শুক্রবার, ১৮ মে, ২০১২

ভূমিকম্প মোকাবিলা প্রস্তুতিতে প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি


মোঃ আবুল হাসান ও খন রঞ্জন রায় :
 ভয়াবহ ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। রিখটার স্কেলে ৬ থেকে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানলে রাজধানী ঢাকার বড় অংশ পরিণত হবে ধ্বংসস্তূপে। এজন্য আতঙ্ক নয়; প্রয়োজন ব্যাপক প্রস্তুতি এবং জনসচেতনতা। ভূমিকম্প বিষয়ে আগে থেকেই পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়ার জন্য সরকারকে এখনই জনসচেতনতানির্ভর পদক্ষেপ নিতে হবে। নয়তো পরিস্থিতি সামাল দেয়া হবে অসম্ভব।
১৮ সেপ্টেম্বর রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে রাজধানীসহ সারাদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। প্রায় ২ মিনিট স্থায়ী এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.৮। যা বিশ্বের যে কোন বড় ভূমিকম্পের সমান। এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল হিমালয় সংলগ্ন পর্বত সিকিম। বাংলাদেশ থেকে ৪০০ কি.মি দূরে অবস্থান হলেও এর মাত্রা ছিল ভয়াবহ, কারণ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূ-পৃষ্ঠের অনেক ওপরে। এই ভূমিকম্পে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি কম্পন অনুভূত হয় বৃহত্তর দিনাজপুর, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, রংপুর ও গাইবান্ধা এলাকায়। কম্পনের ফলে ঢাকার কয়েকটি ভবন হেলে পড়ে। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি থেকে দেশ রক্ষা পেয়েছে।
পঞ্চগড় জেলা শহরের সিটি জেনারেল হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষে সুলতানা বেগম নামের এক নারীর সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার চলছিল। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার একটি ছেলে সন্তান জন্ম হয়। কিন্তু তখনো শিশুটির নাড়ি কাটা হয়নি। এমন সময় শুরু হয় ভূমিকম্প। চিকিৎসক, নার্স, আয়া, ওয়ার্ড বয়সহ অপারেশন থিয়েটারের সবাই জীবন বাঁচাতে হুড়মুড় করে দৌড়ে বাইরে চলে আসেন। একমাত্র ডিপ্লোমাধারী নার্স আরজিনা খাতুন নবজাতক শিশু মুক্তি ও গর্ভধারিণী মায়ের জীবন রক্ষায় নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে মানবতার সেবায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৬১ বছরের ইতিহাসে দেশে এত বড় মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানেনি। বাংলাদেশ ও তার আশেপাশে ১৮৫৮ থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত ৫টি বড় মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে, যার প্রতিটির মাত্রা ছিল ৭-এর অধিক। তাছাড়া ১৭৬২-তে একটি এবং ১৯৩৪ ও ১৯৫০-এ ভারতের অভ্যন্তরে ৮.০ মাত্রার দু'টি ভূমিকম্প হয়েছে। রেডিও কার্বন রেটিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশে সংঘটিত ভূমিকম্পগুলো ২৫০-৩০০ বছর পরপর হয়েছে বলে জাপানী বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনেক ছোট-বড় ফাটলরেখা রয়েছে। এসব অঞ্চল ভূমিকম্প সংঘটনের জন্য অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ। ভূমিকম্প সংঘটনের কারণ উদঘাটনে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, পৃথিবীর অভ্যন্তরে বিভিন্ন প্লেটের মাঝে দিন দিন প্রচুর শক্তি সঞ্চিত হচ্ছে। এই শক্তির হঠাৎ অবমুক্তিতে পৃথিবীর ভূমিতে এক ধরনের তরঙ্গ কম্পনের সৃষ্টি করে, যা সিসমিক ওয়েভ নামে পরিচিত। এই কম্পনের নামই ভূমিকম্প। এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
সাধারণত ভৌগোলিক তলের বিচ্যুতি, আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ ইত্যাদি কারণে ভূমিকম্প হয়। এছাড়া ভূমিতে মাইন বিস্ফোরণ, গভীর নলকূপ হতে অত্যধিক পানি উত্তোলন, তেল ও কয়লা খনি হতে ভূগর্ভস্থ সম্পদ উত্তোলন এবং পরমাণু পরীক্ষার কারণেও ভূমিকম্প হতে পারে। তিন ধরনের বিচ্যুতির কারণে ভূমিকম্প হয়। যেমনঃ নরমাল, রিভার্স এবং স্ট্রাইক স্লিপ। বাংলাদেশের ভূমিকম্পের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সর্বশেষ গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা ২ মিনিটে নীলফামারীতে ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভারত সীমান্তের কাছে। ৬.১ মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে ১৮০ কি.মি দূরে অবস্থিত ভূটানের রাজধানী থিম্পুতে ১১ জন প্রাণ হারায়। তারপরও বাংলাদেশের মানুষ এর বিপদ সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন নয়। কারণ গত ৯০ বছরে কোন বড় ধরনের ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা নেই। ১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই শ্রীমঙ্গলে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল ব্যাপক। ঢাকায় এর প্রভাব পড়েনি। গবেষণায় দেখা গেছে ভূমিকম্পের পুনরাবৃত্তি ঘটে গড়ে প্রতি ১০০-১৫০ বছরের মধ্যে। সেই হিসাবে ঢাকায় ১৩০ বছরে বড় ধরনের কোন ভূমিকম্প হয়নি, যা চট্টগ্রামে ২৫০ বছর এবং সিলেটের ১০০ বছর। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানের কারণে খুব শীঘ্রই একটি ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে।
কমপ্রিহেন্সিভ ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের (সিডিএমপি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রধান তিনটি শহর ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে ৬-৭ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৫ লাখ ৫৮ হাজার স্থাপনা ধসে পড়বে। ঢাকায় প্রায় ৭৮ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে যাতে সরকারী ভবন প্রায় ৫ হাজার। দিনে ভূমিকম্প হলে মারা যাবে প্রায় দেড় লাখ মানুষ এবং আহত হবে আরও ১ লাখ মানুষ। রাতে ভূমিকম্প হলে আরও প্রায় ২ লাখ মানুষ আহত বা মারা যেতে পারে। সিলেট ও চট্টগ্রামে প্রায় ৯৫ ভাগ বাড়ি ধ্বংস হয়ে যাবে।
তুরস্কের পূর্বাঞ্চলে ২৩ অক্টোবর ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পটি ছিল অনিবার্য এবং ভয়াবহ। অনিবার্য কেননা, দেশটির ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থান বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ একটি এলাকায়। এই এলাকার নিচ দিয়ে চলে গেছে ভূ-গাঠনিক বেশ কয়েকটি ফাটলরেখা। ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরাঞ্চল কিংবা জাপানের মতো তুরস্কেও ভূমিকম্পের ঘটনা দৈনন্দিন জীবনযাপনেরই অংশমাত্র।
যদিও সাম্প্রতিক ভূমিকম্পটি ছিল আক্ষরিক অর্থেই ভয়াবহ। কারণ এক ইরেইস শহরেই এর আঘাতে মারা গেছে কমপক্ষে ২৭৯ জন। অবশ্য চলতি বছরে জাপানে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের শক্তির তুলনায় এটি নগণ্য।
তুরস্কের ভূমিকম্পের ঘটনায় বিশ্বের সামনে আরও একবার প্রমাণ হল, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানির সংখ্যা কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে দুর্যোগের ভয়াবহতা নয়, তাকে মোকাবিলার প্রস্তুতিটাই বড় বিবেচ্য। ভূমিকম্পের সঠিক পূর্বাভাস দেয়ার ক্ষমতা এখনও অর্জন করতে পারেনি মানুষ। অদূর ভবিষ্যতে যে করতে পারবে এমন সম্ভাবনাও অল্প।
তুরস্কের ভয়াবহতম ভূমিকম্পের মোকাবিলায় সে দেশের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ডিপ্লোমা প্রযুক্তিবিদরা বিশ্ববাসীর সামনে নতুন নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে প্রমাণ করছেন ডিপ্লোমাধারীদের দৃষ্টি ধ্বংস নয় সৃষ্টি।
নিজে বাঁচ, অন্যকে বাঁচতে দাও (Live and let live) নীতি অনুসরণ করে সরকারি-আধা সরকারি-সামরিক ও পুলিশ বাহিনী, শিল্প-কারখানা, ব্যাংক-বীমা, হাসপাতাল, শপিংমল, বহুতল ভবনে ফায়ার সার্ভিস পদে জনবল নিয়োগ দেয়া হয়। বাংলাদেশে ইনস্টিটিউট অব সিভিল ডিফেন্স টেকনোলজি না থাকায় মানুষের সাথে শিয়াল-কুকুর চিনতে পারে এমন ব্যক্তিকে ফায়ার সার্ভিসিং পদে নিয়োগ দেয়া হয়। প্রযুক্তি জ্ঞানহীন লোক সমস্যাকে সমাধানের পরিবর্তে জটলা পাকাতে সক্ষম।
ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক ঝুঁকির তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। তাই ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর নানা উদ্যোগ যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি ভূমিকম্প ঘটে গেলে কীভাবে উদ্ধার কাজ চলবে, তার প্রস্তুতির বিষয়টিও। দেশের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরকে এমনভাবে প্রশিক্ষিত ও যন্ত্রপাতিতে সুসজ্জিত রাখা দরকার, যাতে প্রয়োজনে তারা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। একবিংশ শতাব্দীর মহাদুর্যোগ ঝুঁকিগ্রস্ত সময়ে এসেও এনালগ পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের সমন্বয় ঘটানো হয়নি। সহজ কথায় বলা যায়, ভূমিকম্প মোকাবিলায় কোন প্রকার পূর্ব প্রস্তুতি নেই বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স হেড কোয়ার্টার থেকে জানা যায়, দেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য ফায়ার সার্ভিস স্টেশন রয়েছে মাত্র ২০৪টি। রাজধানী ঢাকা শহরে ১৭ তলা পর্যন্ত ভবনে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা আছে। বরিশাল জেলা শহরে অগ্নিঘাতক নামে একটি জলযান প্রশিক্ষিত জনবলের অভাবে দীর্ঘ ২ দশক ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। খুলনায় একমাত্র রিভার ফায়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করা হয় স্বাধীনতার পূর্বে। সমুদ্র বন্দর নগরী চট্টগ্রাম, ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট বিভাগে সি কিংবা রিভার ফায়ার সার্ভিস আজও প্রতিষ্ঠা হয়নি। এয়ার ফায়ার সার্ভিস স্বপ্ন মাত্র। স্বাধীনতার পর শুধু ঢাকার লোকসংখ্যা ও দালানকোঠা বেড়েছে কয়েক শ' গুণ। কিন্তু ফায়ার স্টেশন পূর্ববৎ ১১টি থেকে বারিধারায় ১টি স্থাপিত হয়ে ১২টিতে সীমাবদ্ধ রয়েছে।
২০২টি স্থল ও ২টি জলসহ মোট ২০৪টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের অনুমোদিত জনবল ৫,৯৪৯ জন। বর্তমানে কর্মরত আছেন ৫,৫০৯ জন। ফায়ারম্যান এন্ড ইকুয়ালাইজার রয়েছেন ৩,০৯৬ জন। লিডার আছেন ৩৮৮ জন। স্টেশন অফিসার আছেন ২৩৮ জন। মহাপরিচালক পদে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে সেনাবাহিনী থেকে ডেপুটেশনে সাময়িকভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। অবাকের বিষয়, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে কর্মরত ৫,৫০৯ জন কর্মকর্তা, কর্মচারীর দেশে কিংবা বিদেশে এ সংক্রান্ত প্রযুক্তিবিদ্যায় পূর্ব প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নেই। বর্তমানে দেশে সিটি সেন্টারের মতো ৩৭ তলা পর্যন্ত বহুতল বাণিজ্যিক ভবন থাকলেও দমকল বাহিনীর হাতে রয়েছে ৫৫ মিটার দীর্ঘ একটি মাত্র স্কাই লিফট। এটি দিয়ে মাত্র ১৫০ ফিট ১৪ তলা পর্যন্ত পানি ছিটানো সম্ভব। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবল সংকটের কারণে একসঙ্গে দু'টি বড় ধরনের অগ্নিকান্ডের ঘটনা বিশেষ করে ভূমিকম্পের সময় যা হতে পারে বা ঘটলে তা সামাল দেওয়ার মতো ক্ষমতা এ বিভাগের নেই।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৯ জুলাই হাইকোর্টের এক রায়ে ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার অভিযানের জন্য পর্যাপ্ত আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ে সরকারকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পীস ফর বাংলাদেশের দায়ের করা রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ওই রায় দেয়। এর প্রেক্ষিতে কেনা হচ্ছে ১৬৪ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি। বিশেষজ্ঞদের অভিমত ক্রয় করা নতুন যন্ত্রপাতিগুলো পরিচালনা করার মতো দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স একটি চ্যালেঞ্জিং ও প্রযুক্তিগত পেশা। প্রতিনিয়তই এই মহৎ পেশায় নিত্যনতুন প্রযুক্তি ও সরঞ্জামের সংযুক্তি ঘটছে। ইনস্ট্রুমেন্টগুলোর ব্যবহারে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। ঔপনিবেশিক আমলে প্রতিষ্ঠিত ডিপ্লোমা শিক্ষা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান যুগের চাহিদা অনুযায়ী নতুন কোন বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্স চালু করতে উদ্যোগী হয়নি। বিচ্ছিন্ন মতাদর্শের ডিপ্লোমা শিক্ষা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানকে বর্তমান অবস্থায় রেখে ফায়ার সার্ভিস উন্নয়নে সরকারের ঘোষণা, সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম আয়োজনের সুফল জাতি ভোগ করতে পারবে না। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে আধুনিকীকরণ প্রযুক্তিনির্ভর ও অগ্নিনির্বাপণ, উদ্ধার ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা কর্মীদের উন্নত করতে হলে এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কোর্স ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা চালু করা দরকার। অগ্নি নির্বাপণ ও উদ্ধার কাজে আমাদের অসহায়তা অক্ষমতায় সম্পদের ক্ষতি ও প্রাণহানি থেকে পরিত্রাণ পেতে দরকার এ বিষয়ে ডিপ্লোমা প্রযুক্তিবিদ্যা শিক্ষা। এ লক্ষ্যে জেলা ভিত্তিক সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স প্রযুক্তিবিদ্যায় ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট নির্মাণ নীতি গ্রহণ করা প্রয়োজন। কোর্স কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য প্রতিষ্ঠা হওয়া দরকার প্রশাসনিক বিভাগ ভিত্তিক সম্মিলিত ডিপ্লোমা প্রযুক্তি শিক্ষা বোর্ড। বোর্ডের গঠনমূলক কর্মকান্ডে প্রশিক্ষিত জনবলে গড়ে উঠবে কর্মসংস্কৃতি। প্রস্তুতি থাকবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে নির্ভাবনায় দিন যাপন করবে জাতি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন