॥ আলফাজ আনাম ॥
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ আত্মরক্ষার জন্য বাংলাদেশের নাগরিকদের ওপর গুলি চালিয়ে থাকে- এ দাবি করেছিলেন বিএসএফের সাবেক মহাপরিচালক রমন শ্রীবাস্তব। তিনি গত বছরের জানুয়ারিতে ঢাকায় বসে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালকপর্যায়ের বৈঠকে এ দাবি করেন। তার আরো দাবি ছিল- বাংলাদেশী চোরাকারবারিদের প্রতিরোধ করতে তারা গুলি চালিয়ে থাকেন। এই লেখা যখন লিখছি, তখন বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির একজন সদস্যকে ভারতীয় চোরাকারবারিরা অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার ২১ ঘণ্টা পর ফেরত দিয়েছে। আহত অবস'ায় তাকে এখন ঢাকায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এর আগে বিবিসির খবরে বলা হয়, বিজিবির হাবিলদার লুৎফর রহমান চোরাকারবারিদের হাতে অপহরণের পর হামলায় আহত অবস'ায় ত্রিপুরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ভারতের মাদক চোরাকারবারিদের বাধা দিতে গেলে তাদের সাথে বিজিবি সদস্যদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে তাকে অপহরণ করা হয়। বিজিবি সদস্যরা পাঁচ শ’ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেন। অপহরণের পর বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক হলেও তাকে ফেরত দেয়ার বিষয়টি সম্পন্ন হতে ২১ ঘণ্টা লেগে যায়। এ জন্য বিজিবির মহাপরিচালককে বিএসএফের মহাপরিচালকের সাথে কথা বলতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বিজিবির সদস্যকে রক্তাক্ত অবস'ায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মাথায় কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে। দাঁত ভেঙে দেয়া হয়েছে।
বিএসএফ বরাবর দাবি করে থাকে, বাংলাদেশের চোরাকারবারিদের ঠেকাতে তারা বর্ডারে গুলি চালিয়ে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা করতে বাধ্য হয়। কিন' এই বিজিবি সদস্য অপহরণ ও আহত অবস'ায় উদ্ধারের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হচ্ছে, ভারতের চোরাকারবারিদের সাথে বিএসএফের গভীর সখ্য রয়েছে। এমন হতে পারে, চোরাকারবারিদের হাতে বিজিবি সদস্য অপহরণের সাথে বিএসএফের সম্পৃক্ততা রয়েছে। কারণ এই চোরাকারবারিদের ঠেকাতে বিজিবি গুলি চালিয়েছিল। এ গুলির শব্দ বিএসএফের না শোনার কথা নয়। অথচ এর পরও চোরাকারবারিরা নাকি বিজিবি সদস্যকে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে ধরে নিয়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, তার ওপর এতটাই নির্যাতন করা হয় যে, বিএসএফের ক্যাম্প নয়, হাসপাতালেও ভর্তি করাতে হয়েছে। তাহলে এই বিজিবি সদস্যকে ধরে নিয়ে যাওয়া এবং নির্যাতনের সময় কোথায় ছিল বিএসএফ?
এ ঘটনার এক দিন আগে ভারতের গণমাধ্যমে বিএসএফের বর্বরতার একটি খবর ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে এক বাংলাদেশীকে ধরে নগ্ন করে বাঁশের সাথে বেঁধে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এই বাংলাদেশী যুবকের কাছে বিএসএফ মোবাইল ফোন, টর্চ লাইট ও টাকা ঘুষ চেয়েছিল, তা দিতে না পারায় তার ওপর বর্বর নির্যাতন চালানো হয়। ভারতের টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভি নির্যাতনের পুরো দৃশ্য প্রচার করে। নির্যাতনের পর বিএসএফ তাকে মৃত ভেবে সীমান্তে ফেলে রেখে যায়। এই বর্বর নির্যাতনের দৃশ্য আবার মোবাইল ফোনে ধারণ করে দুই সীমান্ত এলাকায় ছড়িয়ে দেয়া হয়।
এই দু’টি ঘটনা প্রমাণ করে, সীমান্তে ভারতীয় চোরাকারবারি ও বিএসএফ এখন যৌথভাবে বাংলাদেশী নাগরিক ও বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে। এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে সীমান্ত ব্যবস'াপনা পুরোপুরি ভারতের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছে। বিএসএফ বারবার বলে আসছে, আত্মরক্ষার জন্যই নাকি বাংলাদেশীদের ওপর গুলি চালানো হয়। কিন' আজ পর্যন্ত এরা কোনো বাংলাদেশী নাগরিককে অস্ত্রসহ ধরতে পারেনি। আত্মরক্ষা করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিএসএফ সদস্য আহত বা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। যাদের হত্যা করা হয়েছে তারা সবাই সাধারণ নিরীহ বাংলাদেশী নাগরিক। কিশোরী ফালানীকে কাঁটাতারে যখন হত্যা করা হয়, তখন বিএসএফের কি কোনো আত্মরক্ষার প্রয়োজন ছিল? গুলির নিশানা পরীক্ষা ছাড়া বিএসএফের আর কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে হাবিবুর রহমানকে ধরে নিয়ে বিএসএফের নির্যাতনের যে দৃশ্য টেলিভিশনে প্রচার করা হয়েছে, তাতে এই বাহিনীর মধ্যে ন্যূনতম মানবাধিকারের ধারণা যে দেয়া হয় না, তারই প্রমাণ বহন করে। বিএসএফের একের পর হত্যাকাণ্ড ও বর্বর নির্যাতন প্রমাণ করে, তারা বাংলাদেশের মানুষকে শত্রুজ্ঞান করে। তাদের সেভাবেই প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ অনেক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এই বাহিনীকে একটি খুনে বাহিনী হিসেবে অনেক আগেই তুলে ধরেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তথ্য দিয়ে বলছে, বিএসএফ ১০ বছরে এক হাজার বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা করেছে।
বেশ কিছু দিন আগে কানাডা বিএসএফকে বর্বর কিলার ফোর্স হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিএসএফের একজন সাবেক মহাপরিচালককে ভিসা দিতে অস্বীকার করে। দুর্ভাগ্য, বিএসএফ যখন আন্তর্জাতিকভাবে বর্বর বাহিনী হিসেবে পরিচিত হচ্ছে, তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই বাহিনীর সাথে যৌথ সীমান্ত ব্যবস'াপনার নামে যৌথ টহলের। এর আগেও ত্রিপুরা সীমান্তে মদ্যপ অবস'ায় বিএসএফ বাংলাদেশে ঢুকে বাংলাদেশী নাগরিকদের ওপর নির্যাতনের চেষ্টা চালায়। সীমান্তে ভারতীয় চোরাচালানিদের সাথে বিএসএফ একধরনের যৌথ ব্যবস'াপনা গড়ে তুলেছে। এখন বিজিবিকেও এরা এর আওতার মধ্যে আনতে চায়।
বাংলাদেশী নাগরিক নির্যাতনের খবর গণমাধ্যমে প্রচারের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আত্মতুষ্টি নিয়ে বলেছিলেন, এ ঘটনায় আট বিএসএফ সদস্যকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেন বিএসএফের পক্ষে সাফাই গাইছেন। বাংলাদেশের যেখানে উচিত প্রতিবাদের সাথে এ ধরনের ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বর্বরতা তুলে ধরা দরকার ছিল, তখন বাংলাদেশের মন্ত্রী খুশি সাসপেন্ডের ঘটনায়। নিরীহ মানুষকে হত্যা ও নির্যাতনের শাস্তি কি কাউকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা? অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে বলছে বাংলাদেশী তরুণ হাবিবুরের ওপর বিএসএফের অত্যাচারের যে ভিডিও প্রচারিত হয়েছে, সীমান্তে প্রতি মাসে সে রকম বহু ঘটনা ঘটছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা যে কতটা ব্যাপক, এ ঘটনা তার আভাস মাত্র। অ্যামনেস্টি বলছে, বিএসএফ তাদের আট সদস্যকে বরখাস্ত করায় এটা প্রমাণিত হয় না যে, তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে সতর্ক। এ রকম বহু ঘটনায় জড়িত থাকার পরও বিএসএফের বিরুদ্ধে অতীতে ব্যবস'াই নেয়া হয়নি। পশ্চিম বাংলার আরেকটি মানবাধিকার সংস'া মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) বলছে- চর মৌসুরি বর্ডার আউটপোস্টের কাছে গত ১৪ জানুয়ারি এ ঘটনা ঘটেছে। ইউটিউবে এই দৃশ্য আপলোড করার পর এক দিনে ২৫ হাজার লোক এই দৃশ্য দেখেছেন। মানবাধিকার সংস'াটি ঘটনায় জড়িত বিএসএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের বা গ্রেফতার না করায় হতাশা প্রকাশ করেছে। সংস'াটি বলছে, বাংলাদেশী এই নাগরিককে যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন তিনি কোনো অপরাধ করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেননি। তিনি বিএসএফের নিরাপত্তা হেফাজতে ছিলেন। বিএসএফ সদস্যরা তাকে উলঙ্গ করেছে। তার হাত বেঁধে নির্যাতন করেছে। আহত অবস'ায় বারবার তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। মানবাধিকার সংস'াটি বলছে, বিএসএফের এ ধরনের আচরণ অমানবিক এবং গুরুতর অপরাধ। অ্যামনেস্টি ও মানাবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ বিএসএফের বর্বরতার ব্যাপারে যে অবস'ান নিতে পেরেছে, আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ততটুকুও দাবি করতে পারেননি। শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নন, ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের বাণী প্রচারে অধীর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এখন নিশ্চুপ। দায়সারা গোছের একটি বিবৃতির মধ্যে যেন তাদের কর্মকাণ্ড এখন সীমিত হয়ে পড়েছে। কিছু দিন যাবৎ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের নানা আশার বাণী নিয়ে দীপুমনিকেও দেখা যাচ্ছে না। কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলছে- নয়াদিল্লি মনে করে, বাংলাদেশী যুবককে নগ্ন করে মারধর করার ছবি প্রচারের পেছনে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস'া আইএসআইর মদদে মৌলবাদীদের হাত রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার যেমন সব কিছুর মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের হাত আবিষ্কার করছে, ভারত তেমনি সব কিছুতে আইএসআই ও মৌলবাদের সংযোগ আবিষ্কার করছে। মনে হচ্ছে বিএসএফকেও এখন মৌলবাদীরা নিয়ন্ত্রণ করছে। এ ছাড়া বিএসএফে যদি আইএসআই তৎপর থাকে তাহলে বলতেই হবে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী অকার্যকর হয়ে পড়ছে।
সীমান্তে বিজিবি সদস্যকে অপহরণ করা হয়েছে তার একটি কারণ- বিজিবি সীমান্তে সক্রিয় থাকুক তা বিএসএফ যেমন চায় না, তেমনি চোরাকারবারিরাও চায় না। আর বিএসএফ তো চোরাকারবারিদের মদদদাতার ভূমিকা পালন করছে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হচ্ছে, বাংলাদেশের ভূখণ্ডগত নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে যারা নিয়োজিত রয়েছেন, তারা কতটা অসহায় হয়ে পড়েছেন। ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি গতকাল পেট্রাপোলে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর বলেছেন, বিএসএফের নির্যাতনকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখে লাভ নেই। মাঝে মধ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। প্রণব মুখার্জির বক্তব্যে এটা স্পষ্ট- তারা এ ধরনের ঘটনাকে স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে মনে করেন। অপর দিকে এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, সীমান্তে এ ধরনের ঘটনায় রাষ্ট্র চিন্তিত নয়। বাহ, চমৎকার! রাষ্ট্রের একজন নাগরিককে বিদেশী সীমান্তরক্ষী বাহিনী উলঙ্গ করে নির্যাতন করার পরেও সেই রাষ্ট্রের মন্ত্রী বলছেন, তারা এ নিয়ে চিন্তিত নন। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যকে পিটিয়ে থেঁতলে ও দাঁত ভেঙে দেয়ার পরও চিন্তিত নন। তাহলে রাষ্ট্র কী নিয়ে চিন্তিত? টিপাইমুখ ড্যাম নিয়ে রাষ্ট্র চিন্তিত নয়, তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে চিন্তা নেই, নিরীহ বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা নিয়ে চিন্তা নেই, শেয়ারবাজার লুটপাট নিয়েও চিন্তা নেই, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে চিন্তা নেই- এক কথায় এ দেশের মানুষ নিয়েই রাষ্ট্রের চিন্তা নেই। চিন্তা শুধু একটাই প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি কিসে খুশি হবে।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে চোরাকারবারিদের হাতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এভাবে অপহৃত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে এই বার্তা দেয়া হলো, বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী আজ চোরাকারবারিদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম নয়। আজকে আমাদের নতুন করে উপলব্ধির সময় এসেছে, বাংলাদেশের সীমান্ত আজ কতটা নিরাপদ। সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব যাদের, তাদের সক্ষমতা আজ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে? ৫৭ জন চৌকস সেনাকর্মকর্তা হত্যার মধ্য দিয়ে বিডিআর ধ্বংসের পর বাংলাদেশ সীমান্ত যে আজ কতটা অরক্ষিত তার সর্বশেষ উদাহরণ এই বিজিবি সদস্যের অপহরণ। আত্মমর্যাদাহীন ও নতজানু সরকার তার নাগরিকদের যেমন রক্ষা করতে পারছে না, তেমনি সীমান্তরক্ষী বাহিনীকেও দুর্বল করে ফেলা হয়েছে। বিডিআর ধ্বংসের পর থেকে সীমান্তে একের পর এক বিএসএফ নৃশংস কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এত দিন এই নৃশংসতার শিকার হয়েছেন সাধারণ বাংলাদেশী নাগরিকেরা, এখন শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। অরক্ষিত সীমান্ত যে পরাধীন দেশের প্রতিচ্ছবি তা কি আমরা উপলব্ধি করতে পারছি? অনুগত সরকার রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে যেভাবে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করেছে, তখন সাধারণ মানুষের এই উপলব্ধি খুবই জরুরি। কারণ স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষার কঠিন দায়িত্বে তাদের ভূমিকাই বেশি।
alfazananbd@yahoo.com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন