ড. মু হা ম্ম দ ই য়া হ্ ই য়া আ খ তা র
পরিবর্তনশীল বাংলাদেশী সংস্কৃতিতে দুর্নীতি এর নিজ¯^ স্থান করে নিয়েছে। দুুর্নীতিবাজরা আজ কালো টাকা দিয়ে সামাজিক মর্যাদা ক্রয়ে স¶ম হচ্ছে। সংস্কৃতির বিষয়বস্তুতে যুক্ত হচ্ছে অনিয়ম, প্রতিশ্র“তি ভঙ্গ এবং দুর্নীতির মতো বিষয়। যে কুশল জিজ্ঞাসা দিয়ে বাঙালি সংস্কৃতিতে পারস্পরিক আলাপনের সূচনা হতো, সে ¶েত্রে সম্প্র্রতি পরিবর্তন এসেছে। মেট্রোপলিটন এলাকায় এখন কদাচিৎ কুশল জিজ্ঞাসা দিয়ে আলাপনের সূচনা হয়। কারণ, সমস্যাসঙ্কুল সমাজ আর কাঁচা বাজারের উত্তাপে সাধারণ মানুষ যে ভালো নেই তা প্রায় সবাই জেনে গেছে। সে জন্য এখন প্রায়শই ‘কী ভাই কেমন আছেন’ বলে পারস্পরিক আলাপন শুর“ হয় না। যদিও দশ বছর আগে সাধারণ আলাপনের সূচনা এমনভাবেই হতো এবং এর উত্তরও ছিল প্রায় একই রকম। উত্তরে সাধারণত বলা হতো, জ্বি ভালো আছি, আপনারা সবাই কেমন আছেন? এ প্রশ্নের উত্তরে প্রথম প্রশ্নকারী একইভাবে ইতিবাচক জবাব দিতেন। এখন পারস্পরিক দেখা-সা¶াতে কদাচিৎ কেউ কুশলাদি জিজ্ঞাসা করলেও তার ইতিবাচক উত্তরের পরিবর্তে নেতিবাচক উত্তরই পান বেশি। পারস্পরিক আলাপনের সূচনায় এখন কুশলাদি জিজ্ঞাসার স্থান দখল করে নিচ্ছে সাম্প্র্রতিক সমস্যা। এসব সমস্যার মধ্যে অনেক ¶েত্রেই থাকে জীবন-সংগ্রামের ছোট ছোট দুঃখ-ব্যথা আর অনুশোচনা। দু’-একটি আলাপনের নমুনা দিলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। চট্টগ্রামের লালখান বাজারের মধ্যবিত্ত পরিবারের দু’জন পুর“ষ প্রতিবেশীর ২০১২ সালের এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহের একটি আলাপনের সূচনা শুনুন :
ক : ভাই সাহেব কাল সারাটা রাত কারেন্ট ছিল না। একবার আসে, আবার পাঁচ মিনিট পর চলে যায়। এক মিনিটও ঘুমাতে পারিনি। আপনাদের ওখানে কারেন্ট ছিল?
খ : নারে ভাই অবস্থা খুবই খারাপ। বিদ্যুৎ তো কাজীর গর“, কেতাবে আছে গোয়ালে নেই। সরকার হাজার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে বলে ফিরি¯ি— দিচ্ছে, কিন্তু সে বিদ্যুৎ যাচ্ছে কই?
ক : বিদ্যুৎ মনে হয় চৌধুরী আলম বা ইলিয়াসের মতো গুম হয়ে যাচ্ছে।
খ : (হাসি দিয়ে) আলম-ইলিয়াস তো আর দেখাই দিল না, কিন্তু মি. বিদ্যুৎ যে মাঝে মধ্যে এসে দেখা দিয়ে যায়।
এবার শুনুন রাজধানীর শ্যামলীর পিসিকালচার হাউজিং সোসাইটির দুই শি¶িত, চাকরিজীবী, মধ্যবিত্ত পরিবারের দু’জন রাজনীতিসচেতন গৃহিণীর একই সময়ের আলাপনের সূচনা :
গ : জানেন দিদি কাল মোহাম্মদপুর বাজারে এক কেজি পেঁপে বিক্রি হয়েছে ষাট টাকায়! কবে যে একশ’ টাকা হবে সেই ভয়ে আছি।
ঘ : আপা কী শোনালেন! হাঁ ভগবান এসব দেখার জন্যই কি বাঁচিয়ে রেখেছ? কী খেয়ে বাঁচবো আপা, সবকিছুতে তো ভেজাল।
গ : এ সরকার তো জিনিসপত্রের দাম কমাবার কথা বলে ¶মতায় এসেছিল, কিন্তু কই?
ঘ : আপা এ সরকারের কথা আর বলবেন না। এ সরকার খারাপ সরকার। এটা একটা নাই নাই সরকার। গ্যাস নাই, পানি নাই, বিদ্যুৎ নাই, নিরাপত্তা নাই। এ সরকারকে অনেক আশা নিয়ে ভোট দিয়েছিলাম। এখন মনে হচ্ছে এ সরকারকে আর ভালোবাসা যায় না। সরকারের সাড়ে তিন বছরের কাজকর্ম দেখার পর নিশ্চয়ই এ সরকারকে আর কেউ ভালোবাসবে না।
গ : কেন ভালোবাসবে না দিদি, আমি-আপনি হয়তো ভালোবাসব না, কিন্তু অনেকেই ভালোবাসবে। যারা দুর্নীতি করে রাতারাতি অনেক টাকা করেছে তারা ভালোবাসবে। টেন্ডারবাজরা ভালোবাসবে, দুর্নীতিবাজরা ভালোবাসবে। বাসবে না?
ওপরের দুটি আলাপনের সূচনায় কুশলাদি জিজ্ঞাসা স্থান না পেয়ে স্থান পেয়েছে সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সমস্যা। দেখা যাচ্ছে, যেসব সমস্যায় জনজীবন জর্জরিত হচ্ছে পারস্পরিক আলাপনের সূচনায় কুশলাদি বিনিময়ের পরিবর্তে সেসব বিষয় স্থান করে নিচ্ছে। দুর্নীতির প্রতি সরকারের নমনীয় মনোভাবে জš§ নেয়া ¶োভও এসব আলাপনের সূচনায় ঠাঁই পেয়েছে। সরকারের এহেন মনোভাবে বিরক্ত হয়ে একজন আলাপনকারী এ সরকারকে দুর্নীতিবাজদের ভালোবাসার কথা বলছেন। একটু খতিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে এ সরকারকে দুর্নীতিবাজরা প্রকৃতই ভালোবাসে কিনা।
কালো কালো মানুষগুলো মহাজোট সরকারকে বড়ই ভালোবাসে। এ সরকারের প্রশংসায় এরা পঞ্চমুখ। এরা জাপানি ভঙ্গিমায় কোমর ভেঙে সামনে মাথা ঝুঁকিয়ে মহাজোট সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানায়। এদের হাতে সরকার বন্দনার তসবিহ। ঠোঁটে উচ্চারিত অব্যাহত শোকরানা জিকির। একটি মাত্র বাক্যে কৃতজ্ঞতার হƒদয়ছোঁয়া মারফতি সুরে এদের কণ্ঠে উচ্চারিত হয় সরকারের প্রতি মঙ্গল কামনা : ‘মহাজোট সরকার দীর্ঘজীবী হোক’, ‘মহাজোট সরকার দীর্ঘজীবী হোক’, ‘মহাজোট সরকার দীর্ঘজীবী হোক’। এরা নীরবে ড্রয়িংর“মের সোফায় বসে দু’চোখ বন্ধ করে তসবির দানা ঘোরায়। চোখে এদের হাজার টাকার নোটের হালকা গোলাপি আভার ঝিলিক। কিন্তু খুব বেশি¶ণ এরা সরকার বন্দনায় নিয়োজিত থাকতে পারে না। কারণ, এ সরকারামলে এরা ব্য¯—তায় পেরেশান। সামাজিক ব্য¯—তা, রাজনৈতিক ব্য¯—তা, সাংস্কৃতিক ব্য¯—তা, আরও অনেক রকম ব্য¯—তা। সাপ্তাহিক ছুটিতে এরা প্রতিবেশী দেশে বেড়াতে যায়, বিয়ের বাজার করে ব্যাংকক-সিঙ্গপুরে। এদের মানিব্যাগে নানা রকম ক্রেডিট কার্ড। এসব কার্ড দিয়ে যে কোন দেশে টাকা খরচ করে। এরা ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করতে বিদেশে পাঠায়। এরা অভিজাত এলাকায় নামে-বেনামে ঘন ঘন ফ্ল্যাট কেনে, গাড়ির মডেল পরিবর্তন করে ফি-বছর। সচিবালয়ের প্রতিটি অফিস এদের চেনা। মন্ত্রীপাড়ায় এদের অবাধ আনাগোনা। এরা রাতে ক্লাবে যান। এরা কম খান, পান করেন বেশি। এরা বাংলাদেশের কালো মানুষ। দুষ্ট (?) লোকেরা এদের দুর্নীতিবাজ বলেন। এরা মহাজোট সরকার আমলে সবচেয়ে ভালো আছে। পারতপ¶ে কেউ এদের উত্ত্যক্ত করেন না। কারণ, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব, দুদক, সবাই এদের খুঁটির জোর জানে। সে জন্য সবাই এদের মানে। ভুল করে কেউ কাছে গেলে মিষ্টি কথা আর বড় বড় হাতি-ঘোড়ার খবরসহ হুমকি-ধামকি খেয়ে চাকরি হারাবার ভয় নিয়ে তারা ফিরে যান। অথচ এই তো মাত্র কয়েক বছর আগেও এদের তেমন কিছুই ছিল না। বাজারে গিয়ে কিনতে পারত না একটি দামি মাছ। কিন্তু এখন এরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। পাঁচ বছর আগেও এরা অভাবের কথা ভাবত, ভাবত সামনের বছরে কিছুটা সচ্ছলতা আনতে পারবে কিনা। আর এখন এরা শত শত কোটি টাকা নিয়ে ভাবে। নতুন ব্যাংক, বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যবসা, বিনিয়োগের কথা ভাবে।
মাননীয় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রীর (বদর“দ্দীন উমরের ভাষায়, ‘ম¯— এবং ঘোরেল দুর্নীতিবাজ’) বির“দ্ধে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ করলেও সে অভিযোগপত্র প্রকাশ করা হয় না। মন্ত্রী মহোদয়ের মন্ত্রণালয় বদল হলেও মন্ত্রিত্ব যায় না। আরেক মন্ত্রণালয়ে কর্মচারী নিয়োগের ব্যাপক দুর্নীতির খবর ছড়িয়ে পড়ে। মন্ত্রীর এপিএস গভীর রাতে ‘ঘুষের টাকা’র ব¯—াসহ বিজিবি সদর দফতরে হাতেনাতে ধরা পড়ার পর তাদের রহস্যজনকভাবে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে যে ড্রাইভার এদের ধরিয়ে দিল সেই আলী আজমের কোন খোঁজ নেই। মন্ত্রী মহোদয় পদত্যাগ করলেও তাকে আবার দফতরবিহীন মন্ত্রী করে সরকার দুর্নীতিকারীদের কী মেসেজ দিতে চায়, তা বোধগম্য নয়। এ সরকারের আমলে কালো কালো লোকগুলোই ভালো আছে। এ দুর্নীতিকারীরা নির্বিঘেœ দুর্নীতি করে যেতে পারছে। কারণ, এ সরকারের আমলে দুর্নীতি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেলেও একজন দুর্নীতিকারীরও শা¯ি— হয়নি, যা দেখে দুর্নীতিকারীরা ফ্রিস্টাইলে দুর্নীতি করা থেকে কিছুটা বিরত হওয়ার কথা ভাবতে পারেন। কারণ, দুর্নীতি তো অনেকটা ভাইরাসের মতো। নিয়ন্ত্রণ না করলে এ ব্যাধি বাড়তেই থাকে।
সরকার এখন দুর্নীতির ব্যাপারে ম্রিয়মাণ ভ‚মিকা নিলেও নির্বাচনের আগে সরকারি দল দুর্নীতির বির“দ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে দলটির নির্বাচনী ইশতেহারে কঠোর পদ¶েপ গ্রহণের প্রতিশ্র“তি দিয়েছিল। কিন্তু ওই প্রতিশ্র“তি এখন ভারতের সম্মানিত অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির আইলায় ¶তিগ্র¯—দের ঘরবাড়ি তৈরি করে দেয়ার প্রতিশ্র“তির মতোই চরিত্র ধারণ করেছে। দুর্নীতিবিরোধী ভোটারদের সমর্থন পাওয়ার অভিপ্রায়ে তখন আওয়ামী লীগ যেসব দুর্নীতিবিষয়ক অঙ্গীকার করেছিল তার মধ্যে ছিল : দুদককে শক্তিশালী ও ¯^াধীন করা, ন্যায়পাল ও মানবাধিকার কমিশন গঠন করা, মূল্যসন্ত্রাসী সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়¶মতার মধ্যে নিয়ে আসা, মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদের হিসাব গ্রহণ ও প্রকাশ করা, প্রশাসনিক ¯^চ্ছতা নিশ্চিত করার ল¶্যে প্রশাসনকে দলীয়করণমুক্ত করা প্রভৃতি। এসব প্রতিশ্র“তির একটিও সরকার প্রথম সাড়ে তিন বছরে বা¯—বায়ন করতে পারেনি। নামে একটি মানবাধিকার কমিশন করলেও তা ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে আছে। এ কমিশন এমনই শক্তিশালী যে, এর সম্মানিত চেয়ারম্যান জেলখানার মানবাধিকার পরিস্থিতি দেখার জন্য জেলে গিয়ে ঢুকতে ব্যর্থ হন।
দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের ল¶্যে সবচেয়ে ভালো হতো, যদি সরকার দুদককে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে ¯^াধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিত। কিন্তু সরকার তা না করে কাজ করেছে উল্টো। কারণ, দুদক ¯^াধীন হয়ে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্তভাবে কাজ করতে চাইলেও সরকার চায় দুদককে নিয়ন্ত্রণকারী আইনের অধীনে কাজ করতে দিতে। ওই সময় মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে এ প্রাসঙ্গিক আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই দুদক ¯^াধীন সংস্থা হিসেবে কাজ করবে। এটি আরও শক্তিশালী ও কার্যকর হবে তাও আমরা চাই। তবে ¯^াধীনতা মানে এই নয় যে, তারা ইচ্ছা-খুশিমতো চলবে। তাদের একটি নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপ¶ থাকা উচিত। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে সরকারি মনোভাব বিধৃত হয়। এ মনোভাবে উদ্বুদ্ধ হয়ে সরকার ২০১০ সালে দুদক আইনে ১১ দফা সুপারিশ এনে দুদক ও সুশীল সমাজের অনুরোধ উপে¶া করে ওই আইন পাস করে দুদক চেয়ারম্যানের ভাষায় দুদককে নখ-দাঁতহীন বাঘে রূপাš—রিত করেছে। এ আইন পাস হওয়ার পর দুদক দুর্নীতিকারীদের জন্য একটি নিরাপদ বাঘে পরিণত হয়, যে বাঘ শুধু দুর্নীতির বির“দ্ধে গর্জন করতে পারবে, কিন্তু সরকারি অনুমতি ব্যতীত দুর্নীতিকারীদের কামড়াতে পারবে না। সরকার আসলে দুদককে ¯^াধীনতা দিতে চায়নি, পরিবর্তে একে একটি সরকারি অধ¯—ন প্রতিষ্ঠানে রূপাš—রিত করতে চেয়েছে। দুদক আইনের সংশোধনী পাস হওয়ার পর দুদকের সঙ্গে পূর্বতন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর আর উলেখযোগ্য পার্থক্য থাকল না। এ আইন পাসের পর সরকার-ঘনিষ্ঠ দুর্নীতিকারীরা খুবই খুশি হন এবং তারা মনের আনন্দে নির্ভয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি কালো টাকা উপার্জন শুর“ করেন। টাকার রঙ নিয়ে দুর্নীতিকারীরা একটুও চিš—া করেন না। কারণ, তারা জানেন অর্থমন্ত্রী তাদের সুহƒদ হিসেবে প্রতি বছর বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ উপহার দেবেন। কাজেই দুর্নীতিকারীদের এ সরকার আমলে আর কোন চিš—া নেই। কামাও কালো টাকা, আর সরকারি সহায়তায় সে টাকা বানাও সাদা। কাজেই মহাজোট সরকারের কাছে দুর্নীতিকারীরা বড়ই কৃতজ্ঞ। এ সরকারের আমলে যে যত কালো টাকা কামাচ্ছে, সে তত ভালো আছে। মহাজোট আমলে সাধারণ মানুষ ভালো না থাকলেও, দুুর্নীতিবাজ কালো কালো মানুষগুলোই সবচেয়ে ভালো আছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : অধ্যাপক, রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ধশযঃবৎসু@মসধরষ.পড়স
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন