॥ এম জেড মাহমুদ ॥
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘গুম’ নামক এক ভয়াবহ নতুন উপসর্গের আগমন ঘটেছে। এর প্রভাবে উদ্বেগ-আশঙ্কায় কাঁপছে পুরো জাতি। এদিকে নৈরাজ্য আর সন্ত্রাসের অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে দেশ।
সরকারের শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পর্যন্ত বলেছেন, ‘রাজধানী ঢাকায় মানুষের নিরাপত্তা নেই। বাড়িতে ঘুমালে খুন আর বাইরে বেরোলে গুম।’ জাতি আজ চরম দুঃসময়ে দিনাতিপাত করছে। এক দিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির চাকায় পিষ্ট হচ্ছে নিরীহ সাধারণ মানুষ, অন্য দিকে খুন, গুম, অপহরণের প্রতিবাদে হরতাল দিতে হয়। হামলা, গ্রেফতার, হত্যা, নির্যাতন, জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর, অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করছে। খুন, গুম, অপহরণের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় জনগণ অবর্ণনীয় পরিস্থিতির মোকাবেলা করছে। রাজনীতিতে বিদেশী নিয়ন্ত্রণ ও অর্থের প্রভাব যত বাড়তে থাকবে, এ ধরনের ঘটনা তত বেশি ঘটতে থাকবে বলে অনেকে মনে করেন। জনগণের সচেতনতা ও ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ ছাড়া দেশবিরোধী এ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা সম্ভব নয়।
বিএনপির নেতা ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক কিছু ঘটছে। হরতাল দাবি আদায়ের একটি গণতান্ত্রিক অধিকার নিঃসন্দেহে। তবে হরতালের বিকল্প
খুঁজে বের করাই উত্তম।
খুন, গুম, অপহরণ, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস রাজনীতিতে এত প্রবল ছিল না। এ সরকারের আমলেই এসব ঘৃণিত কর্মকা চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থ। এ কারণে এসব অপরাধ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের ধরে আইনের আওতায় আনতে পারলে অপরাধ ও সন্ত্রাস কিছুটা হলেও হ্রাস পেত। ইলিয়াস আলীর গুমকে কেন্দ্র করে আহূত হরতাল ঠেকানোর জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ঘুষ কেলেঙ্কারি থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে ফেরাতেই ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়েছে। এখন ইলিয়াস আলীকে ফিরে পাওয়ার জন্য যারা আন্দোলন করছেন, তাদের নামে মামলা দিচ্ছে সরকার। এতে মনে হয়, দেশে কোনো সরকার নেই। দেশ পরিচালনায় সরকারের যদি নিয়ন্ত্রণ থাকত, তাহলে ইলিয়াস আলীকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিত।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দাবি করেন, বিরোধী দল ইলিয়াস উদ্ধার নয়; এটা নিয়ে রাজনীতি করতে চায়। তাকে উদ্ধার করতে সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‘দিন-রাত পরিশ্রম’ করে যাচ্ছে বলেও তাঁর দাবি। যত দিন তাকে খুঁজে পাওয়া না যাবে, তত দিন না কি অভিযান অব্যাহত থাকবে। সরকারি দল চাচ্ছে হামলা-মামলা করে বিরোধী দলকে দাবিয়ে রাখতে। প্রতিক্রিয়ায় বিরোধী দল চাচ্ছে হরতাল দিয়ে সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে। দেশের মানুষ মোটা কাপড় পরে মোটা ভাত খেয়ে বাঁচতে চায়। তারা সন্ত্রাস, নির্যাতন, খুন, গুমের রাজনীতি পছন্দ করে না। তারা সবার স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল রাজনীতি দেখতে চায়। দেশে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা যাতে অব্যাহত না থাকে সে জন্য কায়েমি স্বার্থবাদী মহল তৎপর। এ কারণেই গণতন্ত্রের মূল্যবোধে বিশ্বাসী জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব অপশক্তিকে রুখতে হবে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘গুম’ নামক এক ভয়াবহ নতুন উপসর্গের আগমন ঘটেছে। এর প্রভাবে উদ্বেগ-আশঙ্কায় কাঁপছে পুরো জাতি। এদিকে নৈরাজ্য আর সন্ত্রাসের অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে দেশ।
সরকারের শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পর্যন্ত বলেছেন, ‘রাজধানী ঢাকায় মানুষের নিরাপত্তা নেই। বাড়িতে ঘুমালে খুন আর বাইরে বেরোলে গুম।’ জাতি আজ চরম দুঃসময়ে দিনাতিপাত করছে। এক দিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির চাকায় পিষ্ট হচ্ছে নিরীহ সাধারণ মানুষ, অন্য দিকে খুন, গুম, অপহরণের প্রতিবাদে হরতাল দিতে হয়। হামলা, গ্রেফতার, হত্যা, নির্যাতন, জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর, অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করছে। খুন, গুম, অপহরণের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় জনগণ অবর্ণনীয় পরিস্থিতির মোকাবেলা করছে। রাজনীতিতে বিদেশী নিয়ন্ত্রণ ও অর্থের প্রভাব যত বাড়তে থাকবে, এ ধরনের ঘটনা তত বেশি ঘটতে থাকবে বলে অনেকে মনে করেন। জনগণের সচেতনতা ও ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ ছাড়া দেশবিরোধী এ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা সম্ভব নয়।
বিএনপির নেতা ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক কিছু ঘটছে। হরতাল দাবি আদায়ের একটি গণতান্ত্রিক অধিকার নিঃসন্দেহে। তবে হরতালের বিকল্প
খুঁজে বের করাই উত্তম।
খুন, গুম, অপহরণ, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস রাজনীতিতে এত প্রবল ছিল না। এ সরকারের আমলেই এসব ঘৃণিত কর্মকা চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থ। এ কারণে এসব অপরাধ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের ধরে আইনের আওতায় আনতে পারলে অপরাধ ও সন্ত্রাস কিছুটা হলেও হ্রাস পেত। ইলিয়াস আলীর গুমকে কেন্দ্র করে আহূত হরতাল ঠেকানোর জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ঘুষ কেলেঙ্কারি থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে ফেরাতেই ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়েছে। এখন ইলিয়াস আলীকে ফিরে পাওয়ার জন্য যারা আন্দোলন করছেন, তাদের নামে মামলা দিচ্ছে সরকার। এতে মনে হয়, দেশে কোনো সরকার নেই। দেশ পরিচালনায় সরকারের যদি নিয়ন্ত্রণ থাকত, তাহলে ইলিয়াস আলীকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিত।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দাবি করেন, বিরোধী দল ইলিয়াস উদ্ধার নয়; এটা নিয়ে রাজনীতি করতে চায়। তাকে উদ্ধার করতে সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‘দিন-রাত পরিশ্রম’ করে যাচ্ছে বলেও তাঁর দাবি। যত দিন তাকে খুঁজে পাওয়া না যাবে, তত দিন না কি অভিযান অব্যাহত থাকবে। সরকারি দল চাচ্ছে হামলা-মামলা করে বিরোধী দলকে দাবিয়ে রাখতে। প্রতিক্রিয়ায় বিরোধী দল চাচ্ছে হরতাল দিয়ে সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে। দেশের মানুষ মোটা কাপড় পরে মোটা ভাত খেয়ে বাঁচতে চায়। তারা সন্ত্রাস, নির্যাতন, খুন, গুমের রাজনীতি পছন্দ করে না। তারা সবার স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল রাজনীতি দেখতে চায়। দেশে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা যাতে অব্যাহত না থাকে সে জন্য কায়েমি স্বার্থবাদী মহল তৎপর। এ কারণেই গণতন্ত্রের মূল্যবোধে বিশ্বাসী জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব অপশক্তিকে রুখতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন