মঙ্গলবার, ১২ জুন, ২০১২

ঢাকায় জোটের সমাবেশ ও দূরবর্তী কর্মসূচি



 ড. মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী  
গ ত সোমবার ঢাকায় ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। জোটের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেছেন। জোট প্রধান এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বক্তৃতা শেষে জোটের পক্ষ থেকে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। আগামী ঈদের পরে অর্থাত্ আগস্ট শেষে অথবা সেপ্টেম্বরে জোটের পক্ষ থেকে হরতাল, অবরোধ, অবস্থান ধর্মঘটসহ নানা ধরনের কর্মসূচি দেয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রমজানের আগে ১৭ ও ২৪ জুন এবং ১, ৮ ও ১৫ জুলাই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সভা-সমাবেশ ও মিছিলের কিছু কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। সভায় ১৮ দলীয় নেতৃবৃন্দের বক্তৃতা শুনে মনে হয়েছিল যে, জোট বোধ হয় কঠোর কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছে। কিন্তু মূল কর্মসূচি ঘোষণার পর স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ১৮ দলীয় জোট দূরবর্তী কর্মসূচি দিয়ে পরিস্থিতিকে ভিন্নভাবে নিজেদের পক্ষে আনার কৌশল গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক তাত্ক্ষণিকভাবে যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তা অবশ্য তাদের দলীয় বক্তব্য কিনা স্পষ্ট নয়। তবে রাজনৈতিক বাস্তবতার বিশ্লেষণে ১৮ দলীয় জোটের কর্মসূচি দূরবর্তী হওয়াটি বেশ বাস্তবোচিত হয়েছে। যদিও জোটের কোনো কোনো দল এখনই কঠোর কর্মসূচি প্রদানের পক্ষে ছিল বলে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার সূত্র থেকে জানা গেছে, তবে বিএনপি শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বিষয়গুলো নিয়ে ভেবে-চিন্তেই দলীয় চেয়ারপার্সনকে ‘ধীরে চলো নীতিতে’ অগ্রসর হতে পরামর্শ দিয়েছেন। কঠোর কোনো কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনকে মাঝপথে শেষ না করে ২০১৩ সালে টেনে নিতেই তারা পরামর্শ দিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। বিএনপি এ মুহূর্তে সরকারের সঙ্গে সংলাপে আদৌ বসবে কি বসবে না সেটিও কিন্তু নিশ্চিত নয়। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুটিকে মাঠে রেখে জনমতকে প্রভাবিত করাটি অনেক বেশি লাভজনক বলেও মনে করছে। ফলে গত সোমবারের ১৮ দলীয় জোটের জনসভাটিকে মূলত ১২ মার্চের ‘ঢাকা চলো’ মহাসমাবেশের ধারাবাহিকতা হিসেবেই দেখতে হবে। যদিও ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি ‘তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু’ থেকে সরে হঠাত্ই সরকার পতনের লক্ষ্যে ঝুঁকে পড়েছিল, হরতাল, গাড়ি পোড়াও-ভাংচুরের হঠকারী প্রবণতায় চলে যাচ্ছিল; কিন্তু এর পরিণতি দলের জন্যে সুখকর হয়নি। একদিকে নাগরিক সমাজের সমালোচনার মুখে, অন্যদিকে সরকারের কঠোর অবস্থানের মুখেও পড়তে হয়েছে দলকে। মনে হয় বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বিষয়গুলোকে এসব বাস্তব অভিজ্ঞতার চোখে দেখার মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক ধারায় ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়ার পথে চলাটিকেই এখন অধিকতর যুক্তিযুক্ত মনে করছে, সেভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই প্রভাব মনে হচ্ছে ঘোষিত কর্মসূচিতে পড়েছে বা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিএনপির মূল্যায়নের অবস্থানটি যদি তাই হয়, তাহলে এদিকে অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখা প্রয়োজন। কেননা, দেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল, দলীয় নেতাকর্মী রাজনীতির বাস্তবতাকে যথাযথভাবে অনুধাবন না করেই হঠকারী কর্মসূচির প্রতি ঝুঁকে পড়ে, হরতাল, ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াও ইত্যাদি কর্মসূচি দিয়ে সরকার পতনের দিবাস্বপ্নই দেখে। কিন্তু যে দেশে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব সে দেশে রাস্তার আন্দোলনের এখন আর তেমন প্রয়োজন পড়ে না, মিডিয়ার কল্যাণে দেশের সার্বিক চিত্রের অনেকটাই জনগণের চোখে ধরা পড়ে, সরকার ও বিরোধী দলের ভূমিকা জানা থাকে। সুতরাং রাস্তায় শত আন্দোলন করেও কোনো নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটানো কোনো একক দল বা জোট, মহাজোটের পক্ষে সম্ভব নয়, যদি জনগণ তাতে সাড়া না দেয়। আবার বিরোধী দল কোনো আন্দোলনই করেনি দেখে কোনো ক্ষমতাসীন দল যদি মনে করে বসে থাকে যে, পরবর্তী নির্বাচনে তারাই সহজে জয়লাভ করবে, বিরোধী দল করবে না সেটিও ঠিক নাও হতে পারে। এটি সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করছে জনগণ সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কাজকে কিভাবে মূল্যায়ন করে তার ওপর। সরকারে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়টি জনগণের রায়ের ওপরই নির্ভরশীল। বিরোধী দল আন্দোলনের নামে হঠকারী ধারায় চলার ক্ষেত্রে নজির বেশি সৃষ্টি করলে জনগণ সেই দলের কর্মসূচির প্রতি আকৃষ্ট না হয়ে বিরূপ মনোভাবই পোষণ করতে পারে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর বেশিরভাগ কর্মীই রাজনীতির এমন বাস্তব ধারণা আমলে নিতে চায় না। তারা প্রায়শই দলের ওপর কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার চাপ দিতে থাকে। এটি সেকেলে মানসিকতা। দলের নেতৃত্বকে বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হয়। তবে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আবেগ নয়, বাস্তবতাকেই বিশেষভাবে বিবেচনায় নিতে হয়। ১৮ দলীয় জোটের মধ্যে জামায়াতের পক্ষ থেকে প্রবল চাপ ছিল কঠোর কর্মসূচির দিকে যাওয়ার। যুদ্ধাপরাধীদের ইস্যু নিয়ে জামায়াতের অবস্থান স্পষ্ট। কিন্তু বিএনপির নেতৃত্ব বিষয়টির প্রতি তাদের মৌন সমর্থন থাকার পরও নিয়মতান্ত্রিক ধারার দিকে ১৮ দলীয় জোটকে টেনে ধরতে চেয়েছে বলে মনে হয়েছে। এটি ১৮ দলীয় জোটের জন্যে ইতিবাচক হয়েছে। তবে এই জোটের বেশিরভাগ দলই ডান ও অতিডানপন্থির ঝোঁকে চলা দল, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় রাজনীতি করার সঙ্গে তাদের আদর্শ, চিন্তাধারা ও কার্যক্রম খুব একটা পরিচিত নয়। সেক্ষেত্রে বিএনপিকে দলের অভ্যন্তরের কর্মী, কিছু কিছু নেতার চাপ, সহযোগী সংগঠনসমূহের চাওয়া-পাওয়া ও চাপকে হজম করার দক্ষতা অর্জন করতে হচ্ছে। মনে হয় এবার বিএনপি সেই অর্জনে অনেকটাই সফল হয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, এ মুহূর্তে ১৮ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে হরতাল, জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি প্রদান করা হলে লাভ বা ক্ষতি কী হতো তা নিশ্চিত করে বলা না গেলেও যেটি ধারণা করা যায় তা হচ্ছে, হরতালের মতো কর্মসূচির বিরুদ্ধে দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের অবস্থান বেশ শক্ত। এ ধরনের মনোভাবকে এ মুহূর্তে বিএনপি উপেক্ষা করতে চায় না। তাছাড়া হরতালের মতো কর্মসূচিতে দলের একশ্রেণীর কর্মীকে নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব কষ্ট হয়। তারা গাড়ি ভাঙচুরে যেভাবে বেপরোয়া হয়ে পড়ে তা শেষ পর্যন্ত আন্দোলনের অর্জনের চাইতে বিসর্জনের খাতাতেই যুক্ত হচ্ছে। ১৮ দলের মধ্যে বিএনপির সবচাইতে বিশ্বস্ত মিত্র হচ্ছে জামায়াত ইসলাম এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু যুদ্ধাপরাধী ইস্যুতে তাদের কর্মীদেরও নিয়ন্ত্রণ করা জোটের পক্ষে সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ফলে অন্দোলন ভিন্ন দিকে মোড় ঘুরিয়ে বুমেরাং হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিকট অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে দখল, অবস্থান, আক্রমণ, বোমাবাজি ইত্যাদি কর্মকান্ডে প্রবাহিত করার প্রবণতা কোনো কোনো শক্তির মধ্যে বিরাজ করছে। তাতে জনমত জোটের বিপক্ষে চলে যাওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। দ্বিতীয় যে বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হয়েছে তা হচ্ছে, স্বয়ং হিলারি ক্লিনটনসহ উন্নয়ন সহযোগী দেশের কর্তৃপক্ষ হরতালকে সমর্থন করেন না এমন প্রকাশ্য মন্তব্য রেখে যাওয়ায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে হরতাল প্রসঙ্গে নতুন করে ভাবনা-চিন্তা করার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ফলে বিএনপি হরতালকে নিয়ে এতো তাড়াতাড়ি আবার আন্দোলনের মাঠে নামাটিকে যুক্তিযুক্ত মনে করেনি বলে মনে হয়েছে। তাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ দাতা দেশগুলোর সহানুভূতি লাভে সমস্যা তৈরি হতে পারে। অধিকন্তু হরতাল কর্মসূচির নেট ফলাফল হচ্ছে নতুন করে অসংখ্য নেতাকর্মী মামলায় জড়িয়ে পড়তে হয়। তাদের থানা-পুলিশ করতেই সময় চলে যায়। বিএনপির বেশ ক’জন শীর্ষ নেতা গত হরতালগুলোতে সংঘটিত কিছু পোড়াপুড়ির মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন। তাদের জেল থেকে মুক্তি পাওয়া বিএনপির জন্যে এ মুহূর্তে জরুরি বিষয়। সুতরাং, নতুন করে মামলায় না জড়িয়ে নিয়মতান্ত্রিক ধারায় থেকে অগ্রসর হওয়াটি বিএনপির কাছে অধিকতর বাস্তবোচিত মনে হয়েছে। সেদিকে থেকে বিএনপি কোনো কঠোর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার চাইতে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে সময়টি অতিক্রম করাটি শ্রেয় মনে করেছে। তাছাড়া এক মাস পরেই রোজার মাস শুরু হতে যাচ্ছে। রমজান মাসে বাংলাদেশে রাজনৈতিক আন্দোলন খুব একটা জমানো যায় না। এছাড়া প্রখর রোদ ও উত্তাপে নাগরিক জীবন এমনিতেই অতিষ্ঠ।
 এ সময় কঠোর কর্মসূচি সফল করাতে কর্মীদের মাঠে নামানো বেশ কঠিন কাজ। এসব বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে বিএনপি হয়তো ১৮ দলীয় জেটের কর্মসূচিকে প্রলম্বিত করতে প্রভাব বিস্তার করে থাকতে পারে। তবে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং সরকারের কোনো কোনো প্রভাবশালী নেতার বক্তৃতা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার ক্ষেত্রে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই, তারা কোনো অবস্থাতেই মনে করেন না যে, জোরজবরদস্তির কোনো নির্বাচন তাদের হাত দিয়ে দেশে অনুষ্ঠিত হবে, সেই দায় তারা বহন করবে। নির্বাচনে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার বা কারচুপি করে জয়লাভ করার ইচ্ছে বর্তমান সরকারের নেই এটি বলা হচ্ছে। সরকারের দিক থেকে তেমন কোনো খারাপ প্রস্তুতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করা, ভোটার তালিকা নবায়ন করা, নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোর করা, এমনকি প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করা ইত্যাদি কোনো ক্ষেত্রেই বর্তমান সরকারের কোনো বিরোধী ভূমিকা বা অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অতীতের কোনো কোনো সরকারের মতো বর্তমান সরকার আগামী নির্বাচনকে প্রভাবিত করার কোনো নীল নক্সা প্রণয়নে কোনো চেষ্টা করছে বলে কারো কাছে এখনো পর্যন্ত প্রতিভাত হয়নি। বিষয়টি বিএনপিও লক্ষ্য করছে।
অধিকন্তু সরকারি দলের কোনো কোনো নেতার সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে কোনো কোনো বিএনপি নেতার কথাবার্তা হচ্ছে, আলাপ-আলোচনাও হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। ফলে সরকারের কোনো অসত্ উদ্দেশ্য জনগণের কাছে প্রতিভাত না হলে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে আন্দোলনে টেনে আনা সম্ভব হবে না এটি বিএনপির নেতৃবৃন্দ বুঝতে পারেন। ফলে ভেতরের এই আলাপ-আলোচনা ধীরে ধীরে দানা বাঁধুক এমন সময় দিতেই হয়তো বিএনপির নেতৃবৃন্দ আন্দোলনের কর্মসূচিকে বেশ দূরে রেখেছেন। সরকার এবং বিরোধী দলের ওপর নাগরিক সমাজের তো একটি চাপ রয়েছেই সংলাপে বসার জন্যে, বিদেশি মহলগুলোরও রয়েছে। ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরু না হলেও ভেতরে ভেতরে সমঝোতায় আসার একটি ক্ষীণ প্রবাহ ইতিমধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে। সরকারকে তেমন সুযোগ দেওয়া থেকেও বিএনপি দূরবর্তী কর্মসূচির কথা ভেবে থাকতে পারে। সমঝোতার মূল বিষয় হচ্ছে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার ও করার বাস্তবতা তৈরি হচ্ছে কিনা, সে ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সংকট সৃষ্টির ভিত্তি তৈরি হয়নি এটি একটি বাস্তবতা। তেমন সংকট তৈরি না হলে সমঝোতার পথ নেপথ্যে সৃষ্টি হতে থাকবে, এর জন্যে কিছু সময়ের প্রয়োজন পড়বে। আমি বাংলাদেশে ১৯৯৬ বা ২০০৬ সালের বাস্তবতার তেমন কোনো সম্ভাবনা এখনো দেখছি না। বরং, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে অনুষ্ঠিত করার যথেষ্ট বাস্তব ভিত্তি ইতিমধ্যে তৈরি হতে দেখে আশাবাদ প্রকাশ করছি। সে ক্ষেত্রে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা কী হবে, কেমন হবে এটি চূড়ান্তকরণে মনে হয় না বড় ধরনের কোনো বাধা আছে। বাধা দূর করার স্থান হচ্ছে প্রথমত সংসদ এবং দ্বিতীয়ত দলগুলোর মধ্যে। আন্দোলন করার জন্যে যারা হাত-পা গুটাচ্ছেন তাদের ইস্যু ও মনমানসিকতা অন্যত্র। সুতরাং বিষয়টি আমাদের কাছে একেবারেই পরিষ্কার।
n লেখক: ইতিহাসবিদ, রাজনীতির বিশ্লেষক। patwari54@yahoo.com

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন