রবিবার, ১০ জুন, ২০১২

অমানিশার মঞ্চে আলোর জাদুকর



কা ম রু ল  হা সা ন
একটি খণ্ডিত এবং অসত্য সংবাদকে পুঁজি করে সম্প্রতি সংসদে যে তুমুল ঝড় বয়ে গেল তা হতবাক করেছে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই সর্বজনশ্রদ্ধেয় আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে এবং একই সঙ্গে তার অনুরাগী অসংখ্য মানুষকে, বলা যায় গোটা সুশীল সমাজকে এবং দেশবাসীকে। কেবল হতবাক নয়, তিনি মর্মাহত হয়েছেন, বেদনাবোধ করেছেন, তার সঙ্গে আমরা সকলেই মর্মাহত হয়েছি, বেদনাবোধ করেছি। যে অনুষ্ঠানের উদ্ধৃতি দিয়ে তাকে ‘আসামি’ বানানো হল, আমি নিজে সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। তিনি যা বলেছেন তার টেপরেকর্ডকৃত ভাষ্য এখন মিডিয়ার কর্মীরা, প্রশাসনের লোকেরা সকলেই শুনেছেন, জানি না যে যুদ্ধংদেহী সংসদ সদস্যরা সংসদের ময়দানে একপক্ষীয় বাক্যের লড়াই চালিয়ে গেলেন, তারা সেটা শুনেছেন কি না। শুনলে লজ্জিত হতেন, এই অপ্রয়োজনীয় কুটতর্কে মেতে উঠতেন না। যখন ক্ষমতাসীন দলটি ঘরে-বাইরে বিভিন্ন চাপের মধ্যে রয়েছে, যখন প্রতিশ্রুতির চেয়ে তাদের অর্জনের ডালি বেমানানভাবে অপূর্ণ, আগামী নির্বাচনের আগে জনসমর্থনের নদীতে একদা আস্থার বৈতরণীটি টালমাটাল, তখন এই সংসদ সদস্যরা সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন। 
আজ থেকে তিন হাজার বছর আগে গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস বলেছিলেন, ‘মানবজাতি অনেক সুসন্তান সৃষ্টি করেছে সত্যি, কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই শাসিত হয়েছে মূর্খদের দ্বারা।’ উক্তিটি কী নিদারুণ সত্যি। আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্যরা ভুলে গেলেন, যে মানুষটি সম্পর্কে তারা কটূক্তি করলেন, তিনি কে।  তিনি অমন বেফাঁস কথা বলতে পারেন কি না, তারা তা ভাবলেন না। পত্রিকার রিপোর্ট দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন। কথক হিসেবে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের সুনাম সর্বজনবিদিত। তার মতো সুন্দর করে কথা বলতে আমি বাংলাদেশে কাউকে দেখিনি। তিনি সমালোচনা করলেও পরিহাসছলে এমন করে কথাটি বলেন যে সমালোচিত মানুষটিও হেসে ওঠে। অসামান্য তার রসবোধ। তিনি নিজেকে নিয়েও হাস্যরস করেন। সংসদ সদস্যরা ভুলে গেলেন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ একজন ব্যক্তিমানুষ শুধু নন, তিনি একটি প্রতিষ্ঠান। সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে তিনি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মতো খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন; এশিয়ার নোবেল প্রাইজ র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার যার স্বীকৃতি দিয়েছে। তিনি হাতে তুলে নিয়েছেন ‘আলোকিত মানুষ’ গড়ার কঠিন মিশন। অজ্ঞতার অন্ধকারে নিমজ্জিত একটি দেশে তিনি আলোকবর্তিকা হাতে দাঁড়ানো সুন্দর মানুষ। ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারের মাধ্যমে বই পড়া আন্দোলন সারা দেশের প্রায় ১০ লাখ শিশু-কিশোরের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার মতো একটি অসামান্য কাজ তিনি প্রায় একাই করে যাচ্ছেন। কেবল বই পড়া আন্দোলন নয়, বিপন্ন পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের তিনি একজন প্রথম সারির যোদ্ধা। ঢাকার প্রাণ ‘বুড়িগঙ্গা বাঁচাও’ আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কয়েক বছর আগে ডেঙ্গুজ্বর যখন এক মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছিল, তিনি কিশোর-যুবকদের নিয়ে নিজে ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ঝোপ-জঙ্গল, জলাশয় সাফ করেছেন, সচেতনতা তৈরি করেছেন, ভয়কে জয় করেছেন সাহস দিয়ে। ওসমানী উদ্যানে শহুরে দস্যুদের হাত থেকে গাছরক্ষার জন্য মানববন্ধন রচেছেন। তিনি অজস্র ভালো কাজের প্রবর্তক। যে সংসদ সদস্যরা তার সমালোচনায় মেতে উঠলেন তারা নিজেদের এলাকায় সীমিত আকারেও এমনি একটি-দুটি ভালো কাজ করেছেন কি না, খোঁজ নিয়ে দেখা যেতে পারে।
এ তো গেল সংগঠক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের কথা। শিক্ষক হিসেবে তিনি এক জীবন্ত কিংবদন্তি; কেবল অসাধারণ নন, অনন্যসাধারণ। তার মতো মজা করে সাহিত্য, বিজ্ঞান, দর্শন, নীতিশাস্ত্রের মতো ভারি ভারি বিষয়কে ক্লাসে উপস্থাপন করতে পারেন এমন শিক্ষক বাংলাদেশে দ্বিতীয়জন নেই। সত্যি নেই। আমার নিজের সৌভাগ্য হয়নি তার ছাত্র হিসেবে ক্লাস করার, কিন্তু অসংখ্য সমাবেশে, সভায় আমি আরো হাজারো ছাত্রের মতো মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তার কথা শুনেছি। আমি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করি সে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বছরের সমাবর্তনের সমাবর্তন বক্তা হিসেবে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। মঞ্চে ছিলেন বেশ কিছু বিখ্যাত ব্যক্তি, যারা নিজেরাও সুন্দর বক্তৃতা করেন। সায়ীদ স্যার যখন শুরু করলেন তখন মনে হল তিনি খুব একটা পরিকল্পনা করে আসেননি কী বলবেন, কিন্তু যখন বলতে শুরু করলেন তখন সমাবর্তন মণ্ডপে পিনপতন স্তব্ধতা নেমে এল। এক ভরাট, সম্মোহনী গলায়, বিশুদ্ধ বাংলা উচ্চারণে এমন এক বক্তৃতা তিনি দিলেন যে অন্য সকলের কথা, সূর্যের নিচে প্রদীপের মতো, ম্লান হয়ে গেল। পুরো অনুষ্ঠানের শ্রোতারা যেন এক স্বপ্নময় ঘোরের ভেতর চলে গিয়েছিল। যখন তারা জেগে উঠল চোখের সম্মুখে দেখল এক সৌম্যদর্শন পুরুষকে, যিনি কেবল কথার জাদুকর নন, কাজেরও যুধিষ্ঠির। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘সপ্তবর্ণা’র মাধ্যমে তার কথাশিল্পের স্বাদ পেয়েছেন দেশবাসী, খ্যাতির সৌধচূড়ায় তিনি তখনই দাঁড়িয়ে। সুন্দর করে কথা আমাদের রাজনৈতিক নেতারাও অনেকে বলে থাকেন, কিন্তু কী বলেন তারা? নিজের এবং নিজের দলের গুণগান ছাড়া আর কোন গান তারা গান? আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ নিজের কথা বলেন না, তিনি এ দেশের কথা,  এ দেশের মানুষের কথা বলেন; অজ্ঞতা, ভীরুতা, দুর্নীতিকে আক্রমণ করেন। সত্য কথা বলতে ভয় পান না, পান না বলেই অজ্ঞ, ভীরু আর দুর্নীতিগ্রস্তদের এত ভয় তাকে।
আমি নিজে তার ছাত্র হতে না পারলেও আমার ক’জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু সরাসরি ছাত্র ছিল। তাদের মুখে শুনেছি, ঢাকা কলেজে, যেখানে তিনি পড়াতেন, তার ক্লাসে তিল ধারণের জায়গা হতো না। কেবল নিজের ক্লাস নয়, অন্যান্য ক্লাস, এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের আগমনে গ্যালারি উপচে পড়ত। রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত ছোটগল্প ‘হৈমন্তী’ পড়াতে গিয়ে বিশ্ব সাহিত্যের সকল অঞ্চল ঘুরে আসতেন। তার প্রজ্ঞা, জ্ঞানের বিবিধ সাম্রাজ্যে বিচরণের ক্ষমতা ঈর্ষণীয়। একটি মানুষ কতখানি প্রজ্ঞার অধিকারী হতে পারেন তিনি তার উদাহরণ। কেবল জ্ঞানী হলেই মানুষের এই শক্তি তৈরি হয় না। জ্ঞানের বিবিধ শাখা-প্রশাখাকে মিলিয়ে দিতে পারার ক্ষমতা, তাদেরকে দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে আনতে পারা জাদুকরের কাজ। কথা ও লেখায় আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এই জাদু ছড়ান। পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও যে আরও আরও পুস্তক আছে গভীর অভিনিবেশ সহকারে পঠনের, পরীক্ষা পাসের বাইরেও যে জীবনের কঠিনতর পরীক্ষা অপেক্ষমাণ, তিনি তা জানাতেন তার ছাত্রদের, তাদের দৃষ্টি খুলে দিতেন। এ কারণেই ছাত্রদের কাছে এত প্রিয় ‘সায়ীদ স্যার’। 
যারা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের রচনা পাঠ করেছেন তারা জানেন তিনি একজন শক্তিমান লেখক ও প্রাবন্ধিক। তার প্রথম যৌবনে লেখা গ্রন্থ ‘দুর্বলতায় রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য প্রবন্ধ’ আমরা কলেজজীবনে মুগ্ধ হয়ে পড়েছি। যার হাতে অমন সোনার ফসল ফলে, তিনি এক অজ্ঞাত কারণে দীর্ঘকাল কলমরহিত রইলেন, যা ছিল তার ভক্ত-পাঠকদের জন্য বেদনাদায়ক। সুখের বিষয় তিনি বিলম্ব হলেও লেখালেখিতে ফিরে এসেছেন আর জীবনের সময় ফুরিয়ে আসছে মনে করেন বলে দু’হাতে লিখছেন। শত অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্যের  আমন্ত্রণ তার লেখার অবসর কেড়ে নেয় সত্যি, তবু গত ৮/৯ বছর ধরেই অবিশ্বাস্য গতিতে তিনি লিখছেন তার অভিজ্ঞতা, অবলোকন, জীবনজিজ্ঞাসা। এ পর্যন্ত লিখিত মৌলিক গ্রন্থের সংখ্যা ত্রিশ। দু’হাতে অনেকেই লেখেন। কিন্তু প্রচুর লেখার অনিবার্য নিয়মে বেশিরভাগ লেখাই মানসম্পন্ন হয় না। কিন্তু আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ যা  লেখেন তা উত্কৃষ্ট, তার লেখা কোথাও হেলে পড়ে না। এটাই প্রমাণ করে তিনি বিরল প্রতিভার মানুষ। কেবল কম পড়াশোনা করা লোকেরাই তাকে চিনতে পারে না। ষাটের দশকে তিনি সম্পাদনা করতেন যে ‘কণ্ঠস্বর’ পত্রিকা, তা ওই প্রতিভাপূর্ণ কাব্যদশকটিরই কণ্ঠস্বর হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তিনি শনাক্ত করেছিলেন ষাটের প্রায় সকল তরুণ প্রতিভাকে, যারা প্রত্যেকেই পরবর্তীকালে মহীরুহ হয়ে উঠেছেন। এ বছর বাংলা একাডেমী, খুব দেরিতে হলেও, তাকে পুরস্কৃত করেছে। তিনিই বোধ করি একমাত্র লেখক, যিনি একুশে পদকের পরে বাংলা একাডেমী পুরস্কার পেলেন। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানেও দেখেছি সবচেয়ে আকর্ষণীয় কথাগুলো তিনিই বললেন এবং শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখলেন।
সুতরাং যারা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের সমালোচনা করেন তারা জানেন না টিআইবির সম্মেলনে তার কথিত ভাষ্যটি কী, আর তিনি কী প্রকারের মানুষ। তারা ভেবেছেন আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত, আমাদের ক্ষমতা অসীম। আসলে ক্ষমতা মানুষকে অন্ধ করে দেয়, হিতাহিতজ্ঞানশূন্য করে তোলে। মানুষ তখন তার সীমানা ছাড়িয়ে এতদূর চলে যায় যে সে আর আপন বৃত্তে ফিরে আসতে পারে না। সংসদ সদস্যরা ভাবছেন তারা সমালোচনার ঊর্ধ্বে, সার্বভৌম ঈশ্বরের মতো তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না; বিচারপতিরা ভাবছেন তারা বিচারের ঊর্ধ্বে; সরকার ভাবছে জনগণের ম্যান্ডেট যখন পেয়েছি তখন যা ইচ্ছাখুশি করতে পারি। সম্প্রতি স্পিকারের একটি মন্তব্য নিয়ে উচ্চ আদালতের দু’জন বিচারপতি যে মন্তব্য করেছেন তা নজিরবিহীন। আমরা জানি রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ হল প্রশাসন, আদালত ও সংসদ। রাষ্ট্র দাঁড়িয়ে আছে এই তিন প্রধান স্তম্ভের ওপর। ক্ষমতার মদমত্ততায় স্তম্ভগুলো এখন পরস্পর বিবাদে লিপ্ত। এতে টালমাটাল হয়ে উঠতে পারে রাষ্ট্র। সুধীজনেরা এর মাঝে সঙ্গত কারণেই অশনিসঙ্কেত দেখছেন। ব্যর্থরাষ্ট্র বলে কথিত পাকিস্তানে আদালত আর সরকার মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে দেশটির জন্য মহাদুর্যোগ ডেকে এনেছিল, পরে পাক প্রধানমন্ত্রীকে আদালতে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল, ফিরিয়ে আনতে হয়েছিল বরখাস্ত হওয়া প্রধান বিচারপতিকে। সাম্প্রতিক ঘটনা তেমন কোনো দিকে মোড় নিলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না।
কেন এই শোরগোল? কেন এত অসহিষ্ণুতা? আমরা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলছি আর বিরোধী দল পথে নামলেই পুলিশ দিয়ে ঠেঙাচ্ছি, জোর করেই প্রতিবাদের মুখ বন্ধ করে রাখতে চাইছি। অন্যদিকে গণতান্ত্রিক অধিকারের চর্চ্চা বলে বিরোধী দল হরতাল ডাকছে, আর স্বাধীন চলাচলকারী মানুষের ওপর, তাদের যানবাহনের ওপর প্রকাশ্যে হামলা চালাচ্ছে, হরণ করছে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। তাহলে গণতন্ত্র কি কেবলই ক্ষমতায় আরোহণের একটি নিয়মতান্ত্রিক সেতু? প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার রাষ্ট্রীয় অধিকার? এটি কোনো দর্শন বা ব্যবস্থা বা মতাদর্শ নয়? 
সংসদের ওই সদস্যরা ভুলে গেছেন তাদের মতো বহু সংসদ সদস্য অতীতে নির্বাচিত হয়েছেন, ভবিষ্যতেও নির্বাচিত হবেন, সংসদে আসবেন আর যাবেন। কিন্তু ইতিহাস তাদের খুব কম জনকেই মনে রাখবে। ইতিহাস কিন্তু একজন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে মনে রাখবে, যিনি ছিলেন তার জাতির বিবেকের মতো। সত্য কথা বলা, গণমানুষের পক্ষে কথা বলা সাহসী মানুষের সংখ্যা আজ খুব কমে গেছে। ক্ষমতাসীনরা স্তাবক চান, সুস্থ সমালোচক চান না। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ আমাদের সমাজের হ্যামিলনের বংশীবাদকের মতো, যিনি বাঁশির মোহনীয় সুরে যেমন ইঁদুররূপী বিষাক্ত শত্রুদের টেনে ঘরের বাইরে আনতে পারেন, তেমনি পারেন শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের চেতনাকে জাগ্রত করতে। যে ভুল করেছিল তার সতীর্থরা সে ভুল করেননি সংসদের মাননীয় ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী। তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ শ্রদ্ধেয় মানুষ, তার সম্পর্কে অমন আলোচনা করা সংসদে উচিত হয়নি, তিনি নিজে সংসদে উপস্থিত থাকলে তা থামিয়ে দিতেন ইত্যাদি। ডেপুটি স্পিকারের কথায় আমরা স্বস্তি পেয়েছি, শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ যে সর্বত্রই বিরাজমান, তার প্রমাণ পেয়েছি। বিষয়টি অঙ্কুরেই সমাধান হয়ে গেছে ভেবে আমরা আশ্বস্ত। কিন্তু অসহিষ্ণুতার যে প্রমাণ আমরা ক্রমাগত রেখে চলেছি, তার আগুনে পুড়ে যাব সকলেই, যদি না সময়মতো তাকে নেভানো যায়।

লেখক : কবি, প্রাবন্ধিক

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন