শনিবার, ২ জুন, ২০১২

ইতিহাসই নির্ধারণ করবে কে হারিয়ে যাবে আর কে টিকে থাকবে




ইকতেদার আহমেদ
সেদিন পত্রিকার পাতা খুলতেই একটি খবরের শিরোনাম দৃষ্টি আকর্ষণ করল। শিরোনাম দেখেই ধারণা পাওয়া গেল কাকে নিয়ে এ মন্তব্য করা হয়েছে। মন্তব্যটি করেছেন ক্ষমতাসীন দলের সংসদীয় উপনেতা তার ৭৭তম জš§দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে কেক কাটার অব্যবহিত পর সাংবাদিকদের কাছে তার গুলশানের বাসভবনে নিজ দল ও অঙ্গসংগঠনসমূহের নেতাকর্মীদের উপ¯ি’তিতে। সংবাদটি সম্পূর্ণ পাঠ করার পর আরও জানা গেল, তাতে বর্তমান বিরোধীদলীয় নেত্রী ও তার প্রয়াত স্বামী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা ও দেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি বিষোদগার করা হয়েছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ইউনূসরা ক্ষণ¯’ায়ী। এরা কিছুদিনের জন্য আসে আবার চলে যায়। তাই ইউনূসও একদিন হারিয়ে যাবে।’ বিরোধীদলীয় নেত্রীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া কোনদিন রাজনীতি করেননি। তার স্বামী কিছু সময় ক্ষমতা দখল করে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন। পরে তিনি তার স্বামীর সেই ধারা বজায় রাখেন।’
পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদায় ক্ষমতাসীন দলের সংসদীয় উপনেতা বর্তমান সরকার ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ক্ষমতাসীন থাকাকালীন একটি মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সে সময় তিনি মন্ত্রী হিসেবে সফল না বিফল সে মূল্যায়ন দেশবাসী ইতিমধ্যে করে ফেলেছে। তার দল দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর দলের এক কনিষ্ঠ নেতা প্রথমত প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তার আগের মন্ত্রণালয়ের ¯’লাভিষিক্ত হন। পরে দেশীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ওই নেতা কার্যকর ভূমিকা পালন করার কারণে প্রধানমন্ত্রী সš‘ষ্ট হয়ে তাকে পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদায় উন্নীত করে একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনে অব্যাহত রাখেন। নিঃসন্দেহে ক্ষমতায় আরোহণের মাঝপথে সামগ্রিকভাবে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন প্রতিমন্ত্রীকে পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদায় পদোন্নতি এবং তাকে দিয়ে একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করানো তার কর্মকাণ্ডের প্রতি দল ও সরকারের শীর্ষ ব্যক্তির আ¯’া এবং বিশ্বাসের পরিচায়ক। 
মন্তব্যকারী উপনেতার ¯’লাভিষিক্ত মন্ত্রী বৈশ্বিক উষ্ণতার হুমকি মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণ করে যেভাবে প্রতিনিয়ত দেশ ও বিদেশে সমন্বিতভাবে গৃহীত পরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়নের পথে সফলতার সঙ্গে অগ্রসর হ”েছন, তাতে যে স্বীয় দলের একই মন্ত্রণালয়ের আগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর কার্যকলাপ অদক্ষতা ও অব্যব¯’াপনার বেড়াজালে আবদ্ধ হয়েছিল, তা দেশের সচেতন জনমানুষ যথার্থই উপলব্ধি করতে পেরেছেন। 
এ কথা অনস্বীকার্য, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশী হিসেবে একমাত্র ও প্রথম এবং বাঙালি হিসেবে তৃতীয় নোবেল বিজয়ী। বাঙালি হিসেবে প্রথম নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ এবং দ্বিতীয় অমর্ত্য সেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামের হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বন্ধকবিহীন ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে সংগঠিত করে দারিদ্র্য বিমোচনের পথে আÍনির্ভরশীলতার যে আলোকবর্তিকা দেখিয়ে চলেছেন, এর সুদূরপ্রসারী প্রভাবে গ্রামীণ অর্থনীতির ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করার অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য যে এটিই, সে বিষয়টি একমাত্র তারাই উপলব্ধি করতে সক্ষম, যাদের জ্ঞানের প্রসারতা ও গভীরতা রয়েছে। 
নোবেল জয়ী প্রথম বাঙালি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতবর্ষ ও এশিয়ারও প্রথম নোবেল বিজয়ী। রবীন্দ্রনাথের খ্যাতি দেশ, উপমহাদেশ ও মহাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে আজ বিশ্বব্যাপী। রবীন্দ্রনাথের সৃষ্ট সাহিত্য নিয়ে তৎকালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অধ্যাপক উপহাস করলেও আজ সে অধ্যাপকরা স্মৃতির অতল গহ্বরে হারিয়ে গেছেন। আমাদের জাতীয় কবি নজর“ল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হলেও বাংলা সাহিত্যে তিনি যে অবদান রেখে গেছেন, তা চির অম্লান ও চির ভাস্বর। তার লেখা কবিতা ও গানের বাইরে হামদ্, নাত ও গজল একদিকে যেমন ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করে, তেমনি অপরদিকে তার লেখা ভজন, কীর্তন ও শ্যামা সঙ্গীত ধর্মপ্রাণ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিমোহিত করে। তার বিদ্রোহী কবিতা বিশ্বসাহিত্যের এক অনন্য সৃষ্টি। বিশ্বসাহিত্যে এ কবিতার সমমানের দ্বিতীয় কবিতা খুঁজে পাওয়া দুরূহ। এ কবিতা ও অন্যান্য সৃষ্টির আলোকে নজর“লের যথাযথ মূল্যায়ন বাংলা সাহিত্যসহ বিশ্বসাহিত্যে তার অব¯’ান আরও সুদৃঢ় করবে, এ বিষয়ে সাহিত্যাঙ্গনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকেই অভিমত পোষণ করেন। রবীন্দ্রনাথ-নজর“ল কিছুদিনের জন্য আসেননি। বাঙালি জাতির অস্তিত্বের সঙ্গে উভয়ের অস্তিত্ব মিশে আছে। উভয়ের মৃত্যু-পরবর্তী গ্রহণযোগ্যতা ও অবদানের স্বীকৃতি বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। 
বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলা পলাশীর যুদ্ধে স্বজাতীয়দের ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসঘাতকতার কারণে পরাভূত হলেও বীর ও দেশপ্রেমিক হিসেবে ইতিহাসে ঠাঁই পেয়েছেন। অপরদিকে ষড়যন্ত্রকারী মীর জাফর ইংরেজদের সাহায্য নিয়ে বিজয়ী হয়ে ক্ষণকালের জন্য নবাবের মসনদে আসীন হলেও ইতিহাসে তার ঠাঁই হয়েছে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে। তাই মীর জাফর নামটি আজ বিশ্বাসঘাতকের প্রতিশব্দ ও ঘৃণীত। এ কারণে মীর জাফরের মৃত্যু-পরবর্তী উভয় বাংলায় মীর জাফর নামে কোন শিশুর নামকরণ করা হয়েছে, এমন দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় না। 
পূর্ব বাংলার বাঙালিদের উদারতা ও মহত্ত অনবদ্য, যে কারণে রবীন্দ্রনাথের অব¯’ান বঙ্গভঙ্গ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ে প্রতিকূল হলেও এ অঞ্চলের বাঙালিরা কালের বিবর্তনে তা ভুলে গিয়ে যথার্থই তাকে মূল্যায়ন করে তার রচিত গানকেই জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদায় ঠাঁই দিয়েছেন। এ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু প্রথম সুযোগেই আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজর“ল ইসলামকে বিশেষ ব্যব¯’ায় ঢাকায় এনে পরবর্তী সময়ে আমৃত্যু এ দেশের জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। নজর“লের প্রতি বঙ্গবন্ধুর বিশেষ এ মমত্ববোধ গুণীজনের প্রতি সম্মানেরই বহিঃপ্রকাশ। কিš‘ আজ আমাদের নেতৃ¯’ানীয় অনেকের মধ্যে কেন গুণীজনের প্রতি সম্মানবোধের অনুপ¯ি’তি?
চাঁদের কলংক চাঁদের একান্তই আপন। চাঁদ তার কলংক নিজের মধ্যে ধারণ করে থাকে, যা অমাবস্যার অমানিশায় বিলীন আর পূর্ণিমার ঔজ্জ্বল্যে মলিন। তাই রবীন্দ্রনাথ-নজর“ল-ইউনূসÑ এ ধরনের বরেণ্য ব্যক্তির চরিত্র বা দেহে কোন ধরনের কলংকের তিলক থেকে থাকলেও তা খ্যাতি ও গুণের দ্যুতিতে ম্লান। ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ যথার্থই বলেছেন, ‘যে দেশে গুণীজনরা সম্মান পায় না, সে দেশে গুণীজন জš§ায় না।’ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর উক্তির অনুসরণে আমরা যদি বলি, এ দেশে গুণীজন জš§ায়নি, তবে তা হবে ভুল। আমরা আমাদের মনের সংকীর্ণতার কারণে গুণীজনদের সম্মান না দেখানো ও স্বীকৃতি না দেয়ার কারণে গুণীজনদের চেয়ে আমরা নিজেরাই অনেক বেশি বিতর্কিত হয়ে পড়ছি। আমাদের মধ্যে যারা এ বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন, তারা যে একদিন হারিয়ে যাবেন, তা ইতিহাসের ধারাবাহিকতা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়। 
ড. ইউনূসের খ্যাতি আজ বিশ্বব্যাপী। নোবেল পুরস্কার দ্বারা ভূষিত হওয়ার আগে ও পরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সর্বো”চ রাষ্ট্রীয় উপাধি দ্বারা ভূষিত হয়েছেন এবং হ”েছন। এর সংখ্যা অগণিত। তাছাড়া পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সংসদে তার ভাষণ দেয়ার বিরল সুযোগ হয়েছিল। এ ধরনের ব্যক্তির সংখ্যা পৃথিবীতে নগণ্য, হাতেগোনা। আন্তর্জাতিকভাবে ড. ইউনূসের অব¯’ান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের অনেক অগ্রে। কিš‘ আমাদের নিজ দেশে আমরা যদি ড. ইউনূসকে নিয়ে তু”ছ-তা”িছল্য করে অমর্ত্য সেনের প্রতি অধিক সম্মান দেখাই, এতে করে দেশ ও বিশ্বের দরবারে আমরা নিজেদেরই তু”ছ-তা”িছল্য ও উপহাসের পাত্রে পরিণত করব। আমাদের সরকারি দলের সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং যখন ড. ইউনূসকে বিশ্বব্যাংকের প্রধান হিসেবে দেখতে আগ্রহী, তখন তারই সংসদ উপনেতার জনসম্মুখে ড. ইউনূস সম্পর্কিত কটাক্ষপূর্ণ উক্তি ড. ইউনূসের চেয়ে তার নেত্রীর জন্য যে অধিক বিব্রতকর, এ বিষয়টি দেশের বিবেকবান মানুষের উপলব্ধিতে এলেও কেন তার উপলব্ধিতে এলো না, সে প্রশ্ন আজ বিভিন্ন মহল থেকে উ”চারিত হ”েছ।
বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির অবিস্মরণীয় ও অবিসংবাদিত নেতা। তার নেতৃত্ব মেনেই তার অনুপ¯ি’তিতে স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল। তার পারিবারিক ও রাজনৈতিক বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ ছিল বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক শাসনব্যব¯’ার অবসান এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ। যে বঙ্গবন্ধু সারাজীবন গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন, তার হাতে যখন গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ক্ষুণœ হল তখন তা দেশবাসী সহজভাবে নেয়নি। এ দেশে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকলে ১৯৭৫-এর বিয়োগান্তক ঘটনার মাধ্যমে সামরিক শাসনের সূত্রপাত হয়তো হতো না।
মন্তব্যকারী উপনেতার ড. ইউনূস, খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমান সংক্রান্ত মন্তব্য যে অনভিপ্রেত, স্ববিরোধী এবং হিংসা ও বিদ্বেষপ্রসূত তা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। খালেদা জিয়া রাজনীতি করেছেন কী করেননি, তার স্বামী কর্তৃক গণতন্ত্রের ধ্বংস হয়েছিল কী হয়নি এবং তিনি তার স্বামীর ধারা বজায় রেখেছেন কী রাখেননিÑ এসব প্রশ্নের উত্তর বোধকরি দেশবাসীর জানা হয়ে গেছে। তাই তো সে বিষয়ে দেশবাসী ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। দেশবাসীর সিদ্ধান্তে তিনি পূর্ণ মেয়াদে দু’বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছেন। যে দুটি জাতীয় নির্বাচন তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিয়েছিল, উভয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় এর গ্রহণযোগ্যতা ছিল সর্বজনীন। খালেদা জিয়ার প্রয়াত স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঘটনাপ্রবাহের আনুকূল্যে মহান হতে পেরেছিলেন। একদলীয় শাসনব্যব¯’া থেকে বহুদলীয় শাসনব্যব¯’ায় উত্তরণ এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে তার অনন্য অবদান জাতির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে আছে। 
বঙ্গবন্ধু-জিয়াউর রহমান-ড. ইউনূস স্বমহিমায় মহিমান্বিত। এ তিনজনের মধ্যে দুজন প্রয়াত, একজন জীবিত। আমরা তাদের যে কারও অবদানকে যদি খাটো করে দেখার চেষ্টা করি, তাদের বিষয়ে অমর্যাদাকর মন্তব্য করি, তাতে তাদের সম্মান এতটুকুও ক্ষুণœ হবে না, যতটুকু না ক্ষুণœ হবে মন্তব্যকারীর সম্মান। ইতিহাস তার অমোঘ নিয়মে যার যতটুকু সম্মান প্রাপ্য ততটুকু দিয়েই তাকে নিজ বুকে ঠাঁই দেয়। ইতিহাসে কেউ সমাদৃত হয়ে টিকে থাকেন, কেউ নিন্দিত হয়ে টিকে থাকেন, আবার কেউবা ইতিহাস থেকে হারিয়ে যান। এটাই ইতিহাসের অমোঘ নিয়ম। এরপর আর কি বোঝার বাকি আছেÑ কে নন্দিত হয়ে টিকে থাকবেন আর কে নিন্দিত হয়ে হারিয়ে যাবেন?
ইকতেদার আহমেদ : সাবেক জজ ও সাবেক রেজিস্ট্রার, সুপ্রিম কোর্ট
রশঃবফবৎধযসবফ@ুধযড়ড়.পড়স 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন