॥ সিরাজুর রহমান ॥
ইংরেজি ‘রেজিলিয়েন্স’ কথাটার অর্থ স্বস্থানে ফিরে আসা। অর্থটা কিঞ্চিৎ প্রসারিত করলে বলা যায়, ঘাতসহ শত প্রতিকূলতার মধ্যেও যে টিকে থাকে। বাংলাদেশের মানুষের মতো ঘাতসহ জাতি আমি আর কোথাও দেখিনি। আমার এ বিশ্বাসের জন্ম হয়েছে ছোটবেলার বহু অভিজ্ঞতা থেকে। পরিণত জীবনে বহু ঘটনা সে বিশ্বাসকে দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর করেছে।
খুব ছোটবেলায়। আমাদের বাড়ি থেকে উত্তর দিকে যে বিরাট মাঠ ছিল, তার পরের গ্রামে বিয়ে হবে। আব্বা ও দুই চাচা সে বিয়ের দাওয়াতে গেলেন। বড় ভাইকেও সাথে নিয়ে গিয়েছিলেন। আমি শুধু কাছারি ঘরের সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে দেখলাম শুকনো মাঠ পেরিয়ে তারা কেমন করে হেঁটে হেঁটে চলে গেলেন। সন্ধ্যার পরপরই হঠাৎ মেঘ করে ঝড় উঠল। তারপর কী বৃষ্টি! ঝড়ের বেগও বেড়েই চলল। উঠোনোর চার দিকের ঘরগুলোর চালের টিন একে একে যেন পাখি হয়ে গেল। অল্পক্ষণের মধ্যেই ন্যাড়া হয়ে গেল ঘরগুলো। চমকানো বিজলির আলোতে দেখতে পাচ্ছিলাম গাছগুলো উড়ে যাচ্ছে।
বাড়িতে পুরুষদের মধ্যে আমি জ্যেষ্ঠ এবং তখনো আমি শিশু। সবার ভীতকান্না ও আর্তনাদে আমিও সমানে শরিক। ভিজে ঢোল হয়ে গেছি সবাই। শীতে কাঁপছি। আম্মা-চাচীরা সমস্বরে দোয়াদরুদ পড়ছিলেন। ভোর নাগাদ ঝড়ের বেগ কমে এলো। বৃষ্টি থামল। কিছু পরে ঝড়বৃষ্টি থেমে গেল। সূর্যও উঠল আকাশে। বিয়ে বাড়িতে যারা গিয়েছিলেন তারা ফিরে এলেন বলতে গেলে সাঁতার কাটতে কাটতে। আগের দিন বিকেলে যে মাঠ শুকনো ছিল সে মাঠে এখন বুকসমান পানি।
পরের ক’দিন চলল মেরামত আর পুনর্নির্মাণের কাজ। সবাই সাহায্য করছেন পরস্পরকে। বাড়ির রাস্তা যেখানে সদর রাস্তায় মিশেছে সেখানের বড় বটগাছটাও উপড়ে বেশ কিছু দূরে গিয়ে পড়েছিল। উপড়ে যাওয়া গাছগুলো কেটেকুটে পথঘাট পরিষ্কার করা হয়েছে। সে কালরাত্রির বিভীষিকার স্মৃতি দেখতে দেখতে মিলিয়ে গেল।
বাড়িতে পুরুষদের মধ্যে আমি জ্যেষ্ঠ এবং তখনো আমি শিশু। সবার ভীতকান্না ও আর্তনাদে আমিও সমানে শরিক। ভিজে ঢোল হয়ে গেছি সবাই। শীতে কাঁপছি। আম্মা-চাচীরা সমস্বরে দোয়াদরুদ পড়ছিলেন। ভোর নাগাদ ঝড়ের বেগ কমে এলো। বৃষ্টি থামল। কিছু পরে ঝড়বৃষ্টি থেমে গেল। সূর্যও উঠল আকাশে। বিয়ে বাড়িতে যারা গিয়েছিলেন তারা ফিরে এলেন বলতে গেলে সাঁতার কাটতে কাটতে। আগের দিন বিকেলে যে মাঠ শুকনো ছিল সে মাঠে এখন বুকসমান পানি।
পরের ক’দিন চলল মেরামত আর পুনর্নির্মাণের কাজ। সবাই সাহায্য করছেন পরস্পরকে। বাড়ির রাস্তা যেখানে সদর রাস্তায় মিশেছে সেখানের বড় বটগাছটাও উপড়ে বেশ কিছু দূরে গিয়ে পড়েছিল। উপড়ে যাওয়া গাছগুলো কেটেকুটে পথঘাট পরিষ্কার করা হয়েছে। সে কালরাত্রির বিভীষিকার স্মৃতি দেখতে দেখতে মিলিয়ে গেল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানিরা যখন বোমা ফেলতে কলকাতা পর্যন্ত এলো, বহু পরিবারকেই তখন কলকাতা ছেড়ে চলে যেতে হয়। তখন মিডল ইংলিশ বৃত্তি পরীক্ষা দিতে নোয়াখালী শহরে গেছি। সে উপলক্ষে মতিয়ারঘোনা নামে এক জায়গায় আমার ছোট চাচার কবর জিয়ারতেও যাওয়ার সুযোগ হয়। ছোট চাচার স্মৃতি বলতে গেলে আমার নিত্যকারের সঙ্গী। নোয়াখালী শহরে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা দিতে গিয়ে কলেরায় তিনি মারা যান। তার কিছু দিন পরই আমার জন্ম। শোকাহত দাদা-দাদী হুবহু তার নামে আমার নাম দিয়েছিলেন। সে কালের নোয়াখালী শহর আর নেই। মতিয়ারঘোনায় জনৈক সিরাজুর রহমানের কবর এখন বোধহয় বঙ্গোপসাগরের ৩০ কিংবা ৪০ মাইল ভেতরে হবে।
কলকাতা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসতে গোয়ালন্দ-চাঁদপুর ফেরি জাহাজে আসতে হতো। জাহাজের রেলিংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতাম রাক্ষসী পদ্মা ক্ষেতখামার আর ঘরবাড়ি ভেঙে নিয়ে যাচ্ছে। সর্বহারা মানুষগুলো নিশ্চয়ই নতুন করে অন্য কোথাও জীবন শুরু করেছে। বড় হয়ে পদ্মা-যমুনা-মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন বহু দেখেছি। দেখেছি বহু ঝড়-তুফান। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের মহা ঘূর্ণিঝড়ের খবর প্রচার করেছি বিবিসি থেকে, সে প্রলয় সম্বন্ধে পরেও অনেক লিখেছি।
সরকারের ওপর আস্থা কোথায়?
কী এমন বিশেষত্ব এই মানুষগুলোর? এত মার খেয়ে আর বারবার মরেও কী করে বেঁচে থাকে এই মানুষগুলো? প্রায়ই ভেবেছি সেসব কথা। সিদ্ধান্তে এসেছি যে, অদম্য বিশ্বাস তাদের ঘাতসহ স্বভাব আর বেঁচে থাকার অভ্যেসের মূল। জাত-ধর্ম যার যা হোক সর্বশক্তিমান বিধাতার ওপর অনড় বিশ্বাস তাদের। কিছু বিশ্বাস নিজের ওপরও। সমাজের আর রাষ্ট্রের ওপরও কিছু বিশ্বাস আছে তাদের। পাড়া-প্রতিবেশী-সমাজের মানুষ এবং কখনো-সখনো রাষ্ট্রযন্ত্রও বিপদে-আপদে পাশে এসে দাঁড়াবে বলে তাদের বিশ্বাস ছিল। তা না হলে এ জাতি টিকে থাকতে পারত না।
যে সময়ের কথা দিয়ে শুরু করেছি তখন ইংরেজের ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে ছিলাম আমরা। ইংরেজ বেনিয়ার জাত। কম লগ্নি করে বেশি উসুল করে নেয়ার জন্যই তারা দেশে-বিদেশে ছুটে গিয়েছিল। অনেকটা কম তেলে কই মাছটা মুচমুচে করে ভাজার চেষ্টার মতোই। খুব অল্পসংখ্যক ইংরেজ এসেছিল বিলাত থেকে। ভারতীয় কর্মচারীও তারা নিয়োগ করেছে যথাসম্ভব কম। ১৯৪৬ সালে মহানগরী কলকাতায় হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গায় ৪০-৫০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। কলকাতায় তখন পুলিশ ছিল মাত্র এক হাজার ২০০।
কলকাতা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসতে গোয়ালন্দ-চাঁদপুর ফেরি জাহাজে আসতে হতো। জাহাজের রেলিংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতাম রাক্ষসী পদ্মা ক্ষেতখামার আর ঘরবাড়ি ভেঙে নিয়ে যাচ্ছে। সর্বহারা মানুষগুলো নিশ্চয়ই নতুন করে অন্য কোথাও জীবন শুরু করেছে। বড় হয়ে পদ্মা-যমুনা-মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন বহু দেখেছি। দেখেছি বহু ঝড়-তুফান। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের মহা ঘূর্ণিঝড়ের খবর প্রচার করেছি বিবিসি থেকে, সে প্রলয় সম্বন্ধে পরেও অনেক লিখেছি।
সরকারের ওপর আস্থা কোথায়?
কী এমন বিশেষত্ব এই মানুষগুলোর? এত মার খেয়ে আর বারবার মরেও কী করে বেঁচে থাকে এই মানুষগুলো? প্রায়ই ভেবেছি সেসব কথা। সিদ্ধান্তে এসেছি যে, অদম্য বিশ্বাস তাদের ঘাতসহ স্বভাব আর বেঁচে থাকার অভ্যেসের মূল। জাত-ধর্ম যার যা হোক সর্বশক্তিমান বিধাতার ওপর অনড় বিশ্বাস তাদের। কিছু বিশ্বাস নিজের ওপরও। সমাজের আর রাষ্ট্রের ওপরও কিছু বিশ্বাস আছে তাদের। পাড়া-প্রতিবেশী-সমাজের মানুষ এবং কখনো-সখনো রাষ্ট্রযন্ত্রও বিপদে-আপদে পাশে এসে দাঁড়াবে বলে তাদের বিশ্বাস ছিল। তা না হলে এ জাতি টিকে থাকতে পারত না।
যে সময়ের কথা দিয়ে শুরু করেছি তখন ইংরেজের ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে ছিলাম আমরা। ইংরেজ বেনিয়ার জাত। কম লগ্নি করে বেশি উসুল করে নেয়ার জন্যই তারা দেশে-বিদেশে ছুটে গিয়েছিল। অনেকটা কম তেলে কই মাছটা মুচমুচে করে ভাজার চেষ্টার মতোই। খুব অল্পসংখ্যক ইংরেজ এসেছিল বিলাত থেকে। ভারতীয় কর্মচারীও তারা নিয়োগ করেছে যথাসম্ভব কম। ১৯৪৬ সালে মহানগরী কলকাতায় হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গায় ৪০-৫০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। কলকাতায় তখন পুলিশ ছিল মাত্র এক হাজার ২০০।
তবু শাসনযন্ত্রের ওপর মানুষের বিশ্বাস ছিল। আসলে সে জন্যই ইংরেজ দু’শ বছর ভারতবর্ষে টিঁকে থাকতে পেরেছিল। নোয়াখালীতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আর পুলিশ সুপার ছিল ইংরেজ। অন্য সব কর্মকর্তা দেশী। সবচেয়ে কাছের পুলিশ ছিল বেগমগঞ্জে থানায়। ইউনিয়ন পর্যায়ে লাঠিধারী একজন করে চৌকিদার থাকত। তবু প্রয়োজনে পুলিশ আসত। চুরি হলে চোর আর খুন হলে খুনি ধরা পড়ত, বিচার হতো, শাস্তি হতো। আমরা প্রথম স্বাধীন হয়েছি ৬৫ বছর আর দ্বিতীয়বার ৪১ বছর আগে। কিন্তু এখন কি বলা যাবে যে দুষ্কৃতকারীর সাজা হবে?
রক্ষক ভক্ষক আর মাথায় সাপের কামড়
রক্ষক ভক্ষক আর মাথায় সাপের কামড়
নিরাপত্তার অভাব ঘটলে মানুষ অশান্ত আর অস্থির হয়। মাথার ওপর যারা বসে আছেন তারা যদি চুরি-দুর্নীতি করেন, খুন করেন কিংবা করান তাহলে মানুষ করবে কী, যাবে কোথায়? আরো অনেকে তখন এ প্রক্রিয়ায় যোগ দেয়, দুর্নীতি ও দুষ্কৃতি তখন সর্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। সবচেয়ে বড় কথা, ওপরওয়ালাদের ওপর, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোগুলোর ওপর মানুষের ভরসা ও বিশ্বাস যদি চলে যায় তাহলে নৈরাজ্য, হানাহানি ও গৃহযুদ্ধের ক্ষেত্র তৈরি হয়। ক্ষমতার যেটা উৎস তার ওপরই যদি মানুষের আস্থা চলে যায় তাহলে মানুষ বাঁচবে কী করে?
স্বাধীনতার পর থেকেই আইনের প্রতি আস্থা ও শ্রদ্ধাবোধ কমে যাচ্ছিল। গত সাড়ে তিন বছরে আস্থা ও শ্রদ্ধা পলাতক বলেই মনে হয়। ‘একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’ বলে যে দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল সে দেশে এ সরকারের আমলে কয়েক হাজার মানুষ খুন হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামে নয়, রাজধানীতেও খুন হচ্ছে দিন-রাত্রি, বাড়িতে ঢুকে সাংবাদিক দম্পতি মেহেরুন রুনি আর সাগর সরোয়ারকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়; কিন্তু খুনিরা ধরা পড়ে না, শাস্তি পায় না। অভিযোগ আছে, সরকারের ‘আইনশৃঙ্খলারক্ষী’ কোনো কোনো বাহিনী বিনা বিচারে খুন করে যাচ্ছে, এখন আবার শুরু হয়েছে গুম ও খুনের হুজুগ। লোকে বলে গুম ও খুন করছে আইনশৃঙ্খলারক্ষীরাই, আর তারা বলে শত তদন্ত করেও তারা কোনো ‘কু’ খুঁজে পাচ্ছে না।
স্বাধীনতার পর থেকেই আইনের প্রতি আস্থা ও শ্রদ্ধাবোধ কমে যাচ্ছিল। গত সাড়ে তিন বছরে আস্থা ও শ্রদ্ধা পলাতক বলেই মনে হয়। ‘একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’ বলে যে দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল সে দেশে এ সরকারের আমলে কয়েক হাজার মানুষ খুন হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামে নয়, রাজধানীতেও খুন হচ্ছে দিন-রাত্রি, বাড়িতে ঢুকে সাংবাদিক দম্পতি মেহেরুন রুনি আর সাগর সরোয়ারকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়; কিন্তু খুনিরা ধরা পড়ে না, শাস্তি পায় না। অভিযোগ আছে, সরকারের ‘আইনশৃঙ্খলারক্ষী’ কোনো কোনো বাহিনী বিনা বিচারে খুন করে যাচ্ছে, এখন আবার শুরু হয়েছে গুম ও খুনের হুজুগ। লোকে বলে গুম ও খুন করছে আইনশৃঙ্খলারক্ষীরাই, আর তারা বলে শত তদন্ত করেও তারা কোনো ‘কু’ খুঁজে পাচ্ছে না।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আর এ দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী গুম হলেন। প্রকাশিত খবর মতে, নিজের গাড়ি থেকে তাকে টানাহেঁচড়া করে নিয়ে গেল কিছু লোক। তারা এক পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টরকে নিজেদের আইডি কার্ড দেখিয়ে বলল, তারা আইনশৃঙ্খলারক্ষী বাহিনীর লোক, অপারেশনে আছে। কোথায় এখন সে সাব-ইন্সপেক্টর আর কোথায় ইলিয়াস আলীর গাড়ির ড্রাইভার? তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে পুলিশ আর র্যাবে ঠেলাঠেলি হলো, প্রধানমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীরা উল্টোপাল্টা এবং পরস্পরবিরোধী কথাবার্তা বললেন। তারপর সব শেষ। মনে হচ্ছে সরকার ব্যাপারটা চাপা দিতে চাইছে।
সাধারণ মানুষ সাদা চোখে দেখছে অন্য ছবি। শাসকদল তাদের বিরোধী ও সমালোচকদের ‘খতম’ করার নির্দেশ দিয়েছে ক্যাডারদের, এ-লীগ সে-লীগের ছত্রছায়ায় পোষা লোকদের। দাঙ্গা-খুনখারাবি, হত্যা-ধর্ষণ কোনো কিছুই তাদের জন্য নিষিদ্ধ নয়। তারা বিপদে পড়লে তাদের সংরক্ষণ দেয় ‘আইন-শৃঙ্খলারক্ষীরা’। ‘আইন-শৃঙ্খলারক্ষীদের’ অকর্মণ্য বলা যাবে না। দেশের কোনো আনাচে-কানাচে সরকারের বিরুদ্ধে কারা কথা বলছে, কে টুপি পরছে, দাড়ি রাখছে আর মসজিদে যাচ্ছে, সেসব খবর তারা ঠিকই জানে এবং তাদের ধরে ধরে জেলে পুরছে। শাসকদলের সশস্ত্র লোকদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তারা বিরোধী দলের মিছিল-সমাবেশে ঝাঁপিয়ে পড়ছে, নেতানেত্রীদের লাঠিপেটা ও গ্রেফতার করছে। সংসদে বিরোধী দলের চিফ হুইপকে বেধড়ক লাঠিপেটা করলে পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা পদোন্নতি পান। মাথায় সাপে কাটলে পট্টি বাঁধা হবে কোথায়? রক্ষক যদি ভক্ষক হয় নিরাপত্তা সেখানে অরণ্যে রোদন করে।
বিব্রত বিচারক, অনুপস্থিত ন্যায়বিচার
সরকারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আদালত এখন আর রায় দেয় না। দেবে কী করে? সরকার নিজেদের অনুগত লোকদের দিয়ে আদালত বোঝাই করে রেখেছে। বিচারকেরা শুধুই বিব্রতবোধ করেন অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রমুখ সম্মানিত লোকদের দুষ্ট শিশুর মতো দাঁড় করিয়ে রেখে গৌরববোধ করেন। সরকার অবশ্যি বিব্রতবোধ করে না, আদালতের মানহানি করার তোয়াক্কা তারা করে না। প্রধান বিচারপতির রায়ের দোহাই দিয়ে তারা সংবিধানকে ছিন্নভিন্ন করে দিলো, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধান বানচাল করে দিলো, কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও সে রায় আর প্রকাশ করা হচ্ছে না।
বিব্রত বিচারক, অনুপস্থিত ন্যায়বিচার
সরকারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আদালত এখন আর রায় দেয় না। দেবে কী করে? সরকার নিজেদের অনুগত লোকদের দিয়ে আদালত বোঝাই করে রেখেছে। বিচারকেরা শুধুই বিব্রতবোধ করেন অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রমুখ সম্মানিত লোকদের দুষ্ট শিশুর মতো দাঁড় করিয়ে রেখে গৌরববোধ করেন। সরকার অবশ্যি বিব্রতবোধ করে না, আদালতের মানহানি করার তোয়াক্কা তারা করে না। প্রধান বিচারপতির রায়ের দোহাই দিয়ে তারা সংবিধানকে ছিন্নভিন্ন করে দিলো, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধান বানচাল করে দিলো, কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও সে রায় আর প্রকাশ করা হচ্ছে না।
এ সরকারের কাছ থেকে কেউ লজ্জা-শরম আশা করে? রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের (যার বিকৃত উচ্চারণের বিদ্রƒপ আর বড় বড় কথায় সাধারণ মানুষের গাজ্বালা করত) সহকারী একান্ত সচিবের গাড়ি থেকে বিজিবি ৭০ লাখ (অথবা চার কোটি ৭০ লাখ) টাকা উদ্ধার করল। আসলে ড্রাইভার আজম খানই টাকাটা বিজিবিকে ধরিয়ে দিয়েছিলেন। সে গাড়িতে আরো ছিলেন রেলের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান ও তার নিরাপত্তা প্রধান। গভীর রাতে তারা রেলমন্ত্রীর বাসায় যাচ্ছিলেন অত টাকা নিয়ে। ড্রাইভার আজম খান এখন গুম হয়ে গেছেন।
আর সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত? রেলমন্ত্রী থাকাকালীনই তিনি তার অধীনস্থ দু’জন কর্মকর্তাকে নিয়ে ‘তদন্ত কমিটি’ গঠন করেছিলেন। সে কমিটি নিরপেক্ষ তদন্ত করবে বলে কেউ কি আশা করেছিলেন? তাই কেউ হতাশ হননি। কমিটি রায় দিয়েছে, বলেছে যে সে টাকার সাথে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কোনো সংশ্লিষ্টতা তারা খুঁজে পায়নি। কালো বিড়াল পলকে সাদা হয়ে গেল। কিন্তু সে রাতে সে গাড়ির তিনজন আরোহীর সম্পদ সম্বন্ধে দুদক তদন্ত করবে বলেছে। তাতেও কি কেউ ভরসা পাচ্ছেন? মনে রাখতে হবে বর্তমান সরকারের আমলে নিযুক্ত এই দুদক গত সাড়ে তিন বছরে শাসক দলের কারো বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারেনি। বলব কি যে সংগ্রহ করার সাহস তাদের হয়নি?
সত্তর লাখ টাকা নিয়ে প্রচারণা বেশি গরম হয়ে উঠলে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পদত্যাগ করেন। সেটাও কি একটা নাটক ছিল? কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবারো রাতের গভীরে সুরঞ্জিত নতুন করে মন্ত্রীপদ পান। শোনা গিয়েছিল যে তাকে আবারো মন্ত্রীপদ দেয়ার নির্দেশ এসেছিল সীমান্তের ওপার থেকে।
নাটক ও সমীক্ষার প্রহসন
নাটক অবাস্তব আর অবিশ্বাস্য হয়ে গেলে সেটাকে বলা হয় প্রহসন। সেই প্রহসনও হয়ে গেল ক’দিন আগে। ফলাও করে প্রচার করা হলো যে, মার্কিন জনমত সমীক্ষা গ্যালপ পোল নাকি বলেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাজকর্মে বাংলাদেশের ৭৭ শতাংশ মানুষ সন্তুষ্ট। সেটা আপনার বিশ্বাস হচ্ছে কি? আপনিও কি ৭৭ শতাংশের মধ্যে পড়েন? প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের বহু ‘কীর্তির’ কথাও তো বলছিলাম এর আগেই। তা ছাড়া যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তার কোনোটি কি তিনি পালন করেছেন? দশ টাকা কেজির চাল? দ্রব্যমূল্য সামলে রাখা? রাতারাতি বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান? কৃষকদের বিনামূল্যে সারদান? মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাব মিডিয়ায় প্রকাশ করা? প্রতি পরিবারের অন্তত একজনকে স্থায়ী সরকারি চাকরি দেয়া? মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা? শেয়ারবাজারে যে তেত্রিশ লাখ স্বল্পবিত্ত মানুষের লগ্নি করা টাকা সরকারের পৃষ্ঠপোষকেরা গিলে খেলেন তাদের কারো ভোট এ সমীক্ষায় নেয়া হয়েছে কি? বাংলাদেশের কয়েকটি পত্রিকা বিভিন্ন সমকালীন প্রসঙ্গে পাঠকদের সমীক্ষা প্রকাশ করে। সেগুলোর ফলাফলের সাথেও গ্যালপের সমীক্ষার কোনো মিল আমি খুঁজে পাই না।
আর সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত? রেলমন্ত্রী থাকাকালীনই তিনি তার অধীনস্থ দু’জন কর্মকর্তাকে নিয়ে ‘তদন্ত কমিটি’ গঠন করেছিলেন। সে কমিটি নিরপেক্ষ তদন্ত করবে বলে কেউ কি আশা করেছিলেন? তাই কেউ হতাশ হননি। কমিটি রায় দিয়েছে, বলেছে যে সে টাকার সাথে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কোনো সংশ্লিষ্টতা তারা খুঁজে পায়নি। কালো বিড়াল পলকে সাদা হয়ে গেল। কিন্তু সে রাতে সে গাড়ির তিনজন আরোহীর সম্পদ সম্বন্ধে দুদক তদন্ত করবে বলেছে। তাতেও কি কেউ ভরসা পাচ্ছেন? মনে রাখতে হবে বর্তমান সরকারের আমলে নিযুক্ত এই দুদক গত সাড়ে তিন বছরে শাসক দলের কারো বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারেনি। বলব কি যে সংগ্রহ করার সাহস তাদের হয়নি?
সত্তর লাখ টাকা নিয়ে প্রচারণা বেশি গরম হয়ে উঠলে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পদত্যাগ করেন। সেটাও কি একটা নাটক ছিল? কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবারো রাতের গভীরে সুরঞ্জিত নতুন করে মন্ত্রীপদ পান। শোনা গিয়েছিল যে তাকে আবারো মন্ত্রীপদ দেয়ার নির্দেশ এসেছিল সীমান্তের ওপার থেকে।
নাটক ও সমীক্ষার প্রহসন
নাটক অবাস্তব আর অবিশ্বাস্য হয়ে গেলে সেটাকে বলা হয় প্রহসন। সেই প্রহসনও হয়ে গেল ক’দিন আগে। ফলাও করে প্রচার করা হলো যে, মার্কিন জনমত সমীক্ষা গ্যালপ পোল নাকি বলেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাজকর্মে বাংলাদেশের ৭৭ শতাংশ মানুষ সন্তুষ্ট। সেটা আপনার বিশ্বাস হচ্ছে কি? আপনিও কি ৭৭ শতাংশের মধ্যে পড়েন? প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের বহু ‘কীর্তির’ কথাও তো বলছিলাম এর আগেই। তা ছাড়া যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তার কোনোটি কি তিনি পালন করেছেন? দশ টাকা কেজির চাল? দ্রব্যমূল্য সামলে রাখা? রাতারাতি বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান? কৃষকদের বিনামূল্যে সারদান? মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাব মিডিয়ায় প্রকাশ করা? প্রতি পরিবারের অন্তত একজনকে স্থায়ী সরকারি চাকরি দেয়া? মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা? শেয়ারবাজারে যে তেত্রিশ লাখ স্বল্পবিত্ত মানুষের লগ্নি করা টাকা সরকারের পৃষ্ঠপোষকেরা গিলে খেলেন তাদের কারো ভোট এ সমীক্ষায় নেয়া হয়েছে কি? বাংলাদেশের কয়েকটি পত্রিকা বিভিন্ন সমকালীন প্রসঙ্গে পাঠকদের সমীক্ষা প্রকাশ করে। সেগুলোর ফলাফলের সাথেও গ্যালপের সমীক্ষার কোনো মিল আমি খুঁজে পাই না।
আমি বিলাতে থাকি। জনমতের সমীক্ষা এ দেশে প্রতিষ্ঠিত ও সম্মানিত একটা রাজনৈতিক অনুশাসন। কয়েকটি সমীক্ষা সংস্থার মধ্যে মার্কিন গ্যালপ কোম্পানিও এ দেশে সক্রিয়। মনে রাখতে হবে সমীক্ষা নির্বাচন কিংবা গণভোট নয়। সাধারণত পাঁচ কিংবা ছয়শ’, বড়জোর এক কিংবা দুই হাজার ‘স্যাম্পলের’ মতামতই একেকটি সমীক্ষায় সংগ্রহ করা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থক, সমাজের অর্থনৈতিক স্তরভেদ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিভিন্ন বয়সের স্তর ইত্যাদি বিভিন্ন মহল থেকে ‘স্যাম্পল’দের বেছে নেয়া হয়। সে রকম নিখুঁতভাবে স্যাম্পল বাছাই করা হলে বাংলাদেশের ৭৭ শতাংশ মানুষ শেখ হাসিনার শাসন ও কাজকর্মে সন্তুষ্ট বলে আপনি কি বিশ্বাস করেন? আরো মনে রাখা দরকার, গ্যালপ মার্কিন কোম্পানি হলেও বাংলাদেশে সমীক্ষা পরিচালকেরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসেননি। বাংলাদেশী কর্মীরাই এ সমীক্ষা পরিচালনা করেছেন। তাদের কিভাবে কিসের ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয়েছে? এ সমীক্ষার ফলাফলের আগাগোড়া ‘মেড ইন আওয়ামী লীগ রুলড বাংলাদেশ’ লিখিত থাকা উচিত ছিল। এ সমীক্ষার ফল বাংলাদেশে তো বটেই বিদেশেও কেউ বিশ্বাস করবে না।
বিদেশীদের আস্থায় ঘাটতি
বিশ্বাস হচ্ছে না? মে মাসের প্রথম সপ্তাহে জাপানের উপ-প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। পাঁচ তারিখে এসেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি কিনটন আর ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি। এই তিন বিশিষ্ট মন্ত্রীই দুর্নীতির পাগলা ঘোড়ার রাশ টেনে ধরতে বাংলাদেশকে পরামর্শ দিয়ে গেছেন। হিলারি আর প্রণব বাবু বলে গেছেন, সব দলের যোগদান ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পদ্ধতি সম্বন্ধে সংলাপে বসতে বড় দলগুলোকে তারা উপদেশ দিয়েছেন।
প্রণব মুখার্জি এতকাল হাসিনার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। প্রকাশ্যেও তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, হাসিনার গদি ভারত রক্ষা করবে। গত বছর ঢাকায় এসে বিরোধী দলের নেত্রীর সাথে দেখা করার সৌজন্যও তিনি দেখাননি। এবারে শুধু যে খালেদা জিয়ার বাসায় গিয়ে তার সাথে দেখা করেছেন তাই নয়, বরং এ কথাও বলে গেছেন যে ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্ব চায়, বিশেষ কোনো দলের নয়। প্রণব বাবুরাও এখন বুঝে গেছেন যে শেখ হাসিনা আর তার সরকারের পায়ের নিচে আর মাটি নেই।
তবু হাসিনার ৭৭ শতাংশ জনসমর্থনের মোহ আছে। লিবিয়ার কর্নেল গাদ্দাফি আর মিসরের হোসনি মোবারকও সাজানো নির্বাচন করে ৭০-৮০ শতাংশ কিংবা তার চেয়েও বেশি ভোট পেতেন। সিরিয়ার বাশার আল আসাদ মাত্র কয়েক দিন আগে নির্বাচন করেছিলেন। তিনি দাবি করছেন, তার জনসমর্থনও বিপুল। ওদিকে কিন্তু তার দেশের সর্বত্র মুক্তিকামীরা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছে, তারা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে, অন্তত হাজারদশেক লোক মারা গেছে এযাবৎ।
(লন্ডন, ১৫-০৫-১২)
serajurrahman34@gmail.com
বিদেশীদের আস্থায় ঘাটতি
বিশ্বাস হচ্ছে না? মে মাসের প্রথম সপ্তাহে জাপানের উপ-প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। পাঁচ তারিখে এসেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি কিনটন আর ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি। এই তিন বিশিষ্ট মন্ত্রীই দুর্নীতির পাগলা ঘোড়ার রাশ টেনে ধরতে বাংলাদেশকে পরামর্শ দিয়ে গেছেন। হিলারি আর প্রণব বাবু বলে গেছেন, সব দলের যোগদান ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পদ্ধতি সম্বন্ধে সংলাপে বসতে বড় দলগুলোকে তারা উপদেশ দিয়েছেন।
প্রণব মুখার্জি এতকাল হাসিনার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। প্রকাশ্যেও তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, হাসিনার গদি ভারত রক্ষা করবে। গত বছর ঢাকায় এসে বিরোধী দলের নেত্রীর সাথে দেখা করার সৌজন্যও তিনি দেখাননি। এবারে শুধু যে খালেদা জিয়ার বাসায় গিয়ে তার সাথে দেখা করেছেন তাই নয়, বরং এ কথাও বলে গেছেন যে ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্ব চায়, বিশেষ কোনো দলের নয়। প্রণব বাবুরাও এখন বুঝে গেছেন যে শেখ হাসিনা আর তার সরকারের পায়ের নিচে আর মাটি নেই।
তবু হাসিনার ৭৭ শতাংশ জনসমর্থনের মোহ আছে। লিবিয়ার কর্নেল গাদ্দাফি আর মিসরের হোসনি মোবারকও সাজানো নির্বাচন করে ৭০-৮০ শতাংশ কিংবা তার চেয়েও বেশি ভোট পেতেন। সিরিয়ার বাশার আল আসাদ মাত্র কয়েক দিন আগে নির্বাচন করেছিলেন। তিনি দাবি করছেন, তার জনসমর্থনও বিপুল। ওদিকে কিন্তু তার দেশের সর্বত্র মুক্তিকামীরা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছে, তারা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে, অন্তত হাজারদশেক লোক মারা গেছে এযাবৎ।
(লন্ডন, ১৫-০৫-১২)
serajurrahman34@gmail.com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন