্তু এইটা মালুম ভাইর গতকাল আপনাকে জানানোর কথা; আমি তো কালকে গতকালের কথা, আমি তাকে বললাম যে, আমার সাথে আপনার যোগাযোগ হবে না, আপনি এটা উনাকে মেসেজটা দিয়ে দিয়েন। তা উনি বোধ হয় সময়-সুযোগ পাইনি আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : না সময় আছে, পরেও দেতে পারবে, অসুবিধা নেই, সেটা ঠিক আছে। আচ্ছা, কিন্তু আমার মনে হয় কি জানেন, আমরা তো এই ফ্যাক্টটা নেতে পারি.. জয়দেবপুর পার্কটা উনি না অন্য কোনো উইটনেসের মুখ দিয়া, হারুন-মারুন এরা সাক্ষী আছে কিনা আমি জানি না, হারুন এখন যে ফোরামের সেক্রেটারি, এরা যদি আইসা কেউ বলে, এই একটা-দুইটা settle থাকলে খুব ভালো হতো।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : একটা-দুইটা জিনিস আমি চিন্তা করতেছি যে, আমি তো এখনো সাক্ষীগুলা পুরোটা দেখি নাই, দেখলে যেমন ধরেন কি যে মুনতাসির মামুন টাইপের উনাদেরকে দিয়া মানে রিএক্সামিনেশনের কিছু... যেগুলা গ্যাপ হইয়া গেছে সেগুলা কি আনা যায় কি না আর কি। এইটা আপনি দেখেন আর এইটা আপনি যেটা বলছেন যে আর কি আছে তা জানি না আমি, জিনিসপত্র আমার কাছে নাই, সো আই ডোন্ট নো এক্সাক্টলি আর কী আছে এবং এটা ডেফিনিটলি আমি আবার আলোচনা করব এবং মালুম ভাইও কিন্তু close করতেছে না আলোচনাতে, উনি just বলতেছে যে এটা উনার concern-গুলো উনি raise করতেছে, যে উনি বলতেছে...
নিজামুল হক নাসিম : Genuine concern, concern is genuine.
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওইটাই আমি বলছি যে, আপনি যেটা বললেন, সেটা কিন্তু আমাদেরও concern। সেদিন পরশুদিন খুবই ভালো লাগছে আমি রায়হানকেও বলছি আর কি, যে মালুম ভাই এতদিন পরে আমাদের তো কী রকম একটা ধারণা ছিল আর কি, কিন্তু মালুম ভাই এখন আমি বুঝছি, যে মালুম ভাই কন্তু ICT’র আইনটা এবং আমাদের এই whole প্রসিকিউশনের strategy-টা really বুঝে গেছে। মানে এইটা even মানে really really উনি appreciate করছে। উনি কতটুকু communicate করতে পারতেছে that is different, কিন্তু উনি বুঝে গেছে যে, কোন জিনিসটা এখানে থাকা দরকার আর কোন জিনিসটা থাকা দরকার না এবং কোন জিনিসটা has to be avoided at all cost. So আমি very happy যে, এই জিনিসটা উনাদেরকে বুঝাইতে গিয়েও আমাদেরকে অনেক পরিশ্রম করতে হইছে। যে এই যুদ্ধাপরাধ যুদ্ধাপরাধ থেকে সড়াই নিয়ে আসতে। So উনি really এটা বুঝছে এবং এই যুদ্ধটাকে আমরা আসলে ওইভাবে অত highlight করতে চাই না, at least serious প্রসিকিউশন উইটনেসের মাধ্যমে আর কি এবং এটা উনি যেটা বলতেছে যে, এই লোকটা তো আসলে মানে আমরা, আমারাই তো control করতে পারব না। কাজেই... তারে না আনাটাই ভালো হবে। So, এটা যেটা বললেন যে, আর জানি না কী আছে না আছে, তো সেটা নিয়ে আমরা কথা বলে নেব আর কি। ওই যে ১৯ মার্চ-টার্চের ঘটনাগুলাকে আর কীভাবে আনা যায়?
নিজামুল হক নাসিম : এইটা আর কি,আমি চাই এইটা, একটা সেশন-দুই সেশন আনলেও জাজমেন্টে আমাদের জন্য সুবিধা হইত আরকি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, সেইটা ঠিক আছে সেটা আমি উনাকেও বলছি আর কি, আমি আলোচনা করছি। আমি দেখেন যে, আমিও চাই ব্যাক্তিগতভাবে যে judges-রা যেন জুডিশিয়াল নোটিশ খুব minimum নেক আর কি। minimum নেক in the since, আইন যেভাবে বলা আছে উনারা পুরাটাই জুডিশিয়াল নোটিশে নিতে পারে, কিন্তু যদি প্রসিকিউশন witness বা কোন witness-রা যদি বলে তাহলে উনাদের ওই কাজটা easy হয়ে যাই আর কি। তাহলে উনারা ওইটাকেই রেফারড দিয়েই বলল আর কি আসলে, আর না হলে তো তারা পারবেই, যেটা করা দরকার সেটা তারা নিবেও। কিন্তু সে কারণেই আমি মালুম ভাইকে বলছি যে, নাসিম ভাইয়ের যে major concern-টা যে এই story-গুলার এই অংশগুলা যদি আসে তাহলে উনারা তখন জাজমেন্টে আনতে সুবিধা হয় আর কি। আর তখন ওইটা বলা লাগে না যে আমি জুডিশিয়াল নোটিশ দিতেছি
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, এইটা আর তখন বলা লাগে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা উনিও বুঝছে, উনারা ওই জিনিস নিয়ে শুধু without resorting to judicial notice-এর provision-টা আর কি। এইটা উনিও বুঝছে, কিন্তু উনি এখন এই যে, মালুম ভাই বলল যে চিন্তা করেন যে কোন দিকটা মানে আমরাও খুবই concern আছি আসলে এবং আমি দেখছি আপনিও এই একই জিনিসে concern যে, উনারে দিলে এই সামাল দেয়া যাবে না আর কি এবং উনার মতো একটা হেভিওয়েট উইটনেস যদি, একটু এদিক-সেদিক বলে ফেলে আর কি সেটাকে তখন আবার ম্যানেজ করা কঠিন হয়ে যাবে।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ.. সে তো বটেই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এবং তাছাড়া more importantly উনি যেটা বলছে, সেই information-টা আমাদের কাছে ছিল না। উনি কিন্তু বলছে যে, তার আসলে এই ইয়ে শুরু হয়ে গেছে আর কি। মানে অনেক কথাই উনি ঠিকমত মনে রাখতে পারেন না। even উনাকে, উনার সাথে কিন্তু চারবার exclusive কথা হইছে। এবং উনি বলছে দরকার হয়, আমি আপনাকে video-গুলো দিয়ে দিব, video করে দিব যে, আপনি কী কী বলবেন, কী ইস্যুগুলা থাকবে সেগুলা। উনি বলছেন (শফিউল্লাহ) যে, তুমি যে video করে যে দিবা, আমি তো এগুলা মনে রাখতে পারব না। So তখন তো আসলে মানে...
নিজামুল হক নাসিম : হুম..। তবে আরেকটা সুযোগ আছে। মুনতাসির মামুন তো আসতেছে ঐতিহাসিক হিসেবে, তারে দিয়া মার্চের ১৯ তারিখের এই ঘটনাটা নিয়া আসতে পারে রি-এক্সামিনেশনে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, রিএক্সামিনেশনে। সেটা হচ্ছে একটা মানে এই জন্যই আমি মালুম ভাইকে সাজেস্ট করছি ইতিমধ্যে যে, হয় কোনো কোনো এরিয়া বাদ গেছে। as historian উনি কিন্তু আর উনার সবকিছুর উপরেই লেখা আছে। কাজেই উনাকে মানে উনাকে as a authoritative witness আপনি accept করতে পারবেন। ট্রাইব্যুনাল মানে easily can accept him as a athority of 1971. So সেই হিসাবে উনারে দিয়া যদি যেগুলা গ্যাপ থাকবে বড় পয়েন্টগুলা থাকবে সেগুলা আমরা cover করাই নিতে পারব। উনাকে দিয়ে এইগুলারে আমরা উনারা ঠিকমত মানে যেভাবে চাই মানে যেভাবে দরকার সেভাবে এটাকে হতে পারে। এটা already আমি বলছি। এটা হলো back up plan হিসেবে আছে। যেমন মুনতাসির মামুন হচ্ছে যখন সবার শেষের দিকে তখন তারে নিয়াইসা যেখানে গ্যাপ আছে সেইখানে আবার if necessary এখন তো ক্রস এক্সামিনেশন আসবে যেহেতু incomplete যে অংশটুকু আছে। দরকার হয় রিএক্সামিনেশনের জন্য তারে ডাকা হইতে পারে। এইটা আপনার এই গ্যাপের ভেতরে আপনার সাথে কথা বলার কথা ছিল উনার। কারণ উনি হইয়তবা সুযোগ পায়নি আর কি। কারণ উনাদের আসলে ইয়ের ব্যাপারে মিটিং করার কথা ছিল মানে ওই মীর কাশেমের ব্যাপারে, তা... এইটা হচ্ছে শুক্রবারের কথা ছিল।
নিজামুল হক নাসিম : gxi Kv‡k‡gi †Zv AvR‡K B›Uv‡iv‡Mkb nB‡Q
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা কি, আপনাদের ক্যাডম্যান ম্যাডম্যান চারিদিকে ছড়াই দিতেছে যে ইন্টারোগেশনের বিষয়টা, এই কমিউনিকেশনটা করে কীভাবে through register না?
নিজামুল হক নাসিম : না এইটা register না, এইটা করে investigation authority যারা আছে তারা, দু’দিন আগে তারা জানায় যে, আমরা তাকে interrogate করব আপনারা থাকবেন
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা কি through register or not through register
নিজামুল হক নাসিম : No no no, not through register
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওরা তো জোরেশোরে বলতেছে ওদেরকে জানাই নাই। আর হান্নান সাহেব আজকে রিপোর্ট করতেছে, বলতেছে যে, এটা আজকে রেজিস্টারকে জানানো হয়েছে, রেজিস্টারের জানানোর কথা। আবার তাতেই আমি confused যে কোনটা আসলে...
নিজামুল হক নাসিম : হান্নান ভুল করছে তাইলে। এটা রেজিস্টারকে জানাবে না, তারা জানাবে স্ট্রেইট ল’ইয়ারকে
আহমদ জিয়াউদ্দিন : অর্ডার তো এরকমই ছিল বোধ হয়, মানে ডিফেন্স lawer কে notify করতে হবে, মানে Concern Lawyer কে
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, Notify টেলিফোনে করলেও চলে এটা কোনো matter না
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, তারা এখন এই চিত্কার করতেছে দেখে, ঐ বাকি ক্যাডম্যান থেকে শুরু করে বাকিরা যারা আছে তারাও already তাদের site এ লিখছে যে, এইগুলা... তিনটা জিনিস, তাদের কে না জানায়ে ...
নিজামুল হক নাসিম : What is the purpose of this, purpose is simple that they should look after the matter so that he is not tortured or threat is not given. যদি তারা কেউ threat এর allegation না আনে, তাহলে এগুলা তো meaningless.
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না মানে... ফানি জিনিসটা হচ্ছে যেটা সেটা হচ্ছে আইন is very clear. যে ঐখানে সে যা বলবে, কোনোটার কোনো evidentially value নাই এবং ট্রাইব্যুনালে কোনোটাই এটা submit করা যাবে না যে, বলবে যে সে ওই খানেই এইটা বলছে। সেই বলে তো আপনি এটাতে submit করা যাবে না as an evidence. So কাজেই এইটা নাই আর কি আর second objection দিছি যেটা সেটা হলো যে এই যে, ওই সময়ে তাদের যে প্রশ্ন করা হইছে মানে প্রশ্নগুলাও তাদের জানানো হয়নি যে কি তাকে প্রশ্ন করা হবে।
নিজামুল হক নাসিম : না তারা জানাবে না কোনো সময়ই, never, they should never
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি কই, কোনো দেশের interrogation এর সময়ে আগাম প্রশ্ন accused কে দিয়ে দেয়া হয় যে, তোমাকে এই এই প্রশ্ন করা হইব।, তুমি ঘরে থেকে তৈরী হইয়া আইস আর কি। এটা হইতেই পারে না। এবং থার্ড যেটা বলছে সেটা হল যে এইটা হচ্ছে একটা intimidation এর একটা scope তৈরী করার জন্য কাউকে জানানো হয় নি। যদিও তাজুল কইছে যে তার family রা জানে, আর সে বলছে যে family কে notification করা টা is not necessarily যে এটা lawer কে জানানো। আর তার ছেলে বলেছে, কাশেমের ছেলে যে ব্যারিস্টার একজন আছে নাকি, সে present their half a day রিপোর্টে সেটাই আসছে
নিজামুল হক নাসিম : হ্যা, তাইলে বলেন..
আহমদ জিয়াউদ্দিন : so আমার ধারণাতো তারা এটা automatic জানানোর কথা because এটাতো নতুন ঘটনা না এর আগে তো অনেক লোককেই জানানো হইছে এবং এই procedure টা
নিজামুল হক নাসিম : একত্রে খাইছে, বড় বড় মাছ দিয়ে ভাত খাওয়াইছে ঐ উকিলদেরকে investigator রা
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মানে লাঞ্চ ব্রেকে...। হ্যা, এইগুলার তো কাগজ বাইর হইয়া আসছে। এটা পাইবেন আপনি আর কি, রবিবারেই হইতবা petition পাইবেন আর কি যে, cotemptএর petition রেডি হইয়া গেছে already
নিজামুল হক নাসিম : cotempt কি জন্য ?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই যে আপনের অর্ডার violate করছে। যে, তাদেকে জানাইতে বলছে জানায় নাই তারা, এই জন্যে contempt। প্রসিকিশন থেকে বোধহয় সিমন ছিলেন মনে হয়, থাকার কথা ছিল। so এইটা আমি মালুমের সাথে কথা বলে নিব যে, আর কে কে সাড়্গী আছে না আছে বা কি করা যায় আর কি। তো মালুম ইয়ে নিয়ে আসবে আর কি, ওই সিজার লিষ্টের witness দের কে শুরু করে দিবে। আর তার পরপর করবে আর কি ওই সিরু মিয়ার ছোট্ট ছোট্ট নাকি witnesse আছে বলতেছে, উনি এটা দ্রম্নতই করতে চায়, মানে র্যাপিং আপ করতে চায়। তো এই খবরটা খুবই ভাল খবর এখন আমাদের এইটা net loss হয়ছে যে ঐ চক্রটা ভেঙে, যদি ভাঙা যাই আর কি। ICT’র ভিতরে যে হোম মিনিস্টার আর ছোট আইন মন্ত্রীর যে একটা click ছিল আর কি, একটা গ্যাঙ্গ ছিল, এইটাকে নিউট্রেলাইজ যদি করা যায়। মহিউদ্দীন খান আলমগীর, মানে শিক্ষিত মানুষ, এটা hopefully মানে এই process এ উনি আছে। আপনের কাছে আর কোন খবর আছে নাকি?
নিজামুল হক নাসিম : না, আমার কাছে আর কোন খবর নাই... (বড় নিশ্বাস)
আহমদ জিয়াউদ্দিন : Bangladesh24 এর এই ওয়েবসাইট টা এত দুর্বল হয়ে যাচ্ছে
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, আমাগো এদিকেও যে পাই না, আবার মাঝে-মধ্যে পাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : একটুই পাই না, একটু অন করা থাকলে এটা অফ হইয়া যাইতেছে time out হইয়া যাইতেছে খুবই বিরক্তিকর। এত শক্তিশালী একটা সংগঠন, তাদের পয়সা এত আছে, এইখানে তারা যে কি করতেছে কে জানে। আপনি বোধ হয় ওইটা দেখেন নাই বা government একটা খুব deadly পলিসি করতেছে আর কি, informatin এ। মানে প্রস্তাবিত online গণমাধ্যম পরিচালনা নীতিমালা। এটা আমি এখন আপনাকে পাঠাই। এটা আমরা really worried আর কি। এটা পাঠিয়ে দিতেছি আপনাকে। যে online মিডিয়া কিন্তু আসলে really main stream media হয়ে যাচ্ছে আসলে। মানে আমরা main stream নিউজ গুলা পড়তে পড়তে আমরা online। এবং ব্লগিংটা আসলে মেইন হয়ে যাচ্ছে। কাজেই সরকার যে আইনটা মানে..., এখানে ফানি লাগতেছে দুটো জিনিস কমেন্ট আছে এইখানে আবার ইনিশিয়াল কমেন্ট-এর পর আরও অনেক ডিটেইল কমেন্ট আছে একটা হচ্ছে যে, online এর নিয়মটাই হচ্ছে যে মোটামুটি যে কেউ কিছু একটা শুরু করে দিতে পারে। কিন্তু এইখানে আপনি যখন online এ একটা ওয়েবসাইট যখন তৈরি করেন, আপনি কিন্তু পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় সেই ওয়েব সাইটটাকে হোস্ট করতে পারেন অর্থাত্ কেউ একজন আপনার ওয়েব সাইটটা নিয়ে বসে আছে। তার সাইটে আপনার এটাকে হোস্ট করতে দিতেছে। এটাকে হোস্টিং বলে। তো এখন এরা বলতেছে এটা কিন্তু এতো ফ্রি যে, আপনার ইন্টারনেট থাকলে আপনি পৃথিবীর যে কোনো সাইটে যে কোনো দেশে যে কোনোভাবে যেতে পারেন আর কি। তো এখন এরা বলছে যে, এক হলো যে এইটা করতে গেলে আপনাকে পুরা মিডিয়ার যে আইন-কানুন আছে সেগুলা মানে ওই রকম কাছাকাছি আইন-কানুন ফলো করতে হবে, আপনাকে রেজিস্টার্ড কোম্পানি হতে হবে, আপনাকে সাংবাদিক হতে হবে, যে ওইখানে লিখতে গেলে আপনার সাংবাদিকের প্রোফেশনাল এইটা থাকতে হবে। এইটা আপনার পাঠাই, রায়হানরা খুবই worried আছে। so আমি তাদেরকে বলছি যে, আপনি আপনাকে যারা যে ব্যাপারে মানে..., সবকিছু এখন সংবাদের ভিতরে চলে আসে আর কি, আমরা যে বিভিন্ন কিছু শেয়ার করি ওয়েবসাইটে সেটাও কিন্তু সংবাদেও ভেতরে চলে আসে। কাজেই government ইচ্ছা করলে সব গুলাকেই বন্ধ করে দিতে পারে। মানে হয়তোবা তারা এইভাবে তারা ইচ্ছা করতেছে না কিন্তু দেখা যাবে যে যারা চাইবে তখন এটা বন্ধ করে দিতে পারে। so এইটা নিয়ে আমরা really মানে worried ব্যাপার একটা। so এইটা নাকি বেবি মওদুদ না কে জানে এইগুলা তারা আছে বা bdnews24 নাকি এটার পেছনে আছে। তারা চাইতেছে না যে অন্যান্য ছোটখাটোভাবে বেশকিছু ওয়েবসাইট ডেভেলপ করতেছে যেগুলো তাদেরকে compete করে আর কি। তারা competitor বাজার থেকে ভাগায় দিতে চাইতেছে আর কি মূলত এবং একটু দেইখেন যে, পরিমাণ ফিসের কথা বলা হয়ছে, সেই পরিমাণ ফিস দিয়া কোনো ইয়াং এন্ট্রাপেনার বা কেউই একজন, অনলাইন মিডিয়ায় পলিসি, আমি এই হেডলাইন এ দিতেছি...
নিজামুল হক নাসিম : আমি যেটা বলতে চাচ্ছি, আমি যদি একজনরে ম্যাসেজ পাঠাই এইটা তো মিডিয়ায় যাবে না। তো অসুবিধা কি, মিডিয়া control করুক ...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কিন্তু আপনি যদি একটা কমেন্ট করতেছেন, আপনি ম্যাসেজ পাঠাচ্ছেন পার্সোনাল ইমেইল-এ পাঠাচ্ছেন ঠিক আছে, কিন্তু আপনি যে রকম ধরেন—আমাদের আইসিএস-এর ক্ষেত্রে যে সাইট আমরা করছি আরকি ঠিক আছে, এই সাইটে আমরা কি করতেছি এটাকে কিন্তু এইটা টেকনিক্যালি এবং গুগোল এটাকে consider করে এটা মিডিয়া। কারণ আমরা এখানে তথ্যগুলাকে collect করে রাখতেছি। আপনি করতেছেন যেটা, আমরা কোনো কমেন্ট করে দিতেছি না, যেহেতু কমেন্ট-এ দেয়ার মতো আমাদের সময় নাই আর কি, কিন্তু আমরা যদি এর সাথে কমেন্টও দিয়ে দিতাম বা আমরা শুধু কমেন্টই দিতেছি না এই যে, আপনি যে ভিজিট করতেছেন আমাদের সাইটে আর্কাইভ আছে, আপনি যা বার বার দেখতেছেন, সেখান থেকে ইনফরমেশনগুলা নিয়ে আপনি রিইউজ করতেছেন যে, এইটা টেকনিক্যালি এর ভিতরে পরে, মিডিয়ার ভিতরে পরে।
নিজামুল হক নাসিম : এইগুলা মিডিয়ায় পড়বে না, এগুলা হেগোরে বুঝাইলে হয় না? এইডা মিডিয়ায় পড়বে না। মিডিয়া মানে শুধু অনলাইন নিউজ পেপার-এর মতো যেগুলা সেগুলাই মিডিয়া, এগুলা বুঝান যায়
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এখন এই নিউজ পেপার-এর ইয়েটাতো খুব ব্লগার হয়ে গেছে না, আপনি নিউজ পেপারের নিউজ সাইট, যেমন আমাদের সাইটেও তো নিউজ আছে কিন্তু আমরা অন্যের নিউজ শুধু এনে দিতেছি ঠিক আছে। আমরা নিউজ কিন্তু ওই সেন্সে কালেক্ট করতেছি না কিন্তু আমরা নিউজগুলাকে আর্কাইভ করে রাখতেছি। যে নিউজ সেগুলা হচ্ছে সেগুলাকে আমরা ঐখান থেকে kind of মানে টোকাই নিয়া গিয়া, বাছাই করে নিয়ে এটা আমাদের ওখানে জমা রাখতেছি। উদ্দেশ্যটা কি যে এটা আমরা ব্যবহার করব। আমরা এবং অন্যরা যার ইচ্ছা সে ব্যবহার করবে। এইটা থাকতেছে এই ট্রাইব্যুনাল সংক্রান্ত যত খবর বেরোয় এইগুলা আমরা collect কইরা রাখতেছি। এটা হলো মানে বর্তমানে ব্যবহারের জন্য এবং ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য এবং এটা আমাদের কাছে একটা রেকর্ড হিসেবে থাকতেছে, আর্কাইভ থাকতেছে।
নিজামুল হক নাসিম : এই রাখাটাকে তো আমরা রিসার্চ হিসেবে বলতে পারি, ইট ইজ নট মিডিয়া।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমরা রাখি মূলত রিসার্চ হিসেবে। কিন্তু এইটাকে যখন আবার Google করে কি যে, তারা এইটাকে যেহেতু এইটা আমরা তথ্য সরবরাহ করছি, তথ্য রাখতেছি, সংগ্রহ করতেছি এবং সরবরাহ করতেছি। সরবরাহ মানে আমরা কারও কাছে গিয়ে গিয়ে দিতেছি না কিন্তু আমরা দরজা খোলা রাখছি যে আপনারা আইসা, আসতে পারেন দেখতে পারেন, সেইজন্য সেইটাকে ধরা হয় মানে international practice টা হচ্ছে এটাও মিডিয়া একটা। তারপর হচ্ছে যে এই যে ব্লগ যেটা এটাও কিন্তু মিডিয়া। এটা কিন্তু আপনার ব্যক্তিগত কমেন্ট্রি। এই যে যেমন আপনার ডেভিডের ব্লগটা যেটা ফর এন এক্সামপল, এইটাকে Google ধরবে অথবা internationally ধরা হবে যে এটাও একটা মিডিয়া। কারণ হচ্ছে কি যে এইখানে সে মন্তব্যটা সে করছে, করার পরে অন্যরা এখানে আসছে এবং সেখানে আবার মন্তব্য দিতে পারতেছে। কাজেই তথ্য রাখা হচ্ছে এবং তথ্য শেয়ার করা হচ্ছে। ফলে এইটা মিডিয়ার ভিতরে আসবে এখন ওই মিডিয়ার যে strict যে বাউন্ডারি ছিল, সেই বাউন্ডারিগুলা অনেক বড় হয়ে গেছে এবং এই নতুন টেকনোলজির কারণে, এই মিডিয়া এখন এগুলোকে সবগুলোকেই ব্রড স্ট্রোকে মিডিয়া বলা যেতে পারে। প্রবলেম হয়ে গেছে যেটা সেটা হলো যে, এখানে আপনি যেটা বললেন সেটা সবচেয়ে important, এবং আপনি দেখবেন এইখানে কোনো সঙ্গা দেয়া নাই যে, কোনটা ইন আর কোনটা নট ইন। সঙ্গাটা যদি থাকত তাহলে কিন্তু এই confusion টা হতো না। এখন এই গণমাধ্যমে বলা আছে এখন এই গণমাধ্যমের কোনো সংজ্ঞা এখানে দেয়া নাই। মানে গণমাধ্যমকে আমরা যদি ইংরেজি করি তাহলে এটাকে mass media বলা যেতে পারে বা in short ‘media’ বলা যেতে পারে। এখন এই মিডিয়া হলে সবই তো কাভার করে যাই তাহলে। এখানে যদি তারা যেমন বলেছে ‘প্রচলিত সংবাদপত্র, টেলিভিশন, বেতারের বিভিন্ন চ্যানেলের পাশাপাশি ওয়েব বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন সংবাদ বা অনুষ্ঠানের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সম্প্রচার, প্রকাশনা, প্রদর্শন ও পরিচালনায় কোনো বিধিবিধান বিদ্যমান নাই এবং এ সম্পর্কিত একটা নীতিমালা প্রয়োগ করা জরুরি’। ... এখানে কিন্তু কোনো আইন নাই তারা কিন্তু এখানে even পলিসিতে তারা পেনাল প্রোভিশনও রাখছে যে, এটা যদি না মানা হয় তাহলে এত বছর শাস্তি হবে আর কি। so এই জিনিসগুলা লেজিসলেশনে থাকা দরকার, এটা পলিসির ভেতরে থাকা দরকার মানে থাকতে পারে না কখনও। নীতিমালাতে কখনও, নীতিমালা কখনও legislation হতে পারে না।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ. পারে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : নীতিমালাটা হচ্ছে একটা legislation-এর ভিত্তিতে, একটা legislation থাকবে সেটাকে application করতে গেলে কোনো একটা এরিয়াতে একটা পলিসি থাকবে যে, হ্যাঁ ঠিক আছে আমরা এইটা দিয়ে আইন এইটাকে বলতেছে সেইটাকে আমরা এইভাবে প্রয়োগ করব আর কি।

কিন্তু এটাকে নতুন করে পেনাল প্রোভিশন নীতিমালাতে আপনি তৈরি করতে পারেন। আপনি দেখবেন এইটা পাঠিয়ে দিয়েছি আপনাকে। আপনি দেখবেন যে এইখানে নীতিমালাটাকে, এইখানে তারা পেনাল প্রোভিশনেও রাখছে। so আমি বলছি যে, যেহেতু এখন ইনু ভাই আসছে, এটা opportunity যে এটা আমরা এটা থাকুক এটা আমাদের কোনো অসুবিধা নাই কিন্তু আমরা এখানে কিছু কিছু যে সবগুলাকে রিগ্রেসিভ মনে হচ্ছে, যেগুলো আমরা মনে করি না যে এইগুলা ঠিক হচ্ছে কারণ এইগুলা রেস্ট্রিক্ট করে ফেলবে আর কি বা এইটাকে abuse করার সম্ভাবনা আছে। এই government-ই হোক অথবা পরবর্তী government-ই হোক একবার পলিসি হয়ে গেলে তো ওটাতো মানে it stays কাজেই এইটা আমরা বিপদে পড়ে যাব, এটা অনেকেই বিপদে পড়বে কাজেই এই ফ্রি মিডিয়াটা যেটা really মানুষকে empower করেছে, এই যে citizen, netzen বলে এখন এইটাকে। এই যে সিটিজেন জার্নালিজম যেটা ডেভেলপ করেছে, এখন যার হাতেই একটা ল্যাপটপ আছে এবং যার হাতেই ইন্টারনেট কানেকশন আছে সেই কিন্তু জার্নালিস্ট হয়ে গেছে, সেই কিন্তু একটা খবর লিখতে পারছে সেই কিন্তু একটা কমেন্ট্রি করতে পারছে। এটা একটা caos তৈরি করতেছে এটা সত্যি কথা কিন্তু সেই caos টাকে আপনাকে হ্যান্ডেল করতে হবে নতুন টেকনোলজির যে keeping that in mind. Not really এটার যে solution সেটা হচ্ছে যে ঐ ট্রেডিশনাল ওয়েতে যেভাবে পত্রপত্রিকায় লাইসেন্স দেয়া হয় এবং তাদেরকে লাইসেন্স রিনিউ করা লাগে, এই টাইপের যে ট্রেডিশনাল ওয়ে আছে, এইভাবে এটাকে করাটা ঠিক হবে না এবং এটা উচিত না আর কি। কারণ এইখানে আমরা যে এই যে মানে 21 সালের দিকে বাংলাদেশকে টেকনোলজির দিক থেকে যে পর্যায়ে নিতে চাচ্ছি আমরা, বা যেভাবে চিন্তা করা হচ্ছে, এইগুলাকে আটকে দিবে আর কি তখন এইগুলাতে underground করে দিবে। যেটা আসলে একটা legitimateactivity টাকে illegitimate হয়ে যাবে তখন মানে অবৈধ হয়ে যাবে। আপনি তো কোনো দিনই আটকাতে পারবেন না, ঘরের মধ্যে বসে বসে ছেলেমেয়েরা বহুত কিছু করবে যেগুলা আপনি আটকাতে পারবেন না। তারপর যেমন ধরেন যে একটা condition দিয়েছে যে, ওয়েবসাইট যেটা হবে সবই হলো দেশের ভেতরে হতে হবে এখন দেশের ভেতরে আমাদের এর capacity নাই আর কি, আপনার reliability নাই। আপনি একটা ওয়েবসাইট করবেন কিন্তু দেখা যাচ্ছে কি যে কিন্তু এটাকে হোস্ট করতে হবে দেশের ভিতরেই, এখন দেশের ভিতরে হোস্ট করার মতো আপনার ability নাই, technical ability নাই। যে কারণে মানুষ বাইরে হোস্ট করে আর কি এবং সবাই কিন্তু বাইরে হোস্ট করে এবং backup টা easily রাখা যায়, যে এগুলা যেন হারিয়ে না যাই আর কি। আর এইগুলা যেহেতু ব্যুরোক্রেটরা apply করবে এই সব policy। কাজেই এইগুলা বেশ কিছু চিন্তার ব্যাপার আছে। যদিও এখনও আমি পুরাটা আমি ওদের কমেন্টগুলা দেখি নাই। মানে এটা আমি নিজে অত ভেবেও এনালাইসিস করি নাই, কিন্তু এটা কালকে আমার সাথে একটু কথা বলল। আমি একটু দেখলাম এক নজর। তো আজকে thankfully অ্যা...আসছে, কাজেই উনি এটা বুঝে একটু, তো ইনু ভাই এগুলো বুঝে ভালো। আমি বলছি যে আপনারা একটা তৈরি করেন, খুব ছোট্ট করে উনাকে যেন মেসেজ দেয়া যায় যে, আপনি rethink করেন এইটা। এমন কিছু করবেন না যেটা eventually আমাদের ঘাড়ে এসে পড়ে আর কি। যে আমরা পরে restricted হয়ে যাই। আর উনি থাকাতেও উনার এই প্রচারণাটাও আমি চিন্তা করছি এটা আপনিও একটু চিন্তা করেন যে, ministry of information কীভাবে আমাদের, মানে এই সরকার যে বলতেছিলাম যে এতদিন ধরে কিছুই করতেছে না, এই সরকারকে দিয়া ministry of informaion কে কিভাবে ICT’র প্রচারণার স্বার্থে ব্যবহার করা যায়। এইটা কিন্তু হচ্ছিল না। উনি নতুন নতুন আসছে, এটাকে উনারে দিয়া মানে এইটা হলো উনার ফার্স্ট ওয়ার্ক দেয়া হবে আর কি। উনাদেরকে আইডিয়া দিয়া দিতে হবে যে, এই এই জিনিসটা করবেন আপনারা। মানে সরকারকে এইটার পক্ষে, মানে এইটা এখনও আমি চিন্তা করি নাই বাট এটা আপনিও একটু চিন্তা করেন যে মানে ICT’র পক্ষে কি প্রচারণা government করতে পারে, কি ধরনের সিস্টেম ministry of information huge ministry একটা, খুবই important ministry। ICT’র পক্ষে সবচেয়ে কম প্রচারণা হইছে।

নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ....কাইল থাইক্যা তো আবার শুরু হয়ে যাচ্ছে...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, ছাত্রশিবির তো দেশের বিভিন্ন জায়গাতে মিছিল করছে ওই ফিল্মের ছুতা কইরা।
নিজামুল হক নাসিম : করুক, ওরা পিছায়া গেছে, কালকে করে নাই, আজকে নামছে আরকি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন :পুলিশের ফাঁকি দিয়াও তারা কয়েক জায়গায় কইরা ফালাইছে।
নিজামুল হক নাসিম : দেশে আছে, একটু করুক না, অসুবিধা কি
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই ফিল্মে যে এত অফেন্ডেড হওয়ারও কিছু নাই। আপনি দেখছেন এইটা?
নিজামুল হক নাসিম : না, দেখি নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তাইলে আপনারে পাঠাইয়া দেই এবং এইটাতে অফেন্ডেড হওয়ারও কিছু নাই এত, মানে ইসলাম এত এ না। মানে কেউ একজন... এত পচা একটা ইয়ে করছে আর কি... it’s just nothing আসলে। একটা আছে ১৪ মিনিটের, মানে ফুল ভিডিওটা এখনও পাওয়া যায় না। তাই ১৪ মিনিটের একটা আছে ঐটার একটা ক্লিপ ...করছে আর কি। দেখেনতো ওইটা গেল কিনা, আপনার কাছে। লিঙ্কটা পাঠাইছি ইউটিউবের।
নিজামুল হক নাসিম : দেখবেন, ঠিক আছে এখন না, পরে দেখবেন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তো, আইনমন্ত্রী আবার অ্যাম্বাসিতে, মানে ইউকে-লন্ডন এম্বাসিতে ওদেরকে, যারা ইউকে পার্লামেন্টের মধ্যে কিছু ডকুমেন্ট যেটা তৈরি করছিল, সেটা নাকি আমরাতো just ওদেরকে হেলপ করছি। এদিকে হাইকমিশন রেস্পন্ড করার জন্য, তো এইটা বোধহয় দেখাইছে আইনমন্ত্রীকে যে, এই জিনিসটা তারা তৈরি করছে এইগুলা এবং তখন আমাদের কথা আসছে, তখন আইনমন্ত্রী বলছে যে, এটা আমি জানি। আপনারা সব সময় তাদের সাথে যোগাযোগ রাখবেন এবং তারা আপনাদেরকে মানে তাদের সাহায্য আপনার সব সময় নিবেন।
নিজামুল হক নাসিম : আপনার কথা, আপনাদের কথা বলছে?

আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, ICSF এর কথা, আমাদের কথা আর কি, যে আমি জানি, আপনারা তাদের সাহায্য নিবেন। তো আমি দেখলাম যে, এইটা কিন্তু সেকেন্ড টাইম করছে আর কি। উনি কিন্তু মালুম ভাইকেও বলছে এইটা। মানে যখন জহির সাহেবের এপিসোড যখন কথাবার্তা হচ্ছে কিছু একটা সময়ের একপর্যায়ে আর কি, এটা মালুম ভাই আমারে জানাইছে আর কি। এইটা আমি আপনাকে বলছি কি না মনে নেই আমার।

নিজামুল হক নাসিম : না, বলেন নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তাদের সাথে যোগাযোগ আছে কিনা এবং এটা যেন, মানে তারা যেন আমাদের হেল্প নেন আর কি, যোগাযোগটা রাখেন আমাদের সাথে। মানে এইটা সেকেন্ড টাইম দেখলাম যে উনি এইভাবে বলতেছে, যে পজিটিভলি বলল যে, আমার তো ধারণা ছিল যে ঐ সেকেন্ড ইয়ের পর থেকে আমরা তো আর যোগাযোগই রাখি না আসলে কারণ একদমই মানে we were not happy. কিন্তু উনি দেখা যাই কি যে, এখন যে কোনো কারণের জন্যই হয়তোবা বুঝছে, হয়তোবা সেই কারণেই বলছে আর কি। আচ্ছা থার্ড একটা impoprtant point এই যে একটা, এইটা অবশ্য আইনটা হবে না যে private member bill হিসেবে এই যে বিচারক নিয়োগের যে আইন যে প্রস্তাবিত আইন যেটা
নিজামুল হক নাসিম : ও নিয়ে চিন্তা করি না আমি, এগুলা ফাইজলামি, এগুলা পুরা ফাইজলামি
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না, ঐটা হবে না, মানে individual-এর প্রপোজ নিয়ে বিশ্লেষণ, so এখন যেহেতু legislationটা নাই, কাজেই এইটা হওয়ার সম্ভাবনা নাই কিন্তু হলে আবার তখন দেখা যাবে, কিন্তু government ও বলতেছে যে তারা কিছু একটা করবে আর কি। আমাদের যেটা চাওয়া সেটা হচ্ছে যে এই process এ হওয়ার আগেই আপনারটা হইতে হইবো আর কি, মানে কি ঢুকাইবে এর ভিতরে, মানে চিফ জাস্টিস-এর রিকমেন্ডেশনটাই বোধ হয় ইয়ে করবে মনে হচ্ছে, চিফ জাস্টিসের রিকমেন্ডেশনটা already একটা তো আছে মানে... convention
নিজামুল হক নাসিম : Convention আছে judgment আছে
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ও ঐটা নিয়ে judgment ও আছে...! হ্যাঁ আচ্ছা ঠিক আছে... তো কাজেই এইটাকে আবার legislation করার দরকারটা কি সেটা মানে government কিছু একটা করবেই আর কি। কিন্তু কি করবে সেটা হয়তোবা এই শেষ মুহূর্তে এসে কি দিয়ে কি চিন্তা করতেছে নাজানে। এটা হচ্ছে আমাদের একটা concern যে এইটা ওই কোনো ধরনের কোনো formalization এর আগে যেভাবে যে process টা চলতেছে যেই process-এর ভিতরেই এইটা হতে হবে। এবং এইটার না হওয়ার কোনো কারণ আমি এ দেখতেছি না। কাজেই i dont know. ... thinking যে ঐটা চালু করে government আবার নিজেরা একটা introduce করে কি না legislation যেটা দেখা যাবে কি যে আবার একটু জটিল করে ফেলল আর কি। এখন এটা কঠিন জিনিস হয়ে গেছে। যে আমি এক্ষুণি একটা নিউজ পড়তেছি চট্টগ্রামের নিউজ। কাজের বুয়া করছে কি যে রান্নার সময় কিছু একটা করছে সবাইরে নেশা জাতীয়, নেশা করাই দিয়া, সবগুলা লোকরে ড্রাইভারসহ মানে বাড়ির দারোয়ান সবাইরে অজ্ঞান কইরা টাকা-পয়সা গয়নাগাটি নিয়া, সব নিয়া ভাগছে।
নিজামুল হক নাসিম : ভালোই করছে, সবাই হাসপাতালে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এবং এখনও পর্যন্ত গৃহকর্তা এবং স্ত্রী দু’জনেই অচেতন অবস্থায় রইছে। বাকিদের জ্ঞান ফেরত আসছে আরকি।
নিজামুল হক নাসিম : আপনার ওই ক্লিপ্টা আসছে, ইউটিউবের ইডা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : দেইখেন, এইটার জন্য এত অস্থির হওয়ার কোনো কিছু আছে কিনা?
নিজামুল হক নাসিম : অনলাইন মিডিয়া পলিসিও আইছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, অনলাইন মিডিয়া পলিসিটা একটু দেইখেন, just ওইটা আপনার জানার জন্য আর কি, জেনে রাখা ভালো যা কি হচ্ছে না হচ্ছে। মানে ICT’র বাইরেও তো বহুত কিছু হইতেছে। এই পলিসিগুলা তো ঠিক আছে। মিডিয়া পলিসিও থাকা দরকার সেটা আমরা বুঝি এবং আমাদের আইনেও বলা আছে যে, ফ্রিডমটা সব সময় ফ্রিডম বাট আন্ডার ল’। কিন্তু ল’ আবার যদি ডেভেলপমেন্ট কে রেস্ট্রিক্ট করে ফেলে, তাহলে আবার প্রবলেম আছে আরকি। মানে এটাকে যদি abuse করার সম্ভাবনা থাকে আর কি। এবং এইটা অনেকরেই এফেক্ট করবে আরকি।
নিজামুল হক নাসিম : আমি তো বুঝিনি তাই জিজ্ঞেস করছি আর কি, মনে করেন আপনাদের ICSF, তারা যেসব কাগজপত্র ইয়ে... করতেছে, এইটা কি বাংলাদেশে এন্ট্রি বন্ধ করা যায়?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ , বাংলাদেশ সরকার চাইলে তো এটা বন্ধ করে দিতে পারে।
নিজামুল হক নাসিম : মানে বাংলাদেশের মধ্যে রাখতে পারবে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই সেন্সে যে বাংলাদেশ থেকে কেউ এটা দেখতে পারবে না
নিজামুল হক নাসিম : না সেইটাই, সেটা পারে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, এটা ব্লক করে দিতে পারবে
নিজামুল হক নাসিম : আমি মনে করি, এই অথরিটি অন্তত বাংলাদেশ government-এর থাকা উচিত। এটা আমি মনে করি। কিন্তু করতে গেলে শর্ত হেনতেন এগুলো করার কোনো অর্থ হয় না। এই অথরিটি government-এর থাকা উচিত।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : যেমন প্রেসিডেন্ট ওবামা নিজে রিকুয়েস্ট করেছে আপনার ইউটিউবকে, যে তুমি এই ফিল্মটা উঠিয়ে ফেল আর কি, এই যে, যে ফিল্মটা আপনারে পাঠায়ছি। white house থেকে request করা হয়েছে অর্থাত্ প্রেসিডেন্ট রিকুয়েস্ট করছে গুগোলকে, যারা ইউটিউবের মালিক, যে তোমরা এইটাকে রিমুভ করে দাও। ইউটিউব কিন্তু রাত-দিন রিমুভ করতেছে আর কি। ইউটিউব কিন্তু যখনি objection পায় ইউটিউব করে কি যে রিমুভ করে দেই, যদি দেখা যায় কি যে কারো ব্যক্তিগত ছবি আপনার ওখানে দিয়ে দিল আর কি, privacy খুবই violated হইছে এই টাইপের ছবি এবং সে objection দিছে এবং ইউটিউব ঠিক করে দেখছে যে ইউটিউবের কিছু নীতিমালা আছে, তারপর যদি কোনোকিছু সন্ত্রাস প্রমোট করে এই টাইপের কিছু একটা, যদি violence promote করে এইটাইপের যদি ইউটিউবের কাছে মনে হয়, অভিযোগের ভিত্তিতে obviously, ইউটিউব কিছুই নিজে করে না যতক্ষণ পর্যন্ত না তার দর্শকরা অভিযোগ না করে এবং অভিযোগ করার পরে তাদের একটা প্রক্রিয়া আছে যেই প্রক্রিয়া অনুযায়ী হলে তারা রিমুভ করে ফেলে আর কি। তাদের হাতে সেই ক্ষমতাটা আছে আর কি। কিন্তু এই ছবিটার ব্যাপারে তারা হোয়াইট হাউজ থেকে রিকুয়েস্ট পাঠাইছে কিন্তু তারা রিমুভ করে নাই। কিন্তু আমাদের দেশে এটা ব্লকিংটার পক্ষে আমরা, সরকার যদি মনে করে যে কোনো একটা ওয়েবসাইট যেটা আসলেই আমাদের দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা লঙ্ঘন করতেছে টাইপের ওই ধরনের serious হতে হবে আর কি, মানে এটা ঠিক যে কোনো সাইটকে ব্লক করাটা চাইতে এটার একটা গুড রিজন থাকতে, এখানে একটা লিগ্যাল বেসিস থাকতে হবে এবং একাট প্রসেস থাকতে হবে এবং সেটা ক্লিয়ার হতে হবে এবং সেটা গেল এক দিক থেকে। কাজেই এটা এখনও পারে। যেমন করছে তো, আমাদের সাইট কিন্তু করছে, কয়েকটা সাইটকে বাংলাদেশ সরকার ব্লক করছে আর কি, যারা ঐ হজরত মোহাম্মাদ (সা.)-এর আগের কার্টুনগুলা নিয়ে এই সাইট যে কয়েকটা আছে আমাদের বাংলাদেশ থেকে ওইটা আপনি দেখতে পারবেন। সেইটা ঠিক আছে, সেটা we have no problem with that. কিন্তু জিনিসটা হচ্ছে যে, আপনে এখন একটা সাইট ওপেন করবেন আপনি একটি ইয়াং ছেলেমেয়েরা, আপনারা একটা কিছু করবেন আর কি, আপনারা মনে করলেন আপনারা একটা কিছু ইস্যুতে আপনারা কাজ করতে চান। প্রত্যেকেই কিন্তু তার একটা ওয়েবসাইট করে এখন মানে ব্যক্তিরাই এখন ওয়েবসাইট করতেছে এবং তারা একটা কিছু করতে চাই, এখন করতে গিয়ে এখন আপনার কোয়েশ্চেন হচ্ছে কি যে ১০ টাকা... ১০ ডলার দিয়েও কিন্তু আপনি এই সাইট করতে পারেন, মানে জায়গা একটা কিনা নিয়া একটা নাম কিনা নিয়া, আপনে কিন্তু নাম কিনতে গেলেও সারা বছরে ১০ ডলার লাগে হয়তোবা যদি কেউ না নেই ওই নামটা আর কি বা ২০ ডলার লাগে বা ৩০ ডলার লাগে ২০/৩০ ডলার দিয়ে কিন্তু আপনি নামটা কিনে নিয়ে আপনি এটা কোথাও এটা আপনার ঘরেও বসাই রাখতে পারেন আপনার কম্পিউটারের ভেতরে অথবা আপনি অন্য কোথাও থেকে এটা ভাড়া নিতে পারেন ২০, ৫০ ডলারে ১০০ ডলারে ভাড়া নিতে পারেন যেহেতু আপনার এক্সেস এক বছরের জন্য। তারা আপনার ঐ জিনিসটাকে হোস্ট করে রাখবে এটাকে হোস্টিং বলে, এখন এখানে যে আইনটা যেটা আপাতত প্রস্তাব করা হয়েছে যেখানে তারা বলছে যে, বাংলাদেশে কেউই কিন্তু আসলে কোন বাইরে কোথাও হোস্টিং করতে পারবে না। এটা বাংলাদেশে হোস্টিং করতে হবে এখন বাংলাদেশে হোস্টিং করতে গেলে বাংলাদেশের হোস্টের যে অবস্থা, practical অবস্থা, technical অবস্থা এবং security safty অবস্থা। আমি একটা জিনিস যে হোস্ট করতেছি, এইটা দেখা যায় কি যে সে তো আসলে পুরা মানে... আমি যদি আওয়ামী লীগ হই তাহলে আমারে বিএনপি’রে দিয়ে দেবে আর বিএনপি হয় তাহলে তো আমি জামায়াতরে দিয়ে দেব বা আওয়ামী লীগ হইলে জামায়াতরে দিয়ে দেবে এইগুলা আর কি। কারণ তার কাছে কিন্তু সব তথ্য থাকতেছে, এটা যদি আপনি গুগোল, ইয়াহু এই টাইপের কারো কাছে হোস্ট করেন বা বড় বড় হোস্টিং কোম্পানি আছে আর কি hptmail ওরা কিন্তু আপনাকে কোথাও দিতেছে না কাউকে, আপনার যে ডাটা সেফ অ্যান্ড সিকুউর থাকতেছে আর কি। তারপর হচ্ছে যে এটাকে আবার লাইসেন্স নিতে হবে, তারপর হচ্ছে যে প্রতি বছরে লাইসেন্স রিনিউ করতে হবে, দেখে রাখতে হবে এটা পড়ার পড়েই আপনার মনে হবে যে না এইগুলা তো ঠিক না। মানে এইটা তাহলে এই নতুন যে ডেভেলপমেন্ট যেটা হবে কি যে এই ধরনের রেস্টিক্টেড আইন করলে আমাদের দেশের যে opportunities আছে এবং এইটা কিন্তু একটা বিজনেস opportunity এইটা কিন্তু not necessarily যে আপনে শুধু সংবাদ মাধ্যম বা সংবাদটা না কিন্তু এর মাধ্যমে কিন্তু যে আপনি প্রতিটা ওয়েবসাইটই কিন্তু আপনার বিগ বিজনেস। আপনি দেখছেন যে, প্রত্যেকটা ওয়েবসাইটের চারিদিকের পাতায় উপর-নিচ, নিউজের মাঝখানে কিন্তু বিজ্ঞাপন আছে। মানে ভরা advertisement। যে কারণে ওরা ফ্রি দিতেছে আপনাকে। মানে যে সব দুই-চারটা ওয়েবসাইট আছে সেখানে কিন্তু আপনাকে পয়সা দিয়া মেম্বার হইয়া তারপরে আপনি দেখতে পারেন। কিন্তু বেশিরভাগ ওয়েবসাইট ফ্রি দেই তার কারণ হচ্ছে কি যে এইটা তারা তাদের ওই ভিডিওটার উপর করে তারা তখন বিজ্ঞাপন চার্জ করে। so সেখান থেকে আপনি income tax রাখেন তার, সেটার কোনো অসুবিধা নাই আমার, না আমি যদি ব্যক্তি হিসেবেও একটা ওয়েবসাইট করি সেই ওয়েবসাইটেও দেখা যায় কি যে প্রচুর লোক বিজ্ঞাপন দিতেছে এবং সেখানে আমি কিছু রোজগার করতেছি সেই হিসেবে আমি ইনকাম ট্যাক্স দিতে বাধ্য, আমার ইনকাম হইলে, সেইগুলা ঠিক আছে, ওই যে ঐ সেন্সে some form of information registration এ কিন্তু আমাদের কোনো objection থাকার কথা না, যে রেজিস্ট্রেশন হছে আর কি, যে জানতেছে যে আর এমনিও জানা যায় আর কি। যে কোনো ওয়েবসাইটে গেলে আপনি ‘হুজ হু’ বলে একটা সাইট আছে, একাধিক সাইট আছে যেখানে গেলে ওরা জানতে পারবে যে এই ওয়েবসাইটটা কার, কে তৈরি করছে, এটা কার নামে রেজিস্টার্ড আছে, এগুলো জানা যায় আর কি। so ঐখান থেকে ইনকাম হইলে আপনি পয়সা নেন এবং সেই ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ করেন কোনো সমস্যা নেই কিন্তু আপনি এইটাকে ওই সংবাদত্রের মতো ওরকম লাইসেন্স নিয়া সাংবাদিক হইতে হইব, তারপরে সাংবাদিক হইতে গেলে যে ধরনের সংবাদ সংগঠনের আপনার লাইসেন্স লাগে এই সমস্ত কিছু এই টাইপের ব্যাপারগুলা আসলে i think it’s not right. এইটা আমি এখনও পর্যন্ত আমার ফাইনাল ঠিক করিনি, আমার ব্যক্তিভাবে বাট এইটা আপনারে আমি পাঠাইলাম আর কি
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা একটা জিনিস আমি একটু বোঝার জন্য আপনারে ফোন করি, কথা বলি একটু, এইটা একটা জিনিস আসছে আমার কাছে গুগোল প্লাস। জাস্টিস গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর, মানে আমাদের এক জাস্টিস গোবিন্দ আর কি, added you to his circles and invited you to join google plus. এই join টা কেমনে করে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই joinটা আপনার করার যদি চান, করেন। কিন্তু আমার সাজেশন হবে যে, এটা করার দরকার নেই আর কি
নিজামুল হক নাসিম : সেটা বুঝি আমি, কিন্তু নিয়মটা কি করার, আমি জানতে চাচ্ছি সেইটা। আমি তো হব না এইটা ঠিক আছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনি যখনই ওদের ওখানে, ওখানে জায়গা আছে ক্লিক করার, ঐ খানে ক্লিক করলেই কিন্তু আপনি এড হয়ে যাবেন।
নিজামুল হক নাসিম : গুগোল প্লাসে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওই যে invited you যে মেসেজটা আসছে সেখানে কোনো একটা আপনি কার্সারটা নিয়ে যান, দেখবেন যে কার্সারটা যেখানে আপনার হাত উঠায়ে দিতেছে সেখানেই আপনি ক্লিক করলে দেখবেন যে ঐটা চলে গেছে এবং আপনাকে তখন join করতে বলবে গুগল প্লাসে। আপনিও তখন join করে নিন। গুগোল প্লাস হচ্ছে almost একটা ফেসবুক-এর মতো একটা গ্রুপ করছে গুগল, ফেসবুককে ডাউন করার জন্য, যে সেখানেও তারা alternative মানে গুগোলের ফেসবুক তারা করছে, সেখানে তারা আপনার প্রত্যেকটা লোক আপনি আপনার গ্রুপকে ডাক দেবেন, মানে ধরেন আপনার একটা ক্লাব আর কি হচ্ছে, যে প্রাইভেট ক্লাব আর কি। মানে আমার যত বন্ধু আছে সেও আপনাকে দেখতে পেতেছে, আপনিও আবার আমার সমস্ত বন্ধু দেখতে পাইতেছেন আবার ঐ বন্ধুর নামে চাপ দিলে আবার ঐ বন্ধুর কোনো বন্ধু আছে সেটাও আপনি দেখতে পাইতেছেন। তো এইটা একদিক থেকে লাভ আছে যে যারা, যেমন ধরেন কি যে আমরা এই যে চেক করি এই যে আমাদের অনেক ছেলেমেয়েতো বিভিন্ন দেশ থেকে আসতেছে তো এই যে শিশির ছেলেটাকে রায়হান যে ফার্স্ট যে খুঁজে পেল আর কি, ঠিক এইভাবেই খুঁজে পাইছে আর কি। সে দেখছে যেটা, তার ফেসবুকে একাউন্ট আছে কিনা, দেখে যে আছে। একাউন্টে তার ফ্রেন্ড কে কে আছে, ফ্রেন্ডলিস্টে সে দেখতেছে যে এইখানে এই কি কি জিনিস আছে তার লিস্ট এর ভিতরে সেখানে দেখা যায় কি যে সাঈদীর সেই সার্টিফিকেট থেকে শুরু করে জামায়াতের রেফারেন্স থেকে শুরু করে এবং it happen to be রায়হান চিনে এমন একজন known জামাতি ছেলে তার গ্রুপে আছে সে আর কি। তখন সে আমাকে এই জিনিস মেসেজ করে দিয়ে দিল যে জিয়া ভাই এইটা কিন্তু এই ছেলে। আমরাও এইভাবে চেক করি আর কি, মানে এটাও টুল একটা চেক করার যে আপনার বন্ধু কারা, যদি দেখা যায় কি যে বন্ধুরা নিরাপদ বন্ধু আর কি তাহলে ধরে নেয়া যেতে পারে নিরাপদ। আর না হলে আমাদের principle টা হচ্ছে এটা কালকে রাতেও একটা বড় কনফারেন্স হইছে সেখানে আমরা বলছি যে, যদি কোনো সন্দেহ থাকে কাউকে আমরা তো আসলে চিনতে পারব না এবং আমাদের কাজের লোকও দরকার, ভলেন্টিয়ারও দরকার কিন্তু আবার আমাদের চেকও করতে হবে এই ভলেন্টিয়ার আসলে কি জিনিস। so একটা উপায় হচ্ছে যে ফেসবুক দিয়ে চেক করা, যে তার বন্ধু কারা আছে। সুতরাং ফেসবুকে যে রকম আমার একটা একাউন্ট আছে সত্যি কিন্তু আমার কিন্তু আসলে ঐখানে আমি i am not an active member. আমার এই জিনিসটা আবার পছন্দ হয় না একটা কারণে, আমার যারা বন্ধু হবে আমি তাকে ফোনও করতে পারব, আমি তারে ইমেইলও করতে পারব, তার সাথে আমি স্কাইপে কথা বলতে পারব কোনো অসুবিধা নাই কিন্তু আমার বন্ধুদের সাথে আবার, এখন আমি আপনার বন্ধুর সাথে আছি এখন আমার সমস্ত বন্ধু কিন্তু আপনার বন্ধ হয়ে গেল এবং সে জানল যে আপনি আমার বন্ধু এবং আপনার ওখানে চাপ দেয়ার সাথে সাথে আবার আপনার বন্ধু কারা কারা সেটাও তারা দেখে ফেলল তারপর আবার সেই বন্ধুর বন্ধু কারা তাও সব দেখা যাচ্ছে। এই কারণেই আমি খুব বেশি comfortable না আসলে। যার সাথে যোগাযোগ করা দরকার তার সাথে ফ্যাক্স, ইমেইল, স্কাইপ কথা বলার দরকার হলে তার সাথে আমি স্কাইপে কথা বললাম কোনো সমস্যা নেই আর কি। কিন্তু আমি ফেসবুকে গিয়ে এখন যেভাবে হইতেছে যে আমি এটা করি, প্রত্যেকদিন ছবি চেঞ্জ করা, প্রত্যেকদিন আমি এইটা করতেছি ... আমি তো কিছুই দেখি না, এবং মানুষ ধরেই নেই যেটা যে সব মানুষই ফেসবুকে থাকে কারণ হচ্ছে কি যে তার কোনো দোস্ত কি করতেছে না করতেছে এখানে ভালো কাজ করতেছে সেটাও দেখা যাচ্ছে আবার আকাম করতেছে সেটাও দেখা যাচ্ছে। so কে কাকে ডিভোর্স করতেছে, কে কাকে কি করতেছে না করতেছে, কে কার সাথে এক্সট্রা মেরিটাল করতেছে সবই আসলে ফেসবুকে দিয়ে দিতেছে মানুষ এখন একটা openness এসে গেছে। গুড, কিন্তু আমার এই ধরনের openness-এর আসলে দরকারও নাই, আমার কে কি করতেছে সেটারও জানারও দরকার নাই। যারে দরকার আমি শুধু তার সাথে ডিরেক্ট যোগাযোগটাই আমার পছন্দ। কাজেই এই সাইটগুলা আমি ঐ সে গুগোল প্লাস এবং ফেসবুক আমি really মানে, ফেসবুকে আমি একাউন্ট করে রাখছি এটা সত্যি কথা। কিন্তু এটা জাস্ট শুধুমাত্র inactive একাউন্ট আর কি। ওরা সবাই জানে যে আমারে ফেসবুকে মেসেজ দিয়া কোন লাভ হবে না কারণ আমি এটা দেখি না। যেটা আমারে মেসেজ দিতে গেলে আমারে ইমেইলেই দিতে হইব। আমি এখন ইমেইলটা দেখতেছি constantly যে আমার সাথে কে যোগাযোগ করছে বা কি, আমি উত্তরও দিতেছি যারটাতে আমার ইচ্ছা হইতেছে। মানে ফেসবুকে আপনার গুগলের ভার্সনটা আর কি গুগল প্লাস।
নিজামুল হক নাসিম : ঠিক আছে
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঠিক আছে, থ্যাঙ্ক ইউ
নিজামুল হক নাসিম : আজকে রাখি, থ্যাঙ্ক ইউ

এইডার রিপ্লাইডা লেইখা দেলে আমার এ কাজটা


কথোপকথন ১৩ অক্টোবর ২০১২

নিজামুল হক নাসিম : আছি ভালোই ইনশাল্লাহ! আপনাদের খবর টবর কি?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ...আজকে তো শনিবার, বৃষ্টি হচ্ছে, এটাই। এছাড়া আর কোনো খবর নাই।
নিজামুল হক নাসিম : বৃষ্টি হচ্ছে, এটাই খবর।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হু। কোন খবর নাই্ আপনাদের ওখানে কি খবর?
নিজামুল হক নাসিম : আমাদের এখানে কোনো খবর নাই। কোনো খবর নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হু, আজকে তো দেখি... ছোট আইনমন্ত্রী মিজানুর রহমান সাহেবের উপরে, অ্যা.. উপর দিয়া নিছে আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : একটু ক্ষোভ প্রকাশ করছে আরকি, হা হা হা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ছোট, উনারা মনে হয় বসছেন একসাথে।
নিজামুল হক নাসিম : না, ছোডো আইনমন্ত্রীর কথাবার্তা কইম্মা গেছে এহন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : .. ইয়েস টু সাম এক্সটেম্লট। সেটাই মনে হইতেছে যে, সে আগে যেভাবে বলত..., আবার কোন সময় কী বইলা ফেলায় তার নাই ঠিক।
নিজামুল হক নাসিম : দেখা যাক।
১:৩৭
আহমদ জিয়াউদ্দিন : রাত্রেতো মালুম ভাইয়ের বসার কথা, হইল.. ওই শাহ আলমের সাথে।
নিজামুল হক নাসিম : শুনছিলাম কেডা কেডা যেন বইবে আজকে। শাহ আলম, শাহদীন মালিক আর ড. মিজানুর রহমান।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমাকে যেটা বলছে, শাহদীন মালিকের যেটা উদ্দেশ্য হল যে, প্রফেসার রফিক নিয়ে কথা বলা। এখন মূলত, ওইটা বোধ হয় কোথায়ও থেকে সাজেস্টেট হইছে। বা মিজানুর রহমান করতেছে কিনা কে যানে। এখানে ইয়েরও আসা দরকার, মানে শাহদীন মালিকের।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যা..।
২:১৫
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওইটা বোধ হয় কোথায়ও থেইকা সাজেসটেড হইছে। বা বুদ্ধি কইরা করছে কিনা কে জানে। যে, এখানে শাহদীন মালিকেরও থাকা দরকার। শাহদীন মালিকের। আন্ডার স্ট্যান্ডিং (Understanding)-টা নিয়ে সমস্যা আছে, প্লাস মানে ..।
নিজামুল হক নাসিম : শাহদীন মালিকেরে তো আমার চেয়ে কেউ বেশি চেনে না, ঢাকা শহরের কেউ ট লিস্ট।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হি... হি... হি.. হি.... (হাসি)।
নিজামুল হক নাসিম : একেবারে নাইনটি থ্রি (৯৩) থেকে, জজ্ হওয়ার আগে ২০০৯ পর্যন্ত। মধ্যে দুই বছর বাদে এক নাগারে কাজ করছি দু’জনে আমরা।
৩:১
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কারণ এই টাকে আইসিটি কেইস প্রো-একটিভলি ডিফেন্ড করাটার কোনো উদাহরণ উনার কাছ থেকে পাওয়া যায় না। সে সাপোর্ট করে। বাট নট নেসেসারিলি...।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, ওই পর্যন্তই। উনারে আমরা এমিকাস কিউরি হিসেবে কি জন্য আনবো? এমিকাস কিউরি হিসেবে আনতে গেলে, তখন সার্টেন পয়েন্ট বোঝার জন্য আনতে হইবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমার প্রশ্ন সেটাই। ব্যাস দেটস অল। ইনেশিয়ালি ওয়ারিড ছিলাম আরকি্ এইডা কি ব্যাপার, এইডা উনি কেন বলতে আজকে স্কাইপে আসলে মালুমের সাথে কথা হবে দেখা যাক। যদি তারা তাকে আনার ডিসাইড করে থাকে, বাট আমি মনে করি না যে, হি ইজ দা বেস্ট পারসন। ইনফ্যাক্ট হি ইজ নট। প্রফেসর রফিকের বিষয়টিও আমাদের হিসাব করতে হবে, দেখতে হবে। আগে আমরা একটা এমিকাস ব্রিফ চাইব আমরা, যদি এট অল ডিসাইড করে। তাদের কাছ থেকে একটা লিখিত ব্রিফ আপনি চাইবেন আরকি। এটা নিয়মই আছে লিখিত ব্রিফ চাওয়া।
নিজামুল হক নাসিম : না সেতো বটেই। আমিতো বলবোই। যদি আনি, আপনারা যা বলছেন সব ডিটেইল দিয়া যাইবেন।
৩:৫৫
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না, না, বলার আগেই দিতে হবে। কারণ, বলার সময় ঐখানে দাঁড়াইয়া আবার তারা ওখানে উলটা-পাল্টা বইলা ফেলাইলে বিপদ আছে আরকি।
নিজামুল হক নাসিম : হেইয়াতো মানতে আমরা বাধ্য নাতো। এমিকাস কিউরির বক্তব্য জজ সাহেবরা তো মানতে বাধ্য না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মানতে বাধ্য না, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু ওইটা তো রেফারেবল হয়ে যাচ্ছে, তাই না? মানতে তো বাধ্য না-ই। কিন্তু আরো একটা জিনিসকে ইয়ে করতে হইতেছে, মানে এইটা ইন কেইস যদি রিকুইট করা লাগে, তখন কিছু করতে হইতেছে। বা না একসেপ্ট করা লাগে, তখন না একসেপ্ট করা লাগবে। কাজে এটা ওইখানে যদি এমন কিছু কথা আসে, যেটা তারা নিজেদের ওই...বেলেন্স করার জন্য...। প্রবলেম হইতেছে যে, বাংলাদেশে সবাই তো আসলে যখন বক্তব্য দেয় এখন, ঠিক কারেক্ট কোনটা সেইটা দেয় না। তারা হচ্ছে যে, মানে যেইডা তারা মনে করে তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে, যেইটা মানে-একটা হয় বেলেন্স করে। অথবা তারা মানে...অনেক বিবেচনা করে বক্তব্যগুলো দেয়। এই বিবেচনা গুলা থাকলেই বিপদ, বিপদ আরকি। সেটা আমি দুই পক্ষকে একটু ব্যালেন্স কইরা দিলাম আরকি। কারণ, রায়হান ওয়ার্নস যে, আপনার ট্রাইব্যুনাল যেভাবেই হোক একজনকে যদি এমিকাস কিউরি হিসেবে বলতে দেন, তাহলে ওরা তখন আবার বলবে যে আমাদেরও লোক নিয়ে আসতে দেন।
নিজামুল হক নাসিম : কাদের লোক-টোক ব্যাপার না। আমি যাকে প্রয়োজন মনে করবো সেডা নেব। এডা কাদের আর ফাদের কোনো লোক নাই। আচ্ছা আপনাকে একটা জিনিস একটু আলাপ করি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : করেন।
নিজামুল হক নাসিম : আমি আজকে আমাদের চার্জের অর্ডারটা পড়তেছিলাম, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর। ওখানে আমরা কিছু বলছি না যে, প্রয়োজনে পরে এইডা আমরা ডিসাইড করবো। আপনার কাছে চার্জের কপি তো আছে, আছে..?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হু.., আছে, আছে।
নিজামুল হক নাসিম : থাকতেই হবে, থাকতেই হবে। তো, এই জিনিসগুলোর রিপলাইডা আপনি যদি একটু ইয়ে করে দেন আমাকে। তাইলে আমি জাজমেন্টের জন্য একটু রেডি হইতে পারি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা আপনি ধরে থাকেন, আপনি একটু হোল্ড করেন, আমি একটু চেক করে নেই আসলে আপনি কোনটার কথা বলছেন। আমার দুই মিনিট লাগবে। আমি অর্ডারটা নিয়ে নিচ্ছি। আমি এইডা বোধহয় বলেছিলাম ইন্টারন্যশনাল ল’এর কনটেক্সট থেকে
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ ঠিক আছে, আপনি যান কাগজ আনেন, আমি দিমুয়েনে আপনারে..., আই উইল গিভ ইউ দ্য লাইন ইভেন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : দাঁড়ান, আমি এটা দেখতিছি। কারণ এটা আমি আলাদাভাবে এক্সটার্নাল ড্রাইভে রাখছি। আমার কম্পিউটারের ভিতরে কিছুই নাই। ডেফিনেটলি, যেটা যেটা লাগবে আপনার, আপনি ডেফিনেটলি বলবেন। ... ড্রাফ্ট চার্জ, ফরমাল চার্জ...। এই যে, পাইছি অর্ডার অফ চার্জ, ওডার নাম্বর টুয়েনটি থ্রি। এই যে অর্ডারটা পাইছি।
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা অর্ডারটা আমি আপনারে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনি কত পাতা চাচ্ছেন, বলতে পারবেন?
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা, আট নাম্বার পাতা দেখেন-আট। আট থেকেই শুরু। প্রথম হলো ডেফিনেশন অফ ক্রাইমস। নিচে দিয়া সেকেন্ড প্যারা। ডেফিনেশন ক্রাইমস-এ বলছি যে, আমাদের অ্যাক্ট-এ ক্রাইমস আর ওয়েল ডিফাইনড, কোয়াইট ক্লিয়ার। তারপরে লাস্টে যাইয়া বলছি, হাউ ইভার দ্য ট্রাইবুনাল মে টেইক ইনটু একাউন্ট জুরিসপ্রুডেন্সিয়াল ডেভেলপমেন্ট।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : রাইট, রাইট, রাইট।
নিজামুল হক নাসিম : ফ্রম আদার ডিকশনস সুড ইট বি সো রিকুয়েয়ার্ড ইন ইন্টারেস্ট অফ জাসটিস।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : রাইট।
নিজামুল হক নাসিম : এইটার একটা উত্তর এহন দেয়া লাগবে জাজমেন্টে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই মুহূর্তে উত্তর...! হ্যাঁ, জাজমেন্টে দিতে হবে এটা সত্যি কথা।
নিজামুল হক নাসিম : জাজমেন্টের কাজতো শুরু করছি আমি, অন্য কাজ ফেলাইয়া টাইপ শুরু করছি আমি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনি ওই জায়গাটাকে, আপনি করেন কি যে... এই জায়গাটিতে একটু গ্যাপ রাখেন, কারণ এখনও লিগ্যাল আর্গুমেন্ট কিন্তু তারা প্লেইস করে নাই।
নিজামুল হক নাসিম : না.., তা যা হউক, আমি আমার জাজমেন্টের জন্য, আমি নিজে পৃপারেশন-এ যাচ্ছি আরকি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, এইখানে আমরা, এইটা যখন এখানে যেটা হচ্ছে... সেটার অর্থটা হচ্ছে মূলত দুইটা। একটা হচ্ছে যে, ক্রাইম এগেইনস্ট হিউমেনিটিতে যদি তাকে চার্জ করতে হয়, এবং ক্রাইমস এগেইনিস্ট হিউমেনিটিটা আসলে বেসিক্যালি যে জিনিসটা ডেভেলাপ করেছে জুরিসপ্রুডেন্সএ, এই যে সো কলড ওয়াইড স্পেড এন্ড সিসটেমেটিক।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, হ্যাঁ...ইয়েস...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটাকে আমরা ঠিক ওইভাবে অ্যাক্সসেপ্ট করবো না্ কিন্তু আপনি দেখবেন যে, প্রসিকিউশন ওইটাই সাবমিট করতেছে। Which is that যে, তারা বলবে যে, বাংলাদেশে ৭১-এ যে ক্রাইমগুলো হয়েছে অর্থাত্ এই যে ক্রাইম, যেগুলা আমি দেখাইয়া দিছি, এগুলো আসলে পুরো দেশে ব্যাপকভাবে হইছে এবং সিসমেটিকভাবে হইছে। সো ওই এলিমেন্টটা শুধু উনাদের রেফারেন্সটা দিয়ে এইটাকে নট নেসেসারিলি এজ এ কনডিশন ওফ দা ক্রাইম, অর এজ পার্ট ওফ দা, মানে ডেফিনেশন অফ দা ক্রাইমের পার্ট না নিয়ে এসেও..।
নিজামুল হক নাসিম : পার্ট না হলেও এভিনিউ এটা অ্যাস্টাবলিশ করেছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : রাইট।
নিজামুল হক নাসিম : ঠিক না? আমি এইটাই বলছি, এই Language-টা এইখানে এই একটা। আমি আপনারে বলে দিই, আপনি কি নোট নেবেন একটু।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, এক মিনিট দাঁড়ান।
নিজামুল হক নাসিম : এইডা আপনি সময় পেয়ে যাবেন। যদি সময় করে এইডার রিপ্লাইডা লেইখা দেলে আমার একাজটা এরপর আর ইনশাল্লাহ লাগবে না কোন-কোন ব্যাপারে। এইটার ব্যাপারে একটু লাগবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ ঠিক আছে। এই এটা আমাদেরও চিন্তায় যেটা আছে, সেটা হইল যে, আপনার যারা ওই যে ও স্ট্যাটমেন্ট-এর ফেকট টেকটস যা হচ্ছে, সেগুলো আপনারা হ্যান্ড্যাল করবেন। এরপরই এখানে যেটা লাগবে, সেখানে পরে ফাইনেলি আমি ঠিক করে দেব। এটা হচ্ছে, আদার জুরিসপ্রুডেন্স যেটার কথা আছে। আর এইটা এটা আরেকটু দিতে হবে। যদি দেখা যায় যে, তারা কোনো জুসিপ্রুডেন্স রেফার করে,—সেইটা আপনাকে কিন্তু আমাদের সাথে আলোচনা করতে হবে।
নিজামুল হক নাসিম : হে যাক, হে ঠিক আছে। আলোচনা করা যাবে অসুবিধা নাই। সেটা পরের কথা, কেননা রেফার করবে তার পরে...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ইয়েস, যদি রেফার করে তারা।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, সেডা পরের কথা। ঠিক আছে। আচ্ছা নেক্সট আরেকটা দেখেন পরের প্যারা ‘ইন রিগার্ড টু সেশনস আপ টু দি ক্রাইম গেইন্ট হিউমেনিটি. এন্ড টু নেক্সাস টু আনকনফ্লিক্ট’, ওইখানে যে লাস্টে বলছেন হাউ এভার দি ট্রাইব্যুনাল মে টেইক ইন টু একাউন্ট রিফরমেটিভ ইট নরমেটিভ ডেভোলপমেন্টস সুড ইট ফিল সো রিকয়ার্ড ইন ইন্টারন্যাশনাল।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এক্সেক্টলি। এইটা ঠিক, এই একই জিনিস। এইটা হলো আরেক রকম ওই একই কথা...।
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা, এইটারও আপনি একটা রিপ্লাই লেইখা দিবেন। তারপর পর চলে, যাই হোক আমরা আল লাগে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, এই যে, নরমেটিভ ডেভোলপমেন্টস এর মানে হচ্ছে যে, আসলে এগুলাতো কোন জায়গাতে ছিলন, যেমন আপনি দেখছেন যে বিভিন্ন ট্রাইব্যুনালে, কোন জায়গাতেই কিন্তু ক্রাইম এগেইনিস্ট, সরি ক্রাইম এগেইনিস্ট হিউমেনিটিতে ওয়াইড স্প্রেড সিসটেমেটিক কিন্তু ছিল না। কিন্তু আস্তে আস্তে এটা ডেভলপ করছে।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ..।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : অর্থাত্ এটাকে ইট বিকাম পার্ট অফ দা ডেফিনেশন ওভার কনসেপ্ট অফ ক্রাইম এগেইনস্ট হিউনিটি। এই যে ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে, তার মানে হচ্ছে এখানে যে ফর্মটা ডেভলপ করেছে নতুন, সেটাও যদি আমরা প্রয়োজন মনে করি, তখন দেখবেন আরকি। এটাই হলো সেইটার ব্যাখ্যাটা এবং ঘুরেফিরে আমাদের টার্গেট হচ্ছে এবং এই জিনিসটাই বুঝানোর চেষ্টা করছিলাম আমি যে, আমরা আসলে ক্রাইম এগেইনস্ট হিউমেনিটিতে এখানে, আমাকে অ্যাক্টটাকে চেইনজ করে দিয়ে করার দরকার নাই। কারণ, আমাদের দেশে যেটা হয়েছে আপনি যখন হিস্ট্রিটা লিখবেন তার আগে, তখন কিন্তু এর ভিতরে যে বিবরণটা থাকছে, সে বিরবরণে থকতেই হবে যে, অপরাধ পুরা দেশটাতে হয়েছে এবং এই অপরাধ গুলিকে সুপরিকল্পিতভাবে বা পরিকল্পিতভাবে অপরাধগুলো করা হয়েছে।
নিজামুল হক নাসিম : ইয়েস।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সো..., তো এইটা হলেই তো আপনার ওই দুটো যে রিকুয়্যার, ওরা যে লাফায়, যে সংজ্ঞার মধ্যে থাকতে হবে, এ দু’টো থেকে ব্যাখ্যা এসে যায়। তো, আপনাকে ডেফিনেশন চেইঞ্জ করাটার কোনোই প্রয়োজন নাই এই কারণে।
নিজামুল হক নাসিম : না... না... না..., এটা করমুই না। এটা করার কোনো কারণও নাই, করবও না। কিন্তু ঐইটা যেইটা আপনি বলছেন, সেইটাতো জাজমেন্টে আসবে। সেইটার একটা এক্সপ্লানেশনতো দেতে হবে আমাকে...। আমি বলতেছি সেইটাই আমরে লেইখা পাঠান, এই কথাডা বলছি আপনারে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঠিক আছে। ঠিক আছে। এটা নো প্রবলেম, তো আমরা দেখতে চাই আসলে, কারণ এইক্ষেত্রেও বড় সাহেবের ক্ষেত্রেও আমরা ওয়েট করতেছি। যে, তারা কোনো আরগুমেন্টা দেয়, কোনো ডকুমেন্টগুলা সাবমিট করে বা কারও উপরে রিলাই করে।
নিজামুল হক নাসিম : আমি আপনারে একটু বলে নেই। যে, আমাদের তো প্লান হলো যে, গোলাম আজমরে ফাস্টে জাজমেন্ট দেয়ার। কিন্তু আমার মনে হয় ২ নম্বর ট্রাইব্যুনাল তা শুনবে না। ওরা যেভাবে কাদের মোল্লা নিয়ে আগাচ্ছে তাতে হয়তো আমাকে ফার্স্ট থাকতে হইলে সাঈদী দিয়েই ওপেন করতে হইবে। কারণ সাঈদী প্রায় শেষ। সাঈদী আপনার ঈদের আগে সাক্ষী শেষ হয়ে যাবে। ঈদের পরে আগ্যুমেন্ট এরপর ফিনিশ....।
আমি সাঈদী নিয়া স্টার্ট করলেও আমি এই সব পয়েন্ট কিছু নিয়ে আসব। এরপর গোলাম আজম-এর সময় যাইয়া আরও ডেফিনেশন বাড়বে। পরে আরও জাজমেন্ট ইউল বি ডিসাইডেড দেয়ার...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কেন, ওইটাতো... ঐ কেইসের নেচারটাইতো আলাদা। ওই কেইসটা হবে পিউর কনস্ট্রাকটিভ কেইস একটা। আপনার সংজ্ঞাগুলোকে তার তো সরাসরি ইনভলমেন্টের পরিমাণ কম থাকতেছে তো, কিন্তু এই তাঁর সাথে তার যে দায়দায়িত্বের...।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, তাই আমি মনে করি, সাঈদী আগে থাকলেও আমার লস নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, বুঝছি।
নিজামুল হক নাসিম : ওদের আগে আমার হতে হবে নইলে বিপদ আছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না... না... না... সেটাতো বটেই, ওরে বাপরে বাপ...।
নিজামুল হক নাসিম : কিন্তু তারা খুব স্পিডে আগাচ্ছে এবং আমার গোপন খবর হইলো শাহীনুরকে বলা হইছে জাজমেন্ট রেডি করার জন্য। এবং হি ইজ ট্রাইং টু রাইট। তারা একটা চ্যালেঞ্জের মধ্যে মনে মনে আছে যে, তারা আমার আগে জাজমেন্ট দেবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না, এইটা তো আমরা জানি, এইটা তো আন হেলদি একটা কমপিটিশনে তারা ঢুকছে এবং এই জিনিসটাই আমরা রিপিটেডলি বলছিলাম। দুইটা ট্রাইব্যুনাল করলে এই ধরনের একটা পরিস্থিতি হবে। এটা তো আমাদের কথা ভদ্রলোক শুনলই না একেবারে...।
নিজামুল হক নাসিম : এহন তিন নম্বর করবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, এখন তিন নম্বর করবে। তিন নম্বর কইরা কি নাইট শিফট চালু করবে নাকি! না অন্য কোথাও...।
নিজামুল হক নাসিম : হা... হা... হা... (হাসি), জানি না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : নাকি, মন্ত্রীর বাড়ি খালি কইরা চালু করবে কে জানে? নাকি, প্রসিকিউটারদের বাইর কইরা দিবে, আমি সেটাই চিন্তায় আছি আসলে। ঐ যে এনেক্স বিলডিংটা। যেটা প্রসিকিউটাররা বসে সেইখানে কয় যে, ওইখানে বসার দরকার নাই। ওই জায়গাটা কোর্ট রুম কইরা দেই। কারণ, ওইখানে রুম বড় আছে। বরং এর চাইতে বড়ই রুম। বড় ইয়ে হবে কোর্ট রুম হবে।
এইটা ঠিক আছে, এইটা একটা ব্যাখ্যা দিতে হবে। এখানে আমরা একটা, সাজেস্টেড একটা ইয়ে দিব আর কি তাইলে। কারণ, এই ডোরটা আমরা ওপেন রাখছি ঠিকই ডেলিবারিটালি এই উদ্দেশ্যে, যদি দরকার হয় তাইলে, মানে এইডাকে আপনারা মানে এইডাকে ব্যবহার করা যাবে এবং আমাদের এপ্রোচও সেইটাই হওয়া উচিত এবং আমি মনে করি এইটা রাইট এপ্রোচ। যে কোনো ডোমেস্টিক ট্রাইব্যুনালের ফার্স্ট উদ্দেশ্য হচ্ছে না যে, ইন্টারনেশনাল এক্সজ্যাম্পল গুলাকে রেফার করে ফেলা এট দ্য ফার্স্ট অপরচুনিটিতে? দ্য আনসার ইজ নো, তাই না। যেখানে দরকার পড়বে কেবল মাত্র টু দ্যটি এক্সটেম্লট হয়ত বা সেখান থেকে তারা ইন্সপিরেশন নিতে পারে এবং তার পরেও, সেটা নিলেও, সেটাকে একটা নিজের মতো করে নিতে হবে।
আচ্ছা এই খবর? না! আবার চিন্তার খবর আরকি। মানে, এইটা মন্ত্রী অন্য কারও কথা শুনতেছে বইলা মনে হইতেছে না। কেউ কথা বলতেছে কিনা সেটা আমি জানি না, দেখি সেটা আমি আজকে চেক করব।
নিজামুল হক নাসিম : না, তা আমি জানি না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এডা আমি আজকে চেক করব। ইন এ সেন্স আপনার তো রেডি হতেই হবে। কারণ, এই কেইসটা অনেক দূর এগিয়ে আসছে, তাই না? আর তাদের মাত্র কয়েকটা মোটে সাক্ষী। দুই-চারটা কয়টা দেয় কে জানে?
নিজামুল হক নাসিম : আটটা হবে আটটা। নেক্সট উইকে শেষ করে দিব ইনশাল্লাহ্।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এখন হয় তারা আনবে সাক্ষী, অথবা সাক্ষী হয়ে যাবে। আর সাক্ষীগুলো দ্রুতই হচ্ছে। তবে এইটা একটা টেস্ট কেসই হইতে পারে এক সেন্সে যে, এক হলো—এটা আগে শুরু হইছে। দ্বিতীয় হইল যে, কি পরিমাণ সময় লাগে আপনাদের এই রাইটিং এক্সারসাইজটাতে। মানে কত আগে থেকে ডেইট-টেইট। ওই দিনে, যে দিন অর্ডার দেয়া হবে সেদিন ইয়েও দিয়ে দিতে হবে। মানে অর্ডার শিটও দিতে হবে, তাই না?
নিজামুল হক নাসিম : এ আরেকডা ফাইজলামি আইন করছে, এইডা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই জন্যই তো জানতে চাইতেছিলাম আমি। এখনও পর্যন্ত কেউই বলতে পারল না যে, আসলে এইটা কার বুদ্ধিতে করা কারণ এইটা তো আপনাদের সাথে কথা বলে নাই?
নিজামুল হক নাসিম : আমি একটু চিন্তা করতেছি। দেহি, কাইল-পরশু আইনমন্ত্রীর ধারে যাই আনোয়াররে নিয়া। গেলে আমি জিগামু।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঠিক আছে। কারণ, এইটা আপনারে বলা ঠিক হবে কিনা। এইটা আমি যখন যাব তখন সুযোগ বুইঝা...। আমার ইচ্ছা নাই যদিও তারপরেও দেখা করতে পারব আর কি। দেখা কইরা বলে দিব যে আপনারা...।
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা, আপনি আসতেছেন কবে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি আসতেছি হচ্ছে, ২২ তারিখ পৌঁছাব, হুইচ ইজ...।
নিজামুল হক নাসিম : ২২ তারিখ থাইকা আছেন ক’দিন?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি আছি হলো ১২ তারিখ পর্যন্ত।
নিজামুল হক নাসিম : লম্বা সময় আছেন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, কিন্তু আমি আসলে ঢাকার বাইরে থাকব বড় একটা সময় আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হেতো বুঝি আমি, সেডা জানি আমি। যদি আমাদের যাওয়া পরে তাহলে আপনারে ঢাকায় রাইখা আমরা চলে যাব।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : নো, অলমোস্ট আমরা একই দিনে ফ্লাই করতে পারি বলা যায়।
নিজামুল হক নাসিম : একই দিনে ফ্লাই করতে পারলে ভালো হয়, যাউক দেখা যাবে সেডা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনারা যদি টার্কিসে ফ্লাই করেন, তাইলেতো আমি টার্কিসেই যাইতেছি।
নিজামুল হক নাসিম : আমারতো টার্কিস খুব পছন্দ হইছে এডা ঠিকই। এহন ফ্রেঞ্চ এমব্যাসী তো ফ্রেন্চ এর ব্যাপার, হেরা কি করবে না করবে কেডা জানে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, তারা কি করে, দ্যাট আই ডোন্ট নো। টার্কিসে দিবে না তারা, যেটাতেই দেক এইটা তাদের ব্যাপার, অসুবিধা নাই।
নিজামুল হক নাসিম : এই সময়তো আপনার ঢাকায় থাকা পড়বে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ-হ্যাঁ-হ্যাঁ ঢাকাতে। ঢাকা থেইকা আমি ধরেন ঈদের... ২৮ তারিখে আমি ঢাকা ছারতেছি। ইনফ্যক্ট আমার ২৮ তারিখে। যাওয়ার কথা ছিল ঈদের পরেই। এখন আমি ২৮ তারিখের রাত পর্যন্ত আমি ঢাকায় থাকব-এক। আর হলো যে, ওখানে ৫ তারিখের পর থাইকা ঢাকায় থাকব।
নিজামুল হক নাসিম : ৫-এর পর।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ৫ থেকে ১২।
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আর ঐ ২২ থেকে ২৮।
নিজামুল হক নাসিম : আমাদের তো ১২-এর আগেই পড়বে যাওয়া। আমার তো মনে হয় টেনথ নাইট পড়বে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ প্রবাবলি ৯-১০ এর ভেতরে যেতে হবে।
নিজামুল হক নাসিম : ১০ই যেতে হবে, ১১ তে পৌঁছাইয়া ওখানে আরকি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : টারকিতে, টারকিতে গেলে আপনার ওই দিনেই পৌঁছাইতেছে।
নিজামুল হক নাসিম : দিনে গেলে ওই দিন রাত্রিবেলা। আর রাত্রিতে গেলে পরেরদিন ভোরবেলা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ সেইটা। বাট আমরা যদি দিনেই যাব ৭টার সময়, ওদের একটা ফ্লাইট আছে।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি ওই ফ্লাইটেই যাইতেছি। আমি যখন ব্রাসেলসে পৌঁছাব তখন বিকাল ৫টা। তার মানে ঢাকা সময় সকাল ৭ তে ফ্লাইট এবং ব্রাসেলস টাইম বিকাল ৫টায় পৌঁছাচ্ছে। সো এইটা আমার জন্য...।
নিজামুল হক নাসিম : ইসতামবুল পর্যন্ত একই, তারপরে ভিন্ন আর কি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তারপরে যেটা যার দিকে, যার-যার রাস্তায় চইলা গেল। এইটা আপনারা বইলেন, আপনাদের পক্ষে বোধহয় বলা কি সম্ভব হবে? না উচিত হবে কিনা সেটা দেখেন।
নিজামুল হক নাসিম : না...না...না হবে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না এটা হবে ন। আমরা পাবলিকরা বলা উচিত। আপনার কাছে কি কোনো তথ্য আছে? বা এইটা এই যে, এই ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি কি বোধ হয় ডিরেক্টর-পিরেক্টর এই টাইপের পজিশন তৈরি করতেছে।
নিজামুল হক নাসিম : এইডা মালুম বলল আমারে, আমি জানি না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তারা কিন্তু সাম ফর্মে এই জিনিসটাকে পারমানেন্ট স্ট্রাকচার দেয়ার চিন্তা করতেছে। তারা ১৮টা জেলাতে...এটাতো তাদের পাবলিক স্টেইটমেন্টেই আছে। যে, আঠারটা জেলায় তাদের অফিস লাগবে।
নিজামুল হক নাসিম : কইছে, হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সো, তাদের কি ধারণা আছে যে, হোল প্রসেসটা একটা এডহক প্রসেস আসলে? যে বিচারটা হয়ে গেলেই এইটা, এই প্রসেস মানে বন্ধ।
নিজামুল হক নাসিম : না। বিচার যদি হয় মানে... দাবি তো আছে যে মিনিমাম এক থেকে দেড় হাজার লোকের বিচার করতে হইবে। ৫০০ তো মামলাই হইয়া গেছে। তাতে তো সময় লাগবে এইডা ঠিকই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইগুলা যদি, ছোট ছোট মানুষদের ধরা শুরু করে না..., তাহলে এই ট্রাইব্যুনালের আপনার ট্রাইব্যুনালটা! মানে আপনার এই ট্রাইব্যুনালের যে ইমপ্যাক্ট এবং হিসটোরিক ইমপ্যাক্টটা, সেই ইমপ্যাক্টটা থাকবে না। এই ট্রাইব্যুনালের উদ্দেশ্যটা হচ্ছে যে, বিচার হীনতার পরিবেশটাকে শেষ করা।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সেটা মোর সিমবোলিক র্যাদার দেন মানে..., আপনার নাম চাইলে তো ১ লাখতো রাজাকারই ছিল আরকি, সারা দেশব্যাপী।
নিজামুল হক নাসিম : তা না, কিন্তু ৫০০ এর মতো তো মামলাই হইছে ঠিকই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মামলা তো হবেই। মানুষকে যেভাবে এনকারেজ করা হইছে, মানুষ সেভাবে দিয়েছে। সেই মামলাগুলোকে একটু অন্যভাবে ডিল করা। মানে এই ট্রাইব্যুনালের যে ডিগনিটিটা, এই ট্রাইব্যুনালের মানে ওজনটা এবং ইমপ্যাক্টটা, লোকাল, দেশীয় এবং বিদেশি-টোটাল যে ইমপ্যাক্টটা ট্রাইব্যুনালের এবং ট্রাইনাল থাইকা একটা অর্ডার হওয়ার মানেই হলো যে গুরুত্বটা। তাদের দিয়ে যদি অখ্যাত ছোট-খাটো জায়গায় একটা লোক একটা রাজাকারকে যদি ধইরা আনা হয়, তখন কিন্তু এটা এর সাথে যায় না। যে কারণে পৃথিবীতে যত বড় বড় ট্রাইব্যুনালেই হইছে, লোকগুলো তো তারা লিডারশিপদের ধরছে। এটা আমাদের ও সাবমিশন হবে সেটা হলো যে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে লিডারশিপের দিকে নজর দেয়া। যারা ইনডিভিজুয়েল উইথ হাইয়েস্ট রেসপনসিবিলিটি। যারা না হইলে আসলে এইসব ছোট-খাটো লোকেরা তৈরি হইত না। ইয়েস, কেইস হইছে সেইটা ঠিক আছে। কিন্তু এরা প্রত্যেকেই কিন্তু কিছু কিছু, কয়েকটা লোক না থাকলে তারা যদি এই ধরনের একটিভিটিতে জড়িত না হইত, তাহলে কিন্তু এই অপরাধগুলা হয় না।
কালকেও উনাদের যে ডিসকাশেনটা হইছে যে, ডিফেন্সের আরগুমেন্টের যে পজিশন, যে তারা আসলেই তারা নাকি এখনও পর্যন্ত ডকুমেন্টের উপরে কোনো ইয়ে করতেছে না। মানে ক্রস করতেছে না।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : বড়ডার ক্ষেত্রে এবং এক পর্যায়ে তাদের করতেই হবে না হয় এটা অ্যাকসেপটেড হয়ে যাবে এজ ইট ইজ এজ ইনট্রডিউস অথবা তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে। বাট এইটা তো চ্যালেঞ্জ করার কিছু নাইও আসলে। কারণ এটা তো ইনভেস্টিগেশনের কোন কিছু...। ইনভেস্টিগেটার শুধু আদার দেন কীভাবে নিছে, কবে নিচ্ছে কার মাধ্যমে নিছে এইগুলা ছাড়া এই বেসিক জিনিসগুলা ছাড়া তারা তো ডকুমেন্ট সম্পর্কে ইনভেস্টিগেটদেরও কিছু বলার নাই। সে শুধু কালেক্ট করছে...।
নিজামুল হক নাসিম : না। এই প্রশ্ন করবে যে, আপনি পত্রিকা অফিসে ভেরিফাই করছেন কিনা, এই লেখাটা সত্য, না মিথ্যা? কইবে করি নাই, এইতো শেষ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওয়েল্ সে এটা করে নাই, এটা মানে পত্রিকায় যেটা বেরিয়েছে সেটা পত্রিকা অফিসে গিয়ে ভেরিফাই করার কোনো কারণ নাই। বাট এনি ওয়ে সে উত্তর দিবে।
নিজামুল হক নাসিম : হেতো পরের কথা। সে বলবে ভেরিফাই করি নাই। ব্যাস, হে.. হে.. হে..।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হি সিমস টুবি সার্মট গাই সো ফার। আপনার দেশের যে কি অবস্থা আসলে। বাংলা নিউজ একটা রিপোর্ট করতেছে দেইখেন, হাতিয়ার আবহাওয়া অফিসে যন্ত্র আছে, মানুষ নেই। চৌদ্দজন লোক থাকার কথা ছিল। চারজন আছে। ১৭টা যন্ত্র আছে আবহাওয়া মাপার জন্য, ৪টা নষ্ট এবং বেশিরভাগই ব্যবহার করা যায় না। কারণ এগুলো চালানোর মতো লোক নেই। বিদ্যুত্ নাই। যে কারণে কম্পিউটারেও চলে না। এই যে হঠাত্ কইরা যে একটা ঘূর্ণিঝড়ে যে এতগুলো লোক মারা গেল...।
ওরে বাবা, সেদিন বুধবারে বাতাসের কিলোমিটার ছিল, মানে গতি ছিল ২৭২ কিলো, এটা একেবারে বুলেট ট্রেইনের চাইতে বেশি।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মাই গড! ডেমরাতে একবার ঝড় হইছিল সেই সময়কার মানে সিপ্ড বাতাসের!
চাকরি দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারের যে ঢিলামি এবং মানে কি জানি কি চাকরিটা মানুষকে কখনোই এমপ্লয় করতে দেয় না। তাতেও ইন্টারেস্ট জড়িত এটার সাথে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ফোন আসছে।
নিজামুল হক নাসিম : এক সেকেন্ড জাস্ট।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ ঠিক আছে।
নিজামুল হক নাসিম : (ফোন রিসিভ করে...কী বাবু? তোমাদেরটা? হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ, সব ঠিক আছে হয়ে যাবে) জী বলেন... (এখানে উল্লেখ্য, পরের দিন বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস বাবু স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ পান)
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সাঈদীর, ও খবর আছে। দেখা যায় বোর্ডের লোকদের ডাকছে পার্লামেন্টে।
নিজামুল হক নাসিম : হুম...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সাঈদীর যে নাম আর বয়স পাল্টানোর...।
নিজামুল হক নাসিম : ইয়েস, ইয়েস, ইয়েস দেখছি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : বোর্ডের তদন্তে ডাকছে। হয় না আমাদের দেশে এমন কিছু নাইরে ভাই! এমন প্রিটেম্লট করবে যে, ভদ্র লোক সব...। থ্যাঙ্কস টু মিডিয়া যে আমরা কিছু কিছু জানতে পারতেছি। আপনার জন্য কিছু আনতে হবে? নাসিম ভাই?
নিজামুল হক নাসিম : কি?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনাদের জন্য দরকার আছে এই এই সব অঞ্চল থেকে।
নিজামুল হক নাসিম : না কিছু দরকার নাই, ওহানে কিছু নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হা.... হা....(হাসি)।
নিজামুল হক নাসিম : হা... হা.. হা... হা....(হাসি)।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এহন দেখি বাংলাদেশে এত কিছু পাওয়া যায়। অনেক কিছু পাওয়া যায়। আগে কিন্তু অনেক রিকুয়েস্ট থাকত...।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ,
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এখন একদম কেউ বলে কিছুই লাগবে না, কারণ মোটামুটি সব জিনিসই এবং একই কোয়ালিটির এভরিথিংস পাওয়া যায়। ইভেন আরও বেটার পাওয়া যায়। কী...অ্যাপার্টমেন্টের পার্টিশন কি এত ঝামেলার জিনিস নাকি?
নিজামুল হক নাসিম : কি...?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই যে পারভীনদের...। ওরাতো ওদের ধানমন্ডির বাড়ি যে ডেভলোপাররে দিছে এবং তারপর নিজেরা-ভাইবোনেরা নিতেছে, ডেভলোপারে যা দিয়েছে...।
নিজামুল হক নাসিম :হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তো সেইটা এখনও পর্যন্ত তো তারা ইয়ে করে নাই আরকি। ভাগ করে নাই আরকি।
oliullahnoman@yahoo.com

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন