॥ কাজী সাইদ ॥
দেশ এখন এক রাজনৈতিক সঙ্কটাবর্তে। অস্থির রাজনীতি। দুর্নীতির পঙ্কিল আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে প্রশাসন। মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে দেশী-বিদেশী সংবাদমাধ্যম এখন যেকোনো সময়ের তুলনায় সোচ্চার। হত্যা, গুম, নিরাপত্তাহীনতার রাহুগ্রাসে পড়ে আতঙ্কিত জনজীবন। অর্থনীতি নিয়ে শঙ্কিত ব্যবসায়ী মহল। দ্রব্যমূল্যের উল্লম্ফনে সীমিত আয়ের মানুষের এখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি জননিরাপত্তা এখন হুমকির মুখে। বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে। এমনি যখন দেশের দুরবস্থা তখন ধর্মাশ্রয়ী মানুষের জন্য এক দুঃসংবাদ বয়ে এনেছে নিজ নিজ ধর্ম বহাল রেখে আন্তঃধর্মীয় বিবাহ আইন করার সরকারি সিদ্ধান্ত। দেশের আলেম ওলামা পীর মাশায়েখরা ইতোমধ্যে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ধর্মবেত্তারাও এমন আইনের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
বাংলাদেশের মতো এমন পরধর্মসহিষ্ণু দেশ পৃথিবীতে বিরল। প্রায় নব্বই ভাগ মুসলমানের এ দেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মানুষ স্বচ্ছন্দে এবং নির্বিঘেœ তাদের ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালন করে থাকে। এ দেশের জনগণ বরাবরই ধর্মপ্রাণ কিন্তু ধর্মান্ধ বা ধর্মবিদ্বেষী নয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান হয়েও গত ৫ অক্টোবর রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির ও রামকৃষ্ণ মিশনে দুর্গাপূজা উপলে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে বলেছিলেন, ‘আমরা জানি এবং শুনেছি মা দুর্গা প্রতি বছর কোনো না কোনো বাহনে চড়ে আমাদের এ বসুন্ধরায় আসেন। এবার আমাদের দেবী এসেছেন গজে চড়ে। জানি গজে চড়ে এলে এ পৃথিবী ধনধান্যে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে তা আমরা দেখতেই পাচ্ছি। এবার ফসল ভালো হয়েছে। মানুষ সুখে-শান্তিতেই আছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধি পেয়ে ৭ ভাগে দাঁড়িয়েছে।’ (দৈনিক আমার দেশ, ৬ অক্টোবর ২০১১)। ধর্মীয় সম্প্রীতির এ এক বিরল দৃষ্টান্ত নয় কি?
আলেম ওলামাদের আশঙ্কা : বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিা বোর্ড (বেফাক) সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফির মতে, সরকার ও তার আইনমন্ত্রী বিয়েশাদি থেকে ধর্ম বাদ ও সন্তানের কোনো ধর্মীয় পরিচয় নেই বলে যে আইন করার ঘোষণা দিয়েছেন, তা দেশ থেকে ইসলাম নির্মূলের ধারাবাহিক কর্মসূচিরই অংশ। সরকার যেভাবে একের পর এক ইসলামের বিরুদ্ধে তৎপরতা চালাচ্ছে তাতে অচিরেই এ দেশ ইসলাম ও মুসলিম পরিচিতি হারাতে পারে বলে আশঙ্কা করেন। এ আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় বাংলাদেশের মুসলিম পরিবার, জন্মশৃঙ্খলা, বংশপরিচয় ইত্যাদি ধ্বংস হয়ে যাবে। আল্লামা শফি ােভ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সংবিধান থেকে সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসকে বাদ দেয়া, ধর্মহীন শিানীতি চালু করা, ইসলামবিরোধী নারীনীতি গ্রহণ, পুত্রহীন পিতার কন্যাকে সব সম্পত্তির অধিকারী করা, একের পর এক স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে হিজাব নিষিদ্ধকরণ, পর্দা করতে বাধ্য করা যাবে না বলে হাইকোর্টের রায়, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন কর্তৃক আল্লাহ, রাসূল সা:, কুরআন ও ইসলাম নিয়ে চরম কটূক্তি, মসজিদে হামলা ও ভাঙচুর, কুরআনের আয়াত পরিবর্তনের জন্য হিন্দু কর্তৃক হাইকোর্টে মামলা এবং সর্বশেষ ধর্মহীন বিয়ের অনুমোদনের মাধ্যমে ৯০ শতাংশের মুসলমানের এ দেশটার গন্তব্য কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। আসলে ধর্মনিরপেতার কথা বলে সরকার চরম নাস্তিকতার দিকেই দেশকে দ্রুত টেনে নিয়ে যেতে চাইছে।
আলেম ওলামাদের আশঙ্কা : বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিা বোর্ড (বেফাক) সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফির মতে, সরকার ও তার আইনমন্ত্রী বিয়েশাদি থেকে ধর্ম বাদ ও সন্তানের কোনো ধর্মীয় পরিচয় নেই বলে যে আইন করার ঘোষণা দিয়েছেন, তা দেশ থেকে ইসলাম নির্মূলের ধারাবাহিক কর্মসূচিরই অংশ। সরকার যেভাবে একের পর এক ইসলামের বিরুদ্ধে তৎপরতা চালাচ্ছে তাতে অচিরেই এ দেশ ইসলাম ও মুসলিম পরিচিতি হারাতে পারে বলে আশঙ্কা করেন। এ আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় বাংলাদেশের মুসলিম পরিবার, জন্মশৃঙ্খলা, বংশপরিচয় ইত্যাদি ধ্বংস হয়ে যাবে। আল্লামা শফি ােভ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সংবিধান থেকে সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসকে বাদ দেয়া, ধর্মহীন শিানীতি চালু করা, ইসলামবিরোধী নারীনীতি গ্রহণ, পুত্রহীন পিতার কন্যাকে সব সম্পত্তির অধিকারী করা, একের পর এক স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে হিজাব নিষিদ্ধকরণ, পর্দা করতে বাধ্য করা যাবে না বলে হাইকোর্টের রায়, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন কর্তৃক আল্লাহ, রাসূল সা:, কুরআন ও ইসলাম নিয়ে চরম কটূক্তি, মসজিদে হামলা ও ভাঙচুর, কুরআনের আয়াত পরিবর্তনের জন্য হিন্দু কর্তৃক হাইকোর্টে মামলা এবং সর্বশেষ ধর্মহীন বিয়ের অনুমোদনের মাধ্যমে ৯০ শতাংশের মুসলমানের এ দেশটার গন্তব্য কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। আসলে ধর্মনিরপেতার কথা বলে সরকার চরম নাস্তিকতার দিকেই দেশকে দ্রুত টেনে নিয়ে যেতে চাইছে।
বাংলাদেশ জাতীয় ফতোয়া বোর্ডের বেশির ভাগ মুফতির মতে, নিজ নিজ ধর্ম অত রেখে ছেলেমেয়েদের বিবাহকে বৈধতা দিয়ে যে বিবাহ আইন পাস করেছে তা সরাসরি কুরআনের আইনের সাথে সাংঘর্ষিক।
পবিত্র কুরআনে নির্দেশনা : সূরা বাকারাহর ২২১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন, ‘আর তোমরা মুশরিক নারীদের বিয়ে করো না, যতণ না তারা ঈমান গ্রহণ করে। অবশ্য মুসলমান ক্রীতদাসী মুশরিক নারী অপো উত্তম, যদিও তাদের তোমাদের কাছে ভালো লাগে এবং তোমরা (নারীরা) কোনো মুশরিকের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত না সে ঈমান আনে। একজন মুসলমান ক্রীতদাসও একজন মুশরিকের তুলনায় অনেক ভালো, যদিও তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও। তারা দোজখের দিকে আহবান করে , আর আল্লাহ নিজের হুকুমের মাধ্যমে আহবান করেন জান্নাত ও মার দিকে। আর তিনি মানুষকে নিজের নির্দেশ বাতলে দেন, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।’ সূরা নিসার ২৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, বিবাহ হলো, ‘পুরুষ এবং নারীদের মধ্যে দাম্পত্য জীবনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি এবং ব্যভিচার থেকে বিরত থাকা।’ সূরা আল রুমের ২১ নম্বর আয়াতে বিবাহকে বলা হয়েছে, ‘নর-নারীর ভালোবাসা এবং আন্তরিকতা প্রকাশের এক পবিত্র পদ্ধতি।’ সূরা আল শুরার ১১ নম্বর আয়াতে বিবাহকে অভিহিত করা হয়েছে, ‘পরিবার প্রতিপালন এবং পরিবার সংরণ।’
পবিত্র কুরআনে নির্দেশনা : সূরা বাকারাহর ২২১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন, ‘আর তোমরা মুশরিক নারীদের বিয়ে করো না, যতণ না তারা ঈমান গ্রহণ করে। অবশ্য মুসলমান ক্রীতদাসী মুশরিক নারী অপো উত্তম, যদিও তাদের তোমাদের কাছে ভালো লাগে এবং তোমরা (নারীরা) কোনো মুশরিকের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত না সে ঈমান আনে। একজন মুসলমান ক্রীতদাসও একজন মুশরিকের তুলনায় অনেক ভালো, যদিও তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও। তারা দোজখের দিকে আহবান করে , আর আল্লাহ নিজের হুকুমের মাধ্যমে আহবান করেন জান্নাত ও মার দিকে। আর তিনি মানুষকে নিজের নির্দেশ বাতলে দেন, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।’ সূরা নিসার ২৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, বিবাহ হলো, ‘পুরুষ এবং নারীদের মধ্যে দাম্পত্য জীবনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি এবং ব্যভিচার থেকে বিরত থাকা।’ সূরা আল রুমের ২১ নম্বর আয়াতে বিবাহকে বলা হয়েছে, ‘নর-নারীর ভালোবাসা এবং আন্তরিকতা প্রকাশের এক পবিত্র পদ্ধতি।’ সূরা আল শুরার ১১ নম্বর আয়াতে বিবাহকে অভিহিত করা হয়েছে, ‘পরিবার প্রতিপালন এবং পরিবার সংরণ।’
ব্রিটিশ শাসনের ধর্মবিনাশী আইন : ভিশন ২০২১-এর ঘোষণা দিয়ে এ সরকার মতায় এলেও তারা দেশকে সাংবিধানিকভাবে নিয়ে গেছে ১৯৭২ সালে। এখন সরকার চাচ্ছে, সংবিধানকে একেবারে ১৮ জুলাই ১৮৭২ সালে নিয়ে যেতে। অবিভক্ত ভারতের স্বপ্নচারীরা এখন এক দিবা স্বপ্নেই মগ্ন। ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে বাংলা বিহার উড়িষ্যার নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ছিল মূলত মুসলমানদেরই পরাজয়। এ ব্রিটিশ কোম্পানি ধীরে ধীরে পুরো ভারতবর্ষকেই গ্রাস করে নেয়। এর ঠিক শত বছর পরে ১৮৫৭ সালে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার উদগ্র বাসনা নিয়ে সংগঠিত হয় তথাকথিত সিপাহি বিপ্লব। সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফর ছিলেন ব্রিটিশবিরোধী এ স্বাধীনতা সংগ্রামের শীর্ষ নেতৃত্বে। স্বাধীনতাকামী জনতার সে রক্তঝরা বিপ্লব ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে আসে। ১ নভেম্বর, ১৮৫৮ সালে এলাহাবাদের গ্রান্ড দরবারে ঘোষণা আসে ব্রিটিশ রানী ভারতের দায়িত্ব নিয়েছে। একই সময়ে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে ভারতবর্ষে রানীর সরাসরি শাসন চালু হয়। ১৮৭৭ সালে রানী ভিক্টোরিয়াকে ভারতের রানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ভারতবর্ষ সরাসরি ব্রিটিশ শাসনে আসার পর থেকে ব্রিটিশ নাগরিকরা ভারতীয়দের বাসস্থান থেকে অনেক দূরে ক্যান্টনমেন্টে বসবাস শুরু করে। প্রাইভেট কাবগুলো ব্রিটিশদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়। নিত্যনতুন নিবর্তনমূলক ব্রিটিশ আইনের খড়গ নেমে আসে ভারতীয় নাগরিকদের ওপর। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার এক মোম অস্ত্র হিসেবে ১৮৭২ সালে প্রণীত হয় স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট। শোনা যায় তখন ব্রিটেনের বেশ কিছু হোটেল-পানশালায় ঝুলিয়ে দেয়া হতো সাইনবোর্ড, লেখা থাকত ÒDOGS & INDIANS ARE NOT ALLOWED. ” অর্থাৎ কুকুর এবং ভারতীয়দের প্রবেশ নিষিদ্ধ। ব্রিটিশ সরকার মূলত ভারতীয়দের কুকুরের সাথে তুলনা করে আত্মপ্রসাদে মেতে উঠত। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে ধর্মীয় নৈতিকতার বন্ধন থেকে ধীরে ধীরে সরে আসে তার মোম ব্যবস্থাপত্র হিসেবে এ আইনটি ধরিয়ে দেয়া হয়।
১৮৫৭ সালের সিপাহি বিপ্লবের একটি প্রধান কারণ ছিল লি অ্যানফিল্ড রাইফেলে ব্যবহৃত এক ধরনের কার্তুজ। অ্যানফিল্ড রাইফেলে ব্যবহৃত কার্তুজ দাঁত দিয়ে ছিঁড়তে হতো। এতে গরু এবং শূকরের চর্বি মিশিয়ে দেয়া হতো।
মুসলিম এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বী সিপাহিদের জন্য এটা ছিল অবমাননাকর। বিদ্যুৎ বেগে এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে বিদ্রোহীদের মধ্যে, স্বাধীনতা যুদ্ধের জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে এ যেন ঘৃতাহুতি। মুসলমান এবং সনাতন ধর্মানুসারীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার এ এক অভিনব কৌশল।
মুসলিম এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বী সিপাহিদের জন্য এটা ছিল অবমাননাকর। বিদ্যুৎ বেগে এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে বিদ্রোহীদের মধ্যে, স্বাধীনতা যুদ্ধের জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে এ যেন ঘৃতাহুতি। মুসলমান এবং সনাতন ধর্মানুসারীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার এ এক অভিনব কৌশল।
দি স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট, ১৮৭২ : এ আইনের সেকশন ২-এ বর্ণিত বিধি অনুযায়ী বিবাহ শুধু দু’টি েেত্র প্রযোজ্য হবে : ১. পাত্রপাত্রীকে অবশ্যই অঙ্গীকারনামায় ঘোষণা দিতে হবে তারা খ্রিষ্টান, ইহুদি, হিন্দু, মুসলিম, পার্শি, বৌদ্ধ, শিখ অথবা জৈন ধর্মের অনুসারী নয়। অথবা ২. পাত্রপাত্রী দু’জনকেই ঘোষণা দিতে হবে তারা হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ অথবা জৈন ধর্মের অনুসারী। এখানে গভীরভাবে পর্যবেণে দেখা যায়, প্রথম অঙ্গীকার করলে পাত্রপাত্রী উভয়ই নাস্তিক হিসেবে গণ্য হবে। লণীয়, দ্বিতীয় ঘোষণায় স্বার করলে প্রমাণিত হবে তারা শুধু উল্লিখিত চারটি ধর্মের অনুসারী। এ েেত্র, মুসলমান, খ্রিষ্টান এবং ইহুদিদের সাথে অন্য চারটি ধর্মের অনুসারীদের বিবাহের অনুমতি ব্রিটিশ কর্তৃক প্রণীত স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টেও স্বীকৃতি দেয়া হয়নি।
স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতায় এত দিন এ দেশে মুসলমান হিন্দুদের মধ্যে যেসব বিয়েশাদি অনুষ্ঠিত হয়েছে সেসব এ আইনেও বৈধ নয়। নিশ্চয়ই পাত্রপাত্রীরা প্রথম ডিকারেশন দিয়েই বিয়েকে সিদ্ধ করেছেন। অর্থাৎ নিজেদের নাস্তিক বলেই ঘোষণা দিয়েছেন। আমাদের ইসলাম ধর্মের অনুসারী কোনো পাত্রী অন্য ধর্মের কোনো পাত্রকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত না করা পর্যন্ত এ বিয়ে সিদ্ধ হবে না। এটা হবে লিভ টুগেদার।
শোনা যাচ্ছে, নিজ নিজ ধর্ম অুণœ রেখে আন্তঃধর্মীয় বিবাহ রেজিস্ট্রি করার জন্য ১৮ এপ্রিল ২০১২ সালে সরকার একজন রেজিস্ট্রারার নিয়োগ দিয়েছেন। এ ধরনের পদপে নেয়ার আগে দেশের ধর্মাশ্রয়ী জনগণের নাড়ির স্পন্দন উপলব্ধি করা একান্ত জরুরি। চিন্তা করতে হবে, এ ধরনের তথাকথিত বিবাহের ফলে জন্ম নেয়া সন্তানের ধর্মপরিচয় কী হবে? মুসলমান সন্তানের আকিকা হয়, নাম রাখা হয়, ছেলে সন্তানের খাতনা দেয়া হয় ইসলামি বিধান অনুযায়ী। প্রাথমিক এবং জেএসসি, এসএসসি পরীায় নিবন্ধনে এসব সন্তানের ধর্ম পরিচয় কি উল্লেখ থাকবে? নাবালকদের পাসপোর্টে কোন ধর্মের কথা লেখা থাকবে? নাবালক অবস্থায় মৃত হলে এদের সৎকার হবে কোন ধর্মীয় মতে? এদের সম্পদের উত্তরাধিকার কোন ধর্ম মতে নির্ধারিত হবে? এসব প্রশ্ন ধর্মানুরাগী প্রতিটি মানুষের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে। সামাজিক বিশৃঙ্খলা এবং নৈরাজ্যের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। ব্রিটিশরা মুসলমান, ইহুদি এবং খ্রিষ্টান ধর্মমতকে এ বিধান থেকে কার্যত বাদ রাখলেও ৯০ শতাংশ মুসলমানের এ দেশে নিজ নিজ ধর্ম অুণœ রেখে আন্তঃধর্মীয় আইন কার্যকর করার চেষ্টা সব ধর্মের মানুষকেই ুব্ধ করে তুলবে এতে সন্দেহের অবকাশ কোথায়?
Kazi_sayed@yahoo.com
Kazi_sayed@yahoo.com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন